পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٖ ٤ ﴾ [القلم: ٤]
অর্থাৎ “তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা ক্বালাম ৪ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي ٱلسَّرَّآءِ وَٱلضَّرَّآءِ وَٱلۡكَٰظِمِينَ ٱلۡغَيۡظَ وَٱلۡعَافِينَ عَنِ ٱلنَّاسِۗ ﴾ [ال عمران: ١٣٤]
অর্থাৎ “সেই দ্বীনদারদের জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় দান করে, ক্রোধ সংবরণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে থাকে।” (সূরা আলে ইমরান ১৩৪ আয়াত)
১/৬২৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব মানুষের চাইতে বেশি সুন্দর চরিত্রের ছিলেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أحْسَنَ النَّاسِ خُلُقاً . متفقٌ عَلَيْهِ
(73) Chapter: Good Conduct
Allah, the Exalted, says:
"And verily, you (O Muhammad (PBUH)) are on an exalted (standard of) character.'' (68:4)
"The Jannah is prepared for those)... who repress anger, and who pardon men.'' (3:134)
Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) was the best of all the people in behaviour.
[Al- Bukhari and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
২/৬২৭। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর করতল অপেক্ষা অধিকতর কোমল কোনো পুরু বা পাতলা রেশম আমি স্পর্শ করিনি। আর তাঁর শরীরের সুগন্ধ অপেক্ষা অধিকতর সুগন্ধ কোন বস্তু আমি কখনো শুঁকিনি। আর আমি দশ বছর পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমত করেছি। তিনি কখনোও আমার জন্য ’উঃ’ শব্দ বলেননি। কোন কাজ করে বসলে তিনি এ কথা জিজ্ঞেস করেননি যে, ’তুমি এ কাজ কেন করলে?’ এবং কোন কাজ না করলে তিনি বলেননি যে, ’তা কেন করলে না?’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَنهُ، قَالَ: مَا مَسِسْتُ دِيبَاجاً وَلاَ حَرِيراً ألْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَلاَ شَمَمْتُ رَائِحَةً قَطُّ أطْيَبَ مِنْ رَائِحَةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَلَقَدْ خَدَمتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَشْرَ سِنِينَ، فَمَا قَالَ لِي قَطُّ: أُفٍّ، وَلاَ قَالَ لِشَيءٍ فَعَلْتُهُ: لِمَ فَعَلْتَه ؟ وَلاَ لشَيءٍ لَمْ أفعَلهُ: ألاَ فَعَلْتَ كَذَا ؟ متفقٌ عَلَيْهِ
(73) Chapter: Good Conduct
Anas (May Allah be pleased with him) reported:
I never felt any piece of velvet or silk softer than the palm of the Messenger of Allah (ﷺ), nor did I smell any fragrance more pleasant than the smell of Messenger of Allah (ﷺ). I served him for ten years, and he never said 'Uff' (an expression of disgust) to me. He never said 'why did you do that?' for something I had done, nor did he ever say 'why did you not do such and such' for something I had not done.
[Al- Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith reflects the sublime morality of Messenger of Allah that he never found faults with the doings of his valet nor did he ever scold him during his ten-year-long service. To be sure, this is something unique in human history. May the Ummah, too, adopt the refined way of the living of its Prophet (PBUH).
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
৩/৬২৮। সা’ব ইবনে জাসসামাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (শিকার করা) এক জংলী গাধা উপঢৌকন দিলাম। কিন্তু তিনি তা আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। তারপর তিনি আমার চেহারায় (বিষণ্ণতার চিহ্ন) দেখে বললেন, ’’আমরা ইহরামের অবস্থায় আছি, তাই আমরা এটি তোমাকে ফিরিয়ে দিলাম।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1] (যেহেতু ইহরাম অবস্থায় শিকার করা ও তার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।)
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَنِ الصَّعبِ بنِ جَثَّامَةَ رضي الله عنه، قَالَ: أَهدَيتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حِمَاراً وَحْشِيّاً، فَرَدَّهُ عَلَيَّ، فَلَمَّا رَأَى مَا فِي وَجهِي، قَالَ: « إِنَّا لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكَ إِلاَّ ِلأَنَّا حُرُمٌ». متفقٌ عَلَيْهِ
(73) Chapter: Good Conduct
Sa'b bin Jaththamah (May Allah be pleased with him) reported:
I presented a wild ass to Messenger of Allah (ﷺ) as a gift but he returned it to me. When he perceived signs of despair on my face, he said, "I have declined to accept it because I am in the state of Ihram."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: As, in the state of Ihram, hunting is not allowed to a pilgrim; similarly, the meat of the game, killed on his suggestion or instruction, is forbidden to him, too. For this reason, Messenger of Allah (PBUH) sent back the gift of the wild ass to his Companion. The Hadith further illustrates that if the recipient has any valid excuse for not accepting a gift, he should explain it so that the sender may not feel dejected. It may be mentioned here that some Ahadith allow us to eat the meat of a game killed by others, whereas this Hadith shows it is not permissible. The orthodox `Ulama', however, have attempted to reconcile the two seemingly incompatible sets of Ahadith with each other. According to the first category of Ahadith, a man, not in the state of Ihram who kills a chase and gives a portion of it as a gift to someone who is in Ihram, the gift will be permissible to the latter. As for the second category of Ahadith, the former kills a game for the latter, or on his suggestion, the man in the state of Ihram will be barred from eating it (as mentioned in Fath Al-Bari). Similarly, it will not be lawful if the game is sent alive to the man in the state of Ihram with this intention that he should himself sacrifice it. The Hadith under discussion depicts this very situation. Imam Bukhari, as we know, has consequently adduced from this Hadith that if an unkilled game, like the wild donkey, is sent as a gift to a man in the state of Ihram, he should not accept it.
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
৪/৬২৯। নাওয়াস ইবনে সাম’আন রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পুণ্য ও পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, ’’পুণ্য হল সচ্চরিত্রতার নাম। আর পাপ হল তাই, যা তোমার অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং তা লোকে জেনে ফেলুক এ কথা তুমি অপছন্দ কর।’’ (মুসলিম) [1]
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَنِ النَّوَاسِ بنِ سَمعَانَ رضي الله عنه، قَالَ: سَأَلتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَن البِرِّ وَالإثمِ، فَقَالَ: « البِرُّ: حُسنُ الخُلُقِ، والإثمُ: مَا حَاكَ فِي صَدرِكَ، وكَرِهْتَ أن يَطَّلِعَ عَلَيْهِ النَّاسُ ». رواه مسلم
(73) Chapter: Good Conduct
Nawwas bin Sam'an (May Allah be pleased with him) reported:
I asked Messenger of Allah (ﷺ) about virtue and sin, and he said, "Virtue is noble behaviour, and sin is that which creates doubt and you do not like people to know about it."
Commentary: An important principle enshrined in this Hadith says that courtesy is a virtue, because a refined mind cultivates good habits, performs good deeds, and shuns all that is bad and corrupt. Also, a simple and understandable principle is laid down about sin. Man feels the pricking of conscience over every bad deed and is also afraid of the reproach of fault-finders, provided he has not reached the lowest point of moral depravity. But a seared conscience is least disturbed even by a heinous and deadly sin or by public censure. We can understand it by the example of
man's smelling sense. If it is not dead, man can feel a stink and repugnant odour. But a long association with a dung heap robs away one's smelling sense and feeling of refuse.
[Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
৫/৬৩০। আব্দুল্লাহ ইবনে ’আমর ইবনে ’আস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (প্রকৃতিগতভাবে কথা ও কাজে) অশ্লীল ছিলেন না এবং (ইচ্ছাকৃতভাবেও) অশ্লীল ছিলেন না। আর তিনি বলতেন, ’’তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তই উত্তম, যে তোমাদের মধ্যে সুন্দরতম চরিত্রের অধিকারী।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: لَمْ يَكُن رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَاحِشاً وَلاَ مُتَفَحِّشاً، وَكَانَ يَقُولُ: « إنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أحْسَنَكُمْ أخْلاَقاً ». متفقٌ عَلَيْهِ
(73) Chapter: Good Conduct
'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) did not indulge in loose talk nor did he like to listen to it. He used to say, "The best of you is the best among you in conduct."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith, apart from describing the refined behaviour and sublime morality of Messenger of Allah (PBUH), tells us that a person with the highest moral sense is in fact the best among people.
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
৬/৬৩১। আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’কিয়ামতের দিন (নেকী) ওজন করার দাঁড়ি-পাল্লায় সচ্চরিত্রতার চেয়ে কোনো বস্তুই অধিক ভারী হবে না। আর আল্লাহ তা’আলা অশ্লীল ও চোয়াড়কে অপছন্দ করেন।’’ (তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [1]
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَن أَبي الدَّردَاءِ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَا مِنْ شَيْءٍ أثْقَلُ فِي مِيزَانِ العَبدِ المُؤْمِنِ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ حُسْنِ الخُلُقِ، وَإنَّ الله يُبْغِضُ الفَاحِشَ البَذِيَّ. رواه الترمذي، وقال:حديث حسن صحيح
(73) Chapter: Good Conduct
Abud-Darda (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Nothing will be heavier on the Day of Resurrection in the Scale of the believer than good manners. Allah hates one who utters foul or coarse language."
[At- Tirmidhi].
Commentary: The most beneficial thing on the Day of Resurrection will be a courteous behaviour which will outweigh all good actions. But that will be witnessed in case of a believer as there is no question of weighing a nonbeliever's good actions. Allah Himself says in the Qur'an: "So their works are in vain, and on the Day of Resurrection, We shall assign no weight for them.'' So will a morally depraved and nonsensical man stand unfavoured with Allah, and this will be a sign of his frustration and disillusionment in the Hereafter.
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
৭/৬৩২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, ’কোন্ আমল মানুষকে বেশি জান্নাতে নিয়ে যাবে?’ তিনি বললেন, ’’আল্লাহভীতি ও সচ্চরিত্র।’’ আর তাঁকে (এটাও) জিজ্ঞাসা করা হল যে, ’কোন্ আমল মানুষকে বেশি জাহান্নামে নিয়ে যাবে?’ তিনি বললেন, ’’মুখ ও যৌনাঙ্গ (অর্থাৎ উভয় দ্বারা সংঘটিত পাপ)।’’ (তিরমিযী হাসান সহীহ সূত্রে) [1]
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَنْ أكثرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ الْجَنَّةَ ؟ قَالَ:«تَقْوَى اللهِ وَحُسنُ الخُلُقِ »، وَسُئِلَ عَنْ أكْثَرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ النَّارَ، فَقَالَ: « الفَمُ وَالفَرْجُ ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح »
(73) Chapter: Good Conduct
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) was asked about the deed which will be foremost to lead a man to Jannah. He replied, "Fear of Allah and the good conduct." Then he was asked about indulgence which will admit a man to Hell (Fire) and he answered, "The tongue and the genitals."
[At- Tirmidhi].
Commentary: This is also a very comprehensive Hadith. Fear of Allah really links up a man to Him, and moral refinement prevents him from falling short of his duties to people. To be sure, adherence to this two-fold practice will cause the entry of a lot of people to Jannah. Many a man, on the other hand, has a long, sharp and dangerous
tongue and this causes him to pour out heretic utterances and indulge in backbiting, slandering and abusive and nonsensical talk. All this activity leads to Hell. As for genitals, an unwary and unrestrained attitude incites one to indulge in immoral pursuits. In both these cases countless people will be led into Hell. For this reason it is
imperative for everybody to develop Taqwa (consciousness of Allah / fear of Allah ) and refined behaviour and shun the wickedness of tongue and genitals so that his life in the Hereafter may not be ruined.
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
৮/৬৩৩। উক্ত রাবী (আবূ হুরায়রাহ) রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মু’মিনদের মধ্যে সে ব্যক্তি পূর্ণ মু’মিন, যে তাদের মধ্যে চরিত্রের দিক দিয়ে সুন্দরতম। আর তোমাদের উত্তম ব্যক্তি তারা, যারা তাদের স্ত্রীদের নিকট উত্তম।’’ (তিরমিযী হাসান সহীহ সূত্রে) [1]
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «أكْمَلُ المُؤمِنِينَ إِيمَاناً أحسَنُهُمْ خُلُقاً، وَخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
(73) Chapter: Good Conduct
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The most perfect man in his faith among the believers is the one whose behaviour is most excellent; and the best of you are those who are the best to their wives."
[At- Tirmidhi].
Commentary: This Hadith brings into light the corollary of faith and complaisant manners. We may put it in this way that the degree of a man's excellent behaviour determines the degree of his faith. Or the sublimity of faith calls for the sublimity of morals. Similarly, a man who is polite and courteous to his wife will be considered as the best.
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
৯/৬৩৪। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’অবশ্যই মু’মিন তার সদাচারিতার কারণে দিনে (নফল) রোযাদার এবং রাতে (নফল) ইবাদতকারীর মর্যাদা পেয়ে থাকে।’’ (আবু দাউদ) [1]
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَت: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «إنَّ المُؤْمِنَ لَيُدْرِكُ بِحُسْنِ خُلُقِه دَرَجَةَ الصَّائِمِ القَائِمِ». رواه أَبُو داود
(73) Chapter: Good Conduct
'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying: "A believer will attain by his good behaviour the rank of one who prays during the night and observes fasting during the day."
[Abu Dawud].
Commentary: The two practices are difficult. But those who manage to keep them will be richly rewarded by Allah. There is a third category of men who fail to observe the above mentioned voluntary practices. Yet they are polite, and courteous in their behaviour towards others and by virtue of this sociable quality, they will also be graded up in the two other categories. And this highlights the significance and excellence of a polite and pleasing behaviour.
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
১০/৬৩৫। আবূ উমামাহ বাহেলী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের শেষ সীমায় একটি ঘর দেওয়ার জন্য জামিন হচ্ছি, যে সত্যাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও কলহ-বিবাদ বর্জন করে। সেই ব্যক্তির জন্য আমি জান্নাতের মধ্যস্থলে একটি ঘরের জামিন হচ্ছি, যে উপহাসছলেও মিথ্যা বলা বর্জন করে। আর সেই ব্যক্তির জন্য আমি জান্নাতের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় একটি ঘরের জামিন হচ্ছি, যার চরিত্র সুন্দর।’’ (আবূ দাউদ) [1]
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَن أَبِي أُمَامَةَ البَاهِليِّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « أنَا زَعِيمٌ بِبَيتٍ في رَبَضِ الجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ المِرَاءَ وَإنْ كَانَ مُحِقّاً، وَبِبَيْتٍ في وَسَطِ الجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الكَذِبَ وَإنْ كَانَ مَازِحاً، وَبِبَيْتٍ في أعلَى الجَنَّةِ لِمَنْ حَسُنَ خُلُقُهُ » . حديث صحيح، رواه أَبُو داود بإسناد صحيح .
(73) Chapter: Good Conduct
Abu Umamah Al-Bahili (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "I guarantee a house in Jannah for one who gives up arguing, even if he is in the right; and I guarantee a home in the middle of Jannah for one who abandons lying even for the sake of fun; and I guarantee a house in the highest part of Jannah for one who has good manners."
[Abu Dawud].
Commentary: Withdrawal from one's right in order to end a dispute is a manly act of great merit. Likewise, this Hadith tells us that a man should avoid telling a lie even in a light vein. If he gives great importance to the rules of the Shari`ah (Islamic Law) and the Commandments of Allah and His Prophet (PBUH), he will definitely refrain from telling a lie even in a chat session or just for the sake of joke. Usually, people don't mind if one tells a lie in a jocular mood, rather some will perhaps approve it. Yet, Allah disapproves of even the harmless or trivial form of falsehood and commands His slaves to keep away from it. From all considerations, however, moral excellence carries immense weight. Because no wrong or evil thing can be shunned without it. In other words, moral excellence surpasses all forms of goodness.
পরিচ্ছেদঃ ৭৩: সচ্চরিত্রতার মাহাত্ম্য
১১/৬৩৬। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমাদের মধ্যে আমার প্রিয়তম এবং কিয়ামতের দিন অবস্থানে আমার নিকটতম ব্যক্তিদের কিছু সেই লোক হবে যারা তোমাদের মধ্যে চরিত্রে শ্রেষ্ঠতম। আর তোমাদের মধ্যে আমার নিকট ঘৃণ্যতম এবং কিয়ামতের দিন অবস্থানে আমার নিকট থেকে দূরতম হবে তারা; যারা ’সারসার’ (অনর্থক অত্যধিক আবোল-তাবোল বলে যারা) ও ’মুতাশাদ্দিক’ (বা আলস্যভরে টেনে টেনে কথা বলে যারা) এবং যারা ’মুতাফাইহিক’ লোক; সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ’সারসার’ (অনর্থক কথাবার্তা যারা বলে) এবং মুতাশাদ্দিক (আলস্যভরে বা কায়দা করে টেনে-টেনে কথা বলে) তাদেরকে তো চিনলাম; কিন্তু ’মুতাফাইহিক’ কারা? রাসূল বললেন, অহংকারীরা।’’ (তিরমিযী, হাসান) [1]
ইমাম তিরমিযী আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক (রাহিমাহুল্লাহ) হতে সচ্চরিত্রতার ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, ’তা হল, সর্বদা হাসিমুখ থাকা, মানুষের উপকার করা এবং কাউকে কষ্ট না দেওয়া।’
بَابُ حُسْنِ الْخُلُقِ - (73)
وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، قَالَ: إنَّ مِنْ أحَبِّكُمْ إليَّ، وَأقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِساً يَوْمَ القِيَامَةِ، أحَاسِنَكُم أخْلاَقاً، وَإنَّ أبْغَضَكُمْ إلَيَّ وَأبْعَدَكُمْ مِنِّي يَوْمَ القِيَامَةِ، الثَّرْثَارُونَ وَالمُتَشَدِّقُونَ وَالمُتَفَيْهقُونَ » قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَدْ عَلِمْنَا الثَّرْثَارُونَ وَالمُتَشَدِّقُونَ ، فمَا المُتَفَيْهقُونَ ؟ قَالَ: المُتَكَبِّرُونَ ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
وروى الترمذي عن عبد الله بن المبارك رحمه الله في تفسير حسن الخلق قال: هو طلاقة الوجه، وبذل المعروف، وكف الأذى.
(73) Chapter: Good Conduct
Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The dearest and nearest among you to me on the Day of Resurrection will be one who is the best of you in manners; and the most abhorrent among you to me and the farthest of you from me will be the pompous, the garrulous, and Al-Mutafaihiqun." The Companions asked him: "O Messenger of Allah! We know about the pompous and the garrulous, but we do not know who Al-Mutafaihiqun are." He replied: "The arrogant people."
[At-Tirmidhi].
Commentary: This Hadith lays emphasis on polite and polished behaviour. Besides, it teaches us to refrain from unnecessary, incautious and insincere talk intended to influence others and assert superiority over them. But to talk less and in simple words is a good thing. On the other hand, to talk much, showing off cleverness with a tinge of affectation, is detestable.