পরিচ্ছেদঃ ২১৬: যাকাতের অপরিহার্যতা এবং তার ফযীলত
আল্লাহ তা’আলা বলেন, ﴿ وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ ٤٣ ﴾ (البقرة: ٤٣)
অর্থাৎ তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা ও যাকাত আদায় কর। (বাকারাহ ৪৩ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেছেন,
﴿ وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ۚ وَذَٰلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ﴾ (البينة: ٥)
অর্থাৎ তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বি-শুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠ-ভাবে তাঁর ইবাদত করতে এবং নামায কায়েম করতে ও যাকাত প্রদান করতে। আর এটাই সঠিক ধর্ম। (বাইয়েনাহ ৫ আয়াত)
তিনি অন্যত্র আরও বলেছেন,
﴿ خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا﴾ [التوبة: ١٠٣]
অর্থাৎ তুমি তাদের ধন-সম্পদ হতে সদকা গ্রহণ কর, যার দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র ও পরিশোধিত করে দেবে। (সূরা তওবা ১০৩ আয়াত)
১/১২১৪। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পাঁচটি ভিত্তির উপর দ্বীনে ইসলাম স্থাপিত। (১) এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। (২) নামায প্রতিষ্ঠা করা। (৩) যাকাত আদায় করা। (৪) বায়তুল্লাহর (কা’বা গৃহে)র হজ্জ করা। এবং (৫) রমযানের রোযা পালন করা।” (বুখারী-মুসলিম)[1]
(216) بَابُ تَأْكِيْدِ وُجُوْبِ الزَّكَاةِ وَبَيَانِ فَضْلِهَا وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَإقَامِ الصَّلاَةِ، وَإيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَحَجِّ البَيْتِ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ». متفقٌ عَلَيْهِ
(216) Chapter: The Excellence and Obligation of the Payment of Zakat
Allah, the Exalted, says:
"And perform Salat (Iqamat-as-Salat), and give Zakat.'' (2:43)
"And they were commanded not, but that they should worship Allah, and worship none but Him Alone (abstaining from ascribing partners to Him), and perform As-Salat (Iqamat-as-Salat) and give Zakat, and that is the right religion.'' (98:5)
"Take Sadaqah (alms) from their wealth in order to purify them and sanctify them with it.'' (9:103)
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "(The structure of) Islam is built on five (pillars): Testification of 'La ilaha illallah' (none has the right to be worshipped but Allah), that Muhammad (ﷺ) is his slave and Messenger, the establishment of Salat, the payment of Zakat, the pilgrimage to the House of Allah (Ka'bah), and Saum during the month of Ramadan."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith has already been mentioned. Here it is repeated to emphasize that Zakat is one of the five pillars of Islam. Every Muslim who has fifty-two and a half Tola (a Tola is about 12 grams) silver or cash equivalent to it in excess of his need, and a year has passed since its possession is liable to pay it. One who has seven and a half Tola or more gold also comes in this category. It should be evaluated in terms of money and Zakat at the rate of 2.5% to be paid on it.
পরিচ্ছেদঃ ২১৬: যাকাতের অপরিহার্যতা এবং তার ফযীলত
২/১২১৫। ত্বালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন নাজ্দ (রিয়ায এলাকার) অধিবাসীদের একজন আলুলায়িত কেশী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হল। আমরা তার ভনভন শব্দ শুনছিলাম, আর তার কথাও বুঝতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসল এবং (তখন বুঝলাম,) সে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করছে। (উত্তরে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “(ইসলাম হল,) দিবা-রাত্রিতে পাঁচ অক্তের নামায (প্রতিষ্ঠা করা)।” সে বলল, ’তা ছাড়া আমার উপর অন্য নামায আছে কি?’ তিনি বললেন, “না, কিন্তু যা কিছু তুমি নফল হিসাবে পড়বে।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার বললেন, “এবং রমযান মাসের রোযা।” লোকটি বলল, ’তা ছাড়া আমার উপর অন্য রোযা আছে কি?’ তিনি বললেন, “না, তবে তুমি যা নফল হিসাবে করবে।” বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যাকাতের কথা বললেন। সে বলল, ’তাছাড়া আমার উপর অন্য দান আছে কি?’ তিনি বললেন, “না, তবে তুমি যা নফল হিসাবে করবে।” তারপর লোকটি পিঠ ফিরিয়ে এ কথা বলতে বলতে যেতে লাগল, ’আল্লাহর কসম! আমি এর চাইতে বেশী কিছু করব না এবং এর চেয়ে কমও করব না।’ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “লোকটি সত্য বলে থাকলে পরিত্রাণ পেয়ে গেল।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]
(216) بَابُ تَأْكِيْدِ وُجُوْبِ الزَّكَاةِ وَبَيَانِ فَضْلِهَا وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا
وَعَن طَلْحَةَ بنِ عُبَيدِ اللهِ رضي الله عنه، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرُ الرَّأسِ نَسْمَعُ دَوِيَّ صَوْتِهِ، وَلاَ نَفْقَهُ مَا يَقُولُ، حَتَّى دَنَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَإِذَا هُوَ يَسأَلُ عَنِ الإِسْلاَمِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «خَمْسُ صَلَواتٍ في اليَوْمِ وَاللَّيْلَةِ» قَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُنَّ ؟ قَالَ: «لاَ، إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ» فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «وَصِيامُ شَهْرِ رَمَضَانَ» قَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُ ؟ قَالَ: «لاَ، إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ» قَالَ: وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ، فَقَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا ؟ قَالَ: «لاَ، إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ» فَأدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ: وَاللهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ مِنْهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ». متفقٌ عَلَيْهِ
