পরিচ্ছেদঃ ১৬৬: বৃহস্পতিবার সকালে সফরে বের হওয়া উত্তম
১/৯৬৩। কা’ব ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুক অভিযানে বৃহস্পতিবার বের হলেন। আর তিনি বৃহস্পতিবার (সফরে) বের হওয়া পছন্দ করতেন। (বুখারী, মুসলিম) [1]
বুখারী-মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃহস্পতিবার ছাড়া অন্য দিনে কমই সফরে বের হতেন।
(প্রকাশ থাকে যে বৃহস্পতিবার সফরে বের হওয়ার কথা মুসলিম শরীফে নেই।)
(166) بَابُ اِسْتِحْبَابِ الْخُرُوْجِ يَوْمَ الْخَمِيْسِ أَوَّلَ النَّهَار
عَنْ كَعبِ بنِ مَالِكٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ يَوْمَ الخَمِيسِ، وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يَخْرُجَ يَوْمَ الْخَميسِ . متفقٌ عَلَيْهِ.
وفي رواية في الصحيحين: لَقَلَّمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَخْرُجُ إِلاَّ فِي يَوْمِ الخَمِيسِ.
(166) Chapter: The Desirability of setting on a Journey on Thursday in the Early part of the Day
Ka'b bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) set out on Thursday for the expedition of Tabuk. He liked to set out on a journey on Thursdays.
[Al-Bukhari and Muslim]
পরিচ্ছেদঃ ১৬৬: বৃহস্পতিবার সকালে সফরে বের হওয়া উত্তম
২/৯৬৪। স্বাখর ইবনে অদা’আহ গামেদী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’হে আল্লাহ! তুমি আমার উম্মতের জন্য তাদের সকালে বরকত দাও।’’ আর তিনি যখন সেনার ছোট বাহিনী অথবা বড় বাহিনী পাঠাতেন, তখন তাদেরকে সকালে রওয়ানা করতেন। স্বাখর ব্যবসায়ী ছিলেন। সুতরাং তিনি তাঁর ব্যবসার পণ্য সকালেই প্রেরণ করতেন। ফলে তিনি (এর বরকতে) ধনী হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর মাল প্রচুর হয়েছিল। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান) [1]
(166) بَابُ اِسْتِحْبَابِ الْخُرُوْجِ يَوْمَ الْخَمِيْسِ أَوَّلَ النَّهَار
وَعَنْ صَخرِ بنِ وَدَاعَةَ الغَامِدِيِّ الصَّحَابِيِّ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: اَللهم بَارِكْ ِلأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا. وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشَاً بَعَثَهُمْ مِنْ أوَّلِ النَّهَارِ . وَكَانَ صَخْرٌ تَاجِراً، وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ أوَّلَ النَّهَار، فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ. رواه أَبُو داود والترمذي، وَقَالَ:حديث حسن
(166) Chapter: The Desirability of setting on a Journey on Thursday in the Early part of the Day
Sakhr bin Wada'ah Al-Ghamidi (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "O Allah! Bless my people in the early part of the day (morning). Whenever he dispatched a detachment or an army-unit, he would dispatch it at the beginning of the day (soon after dawn). The narrator, Sakhr (May Allah be pleased with him) was a merchant, and he used to send off his merchandise at the beginning of the day. So his trade flourished and he made a good fortune.
[At-Tirmidhi and Abu Dawud].
Commentary: The two Ahadith mentioned above point out the desirability to set off on a journey, business trip, Jihad or anything like that.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৭: সফরের জন্য সাথী খোঁজ করা এবং কোন একজনকে আমীর (দলপতি) নিযুক্ত করে তার আনুগত্য করা শ্রেয়
১/৯৬৫। ইবনে ’উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যদি লোকেরা জানত যে, একাকী সফরে কী ক্ষতি রয়েছে; যা আমি জানি, তাহলে কোন সওয়ার একাকী সফর করত না।’’ (বুখারী)[1]
(167) بَابُ اِسْتِحْبَابِ طَلَبِ الرُّفْقَةِ وَتَأْمِيْرِهِمْ عَلٰى أَنْفُسِهِمْ وَاحِدًا يُطِيْعُوْنَهُ
عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: لَوْ أَنَّ النَّاسَ يَعْلَمُونَ مِنَ الوحدَةِ مَا أعْلَمُ، مَا سَارَ رَاكبٌ بِلَيْلٍ وَحْدَهُ ! . رواه البخاري
(167) Chapter: The Desirability of undertaking a Journey in a Group and appointing a Leader
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Were people to know of what I know about the dangers of travelling alone, no rider would travel alone at night."
[Al-Bukhari].
Commentary: Lonely travelling, whatever its form, is inadvisable at night and can cause many inconveniences. These inconveniences include deprivation of performing congregational prayers, feelings of loneliness and isolation and facing unexpected situations and damages. But the real reasons behind this prohibition, only Allah knows.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৭: সফরের জন্য সাথী খোঁজ করা এবং কোন একজনকে আমীর (দলপতি) নিযুক্ত করে তার আনুগত্য করা শ্রেয়
২/৯৬৬। ’আমর ইবনে শু’আইব তাঁর পিতা হতে এবং তিনি তাঁর দাদা (আব্দুল্লাহ ইবনে আমর) হতে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’একজন (সফরকারী) আরোহী একটি শয়তান এবং দু’জন আরোহী দু’টি শয়তান। আর তিনজন আরোহী একটি কাফেলা।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ বিশুদ্ধসূত্রে) [1]
(167) بَابُ اِسْتِحْبَابِ طَلَبِ الرُّفْقَةِ وَتَأْمِيْرِهِمْ عَلٰى أَنْفُسِهِمْ وَاحِدًا يُطِيْعُوْنَهُ
وَعَنْ عَمرِو بنِ شُعَيْبٍ، عَن أَبِيهِ، عَن جَدِّهِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «الرَّاكِبُ شَيْطَانٌ، وَالرَّاكِبَانِ شَيْطَانَانِ، وَالثَّلاَثَةُ رَكْبٌ ». رواه أَبُو داود والترمذي والنسائي بأسانيد صحيحةٍ، وَقَالَ الترمذي: «حديث حسن »
(167) Chapter: The Desirability of undertaking a Journey in a Group and appointing a Leader
'Amr bin Shu'aib (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "A single rider is (accompanied with) Satan and two riders are (accompanied with) two Satans. Three riders form a group."
[At-Tirmidhi and Abu Dawud].
Commentary: The Hadith tells us that at least three travelling companions are preferable, because if they are only two, one may drop due to some emergency and the other will remain alone. One or two riders (travellers) have been described in the Hadith as "accompanied with Satan'' and this means that they can hardly escape the devil. However, in case of three, they will remain immune from satanic insinuations.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৭: সফরের জন্য সাথী খোঁজ করা এবং কোন একজনকে আমীর (দলপতি) নিযুক্ত করে তার আনুগত্য করা শ্রেয়
৩/৯৬৭। আবূ সা’ঈদ ও আবূ হুরাইরা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যখন তিন ব্যক্তি সফরে বের হবে, তখন তারা যেন তাদের একজনকে আমীর বানিয়ে নেয়।’’ (আবূ দাঊদ হাসান সূত্রে)[1]
(167) بَابُ اِسْتِحْبَابِ طَلَبِ الرُّفْقَةِ وَتَأْمِيْرِهِمْ عَلٰى أَنْفُسِهِمْ وَاحِدًا يُطِيْعُوْنَهُ
وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ وأَبِي هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنهُمَا، قَالاَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إِذَا خَرَجَ ثَلاَثَةٌ في سَفَرٍ فَليُؤَمِّرُوا أحَدَهُمْ . حديث حسن، رواه أَبُو داود بإسنادٍ حسن
(167) Chapter: The Desirability of undertaking a Journey in a Group and appointing a Leader
Abu Sa'id Al-Khudri and Abu Hurairah (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "When three persons set out on a journey, they should appoint one of them as their leader."
[Abu Dawud].
Commentary: Choosing anyone as leader means that a journey should be undertaken under his guidance and instructions. This has many benefits. The person to be appointed as a leader over a group of travellers, should fulfill certain important conditions, including the fact that he should be the most knowledgeable in religious matters and travelling conditions.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৭: সফরের জন্য সাথী খোঁজ করা এবং কোন একজনকে আমীর (দলপতি) নিযুক্ত করে তার আনুগত্য করা শ্রেয়
৪/৯৬৮। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সর্বোত্তম সঙ্গী হল চারজন, সর্বোত্তম ছোট সেনাবাহিনী হল চারশ’ জন, সর্বোত্তম বড় সেনাবাহিনী হল চার হাজার জন। আর বারো হাজার সৈন্য স্বল্পতার কারণে কখনো পরাজিত হবে না।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাসান) [1]
(167) بَابُ اِسْتِحْبَابِ طَلَبِ الرُّفْقَةِ وَتَأْمِيْرِهِمْ عَلٰى أَنْفُسِهِمْ وَاحِدًا يُطِيْعُوْنَهُ
وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: خَيْرُ الصَّحَابَةِ أرْبَعَةٌ، وَخَيْرُ السَّرَايَا أرْبَعُمِئَةٍ، وَخَيْرُ الجُيُوشِ أرْبَعَةُ آلاَفٍ، وَلَنْ يُغْلَبَ اثْنَا عَشَرَ ألْفاً مِنْ قِلةٍ . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن
(167) Chapter: The Desirability of undertaking a Journey in a Group and appointing a Leader
Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "The best number of companions is four; the best detachment is four hundred and the best army is four thousand; and twelve thousand men will not be defeated as a result of smallness of number."
[At-Tirmidhi and Abu Dawud].
Commentary: An army of twelve thousand soldiers, if endowed with strong faith and resolve, is enough to face even an army of large size. It cannot be defeated merely on the basis of number. Some other factors accounting for its defeat may not be ruled out, but it will not be overpowered for its small number.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৮: সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ।
১/৯৬৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যখন তোমরা সবুজ-শ্যামল ঘাসে ভরা যমীনে সফর করবে, তখন উটকে তার যমীনের অংশ দাও (অর্থাৎ কিছুক্ষণ চরতে দাও)। আর যখন তোমরা ঘাস-পানিবিহীন যমীনে সফর করবে, তখন তার উপর চড়ে দ্রুত চলো এবং তার শক্তি শেষ হওয়ার পূর্বেই গন্তব্যস্থানে পৌঁছে যাও। আর যখন তোমরা রাতে বিশ্রামের জন্য কোন স্থানে অবতরণ করবে, তখন আম রাস্তা থেকে দূরে থাকো। কারণ, তা রাতে (হিংস্র) জন্তুদের রাস্তা এবং (বিষাক্ত) পোকামাকড়ের আশ্রয় স্থল।’’ (মুসলিম) [1]
(168) بَابُ آدَابِ السَّيْرِ وَالنُّزُوْلِ وَالْمَبِيْتِ فِي السَّفَرِ وَالنَّوْمِ فِي السَّفَرِ وَاِسْتِحْبَابِ السُّرٰى وَالرِّفْقِ بِالدَّوَابِّ وَمُرَاعَاةِ مَصْلَحَتِهَا وَأَمْرِ مَنْ قَصَّرَ فِيْ حَقِّهَا بِالْقِيَامِ بِحَقِّهَا وَجَوَازِ الْإِرْدَافِ عَلَى الدَّابَّةِ إِذَا كَانَتْ تُطِيْقُ ذٰلِكَ
عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إِذَا سَافَرْتُمْ فِي الخِصْبِ، فَأَعْطُوا الإبلَ حَظَّهَا مِنَ الأَرْضِ، وَإِذَا سَافَرْتُمْ فِي الجَدْبِ، فَأَسْرِعُوا عَلَيْهَا السَّيْرَ، وَبَادِرُوا بِهَا نِقْيَهَا، وَإِذَا عَرَّسْتُمْ، فَاجْتَنِبُوا الطَّرِيقَ ؛ فَإنَّهَا طُرُقُ الدَّوَابِّ، وَمَأوَى الهَوَامِّ بِاللَّيْلِ . رواه مسلم
(168) Chapter: Etiquette of Staying, Riding, Encamping at night and sleeping during the Journey and other matters relating to the Journey
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: "When you travel through green and lush land, give the camels their due from the ground, and when you travel through a dry and barren land, make them walk quickly lest their strength falters. When you encamp at night, keep away from the roads, for beasts pass there and they are the resort of insects at night."
[Muslim].
