পরিচ্ছেদঃ ৮৩. কয়খানি কাপড় পরিধান করে নামায পড়া জায়েজ।
৬২৯. মুসাদ্দাদ ..... কায়েস ইবনু তালক থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হলাম। সেখানে এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলেন, হে আল্লাহর নবী! এক বস্ত্রে নামায আদায় করা সম্পর্কে আপনার কি অভিমত? রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পরিধেয় বস্ত্র এক করে নিলেন (একটি বস্ত্র খুলে অন্য একটি বস্ত্রের উপর পরিধান করেন)। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে আমাদের নামায পড়ান। নামায শেষে তিনি বলেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের দুটি করে বস্ত্রের সংস্থান আছে কি?
باب جِمَاعِ أَثْوَابِ مَا يُصَلَّى فِيهِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَدِمْنَا عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا تَرَى فِي الصَّلاَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ قَالَ فَأَطْلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِزَارَهُ طَارَقَ بِهِ رِدَاءَهُ فَاشْتَمَلَ بِهِمَا ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى بِنَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَنْ قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ " أَوَكُلُّكُمْ يَجِدُ ثَوْبَيْنِ " .
Narrated Talq ibn Ali al-Hanafi:
We came to the Prophet (ﷺ), and a man came and said: Prophet of Allah, what do you say if one prays in a single garment? The Messenger of Allah (ﷺ) then took off his wrapper and combined it with his sheet, and put it on them. He got up and the Prophet of Allah (ﷺ) led us in prayer. When he finished the prayer, he said: Does every one of you have two garments?
পরিচ্ছেদঃ ৩৫০. দুই বার বিতির পড়বে না।
১৪৩৯. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... কায়েস ইবন তাল্ক (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাল্ক ইবন আলী (রাঃ) আমদের সাথে কোন এক রোযার দিনে সাক্ষাত করেন এবং সেদিন আমাদের সাথে ইফতার করেন। অতঃপর আমাদের নিয়ে জামাআতে তারাবীহ্ ও বিতিরের নামায আদায় করে তিনি তাঁর নিজের মসজিদে গমন করেন এবং সেখানেও তাঁর সংগীদের সাথে তারবীহ নামায আদায় করেন এবং বিতিরের নামায আদায়ের জন্য অন্য এক ব্যক্তিকে ইমামতির জন্য সম্মুখে পাঠিয়ে দেন এবং বলেন, তুমি এদের সাথে বিতিরের নামায আদায় কর। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ একই রাতে দুইবার বিতিরের নামায আদায় করা যায় না। (নাসাঈ, তিরমিযী)।
باب فِي نَقْضِ الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، قَالَ زَارَنَا طَلْقُ بْنُ عَلِيٍّ فِي يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ وَأَمْسَى عِنْدَنَا وَأَفْطَرَ ثُمَّ قَامَ بِنَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَأَوْتَرَ بِنَا ثُمَّ انْحَدَرَ إِلَى مَسْجِدِهِ فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا بَقِيَ الْوِتْرُ قَدَّمَ رَجُلاً فَقَالَ أَوْتِرْ بِأَصْحَابِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ " .
Narrated Talq ibn Ali:
Qays ibn Talq said: Talq ibn Ali visited us on a certain day during Ramadan. He remained with us till evening and broke fast with us. He then stood up and led us in the witr prayer.
He then went to his mosque and led them in prayer. When the witr remained, he put forward another man and said: Lead your companions in the witr prayer, for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) as saying: There are no two witrs during one night.
পরিচ্ছেদঃ ২১০. সাহরীর সময়।
২৩৪০ মুহাম্মদাদ ইবন ঈসা ..... কায়স ইবন তালক (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা খাও এবং পান করো, আর তোমাদেকে যেন সু্বহে সাদিকের উচ্চ লম্বা রেখা (যা পূর্ব হতে পশ্চিমে দৃশ্যমান) সাহরী খাওয়া হতে বিরত না রাখে। আর তোমরা ততক্ষণ পানাহার করো, যতক্ষণ না সুবহে সাদিকের লম্বা লাল আলোকরশ্মি (যা পূর্বাকাশে উত্তর দক্ষিণে দৃশ্যমান) প্রকাশ পায়।
باب وَقْتِ السُّحُورِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ النُّعْمَانِ، حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُوا وَاشْرَبُوا وَلاَ يَهِيدَنَّكُمُ السَّاطِعُ الْمُصْعِدُ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَعْتَرِضَ لَكُمُ الأَحْمَرُ " .
Narrated Talq ibn Ali al-Yamami:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Eat and drink; let not the white and ascending light prevent you from (eating and drinking); so eat and drink until the red light spreads horizontally.
পরিচ্ছেদঃ ২৯/ এক রাত্রে দুইবার বিতরের সালাত আদায় করার ব্যাপারে নবী (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞা
১৬৮২। হান্নাদ ইবনু সারি (রহঃ) ... কায়স ইবনু তল্ক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযানের একদিন আমার পিতা তলক ইবনু আলী (রাঃ) আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি আমাদের সাথে সন্ধ্যা করে ফেললেন, এবং ঐ রাত্রে আমাদের সাথে তারাবীহর সালাত আদায় করলেন আর আমাদের সাথে বিতরের সালাতও আদায় করলেন। অতঃপর তিনি দ্রুত মসজিদে চলে গেলেন এবং তার সাথীদের নিয়ে সালাত আদায়ে লেগে গেলেন। যখন শুধু বিতরের সালাত অবশিষ্ট রয়ে গেল, তিনি এক ব্যাক্তিকে আগে বাড়িয়ে দিলেন এবং বললেন, তুমি এদের সাথে বিতরের সালাত আদায় করে নাও। কেননা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, এক রাত্রে দুইবার বিতরের সালাত আদায় করতে নেই।
[সহীহ। তিরমিযী ৪৭৩]
باب نَهْىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْوِتْرَيْنِ فِي لَيْلَةٍ
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ مُلاَزِمِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، قَالَ زَارَنَا أَبِي طَلْقُ بْنُ عَلِيٍّ فِي يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ فَأَمْسَى بِنَا وَقَامَ بِنَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَأَوْتَرَ بِنَا ثُمَّ انْحَدَرَ إِلَى مَسْجِدٍ فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ حَتَّى بَقِيَ الْوِتْرُ ثُمَّ قَدَّمَ رَجُلاً فَقَالَ لَهُ أَوْتِرْ بِهِمْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ " .
It was narrated that Qais bin Talq said:
"My father, Talq bin 'Ali visited me one day in Ramadan and stayed with us until the evening. He led us in praying Qiyam that night and prayed witr with us. Then he went down to a masjid and led his companions in prayer until only witr was left. Then he told a man to go forward and said to him: 'Lead them in praying witr, for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: There should not be two witrs in one night."
পরিচ্ছেদঃ ১/৬৪. লিঙ্গ স্পর্শ করলে উযূ করা জরুরী নয়।
১/৪৮৩। কায়স ইবনু তালক আল-হানাফী (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি। তিনি বলেনঃ তাতে উযূ (ওজু/অজু/অযু)র প্রয়োজন নেই। কেননা তা তোমার দেহের একটি অঙ্গ।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩২০, সহীহ আবূ দাউদ ১৭৫।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ قَيْسَ بْنَ طَلْقٍ الْحَنَفِيَّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سُئِلَ عَنْ مَسِّ الذَّكَرِ فَقَالَ " لَيْسَ فِيهِ وُضُوءٌ إِنَّمَا هُوَ مِنْكَ " .
Qais bin Talq Al-Hanafi narrated that his father said:
"I heard the Messenger of Allah being asked about touching the penis. He said: 'That does not require ablution, because it is a part of you (your body).'"
পরিচ্ছেদঃ ৭১. পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে অযু নষ্ট না হওয়া প্রসঙ্গে
১৮২। ক্বায়িস ইবনু তালক থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন সম্ভাব্য এক বেদুইন ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রসূল! কোন ব্যক্তি অযু করার পর নিজ পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে তার ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওটা তো তার শরীরের মাংসের একটি টুকরা বা অংশ মাত্র।[1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ক্বায়িস ইবনু তালক হতে মুহাম্মাদ ইবনু জাবির সূত্রে হিশাম ইবনু হাসসান, সুফিয়ান সাওরী, শু’বাহ, ইবনু ’উয়াইনাহ এবং জারীর আর-রাযী প্রমূখ বর্ণনা করেছেন।
باب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَدِمْنَا عَلَى نَبِيِّ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ كَأَنَّهُ بَدَوِيٌّ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللهِ مَا تَرَى فِي مَسِّ الرَّجُلِ ذَكَرَهُ بَعْدَ مَا يَتَوَضَّأُ فَقَالَ " هَلْ هُوَ إِلَّا مُضْغَةٌ مِنْهُ " . أَوْ قَالَ - " بَضْعَةٌ مِنْهُ " .
- صحيح
قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَشُعْبَةُ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَجَرِيرٌ الرَّازِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَابِرٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ
Narrated Talq:
We came upon the Prophet of Allah (ﷺ). A man came to him: he seemed to be a bedouin. He said: Prophet of Allah, what do you think about a man who touches his penis after performing ablution? He (ﷺ) replied: That is only a part of his body.
Abu Dawud said: The tradition has been transmitted through a different chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ৭১. পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে অযু নষ্ট না হওয়া প্রসঙ্গে
১৮৩। ক্বায়িস ইবনু তালক হতে একই সানাদে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত আছে। তাতে, সালাতরত অবস্থায় পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে-কথাটি রয়েছে।[1]
সহীহ।
باب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ وَقَالَ فِي الصَّلَاةِ .
- صحيح
The tradition has also been reported by Qais b. Talq through a different chain of narrators. This version adds the wording:
"during the prayer"
পরিচ্ছেদঃ ৭৮. সালাত বৈধ হওয়ার জন্য যতটুকু কাপড় জরুরী
৬২৯। ক্বায়িস ইবনু ত্বালক হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলাম। এমতাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর নবী! একটি কাপড়ে সালাত আদায়ের ব্যাপারে আপনার মতামত কি? বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ইযারের উপর চাদর ছেড়ে দিয়ে উভয়টিকে একত্র করে গায়ে জড়িয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত আদায় করালেন। সালাত শেষে তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের দু’টি করে কাপড় আছে কি?[1]
সহীহ।
باب جِمَاعِ أَثْوَابِ مَا يُصَلَّى فِيهِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَدِمْنَا عَلَى نَبِيِّ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللهِ مَا تَرَى فِي الصَّلَاةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ قَالَ فَأَطْلَقَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِزَارَهُ طَارَقَ بِهِ رِدَاءَهُ فَاشْتَمَلَ بِهِمَا ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى بِنَا نَبِيُّ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَلَمَّا أَنْ قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ " أَوَكُلُّكُمْ يَجِدُ ثَوْبَيْنِ " .
صحيح
Narrated Talq ibn Ali al-Hanafi:
We came to the Prophet (ﷺ), and a man came and said: Prophet of Allah, what do you say if one prays in a single garment? The Messenger of Allah (ﷺ) then took off his wrapper and combined it with his sheet, and put it on them. He got up and the Prophet of Allah (ﷺ) led us in prayer. When he finished the prayer, he said: Does every one of you have two garments?
পরিচ্ছেদঃ ৩৪৪. বিতর সালাত দুইবার না আদায় করা প্রসঙ্গে
১৪৩৯। ক্বায়িস ইবনু ত্বালক্ব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রমাযান মাসে ত্বালক্ব ইবনু ’আলী (রাঃ) আমাদের সাথে দেখা করতে এসে এখানে সন্ধ্যা অতিবাহিত করেন এবং এখানেই ইফতার করেন। অতঃপর রাতে আমাদেরকে নিয়ে তারাবীহ ও বিতর সালাত আদায় করেন। অতঃপর তিনি নিজেদের মসজিদের গিয়ে তার সাথীদেরকে নিয়েও সালাত আদায় করেন। অতঃপর বিতর সালাতের জন্য এক ব্যক্তিকে সম্মুখে এগিয়ে দিয়ে বলেন, তোমার সাথীদেরকে বিতর পড়াও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ একই রাতে দুইবার বিতর হয় না।[1]
সহীহ।
এক নজরে বিতর সালাতের পদ্ধতিঃ
(১) বিতর সালাত ১, ৩, ৫, ৭, ৯ রাকআত আদায় করা যায়। এর সবগুলোর সমর্থনেই হাদীস বর্ণিত আছে। তবে চার খলীফা সহ অধিকাংশ সাহাবায়ি কিরাম, তাবেঈন ও মুজতাহিদ ইমামগণ এক রাকআত বিতরে অভ্যস্ত ছিলেন। হাদীসে এসেছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিতর রাতের শেষভাগে মাত্র এক রাক‘আত- (সহীহ মুসলিম)। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাক‘আত দ্বারা বিতর করতেন। (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১২৫৫)
(২) ১ রাকআত থেকে ৫ রাকআত পর্যন্ত এক বৈঠকে সালাম সহ বিতর সালাত আদায় করবে। আর ৭ রাক‘আত বিতর পড়লে তাতে ছয় রাক‘আতে প্রথম বৈঠক করবে, তারপর ৭ম রাক‘আতে শেষ বৈঠক করে সালাম ফিরাবে। আর ৯ রাক‘আত বিতর সালাত আদায় করলে তাতে আট রাক‘আতে প্রথম বৈঠক করবে এবং ৯ম রাক‘আতে শেষ বৈঠক করে সালাম ফিরাবে- (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, বায়হাক্বী, হাকিম, মিরআত। উল্লেখ্য, ৩ রাক‘আত বিতর সালাতে মাগরিবের ন্যায় দ্বিতীয় রাক‘আতে প্রথম বৈঠক এবং তৃতীয় রাক‘আতে শেষ বৈঠক করার নিয়ম সঠিক নয়)
(৩) বিতর সালাত ‘ইশা, তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ ইত্যাদি রাতের সালাতের শেষে আদায় করা সুন্নাত। বিতর সালাত রাতের প্রথম, মধ্য এবং শেষ ভাগ- যেকোন সময়ে আদায় করা যায়। (মিরআত, নায়লুল আওত্বার, সহীহুল বুখারী ও মুসলিম)
(৪) কেউ বিতর সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে কিংবা না আদায় করেই ঘুমিয়ে পড়লে স্মরণ হলেই বা ঘুম থেকে জাগার পরই তা আদায় করবে। (আবূ দাউদ, মিরআত)
(৫) বিতর সালাতের দুআ কুনূত সারা বছরই পড়া যায়। তবে বিতর সালাতের জন্য যেহেতু কুনূত শর্ত নয় তাই মাঝে মধ্যে কুনূত পাঠ না করাও উত্তম। (আবূ দাউদ, নাসায়ী, মিশকাত)
(৬) বিতরের কুনূত রুকূ‘র আগে এবং রুকূ‘র পরে দুই ভাবেই পড়া জায়িয আছে। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাত)।
(৭) বিতরের কুনূতের সময় হাত উঠিয়ে দুআ করবে। ইমাম আবূ ইউসূফ (রহঃ) বলেনঃ বিতরের কুনূত পাঠ কালে দুই হাতের তালু আসমানের দিকে বুক বরাবর উঁচু থাকবে। ইমাম ত্বাহাবী ও ইমাম কারখীও এটাকে পছন্দ করেছেন। ইমাম আহমাদের মতও তাই। সাহাবী ‘উমার, ইবনু মাসউদ, আবূ হুরাইরাহ, আনাস (রাঃ) প্রমূখ সাহাবায়ি কিরাম হতে এর প্রমাণ রয়েছে। (মিরআত)
(৮) রমাযান মাসে বিতরের কুনূতে দুআ লম্বা করা যাবে। নেককার পূর্বসূরীদের অনেকে এরূপ করতেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, দুআ যেন এতো বেশি দীর্ঘ না হয় যাতে মুসল্লীদের বিরক্তির কারণ ঘটে।
(৯) বিতর সালাতের কুনূতঃ ‘‘আল্লাহুম্মাহদিনী ফী মান হাদায়তা, ওয়া ‘আফিনী ফী মান ‘আফায়তা, ওয়াতাঅল্লানী ফী মান তাওয়াল্লায়তা, ওয়া বা-রিকলী ফী মা আ‘তায়তা, ওয়াক্বিনী শার্রামা ক্বাযাইতা, ফাইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা ইউক্বযা ‘আলাইকা, ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লুমাও ওয়া লায়তা, ওয়ালা ইয়া ‘ইযযু মান ‘আদায়তা, তাবারকতা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লায়তা, ওয়া আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলায়কা, ওয়া সল্লাল্লাহু আলান্ নাবী।’’ (হাদীস সহীহ : আবূ দাউদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, তিরমিযী, দারিমী, ইবনু আবূ শায়বাহ, হাকিম, বায়হাক্বী, আহমাদ, ত্বাবারানী, ইবনু খুযায়মাহ, ইবনু হিববান, মিশকাত হা/১২৭৩, ইরওয়াউল গালীল হা/৪২৯)
উল্লেখ্য, জামা‘আতে দুআর সময় ইমাম ত্রিয়াপদের শেষে এক বচন ‘নী’ এর স্থলে বহুবচন ‘না’ শব্দ বলতে পারবেন। (ফাতাওয়াহ ইবনু বায)
(১০) বিতর সালাত শেষে এই দুআ পড়তে হয় : ‘‘সুবহানাল মালিকুল কুদ্দুস।’’ এরপর স্বরবে বলতে হয় ‘‘রাব্বিল মালায়িকাতি ওয়ার রূহি’’ (সুনানু নাসায়ী)
باب فِي نَقْضِ الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، قَالَ زَارَنَا طَلْقُ بْنُ عَلِيٍّ فِي يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ وَأَمْسَى عِنْدَنَا وَأَفْطَرَ ثُمَّ قَامَ بِنَا تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَأَوْتَرَ بِنَا ثُمَّ انْحَدَرَ إِلَى مَسْجِدِهِ فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا بَقِيَ الْوِتْرُ قَدَّمَ رَجُلاً فَقَالَ أَوْتِرْ بِأَصْحَابِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَا وِتْرَانِ فِي لَيْلَةٍ " .
- صحيح
Narrated Talq ibn Ali:
Qays ibn Talq said: Talq ibn Ali visited us on a certain day during Ramadan. He remained with us till evening and broke fast with us. He then stood up and led us in the witr prayer.
He then went to his mosque and led them in prayer. When the witr remained, he put forward another man and said: Lead your companions in the witr prayer, for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) as saying: There are no two witrs during one night.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. সাহারীর সময়
২৩৪৮। কায়িস ইবনু তালক (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ খাও এবং পান করো। ঊর্ধ্বাকাশে ভোরের যে লম্বা রেখা ফুটে উঠে, তা যেন তোমাদেরকে (সাহারী খাওয়া থেকে) বিরত না রাখে। সুতরাং আকাশের দিগন্তে লাল রঙ্গের ফর্সা ফুটে উঠা পর্যন্ত তোমরা খাও এবং পান করো।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ وَقْتِ السُّحُورِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ النُّعْمَانِ، حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُوا وَاشْرَبُوا، وَلَا يَهِيدَنَّكُمُ السَّاطِعُ الْمُصْعِدُ، فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَعْتَرِضَ لَكُمُ الْأَحْمَرُ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: هَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْيَمَامَةِ
حسن صحيح
Narrated Talq ibn Ali al-Yamami:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Eat and drink; let not the white and ascending light prevent you from (eating and drinking); so eat and drink until the red light spreads horizontally.
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. নারীর যৌনাঙ্গ ও পশ্চাদ্বার এবং পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করা সম্পর্কিত বর্ণনা এবং তার বিধান
৫১৯(১৪). ইসমাঈল ইবনে ইউনুস ইবনে ইয়াসীন (রহঃ) ... কায়েস ইবনে তালক (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম, তখন তাঁরা মদীনার মসজিদের (নববীর) ভিত্তি স্থাপন করছিলেন। রাবী বলেন, তারা (সাহাবীগণ) পাথর বহন করে আনছিলেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমিও কি তাদের মত পাথর বয়ে আনবো? তিনি বলেনঃ না, বরং হে ইয়ামামা (অঞ্চলের) ভ্রাতা! তুমি (পাথরের গাথনী দিতে) তাদের জন্য মাটি দিয়ে মসলা তৈরি করো। কারণ এ কাজটা তুমি অধিক ভালো জানো। অতএব আমি তাদের জন্য মাটির মসলা তৈরি করলাম এবং তাঁরা তা তুলে নিতে থাকে।
بَابُ مَا رُوِيَ فِي لَمْسِ الْقُبُلِ وَالدُّبُرِ وَالذَّكَرِ ، وَالْحُكْمُ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يُونُسَ بْنِ يَاسِينَ ، نَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُمْ يُؤَسِّسُونَ مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ ، قَالَ ، وَهُمْ يَنْقُلُونَ الْحِجَارَةَ ، قَالَ : فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَلَا نَنْقُلُ كَمَا يَنْقُلُونَ ، قَالَ : " لَا ، وَلَكِنِ اخْلِطْ لَهُمُ الطِّينَ يَا أَخَا الْيَمَامَةِ ، فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ " ، قَالَ فَجَعَلْتُ أَخْلِطُ لَهُمْ وَيَنْقُلُونَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. নারীর যৌনাঙ্গ ও পশ্চাদ্বার এবং পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করা সম্পর্কিত বর্ণনা এবং তার বিধান
৫২০(১৫). আবু হামেদ মুহাম্মাদ ইবনে হারূন (রহঃ) ... কায়েস ইবনে তালক (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এসে তাঁকে লজ্জাস্থান স্পর্শ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। তিনি বলেনঃ “নিশ্চয়ই এটা তোমার দেহের একটা অংশ বৈ কিছু নয়”।
ইবনে আবু হাতেম (রহঃ) বলেন, আমি আমার পিতা ও আবু যুরআ (রহঃ)-কে এই মুহাম্মাদ ইবনে জাবের-এর হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তারা উভয় বলেন, কায়েস ইবনে তলকের হাদীস দলীলযোগ্য নয়। তারা উভয়ে তাকে তুচ্ছজ্ঞান করলেন এবং তাকে নির্ভরযোগ্য রাবী বলে বিবেচনা করেননি।
بَابُ مَا رُوِيَ فِي لَمْسِ الْقُبُلِ وَالدُّبُرِ وَالذَّكَرِ ، وَالْحُكْمُ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا أَبُو حَامِدٍ مُحَمَّدُ بْنُ هَارُونَ ، نَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : كُنْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَسَأَلَهُ عَنْ مَسِّ الذَّكَرِ ، فَقَالَ : " إِنَّمَا هُوَ بَضْعَةٌ مِنْكَ " ، قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ : سَأَلْتُ أَبِي ، وَأَبَا زُرْعَةَ عَنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ جَابِرٍ هَذَا ؟ فَقَالَا : قَيْسُ بْنُ طَلْقٍ لَيْسَ هُوَ مِمَّنْ يَقُومُ بِهِ حُجَّةٌ وَوَهَّنَاهُ ، وَلَمْ يُثْبِتَاهُ
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. নারীর যৌনাঙ্গ ও পশ্চাদ্বার এবং পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করা সম্পর্কিত বর্ণনা এবং তার বিধান
৫২৩(১৮). মুহাম্মাদ ইবনে হারূন আবু হামেদ (রহঃ) ... কায়েস ইবনে তালক (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট লজ্জাস্থান স্পর্শ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, এটা তোমার শরীরের একটা অংশ। আইয়ুব (রহঃ) অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি।
بَابُ مَا رُوِيَ فِي لَمْسِ الْقُبُلِ وَالدُّبُرِ وَالذَّكَرِ ، وَالْحُكْمُ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هَارُونَ أَبُو حَامِدٍ ، نَا بُنْدَارٌ ، نَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ ، ثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُحَمَّدٍ ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : سَأَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَنْ مَسِّ الْفَرْجِ ؟ فَقَالَ : " بَضْعَةٌ مِنْكَ " . أَيُّوبُ مَجْهُولٌ