(216) Chapter: The Excellence and Obligation of the Payment of Zakat
Talhah bin 'Ubaidullah (May Allah be pleased with him) reported:
A person with dishevelled hair, one of the people of Najd, came to the Messenger of Allah (ﷺ). We heard the humming of his voice but could not fully understand what he was saying, till he approached close to the Messenger of Allah (ﷺ). Then I came to know that he was asking about Islam. The Messenger of Allah (ﷺ) said: "There are five (obligatory) Salat during the day and the night." He said: "Am I obliged to perform any other (Salat) besides these?" The Messenger of Allah (ﷺ) said, "No, but whatever you observe voluntarily." He (ﷺ) added, "There is the Saum of Ramadan." The inquirer asked: "Am I obliged to do anything besides this?" The Messenger of Allah (ﷺ) said, "No, but whatever you do out of your own free will. You may observe voluntary fasting." And the Messenger of Allah (ﷺ) told him about the Zakat (obligatory charity). The inquirer asked: "Am I obliged to pay anything besides this?" The Messenger of Allah (ﷺ) said, "No, but whatever you pay voluntarily out of your own free will." That man turned back saying: "By Allah! I will neither make any addition to this nor will I decrease anything from it." (Upon hearing this) the Messenger of Allah (ﷺ) remarked, "He is successful if he proves truthful (to what he is saying)."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith highlights the following three points:
1. The status of some of the important obligations and voluntary prayers.
2. By mentioning practice with the precepts, it has made the fact evident that the two are inseparable.
3. It indicates the sagacious mode of preaching and invitation, and tells that ordinary people should be first of all taught the obligations of Islam and then gradually told to follow the Sunnah and Mustahabbat (desirable acts).
পরিচ্ছেদঃ ২১৬: যাকাতের অপরিহার্যতা এবং তার ফযীলত
৩/১২১৬। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’আয রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে ইয়ামন পাঠাবার সময়ে (তাঁর উদ্দেশ্যে) বললেন, “তাদের (ইয়ামানবাসীদেরকে সর্বপ্রথম) এই সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, আর আমি আল্লাহর রাসূল। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তাদের উপর রাতদিনে পাঁচ অক্তের নামায ফরয করেছেন। অতঃপর যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তাদের উপর যাকাত ফরয করেছেন; যা তাদের মধ্যে যারা (নিসাব পরিমাণ) মালের অধিকারী তাদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের মাঝে তা বণ্টন করে দেওয়া হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]
(216) بَابُ تَأْكِيْدِ وُجُوْبِ الزَّكَاةِ وَبَيَانِ فَضْلِهَا وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا
وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعاذاً رضي الله عنه إِلَى اليَمَنِ، فَقَالَ: «ادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَأنِّي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذلِكَ، فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللهَ تَعَالَى، افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَواتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذلِكَ، فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً تُؤخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ، وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ». متفقٌ عَلَيْهِ
(216) Chapter: The Excellence and Obligation of the Payment of Zakat
Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) appointed Mu'adh (May Allah be pleased with him) as governor of Yemen, and at the time of his departure, he instructed him thus: "First of all, call the people to testify 'La ilaha illallah' (there is no true god except Allah) and that I (Muhammad) am the Messenger of Allah, and if they accept this (declaration of Faith), then tell them that Allah has enjoined upon them five Salat during the day and night; and if they obey you, tell them that Allah has made the payment of Zakat obligatory upon them. It should be collected from their rich and distributed among their poor."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith has already been mentioned. Here it is repeated to emphasize the importance of Zakat. We learn from it that Zakat is collected from the affluent of the locality and distributed among the poor of that very locality. If there is any surplus, then that alone can be sent to the needy of other areas. In the same spirit, the amount of Zakat will be spent on the needy Muslims only and not among the non-Muslims. Alms and charity can, however, be spent on the poor of other communities. This Hadith also tells us the wisest course of invitation and preaching.
পরিচ্ছেদঃ ২১৬: যাকাতের অপরিহার্যতা এবং তার ফযীলত
৪/১২১৭। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মানুষের বিরুদ্ধে ততক্ষণ সংগ্রাম করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা এই সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। আর নামায কায়েম করবে ও (ধনের) যাকাত আদায় করবে। যখন তারা এগুলি বাস্তবায়ন করবে, তখন ইসলামী হক (অর্থদণ্ড ইত্যাদি) ছাড়া তারা নিজেদের জান-মাল আমার নিকট হতে সুরক্ষিত করে নেবে। আর (অন্তরের গভীরে কুফরি বা পাপ লুকানো থাকলে) তাদের হিসাব আল্লাহর জিম্মায়।” (বুখারী, মুসলিম)[1]
(216) بَابُ تَأْكِيْدِ وُجُوْبِ الزَّكَاةِ وَبَيَانِ فَضْلِهَا وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَيُقِيمُوا الصَّلاةَ، وَيُؤتُوا الزَّكَاةَ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، إِلاَّ بِحَقِّ الإِسْلاَمِ، وَحِسَابُهُم عَلَى الله». متفقٌ عَلَيْهِ
(216) Chapter: The Excellence and Obligation of the Payment of Zakat
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "I have been commanded to fight people till they testify 'La ilaha illallah' (there is no true god except Allah) that Muhammad (ﷺ) is his slave and Messenger, and they establish Salat, and pay Zakat; and if they do this, their blood (life) and property are secured except when justified by law, and it is for Allah to call them to account."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: "Except when justified by law'' means that after the acceptance of Islam, if someone commits a crime which is punishable by Hadd this will be certainly imposed on him, or her, i.e., cutting of hand in case of theft, one hundred stripes or stoning to death in case of fornication, capital punishment in retaliation for murdering an innocent person. In this Hadith the words "it is for Allah to call them to account'' means that if they are not sincere in the acceptance of Islam and would put up an appearance of Islam like hypocrites, or would commit a crime which is liable for Hadd but is somehow not detected by the Islamic court or authorities concerned, they will be taken to account for it by Allah, that is Allah will decide about them on the Day of Judgement. It is evident from this Hadith that so long as Kufr is present in this world, it is necessary to wage Jihad against it to finish it off, and so long as all the disbelievers do not openly accept Islam and adopt the Islamic way of life, Muslims are duty-bound to make Jihad against them.
পরিচ্ছেদঃ ২১৬: যাকাতের অপরিহার্যতা এবং তার ফযীলত
৫/১২১৮। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা গেলেন এবং আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু খলীফা নিযুক্ত হলেন। আর আরববাসীদের মধ্যে যার কাফের (মুরতাদ) হবার ছিল সে কাফের (মুরতাদ) হয়ে গেল, (এবং যারা সম্পূর্ণ ধর্মত্যাগ করেনি; বরং যাকাত দিতে অস্বীকার করছে মাত্র, তাদের বিরুদ্ধে আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু সশস্ত্র সংগ্রামের সংকল্প প্রকাশ করলেন) তখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ’ঐ (যাকাত দিতে নারাজ) লোকদের বিরুদ্ধে কেমন করে যুদ্ধ করবেন অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, “লোকেরা ’লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই) না বলা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি।
অতএব যে ব্যক্তি তা বলবে, সে ইসলামী অধিকার (অর্থদণ্ড ইত্যাদি) ছাড়া তার জান-মাল আমার নিকট থেকে নিরাপদ করে নেবে। আর তার (অন্তরের গভীরে কুফরি বা পাপ লুকানো থাকলে) হিসাব আল্লাহর জিম্মায়”? আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ’আল্লাহর শপথ! যে ব্যক্তি নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করবে, তার বিরুদ্ধে আমি লড়াই করব। কারণ, যাকাত মালের উপর আরোপিত হক। আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যে রশি আদায় করত, তা যদি আমাকে না দেয়, তাহলে তা না দেওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমি জিহাদ করবই।’ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ’আল্লাহর শপথ! অচিরেই আমি দেখলাম যে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর হৃদয়কে যুদ্ধের জন্য প্রশস্ত করেছেন। সুতরাং আমি বুঝতে পারলাম যে, তাঁর সিদ্ধান্তই যথার্থ।’ (বুখারী)[1]
(216) بَابُ تَأْكِيْدِ وُجُوْبِ الزَّكَاةِ وَبَيَانِ فَضْلِهَا وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا
وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم - وَكَانَ أَبُو بَكْر - وَكَفَرَ مَنْ كَفَرَ مِنَ العَرَبِ، فَقَالَ عُمَرُ رضي الله عنه: كَيْفَ تُقَاتِلُ النَّاسَ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولوُا لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، فَمَنْ قَالَهَا فَقَدْ عَصَمَ مِنِّي مَالَهُ وَنَفْسَهُ إِلاَّ بِحَقِّهِ، وَحِسَابُهُ عَلَى الله». فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَاللهِ لأُقَاتِلَنَّ مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ الصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ، فَإِنَّ الزَّكَاةَ حَقُّ المَالِ . وَاللهِ لَوْ مَنَعُونِي عِقَالاً كَانُوا يُؤدُّونَهُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، لَقَاتَلْتُهُمْ عَلَى مَنْعِهِ . قَالَ عُمَرُ: فَوَاللهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَأيْتُ اللهَ قَدْ شَرَحَ صَدْرَ أَبي بَكْرٍ لِلقِتَالِ، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الحَقُّ . متفقٌ عَلَيْهِ .
(216) Chapter: The Excellence and Obligation of the Payment of Zakat
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
When the Messenger of Allah (PBUH) passed away, Abu Bakr (May Allah be pleased with him) was appointed as his successor (caliph). Amongst the Arabs some men apostatised. Abu Bakr (May Allah be pleased with him) resolved to fight them. `Umar bin Al-Khattab (May Allah
be pleased with him) said to Abu Bakr: "How can you fight them when the Messenger of Allah (PBUH) has declared: `I have been commanded to fight people till they testify La ilaha illallah (there is no true god except Allah); and if they do it, their blood (life) and property are secured except when justified by law, and it is for Allah to call them to account." Upon this Abu Bakr (May Allah be pleased with him) said: "By Allah, I would definitely fight him who makes distinction between Salat and the Zakat, because it is an obligation upon the rich to pay Zakat. By Allah I will fight them even to secure the piece of rope which they used to give to the Messenger of Allah(PBUH).'' `Umar (May Allah be pleased with him) said: "I realized that Allah opened the heart of Abu Bakr (May Allah be pleased with him) for fighting those who refused to pay Zakat, and I fully recognized that Abu Bakr ¨(May Allah be pleased with him) was right.''
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith brings into prominence the excellence of Abu Bakr As-Siddiq's determination, religious firmness and deep understanding of the Islamic law. It also tells us that one who does not accept that Zakat is obligatory in Islam, is a Kafir like the one who renounces Salat. The stand taken by Abu Bakr was ultimately accepted by all the Companions of the Prophet (PBUH), and this is how they unanimously agreed to wage Jihad against those who refused to pay Zakat. This unanimous consent on the issue of Zakat was based on the order of Shari`ah.
পরিচ্ছেদঃ ২১৬: যাকাতের অপরিহার্যতা এবং তার ফযীলত
৬/১২১৯। আবূ আইয়ুব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, ’আমাকে এমন একটি আমল বলুন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।’ তিনি বললেন, “আল্লাহর বন্দেগী করবে, আর তাঁর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার স্থির করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখবে।” (বুখারী, মুসলিম) [1]
(216) بَابُ تَأْكِيْدِ وُجُوْبِ الزَّكَاةِ وَبَيَانِ فَضْلِهَا وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا
وَعَن أَبي أيُّوبَ: أَنَّ رَجُلاً قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الجَنَّةَ، قَالَ: «تَعْبُدُ اللهَ، وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئاً، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَتَصِلُ الرَّحِمَ» . متفقٌ عَلَيْهِ
(216) Chapter: The Excellence and Obligation of the Payment of Zakat
Abu Ayyub (May Allah be pleased with him) reported:
A man said to the Prophet (ﷺ): "Direct me to a deed which may admit me to Jannah." Upon this he (the Messenger of Allah (ﷺ)) said, "Worship Allah and never associate anything with Him in worship, establish Salat, pay Zakat, and strengthen the ties of kinship."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith mentions the compassion for relatives along with the Salat and Saum which are obligatory in Islam. It indicates the importance of compassion for relation in Islam. The term `strengthen the ties of kinship' implies nice treatment of one's relatives regardless of circumstances, maintenance of contact with them and fulfillment of the requirements of relationship with them.
পরিচ্ছেদঃ ২১৬: যাকাতের অপরিহার্যতা এবং তার ফযীলত
৭/১২২০। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে নিবেদন করল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন এক আমলের কথা বলে দিন, যার উপর আমল করলে, আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব।’ তিনি বললেন, “আল্লাহর ইবাদত করবে ও তাঁর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার স্থির করবে না। নামায কায়েম করবে, ফরয যাকাত আদায় করবে ও রমযানের রোযা পালন করবে।” সে বলল, ’সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে আমার জীবন আছে, আমি এর চেয়ে বেশী করব না।’ তারপর যখন সে লোকটা পিঠ ফিরে চলতে লাগল, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যে ব্যক্তি জান্নাতবাসীদের কোন লোক দেখতে আগ্রহী, সে যেন এই লোকটিকে দেখে।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]
(216) بَابُ تَأْكِيْدِ وُجُوْبِ الزَّكَاةِ وَبَيَانِ فَضْلِهَا وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا
وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أَنَّ أَعْرَابِياً أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ إِذَا عَمِلْتُهُ، دَخَلْتُ الجَنَّةَ . قَالَ: «تَعْبُدُ اللهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئاً، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَتُؤتِي الزَّكَاةَ المَفْرُوضَةَ، وَتَصُومُ رَمَضَانَ». قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا، فَلَمَّا وَلَّى، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم «مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا» . متفقٌ عَلَيْهِ
(216) Chapter: The Excellence and Obligation of the Payment of Zakat
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
A bedouin came to the Prophet (ﷺ) and said: "O Messenger of Allah! Direct me to a deed by which I may be entitled to enter Jannah." The Prophet (ﷺ) said, "Worship Allah, and never associate anything with Him, establish Salat, pay the Zakat which has been enjoined upon you, and observe Saum of Ramadan." He (the bedouin) said: "By Him in Whose Hand my soul is, I will never add anything to these (obligations)." When he turned his back, the Prophet (ﷺ) said, "He who wants to see a man from the dwellers of Jannah, let him look at him (bedouin)."
[Al- Bukhari and Muslim].
Commentary:
1. The bedouin mentioned in this Hadith was a new Muslim and for this reason the Prophet (PBUH) told him some essential obligations of Islam so that he did not feel over-burdened with exhortation. Imam At-Tabarani said: "This Hadith and its like was addressed to bedouins who were newly -- converted to Islam. The Prophet (PBUH) told them no more than to fulfill the main obligatory acts of Islam so that they would not feel over-burdened, and therefore bored.'' Following the Divine injunctions in a gradual manner is very important. For once the hearts of the newly converted start to open to the understanding of the Divine injuctions, they will automatically start practising the optional and voluntary acts of devotion with a view to gain Allah's reward and pleasure.
2. There are two categories of people who have been granted Jannah. First, those who are called Al-`Asharah AlMubashsharah. They are ten most distinguished of the Prophet's followers whose entrance into Jannah was foretold by the Prophet (PBUH) himself. Second, some other persons who were given glad tidings of Jannah by the Prophet (PBUH). The bedouin mentioned in this Hadith is a case in point. The Prophet (PBUH) also declared Hasan and Hussain, the two sons of `Ali (May Allah be pleased with them), the chiefs of young-men of Jannah and also gave glad tidings of Jannah to his wives and his daughter Fatimah (May Allah be pleased with him).
পরিচ্ছেদঃ ২১৬: যাকাতের অপরিহার্যতা এবং তার ফযীলত
৮/১২২১। জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে নামায কায়েম করার, যাকাত আদায় করার ও প্রতিটি মুসলিমের মঙ্গল কামনা করার বায়’আত করেছি।’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]
(216) بَابُ تَأْكِيْدِ وُجُوْبِ الزَّكَاةِ وَبَيَانِ فَضْلِهَا وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا
وَعَن جَرِيرِ بْنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه، قَالَ: بَايَعْتُ النَّبِيَ صلى الله عليه وسلم عَلَى إقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ . متفقٌ عَلَيْهِ
(216) Chapter: The Excellence and Obligation of the Payment of Zakat
Jarir bin 'Abdullah (May Allah be pleased with him) reported:
I pledged allegiance to the Prophet (ﷺ) to establish Salat, to pay the Zakat and to have the welfare of every Muslim at heart.
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith has already been mentioned and has been repeated here for its relevance to this chapter. Here the phrase "To pledge allegiance to establish Salat'' and "to pay the Zakat'' means acceptance of Islam becausethese are such important articles of Islam that one cannot think of Islam without them. Allegiance to them is, in other words, allegiance to Islam. It is a pledge which was taken by the Prophet (PBUH) from everyone who embraced Islam. He would also take a pledge for Jihad when there was a need for it. The third pledge is pledge of Khalifah which was taken by Khulafa Ar-Rashidun (the rightly-guided caliphs) and subsequently the Muslim rulers. These are the three pledges which are proved from the rightly-guided Muslims. The oath accepted by mystics and spiritual guides is an innovation of the later times - much after the Khair-ul-Qurun, that is the first three generations of Muslims.
পরিচ্ছেদঃ ২১৬: যাকাতের অপরিহার্যতা এবং তার ফযীলত
৯/১২২২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক সোনা ও চাঁদির অধিকারী ব্যক্তি যে তার হক (যাকাত) আদায় করে না, যখন কিয়ামতের দিন আসবে, তখন তার জন্য ঐ সমুদয় সোনা-চাঁদিকে আগুনে দিয়ে বহু পাত তৈরি করা হবে। অতঃপর সেগুলোকে জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তার পাঁজর, কপাল ও পিঠে দাগা হবে। যখনই সে পাত ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, তখনই তা পুনরায় গরম করে অনুরূপ দাগার শাস্তি সেই দিনে চলতেই থাকবে, যার পরিমাণ হবে ৫০ হাজার বছরের সমান; যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দাদের মাঝে বিচার-নিষ্পত্তি শেষ করা হয়েছে। অতঃপর সে তার পথ দেখতে পাবে; হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে।”
জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আর উটের ব্যাপারে কি হবে?’ তিনি বললেন, “প্রত্যেক উটের মালিকও; যে তার হক (যাকাত) আদায় করবে না---আর তার অন্যতম হক এই যে, পানি পান করাবার দিন তাকে দোহন করা (এবং সে দুধ লোকদের দান করা)- যখন কিয়ামতের দিন আসবে, তখন তাকে এক সমতল প্রশস্ত প্রান্তরে উপুড় করে ফেলা হবে। আর তার উট সকল পূর্ণ সংখ্যায় উপস্থিত হবে; ওদের মধ্যে একটি বাচ্চাকেও অনুপস্থিত দেখবে না। অতঃপর সেই উটদল তাদের খুর দ্বারা তাকে দলবে এবং মুখ দ্বারা তাকে কামড়াতে থাকবে। এইভাবে যখনই তাদের শেষ দল তাকে দলে অতিক্রম করে যাবে, তখনই পুনরায় প্রথম দলটি উপস্থিত হবে। তার এই শাস্তি সেদিন হবে, যার পরিমাণ হবে ৫০ হাজার বছরের সমান; যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দাদের মাঝে বিচার-নিষ্পত্তি শেষ করা হয়েছে। অতঃপর সে তার শেষ পরিণাম দর্শন করবে; জান্নাতের অথবা জাহান্নামের।”
জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আল্লাহর রাসূল! গরু-ছাগলের ব্যাপারে কি হবে?’ তিনি বললেন, “আর প্রত্যেক গরু-ছাগলের মালিককেও; যে তার হক আদায় করবে না, যখন কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে, তখন তাদের সামনে তাকে এক সমতল প্রশস্ত ময়দানে উপুড় করে ফেলা হবে; যাদের একটিকেও সে অনুপস্থিত দেখবে না এবং তাদের কেউই শিং-বাঁকা, শিং-বিহীন ও শিং-ভাঙ্গা থাকবে না। প্রত্যেকেই তার শিং দ্বারা তাকে আঘাত করতে থাকবে এবং খুর দ্বারা দলতে থাকবে। তাদের শেষ দলটি যখনই (ঢুস মেরে ও দলে) পার হয়ে যাবে তখনই প্রথম দলটি পুনরায় এসে উপস্থিত হবে। এই শাস্তি সেদিন হবে যার পরিমাণ ৫০ হাজার বছরের সমান; যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দাদের মাঝে বিচার-নিষ্পত্তি শেষ করা হয়েছে। অতঃপর সে তার রাস্তা ধরবে; জান্নাতের দিকে, নতুবা জাহান্নামের দিকে।”
জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আর ঘোড়া সম্পর্কে কি হবে?’ তিনি বললেন, “ঘোড়া হল তিন প্রকারের; ঘোড়া কারো পক্ষে পাপের বোঝা, কারো পক্ষে পর্দাস্বরূপ এবং কারো জন্য সওয়াবের বিষয়। যে ঘোড়া তার মালিকের পক্ষে পাপের বোঝা তা হল সেই ব্যক্তির ঘোড়া, যে লোক প্রদর্শন, গর্বপ্রকাশ এবং মুসলিমদের প্রতি শত্রুতার উদ্দেশ্যে পালন করেছে। এ ঘোড়া হল তার মালিকের জন্য পাপের বোঝা।
যে ঘোড়া তার মালিকের পক্ষে পর্দাস্বরূপ, তা হল সেই ব্যক্তির ঘোড়া, যাকে সে আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদের জন্য) প্রস্তুত রেখেছে। অতঃপর সে তার পিঠ ও গর্দানে আল্লাহর হক ভুলে যায়নি। তার যথার্থ প্রতিপালন করে জিহাদ করেছে। এ ঘোড়া হল তার মালিকের পক্ষে (জাহান্নাম হতে অথবা ইজ্জত-সম্মানের জন্য) পর্দাস্বরূপ।
আর যে ঘোড়া তার মালিকের জন্য সওয়াবের বিষয়, তা হল সেই ঘোড়া যাকে তার মালিক মুসলিমদের (প্রতিরক্ষার) উদ্দেশ্যে কোন চারণভূমি বা বাগানে
প্রস্তুত রেখেছে। তখন সে ঘোড়া ঐ চারণভূমি বা বাগানের যা কিছু খাবে, তার খাওয়া ঐ (ঘাস-পাতা) পরিমাণ সওয়াব মালিকের জন্য লিপিবদ্ধ হবে। অনুরূপ লেখা হবে তার লাদ ও পেশাব পরিমাণ সওয়াব। সে ঘোড়া যখনই তার রশি ছিড়ে একটি অথবা দু’টি ময়দান অতিক্রম করবে, তখনই তার পদক্ষেপ ও লাদ পরিমাণ সওয়াব তার মালিকের জন্য লিখিত হবে। অনুরূপ তার মালিক যদি তাকে কোন নদীর কিনারায় নিয়ে যায়, অতঃপর সে সেই নদী হতে পানি পান করে অথচ মালিকের পান করানোর ইচ্ছা থাকে না, তবুও আল্লাহ তা’আলা তার পান করা পানির সমপরিমাণ সওয়াব মালিকের জন্য লিপিবদ্ধ করে দেবেন।”
জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আর গাধা সম্পর্কে কি হবে?’ তিনি বললেন, “গাধার ব্যাপারে এই ব্যাপকার্থক একক আয়াতটি ছাড়া আমার উপর অন্য কিছু অবতীর্ণ হয়নি,
﴿فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْراً يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرّاً يَرَهُ ﴾ (الزلزلة: ٧، ٨)
অর্থাৎ যে ব্যক্তি অণু-পরিমাণ সৎকর্ম করবে সে তাও (কিয়ামতে) প্রত্যক্ষ করবে এবং যে ব্যক্তি অণু-পরিমাণ অসৎকার্য করবে সে তাও (সেদিন) প্রত্যক্ষ করবে।” (সূরা যিলযাল ৭-৮ আয়াত) (বুখারী ২৩৭১, মুসলিম ৯৮৭নং, নাসাঈ, হাদিসের শব্দাবলী সহীহ মুসলিম শরীফের।)[1]
(216) بَابُ تَأْكِيْدِ وُجُوْبِ الزَّكَاةِ وَبَيَانِ فَضْلِهَا وَمَا يَتَعَلَّقُ بِهَا
وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم «مَا مِنْ صَاحِبِ ذَهَبٍ، وَلاَ فِضَّةٍ، لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَومُ القِيَامَةِ صُفِّحَتْ لَهُ صَفَائِحُ مِنْ نَارٍ، فَأُحْمِيَ عَلَيْهَا في نَارِ جَهَنَّمَ، فَيُكْوَى بِهَا جَنْبُهُ، وَجَبِينُهُ، وَظَهْرُهُ، كُلَّمَا بَرَدَتْ أُعِيدَتْ لَهُ في يَومٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ ألْفَ سَنَةٍ، حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ العِبَادِ فَيَرَى سَبيلَهُ، إِمَّا إِلَى الجَنَّةِ، وَإِمَّا إِلَى النَّارِ» قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَالإِبِلُ ؟ قَالَ: «وَلاَ صَاحِبِ إِبِلٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا، وَمِنْ حَقِّهَا حَلْبُهَا يَومَ وِرْدِهَا، إِلاَّ إِذَا كَانَ يَومُ القِيَامَةِ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ أَوْفَرَ مَا كَانَتْ، لاَ يَفْقِدُ مِنْهَا فَصِيلاً وَاحِداً، تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا، وَتَعَضُّهُ بِأفْوَاهِهَا، كُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ أُولاَهَا، رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ ألْفَ سَنَةٍ، حَتَّى يُقْضى بَيْنَ العِبَادِ، فَيَرَى سَبِيلَهُ، إمَّا إِلَى الجَنَّةِ، وَإِمَّا إِلَى النَّارِ». قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَالبَقَرُ وَالغَنَمُ ؟ قَالَ: «وَلاَ صَاحِبِ بَقَرٍ وَلاَ غَنَمٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا، إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ القِيَامَةِ، بُطِحَ لَهَا بقَاعٍ قَرْقَرٍ، لاَ يَفْقِدُ مِنْهَا شَيْئاً، لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ، وَلاَ جَلْحَاءُ، وَلاَ عَضْبَاءُ، تَنْطَحُهُ بقُرُونِهَا، وَتَطَؤُهُ بِأَظْلاَفِهَا، كُلَّمَا مرَّ عَلَيْهِ أُولاَهَا، رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا، فِي يَومٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ ألْفَ سَنَة حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ العِبَادِ، فَيَرَى سَبيِلَهُ، إِمَّا إِلَى الجَنَّةِ، وَإِمَّا إِلَى النَّارِ». قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَالخَيْلُ ؟ قَالَ: «الخَيلُ ثَلاَثَةٌ: هِيَ لِرَجُلٍ وِزْرٌ، وَهِيَ لِرَجُلٍ سِتْرٌ، وَهِيَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ . فَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ وِزْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا رِيَاءً وَفَخْراً وَنِوَاءً عَلَى أَهْلِ الإِسْلاَمِ، فَهِيَ لَهُ وِزْرٌ، وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ، فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبيلِ اللهِ، ثُمَّ لَمْ يَنْسَ حَقَّ اللهِ فِي ظُهُورِهَا، وَلاَ رِقَابِهَا، فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ، وَأمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ، فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبيلِ اللهِ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ فِي مَرْجٍ، أَوْ رَوْضَةٍ فَمَا أكَلَتْ مِنْ ذَلِكَ المَرْجِ أَوْ الرَّوْضَةِ مِنْ شَيْءٍ إِلاَّ كُتِبَ لَهُ عَدَدَ مَا أَكَلَتْ حَسَنَات وكُتِبَ لَهُ عَدَدَ أَرْوَاثِهَا وَأَبْوَالِهَا حَسَنَات، وَلاَ تَقْطَعُ طِوَلَهَا فَاسْتَنَّتْ شَرَفاً أَوْ شَرَفَيْنِ إِلاَّ كَتَبَ اللهُ لَهُ عَدَدَ آثَارِهَا، وَأَرْوَاثِهَا حَسَنَاتٍ، وَلاَ مَرَّ بِهَا صَاحِبُهَا عَلَى نَهْرٍ، فَشَرِبَتْ مِنْهُ، وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَسْقِيهَا إِلاَّ كَتَبَ اللهُ لَهُ عَدَدَ مَا شَرِبَتْ حَسَنَاتٍ». قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَالْحُمُرُ ؟ قَالَ: «مَا أُنْزِلَ عَلَيَّ في الحُمُرِ شَيْءٌ إِلاَّ هَذِهِ الآيَةُ الفَاذَّةُ الجَامِعَةُ: ( فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْراً يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرّاً يَرَهُ )». متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ مسلم
(216) Chapter: The Excellence and Obligation of the Payment of Zakat
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Any person who possesses gold or silver and does not pay what is due on it (i.e., the Zakat); on the Day of Resurrection, sheets of silver and gold would be heated for him in the fire of Hell and with them his flank, forehead and back will be branded. When they cool down, they will be heated again and the same process will be repeated during the day the measure whereof will be fifty thousand years. (This would go on) until Judgement is pronounced among (Allah's) slaves, and he will be shown his final abode, either to Jannah or to Hell." It was asked, "How about someone who owns camels and does not pay what is due on him (i.e., their Zakat)?" He (ﷺ) replied, "In the same way the owner of camels who does not discharge what is due in respect of them (their due includes their milking on the day when they are taken to water) will be thrown on his face or on his back in a vast desert plain on the Day of Resurrection and they will trample upon him with their hoofs and bite him with their teeth. As often as the first of them passes him, the last of them will be made to return during a day the measure whereof will be fifty thousand years, until Judgement is pronounced among (Allah's) slaves, he will be shown his final abode either to Jannah or to Hell." It was (again) asked: "O Messenger of Allah, what about cows (cattle) and sheep?" He (ﷺ) said, "If anyone who possesses cattle and sheep and does not pay what is due on them (i.e., their Zakat); on the Day of Resurrection, he will be thrown on his face in a vast plain desert. He will find none of the animals missing with twisted horns, without horns or with a broken horn, and they will gore him with their horns and trample upon him with their hoofs. As often as the first of them passes him, the last of them will be made to return to him during a day the measure whereof will be fifty thousand years, until Judgement is pronounced among (Allah's) slaves; and he will be shown his final abode either to Jannah or to Hell." It was asked: "O Messenger of Allah, what about the horses?" Upon this he (ﷺ) said, "The horses are of three types. One, which is a burden for the owner; another which is a shield, and another one which makes its owner entitled to reward. The one for whom these are a burden is the person who rears them for show or for pride or for causing injury to the sentiments of the Muslims. They will be a cause of torment for their owners. The one for whom these are a shield is the person who rears them for the sake of Allah but does not forget the Right of Allah concerning their backs and their necks (i.e., he lets a needy ride on them), and so they are a shield for him. Those which bring reward to the one who rears them in pastures and gardens are the ones that are used in the Cause of Allah (Jihad) by the Muslims. Whatever they eat from the meadows and the gardens will be recorded on his behalf as good deeds so much so that their droppings and urine will be counted for an equal number of good deeds for him. Even when they break their tying rope and every height from which they climb and every hoofprint which they leave will be counted as a good deed on behalf of the owner. When their owner leads them through a stream from which they drink, though he does not intend to quench their thirst, yet Allah would record for him the quantity (of water) of what they would drink on his behalf as good deeds." It was asked: "O Messenger of Allah, what about the donkeys?" Upon this he (ﷺ) said, "Nothing has been revealed to me in regard to the donkeys in particular except this one Verse of a comprehensive nature: "So whosoever does good equal to the weight of an atom (or a small ant) shall see it. And whosoever does evil equal to the weight of an atom (or a small ant) shall see it."' (99: 8,9).
[Al- Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith tells us that those people who do not pay Zakat on their property will be punished with this same property which will become an anguish for them on the Day of Resurrection. The phrase "and he will be shown his final abode, either to Jannah or to Hell'' clearly means that this would happen on the Day of Judgement and the punishment to defaulters would be given before one's entry into Jannah or Hell. If Almighty Allah will consider this punishment sufficient for a Muslim, He will send him to Jannah, otherwise He
will consign him to Hell. In case he is a Muslim, he will be ultimately sent to Jannah (after suffering the punishment in Hell) otherwise, he will be sent to Hell, where he will live for ever.
The phrase "As often as the first of them passes him, the last of them will be made to return'' means that the process will be repeated again and again. Some people say that there is some alteration in the wording of this Hadith. According to them the correct wording is: "When the first camel will have passed, the last in the line will be returned on him''. This wording makes the text more orderly and evident and this is how it occurs in some of the narrations. Allah knows the truth.
In this Hadith the words "Fi sabilillah'', (for the sake of Allah, or in the Cause of Allah) have been repeated twice in connection with horses. In the first instance these words are used for noble intention. That is to fulfill humanly needs with it so that one does not have to beg them from others. In the second instance these words stand for Jihad. That is one breeds horses to make use of them in Jihad. The breeding of horses with this intention is eligible to reward,
while in the former case is a means of covering one's poverty.