পরিচ্ছেদঃ ১৬৯: সফরের সঙ্গীকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে

অপরকে সাহায্য করার বিষয়ে অনেক হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ’আল্লাহ বান্দাকে সাহায্য করেন; যতক্ষণ বান্দা তার ভাইকে সাহায্য করে।’ ’প্রত্যেক ভাল কাজ সাদকাহ স্বরূপ।’ ইত্যাদি।


১/৯৭৬। আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা আমরা সফরে ছিলাম। ইত্যবসরে এক ব্যক্তি তার সওয়ারীর উপর চড়ে এল। অতঃপর তার দৃষ্টি ডানে ও বামে ফেরাতে লাগল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’যার বাড়তি সওয়ারী আছে, সে যেন তা তাকে দেয় যার সওয়ারী নেই এবং যার অতিরিক্ত সফরের সম্বল রয়েছে, সে যেন সম্বলহীন ব্যক্তিকে দেয়।’’ অতঃপর তিনি আরো কয়েক প্রকার মালের কথা বললেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত আমরা ধারণা করলাম যে, বাড়তি মালে আমাদের কারোর কোন অধিকারই নেই। (মুসলিম) [1]

(169) بَابُ إِعَانَةِ الرَّفِيْقِ

وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ فِي سَفَرٍ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى رَاحِلَةٍ لَهُ، فَجَعَلَ يَصْرِفُ بَصَرَهُ يَمِيناً وَشِمَالاً، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « مَنْ كَانَ مَعَهُ فَضْلُ ظَهْرٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ ظَهْرَ لَهُ، وَمَنْ كَانَ لَهُ فَضْلُ زَادٍ فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ زَادَ لَهُ »، فَذَكَرَ مِنْ أصْنَافِ المَالِ مَا ذَكَرَهُ، حَتَّى رَأيْنَا، أنَّهُ لاَ حَقَّ لأَحَدٍ مِنَّا فِي فَضْلٍ . رواه مسلم

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه، قال: بينما نحن في سفر اذ جاء رجل على راحلة له، فجعل يصرف بصره يمينا وشمالا، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « من كان معه فضل ظهر فليعد به على من لا ظهر له، ومن كان له فضل زاد فليعد به على من لا زاد له »، فذكر من اصناف المال ما ذكره، حتى راينا، انه لا حق لاحد منا في فضل . رواه مسلم

(169) Chapter: Helping a Companion


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
While we were travelling with the Messenger of Allah (ﷺ), a rider came and began to stare on the right and on the left. The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who has an extra mount should hand it over to one who has none, and he who possesses surplus provision, should give it to him who is without provision." He named various kinds of possessions until we began to think (realize) that none of us had any right to anything surplus.

[Muslim].

Commentary: Nowadays, there is a great fanfare of money-lending institutions such as cooperative societies, the financing companies and insurance companies which are apparently helpful in resolving the financial crises of people. But all are rooted in interest system which is rejected outright by Islam for its exploitative nature. These so called cooperative institutions are indeed like blood-sucking leeches which ruin man. Islam, on the contrary, has given us a positive, simple and man-orientated formula of mutual cooperation. It teaches us that what can be spared should be given to those who need it. This obviates the chances of hoarding as well as the concentration of wealth in a few hands. No doubt, it is a moral instruction. But if Muslims, called as a single body, develop a true sense and awareness of it, wonderful results can accrue from it on a large social scale. What is more, the sublimity of man's Faith and moral behavior stands on it. One who is indifferent to the perfection of Faith and morality may set it aside. But a man who rates Faith above everything can hardly afford to avoid putting this moral advice into practice.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৭/ সফরের আদব-কায়দা (كتاب آداب السفر) The Book of Etiquette of Traveling

পরিচ্ছেদঃ ১৬৯: সফরের সঙ্গীকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে

২/৯৭৭। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিহাদে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, ’’হে মুহাজির ও আনসারের দল! তোমাদের ভাইদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে, যাদের কোন মাল নেই, স্বগোত্রীয় লোকও নেই। সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকে যেন দুই অথবা তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে নেয়। কারণ, আমাদের কারো এমন কোন সওয়ারী নেই, যা তাদের সাথে পালাক্রমে ছাড়া তাকে বহন করতে পারে।’’ জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, সুতরাং আমি দু’জন অথবা তিনজনকে সাথে নিলাম। অন্যান্যদের মত আমার উটেও তাদের সাথে পালাক্রমে চড়তাম। (আবূ দাঊদ) [1]

(169) بَابُ إِعَانَةِ الرَّفِيْقِ

وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَغْزُوَ، فَقَالَ: «يَا مَعْشَرَ المُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ، إِنَّ مِنْ إخْوَانِكُمْ قَوْماً لَيْسَ لَهُمْ مَالٌ، وَلاَ عَشِيرةٌ، فَلْيَضُمَّ أحَدُكُمْ إِلَيْهِ الرَّجُلَيْنِ أَو الثَّلاَثَةَ، فَمَا لأَحَدِنَا مِنْ ظَهْرٍ يَحْمِلُهُ إِلاَّ عُقْبةٌ كَعُقْبَةِ » يَعْني أحَدهِمْ، قَالَ: فَضَمَمْتُ إلَيَّ اثْنَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً مَا لِي إِلاَّ عُقْبَةٌ كَعُقبَةِ أحَدِهِمْ مِنْ جَمَلِي . رواه أَبُو داود

وعن جابر رضي الله عنه، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم: انه اراد ان يغزو، فقال: «يا معشر المهاجرين والانصار، ان من اخوانكم قوما ليس لهم مال، ولا عشيرة، فليضم احدكم اليه الرجلين او الثلاثة، فما لاحدنا من ظهر يحمله الا عقبة كعقبة » يعني احدهم، قال: فضممت الي اثنين او ثلاثة ما لي الا عقبة كعقبة احدهم من جملي . رواه ابو داود

(169) Chapter: Helping a Companion


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
When the Messenger of Allah (ﷺ) made up his mind to go in an expedition, he would say to us, "O Muhajirin and the Ansar! There are among you such people who have no property and no kinsfolk. Let everyone of you take along with him two or three men. None of us had a spare animal we took rides by turn." So I took two or three men with me and I rode my camel by turn equally with them.

[Abu Dawud].

Commentary: Firstly, this Hadith describes the Companions' condition in the early phase of Islam. Everybody participating in Jihad did not have an animal and so was the condition in respect of weapons and food. But in spite of all that, the Companions' zeal for Jihad was great. Secondly, it presents the picture of mutual cooperation which the Companions extended to one another. From all these considerations, emerges their distinctive place in history.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৭/ সফরের আদব-কায়দা (كتاب آداب السفر) The Book of Etiquette of Traveling

পরিচ্ছেদঃ ১৬৯: সফরের সঙ্গীকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে

৩/৯৭৮। উক্ত রাবী (জাবির) রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে (সকলের) পিছনে চলতেন। তিনি দুর্বলকে চলতে সাহায্য করতেন এবং তাকে পিছনে বসিয়ে নিতেন ও তার জন্য দো’আ করতেন। (আবূ দাঊদ হাসান সূত্রে)[1]

(169) بَابُ إِعَانَةِ الرَّفِيْقِ

وَعَنْه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَتَخَلَّفُ فِي المَسِيرِ، فَيُزْجِي الضَّعِيفَ، وَيُرْدِفُ وَيَدْعُو لَهُ . رواه أَبُو داود بإسناد حسن

وعنه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يتخلف في المسير، فيزجي الضعيف، ويردف ويدعو له . رواه ابو داود باسناد حسن

(169) Chapter: Helping a Companion


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to lag behind while travelling and urge the weak to walk quickly. He used to take up someone behind him and make supplication for him.

[Abu Dawud].

Commentary: This Hadith tells us that the leader of a group (or Amir) should, during a journey, remain in the rear instead of the vanguard so that he may prop up the weak people and provide succour to the resourceless ones. Furthermore, he is presumed to pray for such people as the blessing of his prayer is likely to make up their deficiencies.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৭/ সফরের আদব-কায়দা (كتاب آداب السفر) The Book of Etiquette of Traveling
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে