পরিচ্ছেদঃ ২৮: মুসলিমদের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা জরুরী এবং বিনা প্রয়োজনে তা প্রচার করা নিষিদ্ধ

আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ ٱلۡفَٰحِشَةُ فِي ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ﴾ [النور: ١٩]

অর্থাৎ “যারা মু’মিনদের মাঝে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।” (সূরা নূর ১৯ আয়াত)


১/২৪৫। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যে দুনিয়াতে কোনো বান্দার দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ سَتْرِ عَوْرَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَالنَّهْيِ عَنْ إِشَاعَتِهَا لِغَيْرِ ضَرُوْرَةٍ - (28)

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لاَ يَسْتُرُ عَبْدٌ عَبْداً في الدُّنْيَا إلاَّ سَتَرَهُ اللهُ يَوْمَ القِيَامَةِ». رواه مسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «لا يستر عبد عبدا في الدنيا الا ستره الله يوم القيامة». رواه مسلم

(28) Chapter: Covering Faults of the Muslims


Covering Faults of the Muslims

Allah, the Exalted, says:
"Verily, those who like that (the crime of) illegal sexual intercourse should be propagated among those who believe, they will have a painful torment in this world and in the Hereafter.'' (24:19)

Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Allah will cover up on the Day of Resurrection the defects (faults) of the one who covers up the faults of the others in this world".

[Muslim].

Commentary: Covering up the shortcomings and faults of people is an excellent manner. That is why this quality is very much liked by Almighty Allah. On the Day of Resurrection, Allah will give a matching reward to that man who has such a quality, which means that Allah will forgive his sins and will not call him to account for his sins. If at all He will do so, He will not do it publicly so that he is not embarrassed before others. Then Allah may forgive him or send him to Hell for a short while.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৮: মুসলিমদের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা জরুরী এবং বিনা প্রয়োজনে তা প্রচার করা নিষিদ্ধ

২/২৪৬। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’আমার সকল উম্মত মাফ পাবে, তবে পাপ-প্রকাশকারী ব্যতীত। আর এক প্রকার প্রকাশ এই যে, কোনো ব্যক্তি রাতে কোনো পাপকাজ করে, যা আল্লাহ গোপন রাখেন। কিন্তু সকাল হলে সে বলে বেড়ায়, ’হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি।’ অথচ সে এমন অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করেছিল যে, আল্লাহ তার পাপ গুপ্ত রেখেছিলেন। কিন্তু সে সকালে উঠে তার উপর আল্লাহর আবৃত পর্দা খুলে ফেলে!’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ سَتْرِ عَوْرَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَالنَّهْيِ عَنْ إِشَاعَتِهَا لِغَيْرِ ضَرُوْرَةٍ - (28)

وَعَنهُ، قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «كُلُّ أُمَّتِي مُعَافىَ إلاَّ المُجَاهِرِينَ، وَإنّ مِنَ المُجَاهَرَةِ أنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ باللَّيلِ عَمَلاً، ثُمَّ يُصْبِحُ وَقَدْ سَتَرَهُ اللهُ عَلَيهِ، فَيقُولُ : يَا فُلانُ، عَمِلتُ البَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ، وَيُصبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللهِ عَنْه». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعنه، قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: «كل امتي معافى الا المجاهرين، وان من المجاهرة ان يعمل الرجل بالليل عملا، ثم يصبح وقد ستره الله عليه، فيقول : يا فلان، عملت البارحة كذا وكذا، وقد بات يستره ربه، ويصبح يكشف ستر الله عنه». متفق عليه

(28) Chapter: Covering Faults of the Muslims


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Every one of my followers will be forgiven except those who expose (openly) their wrongdoings. An example of this is that of a man who commits a sin at night which Allah has covered for him, and in the morning, he would say (to people): "I committed such and such sin last night,' while Allah had kept it a secret. During the night Allah has covered it up but in the morning he tears up the cover provided by Allah Himself."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: We learn from this Hadith that commission of a sin due to human frailties on which one is ashamed but does not like to express is something which might hopefully be forgiven by Allah. In fact, its remission after penitence is almost sure. But to commit a sin openly is totally different because, firstly, the heart of such a person is deprived of the fear of Allah. Secondly, he has no respect and regard for Divine injunctions. Thirdly, such a person usually does not repent his sins. Fourthly, he makes a declaration of breach of Divine injunctions which amounts to inviting His wrath and punishment.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৮: মুসলিমদের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা জরুরী এবং বিনা প্রয়োজনে তা প্রচার করা নিষিদ্ধ

৩/২৪৭। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’(কারো) দাসী যখন ব্যভিচার করে আর তা প্রমাণিত হয়ে যায়, তখন সে যেন তাকে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত বেত্রাঘাত করে এবং তিরস্কার না করে। অতঃপর দ্বিতীয়বার যদি ব্যভিচার করে, তাহলে সে যেন তাকে শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত বেত্রাঘাত করে এবং তিরস্কার না করে। পুনরায় যদি ব্যভিচার করে, তাহলে যেন চুলের একটি রশির বিনিময়ে হলেও তাকে বিক্রি করে দেয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ سَتْرِ عَوْرَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَالنَّهْيِ عَنْ إِشَاعَتِهَا لِغَيْرِ ضَرُوْرَةٍ - (28)

وعنه عن النبي صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : » إِذَا زَنَتِ الأَمةُ فَتبينَ زِناهَا فَليجلدْها الحدَّ ، ولا يُثَرِّبْعَلَيْهَا ، ثمَّ إِنْ زَنَتِ الثَّانية فَلْيجلدْها الحدَّ ولا يُثرِّبْ عَلَيْهَا ، ثُمَّ إِنْ زَنتِ الثَّالثةَ فَلْيبعَها ولوْ بِحبْلٍ مِنْ شعرٍ «متفق عليه . »التَّثْرِيبُ« : التَّوْبيخُ .

وعنه عن النبي صلى االله عليه وسلم قال : » اذا زنت الامة فتبين زناها فليجلدها الحد ، ولا يثربعليها ، ثم ان زنت الثانية فليجلدها الحد ولا يثرب عليها ، ثم ان زنت الثالثة فليبعها ولو بحبل من شعر «متفق عليه . »التثريب« : التوبيخ .

(28) Chapter: Covering Faults of the Muslims


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "When a slave-girl commits fornication and this fact of fornication has become evident, she must be given the penalty of (fifty) lashes without hurling reproaches at her; if she does it again, she must be given the penalty but she should not be rebuked. If she does it for the third time, he should sell her, even for a rope woven from hair (i.e., something worthless)".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: If a slave-girl is guilty of fornication, she is liable to a punishment of fifty stripes, and this punishment can be given by her master. This Hadith is, in fact addressed to the master of such a slave-girl. The order that one should not censure and reproach her is perhaps based on the consideration that she may abstain from such a sin in future because politeness often proves more effective than reproach. If politeness proves ineffective and she commits that sin again then that slave-girl should be sold for cheap.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৮: মুসলিমদের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা জরুরী এবং বিনা প্রয়োজনে তা প্রচার করা নিষিদ্ধ

৪/২৪৮। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদা) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক মাতালকে উপস্থিত করা হল। তিনি তাকে প্রহার করার আদেশ দিলেন। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমাদের মাঝে কেউ তাকে হাত দ্বারা, কেউ জুতা দ্বারা এবং কেউ বা কাপড় দ্বারা প্রহার করল। লোকটি যখন চলে গেল, তখন এক ব্যক্তি বলল, ’আল্লাহ তোকে লাঞ্ছিত করুক।’ তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’এরূপ বলো না; তার বিরুদ্ধে শয়তানের সাহায্যকারী হয়ো না।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ سَتْرِ عَوْرَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَالنَّهْيِ عَنْ إِشَاعَتِهَا لِغَيْرِ ضَرُوْرَةٍ - (28)

وَعَنهُ، قَالَ : أُتِيَ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ قَدْ شَرِبَ خَمْراً، قَالَ: «اضْربُوهُ»قَالَ أَبُو هريرة : فَمِنَّا الضَّارِبُ بِيَدِهِ، والضَّارِبُ بِنَعْلِهِ، وَالضَّارِبُ بِثَوبِهِ . فَلَمَّا انْصَرَفَ، قَالَ بَعضُ القَومِ : أخْزَاكَ الله، قَالَ: «لا تَقُولُوا هَكَذا، لاَ تُعِينُوا عَلَيهِ الشَّيْطَانَ». رواه البخاري

وعنه، قال : اتي النبي صلى الله عليه وسلم برجل قد شرب خمرا، قال: «اضربوه»قال ابو هريرة : فمنا الضارب بيده، والضارب بنعله، والضارب بثوبه . فلما انصرف، قال بعض القوم : اخزاك الله، قال: «لا تقولوا هكذا، لا تعينوا عليه الشيطان». رواه البخاري

(28) Chapter: Covering Faults of the Muslims


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
A man who had drunk wine was brought to the Prophet (ﷺ) and he asked us to beat him; some struck him with their hands, some with their garments (making a whip) and some with their sandals. When he (the drunkard) had gone, some of the people said: "May Allah disgrace you!" He (the Prophet (ﷺ)) said, "Do not say so. Do not help the devil against him".

[Al-Bukhari].

Commentary: To imprecate a Muslim virtually amounts to helping Satan against him, because the latter is avowed to mislead people and to expose man to humiliation in this world and the Hereafter. Such people who believe that no Hadd punishment is fixed for drinking take support from this Hadith. They hold that its punishment is discretionary which can be increased or decreased according to the circumstances. But other learned men who hold that its Hadd
is forty stripes argue that the incident quoted in this Hadith relates to the period when its Hadd had not been fixed. When the Prophet (PBUH) ordered the punishment of forty stripes for it then it became its prescribed Hadd. Abu Bakr (May Allah be pleased with him) followed it during the period of his caliphate. `Umar (May Allah be pleased with him) also applied it in the early years of his caliphate but subsequently raised its punishment to eighty stripes. The `Ulama' who maintain the punishment of forty stripes contend that the original Hadd was forty stripes and the
additional forty stripes comprised discretionary punishment for which the Head of a state has full authority. If he feels, he can add discretionary punishment to the Hadd. The nature of this additional punishment depends on his discretion. The latter opinion seems to be more correct that Hadd is fixed for drinking and its punishment is not based on discretion. The Hadd for it is forty stripes but this Hadd can be increased by adding discretionary punishment to it. Allah knows best.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে