পরিচ্ছেদঃ (সাক্ষাৎকালীন আদব)
সাক্ষাৎকালে মুসাফাহা করা, হাসিমুখ হওয়া, সৎ ব্যক্তির হাত চুমা, নিজ সন্তানকে স্নেহভরে চুমা দেওয়া, সফর থেকে আগত ব্যক্তির সাথে মুআনাকা (কোলাকুলি) করা মুস্তাহাব। আর (কারোর সম্মানার্থে) সামনে মাথা নত করা মাকরূহ।
(৩২৬৭) আবূল খাত্ত্বাব ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের মধ্যে কি মুসাফাহা (করমর্দন) করার প্রথা ছিল?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ।’
عَن أَبي الخَطَّابِ قَتَادَةَ قَالَ : قُلْتُ لأَنَسٍ : أكَانَتِ المُصَافَحَةُ فِي أصْحَابِ رَسُولِ اللهِ ﷺ ؟ قَالَ: نَعَمْ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ (সাক্ষাৎকালীন আদব)
(৩২৬৮) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন ইয়ামানবাসীরা আগমন করল, তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে উঠলেন, ইয়ামানবাসীরা তোমাদের নিকট আগমন করেছে। (আনাস বলেন,) এরাই সর্বপ্রথম মুসাফাহা আনয়ন করেছিল।
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا جَاءَ أهْلُ اليَمَنِ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ قَدْ جَاءَكُمْ أهْلُ اليَمَنِ وَهُمْ أوَّلُ مَنْ جَاءَ بِالمُصَافَحَةِ رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
পরিচ্ছেদঃ (সাক্ষাৎকালীন আদব)
(৩২৬৯)বারা’ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’জন মুসলিম সাক্ষাৎকালে মুসাফাহা করলেই একে অপর থেকে পৃথক হবার পূর্বেই তাদের (গুনাহ) মাফ করে দেওয়া হয়।
وَعَنْ البَرَاءِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا مِنْ مُسْلِمَينِ يَلْتَقِيَانِ فَيَتَصَافَحَانِ إِلاَّ غُفِرَ لَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا رواه أَبُو داود
পরিচ্ছেদঃ (সাক্ষাৎকালীন আদব)
(৩২৭০) পূর্বোক্ত বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখনই দুইজন মুসলিম পরস্পর সাক্ষাৎ করে ওদের মধ্যে একজন অপরজনকে সালাম দিয়ে তার হস্ত ধারণ করে (মুসাফাহাহ করে), আর তার হস্ত ধারণ কেবলমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই হয়, তখনই তাদের পৃথক হওয়ার পূর্বে তাদের উভয়কে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَلْتَقِيَانِ فَيُسَلِّمُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ وَيَأْخُذُ بِيَدِهِ لَا يَأْخُذُهُ إِلَّا لِلهِ عَزَّ وَجَلَّ لَا يَتَفَرَّقَانِ حَتّٰـى يُغْفَرَ لَهُمَاَ
পরিচ্ছেদঃ (সাক্ষাৎকালীন আদব)
(৩২৭১) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একটা লোক বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্য থেকে কোন লোক তার ভাইয়ের সাথে কিংবা তার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করলে তার সামনে কি মাথা নত করবে?’ তিনি বললেন, না। সে বলল, ’তাহলে কি তাকে জড়িয়ে ধরে চুমা দেবে?’ তিনি বললেন, না। সে বলল, ’তাহলে কি তার হাত ধরে তার সঙ্গে মুসাফা করবে?’ তিনি বললেন, হ্যাঁ।
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَجُلٌ : يَا رَسُوْلَ اللهِ الرَّجُلُ مِنَّا يَلْقَى أخَاهُ أَوْ صَدِيقَهُ أَيَنحَنِي لَهُ؟ قَالَ لاَ قَالَ : أفَيَلْتَزِمُهُ وَيُقَبِّلُهُ ؟ قَالَ لاَ قَالَ : فَيَأخُذُ بِيَدِهِ وَيُصَافِحُهُ ؟ قَالَ نَعَمْ رواه الترمذي وقال حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ (সাক্ষাৎকালীন আদব)
(৩২৭২) আবূ যার্র (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, কোন পুণ্য কাজকে তুমি অবশ্যই তুচ্ছ মনে করো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সাথে সহাস্য বদনে সাক্ষাৎ করার পুণ্যই হোক না কেন।
(অর্থাৎ, মুসলিম ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও একটি ভালো কাজ।)
وَعَنْ أَبي ذَرٍّ قَالَ : قَالَ لِي رَسُول اللهِ ﷺ لاَ تَحقِرَنَّ مِنَ الْمَعرُوف شَيْئاً وَلَوْ أنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ (সাক্ষাৎকালীন আদব)
(৩২৭৩) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রত্যেক কল্যাণমূলক কর্মই হল সদকাহ (করার সমতুল্য)। আর তোমার ভাইয়ের সাথে তোমার হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা এবং তোমার বালতির সাহায্যে (কুয়ো থেকে পানি তুলে) তোমার ভাইয়ের পাত্র (কলসী ইত্যাদি) ভরে দেওয়াও কল্যাণমূলক (সৎ)কর্মের পর্যায়ভুক্ত।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ وَإِنَّ مِنْ الْمَعْرُوفِ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ وَأَنْ تُفْرِغَ مِنْ دَلْوِكَ فِي إِنَاءِ أَخِيكَ
পরিচ্ছেদঃ (সাক্ষাৎকালীন আদব)
(৩২৭৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ইবনে আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) কে চুম্বন দিলেন। (তা দেখে) আক্বরা’ ইবনে হাবেস বলে উঠল, ’আমার তো দশটি সন্তান আছে, তাদের মধ্যে কাউকে আমি চুমা দিইনি।’ (তা শুনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে দয়া করে না, তার প্রতি দয়া করা হয় না।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَبَّلَ النَّبِيُّ ﷺ الحَسَنَ بنَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا فَقَالَ الأقْرَعُ بنُ حَابِسٍ : إنَّ لِي عَشْرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا قَبَّلْتُ مِنْهُمْ أَحَدَاً فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ لاَ يَرْحَمْ لاَ يُرْحَمْ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ (সাক্ষাৎকালীন আদব)
(৩২৭৫) ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের সাক্ষাতে গিয়ে তার নিকট বসবে, তখন সে যেন তার অনুমতি ছাড়া অবশ্যই না ওঠে।
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا زَارَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَجَلَسَ عِنْدَهُ فَلَا يَقُوْمَنَّ حَتَّى يَسْتَأْذِنَهُ