পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

পরিচ্ছেদঃ ৭০: মানুষের সাথে মিলামিশা, জুম’আহ, জামা’আত, ঈদ ও যিকিরের মজলিস (জালসায় ও দ্বীনী মজলিসে) লোকদের সাথে উপস্থিত হওয়া, রোগীকে সাক্ষাৎ করে কুশল জিজ্ঞাসা করা, জানাযায় অংশগ্রহণ করা, অভাবীদের সাথে সমবেদনা প্রকাশ করা, অজ্ঞকে পথ প্রদর্শন করা এবং অনুরূপ অন্যান্য কল্যাণময় কাজের জন্য মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখা তার জন্য মুস্তাহাব, যে ভাল কাজের নির্দেশ এবং মন্দ কাজ থেকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আর অপরকে কষ্ট দেওয়া থেকে সে নিজেকে বিরত রাখে এবং অপরের পক্ষ থেকে কষ্ট পৌঁছলে ধৈর্য ধারণ করে।

(ইমাম নাওয়াবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,) জেনে রাখো যে, লোকদের সাথে মিলামিশার যে পদ্ধতি আমি বর্ণনা করেছি সেটাই স্বীকৃত; যা রসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং বাকী নবীদের পদ্ধতি ছিল। অনুরূপ পদ্ধতি ছিল খুলাফায়ে রাশেদীন এবং তাঁদের পরে সাহাবা ও তাবেঈনদের এবং তাঁদের পরে মুসলিমদের উলামা ও সজ্জনদের। এই অভিমত অধিকাংশ তাবেঈন ও তাঁদের পরবর্তীদেরও। ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমাদ এবং অধিকাংশ ফিক্হবিদও এই মত পোষণ করেছেন। (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম আজমা’ঈন) আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ﴾ [المائ‍دة: ٢]

অর্থাৎ “কল্যাণকর ও সংযমশীলতার পথে একে অপরের সহযোগিতা কর।” (সূরা মায়েদা ২ আয়াত)

এ মর্মে আর অনেক বিদিত আয়াত রয়েছে।[1]


মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢١٥ ﴾ [الشعراء: ٢١٥]

অর্থাৎ “তুমি তোমার অনুসারী বিশ্বাসীদের প্রতি সদয় হও।” (সূরা শু’আরা ২১৫ আয়াত)

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَن يَرۡتَدَّ مِنكُمۡ عَن دِينِهِۦ فَسَوۡفَ يَأۡتِي ٱللَّهُ بِقَوۡمٖ يُحِبُّهُمۡ وَيُحِبُّونَهُۥٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ﴾ [المائ‍دة: ٥٤]

অর্থাৎ “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ দ্বীন থেকে ফিরে গেলে আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনয়ন করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন ও যারা তাঁকে ভালবাসবে, তারা হবে মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফিরদের প্রতি কঠোর।” (সূরা মাইদাহ ৫৪ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّا خَلَقۡنَٰكُم مِّن ذَكَرٖ وَأُنثَىٰ وَجَعَلۡنَٰكُمۡ شُعُوبٗا وَقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوٓاْۚ إِنَّ أَكۡرَمَكُمۡ عِندَ ٱللَّهِ أَتۡقَىٰكُمۡۚ﴾ [الحجرات: ١٣]

অর্থাৎ “হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে অধিক আল্লাহ-ভীরু।” (সূরা হুজরাত ১৩ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿فَلَا تُزَكُّوٓاْ أَنفُسَكُمۡۖ هُوَ أَعۡلَمُ بِمَنِ ٱتَّقَىٰٓ﴾ [النجم: ٣٢]

অর্থাৎ “তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তিনই সম্যক জানেন আল্লাহভীরু কে।” (সূরা নাজ্ম ৩২আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

﴿ وَنَادَىٰٓ أَصۡحَٰبُ ٱلۡأَعۡرَافِ رِجَالٗا يَعۡرِفُونَهُم بِسِيمَىٰهُمۡ قَالُواْ مَآ أَغۡنَىٰ عَنكُمۡ جَمۡعُكُمۡ وَمَا كُنتُمۡ تَسۡتَكۡبِرُونَ ٤٨ أَهَٰٓؤُلَآءِ ٱلَّذِينَ أَقۡسَمۡتُمۡ لَا يَنَالُهُمُ ٱللَّهُ بِرَحۡمَةٍۚ ٱدۡخُلُواْ ٱلۡجَنَّةَ لَا خَوۡفٌ عَلَيۡكُمۡ وَلَآ أَنتُمۡ تَحۡزَنُونَ ٤٩ ﴾ [الاعراف: ٤٨، ٤٩]

অর্থাৎ “আ’রাফবাসিগণ কিছু লোককে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনতে পেরে তাদেরকে আহবান করে বলবে, তোমাদের দল ও তোমাদের অহংকার কোন কাজে আসল না। দেখ এদেরই সম্বন্ধে কি তোমরা শপথ করে বলতে যে, আল্লাহ এদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবেন না। এদেরকেই বলা হবে, তোমরা বেহেশ্তে প্রবেশ কর, তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না।” (সূরা আ’রাফ ৪৮-৪৯ আয়াত)


১/৬০৭। ’ইয়াদ ইবনে হিমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তা’আলা আমার নিকট অহী পাঠালেন যে, তোমরা পরস্পরে নরম ব্যবহার অবলম্বন কর। যাতে কেউ যেন কারো প্রতি গর্ব না করে এবং কেউ যেন কারো প্রতি যুলুম না করে।’’ (মুসলিম) [2]

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَن عِيَاضِ بنِ حِمَارٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إنَّ الله أوْحَى إِلَيَّ أنْ تَوَاضَعُوا حَتَّى لاَ يَفْخَرَ أحَدٌ عَلَى أحَدٍ، وَلاَ يَبْغِي أحَدٌ عَلَى أحَدٍ ». رواه مسلم

وعن عياض بن حمار رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « ان الله اوحى الي ان تواضعوا حتى لا يفخر احد على احد، ولا يبغي احد على احد ». رواه مسلم

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Excellence of mixing with People and attending their social activities
Imam An-Nawawi says: Remember! Mixing with people in the way I have mentioned earlier is most desirable. This was the way of Messenger of Allah (PBUH) and other Prophets of Allah, the Righteous Caliphs (May Allah be pleased with them), the followers of the Companions, scholars and pious people. The majority of the followers of the Companions and their followers adopted it. Imam Ash-Sha-fi`i, Imam Ahmad and the majority of other jurists followed it.

Allah, the Exalted, says:
"Help you one another in Al-Birr and At-Taqwa (virtue, righteousness and piety).'' (5:2)
The Quranic Verses on the subject are many and well-known.
---
Modesty and Courtesy towards the Believers
Allah, the Exalted, says:
"And be kind and humble to the believers who follow you.'' (26:215)

"O you who believe! Whoever from among you turns back from his religion (Islam), Allah will bring a people whom He will love and they will love Him; humble towards the believers, stern towards the disbelievers.'' (5:54)

"O mankind! We have created you from a male and a female, and made you into nations and tribes, that you may know one another. Verily, the most honourable of you with Allah is that (believer) who has At-Taqwa
[he is one of the Muttaqun (the pious)].'' (49:13)

"So ascribe not purity to yourselves. He knows best him who fears Allah and keeps his duty to Him [i.e., those who are Al-Muttaqun (the pious)].'' (53:32)

"And the men on Al-a`raf (the wall) will call unto the men whom they would recognise by their marks, saying: `Of what benefit to you were your great numbers (and hoards of wealth), and your arrogance (against
Faith)?' Are they those, of whom you swore that Allah would never show them mercy. (Behold! It has been said to them): `Enter Jannah, no fear shall be on you, nor shall you grieve.''' (7:48,49)
---
'Iyad bin Himar (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah has revealed to me that you should humble yourselves to one another. One should neither hold himself above another nor transgress against another."

[Muslim].

Commentary: To treat each other humbly, leniently and lovingly is understood as humility. One, under this principle, is also required not to despise anybody on the basis of wealth, social distinction and lineage. Moreover, one should also not adopt an unkind attitude towards others. Besides, if Allah has bestowed honour on somebody, he is supposed to be grateful to Him, instead of behaving disrespectfully towards people and subjecting them to unkindness and tyranny.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

২/৬০৮। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সাদকা করলে মাল কমে যায় না এবং ক্ষমা করলে আল্লাহ বান্দার সম্মান বাড়িয়ে দেন। আর যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে (মর্যাদায়) উচ্চ করেন।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ، وَمَا زادَ اللهُ عَبْداً بعَفْوٍ إِلاَّ عِزّاً، وَمَا تَوَاضَعَ أحَدٌ للهِ إِلاَّ رَفَعَهُ اللهُ ». رواه مسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «ما نقصت صدقة من مال، وما زاد الله عبدا بعفو الا عزا، وما تواضع احد لله الا رفعه الله ». رواه مسلم

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Wealth does not diminish by giving Sadaqah (charity). Allah augments the honour of one who forgives; and one who serves another seeking the pleasure of Allah, Allah will exalt him in ranks."

[Muslim].

Commentary: Apparently giving in Sadaqah (charity) decreases wealth, but Allah fairly compensates an almsgiver by increasing his wealth. Otherwise, he is sure to receive the best recompense in the Hereafter which will make good his loss. Or, Allah blesses the rest of his wealth in such a way that the sense of loss is removed from his mind. As for a lenient and humble attitude, it is sometimes mistaken by man for his humiliation. But Messenger of Allah (PBUH) calls such an impression as erroneous. Indeed, humility increases his honour and dignity. And as regards the Hereafter, the best reward is bound to accrue to him when he will be blessed with spiritual heights.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

৩/৬০৯। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কতিপয় শিশুর পাশ দিয়ে গেলেন অতঃপর তিনি তাদেরকে সালাম দিলেন এবং বললেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রকমই করতেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه: أنَّهُ مَرَّ عَلَى صِبيَانٍ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ، وَقَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَفعَلُه . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن انس رضي الله عنه: انه مر على صبيان، فسلم عليهم، وقال: كان النبي صلى الله عليه وسلم يفعله . متفق عليه

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Anas (May Allah be pleased with him) passed by some children and greeted them (by saying As-salamu 'alaikum to them). Then he said:
The Prophet (ﷺ) used to do the same.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: To greet (saying As-salamu `alaikum) small children is an excellent expression of humbleness. Similarly, a believer is under obligation to greet his wife and children while entering his home, and this will be a sign of his humbleness as well. Besides, he is also supposed to greet his subordinates, servants and other lowlypeople. Escape from it is an indication of pride and arrogance and shows a deviation from the practice of the Prophet (PBUH) which is enough to incur the displeasure of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

৪/ ৬১০। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’মদ্বীনার ক্রীতদাসীদের মধ্যে এক ক্রীতদাসী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাত ধরে নিত, তারপর সে (নিজের প্রয়োজনে) তার ইচ্ছামত তাঁকে নিয়ে যেত।’ (বুখারী)[1]

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَنهُ، قَالَ: إِنْ كَانَتِ الأَمَةُ مِنْ إمَاءِ المَدينَةِ لَتَأْخُذُ بِيَدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَتَنْطَلِقُ بِهِ حَيْثُ شَاءتْ . رواه البخاري

وعنه، قال: ان كانت الامة من اماء المدينة لتاخذ بيد النبي صلى الله عليه وسلم، فتنطلق به حيث شاءت . رواه البخاري

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Anas bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
A slave-girl of Al-Madinah would take hold of the hand of the Prophet (ﷺ) and take him wherever she desired.

[Al- Bukhari].

Commentary: This Hadith throws light on the sublime courtesy and unique humbleness of Messenger of Allah (PBUH) as well as his passion to meet the wants of the needy. It provides all the Muslims with a worth-emulating
example. The Hadith does not mean that the slave-girl would actually touch the Prophet's hands, but that he would show humbleness to all kinds of people, be they young or old, rich or poor, men or women.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

৫/৬১১। আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ’আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে কী কাজ করতেন?’ তিনি বললেন, ’গৃহস্থালি কাজ করতেন; অর্থাৎ স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করতেন। অতঃপর নামাযের (সময়) হলে তিনি নামাযের জন্য বেরিয়ে যেতেন।’ (বুখারী) [1]


* (এই গৃহস্থালি কাজের ব্যাখ্যায় মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন তিনি নিজের জুতা পরিষ্কার করতেন কাপড় সিলাই করতেন দুধ দোহাতেন এবং নিজের খিদমত নিজে করতেন। তাছাড়া এ কথা বিদিত যে তাঁর একাধিক দাস-দাসীও ছিল।)

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَنِ الأَسْوَدِ بنِ يَزيدَ، قَالَ: سُئِلَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنهَا مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ فِي بَيْتِهِ ؟ قَالَت: كَانَ يَكُونُ في مِهْنَةِ أهْلِهِ ـ يَعنِي: خِدمَة أَهلِه ـ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ، خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ . رواه البخاري

وعن الاسود بن يزيد، قال: سىلت عاىشة رضي الله عنها ما كان النبي صلى الله عليه وسلم يصنع في بيته ؟ قالت: كان يكون في مهنة اهله ـ يعني: خدمة اهله ـ فاذا حضرت الصلاة، خرج الى الصلاة . رواه البخاري

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Al-Aswad bin Yazid (May Allah be pleased with him) reported:
'Aishah (May Allah be pleased with her) was asked: "What did Messenger of Allah (ﷺ) used to do inside his house?" She answered: "He used to keep himself busy helping members of his family, and when it was the time for Salat (the prayer), he would get up for prayer."

[Al-Bukhari].

Commentary: Here too, we are informed about the extreme humbleness of Messenger of Allah (PBUH). Many a man deems his insult and indignity to extend his co-operation to woman in household affairs. This is against the
practice of Messenger of Allah (PBUH). To co-operate with woman in doing domestic things is a Sunnah and man should not feel complex in it. However, an excessive interest in domestic engagements which makes one indifferent to Salat is not desirable. Rather, one is supposed to give up all domestic engagements when it is time to offer Salat and be ready for it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

৬/৬১২। আবূ রিফাআহ তামীম ইবনে উসাইদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম তখন তিনি খুতবা দিচ্ছিলেন। অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসুল! আমি একজন বিদেশী মানুষ নিজের দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে এসেছি, আমি জানি না আমার দ্বীন কী?’ (এ কথা শুনে) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে ফিরলেন এবং খুতবা দেওয়া বর্জন করলেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত তিনি আমার নিকটে এলেন। অতঃপর একটি চেয়ার আনা হল। তিনি তার উপর বসে আল্লাহ তা’আলা তাঁকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে আমাকে শিখাতে লাগলেন। অতঃপর তিনি খুতবায় ফিরে এসে তার শেষাংশটুকু পুরা করলেন। (মুসলিম) [1]

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَن أَبي رِفَاعَةَ تَمِيمِ بنِ أُسَيْدٍ رضي الله عنه، قَالَ: انْتَهَيْتُ إِلَى رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَخطُبُ، فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، رَجُلٌ غَرِيبٌ جَاءَ يَسْألُ عَن دِينهِ لاَ يَدْرِي مَا دِينُهُ ؟ فَأقْبَلَ عَليَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ، وتَرَكَ خُطْبَتَهُ حَتَّى انْتَهَى إلَيَّ، فَأُتِيَ بِكُرْسيٍّ، فَقَعَدَ عَلَيْهِ، وَجَعَلَ يُعَلِّمُنِي مِمَّا عَلَّمَهُ اللهُ، ثُمَّ أَتَى خُطْبَتَهُ فَأتَمَّ آخِرَهَا . رواه مسلم

وعن ابي رفاعة تميم بن اسيد رضي الله عنه، قال: انتهيت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يخطب، فقلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، رجل غريب جاء يسال عن دينه لا يدري ما دينه ؟ فاقبل علي رسول الله صلى الله عليه وسلم ، وترك خطبته حتى انتهى الي، فاتي بكرسي، فقعد عليه، وجعل يعلمني مما علمه الله، ثم اتى خطبته فاتم اخرها . رواه مسلم

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Tamim bin Usaid (May Allah be pleased with him) reported:
I came to Messenger of Allah (ﷺ) while he was delivering a Khutbah and said: "O Messenger of Allah, a stranger (meaning himself) has come to inquire about his Deen. He is quite ignorant about his Deen." Messenger of Allah (ﷺ) interrupted his Khutbah and turned to me. Then a chair was brought for him and he sat on it. He started instructing me what Allah had taught him. Then he resumed his Khutbah and completed it.

