পরিচ্ছেদঃ ১৭০: কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দো‘আ

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿وَجَعَلَ لَكُمْ مِنَ الْفُلْكِ وَالْأَنْعَامِ مَا تَرْكَبُونَ لِتَسْتَوُوا عَلَىٰ ظُهُورِهِ ثُمَّ تَذْكُرُوا نِعْمَةَ رَبِّكُمْ إِذَا اسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُولُوا سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ﴾ [الزخرف: ١٢، ١٤]

অর্থাৎ “যিনি সব কিছুর যুগলসমূহ সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের যানবাহনে পরিণত করেছেন। যাতে তোমরা ওদের পিঠে স্থিরভাবে বসে তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ করতে পার, পবিত্র মহান তিনিই যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন; যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।” (সূরা যুখরুফ ১২-১৪ আয়াত)


১/৯৭৯। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে বেরিয়ে উটের পিঠে স্থির হয়ে বসতেন, তখন তিনবার ’আল্লাহু আকবার’ পড়ে এই দো’আ পড়তেন,

’সুবহানাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। অইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবূন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বির্রা অত্তাক্বওয়া, অমিনাল আমলি মা তারদ্বা। আল্লাহুম্মা হাওওয়িন ’আলাইনা সাফারানা হা-যা অত্বওয়ি ’আন্না বু’দাহ। আল্লাহুম্মা আন্তাস সা-হিবু ফিস সাফারি অলখালীফাতু ফিল আহল। আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’ঊযু বিকা মিন অ’সাইস সাফার, অকাআবাতিল মানযার, অসূইল মুনক্কালাবি ফিল মা-লি অল আহলি অল অলাদ।’

অর্থাৎ পবিত্র ও মহান যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। ওগো আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের এই যাত্রায় পুণ্যকর্ম, সংযমশীলতা এবং তোমার সন্তোষজনক কার্যকলাপ। হে আল্লাহ! আমাদের এ যাত্রাকে আমাদের জন্য সহজ করে দাও। আমাদের থেকে ওর দূরত্ব গুটিয়ে নাও। হে আল্লাহ! তুমিই সফরের সঙ্গী। আর পরিবার পরিজনের জন্য (আমাদের) প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট ও ক্লান্তি থেকে, ভয়ংকর দৃশ্য থেকে এবং বাড়ি ফিরে ধন-সম্পদ, পরিবার ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে কোন অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আর বাড়ি ফিরার সময় উক্ত দো’আর সাথে এগুলিও পড়তেন, ’আ-ইবূনা, তা-ইবূনা ’আ-বিদূনা, লিরাব্বিনা হা-মিদূন।’ (মুসলিম) [1]

(170) بَابُ مَا يَقُوْلُ إِذَا رَكِبَ الدَّابَّةَ لِلسَّفَرِ

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اسْتَوَى عَلَى بَعِيرِهِ خَارِجاً إِلَى سَفَرٍ، كَبَّرَ ثَلاثاً، ثُمَّ قَالَ: سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلبُونَ . اَللّهُمَّ إِنَّا نَسأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا البِرَّ وَالتَّقوَى، وَمِنَ العَمَلِ مَا تَرضَى، اَللهم هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا، وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ . اَللهم أنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ، وَالخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ . اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ، وَكَآبَةِ المَنْظَرِ، وَسُوءِ المُنْقَلَبِ فِي الماَلِ وَالأَهْلِ وَالوَلَدِ وَإِذَا رَجَعَ قَالَهُنَّ وَزَادَ فِيهِنَّ: آيِبُونَ، تَائِبُونَ، عَابِدُونَ، لِرَبِّنَا حَامِدُونَ رواه مسلم

وعن ابن عمر رضي الله عنهما: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كان اذا استوى على بعيره خارجا الى سفر، كبر ثلاثا، ثم قال: سبحان الذي سخر لنا هذا وما كنا له مقرنين، وانا الى ربنا لمنقلبون . اللهم انا نسالك في سفرنا هذا البر والتقوى، ومن العمل ما ترضى، اللهم هون علينا سفرنا هذا، واطو عنا بعده . اللهم انت الصاحب في السفر، والخليفة في الاهل . اللهم اني اعوذ بك من وعثاء السفر، وكابة المنظر، وسوء المنقلب في المال والاهل والولد واذا رجع قالهن وزاد فيهن: ايبون، تاىبون، عابدون، لربنا حامدون رواه مسلم

(170) Chapter: Supplication at the time of Riding


Allah, the Exalted, says:
"... and has appointed for you ships and cattle on which you ride. In order that you may mount on their backs, and then may remember the Favour of your Rubb when you mount thereon, and say: `Glory to Him Who has subjected this to us, and we could never have it (by our efforts). And verily, to Our Rubb we indeed are to return!''' (43:12-14)

Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) mounted his camel for setting out on a journey, he would recite: "Allahu Akbar (Allah is Greatest)," thrice. Then he (ﷺ) would supplicate: "Subhanal-ladhi sakh-khara lana hadha, wa ma kunna lahu muqrinin, wa inna ila Rabbina lamunqalibun. Allahumma inna nas'aluka fi safarina hadh al-birra wat-taqwa, wa minal-'amali ma tarda. Allahumma hawwin 'alaina safarana hadha, watwi 'anna bu'dahu. Allahumma Antas-Sahibu fissafari, wal-Khalifatu fil- ahli. Allahumma inni a'udhu bika min wa'ta'is-safari, wa kaabatil- manzari, wa su'il-munqalabi fil-mali wal-ahli wal-waladi (Far removed from imperfection is the One Who has made this subservient to us, for we have no power to subjugate it, and certainly to our Rubb shall we return. O Allah, we ask You during this journey of ours for righteousness, piety and such deeds as are pleasing to You. O Allah, make easy for us this journey of ours and make the distance short for us. O Allah, You are our Companion during the journey and the Guardian of the family and the property in our absence. O Allah, I seek refuge in You from the hardships of travelling, unhappiness connected with ghastly scenes and evil turns in property and family)." When he returned, he recited this supplication making addition of these words: "Ayibuna, ta'ibuna, 'abiduna, li-Rabbina hamidun (We are those who return; those who repent; those who worship and those who praise our Rubb)."

[Muslim].


Commentary: This is a very comprehensive prayer. Man is not safe from dangers during a journey and in his absence, safety of his household may worry him, too. In this prayer, Allah is entreated to ensure the safety of the two in most effective words. And none can harm that person who comes under the Watch and Protection of Allah. This prayer should be recited upon starting on a journey as well as returning from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৭/ সফরের আদব-কায়দা (كتاب آداب السفر) The Book of Etiquette of Traveling

পরিচ্ছেদঃ ১৭০: কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দো‘আ

২/৯৮০। আব্দুল্লাহ ইবনে সার্জিস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন, তখন তিনি সফরের কষ্ট থেকে, দুশ্চিন্তাজনক পরিস্থিতি থেকে বা অপ্রীতিকর প্রত্যাবর্তন, পূর্ণতার পর হ্রাস থেকে, অত্যাচারিতের বদ-দো’আ থেকে, মাল-ধন ও পরিবারের ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (মুসলিম) [1]

الحَور بعد الكون এভাবেই সহীহ মুসলিমে আছে (الكون এ নূন দিয়ে)। ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈও ঐভাবে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, الكور (এ নূনের পরিবর্তে) ’রা’ বর্ণ সহকারে বর্ণনা করা হয়। আর উভয় বর্ণনাই সঠিক।

আলেমগণ এ দুয়েরই অর্থ বলেছেন যে, ভালো হওয়ার পর খারাপ হওয়া কিংবা বেশি হওয়ার পর কম হওয়া। তাঁরা বলেন, كور শব্দটি تكرير العمامة (অর্থাৎ পাগড়ী পেঁচানো) থেকে গৃহীত। অর্থাৎ মাথায় পাগড়ী জড়ানো বা গুটানো। আর كون শব্দটি كان يكون كوناً থেকে গৃহীত। তার মানে হচ্ছে অস্তিত্বে আসা, স্থির হওয়া।

(170) بَابُ مَا يَقُوْلُ إِذَا رَكِبَ الدَّابَّةَ لِلسَّفَرِ

وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ سَرجِسَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَتَعَوَّذُ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ، وَكَآبَةِ المُنْقَلَبِ، وَالْحَوْرِ بَعْدَ الكَوْنِ، وَدَعْوَةِ المَظْلُومِ، وَسُوءِ المَنْظَرِ في الأَهْلِ وَالمَالِ . رواه مسلم

هكذا هو في صحيح مسلم‏:‏ الحور بعد الكون، بالنون، وكذا رواه الترمذي والنسائي‏.‏ قال الترمذي‏:‏ يروي ‏:‏الكور‏ ‏ بالراء، وكلاهما له وجه‏.‏ قال العلماء‏:‏ ومعناه بالنون والراء جميعاً‏:‏ الرجوع من الاستقامة أو الزيادة إلي النقص‏.‏ قالوا‏:‏ ورواية الراء مأخوذة من تكوير العمامة، وهو لفها وجمعها، ورواية النون، من الكون، مصدراً ‏ ‏كان يكون كوناً‏ ‏ إذا وجد واستقر‏.‏

وعن عبد الله بن سرجس رضي الله عنه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اذا سافر يتعوذ من وعثاء السفر، وكابة المنقلب، والحور بعد الكون، ودعوة المظلوم، وسوء المنظر في الاهل والمال . رواه مسلم هكذا هو في صحيح مسلم‏:‏ الحور بعد الكون، بالنون، وكذا رواه الترمذي والنساىي‏.‏ قال الترمذي‏:‏ يروي ‏:‏الكور‏ ‏ بالراء، وكلاهما له وجه‏.‏ قال العلماء‏:‏ ومعناه بالنون والراء جميعا‏:‏ الرجوع من الاستقامة او الزيادة الي النقص‏.‏ قالوا‏:‏ ورواية الراء ماخوذة من تكوير العمامة، وهو لفها وجمعها، ورواية النون، من الكون، مصدرا ‏ ‏كان يكون كونا‏ ‏ اذا وجد واستقر‏.‏

(170) Chapter: Supplication at the time of Riding


'Abdullah bin Sarjis (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) proceeded on a journey, he would seek refuge in Allah from the hardships of the journey, and against deviation after guidance, and against the supplication of the oppressed, and occurrences of unpleasant events in the family and property. He would say: "Allahumma inni a'udhu bika min wa'tha'is- safari, wa kaabatil-munqalabi, wal-hauri ba'dal-kauni, wa da'watil- mazlumi, wa su'il-manzari fil-ahli wal- mal."

[Muslim].


Commentary: The Prophet (PBUH) sought Divine refuge against the supplication of the oppressed because Allah immediately responds to it. It is, therefore, imperative that if a man has wronged anybody, he should recompense his wrongdoing before embarking on a journey because the malediction of the wronged may invoke Divine wrath exposing the wrongdoer to a risky and troublesome journey.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৭/ সফরের আদব-কায়দা (كتاب آداب السفر) The Book of Etiquette of Traveling

পরিচ্ছেদঃ ১৭০: কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দো‘আ

৩/৯৮১। আলী ইবনে রাবীআহ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আলী ইবনে আবু ত্বালেব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর নিকট হাজির ছিলাম। যখন তাঁর নিকট আরোহন করার উদ্দেশ্যে বাহন আনা হল এবং যখন তিনি বাহনের পাদানে স্বীয় পা রাখলেন তখন ’বিসমিল্লাহ’ বললেন। অতঃপর যখন তার পিঠে স্থির হয়ে সোজা ভাবে বসলেন তখন বললেন, ’আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। অইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবূন।’

অতঃপর তিনবার ’আলহামদুলিল্লাহ’ পড়লেন। অতঃপর তিনবার ’আল্লাহু আকবার’ পড়লেন। অতঃপর পড়লেন, ’সুবহানাকা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফিরলী, ইন্নাহু লা য়্যাগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনত্।’ অতঃপর তিনি হাসলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি হাসলেন কেন?’ তিনি বললেন, ’আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখলাম, তিনি তাই করলেন, যা আমি করলাম।

অতঃপর তিনি হাসলেন। আমি প্রশ্ন করলাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি হাসলেন কেন?’ তিনি বললেন, ’’তোমার মহান প্রতিপালক তাঁর সেই বান্দার প্রতি আশ্চর্যান্বিত হন, যখন সে বলে, ’ইগফিরলী যুনূবী’ (অর্থাৎ আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দাও।) সে জানে যে, আমি (আল্লাহ) ছাড়া পাপরাশি আর কেউ মাফ করতে পারে না।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান, কোন কোন কপিতে আছে, ’হাসান সহীহ’। আর এ শব্দমালা আবূ দাঊদের।) [1]

(170) بَابُ مَا يَقُوْلُ إِذَا رَكِبَ الدَّابَّةَ لِلسَّفَرِ

وَعَنْ عَلِيِّ بنِ رَبِيعَةَ، قَالَ: شَهِدتُّ عَلِيَّ بنَ أَبِي طَالِبٍ رضي الله عنه، أُتِيَ بِدَابَّةٍ لِيَرْكَبَهَا، فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الرِّكَابِ، قَالَ: بِسْمِ اللهِ، فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى ظَهْرِهَا، قَالَ: الحَمْدُ ِللهِ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنينَ، وَإنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ، ثُمَّ قَالَ: اَلحمْدُ للهِ، ثَلاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ قَالَ: اَللهُ أكْبَرُ، ثَلاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ قَالَ: سُبْحَانَكَ إنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، ثُمَّ ضَحِكَ، فَقِيلَ: يَا أَمِيرَ المُؤمِنِينَ، مِنْ أيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ ؟ قَالَ: رَأيتُ النبيَّ صلى الله عليه وسلم فَعَلَ كَمَا فَعَلْتُ ثُمَّ ضَحِكَ، فقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، مِنْ أيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ ؟ قَالَ: « إنَّ رَبَّكَ تَعَالَى يَعْجَبُ مِنْ عَبدِهِ إِذَا قَالَ: اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي، يَعْلَمُ أنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ غَيْرِي ». رواه أَبُو داود والترمذي، وَقَالَ:«حديث حسن»، وفي بعض النسخ:حسن صحيح. وهذا لفظ أَبي داود

وعن علي بن ربيعة، قال: شهدت علي بن ابي طالب رضي الله عنه، اتي بدابة ليركبها، فلما وضع رجله في الركاب، قال: بسم الله، فلما استوى على ظهرها، قال: الحمد لله الذي سخر لنا هذا وما كنا له مقرنين، وانا الى ربنا لمنقلبون، ثم قال: الحمد لله، ثلاث مرات، ثم قال: الله اكبر، ثلاث مرات، ثم قال: سبحانك اني ظلمت نفسي فاغفر لي انه لا يغفر الذنوب الا انت، ثم ضحك، فقيل: يا امير المومنين، من اي شيء ضحكت ؟ قال: رايت النبي صلى الله عليه وسلم فعل كما فعلت ثم ضحك، فقلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، من اي شيء ضحكت ؟ قال: « ان ربك تعالى يعجب من عبده اذا قال: اغفر لي ذنوبي، يعلم انه لا يغفر الذنوب غيري ». رواه ابو داود والترمذي، وقال:«حديث حسن»، وفي بعض النسخ:حسن صحيح. وهذا لفظ ابي داود

(170) Chapter: Supplication at the time of Riding


'Ali bin Rabi'ah reported:
In my presence, a beast was brought to 'Ali bin Abu Talib (May Allah be pleased with him) for riding. When he put his foot in the stirrup, he said: "Bismillah (With the Name of Allah)." When he had settled himself on its back he recited: "Al-hamdu lillahil-ladhi sakh-khara lana hadha, wa ma kunna lahu muqrinin, wa inna ila Rabbina lamunqalibun. (All praise belongs to Allah Who has made this subservient to us, for we had not the strength to overpower it; and to our Rubb shall we return)." He then recited thrice: "Alhamdu lillah (Praise be to Allah)," and then three times: "Allahu Abkar (Allah is Greatest)." Then he said: "Subhanaka inni zalamtu nafsi faghfir li, innahu la yaghfirudh-dhunuba illa Anta (You are far removed from imperfection I have wronged myself, so forgive me, because none but You can forgive sins)." Then he smiled. It was asked: "Why have you smiled, O Amir Al-Mu'minin (Leader of the Believers)?" He replied: "I saw the Messenger of Allah (ﷺ) doing as I have done. I (i.e., Ali) asked him (the Messenger of Allah (ﷺ)) the reason for smiling. He (ﷺ) said, 'Your Rubb, Glorious is He, is pleased when His slave seeks His forgiveness. He (the slave) has firm faith that none except Allah Alone can forgive sins)'."

[Abu Dawud and At-Tirmidhi].


Commentary: After putting his foot into the stirrup, the rider should say: "Bismillah (With the Name of Allah).'' When he sits firm on the animal, he should recite the prayers mentioned in this Hadith and utter the Glorification and Magnification of Allah - "Al-hamdu lillah (Praise be to Allah)'' and "Allahu Akbar (Allah is Greatest).''
Moreover, this Hadith sheds light on the tremendous and matchless fervour of the Companions to follow the Prophet (PBUH). This Du`a is not restricted to riding an animal, but includes all means of transportation, such as the plane, the train and the car.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু রাবী'আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৭/ সফরের আদব-কায়দা (كتاب آداب السفر) The Book of Etiquette of Traveling
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে