পরিচ্ছেদঃ উঁচু জায়গায় চড়ার সময় মুসাফির ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে এবং নীচু জায়গায় নামবার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। ‘তকবীর’ ইত্যাদি বলার সময় অত্যন্ত উচ্চৈঃস্বরে বলা নিষেধ

(৩২১০) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা (সফরে) যখন উঁচু জায়গায় চড়তাম তখন ’আল্লাহু আকবার’ বলতাম এবং নীচু জায়গায় নামতাম, তখন ’সুবহানাল্লাহ’ বলতাম।

عَنْ جَابِرٍ قَالَ : كُنَّا إِذَا صَعِدْنَا كَبَّرْنَا وَإِذَا نَزَلْنَا سَبَّحْنَا رواه البخاري

عن جابر قال : كنا اذا صعدنا كبرنا واذا نزلنا سبحنا رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ উঁচু জায়গায় চড়ার সময় মুসাফির ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে এবং নীচু জায়গায় নামবার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। ‘তকবীর’ ইত্যাদি বলার সময় অত্যন্ত উচ্চৈঃস্বরে বলা নিষেধ

(৩২১১) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সেনা বাহিনী যখন উঁচু জায়গায় চড়তেন তখন ’আল্লাহু আকবার’ বলতেন। আর যখন নিচু জায়গায় নামতেন তখন ’সুবহানাল্লাহ’ বলতেন।

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ ﷺ وَجُيُوشُهُ إِذَا عَلَوا الثَّنَايَا كَبَّرُوا وَإِذَا هَبَطُوا سَبَّحُوا رواه أَبُو داود بإسناد صحيح

وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال : كان النبي ﷺ وجيوشه اذا علوا الثنايا كبروا واذا هبطوا سبحوا رواه ابو داود باسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ উঁচু জায়গায় চড়ার সময় মুসাফির ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে এবং নীচু জায়গায় নামবার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। ‘তকবীর’ ইত্যাদি বলার সময় অত্যন্ত উচ্চৈঃস্বরে বলা নিষেধ

(৩২১২) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হজ্জ কিংবা উমরাহ সেরে ফিরে আসতেন, যখনই কোন পাহাড়ী উঁচু জায়গায় অথবা ঢিবিতে চড়তেন তখনই তিনবার ’আল্লাহু আকবার’ বলতেন। অতঃপর তিনি বলতেন, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আ-ইয়বূনা তা-ইবূনা সা-জিদূনা লিরাব্বিনা হা-মিদূন। সাদাক্বাল্লাহু ওয়া’দাহ, অনাসারা আবদাহ্, অহাযামাল আহযাবা অহদাহ।’

অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই সার্বভৌম অধিকার, যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই জন্য, আর তিনি প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, ইবাদতগুযার, সিজদাকারী, আমাদের প্রভুর প্রশংসাকারী। আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্রুতি সত্য প্রমাণিত করেছেন, তাঁর বান্দাহকে মদদ করেছেন এবং একাই শত্রু বাহিনীকে পরাস্ত করেছেন। (বুখারী ২৯৯৫, মুসলিম ৩৩৪৩)

মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, যখন তিনি বড় অথবা ছোট অভিযান অথবা হজ্জ বা উমরাহ থেকে ফিরতেন---।

وَعَنْهُ قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ ﷺ إِذَا قَفَلَ مِنَ الحَجِّ أَوِ العُمْرَةِ كُلَّمَا أَوْفَى عَلَى ثَنِيَّةٍ أَوْ فَدْفَدٍ كَبَّرَ ثَلاثَاً، ثُمَّ قَالَ لاَ إلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ سَاجِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ صَدَقَ اللهُ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ متفقٌ عَلَيْهِ
وفي رواية لمسلم : إِذَا قَفَلَ مِنَ الجيُوشِ أَوِ السَّرَايَا أَو الحَجِّ أَوِ العُمْرَةِ

وعنه قال : كان النبي ﷺ اذا قفل من الحج او العمرة كلما اوفى على ثنية او فدفد كبر ثلاثا، ثم قال لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير ايبون تاىبون عابدون ساجدون لربنا حامدون صدق الله وعده ونصر عبده وهزم الاحزاب وحده متفق عليه وفي رواية لمسلم : اذا قفل من الجيوش او السرايا او الحج او العمرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ উঁচু জায়গায় চড়ার সময় মুসাফির ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে এবং নীচু জায়গায় নামবার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। ‘তকবীর’ ইত্যাদি বলার সময় অত্যন্ত উচ্চৈঃস্বরে বলা নিষেধ

(৩২১৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নিবেদন করল, ’হে আল্লাহর রসূল! আমি ইচ্ছা করেছি, সফরে যাব, আমাকে উপদেশ দিন।’ তিনি বললেন, ’’তুমি আল্লাহ-ভীতি অবলম্বন করো এবং প্রত্যেক উঁচু স্থানে নিয়মিত ’আল্লাহু আকবার’ পড়ো।’’ যখন লোকটা পিছন ফিরে যেতে লাগল, তখন তিনি (তার জন্য দু’আ করে) বললেন, ’আল্লাহুম্মাত্ববি লাহুল বু’দা অহাওবিন আলাইহিস সাফার।’ অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তুমি ওর পথের দূরত্ব গুটিয়ে দিয়ো এবং ওর জন্য সফর আসান করে দিয়ো।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلاً قَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ إنِّي أُرِيدُ أَنْ أُسَافِرَ فَأَوْصِنِي قَالَ عَلَيْكَ بِتَقْوَى اللهِ وَالتَّكْبِيرِ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ فَلَمَّا وَلَّى الرَّجُلُ قَالَ اللَّهُمَّ اطْوِ لَهُ البُعْدَ، وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ رواه الترمذي وَقَالَ حديث حسن

وعن ابي هريرة ان رجلا قال : يا رسول الله اني اريد ان اسافر فاوصني قال عليك بتقوى الله والتكبير على كل شرف فلما ولى الرجل قال اللهم اطو له البعد، وهون عليه السفر رواه الترمذي وقال حديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব

পরিচ্ছেদঃ উঁচু জায়গায় চড়ার সময় মুসাফির ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে এবং নীচু জায়গায় নামবার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। ‘তকবীর’ ইত্যাদি বলার সময় অত্যন্ত উচ্চৈঃস্বরে বলা নিষেধ

(৩২১৪) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে ছিলাম। আমরা যখন কোন উঁচু উপত্যকায় চড়তাম তখন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার’ বলতাম। (একদা) আমাদের শব্দ উঁচু হয়ে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের প্রতি নম্রতা প্রদর্শন কর। কেননা, তোমরা কোন বধির ও অনুপস্থিতকে ডাকছ না। তিনি তো তোমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি সর্বশ্রোতা ও নিকটবর্তী। (বুখারী ২৯৯২,৬৬১০, মুসলিম ৭০৩৭-৭০৩৯)

وَعَنْ أَبي مُوسَى الأَشعَرِيِّ قَالَ : كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ ﷺ فِي سَفَرٍ فَكُنَّا إِذَا أَشْرَفْنَا عَلَى وَادٍ هَلَّلْنَا وَكَبَّرْنَا وَارتَفَعَتْ أَصْوَاتُنَا فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ يَا أيُّهَا النَّاسُ اِرْبَعُوا عَلَى أنْفُسِكُمْ فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِباً إنَّهُ مَعَكُمْ إنَّهُ سَمِيعٌ قَرِيبٌ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي موسى الاشعري قال : كنا مع النبي ﷺ في سفر فكنا اذا اشرفنا على واد هللنا وكبرنا وارتفعت اصواتنا فقال النبي ﷺ يا ايها الناس اربعوا على انفسكم فانكم لا تدعون اصم ولا غاىبا انه معكم انه سميع قريب متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে