মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২৪ টি

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. সিজদার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ প্রদান

৯৭৭। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... মা’দান ইবনু আবূ তালহা ইয়ামুরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদা) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযাদকৃত গোলাম সাওবন (রাঃ) এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো। আমি বললাম, আপনি আমাকে এমন একটি আমলের সংবাদ দান করুন, যার উপর আমল করলে আল্লাহ আমাকে জান্নাতে দাখিল করাবেন কিংবা তিনি বললেন, আপনি আমাকে আল্লাহর একটি প্রিয়তম আমলের সংবাদ দিন। তিনি নীরব রইলেন। আমি আবার বললাম, তিনি এবারও কিছু বললেন না। অতঃপর আমি তৃতীয়বার জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আমি এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছেন, আল্লাহর উদ্দেশ্যে অধিক সিজদা কর। কেননা, তুমি যখনই আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি সিজদা করবে, তখন এ দিয়ে আল্লাহ তা’আলা তোমার মর্যাদা এক ধাপ বাড়িয়ে দিবেন এবং তোমার একটি পাপ মোচন করে দিবেন। মা’দান বলেন, অতঃপর আবূদ দারদা (রাঃ) এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হল। তাঁর নিকটও আমি একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম। তিনিও সাওবান (রাঃ) এর অনুরুপ বললেন।

باب فَضْلِ السُّجُودِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ ‏

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ الأَوْزَاعِيَّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، حَدَّثَنِي مَعْدَانُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ أَعْمَلُهُ يُدْخِلُنِي اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ ‏.‏ أَوْ قَالَ قُلْتُ بِأَحَبِّ الأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ ‏.‏ فَسَكَتَ ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَسَكَتَ ثُمَّ سَأَلْتُهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ سَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ عَلَيْكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ لِلَّهِ فَإِنَّكَ لاَ تَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَكَ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْكَ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مَعْدَانُ ثُمَّ لَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ لِي مِثْلَ مَا قَالَ لِي ثَوْبَانُ ‏.‏


Ma'dan b. Talha reported: I met Thauban, the freed slave. of Allah's Messenger (ﷺ), and asked him to tell me about an act for which, if I do it, Allah will admit me to Paradise, or I asked about the act which was loved most by Allah. He gave no reply. I again asked and he gave no reply. I asked him for the third time, and he said: I asked Allah's Messenger (ﷺ) about that and he said: Make frequent prostrations before Allah, for you will not make one prostration without raising you a degree because of it, and removing a sin from you, because of it. Ma'dan said that then lie met Abu al-Darda' and when he asked him, he received a reply similar to that given by Thauban.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন-পিয়াজ, মূলা ইত্যাদি দুর্গন্ধযুক্ত দ্রব্য খাওয়ার পর মুখে থেকে দুর্গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ এবং এরূপ ব্যক্তিকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ

১১৪০। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... মা’দান ইবনু আবূ তালহা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর (রাঃ) একদিন জুম’আর খুতবা দিলেন। এতে তিনি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) এর আলোচনা করে বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, একটি মোরগ এসে আমাকে তিনটি ঠোকর মারল। আমার মতে এর তা’বীর হচ্ছে, আমার মৃত্যু অতি নিকটবর্তী। লোকেরা আমাকে বলেছে আমার একজন স্থলবর্তী নিযুক্ত করতে। নিশ্চয় আল্লাহ তার দ্বীন ও খিলাফাতকে নষ্ট করবেন না। আর তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তাও নষ্ট করবেন না। যদি শীঘ্রই আমার মৃত্যু এসে পড়ে, তবে খিলাফত ঐ ছয় ব্যাক্তির পরামর্শের উপর রইল, যাদের প্রতি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন। আমি জানি, কতিপয় লোক, যাদেরকে আমি নিজ হাতে শাস্তি দিয়েছি, এ ব্যাপারে তারা ইসলামের প্রতি দোষারোপ করবে। তারা যদি তা করে, তবে তারা আল্লাহর দুশমন ও পথভ্রষ্ট কাফির।

আমি কালালা (পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যাক্তি) ’র সমস্যা ব্যাতিত অন্য কোন কঠিন সমস্যা রেখে যাচ্ছি না। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কালালা সম্পর্কে যতবার জিজ্ঞাসা করেছি, ততবার অন্য কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি নি। তিনিও আমার প্রতি এ ব্যাপারে যতটা কঠোর ব্যবহার করেছেন, ততটা অন্য কোনও ব্যাপারে করেন নি। এক পর্যায়ে তিনি তার আঙুলদ্বারা আমার বুকে টোকা মেরে বললেন, হে উমর! সূরা নিসার শেষভাগের গ্রীষ্মকালীন (কালালা সম্পর্কিত) আয়াতটই কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আর আমি যদি বেঁচে থাকি, তাহলে কালালা সম্পর্কে এমন এক ফয়সালা রেখে যাব, যাকে ভিত্তি করে কুরআন জানা অজানা সকলেই ফয়সালা দিতে পারবে।

অতঃপর উমর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহ! আমি তোমাকে সেইসব লোক সম্পর্কে সাক্ষী করছি, যাদেরকে আমি বিভিন্ন শহরে প্রশাসক (গভর্নর, সুবেদার ও অফিসার) রুপে প্রেরণ করেছি। আমি তাদেরকে এ জন্য পাঠিয়েছি যে, তারা জনগণের মধ্যে সুবিচার কায়েম করবে, তাদেরকে তাদের দ্বীন ও নবীর তরীকা শিক্ষাদান করবে, তাদের মধ্যে তাদের যুদ্ধলব্ধ মাল বণ্টন করবে এবং কোনও কঠিন সমস্যার উদ্ভব হলে তা আমার সমীপে উত্থাপন করবে।

আর হে জনমণ্ডলী! তোমরা দু’টি গাছ ভক্ষণ করে থাক। আমি ঐ দু’টিকে অপছন্দ করি। তা হচ্ছে পিঁয়াজ ও রসূন। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, যখন তিনি মসজিদের কোনও ব্যাক্তি হতে ঐ দু’টির (কোন একটি গাছের) গন্ধ পেতেন, তখন তিনি তাকে "বাকী" প্রান্তরের দিকে বের করে দেয়ার আদেশ দিতেন। অতএব যে ব্যাক্তি তা (পিঁয়াজ রসূন) খেতে চাইবে, উত্তমরূপে রান্না করে খাবে- যাতে তার গন্ধ না থাকে।

باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَطَبَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَذَكَرَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ أَبَا بَكْرٍ قَالَ إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ دِيكًا نَقَرَنِي ثَلاَثَ نَقَرَاتٍ وَإِنِّي لاَ أُرَاهُ إِلاَّ حُضُورَ أَجَلِي وَإِنَّ أَقْوَامًا يَأْمُرُونَنِي أَنْ أَسْتَخْلِفَ وَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَكُنْ لِيُضَيِّعَ دِينَهُ وَلاَ خِلاَفَتَهُ وَلاَ الَّذِي بَعَثَ بِهِ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم فَإِنْ عَجِلَ بِي أَمْرٌ فَالْخِلاَفَةُ شُورَى بَيْنَ هَؤُلاَءِ السِّتَّةِ الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ وَإِنِّي قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ أَقْوَامًا يَطْعَنُونَ فِي هَذَا الأَمْرِ أَنَا ضَرَبْتُهُمْ بِيَدِي هَذِهِ عَلَى الإِسْلاَمِ فَإِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ فَأُولَئِكَ أَعْدَاءُ اللَّهِ الْكَفَرَةُ الضُّلاَّلُ ثُمَّ إِنِّي لاَ أَدَعُ بَعْدِي شَيْئًا أَهَمَّ عِنْدِي مِنَ الْكَلاَلَةِ مَا رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَىْءٍ مَا رَاجَعْتُهُ فِي الْكَلاَلَةِ وَمَا أَغْلَظَ لِي فِي شَىْءٍ مَا أَغْلَظَ لِي فِيهِ حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي صَدْرِي فَقَالَ ‏ "‏ يَا عُمَرُ أَلاَ تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ الَّتِي فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ ‏"‏ ‏.‏ وَإِنِّي إِنْ أَعِشْ أَقْضِ فِيهَا بِقَضِيَّةٍ يَقْضِي بِهَا مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَمَنْ لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أُشْهِدُكَ عَلَى أُمَرَاءِ الأَمْصَارِ وَإِنِّي إِنَّمَا بَعَثْتُهُمْ عَلَيْهِمْ لِيَعْدِلُوا عَلَيْهِمْ وَلِيُعَلِّمُوا النَّاسَ دِينَهُمْ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم وَيَقْسِمُوا فِيهِمْ فَيْئَهُمْ وَيَرْفَعُوا إِلَىَّ مَا أَشْكَلَ عَلَيْهِمْ مِنْ أَمْرِهِمْ ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ تَأْكُلُونَ شَجَرَتَيْنِ لاَ أَرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْنِ هَذَا الْبَصَلَ وَالثُّومَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا وَجَدَ رِيحَهُمَا مِنَ الرَّجُلِ فِي الْمَسْجِدِ أَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ إِلَى الْبَقِيعِ فَمَنْ أَكَلَهُمَا فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا ‏.‏


Ma'dan b. Talha reported: 'Umar b. Khattab, delivered the Friday sermon and he made a mention of the Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr. He (further) said: I saw in a dream that a cock pecked me twice, and I perceive that my death is near. Some people have suggested me to appoint my successor. And Allah would not destroy His religion. His caliphate and that with which He sent His Apostle (ﷺ) If death approaches me soon, the (issue) of Caliphate (would be decided) by the consent of these six men with whom the Messenger of Allah (ﷺ) remained well pleased till his death. And I know fully well that some people would blame me that I killed with these very hands of mine some persons who apparently professed (Islam). And if they do this (blame me) they are the enemies of Allah, and are non-believers and have gone astray. And I leave not after me anything which to my mind seems more important than Kalala. And I never turned towards the Messenger of Allah (ﷺ) (for guidance) more often than this Kalala, and he (the Holy Prophet) was not annoyed with me on any other (issue) than this: (And he was so perturbed) that he struck his fingers on my chest and said: Does this verse. that is at the end of Surat al-Nisa'. which was revealed in the hot season not suffice you? And if I live longer I would decide this (problem so clearly) that one who reads the Qur'an, or one who does not read it, would be able to take (correct), decisions (under its light). He ('Umar) further said: Allah! I call You witness on these governors of lands, that I sent them to (the peoples of these lands) so that they should administer justice amongst them, teach them their religion and the Sunnah of the Messenger of Allah (ﷺ), and distribute amongst them the spoils of war and refer to me that which they find difficult to perform. O people. you eat 'these two plants and these are onions and garlic. and I find them nothing but repugnant for I saw that when the Messenger of Allah (ﷺ) sensed the odour of these two from a person in a mosque, he was made to go to al-Baqi'. So he who eats it should (make its odour) die by cooking it well.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. কালালার উত্তরাধিকার

৪০০৫। মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকর মুকাদ্দামী ও মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... মা’দান ইবনু আবূ তালহা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এক জুমু’আর খুতবা দেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) এর উল্লেখ করেন। এরপর বলেনঃ, আমি আমার পরে এমন কোন বিষয় রেখে যাব না, যা আমার নিকট কালালার চেয়ে বেশী জটিল। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আর কোন বিষয় নিয়ে বারবার জিজ্ঞাসা করিনি, যেমন বারবার জিজ্ঞাসা করেছি ’কালালা’ সম্পর্কে। আর তিনিও অন্য কোন বিষয়ে এমন কঠোরতা আমাকে দেখাননি যেরূপ কঠোরতা দেখিয়েছেন এ বিষয়ে। এমন কি তিনি তাঁর আঙ্গুল আমার বুকের উপর চেপে ধরেন এবং বলেনঃ, হে উমার! গ্রীষ্মকালে অবতীর্ণ সূরা নিসার শেষের আয়াত কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আর আমি যদি জীবিত থাকি তবে এ ব্যাপারে এমন ফয়সালা করবো যা দেখে ফয়সালা করবে সেই ব্যক্তি যে কুরআন পড়ে আর যে কুরআন পড়ে না উভয়ে।

باب مِيرَاثِ الْكَلاَلَةِ ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ، أَبِي طَلْحَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَطَبَ يَوْمَ جُمُعَةٍ فَذَكَرَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ أَبَا بَكْرٍ ثُمَّ قَالَ إِنِّي لاَ أَدَعُ بَعْدِي شَيْئًا أَهَمَّ عِنْدِي مِنَ الْكَلاَلَةِ مَا رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَىْءٍ مَا رَاجَعْتُهُ فِي الْكَلاَلَةِ وَمَا أَغْلَظَ لِي فِي شَىْءٍ مَا أَغْلَظَ لِي فِيهِ حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي صَدْرِي وَقَالَ ‏ "‏ يَا عُمَرُ أَلاَ تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ الَّتِي فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ ‏"‏ ‏.‏ وَإِنِّي إِنْ أَعِشْ أَقْضِ فِيهَا بِقَضِيَّةٍ يَقْضِي بِهَا مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَمَنْ لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ‏.‏


Abu Talha reported: 'Umar b. al-Khattab (Allah be pleased with him) delivered a sermon on Friday and made a mention of Allah's Apostle (ﷺ) and he also made a mention of Abu Bakr (Allah be pleased with him) and then said: I do not leave behind me any problem more difficult than that of Kalala. I did not refer to Allah's Messenger (ﷺ) more repeatedly than in case of the problem of Kalala, and he (the Holy Prophet) never showed more annoyance to me than in regard to this problem, so much so that he struck my chest with his fingers and said: 'Umar, does the verse revealed in summer season, at the end of Sura al-Nisa' not suffice you? Hadrat 'Umar (then) said: If I live I would give such verdict about (Kalala) that everyone would be able to decide whether he reads the Qur'an or he does not.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২৫. রোযাদার ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে।

২৩৭৩. আবূ মা’মার আবদুল্লাহ্ ই্ন ’আমর ..... মা’দান ইবন তালহা (রহঃ) বলেন, আবূ দারদা (রাঃ) তাঁকে বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বমি করেন, এরপর ইফতার করেন। পরে আমার সাথে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযাদকৃত গোলাম সাওবানের দামেশকের এক মসজিদে দেখা হয়। আমি তাঁকে বলি, আবূ দারদা (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বমি করেন, পরে ইফতার করেন। তিনি (সাওবান) বলেন, তিনি সত্য বলেছেন। আর ঐ সময় আমি তাঁকে ওযূর জন্য পানি ঢেলে দিয়েছিলাম।

