পরিচ্ছেদঃ সালাম দেওয়ার পদ্ধতি
প্রথমে যে সালাম দেবে তার এরূপ বলা (উচিত), ’আসসালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ’। এটা মুস্তাহাব। সে বহুবচন সর্বনাম ব্যবহার করবে; যদিও যাকে সালাম দেওয়া হয় সে একা হোক না কেন। আর সালামের উত্তরদাতা বলবে ’অআলাইকুমুস সালামু অরহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ, অর্থাৎ, সে শুরুতে সংযোজক অব্যয় ’অ’ বা ’ওয়া’ শব্দ ব্যবহার করবে।
(৩২৪৭) ইমরান ইবনে হুস্বাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে এভাবে সালাম করল ’আসসালামু আলাইকুম’ আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জবাব দিলেন। অতঃপর লোকটি বসে গেলে তিনি বললেন, ওর জন্য দশটি নেকী। তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি এসে ’আসসালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম পেশ করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের উত্তর দিলেন এবং লোকটি বসলে তিনি বললেন, ওর জন্য বিশটি নেকী। তারপর আর একজন এসে ’আসসালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ’ বলে সালাম দিল। তিনি তার জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসলে তিনি বললেন, ওর জন্য ত্রিশটি নেকী।
عَن عِمْرَانَ بنِ الحُصَينِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ : السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، فَرَدَّ عَلَيْهِ ثُمَّ جَلَسَ، فَقَالَ النبيُّ ﷺعَشْرٌ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ : السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ، فَقَالَ عِشْرُونَ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ : السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ الله وَبَركَاتُهُ، فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ فَقَالَ ثَلاثُونَ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ সালাম দেওয়ার পদ্ধতি
(৩২৪৮) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, এই জিবরীল (আঃ) তোমাকে সালাম পেশ করছেন। তিনি বলেন, আমিও উত্তরে বললাম, ’অআলাইহিস সালামু অরহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।’ (বুখারী ৩২১৭, ৬২৫৩, মুসলিম ৬৪৫৪-৬৪৫৭)
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : قَالَ لِي رَسُوْلُ اللهِ ﷺ هَذَا جِبْريلُ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ قَالَتْ : قُلْتُ : وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ সালাম দেওয়ার পদ্ধতি
(৩২৪৯) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন কথা বলতেন, তখন তা তিনবার বলতেন; যাতে তাঁর কথা বুঝতে পারা যায়। আর যখন কোন গোষ্ঠীর কাছে আসতেন তখনও তিনি তিনবার করে সালাম পেশ করতেন। (বুখারী ৯৫)
وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبيَّ ﷺ كَانَ إِذَا تَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ أعَادَهَا ثَلاثَاً حَتّٰـى تُفهَمَ عَنْهُ وَإِذَا أتَى عَلَى قَوْمٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ ثَلاَثاً رواه البخاري وهذا مَحْمُولٌ عَلَى مَا إِذَا كَانَ الجَمْعُ كَثِيراً
পরিচ্ছেদঃ সালাম দেওয়ার পদ্ধতি
(৩২৫০) মিক্বদাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি স্বীয় দীর্ঘ হাদীসে বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য তাঁর অংশের দুধ রেখে দিতাম। তিনি রাতের বেলায় আসতেন এবং এমনভাবে সালাম দিতেন যে, তাতে কোন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগিয়ে দিতেন না এবং জাগ্রত ব্যক্তিদেরকে শুনাতেন। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর অভ্যাসমত) এসে সালাম দিলেন, যেমন তিনি সালাম দিতেন।
وَعَنْ المِقْدَادِ في حَدِيثهِ الطَّوِيلِ قَالَ : كُنَّا نَرْفَعُ للنَّبيِّ ﷺ نَصِيبَهُ مِنَ اللَّبَنِ فَيَجِيءُ مِنَ اللَّيْلِ، فَيُسَلِّمُ تَسْلِيماً لاَ يُوقِظُ نَائِماً وَيُسْمِعُ اليَقْظَانَ فَجَاءَ النَّبِيُّ ﷺ فَسَلَّمَ كَمَا كَانَ يُسَلِّمُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ সালাম দেওয়ার পদ্ধতি
(৩২৫১) আবূ জুরাই হুজাইমী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হয়ে বললাম, ’আলাইকাস সালাম’ ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন, ’’আলাইকাস সালাম’ বলো না। কেননা, ’আলাইকাস সালাম’ হচ্ছে মৃত ব্যক্তিদেরকে জানানো অভিবাদন বাক্য।
وَعَنْ أَبي جُرَيٍّ الهُجَيْمِيِّ قَالَ : أتيتُ رَسُول اللهِ ﷺ فَقُلتُ : عَلَيْكَ السَّلامُ يَا رَسُوْلَ اللهِ! قَالَ لاَ تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلامُ ؛ فَإِنَّ عَلَيْكَ السَّلاَمُ تَحِيَّةُ المَوتَى رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح وَقَدْ سَبَقَ بِطُولِهِ