(৩৩৩৬) উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা (পুরুষরা) রেশমের কাপড় পরিধান করো না। কেননা, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে রেশমের কাপড় পরিধান করবে, সে আখেরাতে তা থেকে বঞ্চিত হবে। (অর্থাৎ, সে জান্নাত হতে বঞ্চিত হবে।)

(৩৩৩৭) উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি, সেই রেশম পরিধান করে, যার কোনই অংশ নেই।

বুখারীর এক বর্ণনায় আছে, ’যার আখেরাতে কোন অংশ নেই।’

(৩৩৩৮) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুনিয়াতে যে রেশমী কাপড় পরবে, আখেরাতে সে তা পরতে পাবে না।

(৩৩৩৯) আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, তিনি ডান হাতে রেশম ধরলেন এবং বাম হাতে সোনা, অতঃপর বললেন, আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এ দু’টি বস্তু হারাম।

(৩৩৪০) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রেশমের পোশাক ও স্বর্ণ আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য অবৈধ করা হয়েছে, আর মহিলাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে।

(৩৩৪১) হুযাইফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোনা ও রূপার পাত্রে পান বা আহার করতে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন এবং চিকন ও মোটা রেশম পরিধান করতে অথবা (বেড-কভার বা সীট-কভার বানিয়ে) তার উপর বসতেও নিষেধ করেছেন।’

(৩৩৪২) উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (পুরুষদেরকে) রেশমের কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। তবে দুই, তিন অথবা চার আঙ্গুল পরিমাণ (অন্য কাপড়ের সঙ্গে জুড়ে) ব্যবহার করতে অনুমতি দিয়েছেন।