পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবাগণের অভাবের-জীবন

(৩৮৩০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ’আমি বড়ই ক্ষুধার্ত।’ তিনি তাঁর কোন এক স্ত্রীর কাছে লোক পাঠালে তিনি বললেন, ’যে সত্তা আপনাকে সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন তাঁর শপথ! আমার কাছে পানি ছাড়া কিছুই নেই।’ তিনি অন্য এক স্ত্রীর কাছে লোক পাঠালে তিনিও একই কথা বললেন। এইভাবে সকল স্ত্রী এই কথাই বললেন যে, ’সেই সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন, আমার নিকট পানি ছাড়া অন্য কিছুই নেই।’ তখন তিনি বললেন, ’’আজ রাতে লোকটির মেহমানদারী কে করবে? আল্লাহ তার প্রতি রহম করবেন।’’ এক আনসারী ব্যক্তি উঠে বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি (এর মেহমানদারী করব)।’ অতঃপর সে লোকটিকে নিয়ে স্বীয় বাড়ীর দিকে রওনা দিল এবং তার স্ত্রীকে বলল, ’তোমার কাছে কিছু আছে কি?’ সে বলল, ’না। কেবল বাচ্চাদের জন্য সামান্য কিছু খাবার আছে।’

সাহাবী বললেন, ’তাদের (বাচ্চাদের) কিছু দিয়ে ভুলিয়ে রাখ।’ (অপর এক বর্ণনায় এসেছে যে, ’বাচ্চাদের ভুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দাও।) আর যখন মেহমান প্রবেশ করবে, তখন তুমি আলোটা কমিয়ে দেবে। তুমি তাকে দেখাবে যে, আমরাও আহার করছি। তারপর সে যখন খাওয়ার শুরু করবে, তখন তুমি আলোর কাছে গিয়ে সেটাকে একেবারে নিভিয়ে দেবে।’ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাঁরা বসেই রইলেন, আর মেহমান খেতে লাগল। সকাল বেলা তিনি (আনসারী) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি বললেন, ’’আজ রাতে মেহমানের সাথে তোমাদের দু’জনের আচরণে আল্লাহ হেসেছেন অথবা বিস্মিত হয়েছেন এবং তিনি এই আয়াত নাযিল করেছেন, ’নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তারা (অন্যদেরকে) নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয়। আর যাদেরকে নিজ আত্মার কার্পণ্য হতে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَبَعَثَ إِلَى نِسَائِهِ فَقُلْنَ مَا مَعَنَا إِلَّا الْمَاءُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ يَضُمُّ أَوْ يُضِيفُ هٰذَا فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ أَنَا فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى امْرَأَتِهِ فَقَالَ أَكْرِمِي ضَيْفَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَتْ مَا عِنْدَنَا إِلَّا قُوتُ صِبْيَانِي فَقَالَ هَيِّئِي طَعَامَكِ وَأَصْبِحِي سِرَاجَكِ وَنَوِّمِي صِبْيَانَكِ إِذَا أَرَادُوا عَشَاءً فَهَيَّأَتْ طَعَامَهَا وَأَصْبَحَتْ سِرَاجَهَا وَنَوَّمَتْ صِبْيَانَهَا ثُمَّ قَامَتْ كَأَنَّهَا تُصْلِحُ سِرَاجَهَا فَأَطْفَأَتْهُ فَجَعَلَا يُرِيَانِهِ أَنَّهُمَا يَأْكُلَانِ فَبَاتَا طَاوِيَيْنِ فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقَالَ ضَحِكَ اللهُ اللَّيْلَةَ أَوْ عَجِبَ مِنْ فَعَالِكُمَا فَأَنْزَلَ اللهُ وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُونَ

عن ابي هريرة رضي الله عنه ان رجلا اتى النبي ﷺ فبعث الى نساىه فقلن ما معنا الا الماء فقال رسول الله ﷺ من يضم او يضيف هذا فقال رجل من الانصار انا فانطلق به الى امراته فقال اكرمي ضيف رسول الله ﷺ فقالت ما عندنا الا قوت صبياني فقال هيىي طعامك واصبحي سراجك ونومي صبيانك اذا ارادوا عشاء فهيات طعامها واصبحت سراجها ونومت صبيانها ثم قامت كانها تصلح سراجها فاطفاته فجعلا يريانه انهما ياكلان فباتا طاويين فلما اصبح غدا الـى رسول الله ﷺ فقال ضحك الله الليلة او عجب من فعالكما فانزل الله ويوثرون على انفسهم ولو كان بهم خصاصة ومن يوق شح نفسه فاولىك هم المفلحون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবাগণের অভাবের-জীবন

(৩৮৩১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, ’আমি সত্তর জন আসহাবে সুফ্ফা দেখেছি, তাঁদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কেউ ছিল না যাঁর পূর্ণ কোন চাদর ছিল। কারোর হয় লুঙ্গি কিংবা ছোট চাদর থাকত যেটাকে তাঁরা গলায় বেঁধে রাখতেন। তার কোনটা কারো হাঁটুর অর্ধেক পর্যন্ত এবং কোনটা গোড়ালী পর্যন্ত পৌঁছত। আর সে হাত দিয়ে সেটি ধরে রাখতেন, পাছে তাঁর লজ্জাস্থান দেখা যায়—এই আশঙ্কায়।’

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ رَأَيْتُ سَبْعِينَ مِنْ أَصْحَابِ الصُّفَّةِ مَا مِنْهُمْ رَجُلٌ عَلَيْهِ رِدَاءٌ إِمَّا إِزَارٌ وَإِمَّا كِسَاءٌ قَدْ رَبَطُوا فِي أَعْنَاقِهِمْ فَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ نِصْفَ السَّاقَيْنِ وَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ الْكَعْبَيْنِ فَيَجْمَعُهُ بِيَدِهِ كَرَاهِيَةَ أَنْ تُرَى عَوْرَتُهُ

عن ابي هريرة قال رايت سبعين من اصحاب الصفة ما منهم رجل عليه رداء اما ازار واما كساء قد ربطوا في اعناقهم فمنها ما يبلغ نصف الساقين ومنها ما يبلغ الكعبين فيجمعه بيده كراهية ان ترى عورته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবাগণের অভাবের-জীবন

(৩৮৩২)আব্দুল্লাহ ইবনে শাক্বীক্ব বলেন, আমি আবূ হুরাইরা (রাঃ) এর সাথে মদীনায় এক বছর ছিলাম। একদা যখন আমরা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)র হুজরার কাছে ছিলাম, তিনি (আবূ হুরাইরা) আমাকে বললেন, আমরা এমনও অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি যে, কয়েকটি ছেঁড়া-ফাটা চাদর ব্যতীত আমাদের কাছে অন্য কোন কাপড়ই থাকত না। আর আমাদের কারো কারো উপর দিয়ে এমন কয়েক দিন অতিবাহিত হয়ে যেত যে, সে তার পিঠ সোজা রাখার জন্য কোন খাদ্য পেত না। এমন কি আমাদের কেউ কেউ তার পিঠকে সোজা রাখার জন্য পাথর নিয়ে কাপড় দিয়ে পেটের নিম্নাংশকে বেঁধে রাখত।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ قَالَ أَقَمْتُ بِالْمَدِينَةِ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ سَنَةً فَقَالَ لِي ذَاتَ يَوْمٍ وَنَحْنُ عِنْدَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا لَنَا ثِيَابٌ إِلَّا الْبِرَادُ الْمُفَتَّقَةُ وَإِنَّهُ لَيَأْتِي عَلَى أَحَدِنَا الْأَيَّامُ مَا يَجِدُ طَعَامًا يُقِيمُ بِهِ صُلْبَهُ حَتّٰـى إِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَأْخُذُ الْحَجَرَ فَيَشُدُّهُ عَلَى أَخْمَصِ بَطْنِهِ ثُمَّ يَشُدُّهُ بِثَوْبِهِ لِيُقِيمَ بِهِ صُلْبَهُ

عن عبد الله بن شقيق قال اقمت بالمدينة مع ابي هريرة سنة فقال لي ذات يوم ونحن عند حجرة عاىشة لقد رايتنا وما لنا ثياب الا البراد المفتقة وانه لياتي على احدنا الايام ما يجد طعاما يقيم به صلبه حتـى ان كان احدنا لياخذ الحجر فيشده على اخمص بطنه ثم يشده بثوبه ليقيم به صلبه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবাগণের অভাবের-জীবন

(৩৮৩৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, ’আমি পেট পুরে কিছু খাওয়ার জন্য সব সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পড়ে থাকতাম। আর তখন আমার খাওয়ার জন্য রুটি ছিল না। পরার জন্য নতুন কাপড় ছিল না এবং খেদমতের জন্য কোন দাস-দাসীও ছিল না। পেটে পাথর বেঁধে পড়ে থাকতাম এবং মানুষের নিকট আয়াত তেলাঅত করার আবেদন করতাম অথচ তা আমিই তেলাঅত করতে জানি, যেন তারা আমাকে তাদের বাড়ী নিয়ে যায় এবং কিছু খাওয়ায়। (আমার ন্যায়) গরীব-মিসকীনদের জন্য জা’ফর ইবনে আবূ তালেব (রাঃ) ছিলেন সর্বোত্তম ব্যক্তি। তিনি আমাদেরকে সাথে নিয়ে যেতেন এবং তাঁর ঘরে যা থাকত, তা আমাদেরকে খাওয়াতেন। এমনকি কোন কোন সময় তিনি আমাদের সামনে (ঘি ও মধু রাখার) খালি পাত্রটাই নিয়ে আসতেন আর আমরা তা ভেঙ্গে চাটতাম।’