Commentary: The Prophet (PBUH) commanded us to take care of the animal's food. If grass or fodder will not be available on the way, we should make our animal run faster so as to reach our destination before it is exhausted. There is another instruction for us. In case we happen to stop at night for rest, we should camp away from roads. This will ensure our safety as well as save others from inconvenience.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৮: সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ।
২/৯৭০। আবূ ক্বাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে থাকতেন এবং রাতে বিশ্রামের জন্য কোথাও অবতরণ করতেন, তখন তিনি ডান পার্শ্বে শয়ন করতেন। আর তিনি ফজরের কিছুক্ষণ পূর্বে বিশ্রাম নিলে তার হাতটা খাড়া করে হাতের চেটোর উপর মাথা রেখে আরাম করতেন।’ (মুসলিম) [1]
আলেমগণ বলেন, ’তিনি হাত খাড়া রেখে আরাম করতেন, যাতে গভীর নিদ্রা এসে ফজরের নামাযের ওয়াক্ত অথবা প্রথম ওয়াক্ত ছুটে না যায়।’
(168) بَابُ آدَابِ السَّيْرِ وَالنُّزُوْلِ وَالْمَبِيْتِ فِي السَّفَرِ وَالنَّوْمِ فِي السَّفَرِ وَاِسْتِحْبَابِ السُّرٰى وَالرِّفْقِ بِالدَّوَابِّ وَمُرَاعَاةِ مَصْلَحَتِهَا وَأَمْرِ مَنْ قَصَّرَ فِيْ حَقِّهَا بِالْقِيَامِ بِحَقِّهَا وَجَوَازِ الْإِرْدَافِ عَلَى الدَّابَّةِ إِذَا كَانَتْ تُطِيْقُ ذٰلِكَ
وَعَنْ أَبي قَتَادَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ فِي سَفَرٍ، فَعَرَّسَ بِلَيْلٍ اضْطَجَعَ عَلَى يَمِينهِ، وَإِذَا عَرَّسَ قُبَيلَ الصُّبْحِ نَصَبَ ذِرَاعَهُ، وَوَضَعَ رَأسَهُ عَلَى كَفِّهِ . رواه مسلم
(168) Chapter: Etiquette of Staying, Riding, Encamping at night and sleeping during the Journey and other matters relating to the Journey
Abu Qatadah (May Allah be pleased with him) reported:
When the Messenger of Allah (ﷺ) encamped at night during a journey, he would lie down on his right side, and when he stayed a little before dawn he would raise his forearm and place his head on the palm of his hand.
[Muslim].
Commentary: This Hadith tells us that we should be fully regardful of the performance of prayer, particularly during a journey. We must make sure we perform prayer at the right time.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৮: সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ।
৩/৯৭১। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা রাতে সফর কর। কেননা, রাতে যমীনকে গুটিয়ে দেওয়া হয়।’’ (আবূ দাউদ, হাসান সূত্রে) [1] (অর্থাৎ রাস্তা কম মনে হয়।)
(168) بَابُ آدَابِ السَّيْرِ وَالنُّزُوْلِ وَالْمَبِيْتِ فِي السَّفَرِ وَالنَّوْمِ فِي السَّفَرِ وَاِسْتِحْبَابِ السُّرٰى وَالرِّفْقِ بِالدَّوَابِّ وَمُرَاعَاةِ مَصْلَحَتِهَا وَأَمْرِ مَنْ قَصَّرَ فِيْ حَقِّهَا بِالْقِيَامِ بِحَقِّهَا وَجَوَازِ الْإِرْدَافِ عَلَى الدَّابَّةِ إِذَا كَانَتْ تُطِيْقُ ذٰلِكَ
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: عَلَيْكُمْ بِالدُّلْجَةِ، فَإنَّ الأرْضَ تُطْوَى بِاللَّيْلِ . رواه أَبُو داود بإسناد حسن
(168) Chapter: Etiquette of Staying, Riding, Encamping at night and sleeping during the Journey and other matters relating to the Journey
Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Keep to travelling by night because the earth is folded (traversed more easily) during the night."
[Abu Dawud].
Commentary: According to this Hadith, we should preferably travel at night, particularly late at night. After having slept in the first part of night, one feels invigorated and fresh enough to restart one's journey.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৮: সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ।
৪/৯৭২। আবূ সা’লাবা খুশানী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, লোকেরা যখন কোন স্থানে অবতরণ করতেন, তখন তাঁরা গিরিপথ ও উপত্যকায় ছড়িয়ে যেতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমাদের এ সকল গিরিপথে ও উপত্যকায় বিক্ষিপ্ত হওয়া শয়তানের কাজ।’’ এরপর তাঁরা যখনই কোন মঞ্জিলে অবতরণ করতেন, তখন একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে থাকতেন। (আবূ দাউদ) [1]
(168) بَابُ آدَابِ السَّيْرِ وَالنُّزُوْلِ وَالْمَبِيْتِ فِي السَّفَرِ وَالنَّوْمِ فِي السَّفَرِ وَاِسْتِحْبَابِ السُّرٰى وَالرِّفْقِ بِالدَّوَابِّ وَمُرَاعَاةِ مَصْلَحَتِهَا وَأَمْرِ مَنْ قَصَّرَ فِيْ حَقِّهَا بِالْقِيَامِ بِحَقِّهَا وَجَوَازِ الْإِرْدَافِ عَلَى الدَّابَّةِ إِذَا كَانَتْ تُطِيْقُ ذٰلِكَ
وَعَنْ أَبي ثَعْلَبَةَ الخُشَنِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ النَّاسُ إِذَا نَزَلُوا مَنْزِلاً تَفَرَّقُوا فِي الشِّعَابِ وَالأوْدِيَةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إنَّ تَفَرُّقَكُمْ فِي هَذِهِ الشِّعَابِ وَالأَوْدِيَةِ إِنَّمَا ذَلِكُمْ مِنَ الشَّيْطَانِ! فَلَمْ يَنْزِلُوا بَعْدَ ذَلِكَ مَنْزِلاً إِلاَّ انْضَمَّ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ. رواه أَبُو داود بإسناد حسن
(168) Chapter: Etiquette of Staying, Riding, Encamping at night and sleeping during the Journey and other matters relating to the Journey
Abu Tha'labah Al-Khushani (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the people encamped during the journey, they would disperse in the mountain passes and valleys. (When) the Messenger of Allah (ﷺ) noticed this he said, "Your act of scattering in the mountain passes and valleys is from Satan." Afterwards the Companions kept close together whenever they encamped.
[Abu Dawud].
Commentary: This Hadith teaches us not to encamp during a journey but in the company of others in order to create an atmosphere of intimacy and cooperation.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৮: সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ।
৫/৯৭৩। সাহল ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু মতান্তরে সাহল ইবনে রাবী ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু আনসারী --যিনি ইবনুল হানযালিয়্যাহ নামে প্রসিদ্ধ এবং ইনি বায়আতে রিযওয়ানে অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে একজন---তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটা উটের পাশ দিয়ে গেলেন, যার পিঠটা (দুর্বলতার কারণে) পেটের সাথে লেগে গিয়েছিল। (তা দেখে) তিনি বললেন, ’’তোমরা এ সব অবলা জন্তুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। সুতরাং তোমরা তাদের সুস্থ থাকা অবস্থায় আরোহণ কর এবং তাদের সুস্থ থাকা অবস্থায় মাংস খাও।’’ (আবু দাঊদ, বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]
(168) بَابُ آدَابِ السَّيْرِ وَالنُّزُوْلِ وَالْمَبِيْتِ فِي السَّفَرِ وَالنَّوْمِ فِي السَّفَرِ وَاِسْتِحْبَابِ السُّرٰى وَالرِّفْقِ بِالدَّوَابِّ وَمُرَاعَاةِ مَصْلَحَتِهَا وَأَمْرِ مَنْ قَصَّرَ فِيْ حَقِّهَا بِالْقِيَامِ بِحَقِّهَا وَجَوَازِ الْإِرْدَافِ عَلَى الدَّابَّةِ إِذَا كَانَتْ تُطِيْقُ ذٰلِكَ
وَعَنْ سَهلِ بنِ عَمرٍو وَقِيلَ: سَهلِ بنِ الرَّبِيعِ بنِ عَمرٍو الأَنصَارِي المَعرُوفِ بِابنِ الحَنظَلِيَّةِ، وَهُوَ مِن أَهلِ بَيعَةِ الرِّضْوَانِ رضي الله عنه، قَالَ: مَرَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِبَعِيرٍ قَدْ لَحِقَ ظَهْرُهُ بِبَطْنِهِ، فَقَالَ: «اِتَّقُوا اللهَ فِي هَذِهِ البَهَائِمِ المُعجَمَةِ، فَارْكَبُوهَا صَالِحَةً، وَكُلُوهَا صَالِحَةً». رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
(168) Chapter: Etiquette of Staying, Riding, Encamping at night and sleeping during the Journey and other matters relating to the Journey
Sahl bin 'Amr known as Ibn Al-Hanzaliyyah reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) happened to pass by a camel whose belly was sticking to its back (because of hunger), whereupon he said, "Fear Allah in respect of these dumb (animals). Ride them while they are fit, and slaughter them and eat their meat when they are fit."
[Abu Dawud].
Commentary: This Hadith lays emphasis on taking care of animals. Because if they are hungry or you overload them, they will not be able to speak out their suffering to you in human language. You are, therefore, supposed to take care of their food and other requirements by yourself. In case you fail in your duty to them, Allah will take you to task. Moreover, eating the flesh of sick and lean animals is unhygienic and can endanger health. Whereas, the flesh of a healthy and robust animal gives energy and strength to human body.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৮: সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ।
৬/৯৭৪। আবূ জা’ফর আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ’একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে সওয়ারীর উপর তাঁর পিছনে বসালেন এবং আমাকে তিনি একটি গোপন কথা বললেন, যা আমি কাউকে বলব না। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঁচু জায়গা (দেওয়াল, ঢিবি ইত্যাদি) অথবা খেজুরের বাগানের আড়ালে মল-মূত্র ত্যাগ করা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন।’ (ইমাম মুসলিম এটিকে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন)
বারক্বানী এতে মুসলিমের সূত্রে বর্ধিত আকারে ’খেজুরের বাগান’ শব্দের পর বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারীর বাগানে প্রবেশ করে সেখানে একটা উট দেখতে পেলেন। উটটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল এবং তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কাছে এসে তার কুঁজে এবং কানের পিছনের অংশে হাত ফিরালেন, ফলে সে শান্ত হল।
তারপর তিনি বললেন, ’’এই উটের মালিক কে? এই উটটা কার?’’ অতঃপর আনসারদের এক যুবক এসে বলল, ’এটা আমার হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ’’তুমি কি এই পশুটার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো না, আল্লাহ তোমাকে যার মালিক বানিয়েছেন? কারণ, সে আমার নিকট অভিযোগ করছে যে, তুমি তাকে ক্ষুধায় রাখ এবং (বেশি কাজ নিয়ে) ক্লান্ত করে ফেলো!’’ (আবু দাঊদ)[1]
(168) بَابُ آدَابِ السَّيْرِ وَالنُّزُوْلِ وَالْمَبِيْتِ فِي السَّفَرِ وَالنَّوْمِ فِي السَّفَرِ وَاِسْتِحْبَابِ السُّرٰى وَالرِّفْقِ بِالدَّوَابِّ وَمُرَاعَاةِ مَصْلَحَتِهَا وَأَمْرِ مَنْ قَصَّرَ فِيْ حَقِّهَا بِالْقِيَامِ بِحَقِّهَا وَجَوَازِ الْإِرْدَافِ عَلَى الدَّابَّةِ إِذَا كَانَتْ تُطِيْقُ ذٰلِكَ
وَعَنْ أَبي جَعفَرٍ عَبدِ اللهِ بنِ جَعفَرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: أَردَفَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ خَلْفَهُ، وَأسَرَّ إليَّ حَدِيثاً لاَ أُحَدِّثُ بِهِ أحَداً مِنَ النَّاسِ، وَكَانَ أحَبَّ مَا اسْتَتَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لِحاجَتِهِ هَدَفٌ أَوْ حَائِشُ نَخْلٍ . يَعنِي: حَائِطَ نَخْلٍ . رواه مسلم هكَذَا مُختصراً .
وزادَ فِيهِ البَرْقَانِي بِإِسنَادِ مُسلِمٍ - بَعدَ قَوْلِهِ: حَائِشُ نَخْلٍ - فَدَخَلَ حَائِطاً لِرَجُلٍ مِنَ الأنْصَارِ، فَإِذَا فِيهِ جَمَلٌ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم جَرْجَرَ وَذَرَفَتْ عَيْنَاهُ، فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَمَسَحَ سَرَاتَهُ - أيْ: سِنَامَهُ - وَذِفْرَاهُ فَسَكَنَ، فَقَالَ: مَنْ رَبُّ هَذَا الجَمَلِ ؟ لِمَنْ هَذَا الجَمَلُ ؟ فَجَاءَ فَتَىً مِنَ الأنْصَارِ، فَقَالَ: هَذَا لِي يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ: أَفَلاَ تَتَّقِي اللهَ فِي هَذِهِ البَهِيمَةِ الَّتِي مَلَّكَكَ اللهُ إيَّاهَا ؟ فَإنَّهُ يَشْكُو إلَيَّ أنَّكَ تُجِيعُهُ وتُدْئِبُهُ رواه أَبُو داود كرواية البرقاني
(168) Chapter: Etiquette of Staying, Riding, Encamping at night and sleeping during the Journey and other matters relating to the Journey
Abu Ja'far 'Abdullah bin Ja'far (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) made me ride behind him one day and confided something to me which I shall never disclose to anyone. ('Abdullah added:) He ((ﷺ) preferred to screen himself from others when responding to the call of nature, either behind a wall or the trunk of a date-palm.
[Muslim].
Al-Barqani added: The Messenger of Allah (ﷺ) entered an orchid belonging to an Ansari and saw there a camel. When it saw him, it began to groan and its eyes shed tears. The Messenger of Allah (ﷺ) approached it and patted it on the hump and the base of its head until it quieted down. Then he (ﷺ) asked, "Who is the owner of this camel? To whom does it belong?" An Ansari youth stepped forward and said: "It is mine O Messenger of Allah!" He said, "Do you not fear Allah in respect of this beast which Allah has placed in your possession? This camel is complaining to me that you starve it and put it to toil."
[Abu Dawud].
Commentary: The Prophet (PBUH) must have divulged to the Companion something confidential for which he promised secrecy. Otherwise, anything concerning the Shari`ah should not be concealed. Second, if an animal has the capacity to carry two men, the rider can let another person sit behind him. Third, to give scanty food to an animal and to get the maximum out of it amounts to injustice. Islam disapproves this act. Animals should be fed to their fill and the amount of work to be done by them must also be not beyond their capacity. In this Hadith, there is a mention of the Prophet's miracle that a camel recognized him. He heard the camel's complaint and also understood it.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৮: সফরে চলা, বিশ্রাম নিতে অবতরণ করা, রাত কাটানো এবং সফরে ঘুমানোর আদব-কায়দা। রাতে পথচলা মুস্তাহাব, সওয়ারী পশুদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন করা এবং তাদের বিশ্রামের খেয়াল রাখা। যে তাদের অধিকারের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাকে তাদের অধিকার আদায়ের নির্দেশ দেওয়া। সওয়ারী সমর্থ হলে আরোহীর নিজের পিছনে অন্য কাউকে বসানো বৈধ।
৭/৯৭৫। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ’আমরা যখন (সফরে) কোন মঞ্জিলে অবতরণ করতাম, তখন সওয়ারীর পালান নামাবার পূর্বে নফল নামায পড়তাম না।’ (আবূ দাঊদ, মুসলিমের শর্তে) [1]
অর্থাৎ আমরা নামাযের প্রতি আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও সওয়ারীর পিঠ থেকে পালান নামিয়ে তাকে আরাম না দেওয়ার আগে নামায পড়তে শুরু করতাম না।
(168) بَابُ آدَابِ السَّيْرِ وَالنُّزُوْلِ وَالْمَبِيْتِ فِي السَّفَرِ وَالنَّوْمِ فِي السَّفَرِ وَاِسْتِحْبَابِ السُّرٰى وَالرِّفْقِ بِالدَّوَابِّ وَمُرَاعَاةِ مَصْلَحَتِهَا وَأَمْرِ مَنْ قَصَّرَ فِيْ حَقِّهَا بِالْقِيَامِ بِحَقِّهَا وَجَوَازِ الْإِرْدَافِ عَلَى الدَّابَّةِ إِذَا كَانَتْ تُطِيْقُ ذٰلِكَ
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كُنَّا إِذَا نَزَلْنَا مَنْزِلاً، لاَ نُسَبِّحُ حَتَّى نَحُلَّ الرِّحَالَ . رواه أَبُو داود بإسناد عَلَى شرط مسلم
(168) Chapter: Etiquette of Staying, Riding, Encamping at night and sleeping during the Journey and other matters relating to the Journey
Anas (May Allah be pleased with him) reported:
When we encamped, we would not offer (voluntary) prayers until we had unsaddled our beasts.
[Abu Dawud].
Commentary: It was the usual practice of the Companions that whenever they halted at some place to take rest during their journey, they would first of all unload their animals to give them comfort and relaxation. Then, they would perform voluntary Salat. This Hadith also throws light on the excellence of voluntary Salat in a journey.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৯: সফরের সঙ্গীকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে
অপরকে সাহায্য করার বিষয়ে অনেক হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ’আল্লাহ বান্দাকে সাহায্য করেন; যতক্ষণ বান্দা তার ভাইকে সাহায্য করে।’ ’প্রত্যেক ভাল কাজ সাদকাহ স্বরূপ।’ ইত্যাদি।
১/৯৭৬। আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা আমরা সফরে ছিলাম। ইত্যবসরে এক ব্যক্তি তার সওয়ারীর উপর চড়ে এল। অতঃপর তার দৃষ্টি ডানে ও বামে ফেরাতে লাগল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’যার বাড়তি সওয়ারী আছে, সে যেন তা তাকে দেয় যার সওয়ারী নেই এবং যার অতিরিক্ত সফরের সম্বল রয়েছে, সে যেন সম্বলহীন ব্যক্তিকে দেয়।’’ অতঃপর তিনি আরো কয়েক প্রকার মালের কথা বললেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত আমরা ধারণা করলাম যে, বাড়তি মালে আমাদের কারোর কোন অধিকারই নেই। (মুসলিম) [1]
(169) بَابُ إِعَانَةِ الرَّفِيْقِ
وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ فِي سَفَرٍ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى رَاحِلَةٍ لَهُ، فَجَعَلَ يَصْرِفُ بَصَرَهُ يَمِيناً وَشِمَالاً، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « مَنْ كَانَ مَعَهُ فَضْلُ ظَهْرٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ ظَهْرَ لَهُ، وَمَنْ كَانَ لَهُ فَضْلُ زَادٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ زَادَ لَهُ »، فَذَكَرَ مِنْ أصْنَافِ المَالِ مَا ذَكَرَهُ، حَتَّى رَأيْنَا، أنَّهُ لاَ حَقَّ لأَحَدٍ مِنَّا فِي فَضْلٍ . رواه مسلم
(169) Chapter: Helping a Companion
Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
While we were travelling with the Messenger of Allah (ﷺ), a rider came and began to stare on the right and on the left. The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who has an extra mount should hand it over to one who has none, and he who possesses surplus provision, should give it to him who is without provision." He named various kinds of possessions until we began to think (realize) that none of us had any right to anything surplus.
[Muslim].
Commentary: Nowadays, there is a great fanfare of money-lending institutions such as cooperative societies, the financing companies and insurance companies which are apparently helpful in resolving the financial crises of people. But all are rooted in interest system which is rejected outright by Islam for its exploitative nature. These so called cooperative institutions are indeed like blood-sucking leeches which ruin man. Islam, on the contrary, has given us a positive, simple and man-orientated formula of mutual cooperation. It teaches us that what can be spared should be given to those who need it. This obviates the chances of hoarding as well as the concentration of wealth in a few hands. No doubt, it is a moral instruction. But if Muslims, called as a single body, develop a true sense and awareness of it, wonderful results can accrue from it on a large social scale. What is more, the sublimity of man's Faith and moral behavior stands on it. One who is indifferent to the perfection of Faith and morality may set it aside. But a man who rates Faith above everything can hardly afford to avoid putting this moral advice into practice.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৯: সফরের সঙ্গীকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে
২/৯৭৭। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিহাদে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, ’’হে মুহাজির ও আনসারের দল! তোমাদের ভাইদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে, যাদের কোন মাল নেই, স্বগোত্রীয় লোকও নেই। সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকে যেন দুই অথবা তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে নেয়। কারণ, আমাদের কারো এমন কোন সওয়ারী নেই, যা তাদের সাথে পালাক্রমে ছাড়া তাকে বহন করতে পারে।’’ জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, সুতরাং আমি দু’জন অথবা তিনজনকে সাথে নিলাম। অন্যান্যদের মত আমার উটেও তাদের সাথে পালাক্রমে চড়তাম। (আবূ দাঊদ) [1]
(169) بَابُ إِعَانَةِ الرَّفِيْقِ
وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَغْزُوَ، فَقَالَ: «يَا مَعْشَرَ المُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ، إِنَّ مِنْ إخْوَانِكُمْ قَوْماً لَيْسَ لَهُمْ مَالٌ، وَلاَ عَشِيرةٌ، فَلْيَضُمَّ أحَدُكُمْ إِلَيْهِ الرَّجُلَيْنِ أَو الثَّلاَثَةَ، فَمَا لأَحَدِنَا مِنْ ظَهْرٍ يَحْمِلُهُ إِلاَّ عُقْبةٌ كَعُقْبَةِ » يَعْني أحَدهِمْ، قَالَ: فَضَمَمْتُ إلَيَّ اثْنَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً مَا لِي إِلاَّ عُقْبَةٌ كَعُقبَةِ أحَدِهِمْ مِنْ جَمَلِي . رواه أَبُو داود
(169) Chapter: Helping a Companion
Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
When the Messenger of Allah (ﷺ) made up his mind to go in an expedition, he would say to us, "O Muhajirin and the Ansar! There are among you such people who have no property and no kinsfolk. Let everyone of you take along with him two or three men. None of us had a spare animal we took rides by turn." So I took two or three men with me and I rode my camel by turn equally with them.
[Abu Dawud].
Commentary: Firstly, this Hadith describes the Companions' condition in the early phase of Islam. Everybody participating in Jihad did not have an animal and so was the condition in respect of weapons and food. But in spite of all that, the Companions' zeal for Jihad was great. Secondly, it presents the picture of mutual cooperation which the Companions extended to one another. From all these considerations, emerges their distinctive place in history.
পরিচ্ছেদঃ ১৬৯: সফরের সঙ্গীকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে
৩/৯৭৮। উক্ত রাবী (জাবির) রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে (সকলের) পিছনে চলতেন। তিনি দুর্বলকে চলতে সাহায্য করতেন এবং তাকে পিছনে বসিয়ে নিতেন ও তার জন্য দো’আ করতেন। (আবূ দাঊদ হাসান সূত্রে)[1]
(169) بَابُ إِعَانَةِ الرَّفِيْقِ
وَعَنْه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَتَخَلَّفُ فِي المَسِيرِ، فَيُزْجِي الضَّعِيفَ، وَيُرْدِفُ وَيَدْعُو لَهُ . رواه أَبُو داود بإسناد حسن
(169) Chapter: Helping a Companion
Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to lag behind while travelling and urge the weak to walk quickly. He used to take up someone behind him and make supplication for him.
[Abu Dawud].
Commentary: This Hadith tells us that the leader of a group (or Amir) should, during a journey, remain in the rear instead of the vanguard so that he may prop up the weak people and provide succour to the resourceless ones. Furthermore, he is presumed to pray for such people as the blessing of his prayer is likely to make up their deficiencies.
পরিচ্ছেদঃ ১৭০: কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দো‘আ
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿وَجَعَلَ لَكُمْ مِنَ الْفُلْكِ وَالْأَنْعَامِ مَا تَرْكَبُونَ لِتَسْتَوُوا عَلَىٰ ظُهُورِهِ ثُمَّ تَذْكُرُوا نِعْمَةَ رَبِّكُمْ إِذَا اسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُولُوا سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ﴾ [الزخرف: ١٢، ١٤]
অর্থাৎ “যিনি সব কিছুর যুগলসমূহ সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের যানবাহনে পরিণত করেছেন। যাতে তোমরা ওদের পিঠে স্থিরভাবে বসে তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ করতে পার, পবিত্র মহান তিনিই যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন; যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।” (সূরা যুখরুফ ১২-১৪ আয়াত)
১/৯৭৯। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে বেরিয়ে উটের পিঠে স্থির হয়ে বসতেন, তখন তিনবার ’আল্লাহু আকবার’ পড়ে এই দো’আ পড়তেন,
’সুবহানাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। অইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবূন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বির্রা অত্তাক্বওয়া, অমিনাল আমলি মা তারদ্বা। আল্লাহুম্মা হাওওয়িন ’আলাইনা সাফারানা হা-যা অত্বওয়ি ’আন্না বু’দাহ। আল্লাহুম্মা আন্তাস সা-হিবু ফিস সাফারি অলখালীফাতু ফিল আহল। আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’ঊযু বিকা মিন অ’সাইস সাফার, অকাআবাতিল মানযার, অসূইল মুনক্কালাবি ফিল মা-লি অল আহলি অল অলাদ।’
অর্থাৎ পবিত্র ও মহান যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। ওগো আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের এই যাত্রায় পুণ্যকর্ম, সংযমশীলতা এবং তোমার সন্তোষজনক কার্যকলাপ। হে আল্লাহ! আমাদের এ যাত্রাকে আমাদের জন্য সহজ করে দাও। আমাদের থেকে ওর দূরত্ব গুটিয়ে নাও। হে আল্লাহ! তুমিই সফরের সঙ্গী। আর পরিবার পরিজনের জন্য (আমাদের) প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট ও ক্লান্তি থেকে, ভয়ংকর দৃশ্য থেকে এবং বাড়ি ফিরে ধন-সম্পদ, পরিবার ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে কোন অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
আর বাড়ি ফিরার সময় উক্ত দো’আর সাথে এগুলিও পড়তেন, ’আ-ইবূনা, তা-ইবূনা ’আ-বিদূনা, লিরাব্বিনা হা-মিদূন।’ (মুসলিম) [1]
(170) بَابُ مَا يَقُوْلُ إِذَا رَكِبَ الدَّابَّةَ لِلسَّفَرِ
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا اسْتَوَى عَلَى بَعِيرِهِ خَارِجاً إِلَى سَفَرٍ، كَبَّرَ ثَلاثاً، ثُمَّ قَالَ: سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلبُونَ . اَللّهُمَّ إِنَّا نَسأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا البِرَّ وَالتَّقوَى، وَمِنَ العَمَلِ مَا تَرضَى، اَللهم هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا، وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ . اَللهم أنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ، وَالخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ . اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ، وَكَآبَةِ المَنْظَرِ، وَسُوءِ المُنْقَلَبِ فِي الماَلِ وَالأَهْلِ وَالوَلَدِ وَإِذَا رَجَعَ قَالَهُنَّ وَزَادَ فِيهِنَّ: آيِبُونَ، تَائِبُونَ، عَابِدُونَ، لِرَبِّنَا حَامِدُونَ رواه مسلم
(170) Chapter: Supplication at the time of Riding
Allah, the Exalted, says:
"... and has appointed for you ships and cattle on which you ride. In order that you may mount on their backs, and then may remember the Favour of your Rubb when you mount thereon, and say: `Glory to Him Who has subjected this to us, and we could never have it (by our efforts). And verily, to Our Rubb we indeed are to return!''' (43:12-14)
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) mounted his camel for setting out on a journey, he would recite: "Allahu Akbar (Allah is Greatest)," thrice. Then he (ﷺ) would supplicate: "Subhanal-ladhi sakh-khara lana hadha, wa ma kunna lahu muqrinin, wa inna ila Rabbina lamunqalibun. Allahumma inna nas'aluka fi safarina hadh al-birra wat-taqwa, wa minal-'amali ma tarda. Allahumma hawwin 'alaina safarana hadha, watwi 'anna bu'dahu. Allahumma Antas-Sahibu fissafari, wal-Khalifatu fil- ahli. Allahumma inni a'udhu bika min wa'ta'is-safari, wa kaabatil- manzari, wa su'il-munqalabi fil-mali wal-ahli wal-waladi (Far removed from imperfection is the One Who has made this subservient to us, for we have no power to subjugate it, and certainly to our Rubb shall we return. O Allah, we ask You during this journey of ours for righteousness, piety and such deeds as are pleasing to You. O Allah, make easy for us this journey of ours and make the distance short for us. O Allah, You are our Companion during the journey and the Guardian of the family and the property in our absence. O Allah, I seek refuge in You from the hardships of travelling, unhappiness connected with ghastly scenes and evil turns in property and family)." When he returned, he recited this supplication making addition of these words: "Ayibuna, ta'ibuna, 'abiduna, li-Rabbina hamidun (We are those who return; those who repent; those who worship and those who praise our Rubb)."
[Muslim].
Commentary: This is a very comprehensive prayer. Man is not safe from dangers during a journey and in his absence, safety of his household may worry him, too. In this prayer, Allah is entreated to ensure the safety of the two in most effective words. And none can harm that person who comes under the Watch and Protection of Allah. This prayer should be recited upon starting on a journey as well as returning from it.
পরিচ্ছেদঃ ১৭০: কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দো‘আ
২/৯৮০। আব্দুল্লাহ ইবনে সার্জিস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন, তখন তিনি সফরের কষ্ট থেকে, দুশ্চিন্তাজনক পরিস্থিতি থেকে বা অপ্রীতিকর প্রত্যাবর্তন, পূর্ণতার পর হ্রাস থেকে, অত্যাচারিতের বদ-দো’আ থেকে, মাল-ধন ও পরিবারের ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (মুসলিম) [1]
الحَور بعد الكون এভাবেই সহীহ মুসলিমে আছে (الكون এ নূন দিয়ে)। ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈও ঐভাবে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, الكور (এ নূনের পরিবর্তে) ’রা’ বর্ণ সহকারে বর্ণনা করা হয়। আর উভয় বর্ণনাই সঠিক।
আলেমগণ এ দুয়েরই অর্থ বলেছেন যে, ভালো হওয়ার পর খারাপ হওয়া কিংবা বেশি হওয়ার পর কম হওয়া। তাঁরা বলেন, كور শব্দটি تكرير العمامة (অর্থাৎ পাগড়ী পেঁচানো) থেকে গৃহীত। অর্থাৎ মাথায় পাগড়ী জড়ানো বা গুটানো। আর كون শব্দটি كان يكون كوناً থেকে গৃহীত। তার মানে হচ্ছে অস্তিত্বে আসা, স্থির হওয়া।
(170) بَابُ مَا يَقُوْلُ إِذَا رَكِبَ الدَّابَّةَ لِلسَّفَرِ
وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ سَرجِسَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا سَافَرَ يَتَعَوَّذُ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ، وَكَآبَةِ المُنْقَلَبِ، وَالْحَوْرِ بَعْدَ الكَوْنِ، وَدَعْوَةِ المَظْلُومِ، وَسُوءِ المَنْظَرِ في الأَهْلِ وَالمَالِ . رواه مسلم
هكذا هو في صحيح مسلم: الحور بعد الكون، بالنون، وكذا رواه الترمذي والنسائي. قال الترمذي: يروي :الكور بالراء، وكلاهما له وجه. قال العلماء: ومعناه بالنون والراء جميعاً: الرجوع من الاستقامة أو الزيادة إلي النقص. قالوا: ورواية الراء مأخوذة من تكوير العمامة، وهو لفها وجمعها، ورواية النون، من الكون، مصدراً كان يكون كوناً إذا وجد واستقر.
(170) Chapter: Supplication at the time of Riding
'Abdullah bin Sarjis (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) proceeded on a journey, he would seek refuge in Allah from the hardships of the journey, and against deviation after guidance, and against the supplication of the oppressed, and occurrences of unpleasant events in the family and property. He would say: "Allahumma inni a'udhu bika min wa'tha'is- safari, wa kaabatil-munqalabi, wal-hauri ba'dal-kauni, wa da'watil- mazlumi, wa su'il-manzari fil-ahli wal- mal."
[Muslim].
Commentary: The Prophet (PBUH) sought Divine refuge against the supplication of the oppressed because Allah immediately responds to it. It is, therefore, imperative that if a man has wronged anybody, he should recompense his wrongdoing before embarking on a journey because the malediction of the wronged may invoke Divine wrath exposing the wrongdoer to a risky and troublesome journey.
পরিচ্ছেদঃ ১৭০: কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দো‘আ
৩/৯৮১। আলী ইবনে রাবীআহ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আলী ইবনে আবু ত্বালেব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর নিকট হাজির ছিলাম। যখন তাঁর নিকট আরোহন করার উদ্দেশ্যে বাহন আনা হল এবং যখন তিনি বাহনের পাদানে স্বীয় পা রাখলেন তখন ’বিসমিল্লাহ’ বললেন। অতঃপর যখন তার পিঠে স্থির হয়ে সোজা ভাবে বসলেন তখন বললেন, ’আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। অইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবূন।’
অতঃপর তিনবার ’আলহামদুলিল্লাহ’ পড়লেন। অতঃপর তিনবার ’আল্লাহু আকবার’ পড়লেন। অতঃপর পড়লেন, ’সুবহানাকা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফিরলী, ইন্নাহু লা য়্যাগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনত্।’ অতঃপর তিনি হাসলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি হাসলেন কেন?’ তিনি বললেন, ’আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখলাম, তিনি তাই করলেন, যা আমি করলাম।
অতঃপর তিনি হাসলেন। আমি প্রশ্ন করলাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি হাসলেন কেন?’ তিনি বললেন, ’’তোমার মহান প্রতিপালক তাঁর সেই বান্দার প্রতি আশ্চর্যান্বিত হন, যখন সে বলে, ’ইগফিরলী যুনূবী’ (অর্থাৎ আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দাও।) সে জানে যে, আমি (আল্লাহ) ছাড়া পাপরাশি আর কেউ মাফ করতে পারে না।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান, কোন কোন কপিতে আছে, ’হাসান সহীহ’। আর এ শব্দমালা আবূ দাঊদের।) [1]
(170) بَابُ مَا يَقُوْلُ إِذَا رَكِبَ الدَّابَّةَ لِلسَّفَرِ
وَعَنْ عَلِيِّ بنِ رَبِيعَةَ، قَالَ: شَهِدتُّ عَلِيَّ بنَ أَبِي طَالِبٍ رضي الله عنه، أُتِيَ بِدَابَّةٍ لِيَرْكَبَهَا، فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الرِّكَابِ، قَالَ: بِسْمِ اللهِ، فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى ظَهْرِهَا، قَالَ: الحَمْدُ ِللهِ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنينَ، وَإنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ، ثُمَّ قَالَ: اَلحمْدُ للهِ، ثَلاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ قَالَ: اَللهُ أكْبَرُ، ثَلاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ قَالَ: سُبْحَانَكَ إنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، ثُمَّ ضَحِكَ، فَقِيلَ: يَا أَمِيرَ المُؤمِنِينَ، مِنْ أيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ ؟ قَالَ: رَأيتُ النبيَّ صلى الله عليه وسلم فَعَلَ كَمَا فَعَلْتُ ثُمَّ ضَحِكَ، فقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، مِنْ أيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ ؟ قَالَ: « إنَّ رَبَّكَ تَعَالَى يَعْجَبُ مِنْ عَبدِهِ إِذَا قَالَ: اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي، يَعْلَمُ أنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ غَيْرِي ». رواه أَبُو داود والترمذي، وَقَالَ:«حديث حسن»، وفي بعض النسخ:حسن صحيح. وهذا لفظ أَبي داود
(170) Chapter: Supplication at the time of Riding
'Ali bin Rabi'ah reported:
In my presence, a beast was brought to 'Ali bin Abu Talib (May Allah be pleased with him) for riding. When he put his foot in the stirrup, he said: "Bismillah (With the Name of Allah)." When he had settled himself on its back he recited: "Al-hamdu lillahil-ladhi sakh-khara lana hadha, wa ma kunna lahu muqrinin, wa inna ila Rabbina lamunqalibun. (All praise belongs to Allah Who has made this subservient to us, for we had not the strength to overpower it; and to our Rubb shall we return)." He then recited thrice: "Alhamdu lillah (Praise be to Allah)," and then three times: "Allahu Abkar (Allah is Greatest)." Then he said: "Subhanaka inni zalamtu nafsi faghfir li, innahu la yaghfirudh-dhunuba illa Anta (You are far removed from imperfection I have wronged myself, so forgive me, because none but You can forgive sins)." Then he smiled. It was asked: "Why have you smiled, O Amir Al-Mu'minin (Leader of the Believers)?" He replied: "I saw the Messenger of Allah (ﷺ) doing as I have done. I (i.e., Ali) asked him (the Messenger of Allah (ﷺ)) the reason for smiling. He (ﷺ) said, 'Your Rubb, Glorious is He, is pleased when His slave seeks His forgiveness. He (the slave) has firm faith that none except Allah Alone can forgive sins)'."
[Abu Dawud and At-Tirmidhi].
Commentary: After putting his foot into the stirrup, the rider should say: "Bismillah (With the Name of Allah).'' When he sits firm on the animal, he should recite the prayers mentioned in this Hadith and utter the Glorification and Magnification of Allah - "Al-hamdu lillah (Praise be to Allah)'' and "Allahu Akbar (Allah is Greatest).''
Moreover, this Hadith sheds light on the tremendous and matchless fervour of the Companions to follow the Prophet (PBUH). This Du`a is not restricted to riding an animal, but includes all means of transportation, such as the plane, the train and the car.
পরিচ্ছেদঃ ১৭১: উঁচু জায়গায় চড়ার সময় মুসাফির ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে এবং নীচু জায়গায় নামবার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। ‘তকবীর’ ইত্যাদি বলার সময় অত্যন্ত উচ্চঃস্বরে বলা নিষেধ
১/৯৮২। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা (সফরে) যখন উঁচু জায়গায় চড়তাম তখন ’আল্লাহু আকবার’ বলতাম এবং যখন নীচু জায়গায় নামতাম, তখন ’সুবহানাল্লাহ’ বলতাম। (বুখারী) [1]
(171) بَابُ تَكْبِيْرِ الْمُسَافِرِ إِذَا صَعِدَ الثَّنَايَا وَشِبْهَهَا وَتَسْبِيْحِهِ إِذَا هَبَطَ الْأَوْدِيَةَ وَنَحْوَهَا وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُبَالَغَةِ بِرَفْعِ الصَّوْتِ بِالتَّكْبِيْرِ وَنَحْوِهِ
عَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: كُنَّا إِذَا صَعِدْنَا كَبَّرْنَا، وَإِذَا نَزَلْنَا سَبَّحْنَا. رواه البخاري
(171) Chapter: Glorification of Allah by a Traveler while Ascending and Descending
Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
When we ascended (a height) we would proclaim: "Allahu Akbar (Allah is Greatest)," and when we descended (from the height) we would proclaim: "Subhan Allah (Allah is free from imperfection)."'
[Al-Bukhari].