[Muslim].

Commentary: This Hadith also mirrors, apart from the extreme humbleness of the Prophet (PBUH), his affability and consolation for a traveller as well as the priority which he gave to faith and Islamic teachings. Moreover, it reveals that, during the delivery of sermon, if it is needed, the preacher can converse with somebody and also leave the pulpit temporarily.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রিফা'আহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

৭/৬১৩। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আহার করতেন তখন স্বীয় তিনটি আঙ্গুল চেটে খেতেন এবং বলতেন, ’’কারো খাবারের লুকমা নিচে পড়ে গেলে সে যেন তা তুলে পরিষ্কার করে খেয়ে ফেলে এবং শয়তানের জন্য ফেলে না রাখে।’’ আর তিনি আমাদেরকে খাদ্যপাত্র (বা বাসন) ভালভাবে চেটে খেতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, ’’তোমরা জান না যে, তোমাদের কোন্ খাবারে বরকত নিহিত আছে।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أكَلَ طَعَاماً، لَعِقَ أصَابِعَهُ الثَّلاَثَ . قَالَ: وَقَالَ: إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيُمِط عَنهَا الأَذَى، وَلِيَأكُلْهَا وَلاَ يَدَعْها لِلشَّيْطان . وأَمَرَ أن تُسلَتَ القَصْعَةُ، قَالَ: فإنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ في أيِّ طَعَامِكُمُ البَرَكَة . رواه مسلم

وعن انس رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كان اذا اكل طعاما، لعق اصابعه الثلاث . قال: وقال: اذا سقطت لقمة احدكم فليمط عنها الاذى، ولياكلها ولا يدعها للشيطان . وامر ان تسلت القصعة، قال: فانكم لا تدرون في اي طعامكم البركة . رواه مسلم

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
When the Messenger of Allah (ﷺ) finished eating his food, he would lick his three fingers (i.e., the forefinger, the middle finger and the thumb). He (ﷺ) said, "If anyone of you drops a morsel, he should remove anything harmful from it and then eat it. He should not leave it for Shaitan." He commanded us to clean out the dish saying, "You do not know in what portion of your food the blessing lies."

[Muslim].

Commentary: This Hadith also stresses humbleness, simplicity and regard for the Blessings of Allah. To be unwilling to pick up a fallen morsel and eat it and to keep from cleaning up the dish is the style of arrogant and wealthy people. It displays disregard for Allah's Blessing. To eat the fallen morsel after cleaning it and to lick up the dish shows, apart from humbleness, regard for the Divine gift. Such an act pleases Allah. In it there is another advantageous aspect. Man never knows which is the blessed portion of food. When one licks up the dish, or even his fingers, picks up the fallen morsel and eats it after cleaning it, nothing will be wasted from the meal. In this way, the blessed portion of meal will automatically come to him and he will not remain deprived of it. Moreover, the Hadith tells us that Allah's Blessing, in whatever small quantity it may be, must not be wasted. Yet unfortunately, as we see today, food is wasted like anything in the feasts and marriage ceremonies. Whereas there are countless people in the world who do not get enough to eat, and there are many areas where people simply starve. May Allah guide us!


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

৮/৬১৪। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তা’আলা এমন কোন নবী প্রেরণ করেননি, যিনি বকরী চরাননি। তাঁর সাহাবীগণ বললেন, আর আপনিও? তিনি বললেন, হ্যাঁ! আমি কয়েক ক্বীরাত্বের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের বকরী চরাতাম।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَا بَعَثَ اللهُ نَبِيّاً إِلاَّ رَعَى الْغَنَمَ ». فَقَالَ أصْحَابُهُ: وأنْتَ ؟ قَالَ: «نَعَمْ، كُنْتُ أرْعَاهَا عَلَى قَرَارِيطَ لأَهْلِ مَكَّةَ ». رواه البخاري

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «ما بعث الله نبيا الا رعى الغنم ». فقال اصحابه: وانت ؟ قال: «نعم، كنت ارعاها على قراريط لاهل مكة ». رواه البخاري

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Every Prophet has tended sheep." He was asked: "And did you?" He replied: "Yes, I tended them for a few carats for the Makkans."

[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith has already been mentioned earlier, approving of secluded life in a peculiar situation. As the same has relevance with humbleness, it is repeated in this chapter as well. Indeed, it is the quality of humble people that they earn their living by manual labour.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

৯/৬১৫। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু [আবূ হুরায়রাহ] থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যদি আমাকে ছাগলাদির পা অথবা বাহু খাওয়ানোর জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়, তাহলে আমি নিশ্চয় তা কবুল করব। আর যদি আমাকে পা অথবা বাহু উপঢৌকন দেওয়া হয়, তাহলে আমি নিশ্চয় তা সাদরে গ্রহণ করব।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَنهُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لَوْ دُعِيتُ إِلَى كُراعٍ أَوْ ذِرَاعٍ لأَجَبْتُ، وَلَو أُهْدِيَ إِلَيَّ ذِرَاعٌ أَوْ كُرَاعٌ لَقَبِلْتُ ». رواه البخاري

وعنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «لو دعيت الى كراع او ذراع لاجبت، ولو اهدي الي ذراع او كراع لقبلت ». رواه البخاري

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said: "If I am invited to a meal consisting of a sheep's foot or shoulder, I would respond and I would accept as a gift a shoulder or a foot of a sheep."

[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith brings to our knowledge the humbleness and simplicity of Messenger of Allah (PBUH). It serves as an exemplar to us that we should accept the simple invitation of a poor man and even an ordinary gift. We must not reject the gift owing to its ordinariness and inadequacy.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব

১০/৬১৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযববা নামক উটনীটি প্রতিযোগিতায় কোনদিন হারত না অথবা তাকে অতিক্রম করে কেউ যেতে পারত না। একবার এক বেদুঈন তার একটি সওয়ারী উঁটে সওয়ার হয়ে আসলে সেটি তার আগে চলে গেল। মুসলিমদের কাছে তা কষ্টদায়ক মনে হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা জানতে পারলে বললেন, ’’আল্লাহর বিধান হল, দুনিয়ার কোনো জিনিস উন্নত হলে, তিনি তাকে অবনত করেন।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَتْ نَاقَةُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم العَضْبَاءُ لاَ تُسْبَقُ، أَوْ لاَ تَكَادُ تُسْبَقُ، فَجَاءَ أعْرَابيٌّ عَلَى قَعُودٍ لَهُ، فَسَبَقَهَا، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ حَتَّى عَرَفَهُ، فَقَالَ: «حَقٌّ عَلَى اللهِ أنْ لاَ يَرْتَفِعَ شَيْءٌ مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ وَضَعَهُ ». رواه البخاري

وعن انس رضي الله عنه، قال: كانت ناقة رسول الله صلى الله عليه وسلم العضباء لا تسبق، او لا تكاد تسبق، فجاء اعرابي على قعود له، فسبقها، فشق ذلك على المسلمين حتى عرفه، فقال: «حق على الله ان لا يرتفع شيء من الدنيا الا وضعه ». رواه البخاري

(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers


Anas bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) had a she-camel called Al-'Adba' which would not allow any other camel to surpass her. A bedouin came riding his camel which outstripped it. The Muslims were much grieved at this. Messenger of Allah (ﷺ) perceived it and said, "It is Allah's Way that he lowers whatever raises itself in the world."

[Al- Bukhari].

Commentary: This Hadith underlines a Principle of Allah that He never keeps anything in the world on the rise eternally. Every rising star has its eventual decline. Individuals and nations apart, this law of nature also applies to animal life. In it is embedded Divine wisdom. First, annihilation and fall is the fate of everything. Second, lest power and growth should go to man's head, he is warned by being reduced to smallness that there exists a Supreme One Who holds sway over all creatures and can render the powerful weak and helpless. The bedouin camel-rider
resented the Companions by overtaking Messenger of Allah (PBUH), yet he himself did not express his resentment. Rather the occasion caused him to explain the Divine wisdom behind it. The Hadith also shows the Prophet's humility.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে