পরিচ্ছেদঃ ২১৭: রমযানের রোযা ফরয, তার ফযীলত ও আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়াবলী

মহান আল্লাহ বলেন,

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَأَيَّامًا مَعْدُودَاتٍ ۚ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ ۚ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ ۖ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَشَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ﴾ (البقرة: ١٨٣، ١٨٥)

অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের (রোযার) বিধান দেওয়া হল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা সংযম-শীল হতে পার। (রোযা) নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফর অবস্থায় থাকলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যারা রোযা রাখার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রোযা রাখতে চায় না (যারা রোযা রাখতে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করবে। পরন্তু যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি তোমরা রোযা রাখ, তাহলে তা তোমাদের জন্য বিশেষ কল্যাণ-প্রসূ; যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পার। রমযান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী-রূপে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে অবশ্যই রোযা পালন করে। আর যে অসুস্থ অথবা মুসাফির থাকে, তাকে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। (সূরা বাকারাহ ১৮৩- ১৮৫ আয়াত)


১/১২২৩। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মহান আল্লাহ বলেন, ’আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকর্ম তার জন্যই; কিন্তু রোযা স্বতন্ত্র, তা আমারই জন্য, আর আমিই তার প্রতিদান দেব।’ রোযা ঢাল স্বরূপ অতএব তোমাদের কেউ যেন রোযার দিনে অশ্লীল না বলে এবং হৈ-হট্টগোল না করে। আর যদি কেউ তাকে গালি-গালাজ করে অথবা তার সাথে লড়াই-ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, ’আমি রোযা রেখেছি।’ সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, নিঃসন্দেহে রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা বেশী উৎকৃষ্ট। রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে, তখন সে আনন্দিত হয়; (১) যখন সে ইফতার করে (ইফতারের জন্য সে আনন্দিত হয়)। আর (২) যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, স্বীয় রোযার জন্য সে আনন্দিত হবে।” (বুখারী ও মুসলিম, এই শব্দগুলি বুখারীর)[1]

বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে, ’সে (রোজাদার) পানাহার ও যৌনাচার বর্জন করে একমাত্র আমারই জন্য। রোযা আমার জন্যই। আর আমি নিজে তার পুরস্কার দেব। আর প্রত্যেক নেকী দশগুণ বর্ধিত হয়।’

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, “আদম সন্তানের প্রত্যেক সৎকর্ম কয়েকগুণ বর্ধিত করা হয়। একটি নেকী দশগুণ থেকে নিয়ে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। মহান আল্লাহ বলেন, ’কিন্তু রোযা ছাড়া। কেননা, তা আমার উদ্দেশ্যে (পালিত) হয়। আর আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। সে পানাহার ও কাম প্রবৃত্তি আমার (সন্তুষ্টি অর্জনের) উদ্দেশ্যেই বর্জন করে।’ রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে। একটি আনন্দ হল ইফতারের সময়, আর অপরটি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎকালে। আর নিশ্চয় তার মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা অধিক উৎকৃষ্ট।”

(217) بَابُ وُجُوْبِ صَوْمِ رَمَضَانَوَبَيَانِ فَضْلِ الصِّيَامِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ

وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «قَالَ اللهُ - عَزَّ وَجَلَّ -: كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلاَّ الصِّيَام، فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ، وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ، فَإِذَا كَانَ يَومُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَصْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ: إنِّي صَائِمٌ . وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخُلُوْفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ المِسْكِ . لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ يَفْرَحُهُمَا: إِذَا أَفْطَرَ فَرِحَ بِفِطرِهِ، وَإِذَا لَقِيَ رَبَّهُ فَرِحَ بِصَوْمِهِ». متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ روايةِ البُخَارِي.
وفي روايةٍ لَهُ: «يَتْرُكُ طَعَامَهُ، وَشَرَابَهُ، وَشَهْوَتَهُ مِنْ أَجْلِي، الصِّيَامُ لِي وَأنَا أَجْزِي بِهِ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا».
وفي رواية لمسلم: «كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ، اَلْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِئَةِ ضِعْفٍ . قَالَ الله تَعَالَى: إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِي وَأنَا أَجْزِي بِهِ؛ يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي. لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ: فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ، وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ . وَلَخُلُوفُ فِيهِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ المِسْكِ».

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «قال الله - عز وجل -: كل عمل ابن ادم له الا الصيام، فانه لي وانا اجزي به، والصيام جنة، فاذا كان يوم صوم احدكم فلا يرفث ولا يصخب فان سابه احد او قاتله فليقل: اني صاىم . والذي نفس محمد بيده لخلوف فم الصاىم اطيب عند الله من ريح المسك . للصاىم فرحتان يفرحهما: اذا افطر فرح بفطره، واذا لقي ربه فرح بصومه». متفق عليه، وهذا لفظ رواية البخاري. وفي رواية له: «يترك طعامه، وشرابه، وشهوته من اجلي، الصيام لي وانا اجزي به، والحسنة بعشر امثالها». وفي رواية لمسلم: «كل عمل ابن ادم يضاعف، الحسنة بعشر امثالها الى سبعمىة ضعف . قال الله تعالى: الا الصوم فانه لي وانا اجزي به؛ يدع شهوته وطعامه من اجلي. للصاىم فرحتان: فرحة عند فطره، وفرحة عند لقاء ربه . ولخلوف فيه اطيب عند الله من ريح المسك».

(217) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasts) during Ramadan


Allah, the Exalted, says:
"O you who believe! the fasting is prescribed for you as it was prescribed for those before you, that you may become Al-Muttaqun (the pious). (Fasting) for a fixed number of days, but if any of you is ill or on a journey, the same number (should be made up) from other days. And as for those who can fast with difficulty, (e.g., an old man), they have (a choice either to fast or) to feed a Miskin (poor person) (for every day). But whoever does good of his own accord, it is better for him. And that you fast is better for you if only you know. The month of Ramadan in which was revealed the Qur'an, a guidance for mankind and clear proofs for the guidance and the criterion (between right and wrong). So whoever of you sights (the crescent on the first night of) the month (of Ramadan, i.e., is present at his home), he must fast that month, and whoever is ill or on a journey, the same number (of days which one did not fast must be made up) from other days.'' (2:183-185)

Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah the Exalted and Majestic said: 'Every act of the son of Adam is for him, except As-Siyam (the fasting) which is (exclusively) for Me, and I will reward him for it.' Fasting is a shield. When anyone of you is observing fast, he should neither indulge in obscene language nor should he raise his voice; and if anyone reviles him or tries to quarrel with him, he should say: 'I am fasting.' By Him in Whose Hand the soul of Muhammad is, the breath of one observing Saum is sweeter to Allah than the fragrance of musk. The one who fasts, experiences two joys: he feels pleasure when he breaks the fast. He is joyful by virtue of his fast when he meets his Rubb."

[Al-Bukhari and Muslim].

In a narration by Al-Bukhari, the Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah says: '(The person observing Saum) has abstained from food and drink, and sexual pleasures for My sake; fasting is for Me, and I will bestow its reward. Every good deed has ten times its reward'."

In a narration by Muslim, the Messenger of Allah (ﷺ) said, "The reward of every (good) deed of a person is multiplied from ten to seven hundred times. Allah (SWT) says: 'The reward of observing Saum is different from the reward of other good deeds; Saum is for Me, and I Alone will give its reward. The person observing Saum abstains from food and drink only for My sake.' The fasting person has two joyous occasions, one at the time of breaking his fast, and the other at the time of meeting his Rubb. Surely, the breath of one observing Saum is better smelling to Allah than the fragrance of musk."

Commentary: "Khuluf'', is the smell that comes from the mouth of person who observes Saum. It results from the thirst and hunger which he has to suffer during the Saum. The Hadith not only tells us the merits of Saum but also brings into focus the true significance of it. Saum is not thus mere abstention from food, drink and sexual intercourse, but also keeping away from all evils and vices and embracing virtues.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১৭: রমযানের রোযা ফরয, তার ফযীলত ও আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়াবলী

২/১২২৪। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জোড়া বস্তু ব্যয় করে, তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে, ’হে আল্লাহর বান্দাহ! এ দরজাটি উত্তম (এদিকে এস)।’ সুতরাং যে নামাযীদের দলভুক্ত হবে, তাকে নামাযের দরজা থেকে ডাক দেওয়া হবে। আর যে মুজাহিদদের দলভুক্ত হবে। তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে রোযাদারদের দলভুক্ত হবে, তাকে ’রাইয়ান’ নামক দরজা থেকে আহ্বান করা হবে। আর দাতাকে দানের দরজা থেকে ডাকা হবে।” এ সব শুনে আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক, যাকে ডাকা হবে, তার ঐ সকল দরজার তো কোন প্রয়োজন নেই। (কেননা মুখ্য উদ্দেশ্য হল, কোনভাবে জান্নাতে প্রবেশ করা।) কিন্তু এমন কেউ হবে কি, যাকে উক্ত সকল দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে?’ তিনি বললেন, “হ্যাঁ। আর আশা করি, তুমি তাদের দলভুক্ত হবে।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(217) بَابُ وُجُوْبِ صَوْمِ رَمَضَانَوَبَيَانِ فَضْلِ الصِّيَامِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ

وَعَنْه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِي سَبِيلِ اللهِ نُودِيَ مِنْ أَبْوَابِ الجَنَّةِ، يَا عَبْدَ اللهِ هَذَا خَيرٌ، فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلاَةِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الجِهَادِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الجِهَادِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ». قَالَ أَبُو بَكْرٍ: بِأَبي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ! مَا عَلَى مَنْ دُعِيَ مِنْ تِلْكَ الأَبْوَابِ مِنْ ضَرورةٍ، فَهَلْ يُدْعَى أَحَدٌ مِنْ تِلْكَ الأَبوَابِ كُلِّهَا ؟ فَقَالَ: «نَعَمْ، وَأَرْجُو أنْ تَكُونَ مِنْهُمْ».متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «من انفق زوجين في سبيل الله نودي من ابواب الجنة، يا عبد الله هذا خير، فمن كان من اهل الصلاة دعي من باب الصلاة، ومن كان من اهل الجهاد دعي من باب الجهاد، ومن كان من اهل الصيام دعي من باب الريان، ومن كان من اهل الصدقة دعي من باب الصدقة». قال ابو بكر: بابي انت وامي يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ! ما على من دعي من تلك الابواب من ضرورة، فهل يدعى احد من تلك الابواب كلها ؟ فقال: «نعم، وارجو ان تكون منهم».متفق عليه

(217) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasts) during Ramadan


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who spends a pair in the way of Allah will be called from the gates of Jannah: 'O slave of Allah! This gate is better for you' and one who is constant in Salat (prayer), will be called from the Gate of Salat; and whoever is eager in fighting in the Cause of Allah, will be called from the Gate of Jihad; and who is regular in observing Saum will be called from Ar-Raiyan Gate. The one who is generous in charity will be called from the Gate of Charity." Abu Bakr (May Allah be pleased with him) said: "O Messenger of Allah (ﷺ)! May my mother and father be sacrificed for you! Those who are called from these gates will stand in need of nothing. Will anybody be called from all of those gates?" He replied, "Yes, and I hope that you will be one of them."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: "Pair'' means two; in other channels of transmission, it has been explained thus: "They asked him, `Pair of what?' He (PBUH) said, `A pair of horses, cows or camels'.'' "Pair'' in this Hadith, however, can be allinclusive; i.e., fasting two days or performing two prayers, etc. This Hadith also mentions special distinction of Abu Bakr As-Siddiq (May Allah be pleased with him) and the esteem in which he was held by the Prophet (PBUH). It also transpires from this Hadith that one can praise such a person right on his face about whom one does not fear that it will make him proud. This Hadith has also an inducement for giving in Sadaqah two instead of a single item.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১৭: রমযানের রোযা ফরয, তার ফযীলত ও আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়াবলী

৩/১২২৫। সাহল ইবনে সায়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতের মধ্যে এমন একটি দরজা আছে, যার নাম হল ’রাইয়ান’; সেখান দিয়ে কেবল রোযাদারগণই কিয়ামতের দিনে প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ সেদিক দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে, ’রোযাদাররা কোথায়?’ তখন তারা দণ্ডায়মান হবে। (এবং ঐ দরজা দিয়ে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে) তারপর যখন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি প্রবেশ করবে, তখন দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর সেখান দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(217) بَابُ وُجُوْبِ صَوْمِ رَمَضَانَوَبَيَانِ فَضْلِ الصِّيَامِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ

وَعَنْ سَهلِ بنِ سَعدٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إنَّ في الجَنَّةِ بَاباً يُقَالُ لَهُ: الرَّيَّانُ، يَدْخُلُ مِنْهُ الصَّائِمُونَ يَومَ القِيَامَةِ، لاَ يَدْخُلُ مِنْهُ أحدٌ غَيْرُهُمْ، يقال: أيْنَ الصَّائِمُونَ ؟ فَيَقُومُونَ لاَ يَدخُلُ مِنْهُ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ، فَإذَا دَخَلُوا أُغْلِقَ فَلَمْ يَدْخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن سهل بن سعد رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «ان في الجنة بابا يقال له: الريان، يدخل منه الصاىمون يوم القيامة، لا يدخل منه احد غيرهم، يقال: اين الصاىمون ؟ فيقومون لا يدخل منه احد غيرهم، فاذا دخلوا اغلق فلم يدخل منه احد». متفق عليه

(217) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasts) during Ramadan


Sahl bin Sa'd (May Allah be pleased with him):
The Prophet (ﷺ) said, "In Jannah there is a gate which is called Ar-Raiyan through which only those who observe Saum (fasting) will enter on the Day of Resurrection. None else will enter through it. It will be called out, "Where are those who observe fasting?" So they will stand up and proceed towards it. When the last of them will have entered, the gate will be closed and then no one will enter through that gate."

[Muslim].

Commentary: This Hadith tells us about the special distinction of those who observe Saum. "Only those who observe Saum'' signify the faithful who not only observe Saum during the month of Ramadan but also frequently observe voluntary fasts over and above the obligatory ones, otherwise Saum of Ramadan are compulsory for every Muslim. Similar is the case of the people of Salat, people of Sadaqah and people of Jihad, who have been mentioned in the preceding Ahadith otherwise all Muslims are on par so far as the Salat, Sadaqah, etc., are concerned.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১৭: রমযানের রোযা ফরয, তার ফযীলত ও আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়াবলী

৪/১২২৬। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে (অর্থাৎ জিহাদ-কালীন বা প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন-কল্পে) একদিন রোযা রাখবে, আল্লাহ ঐ একদিন রোযার বিনিময়ে তার চেহারাকে জাহান্নাম হতে সত্তর বছর (পরিমাণ পথ) দূরে রাখবেন।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(217) بَابُ وُجُوْبِ صَوْمِ رَمَضَانَوَبَيَانِ فَضْلِ الصِّيَامِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَا مِنْ عَبْدٍ يَصُومُ يَوْماً فِي سَبِيلِ اللهِ إِلاَّ بَاعَدَ اللهُ بِذَلِكَ اليَوْمِ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ سَبْعِينَ خَرِيفَاً». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «ما من عبد يصوم يوما في سبيل الله الا باعد الله بذلك اليوم وجهه عن النار سبعين خريفا». متفق عليه

(217) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasts) during Ramadan


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Every slave of Allah who observes Saum (fasting) for one day for the sake of Allah, Allah will draw his face farther from Hell-fire to the extent of a distance to be covered in seventy years."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: "Every slave of Allah'' includes men, women, the free and the unfree, because they are slaves of Allah. The Hadith highlights the excellence of fasting for the sake of Allah which will serve, on the Day of Resurrection, as shield against Hell-fire.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১৭: রমযানের রোযা ফরয, তার ফযীলত ও আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়াবলী

৫/১২২৭। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে নেকীর আশায় রমযানের রোযা পালন করে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(217) بَابُ وُجُوْبِ صَوْمِ رَمَضَانَوَبَيَانِ فَضْلِ الصِّيَامِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَاناً وَاحْتِسَاباً، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «من صام رمضان ايمانا واحتسابا، غفر له ما تقدم من ذنبه» متفق عليه

(217) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasts) during Ramadan


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "He who observes fasting during the month of Ramadan with Faith while seeking its reward from Allah, will have his past sins forgiven."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: "Sins'' here means minor sins which relate to the Rights of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১৭: রমযানের রোযা ফরয, তার ফযীলত ও আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়াবলী

৬/১২২৮। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মাহে রমযানের আগমন ঘটলে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদেরকে শৃঙ্খলিত করা হয়।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(217) بَابُ وُجُوْبِ صَوْمِ رَمَضَانَوَبَيَانِ فَضْلِ الصِّيَامِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ

وَعَنْه رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ، فُتِحَتْ أَبْوَاب الجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «اذا جاء رمضان، فتحت ابواب الجنة، وغلقت ابواب النار، وصفدت الشياطين». متفق عليه

(217) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasts) during Ramadan


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "When Ramadan begins, the gates of Jannah are opened, the gates of Hell are closed, and the devils are chained."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This is a special distinction of the month of Ramadan during which Muslims become more inclined towards the worship of Allah. They pay greater attention to the recitation of the Qur'an, remembrance of Allah, worship, and seeking pardon for sins.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১৭: রমযানের রোযা ফরয, তার ফযীলত ও আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্য বিষয়াবলী

৬/১২২৯। উক্ত রাবী  (আবূ হুরাইরা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখ এবং চাঁদ দেখে রোযা ছাড়। যদি (কালক্রমে) তোমাদের উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় (এবং চাঁদ দেখতে না পাওয়া যায়), তাহলে শা’বান (মাসের) গুণতি ত্রিশ পূর্ণ করে নাও।” (বুখারী ও মুসলিম, শব্দাবলী বুখারীর) [1]

(217) بَابُ وُجُوْبِ صَوْمِ رَمَضَانَوَبَيَانِ فَضْلِ الصِّيَامِ وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ

وَعَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ، وَأَفْطِرُوا لِرُؤيَتِهِ، فَإِنْ غَبِيَ عَلَيْكُمْ، فَأَكْمِلُوا عِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلاَثِينَ». متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ البخاري .
وفي رواية لمسلم: «فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَصُومُوا ثَلاَثِينَ يَوْماً»

وعنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «صوموا لرويته، وافطروا لرويته، فان غبي عليكم، فاكملوا عدة شعبان ثلاثين». متفق عليه، وهذا لفظ البخاري . وفي رواية لمسلم: «فان غم عليكم فصوموا ثلاثين يوما»

(217) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasts) during Ramadan


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Observe Saum (fast) on sighting the crescent and terminate it on sighting it (the new moon), but if the sky is cloudy before you, then complete the number (thirty days) of the month."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The words "Ghabiya'', and "Ghumma'', both have the same meanings, namely clouded sky or sky overcast with clouds, as a result of which the moon is not visible. In that case, the injunction is that thirty days of the month be completed. If the moon of Ramadan is not sighted on the 29th Sha`ban, then its thirty days be completed and Ramadan's Saum be started on the next day. Similarly, if the moon for the month of Shawwal is not sighted on the 29th of Ramadan, thirty days of Saum must be completed before celebrating `Eid-ul-Fitr. This means that the sighting of the moon is necessary for keeping the Saum of Ramadan. Counting by celestial system is not sufficient for this purpose. Moreover, the evidence of reliable witnesses for the crescent of Ramadan and the evidence of two dependable witnesses for the crescent of Shawwal are sufficient. This amount of evidence will fulfill the requirement of sighting the moon. Whether the sighting of the moon at one place is sufficient for another place is controversial and arguments of both the groups of `Ulama', who support and oppose it, are based on this Hadith. The group which contend that the sighting of the moon at one place is valid for another holds that the words "Sumu" and "Aftiru" are addressed to all the Muslims, and for this reason the sighting at one place holds good for another place. The group which holds that the sighting of the moon at one place is not enough for the Muslims of other localities
contend that the words are addressed to the people who have actually sighted the moon. The Muslims of the localities of other areas who have not sighted the moon are not addressed by these words. They say that the sighting of the moon goes with each area according to which they will decide about starting of Saum and celebrating `Eid. There is a third group also, which is of the opinion that for such areas which are in close proximity and do not have much difference in the timings of sunrise and sunset, the sighting of the moon at one place holds good for the other. In any case, it is a moderate view, which can be implemented without fear of its being wrong. According to this view, at least in one country the sighting of the moon at one place holds good for all other areas.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে