৩২০৭

পরিচ্ছেদঃ কোন সওয়ারী বা যানবাহনে চড়ার সময় দু‘আ

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَجَعَلَ لَكُمْ مِنَ الْفُلْكِ وَالْأنْعَامِ مَا تَرْكَبُوْنَ لِتَسْتَوُوا عَلٰـى ظُهُوْرِهِ ثُمَّ تَذْكُرُوا نِعْمَةَ رَبِّكُمْ إِذَا اسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُوْلُوا سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِيْنَ وَإنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ

অর্থাৎ, যিনি সব কিছুর যুগলসমূহ সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের যানবাহনে পরিণত করেছেন। যাতে তোমরা ওদের পিঠে স্থিরভাবে বসে তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্মরণ করতে পার, পবিত্র মহান তিনিই যিনি একে আমাদের বশীভূত ক’রে দিয়েছেন; যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। (সূরা যুখরুফ ১২-১৪)


(৩২০৭) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সফরে বেরিয়ে উটের পিঠে স্থির হয়ে বসতেন, তখন তিনবার ’আল্লাহু আকবার’ পড়ে এই দু’আ পড়তেন,

’সুবহানাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা অমা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। অইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবূন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বির্‌রা অত্‌তাক্বওয়া, অমিনাল আমলি মা তারযা। আল্লাহুম্মা হাওবিন আলাইনা সাফারানা হা-যা অত্ববি আন্না বু’দাহ। আল্লাহুম্মা আন্তাস সা-হিবু ফিস সাফারি অলখালীফাতু ফিল আহল। আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন অ’সাইস সাফার অকাআবাতিল মানযার, অসূইল মুনক্কালাবি ফিল মা-লি অল আহলি অল অলাদ।’

অর্থাৎ, পবিত্র ও মহান যিনি একে আমাদের বশীভূত ক’রে দিয়েছেন যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। ওগো আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের এই যাত্রায় পুণ্যকর্ম, সংযমশীলতা এবং তোমার সন্তোষজনক কার্যকলাপ। হে আল্লাহ! আমাদের এ যাত্রাকে আমাদের জন্য সহজ ক’রে দাও। আমাদের থেকে ওর দূরত্ব গুটিয়ে নাও। হে আল্লাহ! তুমিই সফরের সঙ্গী। আর পরিবার পরিজনের জন্য (আমাদের) প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট ও ক্লান্তি থেকে, ভয়ংকর দৃশ্য থেকে এবং বাড়ি ফিরে ধন-সম্পদ, পরিবার ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে কোন অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আর বাড়ি ফিরার সময় উক্ত দু’আর সাথে এগুলিও পড়তেন, ’আ-ইবূনা, তা-ইবূনা আ-বিদূনা, লিরাব্বিনা হা-মিদূন।’

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ إِذَا اسْتَوَى عَلَى بَعِيرِهِ خَارِجاً إِلَى سَفَرٍ، كَبَّرَ ثَلاثاً ثُمَّ قَالَ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلبُونَ اَللّهُمَّ إِنَّا نَسأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا البِرَّ وَالتَّقوَى وَمِنَ العَمَلِ مَا تَرضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ اللَّهُمَّ أنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ المَنْظَرِ وَسُوءِ المُنْقَلَبِ فِي الماَلِ وَالأَهْلِ وَالوَلَدِ وَإِذَا رَجَعَ قَالَهُنَّ وَزَادَ فِيهِنَّ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ رواه مسلم

وعن ابن عمر رضي الله عنهما : ان رسول الله ﷺ كان اذا استوى على بعيره خارجا الى سفر، كبر ثلاثا ثم قال سبحان الذي سخر لنا هذا وما كنا له مقرنين وانا الى ربنا لمنقلبون اللهم انا نسالك في سفرنا هذا البر والتقوى ومن العمل ما ترضى اللهم هون علينا سفرنا هذا واطو عنا بعده اللهم انت الصاحب في السفر والخليفة في الاهل اللهم اني اعوذ بك من وعثاء السفر وكابة المنظر وسوء المنقلب في المال والاهل والولد واذا رجع قالهن وزاد فيهن ايبون تاىبون عابدون لربنا حامدون رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব