পরিচ্ছেদঃ ২০: সালাতে কথা বলা
১২১৬. কাসীর ইবনু উবায়দ (রহ.)…. আবূ সালামাহ সূত্রে আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) (একদা) সালাতে দাঁড়ালেন আমরাও তাঁর সঙ্গে দাঁড়ালাম, তখন এক বেদুঈন সালাতরত বলে উঠল “হে আল্লাহ! তুমি আমার ও মুহাম্মদ (সা.) এর উপর রহম কর, আর আমাদের সঙ্গে আর কারো উপর রহম করো না।“ রাসূলুল্লাহ (সা.) সালাম ফিরিয়ে ঐ বেদুঈনকে বললেন, তুমি একটি প্রশস্ত জিনিসকে সংকুচিত করে দিলে। এর দ্বারা আল্লাহর রহমতকে বুঝিয়েছেন।
الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ
خْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الصَّلَاةِ وَقُمْنَا مَعَهُ، فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ: اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلَا تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا، فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِلْأَعْرَابِيِّ: لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا يُرِيدُ رَحْمَةَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف: ۱۵۲۶۷) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1217 - صحيح
20. Speaking During The Prayer
It was narrated from Abu Salamah that : Abu Hurairah said: The Messenger of Allah (ﷺ) stood up to pray and we stood up with him. A Bedouin said- while he was praying- 'O Allah, have mercy on me and Muhammad and do not have mercy on anyone else.' When the Messenger of Allah (ﷺ) said the Salam, he said to the Bedouin: 'You have limited something vast, meaning the mercy of Allah (SWT).
পরিচ্ছেদঃ ২০: সালাতে কথা বলা
১২১৭. আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আব্দুর রহমান আয যুহরী (রহ.)…. আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক বেদুঈন (একদা) মসজিদে প্রবেশ করল এবং দু’ রাকআত সালাত আদায় করে বলল, “হে আল্লাহ! তুমি আমার ও মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর রহম কর এবং আমাদের সাথে আর কারো ওপর রহম করো না।" রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি একটি প্রশস্ত বস্তুকে সংকুচিত করে দিলে।
الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ: أَحْفَظُهُ مِنَ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِيسَعِيدٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمّ قَالَ: اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلَا تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الطہارة ۱۳۸ (۳۸۰)، سنن الترمذی/الطہارة ۱۱۲ (۱۴۷)، مسند احمد ۲/۲۳۹، (تحفة الأشراف: ۱۳۱۳۹) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1218 - صحيح
20. Speaking During The Prayer
It was narrated from Abu Hurairah that: A Bedouin entered the masjid and prayed two rak'ahs, then he said: O Allah, have mercy on me and on Muhammad and do not have mercy on anyone else. The Messenger of Allah (ﷺ) said: You have limited something vast.
পরিচ্ছেদঃ ২০: সালাতে কথা বলা
১২১৮. ইসহাক ইবনু মানসূর (রহ.) ..... মু’আবিয়াহ ইবনু হাকাম আস সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা নিকট-অতীতে অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলাম, এরপর আল্লাহ তা’আলা ইসলাম পাঠালেন। আমাদের মধ্যে কিছু লোক ভালো-মন্দ লক্ষণ মানে। তিনি বললেন, তা এক প্রকার কুসংস্কার, যা তাদের মনে উদ্রেক হয়ে থাকে, এটা যেন তাদের কোন কাজ হতে বিরত না রাখে। আমি আরও বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক গণকদের কাছে যায়। তিনি বললেন, তোমরা গণকদের কাছে যেয়ো না। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে কিছু লোক রেখা টেনে থাকে, তিনি বললেন, নবীদের মধ্যে একজন নবী রেখা টানতেন [ইদ্রীস আলায়হিস সালাম অথবা দানিয়াল আলাহিস সালাম]। অতএব, যার রেখা তাঁর রেখার সাথে মিলে যায় তা সঠিক বলে প্রতিপন্ন হবে।
রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সঙ্গে সালাতে ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দিলে আমি “ইয়ারহামুকাল্ল-হ” বললাম, তখন উপস্থিত লোকজন আমার দিকে তীক্ষ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলে আমি বললাম, তোমাদের মাতারা তোমাদের হারিয়ে ফেলুক! তোমাদের কি হলো তোমরা আমার দিকে এরূপ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছ কেন? তখন লোকজন (আশ্চর্যান্বিত হয়ে) তাদের উরুদেশে তাদের হাত মারতে শুরু করল, আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে আমি (রাগান্বিত না হয়ে) চুপ হয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন সালাত সমাপ্ত করলেন আমাকে ডাকলেন। তাঁর ওপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক। তিনি আমাকে তিরস্কারও করলেন না এবং কটু কথাও বললেন না। আমি তার পূর্বে বা পরে তার চাইতে উত্তম কোন শিক্ষক দেখিনি। তিনি বললেন, আমাদের এ সালাতে কারও কথা বলা সমীচীন নয়। এতো হলো তাসবীহ, তাকবীর এবং তিলাওয়াতে কুরআনের সমষ্টি। রাবী বলেন, এরপর আমার একটি বকরীর পাল দেখতে পেলাম যা আমার দাসী উহুদ এবং জাওয়ানিয়্যাহ-এর নিকট চরাচ্ছিল। আমি দেখলাম যে, বাঘে পাল হতে একটি বকরী নিয়ে গেছে। আমিও তো এক আদম সন্তান তাই আমি (দাসীর ওপর) রাগান্বিত হলাম, যেমন অন্যরাও রাগান্বিত হয়ে থাকে। অতএব, আমি দাসীকে একটা চড় মারলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসে তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলাম। তিনি চড় মারাকে খুবই অন্যায় কাজ মনে করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে (এর প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ) আযাদ করে দিব? তিনি বললেন, তাকে ডাকো, তিনি দাসীকে প্রশ্ন করলেন, আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আসমানে। তিনি তাকে আবার প্রশ্ন করলেন, আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রসূল (সা.)। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, সে মু’মিন, অতএব তাকে আযাদ করে দাও।
الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السَّلَمِيِّ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ فَجَاءَ اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ، وَإِنَّ رِجَالًا مِنَّا يَتَطَيَّرُونَ، قَالَ: ذَاكَ شَيْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ، فَلَا يَصُدَّنَّهُمْ ، وَرِجَالٌ مِنَّا يَأْتُونَ الْكُهَّانَ، قَالَ: فَلَا تَأْتُوهُمْ ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَرِجَالٌ مِنَّا يَخُطُّونَ، قَالَ: كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطُّهُ فَذَاكَ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/المساجد ۷ (۵۳۷)، سنن ابی داود/الصلاة ۱۷۱ (۹۳۰)، مسند احمد ۵/۴۴۷، (تحفة الأشراف: ۱۱۳۷۸)، وھو مختصراً والحدیث عند: صحیح مسلم/السلام ۳۵ (۵۳۷)، سنن ابی داود/الأیمان والنذور ۱۹ (۳۲۸۲)، الطب ۲۳ (۳۹۰۹)، موطا امام مالک/العتق ۶ (۸)، مسند احمد ۵/۴۴۸، ۴۴۹، سنن الدارمی/الصلاة ۱۷۷ (۱۵۴۳، ۱۵۴۴) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1219 - صحيح
20. Speaking During The Prayer
It was narrated that Mu'awiyah bin Al-Hakam As-Sulami said: I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), we were recently in a state of ignorance, then Allah (SWT) brought Islam. Some men among us follow omens.' He said: 'That is something that they find in their own hearts; it should not deter them from going ahead.' I said: 'And some men among us go to fortune tellers.' He said: 'Do not go to them.' He said: 'Some men among us draw lines.' He said: 'One of the Prophets used to draw lines. So whoever is in accord with his drawing of lines, then so it is.' He said: While I was praying with the Messenger of Allah (ﷺ), a man sneezed and I said: 'Yarhamuk-Allah (May Allah have mercy on you).' The people glared at me and I said: 'May my mother be bereft of me, why are you looking at me?' The people struck their hands against their thighs, and when I saw that they were telling me to be quiet, I fell silent. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished, he called me. May my father and mother be ransomed for him, he neither did hit me nor rebuke me nor revile me. I have never seen a better teacher than him, before or after. He said: 'This prayer of ours is not the place for ordinary human speech, rather it is glorification and magnification of Allah (SWT), and reciting Qur'an.' Then I went out to a flock of sheep of mine that was tended by a slave woman of mine beside Uhud and Al-Jawwaniyyah, and I found that the wolf had taken one of the sheep. I am a man from the sons of Adam and I get upset as they get upset. So I slapped her. Then I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and told him what happened. He regarded that as a serious action on my part. I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), should I set her free?' He said: 'Call her.' The Messenger of Allah (ﷺ) said to her: 'Where is Allah (SWT), the Mighty and Sublime?' She said: 'Above the heavens.' He said: 'And who am I?' She said: 'The Messenger of Allah (ﷺ).' He said: 'She is a believer, set her free.'
পরিচ্ছেদঃ ২০: সালাতে কথা বলা
১২১৯. ইসমাঈল ইবনু মাউদ (রহ.) ..... যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর যামানায় লোকজন সালাতে তাঁর সঙ্গীর সাথে কোন প্রয়োজনে কথা বলতো, তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল [حٰفِظُوۡا عَلَی الصَّلَوٰتِ وَ الصَّلٰوۃِ الۡوُسۡطٰی ٭ وَ قُوۡمُوۡا لِلّٰهِ قٰنِتِیۡنَ ﴿۲۳۸﴾] “তোমরা সালাতে প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহর উদ্দেশে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে"- (সূরাহ আল বাকারাহ্ ২: ২৩৮)। তখন আমাদের (সালাতে) চুপ থাকতে আদেশ করা হলো।
الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ: كَانَ الرَّجُلُ يُكَلِّمُ صَاحِبَهُ فِي الصَّلَاةِ بِالْحَاجَةِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ سورة البقرة آية 238، فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ.
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/العمل فی الصلاة ۲ (۱۲۰۰)، تفسیر البقرة ۴۲ (۴۵۳۴)، صحیح مسلم/المساجد ۷ (۵۳۹)، سنن ابی داود/الصلاة ۱۷۸ (۹۴۹)، سنن الترمذی/فیہ ۱۸۱ (۴۰۵)، تفسیر البقرة (۲۹۸۶)، (تحفة الأشراف: ۳۶۶۱)، مسند احمد ۴/۳۶۸ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1220 - صحيح
20. Speaking During The Prayer
It was narrated that Zaid bin Arqam said: We used to speak to each other during the prayer, saying whatever was necessary, at the time of the Messenger of Allah (ﷺ), until this verse was revealed: Guard strictly (five obligatory) As-Salawat (the prayers) especially the middle Salah (i.e. the best prayer- 'Asr). And stand before Allah with obedience (and do not speak to others during the Salah (prayers)), so we were commanded to be silent.
পরিচ্ছেদঃ ২০: সালাতে কথা বলা
১২২০. মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ’আম্মার (রহ.) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সা.) -এর কাছে তাঁর সালাতরত অবস্থায় আসতাম, আমি তাঁকে সালাম করতাম, তিনি জবাব দিতেন। একদিন আমি তাঁর কাছে এসে তাঁকে সালাম করলাম, তখন তিনি সালাত আদায় করছিলেন কিন্তু তিনি জবাব দিলেন না। যখন তিনি সালাম ফিরালেন মুসল্লীদের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ তা’আলা সালাতের ব্যাপারে একটি নতুন হুকুম নাযিল করেছেন যে, তোমরা (এতে) আল্লাহর যিকর ছাড়া অন্য কোন কথা বলবে না। আর তা তোমাদের জন্যে সমীচীনও নয়। আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে বিনীতভাবে দাঁড়াবে।
الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي غَنِيَّةَ وَاسْمُهُ يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَالْقَاسِمُ بْنُ يَزِيدَ الْجَرْمِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ كُلْثُومٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَهَذَا حَدِيثُ الْقَاسِمِ، قَالَ: كُنْتُ آتِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي، فَأُسَلِّمُ عَلَيْهِ فَيَرُدُّ عَلَيَّ، فَأَتَيْتُهُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ، فَلَمَّا سَلَّمَ أَشَارَ إِلَى الْقَوْمِ، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَعْنِي أَحْدَثَ فِي الصَّلَاةِ أَنْ لَا تَكَلَّمُوا إِلَّا بِذِكْرِ اللَّهِ، وَمَا يَنْبَغِي لَكُمْ، وَأَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف: ۹۵۴۳) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1221 - صحيح
20. Speaking During The Prayer
It was narrated that Abdullah bin Mas'ud said: I used to come to the Prophet (ﷺ) when he was praying, and I would greet him with Salam, he would return my greeting. Then I came to him when he was praying, and he did not return my greeting. When he said the Taslim, he pointed to the people and said: Allah (SWT) has decreed that in the prayer you should not speak except to remember Allah (SWT), and it is not appropriate for you, and that you should stand before Allah (SWT) with obedience.'
পরিচ্ছেদঃ ২০: সালাতে কথা বলা
১২২১. হুসায়ন ইবনু হুরয়স (রহ.)…. (আবদুল্লাহ) ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী (সা.) -কে সালাম দিলে তিনি জবাব দিতেন (কিন্তু) আমরা হাবাশাহ (ইথিওপিয়া) হতে ফিরে এসে তাঁকে সালাম করলে তিনি জবাব দিলেন না। তখন আমি নিকট-অতীত এবং দূর-অতীতের স্বীয় ঘটিত কোন অপরাধের কথা চিন্তা করতে লাগলাম ও বসে গেলাম। এরপর তিনি (সা.) সালাত সমাপ্ত করে বললেন, আল্লাহ তা’আলা যখনই ইচ্ছা করেন (আমাদের কল্যাণের জন্য) নতুন নতুন হুকুম অবতীর্ণ করেন। তিনি একটি (নতুন) হুকুম নাযিল করেছেন যে, সালাতে কথা বলা যাবে না।
الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا السَّلَامَ، حَتَّى قَدِمْنَا مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ، فَأَخَذَنِي مَا قَرُبَ وَمَا بَعُدَ فَجَلَسْتُ حَتَّى إِذَا قَضَى الصَّلَاةَ، قَالَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ، وَإِنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ أَنْ لَا يُتَكَلَّمَ فِي الصَّلَاةِ .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۱۷۰ (۹۲۴)، مسند احمد ۱/۳۷۷، ۴۰۹، ۴۱۵، ۴۳۵، ۴۶۳، (تحفة الأشراف: ۹۲۷۲)، وقد أخرجہ: صحیح البخاری/العمل فی الصلاة ۲، ۱۵ (۱۱۹۹، ۱۲۱۶)، مناقب الأنصار ۳۷ (۳۸۷۵)، صحیح مسلم/المساجد ۷ (۵۳۸) (حسن صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1222 - حسن صحيح
20. Speaking During The Prayer
It was narrated that Ibn Mas'ud said: We used to greet the Prophet (ﷺ) with salam and he would return our salam, until we came back from the land of Ethiopia. I greeted him with salam and he did not return my greeting,a nd I started to wonder why. So I sat down; and when he finished praying, he said: 'Allah (SWT) decrees what He wills, and He has decreed what we should not speak during the prayer.'