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ كُنْتُ أَلْزَمُ النَّبِيَّ ﷺ لِشِبَعِ بَطْنِي حِينَ لَا آكُلُ الْخَمِيرَ وَلَا أَلْبَسُ الْحَرِيرَ (الحبير) وَلَا يَخْدُمُنِي فُلَانٌ وَلَا فُلَانَةُ وَأُلْصِقُ بَطْنِي بِالْحَصْبَاءِ وَأَسْتَقْرِئُ الرَّجُلَ الْآيَةَ وَهِيَ مَعِي كَيْ يَنْقَلِبَ بِي فَيُطْعِمَنِي وَخَيْرُ النَّاسِ لِلْمَسَاكِينِ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَنْقَلِبُ بِنَا فَيُطْعِمُنَا مَا كَانَ فِي بَيْتِهِ حَتّٰـى إِنْ كَانَ لَيُخْرِجُ إِلَيْنَا الْعُكَّةَ لَيْسَ فِيهَا شَيْءٌ فَنَشْتَقُّهَا فَنَلْعَقُ مَا فِيهَا

عن ابي هريرة قال كنت الزم النبي ﷺ لشبع بطني حين لا اكل الخمير ولا البس الحرير (الحبير) ولا يخدمني فلان ولا فلانة والصق بطني بالحصباء واستقرى الرجل الاية وهي معي كي ينقلب بي فيطعمني وخير الناس للمساكين جعفر بن ابي طالب ينقلب بنا فيطعمنا ما كان في بيته حتـى ان كان ليخرج الينا العكة ليس فيها شيء فنشتقها فنلعق ما فيها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবাগণের অভাবের-জীবন

(৩৮৩৪) মুহাম্মাদ বলেন, একদা আমরা আবূ হুরাইরা (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি লাল রঙের দু’টি সুতীর কাপড় পরেছিলেন। তিনি তার একটির দ্বারা স্বীয় নাক পরিষ্কার করলেন এবং বললেন, ’বাহ! বাহ! আবূ হুরাইরা আজ সুতির কাপড়ে নাক পরিষ্কার করছে। অথচ অতীতে আমি নিজেকে এমন অবস্থায় পেয়েছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বার এবং আয়েশা (রাঃ) এর হুজরার মধ্যবর্তী স্থানে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকতাম। লোকেরা আমাকে পাগল মনে করে আমার ঘাড়ের উপর পা রাখত। অথচ আমি পাগল ছিলাম না, বরং ক্ষুধার তাড়নায় (আমি এমনিভাবে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকতাম।)’

عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَلَيْهِ ثَوْبَانِ مُمَشَّقَانِ مِنْ كَتَّانٍ فَتَمَخَّطَ فَقَالَ بَخْ بَخْ أَبُو هُرَيْرَةَ يَتَمَخَّطُ فِي الْكَتَّانِ لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَإِنِّي لَأَخِرُّ فِيمَا بَيْنَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللهِ ﷺ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ مَغْشِيًّا عَلَيَّ فَيَجِيءُ الْجَائِي فَيَضَعْ رِجْلَهُ عَلَى عُنُقِي وَيُرَى أَنِّي مَجْنُونٌ وَمَا بِي مِنْ جُنُونٍ مَا بِي إِلَّا الْجُوعُ

عن محمد قال كنا عند ابي هريرة وعليه ثوبان ممشقان من كتان فتمخط فقال بخ بخ ابو هريرة يتمخط في الكتان لقد رايتني واني لاخر فيما بين منبر رسول الله ﷺ الى حجرة عاىشة مغشيا علي فيجيء الجاىي فيضع رجله على عنقي ويرى اني مجنون وما بي من جنون ما بي الا الجوع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু সীরীন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবাগণের অভাবের-জীবন

(৩৮৩৫) সা’দ ইবনে আবূ অক্কাস (রাঃ) বলেন, আমরা যখন আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করেছি, তখন অবস্থা এমন ছিল যে, এই হুবলা এবং বাবলা বৃক্ষর পাতা ব্যতিরেকে আমাদের নিকট খাবার মত কোন কিছুই থাকত না। ফলে আমাদের এক একজন ছাগলের মত মল ত্যাগ করত।

عَنْ سَعْدٍ قَالَ: وَرَأَيْتُنَا نَغْزُو وَمَا لَنَا طَعَامٌ إِلَّا وَرَقُ الْحُبْلَةِ وَهٰذَا السَّمُرُ وَإِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةُ

عن سعد قال: ورايتنا نغزو وما لنا طعام الا ورق الحبلة وهذا السمر وان احدنا ليضع كما تضع الشاة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবাগণের অভাবের-জীবন

(৩৮৩৬) ফাযালাহ ইবনে উবাইদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন লোকেদের নামায পড়াতেন, তখন কিছু লোক ক্ষুধার কারণে (দুর্বলতায়) পড়ে যেতেন, আর তাঁরা ছিলেন আহলে সুফফাহ। এমনকি মরুবাসী বেদুঈনরা বলত, ’এরা পাগল।’ একদা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায সেরে তাদের দিকে মুখ ফিরালেন, তখন বললেন, ’’তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে তোমরা এর চাইতেও অভাব ও দারিদ্র্য পছন্দ করতে।

وعن فَضَالَةَ بنِ عُبَيدٍ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ إِذَا صَلَّى بِالنَّاسِ يَخِرُّ رِجَالٌ مِنْ قَامَتِهِمْ في الصَّلاةِ مِنَ الخَصَاصَةِ ـ وَهُمْ أصْحَابُ الصُّفَّةِ ـ حَتّٰـى يَقُولَ الأعْرَابُ : هؤُلاَء مَجَانِينٌ فَإذَا صلَّى رَسُول اللهِ ﷺ انْصَرَفَ إلَيْهِمْ فَقَالَ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا لَكُمْ عِنْدَ اللهِ تَعَالٰـى لأَحْبَبْتُمْ أنْ تَزْدَادُوا فَاقَةً وَحَاجَةً رَوَاهُ التِّرْمِذِي وقال حديث صحيح

وعن فضالة بن عبيد ان رسول الله ﷺ كان اذا صلى بالناس يخر رجال من قامتهم في الصلاة من الخصاصة ـ وهم اصحاب الصفة ـ حتـى يقول الاعراب : هولاء مجانين فاذا صلى رسول الله ﷺ انصرف اليهم فقال لو تعلمون ما لكم عند الله تعالـى لاحببتم ان تزدادوا فاقة وحاجة رواه الترمذي وقال حديث صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবাগণের অভাবের-জীবন

(৩৮৩৭) ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম, ইতিমধ্যে এক আনসারী এলেন এবং তাঁকে সালাম দিলেন। অতঃপর আনসারী ফিরে যেতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আনসারের ভাই! আমার ভাই সা’দ ইবনে উবাদাহ কেমন আছে? তিনি বললেন, ’ভাল আছে।’ তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে কে তাকে (অসুস্থ সা’দকে) দেখতে যাবে? সুতরাং তিনি উঠে দাড়ালেন এবং আমরাও উঠে দাঁড়ালাম। আমরা দশের কিছু বেশী ছিলাম। আমাদের দেহে জুতো, মোজা, টুপী এবং জামা কিছুই ছিল না। আমরা ঐ পাথুরে যমিনে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, এমনকি শেষ পর্যন্ত আমরা সা’দ (রাঃ) এর নিকট পৌঁছে গেলাম। তার গৃহবাসীরা তাঁর নিকট থেকে সরে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ তাঁর নিকটবর্তী হলেন।

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ : كُنَّا جُلُوساً مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأنْصَارِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ ثُمَّ أدْبَرَ الأَنْصَاريُّ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَا أخَا الأنْصَارِ كَيْفَ أخِي سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ ؟ فَقَالَ : صَالِحٌ فَقَالَ رَسُول اللهِ ﷺ مَنْ يَعُودُهُ مِنْكُمْ ؟ فَقَامَ وَقُمْنَا مَعَهُ، وَنَحْنُ بضْعَةَ عَشَرَ، مَا عَلَيْنَا نِعَالٌ، وَلاَ خِفَافٌ، وَلاَ قَلاَنِسُ، وَلاَ قُمُصٌ، نَمْشِي في تِلك السِّبَاخِ، حَتّٰـى جِئْنَاهُ، فَاسْتَأْخَرَ قَوْمُهُ مِنْ حَوْلِه حَتّٰـى دَنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَأصْحَابُهُ الَّذِينَ مَعَهُ رواه مسلم

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال : كنا جلوسا مع رسول الله ﷺ اذ جاء رجل من الانصار فسلم عليه ثم ادبر الانصاري فقال رسول الله ﷺ يا اخا الانصار كيف اخي سعد بن عبادة ؟ فقال : صالح فقال رسول الله ﷺ من يعوده منكم ؟ فقام وقمنا معه، ونحن بضعة عشر، ما علينا نعال، ولا خفاف، ولا قلانس، ولا قمص، نمشي في تلك السباخ، حتـى جىناه، فاستاخر قومه من حوله حتـى دنا رسول الله ﷺ واصحابه الذين معه رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩১/ হৃদয়-গলানো উপদেশ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে