১২১৮

পরিচ্ছেদঃ ২০: সালাতে কথা বলা

১২১৮. ইসহাক ইবনু মানসূর (রহ.) ..... মু’আবিয়াহ ইবনু হাকাম আস সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা নিকট-অতীতে অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলাম, এরপর আল্লাহ তা’আলা ইসলাম পাঠালেন। আমাদের মধ্যে কিছু লোক ভালো-মন্দ লক্ষণ মানে। তিনি বললেন, তা এক প্রকার কুসংস্কার, যা তাদের মনে উদ্রেক হয়ে থাকে, এটা যেন তাদের কোন কাজ হতে বিরত না রাখে। আমি আরও বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক গণকদের কাছে যায়। তিনি বললেন, তোমরা গণকদের কাছে যেয়ো না। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে কিছু লোক রেখা টেনে থাকে, তিনি বললেন, নবীদের মধ্যে একজন নবী রেখা টানতেন [ইদ্রীস আলায়হিস সালাম অথবা দানিয়াল আলাহিস সালাম]। অতএব, যার রেখা তাঁর রেখার সাথে মিলে যায় তা সঠিক বলে প্রতিপন্ন হবে।
রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সঙ্গে সালাতে ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দিলে আমি “ইয়ারহামুকাল্ল-হ” বললাম, তখন উপস্থিত লোকজন আমার দিকে তীক্ষ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলে আমি বললাম, তোমাদের মাতারা তোমাদের হারিয়ে ফেলুক! তোমাদের কি হলো তোমরা আমার দিকে এরূপ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছ কেন? তখন লোকজন (আশ্চর্যান্বিত হয়ে) তাদের উরুদেশে তাদের হাত মারতে শুরু করল, আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে আমি (রাগান্বিত না হয়ে) চুপ হয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন সালাত সমাপ্ত করলেন আমাকে ডাকলেন। তাঁর ওপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক। তিনি আমাকে তিরস্কারও করলেন না এবং কটু কথাও বললেন না। আমি তার পূর্বে বা পরে তার চাইতে উত্তম কোন শিক্ষক দেখিনি। তিনি বললেন, আমাদের এ সালাতে কারও কথা বলা সমীচীন নয়। এতো হলো তাসবীহ, তাকবীর এবং তিলাওয়াতে কুরআনের সমষ্টি। রাবী বলেন, এরপর আমার একটি বকরীর পাল দেখতে পেলাম যা আমার দাসী উহুদ এবং জাওয়ানিয়্যাহ-এর নিকট চরাচ্ছিল। আমি দেখলাম যে, বাঘে পাল হতে একটি বকরী নিয়ে গেছে। আমিও তো এক আদম সন্তান তাই আমি (দাসীর ওপর) রাগান্বিত হলাম, যেমন অন্যরাও রাগান্বিত হয়ে থাকে। অতএব, আমি দাসীকে একটা চড় মারলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসে তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলাম। তিনি চড় মারাকে খুবই অন্যায় কাজ মনে করলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তাকে (এর প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ) আযাদ করে দিব? তিনি বললেন, তাকে ডাকো, তিনি দাসীকে প্রশ্ন করলেন, আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আসমানে। তিনি তাকে আবার প্রশ্ন করলেন, আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রসূল (সা.)। এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, সে মু’মিন, অতএব তাকে আযাদ করে দাও।

الْكَلَامُ فِي الصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ هِلَالِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السَّلَمِيِّ،‏‏‏‏ قَالَ:‏‏‏‏ قُلْتُ:‏‏‏‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ،‏‏‏‏ إِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ فَجَاءَ اللَّهُ بِالْإِسْلَامِ،‏‏‏‏ وَإِنَّ رِجَالًا مِنَّا يَتَطَيَّرُونَ،‏‏‏‏ قَالَ:‏‏‏‏ ذَاكَ شَيْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ،‏‏‏‏ فَلَا يَصُدَّنَّهُمْ ،‏‏‏‏ وَرِجَالٌ مِنَّا يَأْتُونَ الْكُهَّانَ،‏‏‏‏ قَالَ:‏‏‏‏ فَلَا تَأْتُوهُمْ ،‏‏‏‏ قَالَ:‏‏‏‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ،‏‏‏‏ وَرِجَالٌ مِنَّا يَخُطُّونَ،‏‏‏‏ قَالَ:‏‏‏‏ كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطُّهُ فَذَاكَ . تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/المساجد ۷ (۵۳۷)، سنن ابی داود/الصلاة ۱۷۱ (۹۳۰)، مسند احمد ۵/۴۴۷، (تحفة الأشراف: ۱۱۳۷۸)، وھو مختصراً والحدیث عند: صحیح مسلم/السلام ۳۵ (۵۳۷)، سنن ابی داود/الأیمان والنذور ۱۹ (۳۲۸۲)، الطب ۲۳ (۳۹۰۹)، موطا امام مالک/العتق ۶ (۸)، مسند احمد ۵/۴۴۸، ۴۴۹، سنن الدارمی/الصلاة ۱۷۷ (۱۵۴۳، ۱۵۴۴) (صحیح) صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1219 - صحيح

20. Speaking During The Prayer


It was narrated that Mu'awiyah bin Al-Hakam As-Sulami said: I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), we were recently in a state of ignorance, then Allah (SWT) brought Islam. Some men among us follow omens.' He said: 'That is something that they find in their own hearts; it should not deter them from going ahead.' I said: 'And some men among us go to fortune tellers.' He said: 'Do not go to them.' He said: 'Some men among us draw lines.' He said: 'One of the Prophets used to draw lines. So whoever is in accord with his drawing of lines, then so it is.' He said: While I was praying with the Messenger of Allah (ﷺ), a man sneezed and I said: 'Yarhamuk-Allah (May Allah have mercy on you).' The people glared at me and I said: 'May my mother be bereft of me, why are you looking at me?' The people struck their hands against their thighs, and when I saw that they were telling me to be quiet, I fell silent. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished, he called me. May my father and mother be ransomed for him, he neither did hit me nor rebuke me nor revile me. I have never seen a better teacher than him, before or after. He said: 'This prayer of ours is not the place for ordinary human speech, rather it is glorification and magnification of Allah (SWT), and reciting Qur'an.' Then I went out to a flock of sheep of mine that was tended by a slave woman of mine beside Uhud and Al-Jawwaniyyah, and I found that the wolf had taken one of the sheep. I am a man from the sons of Adam and I get upset as they get upset. So I slapped her. Then I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and told him what happened. He regarded that as a serious action on my part. I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), should I set her free?' He said: 'Call her.' The Messenger of Allah (ﷺ) said to her: 'Where is Allah (SWT), the Mighty and Sublime?' She said: 'Above the heavens.' He said: 'And who am I?' She said: 'The Messenger of Allah (ﷺ).' He said: 'She is a believer, set her free.'