পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ وَمَن يُعَظِّمۡ حُرُمَٰتِ ٱللَّهِ فَهُوَ خَيۡرٞ لَّهُۥ عِندَ رَبِّهِۦۗ ﴾ [الحج: ٣٠]

অর্থাৎ “কেউ আল্লাহর (দ্বীনের) প্রতীকসমূহের সম্মান করলে তার প্রতিপালকের নিকট তার জন্য এটাই উত্তম।” (সূরা হাজ্জ্ব ৩০ আয়াত)

আরো বলেন,

﴿وَمَن يُعَظِّمۡ شَعَٰٓئِرَ ٱللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقۡوَى ٱلۡقُلُوبِ ﴾ [الحج: ٣٢]

অর্থাৎ “কেউ আল্লাহর (দ্বীনের) প্রতীকসমূহের সম্মান করলে এটা তো তার হৃদয়ের সংযমশীলতারই বহিঃপ্রকাশ।” (সূরা হাজ্জ্ব ৩২ আয়াত)

তিনি বলেন,

﴿ وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢١٥ ﴾ [الشعراء: ٢١٥]

অর্থাৎ “বিশ্বাসীদের জন্য তুমি তোমার বাহুকে অবনমিত রাখ।” (হিজ্‌র ৮৮আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿مَن قَتَلَ نَفۡسَۢا بِغَيۡرِ نَفۡسٍ أَوۡ فَسَادٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ ٱلنَّاسَ جَمِيعٗا وَمَنۡ أَحۡيَاهَا فَكَأَنَّمَآ أَحۡيَا ٱلنَّاسَ جَمِيعٗاۚ ﴾ [المائ‍دة: ٣٢]

অর্থাৎ “যে ব্যক্তি নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করার দণ্ডদান উদ্দেশ্য ছাড়া কাউকে হত্যা করল, সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষকেই হত্যা করল। আর কেউ কারো প্রাণরক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল।” (সূরা মায়েদাহ ৩২ আয়াত)


হাদীসসমূহঃ

১/২২৭। আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’এক মু’মিন অপর মু’মিনের জন্য অট্টালিকার ন্যায়, যার এক অংশ অন্য অংশকে মজবূত করে রাখে।’’ তারপর তিনি (বুঝাবার জন্য) তাঁর এক হাতের আঙ্গুলগুলি অপর হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঢুকালেন।[1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

عن أَبي موسى رضي اللَّه عنه قال : قال رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : »الْمُؤْمنُ للْمُؤْمِن آَالْبُنْيَانِيَشدُّ بعْضُهُ بَعْضاً « وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِه . متفق عليه .

عن ابي موسى رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى االله عليه وسلم : »المومن للمومن االبنيانيشد بعضه بعضا « وشبك بين اصابعه . متفق عليه .

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Reverence towards the Sanctity of the Muslims

Allah, the Exalted, says:
"And whosoever honours the sacred things of Allah, then that is better for him with his Rubb". (22:30)
"And whosoever honours the Symbols of Allah, then it is truly from the piety of the heart". (22:32)
"And lower your wing for the believers (be courteous to the fellow believers)". (15:88)
"...if anyone killed a person not in retaliation of murder, or (and) to spread mischief in the land - it would be
as if he killed all mankind, and if anyone saved a life, it would be as if he saved the life of all mankind". (5:32)


Abu Musa (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The relationship of the believer with another believer is like (the bricks of) a building, each strengthens the other." He (ﷺ) illustrated this by interlacing the fingers of both his hands.

[Al-Bukhari and Muslim]

Commentary: This Hadith enjoins unity in the Muslim community, each member of which is like a brick, which, when they are all combined, lend strength to each other. Similarly, Muslims are like hands and arms, which physically joined together, are bound to co-operate with one another.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

২/২২৮। আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ’রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি তীর সঙ্গে নিয়ে আমাদের কোনো মসজিদ অথবা কোনো বাজারের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করবে, তার উচিত হবে, হাতের তালু দ্বারা তার ফলাকে ধরে নেওয়া। যাতে কোনো মুসলিম তার দ্বারা কোনো প্রকার কষ্ট না পায়।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وعنه قال : قال رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » مَن مَرَّ فِي شَيْءٍ مِنْ مَسَاجِدِنَا ، أَوْ أَسْوَاقِنَا،ومَعَه نَبْلٌ فَلْيُمْسِكْ ، أَوْ لِيَقْبِضْ عَلَى نِصالِهَا بِكفِّهِ أَنْ يُصِيب أَحَداً مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِنْهَا بِشَيْءٍ « متفق عليه .

وعنه قال : قال رسول الله صلى االله عليه وسلم : » من مر في شيء من مساجدنا ، او اسواقنا،ومعه نبل فليمسك ، او ليقبض على نصالها بكفه ان يصيب احدا من المسلمين منها بشيء « متفق عليه .

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Abu Musa (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whoever enters our mosque or passes through our market with arrows with him, he should hold them by their heads lest it should injure any of the Muslims".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Islam has made a forceful and elaborate arrangement for the security of the lives of the Muslims, but
the abundance of arms and ammunition has vitiated this arrangement. Its senseless use has resulted in killing at large
scale. It is used even on happy occasions to spread terror. Sometimes firing in the air for jubilation, costs some
precious lives. Similarly, display of fireworks on festivities is a cause of great nuisance for the people living in that
locality. May Allah grant us guidance to adhere to His Injunctions in every walk of life.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

৩/২২৯। নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মু’মিনদের একে অপরের প্রতি সম্প্রীতি, দয়া ও মায়া-মমতার উদাহরণ (একটি) দেহের মত। যখন দেহের কোন অঙ্গ পীড়িত হয়, তখন তার জন্য সারা দেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وعن النُّعْمَانِ بنِ بشِيرٍ رضي اللَّه عنهما قال : قال رسولُ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم: » مثَلُ الْمُؤْمِنِينَفِي تَوَادِّهِمْ وتَرَاحُمِهِمْ وتَعاطُفِهِمْ ، مَثَلُ الْجَسَدِ إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ تَداعَى لهُ سائِرُ الْجسدِ بالسهَرِ والْحُمَّى« متفقٌ عليه .

وعن النعمان بن بشير رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى االله عليه وسلم: » مثل المومنينفي توادهم وتراحمهم وتعاطفهم ، مثل الجسد اذا اشتكى منه عضو تداعى له ساىر الجسد بالسهر والحمى« متفق عليه .

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Nu'man bin Bashir (May Allah bepleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The believers in their mutual kindness, compassion and sympathy are just like one body. When one of the limbs suffers, the whole body responds to it with wakefulness and fever".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has the same purport which is mentioned in the previous Hadith. It says that Muslims
are akin to a living person. When he feels pain in one of his eyes, for example, his entire body feels it. When he
suffers from a headache, he feels its pain throughout his body.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

৪/২৩০। আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু ’আনহুমা-কে চুমু দিলেন। ঐ সময় তাঁর নিকট আক্বরা’ ইবনু হাবেস বসা ছিলেন। আক্বরা’ বললেন, ’আমার দশটি ছেলে আছে, আমি তাদের কাউকেই কোনোদিন চুমু দেইনি।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, ’’যে দয়া করে না, তার প্রতি দয়া করা হয় না।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وعن أَبي هُريْرَةَ رضي اللَّه عنه قال : قبَّل النَّبِيُّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم الْحسنَ ابن عَليٍّ رضي اللَّهعنهما ، وَعِنْدَهُ الأَقْرعُ بْنُ حَابِسٍ ، فقال الأَقْرَعُ : إِنَّ لِي عَشرةً مِنَ الْولَدِ ما قَبَّلتُ مِنْهُمْ أَحداً فنَظَر إِلَيْهِرسولُ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم فقال : »مَن لا يَرْحمْ لا يُرْحَمْ« متفقٌ عليه .

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال : قبل النبي صلى االله عليه وسلم الحسن ابن علي رضي اللهعنهما ، وعنده الاقرع بن حابس ، فقال الاقرع : ان لي عشرة من الولد ما قبلت منهم احدا فنظر اليهرسول الله صلى االله عليه وسلم فقال : »من لا يرحم لا يرحم« متفق عليه .

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) kissed his grandson Al-Hasan bin 'Ali (May Allah bepleased with them) in the presence of Al-Aqra' bin Habis. Thereupon he remarked: "I have ten children and I have never kissed any one of them." Messenger of Allah (ﷺ) looked at him and said, "He who does not show mercy to others will not be shown mercy".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: To kiss children with kindness and affection is not only permissible but also a means of attaining
Allah's Mercy.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

৫/২৩১। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, কিছু বেদুঈন লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, ’আপনারা কি আপনাদের শিশু-সন্তানদেরকে চুমু দিয়ে থাকেন?’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হ্যাঁ।’’ তারা বলল, ’কিন্তু আল্লাহর কসম! আমরা চুমু দেই না।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’আল্লাহ যদি তোমাদের অন্তর থেকে দয়া উঠিয়ে নেন, তবে আমি কি তার মালিক করে দিতে পারি?’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ : قَدِمَ نَاسٌ مِنَ الأعْرَابِ عَلَى رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم، فَقَالُوا : أتُقَبِّلُونَ صِبْيَانَكُمْ ؟ فَقَالَ:
«نَعَمْ»قَالُوا : لَكِنَّا وَاللهِ مَا نُقَبِّلُ! فَقَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: «أَوَ أَمْلِك إنْ كَانَ اللهُ نَزَعَ مِنْ قُلُوبِكُم الرَّحْمَةَ !». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت : قدم ناس من الاعراب على رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقالوا : اتقبلون صبيانكم ؟ فقال: «نعم»قالوا : لكنا والله ما نقبل! فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «او املك ان كان الله نزع من قلوبكم الرحمة !». متفق عليه

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


'Aishah (May Allah bepleased with her) reported:
Some bedouins came to Messenger of Allah (ﷺ) and asked: "Do you kiss your children?" He said, "Yes". They then said: "By Allah, we do not kiss them." The Prophet (ﷺ) replied, "I cannot help you if Allah has snatched kindness from your hearts".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Showing kindness and affection to children is a sign of that mercy and compassion with which Allah
endows mankind.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

৬/২৩২। জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করবে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করবেন না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وَعَن جَرِيرِ بنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ لاَ يَرْحَمِ النَّاسَ لاَ يَرْحَمْهُ الله». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن جرير بن عبد الله رضي الله عنه، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «من لا يرحم الناس لا يرحمه الله». متفق عليه

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Jarir bin 'Abdullah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who is not merciful to people Allah will not be merciful to him."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Kind treatment to Allah's creatures is very much liked by Allah. Even animals and birds are included in this category. Kind treatment with them makes a person eligible to the Mercy of Allah. Decent behavior with people has been specifically mentioned in this Hadith although all creatures are covered by it


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

৭/২৩৩। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমাদের কেউ যখন লোকদের নিয়ে নামায পড়ে, তখন সে যেন সংক্ষেপ করে। কারণ তাদের মাঝে দুর্বল, অসুস্থ ও বৃদ্ধ লোক থাকে। আর যখন কেউ একাকী নামায পড়ে, তখন সে ইচ্ছামত দীর্ঘ করতে পারে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وعن أَبي هُريرةَ رضي اللَّه عنه ، أَنَّ رسولَ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : » إِذا صلى أَحدُآُمْ للنَّاسِفلْيُخَفِّفْ ، فَإِنَّ فِيهِمْ الضَّعِيفَ وَالسقيمَ والْكَبِيرَ . وإِذَا صَلَّى أَحَدُآُمْ لِنَفْسِهِ فَلْيطَوِّل ما شَاءَ « متفقٌ عليه .وفي روايةٍ : » وذَا الْحاجَةِ « .

وعن ابي هريرة رضي الله عنه ، ان رسول الله صلى االله عليه وسلم قال : » اذا صلى احدام للناسفليخفف ، فان فيهم الضعيف والسقيم والكبير . واذا صلى احدام لنفسه فليطول ما شاء « متفق عليه .وفي رواية : » وذا الحاجة « .

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "When one of you leads the Salat, he should not prolong it because the congregation includes those who are feeble, ill or old". One version adds: "those who have to attend to work") While offering prayers alone, you may pray as long as you like".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: According to this Hadith, the Imam - one who leads the congregational prayer, is enjoined to shorten the prayer in consideration of those who pray behind him. Shortening of prayer here means that the Surah of the Qur'an recited by him in the prayer should not be very long. This does not mean, however, that the postures of Salat, such as standing, bowing, prostration and sitting should not be done properly, as it is taken to mean by Muslims in general. Although it is a Sunnah about which the Noble Prophet (PBUH) is reported to have said, "Pray as you see me praying.'' Thus, it is essential to perform Salat properly.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

৮/২৩৪। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো (নফল) আমল করতে পছন্দ করা সত্ত্বেও এই ভয়ে ছেড়ে দিতেন যে, লোকেরা তা আমল করবে এবং তার ফলে তাদের উপর তা ফরয করে দেওয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وعن عائشة رضي اللَّه عنها قَالَتْ : إِنْ آَان رسولُ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم لَيدعُ الْعَمَلَ ، وهُوَ يحِبُّأَنَ يَعْملَ بِهِ ، خَشْيةَ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ النَّاسُ فيُفْرَضَ عَلَيْهِمْ « متفقٌ عليه

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت : ان اان رسول الله صلى االله عليه وسلم ليدع العمل ، وهو يحبان يعمل به ، خشية ان يعمل به الناس فيفرض عليهم « متفق عليه

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


'Aishah (May Allah bepleased with her) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) would sometimes abstain from doing something he wished to do, lest others should follow him and it might become obligatory upon them.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith indicates the affection which the Prophet (PBUH) had for his followers. In spite of his fervent desire, he would sometime deliberately leave voluntary prayer lest it became obligatory upon the Muslims.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

৯/২৩৫। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে দয়াপূর্বক ’সওমে ওয়িসাল’ (বিনা ইফতারে একটানা রোযা) রাখতে নিষেধ করেছেন। তাঁরা বললেন, ’’আপনি তো ’সওমে ওয়িসাল’ রাখছেন?’’ তিনি বললেন, ’’আমি তোমাদের মত নই। আমাকে তো আমার প্রতিপালক রাতে পানাহার করান।’’ বুখারী ও মুসলিম) [1]

অর্থাৎ পানাহারকারীর মত শক্তি দান করেন।

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

عنْهَا رضي اللَّه عنها قالَتْ : نَهَاهُمْ النَّبِيُّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم عَن الْوِصال رَحْمةً لهُمْ ، فقالوا: إِنَّكَتُواصلُ ؟ قال : » إِنِّي لَسْتُ آَهَيئَتِكُمْ إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُني رَبِّي ويَسْقِيني « متفقٌ عليه مَعناهُ : يجعَلُ فيَّ قُوَّةَمَنْ أَآَلَ وَشَرَبَ .

عنها رضي الله عنها قالت : نهاهم النبي صلى االله عليه وسلم عن الوصال رحمة لهم ، فقالوا: انكتواصل ؟ قال : » اني لست اهيىتكم اني ابيت يطعمني ربي ويسقيني « متفق عليه معناه : يجعل في قوةمن اال وشرب .

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


'Aishah (May Allah bepleased with her) reported:
The Prophet (ﷺ) prohibited his Companions out of mercy for them, from observing continuous fasting without a break. They said: "But you observe fast continuously". He replied, "I am not like you. I spend the night while my Rubb provides me with food and drink".

[Al-Bukhari and Muslim].

(This means that Allah has bestowed upon him the power of endurance like that of a person who eats and drinks).

Commentary: The words "I am not like you'' should not be taken to mean here: "I am not a human like you". What they really mean is that no one else has that special contact with Allah which he has. On account of this quality which was special to the Prophet (PBUH), it is prohibited to keep fast continuously. In fact it is not only prohibited,but unlawful. In such cases, it is obligatory for Muslims to follow him faithfully.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১০/২৩৬। আবূ কাতাদাহ্ হারেস ইবনু রিব’য়ী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আমি নামায পড়তে দাঁড়াই এবং আমার ইচ্ছা হয় তা দীর্ঘ করি। অতঃপর আমি শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনি। ফলে আমি তার মায়ের কষ্ট হওয়াটা অপছন্দ মনে করে নামায সংক্ষিপ্ত করি।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وعن أَبي قَتادَةَ الْحارِثِ بنِ ربْعي رضي اللَّه عنه قال : قال رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : »إِنِّيلأَقُومُ إِلَى الصَّلاةِ ، وَأُرِيدُ أَنْ أُطَوِّل فِيها ، فَأَسْمعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ ، فَأَتَجوَّزَ فِي صلاتِي آَرَاهِيَةَ أَنْ أَشُقَّ عَلَىأُمِّهِ « رواه البخاري .

وعن ابي قتادة الحارث بن ربعي رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى االله عليه وسلم : »انيلاقوم الى الصلاة ، واريد ان اطول فيها ، فاسمع بكاء الصبي ، فاتجوز في صلاتي اراهية ان اشق علىامه « رواه البخاري .

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Abu Qatadah Al-Harith bin Rib'i (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "I stand up to lead Salat with the intention of prolonging it. Then I hear the crying of an infant and I shorten the Salat lest I should make it burdensome for his mother".

[Al-Bukhari].

Commentary: In this Hadith, brevity of prayers stands for recitation of short Surah of the Noble Qur'an inprescribed congregational prayers. The Sahih Muslim has elucidated this by saying that the Prophet (PBUH) wouldrecite short Surah on hearing the crying of a baby. In short, this Hadith mentions that affection which he had for hisfollowers. Its importance can be judged by the fact that he made a demonstration of it even in the prescribed prayers.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১১/২৩৭। জুন্দুব ইবনু আব্দিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি ফজরের নামায (জামা’আতে) পড়ল, সে আল্লাহর যিম্মাদারীতে চলে এল। সুতরাং আল্লাহ যেন তোমাদের কাছে তার যিম্মার কিছু দাবী না করেন। কারণ, যার কাছেই তিনি তাঁর যিম্মার কিছু দাবী করবেন, তাকে পাকড়াও করবেন। অতঃপর তিনি তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’’ (মুসলিম) [1]

(বলা বাহুল্য, যে নামায পড়ে, সে আল্লাহর যিম্মাদারীতে। সুতরাং সে সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র।)

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وَعَن جُندُبِ بنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: «مَنْ صَلَّى صَلاةَ الصُّبْحِ فَهُوَ في ذِمَّةِ الله فَلاَ يَطْلُبَنَّكُمُ الله مِنْ ذِمَّته بشَيءٍ، فَإنَّهُ مَنْ يَطْلُبْهُ منْ ذمَّته بشَيءٍ يُدْركْهُ، ثُمَّ يَكُبُّهُ عَلَى وَجْهِهِ في نَارِ جَهَنَّمَ». رواه مسلم

وعن جندب بن عبد الله رضي الله عنه، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من صلى صلاة الصبح فهو في ذمة الله فلا يطلبنكم الله من ذمته بشيء، فانه من يطلبه من ذمته بشيء يدركه، ثم يكبه على وجهه في نار جهنم». رواه مسلم

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Jundub bin Abdullah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "When anyone offers the Fajr (dawn) prayer, in congregation, he is in the Protection of Allah. So let not Allah call him to account, withdrawing, in any respect, His Protection. Because, He will get hold of him and throw him down on his face in the Hell-fire."

[Muslim]

Commentary: This Hadith tells us that the Fajr prayer is in the nature of an agreement between Allah and His slave(Muslim). It tells us that he would not all day long depart from the way of Allah as he has not done by performing his Fajr prayer. He will not only perform all the other prescribed prayers but would also do nothing which will displease Allah. A Muslim who does not care to adhere to this agreement, and thereby shows disobedience of Allah,will be answerable to Him for it on the Day of Resurrection.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১২/২৩৮। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহুমা কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুসলিম মুসলিমের ভাই, সে তার উপর অত্যাচার করবে না এবং তাকে অত্যাচারীর হাতে ছেড়ে দেবে না। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূর্ণ করবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূর্ণ করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের কোনো এক বিপদ দূর করে দেবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বহু বিপদের একটি বিপদ দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন করবে, আল্লাহ কিয়ামতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন করবেন।’’ বুখারী, মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنهُمَا : أنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «المُسْلِمُ أَخُو المُسْلِم، لا يَظْلِمهُ، وَلاَ يُسْلِمُهُ. مَنْ كَانَ في حَاجَة أخيه، كَانَ اللهُ في حَاجَته، وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِم كُرْبَةً، فَرَّجَ اللهُ عَنْهُ بها كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَومِ القِيَامَةِ، وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِماً سَتَرَهُ اللهُ يَومَ القِيامَةِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابن عمر رضي الله عنهما : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «المسلم اخو المسلم، لا يظلمه، ولا يسلمه. من كان في حاجة اخيه، كان الله في حاجته، ومن فرج عن مسلم كربة، فرج الله عنه بها كربة من كرب يوم القيامة، ومن ستر مسلما ستره الله يوم القيامة». متفق عليه

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Ibn 'Umar (May Allah bepleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "A Muslim is a brother of another Muslim. So he should not oppress him nor should he hand him over to (his satan or to his self which is inclined to evil). Whoever fulfills the needs of his brother, Allah will fulfill his needs; whoever removes the troubles of his brother, Allah will remove one of his troubles on the Day of Resurrection; and whoever covers up the fault of a Muslim, Allah will cover up his fault on the Day of Resurrection".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith is extremely important for the reason that it advises Muslims to live like family members. It says that one does not like to subject one's own son, brother, etc, to suppression, nor leaves him helpless in trouble, but helps him when he is in need of it, endeavors to relieve him of hardship and admonishes him when he does anything wrong. Almighty Allah is pleased with such behavior and gives him best reward for it in this world and the next.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১৩/২৩৯। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার বিশ্বাসঘাতকতা করবে না, তাকে মিথ্যা বলবে না (বা মিথ্যাবাদী ভাববে না), তার সাহায্য না করে তাকে অসহায় ছেড়ে দেবে না। এক মুসলিমের মর্যাদা, মাল ও খুন অপর মুসলিমের জন্য হারাম। তাকওয়া তথা আল্লাহ-সচেতনতা এখানে (অন্তরে) রয়েছে। কোনো মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ মনে করাটাই একটি মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’’ তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: «المُسْلِمُ أخُو المُسْلِمُ، لاَ يَخُونُهُ، وَلاَ يَكْذِبُهُ، وَلاَ يَخْذُلُهُ، كُلُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِم حَرَامٌ عِرْضُهُ وَمَالهُ وَدَمُهُ، التَّقْوى هاهُنَا، بحَسْب امْرىءٍ مِنَ الشَّرِّ أنْ يَحْقِرَ أخَاهُ المُسْلِم». رواه الترمذي، وَقالَ: حديث حسن

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «المسلم اخو المسلم، لا يخونه، ولا يكذبه، ولا يخذله، كل المسلم على المسلم حرام عرضه وماله ودمه، التقوى هاهنا، بحسب امرىء من الشر ان يحقر اخاه المسلم». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "A Muslim is a brother to a Muslim. He should neither deceive him nor lie to him, nor leave him without assistance. Everything belonging to a Muslim is inviolable for a Muslim; his honour, his blood and property. Piety is here (and he pointed out to his chest thrice). It is enough for a Muslim to commit evil by despising his Muslim brother."

[At- Tirmidhi].

Commentary: This Hadith deals with the subject discussed in the preceding one. In fact, it elucidates the points raised there. Now, the heart is one thing which no one can check out; Allah Alone knows about it. The case of those who openly lead a sinful and impious life is of course quite different. To show hatred and disgust against such people is warranted by Faith.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১৪/২৪০। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করো না, কেনা-বেচাতে জিনিসের মূল্য বাড়িয়ে একে অপরকে ধোঁকা দিয়ো না, একে অপরের প্রতি শত্রুতা রেখো না, এক অপর থেকে (ঘৃণাভরে) মুখ ফিরায়ো না এবং একে অপরের (জিনিস) কেনা-বেচার প্রস্তাবের উপর কেনা-বেচা করো না। আর হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা ভাই-ভাই হয়ে যাও। মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার প্রতি যুলুম করবে না, তাকে তুচ্ছ ভাববে না এবং তাকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দেবে না। তাকওয়া তথা আল্লাহ-সচেতনতা এখানে (অন্তরে) রয়েছে। (তিনি নিজ বুকের দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা তিনবার বললেন।) কোন মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ ভাবা একটি মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, মাল এবং তার মর্যাদা অপর মুসলিমের উপর হারাম।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وعنه قال : قال رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » لا تَحاسدُوا ولا تناجشُوا ولا تَباغَضُوا ولاتَدابرُوا ولا يبِعْ بعْضُكُمْ عَلَى بيْعِ بعْضٍ ، وآُونُوا عِبادَ اللَّه إِخْواناً. المُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِم لا يَظلِمُه ولا يَحْقِرُهُولا يَخْذُلُهُ . التَّقْوَى هَاهُنا ويُشِيرُ إِلَى صَدْرِهِ ثَلاَثَ مرَّاتٍ بِحسْبِ امْرِيءٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يَحْقِر أَخاهُ المسلم . آُلَّالْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ حرامٌ دمُهُ ومالُهُ وعِرْضُهُ « رواه مسلم .«النَّجَش « أَنْ يزِيدَ فِي ثَمنِ سلْعةٍ يُنَادِي عَلَيْهَا فِي السُّوقِ ونحْوهِ ، ولا رَغْبةَ لَه فِي شِرائهَا بَلْ يقْصِد أَنْيَغُرَّ غَيْرهُ ، وهَذا حرامٌ . » والتَّدابُرُ « : أَنْ يُعرِض عنِ الإِنْسانِ ويهْجُرَهُ ويجعلَهُ آَالشَّيءِ الذي وراءَ الظهْروالدُّبُرِ .

وعنه قال : قال رسول الله صلى االله عليه وسلم : » لا تحاسدوا ولا تناجشوا ولا تباغضوا ولاتدابروا ولا يبع بعضكم على بيع بعض ، واونوا عباد الله اخوانا. المسلم اخو المسلم لا يظلمه ولا يحقرهولا يخذله . التقوى هاهنا ويشير الى صدره ثلاث مرات بحسب امريء من الشر ان يحقر اخاه المسلم . الالمسلم على المسلم حرام دمه وماله وعرضه « رواه مسلم .«النجش « ان يزيد في ثمن سلعة ينادي عليها في السوق ونحوه ، ولا رغبة له في شراىها بل يقصد انيغر غيره ، وهذا حرام . » والتدابر « : ان يعرض عن الانسان ويهجره ويجعله االشيء الذي وراء الظهروالدبر .

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Do not envy one another; do not inflate prices by overbidding against one another; do not hate one another; do not harbor malice against one another; and do not enter into commercial transaction when others have entered into that (transaction); but be you, O slaves of Allah, as brothers. A Muslim is the brother of another Muslim; he neither oppresses him nor does he look down upon him, nor does he humiliate him. Piety is here, (and he pointed to his chest three times). It is enough evil for a Muslim to hold his brother Muslim in contempt. All things of a Muslim are inviolable for his brother-in-faith: his blood, his property and his honor".

[Muslim].

Commentary: This Hadith elaborates the importance of mutual brotherhood and goodwill among the Muslims.They are warned against jealousy which is a very malicious moral disease. One who suffers from it does not like to see others in happy circumstances and wants that they are deprived of whatever good they have.This Hadith also prohibits Muslims from mutual hatred, enmity and indifference to others because all such things go against the concept of Islamic fraternity. The Hadith also warns Muslims against Najash (false bidding to raise the price in an auction) as it is clear deception and fraud is opposed to goodwill for others, while Muslims are required to express for each other goodwill, not ill-will.This Hadith also prohibits making one bargain over the others because it generate malice and enmity.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১৬/২৪১। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’তোমাদের মধ্যে কেউ (পূর্ণ) মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لاَ يُؤمِنُ أحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لأخِيهِ مَا يُحِبُّ لنَفْسِهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن انس رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «لا يومن احدكم حتى يحب لاخيه ما يحب لنفسه». متفق عليه

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Anas (May Allah bepleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "No one of you shall become a true believer until he desires for his brother what he desires for himself".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith deals more comprehensively with the subject discussed above. When a Muslim likes the same thing for another Muslim which he does for himself, then he will be obviously expressing goodwill to his fellow Muslims. When Muslims adopt this attitude at the community level, no Muslim will be an enemy of the other. In fact, each Muslim would then be a well-wisher and helper of other Muslims. May Allah enable us to adopt this attitude.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১৭/২৪২। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে অত্যাচারী হোক অথবা অত্যাচারিত।’’ তিনি (আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু) বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! অত্যাচারিতকে সাহায্য করার বিষয়টি তো বুঝলাম; কিন্তু অত্যাচারীকে কিভাবে সাহায্য করব?’ তিনি বললেন, ’’তুমি তাকে অত্যাচার করা হতে বাধা দেবে, তাহলেই তাকে সাহায্য করা হবে।’’(বুখারী) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وَعَنهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «انْصُرْ أخَاكَ ظَالماً أَوْ مَظْلُوماً».فَقَالَ رجل : يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أنْصُرُهُ إِذَا كَانَ مَظْلُوماً، أرَأيْتَ إنْ كَانَ ظَالِماً كَيْفَ أنْصُرُهُ ؟ قَالَ: «تحْجُزُهُ ـ أَوْ تمْنَعُهُ ـ مِنَ الظُلْمِ فَإِنَّ ذلِكَ نَصرُهُ». رواه البخاري

وعنه، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «انصر اخاك ظالما او مظلوما».فقال رجل : يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، انصره اذا كان مظلوما، ارايت ان كان ظالما كيف انصره ؟ قال: «تحجزه ـ او تمنعه ـ من الظلم فان ذلك نصره». رواه البخاري

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Anas (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Help your brother, whether he is an oppressor or is oppressed". A man enquired: "O Messenger of Allah! I help him when he is oppressed, but how can I help him when he is an oppressor?" He (ﷺ) said, "You can keep him from committing oppression. That will be your help to him".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith contains a very comprehensive injunction to eliminate disturbance and tyranny in the Muslim society. It not only ordains helping the oppressed but also encourages people endowed with moral courage
to stop the oppressor's oppression. Doing so requires great courage and boldness, but Muslims would be able to do full justice to their duty of wishing well to their fellow Muslims when they develop the moral courage to stop the oppressor from tyranny, or at least protest against it verbally.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১৮/২৪৩। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’মুসলিমের উপর মুসলিমের পাঁচটি অধিকার রয়েছেঃ
(১) সালামের জবাব দেওয়া
(২) রোগীকে দেখতে যাওয়া
(৩) জানাযায় অংশ গ্রহণ করা
(৪) দাওয়াত গ্রহণ করা এবং
(৫) কেউ হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’’ (বুখারী ও মুসলিম)

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’মুসলিমের উপর মুসলিমের অধিকার ছয়টিঃ তুমি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তাকে সালাম দাও, সে তোমাকে দাওয়াত দিলে তার দাওয়াত গ্রহণ কর, সে তোমার কাছে উপদেশ চাইলে তুমি তাকে উপদেশ দাও, সে হাঁচি দিয়ে ’আলহামদু লিল্লাহ’ বললে তার জবাব দাও, সে অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাও এবং সে মারা গেলে তার জানাযায় অংশ গ্রহণ কর।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «حَقُّ المُسْلِم عَلَى المُسْلِم خَمْسٌ : رَدُّ السَّلامِ، وَعِيَادَةُ المَريض، وَاتِّبَاعُ الجَنَائِزِ، وَإجَابَةُ الدَّعْوَة، وتَشْميتُ العَاطِسِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ .

وفي رواية لمسلم: حَقُّ المُسْلِم عَلَى المُسْلِم ستٌّ : إِذَا لَقيتَهُ فَسَلِّمْ عَلَيهِ، وَإِذَا دَعَاكَ فَأجبْهُ، وإِذَا اسْتَنْصَحَكَ فَانْصَحْ لَهُ، وإِذَا عَطَسَ فَحَمِدَ الله فَشَمِّتْهُ، وَإِذَا مَرِضَ فَعُدْهُ، وَإِذَا مَاتَ فَاتَّبِعْهُ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «حق المسلم على المسلم خمس : رد السلام، وعيادة المريض، واتباع الجناىز، واجابة الدعوة، وتشميت العاطس». متفق عليه . وفي رواية لمسلم: حق المسلم على المسلم ست : اذا لقيته فسلم عليه، واذا دعاك فاجبه، واذا استنصحك فانصح له، واذا عطس فحمد الله فشمته، واذا مرض فعده، واذا مات فاتبعه

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "A believer owes another believer five rights: responding to greetings, visiting him in illness, following his funeral, accepting his invitation, and saying 'Yarhamuk-Allah (May Allah have mercy on you),' when he says 'Al-hamdu lillah (Praise be to Allah)' after sneezing".

[Al-Bukhari and Muslim].

Muslim's narration is, "There are six rights of a Muslim upon a Muslim: When you meet him, greet him; when he invites you, respond to him; when he seeks counsel, give him advice; when he sneezes and praises Allah, say to him: 'May Allah have mercy on you (Yarhamuk-Allah)'; when he is sick, visit him; and when he dies, follow his funeral".

Commentary: The bond of brotherhood among the Muslims has been further strengthened by the list in this Hadith about the rights of Muslims on one another.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৭: মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

১৯/২৪৪। আবূ ’উমারাহ বারা’ ইবনু আযেব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাতটি কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি রোগীকে দেখতে যেতে, জানাযায় অংশগ্রহণ করতে, কেউ হাঁচি দিলে তার জবাব দিতে, শপথকারীর শপথ রক্ষা করতে, নিপীড়িতদের সাহায্য করতে, সালামের প্রসার ঘটাতে এবং কেউ দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তিনি আমাদেরকে সোনার আংটি পরতে, রূপার পাত্র ব্যবহার করতে, রেশমের জিনপোশ, কাস্‌সী, ইস্তাবরাক ও দীবাজ (সর্বপ্রকার রেশমী পোশাক) ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ تَعْظِيْمِ حُرُمَاتِ الْمُسْلِمِيْنَ وَبَيَانِ حُقُوْقِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَرَحْمَتِهِمْ - (27)

وعن أَبي عُمارة الْبراءِ بنِ عازبٍ رضي اللَّه عنهما قال : أَمرنا رسولُ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم بِسبْعٍ: أَمرنَا بِعِيادة الْمرِيضِ ، وَاتِّبَاعِ الْجنازةِ ، وتَشْمِيتِ الْعاطِس ، وَإِبْرارِ الْمُقْسِمِ ، ونَصْرِ المظْلُومِ ، وَإِجابَةِالدَّاعِي ، وإِفْشاءِ السَّلامِ . وَنَهانَا عَنْ خواتِيمَ أَوْ تَختُّمٍ بالذَّهبِ ، وَعنْ شُرْبٍ بالفَضَّةِ ، وعَنِ المياثِرِ الحُمْرِ ،وَعَنِ الْقَسِّيِّ ، وَعَنْ لُبْسِ الحَرِيرِ وَالإِسْتَبْرَقِ وَالدِّيبَاجِ . متفق عليه .وفي روايةٍ : وإِنْشَادِ الضَّالةِ فِي السَّبْعِ الأُولِ .«المياثِرِ « بيَاء مُثَنَّاةٍ قبْلَ الأَلِفِ ، وَثَاء مثلثة بعْدَهَا ، وَهِيَ جمْعُ مَيْثِرةٍ ، وَهِي شَيْءٌ يتَّخَذُ مِنْ حرِيرٍوَيُحْشَى قُطْناً أَوْ غَيْرَهُ ويُجْعلُ فِي السُّرُجِ وآُورِ الْبعِيرِ يجْلِسُ عَلَيْهِ الرَّاآِبُ »والقَسيُّ« بفتحِ القاف وآسرالسينِ المهملة المشدَّدةِ : وَهِيَ ثِيَابٌ تُنْسَجُ مِنْ حَرِيرٍ وآَتَّانٍ مُخْتَلِطَيْنِ . » وإِنْشَادُ الضَّالَّةِ « : تَعرْيفُهَا .

وعن ابي عمارة البراء بن عازب رضي الله عنهما قال : امرنا رسول الله صلى االله عليه وسلم بسبع: امرنا بعيادة المريض ، واتباع الجنازة ، وتشميت العاطس ، وابرار المقسم ، ونصر المظلوم ، واجابةالداعي ، وافشاء السلام . ونهانا عن خواتيم او تختم بالذهب ، وعن شرب بالفضة ، وعن المياثر الحمر ،وعن القسي ، وعن لبس الحرير والاستبرق والديباج . متفق عليه .وفي رواية : وانشاد الضالة في السبع الاول .«المياثر « بياء مثناة قبل الالف ، وثاء مثلثة بعدها ، وهي جمع ميثرة ، وهي شيء يتخذ من حريرويحشى قطنا او غيره ويجعل في السرج واور البعير يجلس عليه الرااب »والقسي« بفتح القاف واسرالسين المهملة المشددة : وهي ثياب تنسج من حرير واتان مختلطين . » وانشاد الضالة « : تعريفها .

(27) Chapter: Reverence towards the Sanctity of the Muslims


Al-Bara' bin 'Azib (May Allah bepleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) commanded us to observe seven things and forbade us seven. He ordered us to visit the sick; to follow funeral processions; to respond to a sneezer with 'Yarhamuk-Allah (May Allah have mercy on you)' when he says 'Al-hamdu lillah (Praise be to Allah),' to help the oppressed and to help others to fulfill their oaths, to accept invitation and to promote greeting. He forbade us to wear gold rings, to drink in silver utensils, to use Mayathir (silk carpets placed on saddles), to wear Al-Qassiy (a kind of silk cloth) to wear fine silk brocade.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: To materialize the pledge means that if a person relies on you and says that by Allah, you must do such and such a thing, then you should not let him down, you should do that work and fulfill his pledge. But this is subject to the condition that the work in question is not unlawful. It is not only permissible but also comes in the list of high moral values.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে