পরিচ্ছেদঃ ১. সন্দেহযুক্ত দিবসে সিয়াম পালন নিষেধ
১৭১৯. সিলা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু- এর নিকট ছিলাম। সেখানে একটি ভুনা ছাগল পেশ করা হলে তিনি বললেন: তোমরা খাও। সেখানকার কোনো এক লোক (রোযা থাকার কারণে) তা খাওয়া হতে বিরত রইলো। সে বললো, আমি রোযাদার। তখন আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, যে ব্যক্তি এ সন্দেহপূর্ণ দিবসে রোযা রাখলো, সে তো আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাফরমানী করেছে।[1]
بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الشَّكِّ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ فَأُتِيَ بِشَاةٍ مَصْلِيَّةٍ فَقَالَ كُلُوا فَتَنَحَّى بَعْضُ الْقَوْمِ فَقَالَ إِنِّي صَائِمٌ فَقَالَ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ مَنْ صَامَ الْيَوْمَ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
তাখরীজ: ইবনু হিব্বান নং ৩৫৯৫; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫৮৫, ৩৫৯৫, ৩৫৯৬; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮৭৮ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৬৪৪ তে। (বুখারী, সিয়াম, তা’লিক হিসেবে বাব: ১১; আবূ দাউদ, সিয়াম ২৩৩৪; তিরমিযী, সওম, ৬৮৬; নাসাঈ, সওম বাব; ৩৭; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৬৪৫; দারুকুতনী, সিয়াম ৫।-- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৬৮২ এর টীকা হতে।–অনুবাদক)
পরিচ্ছেদঃ ১. সন্দেহযুক্ত দিবসে সিয়াম পালন নিষেধ
১৭২০. সিমাক ইবনু হারব রাহি. বলেন, আমি একদিন সকালে (ঘুম থেকে) জেগে উঠার পর আমার সন্দেহ হলো সেদিনটি শাবান মাসের নাকি রমযান মাসের। ফলে সকালে উঠেই আমি সেদিন রোযা রাখলাম। এরপর আমি ইকরিমা রাহি. এর নিকট আসলাম, তখন তিনি রুটি ও সবজি খাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি আমাকে বললেন, এসো, সকালের নাস্তা কর।
তখন আমি বললাম, আমি রোযাদার। তখন তিনি বললেন, আমি আল্লাহর নামে কসম করে বলছি, তুমি অবশ্যই রোযা ভঙ্গ করবে।’ এরপর আমি যখন দেখলাম, তিনি কসম করছেন, কিন্তু ’ইনশা আল্লাহ’ও বলছেন না, তখন আমি সামনে এগিয়ে গেলাম এবং (রোযা রাখার) অজুহাত পেশ করলাম; আর আমি তো এর কিছুক্ষণ পূর্বে সাহারী খেয়েছিলাম। অতঃপর তাঁকে বললাম: ’এখন আপনার নিকট এ বিষয়ে কী প্রমাণ আছে নিয়ে আসেন।’ তখন তিনি বললেন, ইবনুআব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “(রামাযানের)চাঁদ দেখেতোমরা রোযা রাখবে এবং(শাওয়ালের) চাঁদ দেখে রোযা ভঙ্গ করবে।আর যদি তোমাদের ও চাঁদের মাঝে মেঘ (প্রতিবন্ধকরূপে) থাকে, (অর্থাৎ এসময়মেঘের কারণে চাঁদ দেখতে না পাও), তবে ত্রিশ দিন মেয়াদ পূর্ণ করবে। (রমযান) মাস আসার পূর্বেই তোমরা একে স্বাগত জানাবে না (এগিয়ে আনবে না)।”[1]
بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الشَّكِّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ قَالَ أَصْبَحْتُ فِي يَوْمٍ قَدْ أُشْكِلَ عَلَيَّ مِنْ شَعْبَانَ أَوْ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فَأَصْبَحْتُ صَائِمًا فَأَتَيْتُ عِكْرِمَةَ فَإِذَا هُوَ يَأْكُلُ خُبْزًا وَبَقْلًا فَقَالَ هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ فَقُلْتُ إِنِّي صَائِمٌ فَقَالَ أُقْسِمُ بِاللَّهِ لَتُفْطِرَنَّ فَلَمَّا رَأَيْتُهُ حَلَفَ وَلَا يَسْتَثْنِي تَقَدَّمْتُ فَعَذَّرْتُ وَإِنَّمَا تَسَحَّرْتُ قُبَيْلَ ذَلِكَ ثُمَّ قُلْتُ هَاتِ الْآنَ مَا عِنْدَكَ فَقَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ حَالَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ سَحَابٌ فَكَمِّلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ وَلَا تَسْتَقْبِلُوا الشَّهْرَ اسْتِقْبَالًا
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৫৫; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫৯০, ৩৫৯৪; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮৭৩, ৮৭৪; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫২৩; এটি সামনে ১৭২৮ নং এ আসছে সহীহ সনদে।
((আবূ দাউদ, সাওম ২৩২৭; তিরমিযী, সাওম ৬৮৮, তিনি একে হাসান সহীহ বলেছেন; নাসাঈ, সাওম বাব (১৩); আলবানীও তার সহীহহুল জামি’ ৩/২৫১ তে একে সহীহ বলেছেন। ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৬৮৩ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))
পরিচ্ছেদঃ ২. চাঁদ দেখে রোযা রাখা
১৭২১. ইবন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযানের আলোচনায় বলেছেনঃ “তোমরা চাঁদ না দেখে রোযা রাখবে না এবং চাঁদ (শাওয়ালের) না দেখে রোযা ভঙ্গ করবে না। আর তোমাদের আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তবে তোমরা এর (ত্রিশ দিন) মেয়াদ পূর্ণ করবে।”[1]
بَاب الصَّوْمِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ
তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৯০৬; মুসলিম, সিয়াম ১০৮০; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪৪৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৪১, ৩৪৪৫ তে।
পরিচ্ছেদঃ ২. চাঁদ দেখে রোযা রাখা
১৭২২. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিংবা আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “(রামাযানের)চাঁদদেখেতোমরা রোযারাখবে এবং(শাওয়ালের)চাঁদদেখে রোযা ভঙ্গ করবে।আরযদি মাসজুড়ে মেঘাচ্ছন্ন থাকে (অর্থাৎ এসময়মেঘের কারণে চাঁদ দেখতে না পাও), তবেত্রিশ দিন মেয়াদপূর্ণকরবে।”[1]
بَاب الصَّوْمِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ
حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ الشَّهْرُ فَعُدُّوا ثَلَاثِينَ
তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৯০৯; মুসলিম, সিয়াম ১০৮১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৬৫২; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৪২, ৩৪৪৩, ৩৪৫৭ তে।
পরিচ্ছেদঃ ২. চাঁদ দেখে রোযা রাখা
১৭২৩. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত যে, যারা মাসকে এগিয়ে নিয়ে আসে (রমযান মাস আসার পূর্বেই রোযা রাখা আরম্ভ করে), তাদের ব্যাপারে তিনি বিস্মিত হন এবং বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন তোমরা (রামাযানের) চাঁদ দেখতে পাবে, তখন রোযা রাখবে এবং যখন (শাওয়ালের) চাঁদ দেখতে পাবে, তখন রোযা ভঙ্গ করবে। আরযদি (আকাশ) মেঘাচ্ছন্ন থাকে (অর্থাৎ এসময় মেঘের কারণে চাঁদ দেখতে না পাও), তবে ত্রিশ দিন মেয়াদ পূর্ণ করবে।”[1]
بَاب الصَّوْمِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو يَعْنِي ابْنَ دِينَارٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ عَجِبَ مِمَّنْ يَتَقَدَّمُ الشَّهْرَ وَيَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ
তাখরীজ: এর তাখরীজ ১৭২৫ (অনূবাদে ১৭২০) এ গত হয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. নতুন চাঁদ দেখে যা বলতে হয়
১৭২৪. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন চাঁদ দেখে বলতেন: “আল্লাহু আকবার। আল্লাহুম্মা উহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমান; ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম; ওয়াত তাওফীকি লিমা ইউহিব্বু রব্বুনা ওয়া ইয়ারদ্বা। রব্বানা ওয়া রব্বুকাল্লাহ্।”[1]
بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ وَعَمِّهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَى الْهِلَالَ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ وَالتَّوْفِيقِ لِمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮৮৮; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৩৭৪ তে। তবে এর পরের হাদসিটি একে শক্তিশালী করে। এছাড়া, ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইলাহ নং ৬৪০।
পরিচ্ছেদঃ ৩. নতুন চাঁদ দেখে যা বলতে হয়
১৭২৫. তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন চাঁদ দেখে বলতেন: “আল্লাহুম্মা উহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমান; ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম; রব্বী ওয়া রব্বুকাল্লাহ্।”[1]
بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ وَإِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا الْعَقَدِيُّ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ سُفْيَانَ الْمَدَنِيُّ عَنْ بِلَالِ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ طَلْحَةَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَى الْهِلَالَ قَالَ اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসানাদুল মাউসিলী নং ৬৬১, ৬৬২।
এছাড়া, ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইলাহ নং ৬৪১; ইবনু আদী, আল কামিল ৩/১১২১;বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৩৩৫; খতীব, তারীখ বাগদাদ ১৪/৩২৪।
আমি বলছি: পূর্বের হাদীসটি এর শাহিদ এবং আবূ সাঈদ খুদরীর হাদীস রয়েছে ইবনুস সুন্নী নং ৬৪২; আনাস ইবনু মালিকের হাদীস রয়েছে তাবারাণী, আল আওসাত, যেমন মাজমাউল বাহরাইন নং ৪৫৯৫ ও মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৩৯ তে হাইছামী উল্লেখ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু হিশামের হাদীস রয়েছে তাবারাণী, আওসাত নং ৬২৭৩ তে এবং রাফি’ ইবনু খাদিজ রা: এর হাদীস রয়েছে, তাবারাণী, আল কাবীর ৪/২৭৬ নং ৪৪০৯ তে; আয়িশা রা: এর হাদীসটিও রয়েছে ইবনুস সুন্নী, নং ৬৪৪ এবং মুয়াবিয়ার গোলাম বাশিরের হাদীসে বলা হয়েছে: ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দশজন সাহাবীকে বলতে শুনেছি...। হ্যাঁ, এ হাদীস গুলির প্রত্যেকের সনদই যয়ীফ। তবে একটি আরেকটির শাহিদ হয় এবং তা হাদীসটিকে শক্তিশালী করে। আল্লাহই ভাল জানেন।; আরো দেখুন, মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা১০/৩৯৮-৪০১; মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক নং ৭৩৫০, ৭৩৫১, ৭৩৫২, ৭৩৫৩।
পরিচ্ছেদঃ ৪. চাঁদ দেখার পূর্বেই রোযাকে এগিয়ে নিয়ে আসা (আগেভাগে রোযা রাখা) নিষেধ
১৭২৬. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা রমজানের একদিন কিংবা দুই দিন আগে থেকে সাওম শুরু করবে না। তবে কেউ যদি এ সময় সিয়াম পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন সাওম করতে পারবে।”[1]
بَاب النَّهْيِ عَنْ التَّقَدُّمِ فِي الصِّيَامِ قَبْلَ الرُّؤْيَةِ
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَقَدَّمُوا قَبْلَ رَمَضَانَ يَوْمًا وَلَا يَوْمَيْنِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ رَجُلًا كَانَ يَصُومُ صَوْمًا فَلْيَصُمْهُ
তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৯১৪; মুসলিম, সিয়াম ১০৮২; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৯৯৯, ৬০৩০; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫৮৬, ৩৫৯২ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৫. মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়
১৭২৭. ইবন ’উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ মাস ঊনত্রিশ দিন বিশিষ্ট হয়। তাই তোমরা চাঁদ না দেখে সাওম শুরু করবে না এবং চাঁদ না দেখে সাওম ভঙ্গ করবে না। যদি আকাশ মেঘাবৃত থাকে তাহলে তোমরা (ত্রিশ দিন) মেয়াদ পূর্ণ করবে।”[1]
بَاب الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ فَلَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ
তাখরীজ: বুখারী, সাওম ১৯০৬; মুসলিম, সিয়াম ১০৮০; এটি ১৭২৬ (অনূবাদে ১৭২) নং এ গত হয়েছে । আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৪৪৮।
পরিচ্ছেদঃ ৬. রমযানের চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাক্ষ্য গ্রহণ
১৭২৮. ইবন ’উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, লোকেরা (রমযানের) নতুন চাঁদ দেখলো। তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সংবাদ দিলাম যে, নিশ্চয়ই আমি তা (চাঁদ) দেখেছি। তখন তিনি নিজে সিয়াম পালন করলেন এবং লোকদেরকে সিয়াম পালনের নির্দেশ দিলেন।”[1]
بَاب الشَّهَادَةِ عَلَى رُؤْيَةِ هِلَالِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَالِمٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ نَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ تَرَاءَى النَّاسُ الْهِلَالَ فَأَخْبَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي رَأَيْتُهُ فَصَامَ وَأَمَرَ النَّاسَ بِالصِّيَامِ
তাখরীজ: দারুকুতনীর সূত্রে বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার নং ৮৬১৩; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৬/২৩৬ তিনি বলেন: এ খবরটি সহীহ’। ((আবূ দাউদ, সওম ২৩৪২; দারুকুতনী, সিয়াম ২/১৫৬ নং ১ ও ২।--- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত দারেমী নং ১৬৮৩ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮৭১; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৪৭ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৬. রমযানের চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাক্ষ্য গ্রহণ
১৭২৯ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, আমি (রামাযানের) চাঁদ দেখেছি, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: “তুমি কি একথার সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর রাসূল?” সে বলল, হ্যাঁ । তিনি বললেন: “হে বিলাল! লোকদের মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দাও, তারা যেন আগামী কাল সিয়াম পালন করে।”[1]
بَاب الشَّهَادَةِ عَلَى رُؤْيَةِ هِلَالِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنِي عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ الْهِلَالَ فَقَالَ أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ يَا بِلَالُ نَادِ فِي النَّاسِ فَلْيَصُومُوا غَدًا
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৩১; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৪৬ মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮৭০ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৭. রোযাদার কখন সেহরীতে পানাহার করা হতে বিরত হবে
১৭৩০. বারা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণের অবস্থা এই ছিল যে, যখন তাঁদের কেউ সাওম পালনরত অবস্থায় ইফতারের সময় ইফতার না করে ঘুমিয়ে যেতো, তবে সে রাতে এবং পরের সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছুই খেতে পারতেন না। কায়স ইবন সিরমা আনসারী (রা) সাওম পালন করেছিলেন। ইফতারের সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকট কিছু খাবার আছে কি? তিনি বললেন, না, তবে আমি যাচ্ছি, দেখি আপনার জন্য কিছু যোগাড় করতে পারি কিনা। তিনি দিনের বেলায় কর্মব্যস্ত থাকতেন। তাই ঘুমে তাঁর চোখ বিভোর হয়ে গেল। এরপর স্ত্রী এসে যখন তাকে দেখলেন, তখন তাঁকে বললেন, হায়, তোমার জন্য আফসোস! পরদিন দুপুর হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এ ঘটনাটি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট উল্লেখ করা হলো, তখন এ আয়াতটি নাযিল হয়ঃ “সিয়ামের রাত্রে তোমাদের স্ত্রী সম্ভোগ হালাল করা হয়েছে। ......... তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কাল রেখা হতে (ভোরের) সাদা রেখা স্পষ্টভাবে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।” (সূরা বাকারা: ১৮৭) এর মাধ্যমে সাহাবীগন খুবই আনন্দিত হলেন। ফলে তারা পানাহার করলেন, যতক্ষন রাতের কাল রেখা হতে (ভোরের) সাদা রেখা স্পষ্টভাবে তাঁদের নিকট প্রতিভাত না হলো।[1]
بَاب مَتَى يُمْسِكُ الْمُتَسَحِّرُ عَنْ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْبَرَاءِ قَالَ كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ الرَّجُلُ صَائِمًا فَحَضَرَ الْإِفْطَارُ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يُفْطِرَ لَمْ يَأْكُلْ لَيْلَتَهُ وَلَا يَوْمَهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنَّ قَيْسَ بْنَ صِرْمَةَ الْأَنْصَارِيَّ كَانَ صَائِمًا فَلَمَّا حَضَرَ الْإِفْطَارُ أَتَى امْرَأَتَهُ فَقَالَ عِنْدَكِ طَعَامٌ فَقَالَتْ لَا وَلَكِنْ أَنْطَلِقُ فَأَطْلُبُ لَكَ وَكَانَ يَوْمَهُ يَعْمَلُ فَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ وَجَاءَتْ امْرَأَتُهُ فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ خَيْبَةً لَكَ فَلَمَّا انْتَصَفَ النَّهَارُ غُشِيَ عَلَيْهِ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ فَفَرِحُوا بِهَا فَرَحًا شَدِيدًا وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ
তাখরীজ: বুখারী, সিয়াম ১৯১৫;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৬০, ৩৪৬১ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৭. রোযাদার কখন সেহরীতে পানাহার করা হতে বিরত হবে
১৭৩১. ’আদী ইবন হাতিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, (বাকারা: ১৮৭ নং আয়াত নাযিল হলে) আমি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট গিয়ে এ বিষয়ে) বললাম। ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি একটি কাল এবং একটি সাদা রশি নিয়ে আমার বালিশের নিচে রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার নিকট কোনো কিছুই (পার্থক্য) প্রকাশিত হল না। তিনি বললেনঃ “তোমার বালিশতো বেশ লম্বা-চওড়া! এ-তো দিনের (আলো) হতে রাতের (আধার)।” তা ছিল আল্লাহ তা’আলার এ বাণী সম্পর্কে: ’’তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ না ফজরের কাল রেখা সাদা রেখা স্পষ্ট রুপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।”[1] (সুরা বাকারা: ১৮৭)
بَاب مَتَى يُمْسِكُ الْمُتَسَحِّرُ عَنْ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ جَعَلْتُ تَحْتَ وِسَادَتِي خَيْطًا أَبْيَضَ وَخَيْطًا أَسْوَدَ فَمَا تَبَيَّنَ لِي شَيْءٌ قَالَ إِنَّكَ لَعَرِيضُ الْوِسَادِ وَإِنَّمَا ذَلِكَ اللَّيْلُ مِنْ النَّهَارِ فِي قَوْلِهِ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنْ الْفَجْرِ
তাখরীজ: বুখারী, সিয়াম ১৯১৬; মুসলিম, সিয়াম ১০৯০;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৬২, ৩৪৬৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯৪১ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৮. দেরীতে সাহারী খাওয়া মুস্তাহাব হওয়া সম্পর্কে
১৭৩২. যায়দ ইবন সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে সাহরী খাই এরপর তিনি সালাতের জন্য দাড়ান। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, আযান ও সাহরীর মাঝে কতটিকু ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত (পাঠ করা) পরিমান।[1]
بَاب مَا يُسْتَحَبُّ مِنْ تَأْخِيرِ السُّحُورِ
أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ تَسَحَّرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ قَالَ قُلْتُ كَمْ كَانَ بَيْنَ الْأَذَانِ وَالسُّحُورِ قَالَ قَدْرُ قِرَاءَةِ خَمْسِينَ آيَةً
তাখরীজ: বুখারী, সিয়াম ১৯২১; মুসলিম, সিয়াম ১০৯৭;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৪৯৭ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৪৩ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৯. সাহরী খাওয়ার ফযীলত
১৭৩৩. আনাস ইবন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা সাহ্রী খাও , কেননা সাহরীতে বরকত রয়েছে।”[1]
بَاب فِي فَضْلِ السُّحُورِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السُّحُورِ بَرَكَةً
তাখরীজ: বুখারী, সিয়াম ১৯২৩; মুসলিম, সিয়াম ১০৯৫; এখানে সংযোজন করছি: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৩৯০৮;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৬৬ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৪৮ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৯. সাহরী খাওয়ার ফযীলত
১৭৩৪. আমর ইবনুল’আসরাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র মুক্তদাস আবী কাইস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমর ইবনুল ’আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাদেরকে তাঁর সাহারীর জন্য খাদ্য প্রস্তুত করতে বলতেন, কিন্তু তিনি এর বেশির ভাগই গ্রহণ করতেন না। তখন আমরা তাঁকে বললাম: আপনি আমাদেরকে তা (খাদ্য প্রস্তুত করতে) বলেন, কিন্তু এর বেশির ভাগই আপনি গ্রহণ করেন না (এর কারণ কী) ?
তখন তিনি বলেন, আমি আমার ইচ্ছামত তোমাদেরকে একাজ করতে বলি না, বরং আমি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি: “আমাদের রোযার মধ্যে এবং আহলে কিতাবদের রোযার মধ্যে পার্থক্য হ’ল সাহরী খাওয়া।”[1]
بَاب فِي فَضْلِ السُّحُورِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُلَيٍّ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي قَيْسٍ مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ كَانَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ يَأْمُرُنَا أَنْ نَصْنَعَ لَهُ الطَّعَامَ يَتَسَحَّرُ بِهِ فَلَا يُصِيبُ مِنْهُ كَثِيرًا فَقُلْنَا لَهُ تَأْمُرُنَا بِهِ وَلَا تُصِيبُ مِنْهُ كَثِيرًا قَالَ إِنِّي لَا آمُرُكُمْ بِهِ أَنِّي أَشْتَهِيهِ وَلَكِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ
তাখরীজ: মুসলিম, সিয়াম ১০৯৬
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৭৭ ও মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৩৭ তে।;
এখানে সংযোজন করছি: ইবনু হাযম আল মুহাল্লা ৬/২৪০; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/১৯৮-১৯৯; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৭/২৬৪।
পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তি রাত থাকতেই সিয়ামের সংকল্প করেনি
১৭৩৫. হাফসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ফজরের পূর্বেই যে ব্যক্তি সিয়ামের সিদ্ধান্ত না নেয় তার সিয়ামই নেই।”[1]
بَاب مَنْ لَمْ يُجْمِعْ الصِّيَامَ مِنْ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ شُرَحْبِيلَ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ حَفْصَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ لَمْ يُبَيِّتْ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلَا صِيَامَ لَهُ قَالَ عَبْد اللَّهِ فِي فَرْضِ الْوَاجِبِ أَقُولُ بِهِ
তাখরীজ: নাসাঈ, সিয়াম ৪/১৯৬; ইবনু আবী শাইবা ৩/৩১ শক্তিশালী সনদে; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭০০; দারুকুতনী ২/১৭২; তিরমিযী, সিয়াম ৭৩০; বাইহাকী, সিয়াম ৪/২০২; ২২১; আবূ দাউদ, সওম ২৪৫৪; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ নং ১৯৩৩; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৩/৯২-৯৩; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৭৪৪;; আহমাদ ৬/২৮৭।… আরে দেখুন, তালখীসুল হাবীর ২/১৮৮-১৮৯; নাসবুর রায়াহ ২/৪৩৩-৪৩৪; মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার ৬/২২৭-২২৮; নাইলুল আওতার ৪/২৬৯-২৭০।
((এরপর মুহাক্বিক্ব এ সনদের রাবীদের সম্পর্কে বিভিন্ন মুহাদ্দিসের বক্তব্য ও মতভেদ উল্লেখ করেছেন এবং যারা বলেছেন এটি মাওকুফ (হাফসার বক্তব্য) হওয়া সহীহ, মারফু’ হিসেবে যয়ীফ, যেমন নাসাঈ, তিরমিযী, আবূ দাউদ, দারুকুতনী, আব্দুর রাযযাক প্রমুখ এবং যারা একে মারফু’ হিসেবে সহীহ বলেছেন যেমন ইবনু হাযম, বাইহাকী, খাত্তাবী প্রমুখ- এ উভয় দলের মতামত উল্লেখ করেছেন।– অনুবাদক))
পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্রুত (ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে) ইফতার করা
১৭৩৬. সাহল ইবন সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: লোকেরা যতদিন যাবৎ আগেভাগে (ওয়াকত হওয়ামাত্র) ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।”[1]
بَاب فِي تَعْجِيلِ الْإِفْطَارِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ
তাখরীজ: বুখারী, সওম ১৯৫৭; মুসলিম, সিয়াম ১০৯৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৫১১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫০২, ৩৫০৬ তে।
‘আগে আগে ইফতার করা এবং দেরীতে সেহরী খাওয়া’ সংক্রান্ত হাদীসসমূহ সহীহ মুতাওয়াতির। ...
পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্রুত (ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে) ইফতার করা
১৭৩৭. উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন রাত্রি ঘনিয়ে আসে এবং দিন পশ্চাদপসরণ করে, আর সূর্য ডুবে যায়, তখন আমি ইফতার করি।”[1]
بَاب فِي تَعْجِيلِ الْإِفْطَارِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْلُ وَأَدْبَرَ النَّهَارُ وَغَابَتْ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرْتَ
তাখরীজ: বুখারী, সওম ১৯৫৪; মুসলিম, সিয়াম ১১০০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৪০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫১৩; মুসনাদুল হুমাইদী নং ২০ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১২. যা দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)
১৭৩৮. সালমান ইবন আমের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমাদের কেউ রোযা রাখে, তখন সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। আর সে যদি খেজুর না পায়, তবে সে যেন পানি দ্বারা ইফতার করে, কেননা পানি পবিত্র।”[1]
بَاب مَا يُسْتَحَبُّ الْإِفْطَارُ عَلَيْهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ عَنْ حَفْصَةَ عَنْ الرَّبَابِ الضَّبِّيَّةِ عَنْ عَمِّهَا سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا أَفْطَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى تَمْرٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى مَاءٍ فَإِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ
তাখরীজ: ((আবূ দাউদ, সওম ২৩৫৫; তিরমিযী, সওম ৬৯৫, তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান সহীহ “; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৬৯৯; আলবানী তার সহীহুল জামি’ ১/১৫৮ তে বলেন: সহীহ।– ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/১৭০১ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮৯২, ৮৯৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৫১৪, ৩৫১৫ তে।