باب الصَّائِمِ يَسْتَقِيءُ عَامِدًا

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ، عَنْ يَحْيَى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَعِيشَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ حَدَّثَنِي مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ، أَنَّ أَبَا الدَّرْدَاءِ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاءَ فَأَفْطَرَ فَلَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَقُلْتُ إِنَّ أَبَا الدَّرْدَاءِ حَدَّثَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاءَ فَأَفْطَرَ ‏.‏ قَالَ صَدَقَ وَأَنَا صَبَبْتُ لَهُ وَضُوءَهُ صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Ma'dan b. Talhah: That Abu ad-Darda' narrated to him: The Messenger of Allah (ﷺ) vomited and broke his fast. Then I met Thawban, the client of the Messenger of Allah (ﷺ), in the mosque in Damascus, I said (to him): Abu al-Darda has told me that the Messenger of Allah (ﷺ) vomited and broke his fast. He said: He spoke the truth ; and I poured out water for his ablution (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭/ মসজিদ থেকে যাকে বের করে দেয়া হবে।

৭০৯। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... মা’দান ইবনু আবূ তালহা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা দু-প্রকার সবজি খেয়ে থাক। আমি এতদুভয়কে নিকৃষ্ট মনে করি। তা হলো পিঁয়াজ এবং রসূন। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, যখন তিনি কারও নিকট থেকে এর গন্ধ পেতেন, তখন তাকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিতেন। এরপর তাকে বাকী এর দিকে বের করে দেয়া হতো। অতএব যে ব্যাক্তি; তা খায়, সে যেন তা পাকিয়ে গন্ধমুক্ত করে ফেলে।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ إِنَّكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ تَأْكُلُونَ مِنْ شَجَرَتَيْنِ مَا أُرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْنِ هَذَا الْبَصَلُ وَالثُّومُ وَلَقَدْ رَأَيْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا وَجَدَ رِيحَهُمَا مِنَ الرَّجُلِ أَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ إِلَى الْبَقِيعِ فَمَنْ أَكَلَهُمَا فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا ‏.‏


It was narrated from Ma'dam bin Abi Talhah that 'Umar bin Al-Khattab said: "O people, you eat of two plants which I do not think are anything but bad, this onion and garlic. I have seen the Prophet of Allah (ﷺ), if he noticed their smell coming from a man, ordering that he be taken out to Al-Baqi'. Whoever eats them, let him cook them to death."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৮/ জামা'আত ছেড়ে দেয়ার পরিণতি সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারি।

৮৪৮। সুওয়ায়দ ইবনু নাসর (রহঃ) ... মাদান ইবনু আবূ তালহা ইয়া’মুরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূদ-দারদা (রাঃ) আমাকে বললেনঃ তোমার বাড়ি কোথায়? আমি বললামঃ আমার বাড়ি হিমসের নিকটবর্তী এক গ্রামে। তখন আবূ-দারদা বললেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছি, কোন গ্রামে অথবা অনাবাদী স্থানে তিনজন লোক থাকাবস্থায় সেখানে সালাত প্রতিষ্ঠিত না হলে তাদের উপর শয়তানের আধিপত্য বিস্তার লাভ করে। অতএব তোমরা জামাতকে অত্যাবশ্যকীয়রূপে গ্রহণ করবে। কেননা বাঘ বিচ্ছিন্ন ছাগলকে খেয়ে ফেলে। সায়িব (রহঃ) বলেনঃ জামাআত অর্থ সালাতের জামাআত।

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ زَائِدَةَ بْنِ قُدَامَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا السَّائِبُ بْنُ حُبَيْشٍ الْكَلاَعِيُّ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو الدَّرْدَاءِ أَيْنَ مَسْكَنُكَ قُلْتُ فِي قَرْيَةٍ دُوَيْنَ حِمْصَ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ ثَلاَثَةٍ فِي قَرْيَةٍ وَلاَ بَدْوٍ لاَ تُقَامُ فِيهِمُ الصَّلاَةُ إِلاَّ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَعَلَيْكُمْ بِالْجَمَاعَةِ فَإِنَّمَا يَأْكُلُ الذِّئْبُ الْقَاصِيَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ السَّائِبُ يَعْنِي بِالْجَمَاعَةِ الْجَمَاعَةَ فِي الصَّلاَةِ ‏.‏


It was narrated that Ma'din bin Abi Talhah Al-Ya'muri said: "Abu Ad-Darda said to me: 'Where do you live?' I said: 'In a town near Hims.' Abu Ad-Darda said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "There are no three people in a town or encampment among whom prayer is not established, but the Shaitan takes control of them. Therefore, stick to the congregation, for the wolf eats the sheep that strays off on its own." (One of the narrators (As Sa'ib) said: "The congregation means the congregational prayer." Grade: Sahih


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮০/ যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করল তার সওয়াব।

১১৪২। আবূ আম্মার হুসায়ন ইবনু হুরায়য়ছ (রহঃ) ... মা’দান ইবনু তালহা ইয়ামারী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযাদকৃত দাস ছাওবানের সাথে আমি সাক্ষাৎ করলাম। আমি বললাম, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন যা আমার উপকারে আসবে অথবা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। তিনি আমার জবাব না দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। তারপর আমার প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, আপনি সিজদা করতে থাকুন। কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে বান্দাই আল্লাহর উদ্দেশে একটি সিজদা করবে, আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। আর এর দ্বারা তার একটি পাপ মুছে ফেলবেন।

মা’দান বলেন, অতঃপর আমি আবূ দারদার সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং তাকেও ঐ প্রশ্ন করলাম যা আমি ছাওবান (রাঃ)-কে করেছিলাম। তিনিও আমাকে বললেন, আপনি সিজদাকে অবশ্য করনীয়রুপে গ্রহণ করুন। কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, যে কোন বান্দা আল্লাহর উদ্দেশে একটি সিজদা করে, আল্লাহ তায়ালা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তার দ্বারা তার একটি পাপ মার্জনা করেন।

أَخْبَرَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ يَنْفَعُنِي أَوْ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ فَسَكَتَ عَنِّي مَلِيًّا ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ فَقَالَ عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مَعْدَانُ ثُمَّ لَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ ثَوْبَانَ فَقَالَ لِي عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ مَا مِنْ عَبْدِ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏


Ma'dan bin Talha Al-Ya'muri said: "I met Thawban, the freed slave of the Messenger of Allah (ﷺ) and said: "Tell me of an action that will benefit me or gain me admittance to Paradise.' He remained silent for a while, then he turned to me and said: 'You should prostrate, because I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "There is no one who prostrated once to Allah, the Mighty and Sublime, except that Allah will raise him one degree in status thereby, and erase one sin thereby." Ma'dan said: "Then I met Abu Ad-Darda' and asked him the same question I had asked Thawban." He said to me: "You should prostrate, for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "There is no one who prostrates once to Allah (SWT), but Allah (SWT) will raise him one degree thereby and erase one sin thereby."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫/৫৮. যে ব্যক্তি রসুন খেয়েছে সে যেন মসজিদে প্রবেশ না করে।

১/১০১৪। মদান ইবনু আবূ ত্বলহাহ্ আল-ইয়ামারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব জুমুআহর খুতবাহ দিতে দাঁড়ান অথবা তিনি জুমুআহর দিন খুতবাহ দেন। তিনি আল্লাহ্‌র প্রশংসা ও গুণগান করার পর বলেন, হে লোকসকল! তোমরা দু টি গাছ খেয়ে থাকো, আমার দৃষ্টিতে তা নিকৃষ্টঃ এই রসুন ও এই পিয়াজ। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে দেখতাম, যার মুখ থেকে এর দুর্গন্ধ পাওয়া যেতো, তার হাত ধরে তাকে আল-বাকী নামক স্থানের দিকে বের করে দেয়া হতো। অতএব যে ব্যাক্তি তা খেতেই চায়, সে যেন তা রান্না করে খায়।

بَاب مَنْ أَكَلَ الثُّومَ فَلَا يَقْرَبَنَّ الْمَسْجِدَ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ الْغَطَفَانِيِّ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمُرِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَامَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ خَطِيبًا - أَوْ خَطَبَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ - فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَأْكُلُونَ شَجَرَتَيْنِ لاَ أُرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْنِ هَذَا الثُّومُ وَهَذَا الْبَصَلُ وَلَقَدْ كُنْتُ أَرَى الرَّجُلَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُوجَدُ رِيحُهُ مِنْهُ فَيُؤْخَذُ بِيَدِهِ حَتَّى يُخْرَجَ إِلَى الْبَقِيعِ فَمَنْ كَانَ آكِلَهَا لاَ بُدَّ فَلْيُمِتْهَا طَبْخًا ‏.‏


It was narrated from Ma’dan bin Abu Talhah Al-Ya’muri that ‘Umar bin Khattab stood up one Friday to deliver a sermon, or, he delivered a sermon one Friday. He praised Allah, then he said: “O people, you eat two plants that I find are nothing but obnoxious; this garlic and this onion. At the time of the Messenger of Allah (ﷺ), if a foul odour was detected from a man, I would see him seized by the arm and taken out to Al-Baqi’. Whoever must eat them, let him cook them to death.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫/২০১. অধিক সিজদা সম্পর্কে।

২/১৪২৩। মাদান ইবনু আবূ তালহা আল-ইয়ামূরী (রহঃ) বলেন, আমি সাওবান (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করে তাকে বললাম, আপনি আমার নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করুন, আশা করি তার দ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। রাবী বলেন, তিনি নীরব থাকলেন। আমি বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করলাম, এবারও তিনি নীরব থাকলেন। এভাবে তিনবার নীরব থাকলেন। অবশেষে তিনি আমাকে বলেন, তুমি অবশ্যই আল্লাহ্‌র জন্য সিজদা করো। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ যে কোন বান্দা আল্লাহ্‌র জন্য একটি সিজদা করলেই আল্লাহ এর বিনিময়ে তার একধাপ মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন। মাদান (রহঃ) বলেন, অতঃপর আমি আবূ দারদা -এর সঙ্গে সাক্ষাত করে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও একই কথা বলেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي كَثْرَةِ السُّجُودِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، حَدَّثَهُ مَعْدَانُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ فَقُلْتُ لَهُ حَدِّثْنِي حَدِيثًا عَسَى اللَّهُ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ ‏.‏ قَالَ فَسَكَتَ ثُمَّ عُدْتُ فَقُلْتُ مِثْلَهَا فَسَكَتَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَقَالَ لِي عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ لِلَّهِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏
قَالَ مَعْدَانُ ثُمَّ لَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏


Ma’dan bin Abu Talhah Al-Ya’muri said: “I met Thawban and said to him: ‘Tell me a Hadith that Allah may benefit me thereby.’ But he remained silent. Then I said the same and he remained silent. That happened three times. Then he said to me: ‘You should prostrate to Allah; for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: “No one prostrates to Allah but Allah will raise him one degree in status thereby and will erase one of his sins.” Ma’dan said: “Then I met Abu Darda’ and asked him the same question, and he gave a similar answer.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭/৫. কালালা (পিতৃ-মাতৃহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি)

১/২৭২৬। মা’দান ইবনে আবূ তালহা আল-ই’য়ামুরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) জুমু’আর দিন তাদের উদ্দেশে খুতবা দিতে দাঁড়ালেন এবং খুতবা দিলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি আমার পরে কালালার চেয়ে গুরুতর কোন বিষয় রেখে যাচ্ছি না। বিষয়টি সম্পর্কে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে এতো কঠোর জবাব দেন যে, অন্য কোন বিষয়ে ততো কঠোর জবাব আমাকে দেননি। এমনকি তিনি তাঁর আঙ্গুল দিয়ে আমার উভয় পার্শ্বদেশে অথবা আমার বুকে খোঁচা মারেন, অতঃপর বললেনঃ হে উমার! তোমার জন্য গ্রীষ্মকালে নাযিলকৃত সূরা নিসার শেষ ভাগের আয়াতটিই (৪ঃ ১৭৬) যথেষ্ট।

بَاب الْكَلَالَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمُرِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَامَ خَطِيبًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ خَطَبَهُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ إِنِّي وَاللَّهِ مَا أَدَعُ بَعْدِي شَيْئًا هُوَ أَهَمُّ إِلَىَّ مِنْ أَمْرِ الْكَلاَلَةِ وَقَدْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا أَغْلَظَ لِي فِي شَىْءٍ مَا أَغْلَظَ لِي فِيهَا حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي جَنْبِي أَوْ فِي صَدْرِي ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ يَا عُمَرُ تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ الَّتِي نَزَلَتْ فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Ma’dan bin Abu Talhah Al-Ya’muri that ‘Umar bin Khattab stood up to deliver a sermon one Friday, or he addressed them one Friday. He praised and glorified Allah, and said: “By Allah, I am not leaving behind any problem more difficult than the one who leaves behind an heir. I asked the Messenger of Allah (ﷺ), and he never spoke so harshly to me about anything as he spoke to me about this. He jabbed his finger into my side or my chest and said: ‘O ‘Umar, sufficient for you is the Verse that was revealed in summer, at the end of Surat An-Nisa’.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩/৫৯. রসুন, পিঁয়াজ ও এক প্রকারের দুর্গন্ধযুক্ত তরকারী খাওয়া

১/৩৩৬৩। মাদান ইবনে আবূ তালহা আল-ইয়ামুরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) জুমুআর দিন খুতবা দিতে দাঁড়ালেন। তিনি আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা ও গুণগান করেন, অতঃপর বলেন, হে লোকসকল! তোমরা দু’ প্রকারের গাছ খাও, আমি তা নিকৃষ্ট জ্ঞান করি। তা হলো রসুন ও পিঁয়াজ। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে দেখেছি যে, এক ব্যক্তির মুখ থেকে তার দুর্গন্ধ নির্গত হলে তার হাত ধরে আল-বাকী নামক স্থানের দিকে বের করে দেয়া হয়। অতএব তোমাদের কেউ যদি তা খেতেই চায়, তবে সে যেন তা রান্না করে এর দুর্গন্ধ দূর করে দেয়।

بَاب أَكْلِ الثُّومِ وَالْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ الْغَطَفَانِيِّ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمُرِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَامَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ خَطِيبًا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَأْكُلُونَ شَجَرَتَيْنِ لاَ أُرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْنِ هَذَا الثُّومُ وَهَذَا الْبَصَلُ وَلَقَدْ كُنْتُ أَرَى الرَّجُلَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُوجَدُ رِيحُهُ مِنْهُ فَيُؤْخَذُ بِيَدِهِ حَتَّى يُخْرَجَ بِهِ إِلَى الْبَقِيعِ فَمَنْ كَانَ آكِلَهُمَا لاَ بُدَّ فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا ‏.‏


It was narrated from Ma’dan bin Abu Talhah Al-Ya’muri that ‘Umar bin Khattab stood up one Friday delivering a sermon. He praised and glorified Allah, then he said: “O people, you eat two plants which I do not regard as anything but offensive: This garlic and these onions. At the time of the Messenger of Allah (ﷺ), I would see a man, if the smell (of these vegetables) was found on him, being taken by the hand and led out to Baqi’ (graveyard). Whoever must eat them, let him cook them to death.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ বমি ও নাকসিরের কারণে উযু।

৮৭. আবূ উবায়দা ইবনু আবিস সাফার ও ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... মা’দান ইবনু আবী তালহার সনদে আবূদ-দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বমি হল। পরে তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। মা’দান ইবনু আবী তালহা বরেন, দামিশক মসজিদে ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হলে তাঁর কাছে আবূদ -দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর এই রিওয়ায়াতটির উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন আবূদ-দারদা সত্য বলোছেন। তখন আমিই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উযূর পানি ঢেলে দিয়েছিলাম। - ইরওয়া ১১১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ ইসহাক বলেনঃ ইসহাক ইবনু মানসূল (রহঃ) ও (রাবীর নাম) মা’দান ইবনু তালহা বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ইবনু আবী তালহা অধিকতর সহীহ। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ সাহাবী ও তাবিঈগণের একধিক আলিম ও ফকীহ বমি ও নাকসিরের ক্ষেত্রে উযূ করার বিধান দিয়েছেন। সুফইযান ছাওরী, ইবনু মুবারক, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এরও এই অভিমত। আলিমগণের কেউ কেউ বলেছেনঃ বমি ও নাকসিরের ক্ষেত্রে উযূর দরকার নেই। ইমাম মালিক ও শাফিঈও এই মত পোষণ করেন হুসায়ন আল-মুআল্লিম এই হাদিসটি উত্তম বলে মত প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়ে হুসায়ন বর্ণিত হাদিসটই সর্বাধিক সহীহ। ইয়হইয়া ইবনু আবী কাছীরের সূত্রে মা’মারও এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এতে ভুল করে ফেলেছেন এবং ইয়াঈশ ইবনুল ওয়ালিদ-খালিদ ইবনু মা’দান-আবূদ-দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু সনদের উল্লেখ করেছেন। এতে আল-আওযাই (রহঃ)-র উল্লেখ করেননি। তিনি খালিদ ইবনু মা’দান বলেছেন, অথচ ইনি হলেন মা’দান ইবনু আবী তালহা।

باب مَا جَاءَ فِي الْوُضُوءِ مِنَ الْقَىْءِ وَالرُّعَافِ

حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ أَبِي السَّفَرِ، - وَهُوَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ الْكُوفِيُّ وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَعِيشَ بْنِ الْوَلِيدِ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاءَ فَأَفْطَرَ فَتَوَضَّأَ ‏.‏ فَلَقِيتُ ثَوْبَانَ فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ صَدَقَ أَنَا صَبَبْتُ لَهُ وَضُوءَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَابْنُ أَبِي طَلْحَةَ أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَأَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ مِنَ التَّابِعِينَ الْوُضُوءَ مِنَ الْقَىْءِ وَالرُّعَافِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لَيْسَ فِي الْقَىْءِ وَالرُّعَافِ وُضُوءٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏ وَقَدْ جَوَّدَ حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏ وَحَدِيثُ حُسَيْنٍ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ وَرَوَى مَعْمَرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ فَأَخْطَأَ فِيهِ فَقَالَ عَنْ يَعِيشَ بْنِ الْوَلِيدِ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الأَوْزَاعِيَّ وَقَالَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ وَإِنَّمَا هُوَ مَعْدَانُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ ‏.‏


Madan bin Abi Talhah narrated from Abu Ad-Darda that : "Allah's Messenger vomited [so he broke fast] so he performed Wudu." So I met Thawban in a Masjid in Damascus, and I mentioned that to him. He said: 'He told the truth, I poured the water for his Wudu."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ বেশি বেশি রুকূ-সিজদা করা এবং-এর ফযীলত

৩৮৮. আবূ আম্মার (রহঃ) ..... মা’দান ইবনু তালহা আল-ইয়ামুরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করেছিলাম। তখন তাকে বললাম, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন যদ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন এবং আমাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। তিনি কতক্ষন চুপ রইলেন। এরপর আমার দিকে ফিরে বললেনঃ তুমি সিজদা করবে। কেননা আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যখনই কোন বান্দা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করে, তখনই এতে আল্লাহ্ তা’আলা তার দরজা বুলন্দ করে দেন এবং তার গুনাহ মাফ করে দেন। - ইবনু মাজাহ ১৪২৩, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَفَضْلِهِ

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ، رَجَاءٌ قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِهِ وَيُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ فَسَكَتَ عَنِّي مَلِيًّا ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ فَقَالَ عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏


Ma'dan bin Talhah Al Yamari said: "I met Thawban the freed slave of Allah's Messenger (S) and said to him, 'Guide me to a deed by which Allah benefit me, and for which Allah will admit me into Paradise.' He was silent for quite a while, then he turned to me and said: 'Perform prostrations, for I heard Allah's Messenger (S) saying: 'No worshipper performs a prostration to Allah except that by it, Allah will raise him a level, and erase a sin from him for it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ বেশি বেশি রুকূ-সিজদা করা এবং-এর ফযীলত

৩৮৯. মা’দান ইবনু তালহা (রহঃ) বলেনঃ পরে আবূদ-দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সাথেও আমি সাক্ষাৎ করি এবং সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে যা প্রশ্ন করেছিলাম, তাঁকেও সেই প্রশ্ন করি। তখন তিনি বললেনঃ তুমি সিজদা করবে। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, যখনই বান্দা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করে, তখন আল্লাহ তা’আলা এতে তার দরজা বুলন্দ করে দেন এবং গুনাহ মাফ করে দেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৮৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, আবূ উমামা ও আবূ ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, বেশি করে সিজদা করা সম্পর্কিত সাওবান ও আবূদ্ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। তাদের কেউ কেউ বলেনঃ বেশি রুকূ-সিজদা করা অপেক্ষা সালাতে দীর্ঘ কিয়াম করা অধিকতর উত্তম। কোন কোন আলিম বলেনঃ দীর্ঘ কিয়াম অপেক্ষা বেশি রুকূ-সিজদা করা উত্তম। আহমদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুটি হাদীস বর্ণিত রয়েছে। কিন্তু তিনি (ইমাম আহমদ) এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেননি। ইমাম ইসহাক বলেনঃ দিনের সালাতে বেশি করে রুকূ-সিজদা করা আর রাতের সালাতে দীর্ঘ কিয়াম করা উত্তম কিন্তু কেউ যদি তা রাত্রিকালীন নাফলের নির্ধারিত অংশ আদায় করে নেয়, তবে এই অবস্থায় বেশি রুকূ-সিজদা করা আমার নিকট অধিক প্রিয়। কারণ সে একদিকে তার নির্ধারিত অংশও আদায় করে নিল, অপরদিকে বেশি রুকূ-সিজদা করেও লাভবান হতে পারল। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইসহাক (রহঃ)-এর ইদৃশ অভিমতের কারণ হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাত্রিকালীন (নাফল) সালাতের বিবরণে এইরূপ দীর্ঘ কিয়ামের কথা উল্লেখিত হয়েছে। কিন্তু দিনের সালাতের ক্ষেত্রে রাতের সালাতের মত এত দীর্ঘ কিয়ামের বিবরণ নেই।

باب مَا جَاءَ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَفَضْلِهِ

قَالَ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ فَلَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ ثَوْبَانَ فَقَالَ عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ وَيُقَالُ ابْنُ أَبِي طَلْحَةَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ وَأَبِي فَاطِمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ثَوْبَانَ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا الْبَابِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ طُولُ الْقِيامِ فِي الصَّلاَةِ أَفْضَلُ مِنْ كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ كَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ أَفْضَلُ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا حَدِيثَانِ وَلَمْ يَقْضِ فِيهِ بِشَيْءٍ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ أَمَّا فِي النَّهَارِ فَكَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَأَمَّا بِاللَّيْلِ فَطُولُ الْقِيَامِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَجُلٌ لَهُ جُزْءٌ بِاللَّيْلِ يَأْتِي عَلَيْهِ فَكَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ فِي هَذَا أَحَبُّ إِلَىَّ لأَنَّهُ يَأْتِي عَلَى جُزْئِهِ وَقَدْ رَبِحَ كَثْرَةَ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا قَالَ إِسْحَاقُ هَذَا لأَنَّهُ كَذَا وُصِفَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ وَوُصِفَ طُولُ الْقِيَامِ وَأَمَّا بِالنَّهَارِ فَلَمْ يُوصَفْ مِنْ صَلاَتِهِ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ مَا وُصِفَ بِاللَّيْلِ ‏.‏


Madan [bin Talhah] said: "I met Abu Ad-Darda, and I asked him what I had asked Thawban, so he said: 'Perform prostrations, for I heard Allah's Messenger saying: 'No worshipper performs a prostration to Allah except that by it Allah will raise him a level, and erase a sin from him for it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭৪. অধিক পরিমাণে রুকূ—সিজদা করার (নামায আদায় করা) ফযীলত

৩৮৮। মাদান ইবনু আবু তালহা আল-ইয়ামারী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আযাদকৃত দাস সাওবান (রাঃ)-এর সাথে দেখা করলাম। আমি তাকে বললাম, আমাকে এমন একটি কাজের কথা বলে দিন যার বিনিময়ে আল্লাহ তা’আলা আমাকে উপকৃত করবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমার প্রশ্নে তিনি কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। তারপর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি অবশ্যই বেশি বেশি সিজদা করবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে কোন বান্দাহ আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তার জন্য একটি সিজদা করে, আল্লাহ তা’আলা তার একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন। -সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১৪২৩), মুসলিম।

باب مَا جَاءَ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَفَضْلِهِ

حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ، رَجَاءٌ قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِهِ وَيُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ فَسَكَتَ عَنِّي مَلِيًّا ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ فَقَالَ عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏


Ma'dan bin Talhah Al Yamari said: "I met Thawban the freed slave of Allah's Messenger (S) and said to him, 'Guide me to a deed by which Allah benefit me, and for which Allah will admit me into Paradise.' He was silent for quite a while, then he turned to me and said: 'Perform prostrations, for I heard Allah's Messenger (S) saying: 'No worshipper performs a prostration to Allah except that by it, Allah will raise him a level, and erase a sin from him for it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭৪. অধিক পরিমাণে রুকূ—সিজদা করার (নামায আদায় করা) ফযীলত

৩৮৯। মাদান বলেন, অতঃপর আমি আবু দারদা (রাঃ)-এর সাথে দেখা করে তাকেও সাওবানের নিকট যে প্রশ্ন করেছিলাম তাই করলাম। তিনি বললেন, তুমি অবশ্যই সিজদা করতে থাক। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে কোন ব্যক্তিই আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাকে একটি সিজদা করে, আল্লাহ তা’আলা তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন।

—সহীহ। দেখুন পূর্বের হাদীস।

মাদান ইবনু ইয়ামারীকে ইবনু আবী তালহাও বলা হয়।

এ অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা, আবু উমামা ও আবু ফাতিমা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ অধিক রুকু সিজদা্ সম্পর্কিত সাওবান ও আবু দারদা (রাঃ)-এর হাদীস দুটো হাসান সহীহ। হাদীসে বর্ণিত বিষয়ে বিদ্বানগণের মতের অমিল রয়েছে।

একদল আলিম বলেছেন নামাজে দীর্ঘ কিয়াম করা বেশি রুকু সিজদা করা হতেও উত্তম। অপর দল বলেছেন, দীর্ঘ কিয়ামের তুলনায় বেশি রুকূ-সিজদা করা উত্তম। ইমাম আহমাদ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস দুটি হতে উভয় মতেরই সমর্থন পাওয়া যায়, তাতে কোন সমাধান নাই। ইসহাক বলেন, দিনের বেলা বেশি রুকূ-সিজদা এবং রাতের বেলা দীর্ঘ কিয়াম করা উত্তম। হ্যাঁ যদি কোন ব্যক্তি রাতের কিয়ামের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে নেয় তবে বেশি রুকু সিজদা করাই উত্তম। কেননা সে তার নির্দিষ্ট সময়ও পূর্ণ করবে আর বেশি রুকু সিজদা’রও সাওয়াব পাবে এবং কল্যাণের মধ্যে থাকবে।

আবু ঈসা বলেনঃ ইমাম ইসহাকের এ মতের সমর্থনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল বিদ্যমান রয়েছে। তিনি রাতে দীর্ঘ কিয়াম করতেন এবং দিনে বেশি রুকূ-সিজদা করতেন (অনেক রাকাআত নামায আদায় করতেন)। তিনি দিনের নামাযে রাতের নামাযের মতো দীর্ঘ কিয়াম করতেন না।

باب مَا جَاءَ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَفَضْلِهِ

قَالَ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ فَلَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ عَمَّا سَأَلْتُ عَنْهُ ثَوْبَانَ فَقَالَ عَلَيْكَ بِالسُّجُودِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مَعْدَانُ بْنُ طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ وَيُقَالُ ابْنُ أَبِي طَلْحَةَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ وَأَبِي فَاطِمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ثَوْبَانَ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ فِي كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا الْبَابِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ طُولُ الْقِيامِ فِي الصَّلاَةِ أَفْضَلُ مِنْ كَثْرَةِ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ كَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ أَفْضَلُ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا حَدِيثَانِ وَلَمْ يَقْضِ فِيهِ بِشَيْءٍ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ أَمَّا فِي النَّهَارِ فَكَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَأَمَّا بِاللَّيْلِ فَطُولُ الْقِيَامِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ رَجُلٌ لَهُ جُزْءٌ بِاللَّيْلِ يَأْتِي عَلَيْهِ فَكَثْرَةُ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ فِي هَذَا أَحَبُّ إِلَىَّ لأَنَّهُ يَأْتِي عَلَى جُزْئِهِ وَقَدْ رَبِحَ كَثْرَةَ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا قَالَ إِسْحَاقُ هَذَا لأَنَّهُ كَذَا وُصِفَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ وَوُصِفَ طُولُ الْقِيَامِ وَأَمَّا بِالنَّهَارِ فَلَمْ يُوصَفْ مِنْ صَلاَتِهِ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ مَا وُصِفَ بِاللَّيْلِ ‏.‏


Madan [bin Talhah] said: "I met Abu Ad-Darda, and I asked him what I had asked Thawban, so he said: 'Perform prostrations, for I heard Allah's Messenger saying: 'No worshipper performs a prostration to Allah except that by it Allah will raise him a level, and erase a sin from him for it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪. রোযাদারের বমি করা

১৭৬৫. মা’দান ইবনু তালহা (রাহি.) আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বমি করেন, এরপর রোযা ভঙ্গ করেন। তিনি বলেন, তারপর (একদা) দামেশকের এক মসজিদে আমার সাথে সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর দেখা হয়। আমি তাঁর নিকট এ (হাদীস)টি বর্ণনা করলে তিনি (সাওবান) বলেন, তিনি সত্য বলেছেন। আর ঐ সময় আমি তাঁকে ওযূর জন্য পানি ঢেলে দিয়েছিলাম।[1] [আব্দুল্লাহ বলেন: যখন ইচ্ছাকৃত বমি করে।]

بَاب الْقَيْءِ لِلصَّائِمِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ حَدَّثَنِي أَبِي حَدَّثَنِي حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ يَعِيشَ بْنِ الْوَلِيدِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاءَ فَأَفْطَرَ قَالَ فَلَقِيتُ ثَوْبَانَ بِمَسْجِدِ دِمَشْقَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ صَدَقَ أَنَا صَبَبْتُ لَهُ الْوَضُوءَ قَالَ عَبْد اللَّهِ إِذَا اسْتَقَاءَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. সাজদার ফযীলত এবং এর প্রতি উৎসাহ প্রদান করা

৯৮০-(২২৫/৪৮৮) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... মা’দান ইবনু তালহাহ আল ইয়ামারী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম আমি বললাম, আমাকে একটি কাজের কথা বলে দিন যা করলে আল্লাহ আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহর প্রিয়তম ও পছন্দনীয় কাজের কথা জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু তিনি চুপ থাকলেন। আমি পুনর্বার জিজ্ঞেস করলাম। এবারও তিনি নীরব থাকলেন। আমি তৃতীয়বার জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেনঃ তুমি আল্লাহর জন্য অবশ্যই বেশি বেশি সিজদা করবে। কেননা তুমি যখনই আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করবে, আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তোমার একটি গুনাহ মাফ করে দিবেন। মাদান বলেন, অতঃপর আমি আবূ দারদাহ (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে জিজ্ঞেস করলাম সাওবান (রাযিঃ) আমাকে যা বলেছেন, তিনিও তাই বললেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯৭৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯৮৬)

باب فَضْلِ السُّجُودِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ ‏

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ الأَوْزَاعِيَّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، حَدَّثَنِي مَعْدَانُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيُّ، قَالَ لَقِيتُ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ أَعْمَلُهُ يُدْخِلُنِي اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ ‏.‏ أَوْ قَالَ قُلْتُ بِأَحَبِّ الأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ ‏.‏ فَسَكَتَ ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَسَكَتَ ثُمَّ سَأَلْتُهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ سَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ عَلَيْكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ لِلَّهِ فَإِنَّكَ لاَ تَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَكَ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْكَ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مَعْدَانُ ثُمَّ لَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ لِي مِثْلَ مَا قَالَ لِي ثَوْبَانُ ‏.‏


Ma'dan b. Talha reported: I met Thauban, the freed slave. of Allah's Messenger (ﷺ), and asked him to tell me about an act for which, if I do it, Allah will admit me to Paradise, or I asked about the act which was loved most by Allah. He gave no reply. I again asked and he gave no reply. I asked him for the third time, and he said: I asked Allah's Messenger (ﷺ) about that and he said: Make frequent prostrations before Allah, for you will not make one prostration without raising you a degree because of it, and removing a sin from you, because of it. Ma'dan said that then lie met Abu al-Darda' and when he asked him, he received a reply similar to that given by Thauban.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ

১১৪৫-(৭৮/৫৬৭) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... মা’দান ইবনু আবূ ত্বলহাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেছেনঃ) কোন এক জুমুআর দিন উমর ইবনুল খাত্ত্বাব খুতবাহ প্রদান করলেন। সে বক্তৃতায় তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকরের কথা উল্লেখ করে বললেনঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম যেন একটি মোরগ আমাকে তিনটি ঠোকর দিল। আমি মনে করি এ স্বপ্নের অর্থ আমার মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়। কিছু সংখ্যক লোক বলছে আমি যেন পরবর্তী খালীফাহ্ মনোনীত করে যাই (কিন্তু আমি যদি পরবর্তী খালীফাহ্ মনোনীত না করেও যাই তাহলেও কোন ক্ষতি নেই)। কেননা, (আমি বিশ্বাস করি) মহান আল্লাহ এ দীনকে এবং তার খিলাফাত ব্যবস্থাকে বরবাদ করবেন না। কিংবা যা দিয়ে তিনি তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পাঠিয়েছি তাও ব্যর্থ করে দিবেন না। খুব শীঘ্রই যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের সময় পর্যন্ত যাদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন তাদের এ ছয়জনের* মধ্যে থেকে পরামর্শের ভিত্তিতে খিলাফাতের ব্যাপারে ফায়সালা হবে।

আমি জানি কিছু সংখ্যক লোক এ ব্যাপারে ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে। আমি তাদের এ জন্য আমার নিজের এ হাতে শাস্তি দিয়েছি এরপরে আবারও যদি তারা অনুরূপ কাজ করে (এ ব্যাপারে ইসলামের বদনাম করে) তাহলে তারা আল্লাহর শত্রু, কাফির ও গোমরাহ। এছাড়া আরো একটি বিষয় আছে আমার পরে আমার দৃষ্টিতে কালালাহ বা উত্তরাধিকারবিহীন লোকের পরিত্যক্ত সম্পদের বিষয় ছাড়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোন বিষয়ই রেখে যাচ্ছি না।

(জেনে রেখো!) আমি কালালাহ বা উত্তরাধিকারবিহীন লোকের পরিত্যক্ত সম্পদ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যত বেশি জিজ্ঞেস করেছি অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে এত জিজ্ঞেস করিনি আর তিনিও এ বিষয়ে আমাকে যত কঠোরভাবে বলেছেন আর কোন বিষয়েই তত কঠোরভাবে বলেননি। এমনকি তিনি আমার বুকের উপর তার আঙ্গুল ঠেসে ধরে বলেছেনঃ হে উমার! সূরাহ আন নিসার শেষের যে আয়াতটি গ্রীষ্মকালে অবতীর্ণ হয়েছিল (এ ব্যাপারে) সে আয়াতটিই কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আমি যদি আরো কিছু দিন বেঁচে থাকতাম তাহলে এ বিষয়ে (কালালাহ) এমন একটি ফায়সালা করতাম যা প্রত্যেকের মনের মতো হত। চাই সে কুরআন মাজীদ পড়ে থাকুন বা না পড়ে থাকুক।

তিনি [উমার (রাযিঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ! আমি তোমাকে বিভিন্ন জনপদের উমারাদের (শাসনকর্তা) ব্যাপারে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি তাদের উদ্দেশ্য ঐসব এলাকার লোকদের শাসনকর্তা করে পাঠিয়েছি যে তারা তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করবে, লোকদের দীন সম্পর্কে শিক্ষাদান করবে, নবীর সুন্নাত সম্পর্কে অবহিত করবে এবং "ফাই" বা যুদ্ধের ময়দানে বিনাযুদ্ধে লব্ধ সম্পদ (সঠিকভাবে) বন্টন করে দিবে। আর তাদের কোন ব্যাপার কঠিন বা সমস্যাপূর্ণ হলে তা আমার কাছে জেনে নিবে।

হে লোকজন! আরেকটি কথা হলো, তোমরা দুটি (সবজি জাতীয়) গাছ খেয়ে থাকো; অর্থাৎ- পিয়াজ ও রসুন। আমি এ দুটি জিনিসকে অরুচিকর বলে মনে করি। আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের কোন লোকের মুখ থেকে ঐ দু’টি জিনিসের গন্ধ পেলে তাকে বের করে দিতে আদেশ করতেন। আর তাদেরকে বাকীর দিকে বের করে দেয়া হত। তবে কেউ এ দুটি জিনিস (পিয়াজ ও রসুন) খেতে চাইলে যেন রান্না করে গন্ধ দূর করে নেয়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩৮, ইসলামীক সেন্টার ১১৪৭)

باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَطَبَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَذَكَرَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ أَبَا بَكْرٍ قَالَ إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ دِيكًا نَقَرَنِي ثَلاَثَ نَقَرَاتٍ وَإِنِّي لاَ أُرَاهُ إِلاَّ حُضُورَ أَجَلِي وَإِنَّ أَقْوَامًا يَأْمُرُونَنِي أَنْ أَسْتَخْلِفَ وَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَكُنْ لِيُضَيِّعَ دِينَهُ وَلاَ خِلاَفَتَهُ وَلاَ الَّذِي بَعَثَ بِهِ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم فَإِنْ عَجِلَ بِي أَمْرٌ فَالْخِلاَفَةُ شُورَى بَيْنَ هَؤُلاَءِ السِّتَّةِ الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ وَإِنِّي قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ أَقْوَامًا يَطْعَنُونَ فِي هَذَا الأَمْرِ أَنَا ضَرَبْتُهُمْ بِيَدِي هَذِهِ عَلَى الإِسْلاَمِ فَإِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ فَأُولَئِكَ أَعْدَاءُ اللَّهِ الْكَفَرَةُ الضُّلاَّلُ ثُمَّ إِنِّي لاَ أَدَعُ بَعْدِي شَيْئًا أَهَمَّ عِنْدِي مِنَ الْكَلاَلَةِ مَا رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَىْءٍ مَا رَاجَعْتُهُ فِي الْكَلاَلَةِ وَمَا أَغْلَظَ لِي فِي شَىْءٍ مَا أَغْلَظَ لِي فِيهِ حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي صَدْرِي فَقَالَ ‏ "‏ يَا عُمَرُ أَلاَ تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ الَّتِي فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ ‏"‏ ‏.‏ وَإِنِّي إِنْ أَعِشْ أَقْضِ فِيهَا بِقَضِيَّةٍ يَقْضِي بِهَا مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَمَنْ لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أُشْهِدُكَ عَلَى أُمَرَاءِ الأَمْصَارِ وَإِنِّي إِنَّمَا بَعَثْتُهُمْ عَلَيْهِمْ لِيَعْدِلُوا عَلَيْهِمْ وَلِيُعَلِّمُوا النَّاسَ دِينَهُمْ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم وَيَقْسِمُوا فِيهِمْ فَيْئَهُمْ وَيَرْفَعُوا إِلَىَّ مَا أَشْكَلَ عَلَيْهِمْ مِنْ أَمْرِهِمْ ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ تَأْكُلُونَ شَجَرَتَيْنِ لاَ أَرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْنِ هَذَا الْبَصَلَ وَالثُّومَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا وَجَدَ رِيحَهُمَا مِنَ الرَّجُلِ فِي الْمَسْجِدِ أَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ إِلَى الْبَقِيعِ فَمَنْ أَكَلَهُمَا فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا ‏.‏


Ma'dan b. Talha reported: 'Umar b. Khattab, delivered the Friday sermon and he made a mention of the Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr. He (further) said: I saw in a dream that a cock pecked me twice, and I perceive that my death is near. Some people have suggested me to appoint my successor. And Allah would not destroy His religion. His caliphate and that with which He sent His Apostle (ﷺ) If death approaches me soon, the (issue) of Caliphate (would be decided) by the consent of these six men with whom the Messenger of Allah (ﷺ) remained well pleased till his death. And I know fully well that some people would blame me that I killed with these very hands of mine some persons who apparently professed (Islam). And if they do this (blame me) they are the enemies of Allah, and are non-believers and have gone astray. And I leave not after me anything which to my mind seems more important than Kalala. And I never turned towards the Messenger of Allah (ﷺ) (for guidance) more often than this Kalala, and he (the Holy Prophet) was not annoyed with me on any other (issue) than this: (And he was so perturbed) that he struck his fingers on my chest and said: Does this verse. that is at the end of Surat al-Nisa'. which was revealed in the hot season not suffice you? And if I live longer I would decide this (problem so clearly) that one who reads the Qur'an, or one who does not read it, would be able to take (correct), decisions (under its light). He ('Umar) further said: Allah! I call You witness on these governors of lands, that I sent them to (the peoples of these lands) so that they should administer justice amongst them, teach them their religion and the Sunnah of the Messenger of Allah (ﷺ), and distribute amongst them the spoils of war and refer to me that which they find difficult to perform. O people. you eat 'these two plants and these are onions and garlic. and I find them nothing but repugnant for I saw that when the Messenger of Allah (ﷺ) sensed the odour of these two from a person in a mosque, he was made to go to al-Baqi'. So he who eats it should (make its odour) die by cooking it well.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. কালালার উত্তরাধিকার সংক্রান্ত

৪০৪২-(৯/১৬১৭) মুহাম্মাদ ইবনু বাকর মুকাদ্দামী ও মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ..... মা’দান ইবনু তালহাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। উমার বিন খাত্তাব (রাযিঃ) এক জুমু’আর দিনে খুতবাহ প্রদান করেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাযিঃ) এর কথা বললেন। তারপর তিনি বললেন, আমি আমার পরে এমন কোন বিষয় রেখে যাব না, যা আমার নিকট কালালার চেয়ে বেশী জটিল। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বারবার কোন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করিনি, যেমনটি বারবার জিজ্ঞেস করেছি কালালাহ সম্পর্কে। আর তিনিও অন্য কোন বিষয়ে এমন কঠোরতা আমাকে দেখাননি যেরূপ কঠোরতা দেখিয়েছেন এ বিষয়ে। এমনকি তিনি তার আঙ্গুল আমার বুকের উপর চেপে ধরে বলেছেন, হে উমার! গ্রীষ্মকালে অবতীর্ণ সূরা নিসার শেষের আয়াত কি তোমার জন্যে যথেষ্ট নয়? আর আমি যদি জীবিত থাকি তবে এ ব্যাপারে এমন ফায়সালা করবো যা দেখে কুরআন পাঠকারী আর যে কুরআন পড়ে না উভয়েই ফায়সালা করবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪০০৫, ইসলামিক সেন্টার ৪০০৪)

باب مِيرَاثِ الْكَلاَلَةِ ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ، أَبِي طَلْحَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَطَبَ يَوْمَ جُمُعَةٍ فَذَكَرَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ أَبَا بَكْرٍ ثُمَّ قَالَ إِنِّي لاَ أَدَعُ بَعْدِي شَيْئًا أَهَمَّ عِنْدِي مِنَ الْكَلاَلَةِ مَا رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَىْءٍ مَا رَاجَعْتُهُ فِي الْكَلاَلَةِ وَمَا أَغْلَظَ لِي فِي شَىْءٍ مَا أَغْلَظَ لِي فِيهِ حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي صَدْرِي وَقَالَ ‏ "‏ يَا عُمَرُ أَلاَ تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ الَّتِي فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ ‏"‏ ‏.‏ وَإِنِّي إِنْ أَعِشْ أَقْضِ فِيهَا بِقَضِيَّةٍ يَقْضِي بِهَا مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَمَنْ لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ‏.‏


Abu Talha reported: 'Umar b. al-Khattab (Allah be pleased with him) delivered a sermon on Friday and made a mention of Allah's Apostle (ﷺ) and he also made a mention of Abu Bakr (Allah be pleased with him) and then said: I do not leave behind me any problem more difficult than that of Kalala. I did not refer to Allah's Messenger (ﷺ) more repeatedly than in case of the problem of Kalala, and he (the Holy Prophet) never showed more annoyance to me than in regard to this problem, so much so that he struck my chest with his fingers and said: 'Umar, does the verse revealed in summer season, at the end of Sura al-Nisa' not suffice you? Hadrat 'Umar (then) said: If I live I would give such verdict about (Kalala) that everyone would be able to decide whether he reads the Qur'an or he does not.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা’দান ইবনু তলহাহ আল ইয়া’মুরী (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »