সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭১৯

পরিচ্ছেদঃ ১. সন্দেহযুক্ত দিবসে সিয়াম পালন নিষেধ

১৭১৯. সিলা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু- এর নিকট ছিলাম। সেখানে একটি ভুনা ছাগল পেশ করা হলে তিনি বললেন: তোমরা খাও। সেখানকার কোনো এক লোক (রোযা থাকার কারণে) তা খাওয়া হতে বিরত রইলো। সে বললো, আমি রোযাদার। তখন আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, যে ব্যক্তি এ সন্দেহপূর্ণ দিবসে রোযা রাখলো, সে তো আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাফরমানী করেছে।[1]

بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الشَّكِّ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ فَأُتِيَ بِشَاةٍ مَصْلِيَّةٍ فَقَالَ كُلُوا فَتَنَحَّى بَعْضُ الْقَوْمِ فَقَالَ إِنِّي صَائِمٌ فَقَالَ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ مَنْ صَامَ الْيَوْمَ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

اخبرنا عبد الله بن سعيد حدثنا ابو خالد الاحمر عن عمرو بن قيس عن ابي اسحق عن صلة بن زفر قال كنا عند عمار بن ياسر فاتي بشاة مصلية فقال كلوا فتنحى بعض القوم فقال اني صاىم فقال عمار بن ياسر من صام اليوم الذي يشك فيه فقد عصى ابا القاسم صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২০

পরিচ্ছেদঃ ১. সন্দেহযুক্ত দিবসে সিয়াম পালন নিষেধ

১৭২০. সিমাক ইবনু হারব রাহি. বলেন, আমি একদিন সকালে (ঘুম থেকে) জেগে উঠার পর আমার সন্দেহ হলো সেদিনটি শাবান মাসের নাকি রমযান মাসের। ফলে সকালে উঠেই আমি সেদিন রোযা রাখলাম। এরপর আমি ইকরিমা রাহি. এর নিকট আসলাম, তখন তিনি রুটি ও সবজি খাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি আমাকে বললেন, এসো, সকালের নাস্তা কর।

তখন আমি বললাম, আমি রোযাদার। তখন তিনি বললেন, আমি আল্লাহর নামে কসম করে বলছি, তুমি অবশ্যই রোযা ভঙ্গ করবে।’ এরপর আমি যখন দেখলাম, তিনি কসম করছেন, কিন্তু ’ইনশা আল্লাহ’ও বলছেন না, তখন আমি সামনে এগিয়ে গেলাম এবং (রোযা রাখার) অজুহাত পেশ করলাম; আর আমি তো এর কিছুক্ষণ পূর্বে সাহারী খেয়েছিলাম। অতঃপর তাঁকে বললাম: ’এখন আপনার নিকট এ বিষয়ে কী প্রমাণ আছে নিয়ে আসেন।’ তখন তিনি বললেন, ইবনুআব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “(রামাযানের)চাঁদ দেখেতোমরা রোযা রাখবে এবং(শাওয়ালের) চাঁদ দেখে রোযা ভঙ্গ করবে।আর যদি তোমাদের ও চাঁদের মাঝে মেঘ (প্রতিবন্ধকরূপে) থাকে, (অর্থাৎ এসময়মেঘের কারণে চাঁদ দেখতে না পাও), তবে ত্রিশ দিন মেয়াদ পূর্ণ করবে। (রমযান) মাস আসার পূর্বেই তোমরা একে স্বাগত জানাবে না (এগিয়ে আনবে না)।”[1]

بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الشَّكِّ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ قَالَ أَصْبَحْتُ فِي يَوْمٍ قَدْ أُشْكِلَ عَلَيَّ مِنْ شَعْبَانَ أَوْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فَأَصْبَحْتُ صَائِمًا فَأَتَيْتُ عِكْرِمَةَ فَإِذَا هُوَ يَأْكُلُ خُبْزًا وَبَقْلًا فَقَالَ هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ فَقُلْتُ إِنِّي صَائِمٌ فَقَالَ أُقْسِمُ بِاللَّهِ لَتُفْطِرَنَّ فَلَمَّا رَأَيْتُهُ حَلَفَ وَلَا يَسْتَثْنِي تَقَدَّمْتُ فَعَذَّرْتُ وَإِنَّمَا تَسَحَّرْتُ قُبَيْلَ ذَلِكَ ثُمَّ قُلْتُ هَاتِ الْآنَ مَا عِنْدَكَ فَقَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ حَالَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ سَحَابٌ فَكَمِّلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ وَلَا تَسْتَقْبِلُوا الشَّهْرَ اسْتِقْبَالًا

حدثنا عبد الله بن سعيد حدثنا اسمعيل ابن علية حدثنا حاتم بن ابي صغيرة عن سماك بن حرب قال اصبحت في يوم قد اشكل علي من شعبان او من شهر رمضان فاصبحت صاىما فاتيت عكرمة فاذا هو ياكل خبزا وبقلا فقال هلم الى الغداء فقلت اني صاىم فقال اقسم بالله لتفطرن فلما رايته حلف ولا يستثني تقدمت فعذرت وانما تسحرت قبيل ذلك ثم قلت هات الان ما عندك فقال حدثنا ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صوموا لرويته وافطروا لرويته فان حال بينكم وبينه سحاب فكملوا العدة ثلاثين ولا تستقبلوا الشهر استقبالا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সিমাক ইবন হারব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২১

পরিচ্ছেদঃ ২. চাঁদ দেখে রোযা রাখা

১৭২১. ইবন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযানের আলোচনায় বলেছেনঃ “তোমরা চাঁদ না দেখে রোযা রাখবে না এবং চাঁদ (শাওয়ালের) না দেখে রোযা ভঙ্গ করবে না। আর তোমাদের আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তবে তোমরা এর (ত্রিশ দিন) মেয়াদ পূর্ণ করবে।”[1]

بَاب الصَّوْمِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ

حدثنا عبيد الله بن عبد المجيد حدثنا مالك عن نافع عن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكر رمضان فقال لا تصوموا حتى تروا الهلال ولا تفطروا حتى تروه فان غم عليكم فاقدروا له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২২

পরিচ্ছেদঃ ২. চাঁদ দেখে রোযা রাখা

১৭২২. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “(রামাযানের)চাঁদদেখেতোমরা রোযারাখবে এবং(শাওয়ালের)চাঁদদেখে রোযা ভঙ্গ করবে।আরযদি মাসজুড়ে মেঘাচ্ছন্ন থাকে (অর্থাৎ এসময়মেঘের কারণে চাঁদ দেখতে না পাও), তবেত্রিশ দিন মেয়াদপূর্ণকরবে।”[1]

بَاب الصَّوْمِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ

حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ الشَّهْرُ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ

حدثنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة حدثني محمد بن زياد قال سمعت ابا هريرة يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم او قال ابو القاسم صلى الله عليه وسلم صوموا لرويته وافطروا لرويته فان غم عليكم الشهر فعدوا ثلاثين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২৩

পরিচ্ছেদঃ ২. চাঁদ দেখে রোযা রাখা

১৭২৩. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত যে, যারা মাসকে এগিয়ে নিয়ে আসে (রমযান মাস আসার পূর্বেই রোযা রাখা আরম্ভ করে), তাদের ব্যাপারে তিনি বিস্মিত হন এবং বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন তোমরা (রামাযানের) চাঁদ দেখতে পাবে, তখন রোযা রাখবে এবং যখন (শাওয়ালের) চাঁদ দেখতে পাবে, তখন রোযা ভঙ্গ করবে। আরযদি (আকাশ) মেঘাচ্ছন্ন থাকে (অর্থাৎ এসময় মেঘের কারণে চাঁদ দেখতে না পাও), তবে ত্রিশ দিন মেয়াদ পূর্ণ করবে।”[1]

بَاب الصَّوْمِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ عَجِبَ مِمَّنْ يَتَقَدَّمُ الشَّهْرَ وَيَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ

اخبرنا عبيد الله بن سعيد حدثنا سفيان عن عمرو يعني ابن دينار عن محمد بن جبير عن ابن عباس انه عجب ممن يتقدم الشهر ويقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا رايتموه فصوموا واذا رايتموه فافطروا فان غم عليكم فاكملوا العدة ثلاثين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. নতুন চাঁদ দেখে যা বলতে হয়

১৭২৪. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন চাঁদ দেখে বলতেন: “আল্লাহু আকবার। আল্লাহুম্মা উহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমান; ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম; ওয়াত তাওফীকি লিমা ইউহিব্বু রব্বুনা ওয়া ইয়ারদ্বা। রব্বানা ওয়া রব্বুকাল্লাহ্।”[1]

بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ وَعَمِّهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَى الْهِلَالَ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ وَالتَّوْفِيقِ لِمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ

اخبرنا سعيد بن سليمان عن عبد الرحمن بن عثمان بن ابراهيم حدثني ابي عن ابيه وعمه عن ابن عمر قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا راى الهلال قال الله اكبر اللهم اهله علينا بالامن والايمان والسلامة والاسلام والتوفيق لما يحب ربنا ويرضى ربنا وربك الله

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. নতুন চাঁদ দেখে যা বলতে হয়

১৭২৫. তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন চাঁদ দেখে বলতেন: “আল্লাহুম্মা উহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমান; ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম; রব্বী ওয়া রব্বুকাল্লাহ্।”[1]

بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ وَإِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا الْعَقَدِيُّ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سُفْيَانَ الْمَدَنِيُّ عَنْ بِلَالِ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ طَلْحَةَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَى الْهِلَالَ قَالَ اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ

اخبرنا محمد بن يزيد الرفاعي واسحق بن ابراهيم حدثنا العقدي حدثنا سليمان بن سفيان المدني عن بلال بن يحيى بن طلحة عن ابيه عن طلحة قال كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا راى الهلال قال اللهم اهله علينا بالامن والايمان والسلامة والاسلام ربي وربك الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. চাঁদ দেখার পূর্বেই রোযাকে এগিয়ে নিয়ে আসা (আগেভাগে রোযা রাখা) নিষেধ

১৭২৬. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা রমজানের একদিন কিংবা দুই দিন আগে থেকে সাওম শুরু করবে না। তবে কেউ যদি এ সময় সিয়াম পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন সাওম করতে পারবে।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ التَّقَدُّمِ فِي الصِّيَامِ قَبْلَ الرُّؤْيَةِ

أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَقَدَّمُوا قَبْلَ رَمَضَانَ يَوْمًا وَلَا يَوْمَيْنِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ رَجُلًا كَانَ يَصُومُ صَوْمًا فَلْيَصُمْهُ

اخبرنا وهب بن جرير حدثنا هشام عن يحيى عن ابي سلمة عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تقدموا قبل رمضان يوما ولا يومين الا ان يكون رجلا كان يصوم صوما فليصمه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়

১৭২৭. ইবন ’উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ মাস ঊনত্রিশ দিন বিশিষ্ট হয়। তাই তোমরা চাঁদ না দেখে সাওম শুরু করবে না এবং চাঁদ না দেখে সাওম ভঙ্গ করবে না। যদি আকাশ মেঘাবৃত থাকে তাহলে তোমরা (ত্রিশ দিন) মেয়াদ পূর্ণ করবে।”[1]

بَاب الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ فَلَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ

حدثنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن ايوب عن نافع عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انما الشهر تسع وعشرون فلا تصوموا حتى تروه ولا تفطروا حتى تروه فان غم عليكم فاقدروا له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. রমযানের চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাক্ষ্য গ্রহণ

১৭২৮. ইবন ’উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, লোকেরা (রমযানের) নতুন চাঁদ দেখলো। তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সংবাদ দিলাম যে, নিশ্চয়ই আমি তা (চাঁদ) দেখেছি। তখন তিনি নিজে সিয়াম পালন করলেন এবং লোকদেরকে সিয়াম পালনের নির্দেশ দিলেন।”[1]

بَاب الشَّهَادَةِ عَلَى رُؤْيَةِ هِلَالِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَالِمٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ نَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ تَرَاءَى النَّاسُ الْهِلَالَ فَأَخْبَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي رَأَيْتُهُ فَصَامَ وَأَمَرَ النَّاسَ بِالصِّيَامِ

حدثنا مروان بن محمد عن عبد الله بن وهب عن يحيى بن سالم عن ابي بكر بن نافع عن ابيه عن ابن عمر قال تراءى الناس الهلال فاخبرت رسول الله صلى الله عليه وسلم اني رايته فصام وامر الناس بالصيام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭২৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. রমযানের চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাক্ষ্য গ্রহণ

১৭২৯ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, আমি (রামাযানের) চাঁদ দেখেছি, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: “তুমি কি একথার সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর রাসূল?” সে বলল, হ্যাঁ । তিনি বললেন: “হে বিলাল! লোকদের মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দাও, তারা যেন আগামী কাল সিয়াম পালন করে।”[1]

بَاب الشَّهَادَةِ عَلَى رُؤْيَةِ هِلَالِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنِي عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ الْهِلَالَ فَقَالَ أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ يَا بِلَالُ نَادِ فِي النَّاسِ فَلْيَصُومُوا غَدًا

حدثني عصمة بن الفضل حدثنا حسين الجعفي عن زاىدة عن سماك عن عكرمة عن ابن عباس قال جاء اعرابي الى النبي صلى الله عليه وسلم وقال اني رايت الهلال فقال اتشهد ان لا اله الا الله واني رسول الله قال نعم قال يا بلال ناد في الناس فليصوموا غدا

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭৩০

পরিচ্ছেদঃ ৭. রোযাদার কখন সেহরীতে পানাহার করা হতে বিরত হবে

১৭৩০. বারা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণের অবস্থা এই ছিল যে, যখন তাঁদের কেউ সাওম পালনরত অবস্থায় ইফতারের সময় ইফতার না করে ঘুমিয়ে যেতো, তবে সে রাতে এবং পরের সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছুই খেতে পারতেন না। কায়স ইবন সিরমা আনসারী (রা) সাওম পালন করেছিলেন। ইফতারের সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকট কিছু খাবার আছে কি? তিনি বললেন, না, তবে আমি যাচ্ছি, দেখি আপনার জন্য কিছু যোগাড় করতে পারি কিনা। তিনি দিনের বেলায় কর্মব্যস্ত থাকতেন। তাই ঘুমে তাঁর চোখ বিভোর হয়ে গেল। এরপর স্ত্রী এসে যখন তাকে দেখলেন, তখন তাঁকে বললেন, হায়, তোমার জন্য আফসোস! পরদিন দুপুর হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এ ঘটনাটি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট উল্লেখ করা হলো, তখন এ আয়াতটি নাযিল হয়ঃ “সিয়ামের রাত্রে তোমাদের স্ত্রী সম্ভোগ হালাল করা হয়েছে। ......... তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কাল রেখা হতে (ভোরের) সাদা রেখা স্পষ্টভাবে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।” (সূরা বাকারা: ১৮৭) এর মাধ্যমে সাহাবীগন খুবই আনন্দিত হলেন। ফলে তারা পানাহার করলেন, যতক্ষন রাতের কাল রেখা হতে (ভোরের) সাদা রেখা স্পষ্টভাবে তাঁদের নিকট প্রতিভাত না হলো।[1]

بَاب مَتَى يُمْسِكُ الْمُتَسَحِّرُ عَنْ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْبَرَاءِ قَالَ كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ الرَّجُلُ صَائِمًا فَحَضَرَ الْإِفْطَارُ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يُفْطِرَ لَمْ يَأْكُلْ لَيْلَتَهُ وَلَا يَوْمَهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنَّ قَيْسَ بْنَ صِرْمَةَ الْأَنْصَارِيَّ كَانَ صَائِمًا فَلَمَّا حَضَرَ الْإِفْطَارُ أَتَى امْرَأَتَهُ فَقَالَ عِنْدَكِ طَعَامٌ فَقَالَتْ لَا وَلَكِنْ أَنْطَلِقُ فَأَطْلُبُ لَكَ وَكَانَ يَوْمَهُ يَعْمَلُ فَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ وَجَاءَتْ امْرَأَتُهُ فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ خَيْبَةً لَكَ فَلَمَّا انْتَصَفَ النَّهَارُ غُشِيَ عَلَيْهِ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ فَفَرِحُوا بِهَا فَرَحًا شَدِيدًا وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ

اخبرنا عبيد الله بن موسى عن اسراىيل عن ابي اسحق عن البراء قال كان اصحاب محمد صلى الله عليه وسلم اذا كان الرجل صاىما فحضر الافطار فنام قبل ان يفطر لم ياكل ليلته ولا يومه حتى يمسي وان قيس بن صرمة الانصاري كان صاىما فلما حضر الافطار اتى امراته فقال عندك طعام فقالت لا ولكن انطلق فاطلب لك وكان يومه يعمل فغلبته عينه وجاءت امراته فلما راته قالت خيبة لك فلما انتصف النهار غشي عليه فذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فنزلت هذه الاية احل لكم ليلة الصيام الرفث الى نساىكم ففرحوا بها فرحا شديدا وكلوا واشربوا حتى يتبين لكم الخيط الابيض من الخيط الاسود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭৩১

পরিচ্ছেদঃ ৭. রোযাদার কখন সেহরীতে পানাহার করা হতে বিরত হবে

১৭৩১. ’আদী ইবন হাতিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, (বাকারা: ১৮৭ নং আয়াত নাযিল হলে) আমি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট গিয়ে এ বিষয়ে) বললাম। ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি একটি কাল এবং একটি সাদা রশি নিয়ে আমার বালিশের নিচে রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার নিকট কোনো কিছুই (পার্থক্য) প্রকাশিত হল না। তিনি বললেনঃ “তোমার বালিশতো বেশ লম্বা-চওড়া! এ-তো দিনের (আলো) হতে রাতের (আধার)।” তা ছিল আল্লাহ তা’আলার এ বাণী সম্পর্কে: ’’তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ না ফজরের কাল রেখা সাদা রেখা স্পষ্ট রুপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।”[1] (সুরা বাকারা: ১৮৭)

بَاب مَتَى يُمْسِكُ الْمُتَسَحِّرُ عَنْ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ جَعَلْتُ تَحْتَ وِسَادَتِي خَيْطًا أَبْيَضَ وَخَيْطًا أَسْوَدَ فَمَا تَبَيَّنَ لِي شَيْءٌ قَالَ إِنَّكَ لَعَرِيضُ الْوِسَادِ وَإِنَّمَا ذَلِكَ اللَّيْلُ مِنْ النَّهَارِ فِي قَوْلِهِ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنْ الْفَجْرِ

اخبرنا ابو الوليد حدثنا شريك عن حصين عن الشعبي عن عدي بن حاتم قال قلت يا رسول الله لقد جعلت تحت وسادتي خيطا ابيض وخيطا اسود فما تبين لي شيء قال انك لعريض الوساد وانما ذلك الليل من النهار في قوله وكلوا واشربوا حتى يتبين لكم الخيط الابيض من الخيط الاسود من الفجر

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭৩২

পরিচ্ছেদঃ ৮. দেরীতে সাহারী খাওয়া মুস্তাহাব হওয়া সম্পর্কে

১৭৩২. যায়দ ইবন সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সাহরী খাই এরপর তিনি সালাতের জন্য দাড়ান। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, আযান ও সাহরীর মাঝে কতটিকু ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত (পাঠ করা) পরিমান।[1]

بَاب مَا يُسْتَحَبُّ مِنْ تَأْخِيرِ السُّحُورِ

أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ تَسَحَّرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ قَالَ قُلْتُ كَمْ كَانَ بَيْنَ الْأَذَانِ وَالسُّحُورِ قَالَ قَدْرُ قِرَاءَةِ خَمْسِينَ آيَةً

اخبرنا مسلم بن ابراهيم حدثنا هشام عن قتادة عن انس عن زيد بن ثابت قال تسحرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ثم قام الى الصلاة قال قلت كم كان بين الاذان والسحور قال قدر قراءة خمسين اية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৯. সাহরী খাওয়ার ফযীলত

১৭৩৩. আনাস ইবন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা সাহ্‌রী খাও , কেননা সাহরীতে বরকত রয়েছে।”[1]

بَاب فِي فَضْلِ السُّحُورِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السُّحُورِ بَرَكَةً

اخبرنا سعيد بن عامر عن شعبة عن عبد العزيز بن صهيب عن انس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تسحروا فان في السحور بركة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৯. সাহরী খাওয়ার ফযীলত

১৭৩৪. আমর ইবনুল’আসরাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র মুক্তদাস আবী কাইস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমর ইবনুল ’আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাদেরকে তাঁর সাহারীর জন্য খাদ্য প্রস্তুত করতে বলতেন, কিন্তু তিনি এর বেশির ভাগই গ্রহণ করতেন না। তখন আমরা তাঁকে বললাম: আপনি আমাদেরকে তা (খাদ্য প্রস্তুত করতে) বলেন, কিন্তু এর বেশির ভাগই আপনি গ্রহণ করেন না (এর কারণ কী) ?

তখন তিনি বলেন, আমি আমার ইচ্ছামত তোমাদেরকে একাজ করতে বলি না, বরং আমি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি: “আমাদের রোযার মধ্যে এবং আহলে কিতাবদের রোযার মধ্যে পার্থক্য হ’ল সাহরী খাওয়া।”[1]

بَاب فِي فَضْلِ السُّحُورِ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُلَيٍّ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي قَيْسٍ مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ كَانَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ يَأْمُرُنَا أَنْ نَصْنَعَ لَهُ الطَّعَامَ يَتَسَحَّرُ بِهِ فَلَا يُصِيبُ مِنْهُ كَثِيرًا فَقُلْنَا لَهُ تَأْمُرُنَا بِهِ وَلَا تُصِيبُ مِنْهُ كَثِيرًا قَالَ إِنِّي لَا آمُرُكُمْ بِهِ أَنِّي أَشْتَهِيهِ وَلَكِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ

حدثنا وهب بن جرير حدثنا موسى بن علي قال سمعت ابي يحدث عن ابي قيس مولى عمرو بن العاص قال كان عمرو بن العاص يامرنا ان نصنع له الطعام يتسحر به فلا يصيب منه كثيرا فقلنا له تامرنا به ولا تصيب منه كثيرا قال اني لا امركم به اني اشتهيه ولكني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول فصل ما بين صيامنا وصيام اهل الكتاب اكلة السحر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭৩৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তি রাত থাকতেই সিয়ামের সংকল্প করেনি

১৭৩৫. হাফসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ফজরের পূর্বেই যে ব্যক্তি সিয়ামের সিদ্ধান্ত না নেয় তার সিয়ামই নেই।”[1]

بَاب مَنْ لَمْ يُجْمِعْ الصِّيَامَ مِنْ اللَّيْلِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ شُرَحْبِيلَ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ حَفْصَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ لَمْ يُبَيِّتْ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلَا صِيَامَ لَهُ قَالَ عَبْد اللَّهِ فِي فَرْضِ الْوَاجِبِ أَقُولُ بِهِ

حدثنا سعيد بن شرحبيل حدثنا ليث بن سعد عن يحيى بن ايوب عن عبد الله بن ابي بكر عن سالم بن عبد الله بن عمر عن ابن عمر عن حفصة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من لم يبيت الصيام قبل الفجر فلا صيام له قال عبد الله في فرض الواجب اقول به

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাফসাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭৩৬

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্রুত (ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে) ইফতার করা

১৭৩৬. সাহল ইবন সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: লোকেরা যতদিন যাবৎ আগেভাগে (ওয়াকত হওয়ামাত্র) ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।”[1]

بَاب فِي تَعْجِيلِ الْإِفْطَارِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ

اخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان الثوري عن ابي حازم عن سهل بن سعد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يزال الناس بخير ما عجلوا الفطر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭৩৭

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্রুত (ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে) ইফতার করা

১৭৩৭. উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন রাত্রি ঘনিয়ে আসে এবং দিন পশ্চাদপসরণ করে, আর সূর্য ডুবে যায়, তখন আমি ইফতার করি।”[1]

بَاب فِي تَعْجِيلِ الْإِفْطَارِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْلُ وَأَدْبَرَ النَّهَارُ وَغَابَتْ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرْتَ

حدثنا عثمان بن محمد حدثنا عبدة عن هشام بن عروة عن ابيه عن عاصم بن عمر عن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اقبل الليل وادبر النهار وغابت الشمس فقد افطرت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
১৭৩৮

পরিচ্ছেদঃ ১২. যা দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)

১৭৩৮. সালমান ইবন আমের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমাদের কেউ রোযা রাখে, তখন সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। আর সে যদি খেজুর না পায়, তবে সে যেন পানি দ্বারা ইফতার করে, কেননা পানি পবিত্র।”[1]

بَاب مَا يُسْتَحَبُّ الْإِفْطَارُ عَلَيْهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ عَنْ حَفْصَةَ عَنْ الرَّبَابِ الضَّبِّيَّةِ عَنْ عَمِّهَا سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا أَفْطَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى تَمْرٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى مَاءٍ فَإِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ

اخبرنا ابو النعمان حدثنا ثابت بن يزيد حدثنا عاصم عن حفصة عن الرباب الضبية عن عمها سلمان بن عامر ان النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا افطر احدكم فليفطر على تمر فان لم يجد فليفطر على ماء فان الماء طهور

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. সাওম অধ্যায় (كتاب الصوم)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 পরের পাতা »