পরিচ্ছেদঃ ৯. মুয়াযযিন ইকামাত দেওয়া শুরু করলে নফল সালাত আরম্ভ করা মাকরূহ
১৫২৪। আবূ কামিল জাহদারী (রহঃ), হামিদ ইবনু উমর বাকরাবী (রহঃ), ইবনু নুমায়র ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। লোকটি মসজিদের কোনায় দু রাকআত সালাত আদায় করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে শামিল হল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরিয়ে বললেন, হে ওমুক! তুমি এ দু’ সালাতের মধ্যে কোনটিকে (আসল) গন্য করেছ? যা তুমি একাকী পড়লে তা, না যা আমাদের সাথে পড়লে তা?
باب كَرَاهَةِ الشُّرُوعِ فِي نَافِلَةٍ بَعْدَ شُرُوعِ الْمُؤَذِّنِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنِي حَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ عَاصِمٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ دَخَلَ رَجُلٌ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْغَدَاةِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي جَانِبِ الْمَسْجِدِ ثُمَّ دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَا فُلاَنُ بِأَىِّ الصَّلاَتَيْنِ اعْتَدَدْتَ أَبِصَلاَتِكَ وَحْدَكَ أَمْ بِصَلاَتِكَ مَعَنَا " .
'Abdullah b. Sarjis reported:
A person entered the mosque, while the Messenger of Allah (ﷺ) was leading the dawn prayer. He observed two rak'ahs in a corner of the mosque, and then joined the Messenger of Allah (ﷺ) in prayer. When the Messenger of Allah (ﷺ) had pronounced salutations (he had concluded the prayer), he said: O, so and so, which one out of these two prayers did you count (as your Fard prayer), the one that you observed alone or the prayer that you observed with us?
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. তাওয়াফের সময় হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা মুস্তাহাব
২৯৩৯। খালফ ইবনু হিশাম, মুকাদ্দমী, আবূ কামিল ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি টাক মাথাওয়ালা অর্থাৎ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কে কালো পাথর হাজারে আসওয়াদ চুমো দিতে দেখেছি এবং তিনি বলেছেন, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে চুন্বন করব এবং আমি অবশ্যই জানি যে, তুমি একটি পাথর, তুমি কারও ক্ষতিও করতে পার না এবং উপকারও করতে পার না। আমি যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখতাম তবে আমি তোমায় চুম্বন করতাম না।
باب اسْتِحْبَابِ تَقْبِيلِ الْحَجَرِ الأَسْوَدِ فِي الطَّوَافِ
حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، وَالْمُقَدَّمِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ كُلُّهُمْ عَنْ حَمَّادٍ، - قَالَ خَلَفٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، - عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ رَأَيْتُ الأَصْلَعَ - يَعْنِي عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ - يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ وَاللَّهِ إِنِّي لأُقَبِّلُكَ وَإِنِّي أَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ وَأَنَّكَ لاَ تَضُرُّ وَلاَ تَنْفَعُ وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَكَ مَا قَبَّلْتُكَ . وَفِي رِوَايَةِ الْمُقَدَّمِيِّ وَأَبِي كَامِلٍ رَأَيْتُ الأُصَيْلِعَ .
Abdullah b. Sarjis reported:
I saw the bald one, i. e. 'Umar b. Khattib (Allah be pleased with him). kissing the Stone and saying: By Allah. I am kissing with full consciousness of the fact that you are a stone and that you can neither do any harm nor good; and if I had not seen Allah's Messenger (ﷺ) kissing you. I would not have kissed you. The rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ৭১. হজ্জের সফরে বা অন্য কোন সফরের উদ্দেশ্যে যানবাহনে আরোহণকালে দু'আ পড়া মুস্তাহাব এবং এর উত্তম দু'আর বর্ণনা
৩১৪৬। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন তখন আশ্রয় প্রার্থনা করতেন সফরের কষ্ট থেকে, দুঃখজনক প্রত্যাবর্তন থেকে, সুখময় অবস্থার পর দুঃখময় অবস্থায় পতিত হওয়া থেকে, মযলুমের বদদু’আ থেকে এবং সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ক্ষতিকর দৃশ্য অবলোকন থেকে।
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَتَعَوَّذُ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَدَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ.
Abdullah b. Sarjis (Allah be pleased with him) reported that when Allah's Messenger (ﷺ) set forth on a journey, he sought refuge (with Allah) from the hardships of the travelling, and finding of evil changes on return, and disgrace after honour, and the curse of the oppressed and a gloomy sad scene in family and property.
পরিচ্ছেদঃ ১৭০: কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দো‘আ
২/৯৮০। আব্দুল্লাহ ইবনে সার্জিস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন, তখন তিনি সফরের কষ্ট থেকে, দুশ্চিন্তাজনক পরিস্থিতি থেকে বা অপ্রীতিকর প্রত্যাবর্তন, পূর্ণতার পর হ্রাস থেকে, অত্যাচারিতের বদ-দো’আ থেকে, মাল-ধন ও পরিবারের ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (মুসলিম) [1]
الحَور بعد الكون এভাবেই সহীহ মুসলিমে আছে (الكون এ নূন দিয়ে)। ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈও ঐভাবে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, الكور (এ নূনের পরিবর্তে) ’রা’ বর্ণ সহকারে বর্ণনা করা হয়। আর উভয় বর্ণনাই সঠিক।
আলেমগণ এ দুয়েরই অর্থ বলেছেন যে, ভালো হওয়ার পর খারাপ হওয়া কিংবা বেশি হওয়ার পর কম হওয়া। তাঁরা বলেন, كور শব্দটি تكرير العمامة (অর্থাৎ পাগড়ী পেঁচানো) থেকে গৃহীত। অর্থাৎ মাথায় পাগড়ী জড়ানো বা গুটানো। আর كون শব্দটি كان يكون كوناً থেকে গৃহীত। তার মানে হচ্ছে অস্তিত্বে আসা, স্থির হওয়া।
(170) بَابُ مَا يَقُوْلُ إِذَا رَكِبَ الدَّابَّةَ لِلسَّفَرِ
وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ سَرجِسَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَتَعَوَّذُ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ، وَكَآبَةِ المُنْقَلَبِ، وَالْحَوْرِ بَعْدَ الكَوْنِ، وَدَعْوَةِ المَظْلُومِ، وَسُوءِ المَنْظَرِ في الأَهْلِ وَالمَالِ . رواه مسلم
هكذا هو في صحيح مسلم: الحور بعد الكون، بالنون، وكذا رواه الترمذي والنسائي. قال الترمذي: يروي :الكور بالراء، وكلاهما له وجه. قال العلماء: ومعناه بالنون والراء جميعاً: الرجوع من الاستقامة أو الزيادة إلي النقص. قالوا: ورواية الراء مأخوذة من تكوير العمامة، وهو لفها وجمعها، ورواية النون، من الكون، مصدراً كان يكون كوناً إذا وجد واستقر.
(170) Chapter: Supplication at the time of Riding
'Abdullah bin Sarjis (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) proceeded on a journey, he would seek refuge in Allah from the hardships of the journey, and against deviation after guidance, and against the supplication of the oppressed, and occurrences of unpleasant events in the family and property. He would say: "Allahumma inni a'udhu bika min wa'tha'is- safari, wa kaabatil-munqalabi, wal-hauri ba'dal-kauni, wa da'watil- mazlumi, wa su'il-manzari fil-ahli wal- mal."
[Muslim].
