পরিচ্ছেদঃ কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দু‘আ

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَجَعَلَ لَكُمْ مِنَ الْفُلْكِ وَالْأنْعَامِ مَا تَرْكَبُوْنَ لِتَسْتَوُوا عَلٰـى ظُهُوْرِهِ ثُمَّ تَذْكُرُوا نِعْمَةَ رَبِّكُمْ إِذَا اسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُوْلُوا سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِيْنَ وَإنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ

অর্থাৎ, যিনি সব কিছুর যুগলসমূহ সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের যানবাহনে পরিণত করেছেন। যাতে তোমরা ওদের পিঠে স্থিরভাবে বসে তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ করতে পার, পবিত্র মহান তিনিই যিনি একে আমাদের বশীভূত ক’রে দিয়েছেন; যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। (সূরা যুখরুফ ১২-১৪)


(৩২০৭) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে বেরিয়ে উটের পিঠে স্থির হয়ে বসতেন, তখন তিনবার ’আল্লাহু আকবার’ পড়ে এই দু’আ পড়তেন,

’সুবহানাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। অইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবূন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বির্‌রা অত্‌তাক্বওয়া, অমিনাল আমলি মা তারযা। আল্লাহুম্মা হাওবিন আলাইনা সাফারানা হা-যা অত্ববি আন্না বু’দাহ। আল্লাহুম্মা আন্তাস সা-হিবু ফিস সাফারি অলখালীফাতু ফিল আহল। আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন অ’সাইস সাফার অকাআবাতিল মানযার, অসূইল মুনক্কালাবি ফিল মা-লি অল আহলি অল অলাদ।’

অর্থাৎ, পবিত্র ও মহান যিনি একে আমাদের বশীভূত ক’রে দিয়েছেন যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। ওগো আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের এই যাত্রায় পুণ্যকর্ম, সংযমশীলতা এবং তোমার সন্তোষজনক কার্যকলাপ। হে আল্লাহ! আমাদের এ যাত্রাকে আমাদের জন্য সহজ ক’রে দাও। আমাদের থেকে ওর দূরত্ব গুটিয়ে নাও। হে আল্লাহ! তুমিই সফরের সঙ্গী। আর পরিবার পরিজনের জন্য (আমাদের) প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট ও ক্লান্তি থেকে, ভয়ংকর দৃশ্য থেকে এবং বাড়ি ফিরে ধন-সম্পদ, পরিবার ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে কোন অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আর বাড়ি ফিরার সময় উক্ত দু’আর সাথে এগুলিও পড়তেন, ’আ-ইবূনা, তা-ইবূনা আ-বিদূনা, লিরাব্বিনা হা-মিদূন।’

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ إِذَا اسْتَوَى عَلَى بَعِيرِهِ خَارِجاً إِلَى سَفَرٍ، كَبَّرَ ثَلاثاً ثُمَّ قَالَ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلبُونَ اَللّهُمَّ إِنَّا نَسأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا البِرَّ وَالتَّقوَى وَمِنَ العَمَلِ مَا تَرضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ اللَّهُمَّ أنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ المَنْظَرِ وَسُوءِ المُنْقَلَبِ فِي الماَلِ وَالأَهْلِ وَالوَلَدِ وَإِذَا رَجَعَ قَالَهُنَّ وَزَادَ فِيهِنَّ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ رواه مسلم

وعن ابن عمر رضي الله عنهما : ان رسول الله ﷺ كان اذا استوى على بعيره خارجا الى سفر، كبر ثلاثا ثم قال سبحان الذي سخر لنا هذا وما كنا له مقرنين وانا الى ربنا لمنقلبون اللهم انا نسالك في سفرنا هذا البر والتقوى ومن العمل ما ترضى اللهم هون علينا سفرنا هذا واطو عنا بعده اللهم انت الصاحب في السفر والخليفة في الاهل اللهم اني اعوذ بك من وعثاء السفر وكابة المنظر وسوء المنقلب في المال والاهل والولد واذا رجع قالهن وزاد فيهن ايبون تاىبون عابدون لربنا حامدون رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দু‘আ

(৩২০৮) আব্দুল্লাহ ইবনে সারজিস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফর করতেন, তখন তিনি সফরের কষ্ট থেকে, দুশ্চিন্তাজনক পরিস্থিতি থেকে বা অপ্রীতিকর প্রত্যাবর্তন, পূর্ণতার পর হ্রাস থেকে, অত্যাচারিতের বদ্দুআ থেকে, মাল-ধন ও পরিবারের ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (মুসলিম ৩৩৪০)

وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَرْجِسَ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا سَافَرَ يَتَعَوَّذُ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ المُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الكَوْنِ وَدَعْوَةِ المَظْلُومِ وَسُوءِ المَنْظَرِ في الأَهْلِ وَالمَالِ رواه مسلم

وعن عبد الله بن سرجس قال : كان رسول الله ﷺ اذا سافر يتعوذ من وعثاء السفر وكابة المنقلب والحور بعد الكون ودعوة المظلوم وسوء المنظر في الاهل والمال رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দু‘আ

(৩২০৯) আলী ইবনে রাবীআহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আলী ইবনে আবু ত্বালেব (রাঃ) এর নিকট হাজির ছিলাম। যখন তাঁর নিকট আরোহন করার উদ্দেশ্যে বাহন আনা হল এবং যখন তিনি বাহনের পাদানে স্বীয় পা রাখলেন তখন ’বিসমিল্লাহ’ বললেন। অতঃপর যখন তার পিঠে স্থির হয়ে সোজাভাবে বসলেন তখন বললেন,

’আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। অইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবূন।’ অতঃপর তিনবার ’আলহামদুলিল্লাহ’ পড়লেন। অতঃপর তিনবার ’আল্লাহু আকবার’ পড়লেন। অতঃপর পড়লেন, ’সুবহানাকা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফিরলী, ইন্নাহু লা য়্যাগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।’

অতঃপর তিনি হাসলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি হাসলেন কেন?’ তিনি বললেন, ’আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলাম, তিনি তাই করলেন, যা আমি করলাম। অতঃপর তিনি হাসলেন। আমি প্রশ্ন করলাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি হাসলেন কেন?’ তিনি বললেন, তোমার মহান প্রতিপালক তাঁর সেই বান্দার প্রতি আশ্চর্যাম্বিত হন, যখন সে বলে, ’ইগফিরলী যুনূবী’ (অর্থাৎ, আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দাও।) সে জানে যে, আমি (আল্লাহ) ছাড়া পাপরাশি আর কেউ মাফ করতে পারে না।

وَعَنْ عَلِيِّ بنِ رَبِيعَةَ قَالَ : شَهِدتُّ عَلِيَّ بنَ أَبِي طَالِبٍ أُتِيَ بِدَابَّةٍ لِيَرْكَبَهَا فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الرِّكَابِ قَالَ : بِسْمِ اللهِ فَلَمَّا اسْتَوَى عَلَى ظَهْرِهَا قَالَ : الحَمْدُ ِللهِ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنينَ وَإنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ ثُمَّ قَالَ : اَلحمْدُ للهِ ثَلاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ : اَللهُ أكْبَرُ ثَلاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ : سُبْحَانَكَ إنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ ثُمَّ ضَحِكَ فَقِيلَ : يَا أَمِيرَ المُؤمِنِينَ مِنْ أيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ ؟ قَالَ : رَأيتُ النبيَّ ﷺ فَعَلَ كَمَا فَعَلْتُ ثُمَّ ضَحِكَ فقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ مِنْ أيِّ شَيْءٍ ضَحِكْتَ ؟ قَالَ إنَّ رَبَّكَ تَعَالَى يَعْجَبُ مِنْ عَبدِهِ إِذَا قَالَ : اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي يَعْلَمُ أنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ غَيْرِي رواه أَبُو داود والترمذي، وَقَالَ حديث حسن وفي بعض النسخ حسن صحيح وهذا لفظ أَبي داود

وعن علي بن ربيعة قال : شهدت علي بن ابي طالب اتي بدابة ليركبها فلما وضع رجله في الركاب قال : بسم الله فلما استوى على ظهرها قال : الحمد لله الذي سخر لنا هذا وما كنا له مقرنين وانا الى ربنا لمنقلبون ثم قال : الحمد لله ثلاث مرات ثم قال : الله اكبر ثلاث مرات ثم قال : سبحانك اني ظلمت نفسي فاغفر لي انه لا يغفر الذنوب الا انت ثم ضحك فقيل : يا امير المومنين من اي شيء ضحكت ؟ قال : رايت النبي ﷺ فعل كما فعلت ثم ضحك فقلت : يا رسول الله من اي شيء ضحكت ؟ قال ان ربك تعالى يعجب من عبده اذا قال : اغفر لي ذنوبي يعلم انه لا يغفر الذنوب غيري رواه ابو داود والترمذي، وقال حديث حسن وفي بعض النسخ حسن صحيح وهذا لفظ ابي داود

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে