পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দর্শন
(২৮১৬) আব্দুল্লাহ বিন বুসর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কল্যাণ তার জন্য, যে আমাকে দর্শন করেছে ও আমার প্রতি ঈমান এনেছে। কল্যাণ তার জন্য, যে সেই ব্যক্তিকে দর্শন করেছে, যে আমাকে দর্শন করেছে। আর তার জন্যও যে সেই ব্যক্তিকে দর্শন করেছে, যে ব্যক্তি এমন লোককে দর্শন করেছে, যে আমাকে দর্শন করেছে ও আমার প্রতি ঈমান এনেছে। তাদের জন্য কল্যাণ ও শুভ পরিণাম।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ طُوْبٰـى لِمَنْ رآنِـيْ وَآمَنَ بِـيْ وَطُوْبٰـى لِمَنْ رَأى مَنْ رآنِـيْ وَلِمَنْ رَأَى مَنْ رَأَى مَنْ رَآنِـيْ وَآمَنَ بِـيْ طُوبٰـى لَهُمْ وَحُسْنُ مَآبٍ
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দর্শন
(২৮১৭) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কল্যাণ তার জন্য, যে আমাকে দর্শন করেছে ও আমার প্রতি ঈমান এনেছে। আর কল্যাণ অতঃপর কল্যাণ অতঃপর কল্যাণ তার জন্য, যে আমার প্রতি ঈমান এনেছে অথচ আমাকে দেখেনি।
وَعَنْ أَبِـيْ سَعِيدٍ الْـخُدْرِيِّ رضي الله عنه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - طُوبٰـى لِمَنْ رَآنِـيْ وَآمَنَ بِـيْ وَطُوْبٰـى ثُمَّ طُوْبٰـى ثُمَّ طُوْبٰـى لِمَنْ آمَنَ بِـيْ وَلَمْ يَرَنِـيْ
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দর্শন
(২৮১৮) আবূ উমামাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একবার কল্যাণ তার জন্য, যে আমাকে দর্শন করেছে ও আমার প্রতি ঈমান এনেছে। আর সাতবার কল্যাণ তার জন্য, যে আমাকে দর্শন করেনি অথচ আমার প্রতি ঈমান আনয়ন করেছে।
وعَنْ أَبِـيْ أُمَامَةَ أَنّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ طُوبَى لِمَنْ رَآنِي وَآمَنَ بِي وَطُوبَى سَبْعَ مَرَّاتٍ لِمَنْ آمَنَ بِي وَلَمْ يَرَنِي
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দর্শন
(২৮১৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে, সেই সত্তার কসম! অবশ্যই তোমাদের মাঝে এমন দিন আসবে, সেদিন আমার দর্শন অতঃপর আমার দর্শন (মু’মিনের নিকট) তার পরিবার ও সম্পদ সকল অপেক্ষা বেশি প্রিয় হবে।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالَ وَالَّذِى نَفْسُ مُحَمَّدٍ فِى يَدِهِ لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أَحَدِكُمْ يَوْمٌ وَلاَ يَرَانِى ثُمَّ لأَنْ يَرَانِى أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ مَعَهُمْ
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দর্শন
(২৮২০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে এমন উম্মতীর মধ্যে সেই লোক হবে, যারা আমার গত হওয়ার পর আসবে। তাদের প্রত্যেকে এই আশা পোষণ করবে যে, যদি সে তার পরিবার ও সম্পদের বিনিময়ে আমাকে দর্শন করত।
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ مِنْ أَشَدِّ أُمَّتِى لِـىْ حُبًّا نَاسٌ يَكُونُونَ بَعْدِى يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ رَآنِى بِأَهْلِهِ وَمَالِهِ
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দর্শন
(২৮২১) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার কামনা, যদি আমি আমার ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ করতাম।’’ সাহাবাগণ বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি আপনার ভাই নই?’ তিনি বললেন, ’’তোমরা আমার সাহাবা। কিন্তু আমার ভাই হল তারা, যারা আমার প্রতি ঈমান এনেছে অথচ আমাকে দর্শন করেনি।
عَنْ أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَدِدْتُ أَنِّي لَقِيتُ إِخْوَانِي قَالَ فَقَالَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ ﷺ أَوَلَيْسَ نَحْنُ إِخْوَانَكَ؟ قَالَ أَنْتُمْ أَصْحَابِي وَلَكِنْ إِخْوَانِي الَّذِينَ آمَنُوا بِي وَلَمْ يَرَوْنِي
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দর্শন
(২৮২২) আবূ জুমআহ হাবীব বিন সিবা’ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে দুপুরের খাবার খেলাম। আমাদের সাথে ছিলেন আবূ উবাইদাহ বিন জার্রাহ (রাঃ)। তিনি বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাদের চাইতে শ্রেষ্ঠ কি কেউ আছে? আমরা আপনার কাছে মুসলিম হয়েছি ও আপনার সাথে থেকে জিহাদ করেছি।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, এমন সম্প্রদায়, যারা তোমাদের পরে আসবে, যারা আমার প্রতি ঈমান আনবে অথচ আমাকে দর্শন করেনি।
عَنْ أَبـِيْ جـُـمُعَةَ قَالَ: تَغَدَّيْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ وَمَعَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَحَدٌ خَيْرٌ مِنَّا أَسْلَمْنَا مَعَكَ وَجَاهَدْنَا مَعَكَ؟ قَالَ نَعَمْ قَوْمٌ يَكُونُونَ مِنْ بَعْدِكُمْ يُؤْمِنُونَ بِي وَلَمْ يَرَوْنِي
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দর্শন
(২৮২৩) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদা ফজরের নামায পড়ে বসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, ’হে লোক সকল! ঈমানের ব্যাপারে আজব সৃষ্টি কারা? (জানো কি?)’
তাঁরা বললেন, ’ফিরিশতামণ্ডলী।’
তিনি বললেন, ’তাঁদের কী হয়েছে যে, তাঁরা ঈমান আনবেন না? তাঁরা তো তাঁদের প্রতিপালকের নিকটে রয়েছেন। তাঁরা সব ব্যাপার দর্শন করছেন।’
তাঁরা বললেন, ’তাহলে নবীগণ হে আল্লাহর রসূল!’
তিনি বললেন, ’তাঁদের কী হয়েছে যে, তাঁরা ঈমান আনবেন না? তাঁদের উপরে তো আকাশ থেকে অহী অবতীর্ণ হয়।’
তাঁরা বললেন, ’তাহলে আপনার সাহাবা আমরা হে আল্লাহর রসূল!’
তিনি বললেন, ’তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা ঈমান আনবে না? অথচ তোমরা যা দেখছ তা দেখছ। বরং ঈমানের ব্যাপারে আজব সৃষ্টি হল সেই সম্প্রদায়, যারা তোমাদের পরে আগমন করবে। অতঃপর তারা অহীর কিতাব পেয়ে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে ও তার অনুসরণ করবে। তারাই হল ঈমানের ব্যাপারে আজব সৃষ্টি।’
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: أَصْبَحَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَوْمًا وصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ، ثُمَّ قَعَدَ لِلنَّاسِ فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ أَعْجَبُ الْخَلْقِ إِيمَانًا قَالُوا : الْمَلَائِكَةُ، قَالَ : " وَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ وَهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ ؟ " قَالُوا : فَالنَّبِيُّونَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ؟ قَالَ : " وَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ وَالْوَحْيُ يَنْزِلُ عَلَيْهِمْ مِنَ السَّمَاءِ ؟ " قَالُوا : فَنَحْنُ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : " وَمَا لَكُمْ لَا تُؤْمِنُونَ وَأَنَا بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ وَأَنْتُمْ تَرَوْنَ مَا تَرَوْنَ ؟ وَلَكِنَّ أَعْجَبَ الْخَلْقِ إِيمَانًا قَوْمٌ يَجِيئونَ مِنْ بَعْدِكُمْ فَيَجِدُونَ كِتَابًا مِنَ الْوَحْيِ فَيُؤْمِنُونَ بِهِ وَيَتَّبِعُونَهُ فَهُمْ أَعْجَبُ الْخَلْقِ إيمَانًا
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দর্শন
(২৮২৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দর্শন করল, সে আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দর্শন করবে অথবা সে যেন আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দর্শন করল। কেননা, শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ رَآنِى فِى الْمَنَامِ فَسَيَرَانِى فِى الْيَقَظَةِ أَوْ لَكَأَنَّمَا رَآنِى فِى الْيَقَظَةِ لاَ يَتَمَثَّلُ الشَّيْطَانُ بِى