Commentary: The Prophet (PBUH) sought Divine refuge against the supplication of the oppressed because Allah immediately responds to it. It is, therefore, imperative that if a man has wronged anybody, he should recompense his wrongdoing before embarking on a journey because the malediction of the wronged may invoke Divine wrath exposing the wrongdoer to a risky and troublesome journey.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. গর্তে পেশাব করা নিষেধ।
২৯. উবায়দুল্লাহ ইবনু উমার .... আবদুল্লাহ্ ইবনু সারজিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গর্তের মধ্যে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন রাবী বলেন, লোকজন কাতাদা (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করেন, গর্তে গেশাব করা নিষেধ কেন? রাবী বলেনঃ এরূপ প্রবাদ আছে যে- জ্বীনেরা (সাধারনতঃ) গর্তে বসবাস করে থাকে-(নাসাঈ)
باب النَّهْىِ عَنِ الْبَوْلِ، فِي الْجُحْرِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُبَالَ فِي الْجُحْرِ . قَالَ قَالُوا لِقَتَادَةَ مَا يُكْرَهُ مِنَ الْبَوْلِ فِي الْجُحْرِ قَالَ كَانَ يُقَالُ إِنَّهَا مَسَاكِنُ الْجِنِّ .
حكم : ضعيف (الألباني
Narrated Abdullah ibn Sarjis:
The Prophet (ﷺ) prohibited to urinate in a hole.
Qatadah (a narrator) was asked about the reason for the disapproval of urinating in a hole. He replied: It is said that these (holes) are the habitats of the jinn.
পরিচ্ছেদঃ ২৯৯. কেউ ফজরের সুন্নাত নামায আদায়ের পূর্বে ইমামকে জামায়াতে নামাযরত পেলে।
১২৬৫. সুলায়মান ইবন হারব (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবন সারজিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি মসজিদে এসে দেখতে পায় যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামায়াত শুরু করে দিয়েছেন। লোকটি একাকী দুই রাকাত নামায পড়ার পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে জামায়াতে শরীক হয়। নামায শেষে তিনি বলেনঃ তুমি কোন নামায আদায়ের উদ্দেশে মসজিদে এসেছ? যে নামায একাকী পড়েছ না যা আমাদের সাথে আদায় করেছ? (মুসলিম, নাসাই, ইবন মাজাহ)।
باب إِذَا أَدْرَكَ الإِمَامَ وَلَمْ يُصَلِّ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الصُّبْحَ فَصَلَّى الرَّكْعَتَيْنِ ثُمَّ دَخَلَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " يَا فُلاَنُ أَيَّتُهُمَا صَلاَتُكَ الَّتِي صَلَّيْتَ وَحْدَكَ أَوِ الَّتِي صَلَّيْتَ مَعَنَا " .
Narrated 'Abd Allah b. Sarjas:
A man came while the Prophet (ﷺ) was leading the people in the dawn prayer. He prayed the two rak'ahs and then joined the congregational prayer led by the Prophet (ﷺ). When he finished the prayer, the Prophet (ﷺ) said: So-and-so, which was your real prayer, the one you prayed alone or the one offered with us ?
পরিচ্ছেদঃ ৩০/ গর্তে প্রস্রাব করা মাকরূহ
৩৪। উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, তোমাদের কেউ যেন গর্তে পেশাব না করে। লোকেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলোঃ গর্তে পেশব করা দূষণীয় কেন? তিনি জবাব দেন যে, বলা হয়ে থাকে, গর্ত জ্বীনের বাসস্থান।
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي جُحْرٍ " . قَالُوا لِقَتَادَةَ وَمَا يُكْرَهُ مِنَ الْبَوْلِ فِي الْجُحْرِ قَالَ يُقَالُ إِنَّهَا مَسَاكِنُ الْجِنِّ
It was narrated from Qatadah, from 'Abdullah bin Sarjis, that the Prophet of Allah (ﷺ) said:
"None of you should urinate into a burrow in the ground." They said to Qatadah: "Why is it disliked to urinate into a burrow in the ground?" He said: "It is said that these are dwelling-places of the jinn."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/ ইমাম নামাযরত থাকা অবস্থায় যে ফজরের দু'রাকাআত সুন্নত নামায পড়ে
৮৬৯। ইয়াহ্য়া ইবনু হাবীব ইবনু আরাবী (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আগমন করল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। সে ব্যক্তি দু রাক’আত সালাত আদায় করে সালাতে শরীক হলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সালাত শেষ করে বললেনঃ হে অমুক! তোমার সালাত কোনটি, তুমি যে সালাত আমাদের সাথে আদায় করেছ সেটি, না যে সালাত একা আদায় করেছ?
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ فَرَكَعَ الرَّكْعَتَيْنِ ثُمَّ دَخَلَ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ قَالَ " يَا فُلاَنُ أَيُّهُمَا صَلاَتُكَ الَّتِي صَلَّيْتَ مَعَنَا أَوِ الَّتِي صَلَّيْتَ لِنَفْسِكَ " .
It was narrated that 'Abdullah bin Sarjis said:
"A man came while the Messenger of Allah (ﷺ) was praying Subh, and he prayed two Rak'ahs then joined the prayer. When the Messenger of Allah (ﷺ) had finished praying he said: O so-and-so, which of them is your prayer - the one you prayed with us or the one you prayed on your own?"'
পরিচ্ছেদঃ ৪০. লাভের পর ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৫৪৯৭. আযহার ইবন জামিল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন, তখন বলতেনঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি সফরের কষ্ট, দুঃখজনক প্রত্যাবর্তন, লাভের পর ক্ষতি, মযলুমের বদ-দু’আ এবং সম্পদ ও পরিবারে মন্দ দৃশ্য থেকে।
الِاسْتِعَاذَةُ مِنْ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ
أَخْبَرَنَا أَزْهَرُ بْنُ جَمِيلٍ قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا سَافَرَ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَدَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الْأَهْلِ وَالْمَالِ
It was narrated from 'Abdullah bin Sarjis that :
When the Messenger of Allah [SAW] traveled, he would say: "Allahumma inni a'udhu bika min wa'tha'is-safari, wa kabatil-munqalabi, wal-hawri ba'dal-kawri, wa da'watil-mazlumi, wa suw'il-munzari fil-ahli wal-mal (O Allah, I seek refuge with You from the hardships of travel and the sorrows of return, from loss after plenty, from the supplication of the one who has been wronged, and seeing some calamity befall my family or wealth.)"
পরিচ্ছেদঃ ৪০. লাভের পর ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৫৪৯৮. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন, বলতেনঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি সফরের কষ্ট, দুঃখজনক প্রত্যাবর্তন, লাভের পর ক্ষতি, নির্যাতীতের বদ-দু’আ এবং সম্পদ, বাসস্থান ও সন্তানের ক্ষেত্রে মন্দ দৃশ্য থেকে।
الِاسْتِعَاذَةُ مِنْ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا سَافَرَ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَدَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الْأَهْلِ وَالْمَالِ وَالْوَلَدِ
It was narrated from 'Abdullah bin Sarjis that :
When the Messenger of Allah [SAW] traveled, he would say: "Allahumma inni a'udhu bika min wa'tha'is-safari, wa kabatil-munqalabi, wal-hawri ba'dal-kawri, wa da'watil-mazlumi, wa su'il-munzari fil-ahli wal-mali wal-walad (O Allah, I seek refuge with You from the hardships of travel and the sorrows of return, from loss after plenty, from the supplication of the one who has been wronged, and seeing some calamity befall my family or wealth or child.)"
পরিচ্ছেদঃ ৪১. অত্যাচারিত ব্যক্তির বদ-দু'আ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৫৪৯৯. ইউসুফ ইবন হাম্মাদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন সারজিস্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন, তখন তিনি সফরের কষ্ট, দুঃখজনক প্রত্যাবর্তন, লাভের পর ক্ষতি, অত্যাচারিতের বদ-দু’আ এবং মন্দ দৃশ্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
الِاسْتِعَاذَةُ مِنْ دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مَنْصُورٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ يَتَعَوَّذُ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَدَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ
It was narrated that 'Abdullah bin Sarjis said:
"When the Prophet [SAW] traveled, he would seek refuge with Allah from the hardships of travel, and the sorrows of return, from loss after plenty, from the supplication of the one who has been wronged, and from seeing some calamity befall."
পরিচ্ছেদঃ ১/৩৪. এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা/নিষিদ্ধ বিষয়।
২/৩৭৪। আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষকে নারীর উযূর উদ্বৃত্ত পানি দিয়ে এবং নারীকে পুরুষের উদ্বৃত্ত পানি দিয়ে উযূ (ওজু/অজু/অযু)-গোসল করতে নিষেধ করেছেন। তবে তারা (স্বামী-স্ত্রী একত্রে গোসল করতে পারে। ইমাম আবূ আবদুল্লাহ ইবনু মাজাহ (রহঃ) বলেন, প্রথমোক্ত বক্তব্যই সঠিক এবং শেষোক্ত বক্তব্য ধারণামাত্র।
২/৩৭৪ (১)। আবুল হাসান ইবনু সালামাহ, আবূ হাতিম ও আবূ ’উসমান আল-মুহারিবী, আল মু’আল্লা ইবনু আসাদ (রহ.) থেকে এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ ذَلِكَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يَغْتَسِلَ الرَّجُلُ بِفَضْلِ وَضُوءِ الْمَرْأَةِ وَالْمَرْأَةُ بِفَضْلِ الرَّجُلِ وَلَكِنْ يَشْرَعَانِ جَمِيعًا .
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَاجَهْ الصَّحِيحُ هُوَ الأَوَّلُ وَالثَّانِي وَهَمٌ .
قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، وَأَبُو عُثْمَانَ الْبُخَارِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، نَحْوَهُ .
It was narrated that `Abdullah bin Sarjis said:
"The Messenger of Allah forbade men to perform ablution with the water left over by a woman, and women to perform ablution with water left over by a man, however both (spouses) may start to perform their ablutions at the same time." Abu `Abdullah Ibn Majah said: "The first (narration) is correct, and the second (narration) is Wahm (an error)." Another chain with similar wording.
পরিচ্ছেদঃ ৫/১০৩. ইকামত দেয়ার পর ফরয সালাত ব্যতীত অন্য কোন সালাত পড়া যাবে না
২/১১৫২। আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফজরের) ফরয সালাত (নামায/নামাজ) আদায়রত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ফজরের সালাতের পূর্বে দু রাকআত সালাত আদায় করতে দেখেন। তিনি সালাত শেষে তাকে বলেনঃ তোমার দু সালাতের কোনটি হিসাব করলে?
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ১১৪৯
بَاب مَا جَاءَ فِي إِذَا أُقِيمَتْ الصَّلَاةُ فَلَا صَلَاةَ إِلَّا الْمَكْتُوبَةُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْغَدَاةِ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَلَمَّا صَلَّى قَالَ لَهُ " بِأَىِّ صَلاَتَيْكَ اعْتَدَدْتَ " .
It was narrated from ‘Abdullah bin Sarjis that the Messenger of Allah (ﷺ) saw a man performing the two Rak’ah before the morning prayer while he himself was performing prayer. When he had finished praying he said to him:
“Which of your two prayers did you intend to be counted (i.e., accepted)?”
পরিচ্ছেদঃ ১৯/২৭. হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা
১/২৯৪৩। আবদুল্লাহ ইবনে সারজিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল-উসায়লিহ্ অর্থাৎ উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কে দেখলাম যে, তিনি হাজরে আসওয়াদে চুমা দিচ্ছেন আর বলছেন, আমি অবশ্যি তোমাকে চুম্বন করছি। আমি নিশ্চিত জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র, তুমি ক্ষতিও করতে পারো না এবং উপকারও করতে পারো না। আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তোমায় চুমা দিতে না দেখতাম তাহলে আমিও তোমায় চুমা দিতাম না।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب اسْتِلَامِ الْحَجَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ رَأَيْتُ الأُصَيْلِعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ إِنِّي لأُقَبِّلُكَ وَإِنِّي لأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لاَ تَضُرُّ وَلاَ تَنْفَعُ وَلَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ .
It was narrated that ‘Abdullah bin Sarjis said:
“I saw the bald forehead of ‘Umar bin Khattab when he kissed the Black Stone and said: ‘I am kissing you, although I know that you are only a stone and you can neither cause harm nor bring benefit. Had I not seen the Messenger of Allah (ﷺ) kissing you, I would not have kissed you.’”
পরিচ্ছেদঃ ধীরতা ও তাড়াহুড়া।
২০১৬. নাসর ইবন আলী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন সারজিস মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সুন্দর আচরণ, ধৈর্য এবং মধ্যমপন্থা হল নবুওয়াতের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ। হাসান, রাওযুন নাযীর ৩৮৪্ তা’লীকুর রাগীব ৩/৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০১০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-গারীব।
কুতায়বা (রহঃ) ... আবুদুল্লাহ ইবন সারজিস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। এই সনদে আসিম (রহঃ) এর উল্লেখ নেই। নাসর ইবন আলী (রহঃ) এর রিওয়ায়াতটি (২০১৭) হল সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي التَّأَنِّي وَالْعَجَلَةِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ الْمُزَنِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " السَّمْتُ الْحَسَنُ وَالتُّؤَدَةُ وَالاِقْتِصَادُ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ " . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَاصِمٍ وَالصَّحِيحُ حَدِيثُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ .
Abdullah bin Sarjis Al-Muzam narrated that the Messenger of Allah said:
"Taking the good route is a part of the twenty-four parts of Prophethood."
পরিচ্ছেদঃ মুসাফিররূপে বের হওয়ার সময় কী দু'আ পড়বে
৩৪৩৯. আহমাদ ইবন আবদা যাব্বী (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবন সারজিস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন তখন বলতেনঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَمِنَ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ وَمِنْ دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَمِنْ سُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ
হে আল্লাহ! তুমিই সফরে আমার সঙ্গী, পরিবার পরিজনে স্থলবর্তী। হে আল্লাহ! তুমি সঙ্গী হও আমাদের সফরে আর তুমিই স্থলবর্তী হও পরিবারের। হে আল্লাহ! তোমারই কাছে পানাহ চাই সফরের কঠোরতা থেকে, কষ্টে নিপতিত আবস্থায় পত্যাবর্তন থেকে, আনুগত্য বন্ধনের পর তা ছিন্ন করা থেকে মজলূমের বদ দু’আ থেকে এবং পরিবার ও সম্পদ-সম্পত্তিতে মন্দ দৃশ্য আবলোকন থেকে।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৮৮৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। (الْحَوْرِ) এর স্থলে (الْكَوْرِ) বর্ণিত আছে। উভয় রিওয়ায়াতেরই তাৎপর্য রয়েছে। তা হল ঈমান গ্রহনের পর কুফরির দিকে তা বন্দেগী গ্রহণের পর নাফরমানীর দিকে ফিরে যাওয়া অর্থাৎ কোন কল্যাণময় আবস্থা থেকে আকল্যাণকর আবস্থার দিকে প্রত্যাবর্তন করা।
باب مَا يَقُولُ إِذَا خَرَجَ مُسَافِرًا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَمِنَ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ وَمِنْ دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَمِنْ سُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَيُرْوَى الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ أَيْضًا قَالَ وَمَعْنَى قَوْلِهِ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ أَوِ الْكَوْرِ وَكِلاَهُمَا لَهُ وَجْهٌ يُقَالُ إِنَّمَا هُوَ الرُّجُوعُ مِنَ الإِيمَانِ إِلَى الْكُفْرِ أَوْ مِنَ الطَّاعَةِ إِلَى الْمَعْصِيَةِ إِنَّمَا يَعْنِي الرُّجُوعَ مِنْ شَيْءٍ إِلَى شَيْءٍ مِنَ الشَّرِّ .
Abdullah bin Sarjis narrated that:
When the Prophet (ﷺ) wanted to travel, he would say: “O Allah, You are the companion on the journey, and the caretaker for the family, O Allah, accompany us in our journey, and watch over our families, O Allah, I seek refuge in You from the difficulties of the journey, and from returning in great sadness, and from loss after increase, and from the supplication of the oppressed, and from someone looking with evil at our families and wealth (Allāhumma antaṣ-ṣāḥibu fis safari wal-khalīfatu fil-ahli, allāhumma aṣḥabnā fī safarinā wakhlufnā fī ahlinā. Allāhumma innī a’ūdhu bika min wa`thā’is-safari wa ka’ābatil-munqalab, wa minal-ḥawri ba`dal-kawni, wa min da`watil-maẓlūm, wa min sū’il-manẓari fil-ahli wal-māl).”
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. ধীর-স্থিরতা ও তাড়াহুড়া
২০১০। আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস আল-মুযানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উত্তম আচরণ, দৃঢ়তা-স্থিরতা ও মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে নাবুওয়াতের চব্বিশ ভাগের একভাগ।
হাসান, রাওযুন নায়ীর (৩৮৪), তা’লীকুর রাগীব (৩/৬)।
আবূ ঈসা বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। কুতাইবা-নূহ ইবনু কাইস হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু ইমরান হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে (উপরের হাদীসের) একইরকম বর্ণনা করেছেন। এই সূত্রটিতে আসিমের উল্লেখ নেই। কিন্তু নাসর ইবনু আলীর হাদীসটিই সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي التَّأَنِّي وَالْعَجَلَةِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ الْمُزَنِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " السَّمْتُ الْحَسَنُ وَالتُّؤَدَةُ وَالاِقْتِصَادُ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعَةٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ " . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِمْرَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ عَاصِمٍ وَالصَّحِيحُ حَدِيثُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ .
Abdullah bin Sarjis Al-Muzam narrated that the Messenger of Allah said:
"Taking the good route is a part of the twenty-four parts of Prophethood."
পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফরে যাওয়ার সময় যে দু’আ পাঠ করতে হয়
৩৪৩৯। আবদুল্লাহ ইবনুস সারজিস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে রাওয়ানা হতেন, সে সময় বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি সফরে আমার সঙ্গী এবং আমার (অনুপস্থিতিতে) আমার পরিবার-পরিজনের তুমিই (আমার) স্থলাভিষিক্ত। হে আল্লাহ! আমাদের সফরে তুমি আমাদের সাথী হও এবং আমাদের পরিবার-পরিজনের জন্য আমাদের প্রতিনিধি হও। হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমরা সফরের ক্লান্তি, ফিরে আসার ব্যর্থতা, প্রাচুর্যের পরে রিক্ততা, নির্যাতিতের অভিশাপ এবং পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পত্তির প্রতি কু-দৃষ্টি হতে তোমার নিকট আশ্রয় কামনা করি”।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৮৮), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। অন্য এক বর্ণনায় “আল-কাওন”-এর স্থলে “আল-কাওর" এসেছে (অর্থ একই)। অর্থাৎ ঈমান হতে কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তন করা হতে আশ্রয় চাই অথবা আনুগত্যের পরিবর্তে গুনাহের দিকে প্রত্যাবর্তন। এটাকে ভাল হতে খারাপের দিকে প্রত্যাবর্তন করা বুঝায়।
باب مَا يَقُولُ إِذَا خَرَجَ مُسَافِرًا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَمِنَ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ وَمِنْ دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَمِنْ سُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَيُرْوَى الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ أَيْضًا قَالَ وَمَعْنَى قَوْلِهِ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ أَوِ الْكَوْرِ وَكِلاَهُمَا لَهُ وَجْهٌ يُقَالُ إِنَّمَا هُوَ الرُّجُوعُ مِنَ الإِيمَانِ إِلَى الْكُفْرِ أَوْ مِنَ الطَّاعَةِ إِلَى الْمَعْصِيَةِ إِنَّمَا يَعْنِي الرُّجُوعَ مِنْ شَيْءٍ إِلَى شَيْءٍ مِنَ الشَّرِّ .
Abdullah bin Sarjis narrated that:
When the Prophet (ﷺ) wanted to travel, he would say: “O Allah, You are the companion on the journey, and the caretaker for the family, O Allah, accompany us in our journey, and watch over our families, O Allah, I seek refuge in You from the difficulties of the journey, and from returning in great sadness, and from loss after increase, and from the supplication of the oppressed, and from someone looking with evil at our families and wealth (Allāhumma antaṣ-ṣāḥibu fis safari wal-khalīfatu fil-ahli, allāhumma aṣḥabnā fī safarinā wakhlufnā fī ahlinā. Allāhumma innī a’ūdhu bika min wa`thā’is-safari wa ka’ābatil-munqalab, wa minal-ḥawri ba`dal-kawni, wa min da`watil-maẓlūm, wa min sū’il-manẓari fil-ahli wal-māl).”
পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফরকালীন দু’আ
২৭১০. আবদুল্লাহ ইবনে সারজিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে রওয়ানার প্রাক্কালে বলতেনঃ ’’হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সফরের কষ্ট-ক্লান্তি বা মন্দ কাজ, প্রত্যাবর্তন স্থলের বিষন্নতা বা অবসাদ, প্রাচুর্যের পরে রিক্ততা, নির্যাতিতের বদদোয়া এবং পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদের প্রতি কুদৃষ্টি থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি।’’[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৫/৮২, ৮৩; নাসাঈ, ইসতিআযান ৮/২৭২; মুসলিম, হাজ্জ ১৩৪৩; ইবনু মাজাহ, দু’আ ৩৮৮৮; তিরমিযী, দাওয়াত ৩৪৩৫; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়াওমু ওয়াল লাইলাহ নং ৪৯২; আব্দুর রাযযাক, নং ৯২৩১, ২০৯২৭; ইবনু আবী শাইবা ১০/৩৫৯ নং ৯৬৫৬; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৩/১২২।
باب فِي الدُّعَاءِ إِذَا سَافَرَ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ هُوَ الْأَحْوَلُ قَالَ وَثَبَّتَنِي شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَدَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الْأَهْلِ وَالْمَالِ
পরিচ্ছেদঃ ৯. মুয়ায্যিন ইকামাত দেয়া শুরু করলে নফল সালাত শুরু করা মাকরূহ
১৫৩৬-(৬৭/৭১২) আবূ কামিল আল জাহদারী, হামিদ ইবনু উমার আল বাকরাব, ইবনু নুমায়র, যুহায়র ইবনু হারব শব্দগুলো তার (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি মসজিদে আসল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সময় ফজরের সালাত আদায় করেছিলেন। লোকটি মসজিদের এক পাশে গিয়ে দু’ রাকাআত সালাত আদায় করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাতে শামিল হ’ল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফেরার পর তাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে অমুক! তুমি কোন দু’ রাকাআত সালাতকে ফারয (ফরয) সালাতরূপে গণ্য করলে? একাকী যে দু’ রাকাআত আদায় করলে সে দু রাকাআতকে, না আমাদের সাথে যে দু’ রাকাআত আদায় করলে সে দু’ রাকাআতকে*? (ইসলামী ফাউন্ডেশন, ১৫২১, ইসলামীক সেন্টার ১৫২৮)
باب كَرَاهَةِ الشُّرُوعِ فِي نَافِلَةٍ بَعْدَ شُرُوعِ الْمُؤَذِّنِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنِي حَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ عَاصِمٍ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ، قَالَ دَخَلَ رَجُلٌ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْغَدَاةِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي جَانِبِ الْمَسْجِدِ ثُمَّ دَخَلَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَا فُلاَنُ بِأَىِّ الصَّلاَتَيْنِ اعْتَدَدْتَ أَبِصَلاَتِكَ وَحْدَكَ أَمْ بِصَلاَتِكَ مَعَنَا " .
'Abdullah b. Sarjis reported:
A person entered the mosque, while the Messenger of Allah (ﷺ) was leading the dawn prayer. He observed two rak'ahs in a corner of the mosque, and then joined the Messenger of Allah (ﷺ) in prayer. When the Messenger of Allah (ﷺ) had pronounced salutations (he had concluded the prayer), he said: O, so and so, which one out of these two prayers did you count (as your Fard prayer), the one that you observed alone or the prayer that you observed with us?