পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮২৫) আলী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নবী-রসূলদের পর আবূ বকর ও উমার পূর্বাপর বৃদ্ধ জান্নাতীদের সর্দার।

عَنْ عَلِـيٍّ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبُوْ بَكْرٍ وَعُمَرُ سَيِّدَا كُهُوْلِ أَهْلِ الْـجَنَّةِ مِنَ الْأَوَّلِـيْـنَ وَالْآخِرِيْنَ إِلاَّ النَّـبِـيِّـيْـنَ وَالْـمُرْسَلِيْنَ

عن علـي قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ابو بكر وعمر سيدا كهول اهل الـجنة من الاولـيـن والاخرين الا النـبـيـيـن والـمرسلين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮২৬) আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে শ্রেষ্ঠত্ব দিতাম। সুতরাং আবূ বকরকে শ্রেষ্ঠ গণ্য করতাম। অতঃপর উমার বিন খাত্ত্বাবকে, অতঃপর উসমান বিন আফ্ফানকে (রাঃ)। (বুখারী ৩৬৫৫)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, এ কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পৌঁছলে তিনি আপত্তি করতেন না। (আবূ য়্যালা ৫৬০৪, যিলালুল জান্নাহ, আলবানী ১১৯৩)

عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كُنَّا نُخَيِّرُ بَيْنَ النَّاسِ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ ﷺ فَنُخَيِّرُ أَبَا بَكْرٍ ثُمَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ثُمَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ

عن ابن عمر رضي الله عنهما قال كنا نخير بين الناس في زمن النبي ﷺ فنخير ابا بكر ثم عمر بن الخطاب ثم عثمان بن عفان رضي الله عنهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮২৭) মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়্যাহ (রহঃ) বলেন, আমি আমার পিতা আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ কে?’ উত্তরে তিনি বললেন, ’আবূ বকর।’ আমি বললাম, ’তারপর কে?’ তিনি বললেন, ’উমার।’ অতঃপর আমার আশঙ্কা হল যে, এরপর তিনি ’উসমান’ বলবেন। তাই আমি নিজে থেকেই বললাম, ’তারপর আপনি।’ কিন্তু তিনি বললেন, আমি তো মুসলিমদেরই একজন।

عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَنَفِيَّةِ قَالَ قُلْتُ لِأَبِي أَيُّ النَّاسِ خَيْرٌ بَعْدَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالَ أَبُو بَكْرٍ قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَ ثُمَّ عُمَرُ وَخَشِيتُ أَنْ يَقُولَ عُثْمَانُ قُلْتُ ثُمَّ أَنْتَ قَالَ مَا أَنَا إِلَّا رَجُلٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ

عن محمد بن الحنفية قال قلت لابي اي الناس خير بعد رسول الله ﷺ قال ابو بكر قلت ثم من قال ثم عمر وخشيت ان يقول عثمان قلت ثم انت قال ما انا الا رجل من المسلمين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮২৮) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, উমারকে তাঁর খাটে রাখা হল। লোকেরা তাঁকে কাফন পরাল, তাঁর জন্য দু’আ করতে লাগল, তাঁর প্রশংসা করতে লাগল। তাঁর জানাযা হল। অতঃপর তাঁকে উঠানো হল। আমি তাদের মধ্যেই ছিলাম। ইতিমধ্যে পিছন থেকে আমার বাহুমূলে ধরে আমাকে এক ব্যক্তি চমকে দিল। আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি, আলী। তিনি উমারের জন্য রহমতের দু’আ করলেন এবং (তাঁকে সম্বোধন ক’রে) বললেন, ’আপনি এমন কাউকে ছেড়ে যাননি, যে আমার নিকট আপনার চাইতে বেশী প্রিয় হবে, যার মতো আমল নিয়ে আমি আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করব। আল্লাহর কসম! আমি ধারণাই করতাম যে, আল্লাহ আপনাকে আপনার দুই সঙ্গীর সঙ্গে রাখবেন। যেহেতু আমি অনেকবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আমি, আবূ বকর ও উমার এলাম। আমি, আবূ বকর ও উমার প্রবেশ করলাম। আমি, আবূ বকর ও উমার বের হলাম। এই জন্য আমার আশা ও ধারণা এই যে, আল্লাহ আপনাকে উভয়ের পাশেই রাখবেন।’

عن اِبْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وُضِعَ عُمَرُ عَلَى سَرِيرِهِ فَتَكَنَّفَهُ النَّاسُ يَدْعُونَ وَيُصَلُّونَ قَبْلَ أَنْ يُرْفَعَ وَأَنَا فِيهِمْ فَلَمْ يَرُعْنِي إِلَّا رَجُلٌ آخِذٌ مَنْكِبِي فَإِذَا عَلِيُّ بْنُ أَبِـيْ طَالِبٍ فَتَرَحَّمَ عَلَى عُمَرَ وَقَالَ مَا خَلَّفْتَ أَحَدًا أَحَبَّ إِلَيَّ أَنْ أَلْقَى اللهَ بِمِثْلِ عَمَلِهِ مِنْكَ وَايْمُ اللهِ إِنْ كُنْتُ لَأَظُنُّ أَنْ يَجْعَلَكَ اللهُ مَعَ صَاحِبَيْكَ وَحَسِبْتُ إِنِّي كُنْتُ كَثِيرًا أَسْمَعُ النَّبِيَّ ﷺ يَقُوْلُ ذَهَبْتُ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَدَخَلْتُ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَخَرَجْتُ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ

عن ابن عباس قال: وضع عمر على سريره فتكنفه الناس يدعون ويصلون قبل ان يرفع وانا فيهم فلم يرعني الا رجل اخذ منكبي فاذا علي بن ابـي طالب فترحم على عمر وقال ما خلفت احدا احب الي ان القى الله بمثل عمله منك وايم الله ان كنت لاظن ان يجعلك الله مع صاحبيك وحسبت اني كنت كثيرا اسمع النبي ﷺ يقول ذهبت انا وابو بكر وعمر ودخلت انا وابو بكر وعمر وخرجت انا وابو بكر وعمر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮২৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, একদা ফজরের নামাযের পর লোকেদের দিকে ফিরে বসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’এক ব্যক্তি একটি গরুর উপর মাল রেখে চালাতে চাইল। তার উপর সওয়ার হয়ে তাকে মারতে লাগল। গরুটি তার দিকে ফিরে মুখে বলল, ’আমি এ জন্য সৃষ্টি হইনি। আমি তো চাষের জন্য সৃষ্টি হয়েছি।’

লোকেরা শুনে অবাক হয়ে বলে উঠল, ’সুবহানাল্লাহ! গরু কথা বলে?!’

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি, আবূ বকর ও উমার এ কথা বিশ্বাস করি।

একদা একটি লোক তার ছাগপালের মাঝে ছিল। ইত্যবসরে একটি নেকড়ে বাঘ পালে হানা দিয়ে একটি ছাগল ধরে নিয়ে যেতে লাগল। লোকটি বাঘের পিছে ধাওয়া ক’রে ছাগলটিকে ছাড়িয়ে নিল। নেকড়েটি তাকে বলল, ’আজ ওকে বাঁচিয়ে নিলে। কিন্তু সিংহ আক্রমণের দিনে ওকে কে বাঁচাবে, যেদিন আমি ছাড়া ওর কোন রাখাল থাকবে না। (তুমিও ভয়ে পালাবে।)’

লোকেরা এ কথা শুনে অবাক হয়ে বলে উঠল, ’সুবহানাল্লাহ! নেকড়ে কথা বলে?!’

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি, আবূ বকর ও উমার এ কথা বিশ্বাস করি।

বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা বলার সময় আবূ বকর ও উমার সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ صَلَاةَ الصُّبْحِ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ بَيْنَا رَجُلٌ يَسُوقُ بَقَرَةً إِذْ رَكِبَهَا فَضَرَبَهَا فَقَالَتْ إِنَّا لَمْ نُخْلَقْ لِهٰذَا إِنَّمَا خُلِقْنَا لِلْحَرْثِ فَقَالَ النَّاسُ سُبْحَانَ اللهِ بَقَرَةٌ تَكَلَّمُ فَقَالَ فَإِنِّي أُومِنُ بِهٰذَا أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَمَا هُمَا ثَمَّ وَبَيْنَمَا رَجُلٌ فِي غَنَمِهِ إِذْ عَدَا الذِّئْبُ فَذَهَبَ مِنْهَا بِشَاةٍ فَطَلَبَ حَتّٰـى كَأَنَّهُ اسْتَنْقَذَهَا مِنْهُ فَقَالَ لَهُ الذِّئْبُ هٰذَا اسْتَنْقَذْتَهَا مِنِّي فَمَنْ لَهَا يَوْمَ السَّبُعِ يَوْمَ لَا رَاعِيَ لَهَا غَيْرِي فَقَالَ النَّاسُ سُبْحَانَ اللهِ ذِئْبٌ يَتَكَلَّمُ قَالَ فَإِنِّي أُومِنُ بِهٰذَا أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَمَا هُمَا ثَمَّ

عن ابـي هريرة رضي الله عنه قال صلى رسول الله ﷺ صلاة الصبح ثم اقبل على الناس فقال بينا رجل يسوق بقرة اذ ركبها فضربها فقالت انا لم نخلق لهذا انما خلقنا للحرث فقال الناس سبحان الله بقرة تكلم فقال فاني اومن بهذا انا وابو بكر وعمر وما هما ثم وبينما رجل في غنمه اذ عدا الذىب فذهب منها بشاة فطلب حتـى كانه استنقذها منه فقال له الذىب هذا استنقذتها مني فمن لها يوم السبع يوم لا راعي لها غيري فقال الناس سبحان الله ذىب يتكلم قال فاني اومن بهذا انا وابو بكر وعمر وما هما ثم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮৩০) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের পথে আবূ বকরই ছিলেন নির্বাচিত সাথী। হিজরতের পথে তাঁদেরকে আত্মগোপন করতে হয়েছিল। তিনি বলেন,

نَظَرْتُ إِلٰـى أَقْدَامِ الْمُشْرِكِينَ عَلَى رُءُوسِنَا وَنَحْنُ فِى الْغَارِ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ لَوْ أَنَّ أَحَدَهُمْ نَظَرَ إِلٰـى قَدَمَيْهِ أَبْصَرَنَا تَحْتَ قَدَمَيْهِ فَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ مَا ظَنُّكَ بِاثْنَيْنِ اللهُ ثَالِثُهُمَا

আমি মুশরিকদের পায়ের দিকে তাকালাম যখন আমরা (সওর) গুহায় (লুকিয়ে) ছিলাম এবং তারা আমাদের মাথার উপরে ছিল। অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! যদি তাদের মধ্যে কেউ তার পায়ের নীচে তাকায়, তবে সে আমাদেরকে দেখে ফেলবে।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ বকর! সে দু’জন সম্পর্কে তোমার কী ধারণা, যাদের তৃতীয়জন আল্লাহ।

-

-

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮৩১) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, যে আমাকে তার নিজ সাহচর্য ও ধন-সম্পদ দিয়ে অনুগৃহীত ও ধন্য করেছে, সে হল আবূ বকর। আমি যদি আমার উম্মতের কাউকে ’খালীল’রূপে গ্রহণ করতাম, তাহলে আবূ বকরকে ’খালীল’রূপে গ্রহণ করতাম। কিন্তু ইসলামী বন্ধুত্ব রয়েছে। মসজিদে আবূ বকরের প্রবেশপথ ছাড়া কোন প্রবেশপথ অবশ্যই অবশিষ্ট থাকবে না।

عَنْ أَبِـىْ سَعِيْدٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قال إِنَّ أَمَنَّ النَّاسِ عَلَىَّ فِى مَالِهِ وَصُحْبَتِهِ أَبُو بَكْرٍ وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلاً وَلَكِنْ أُخُوَّةُ الإِسْلاَمِ لاَ تُبْقَيَنَّ فِى الْمَسْجِدِ خَوْخَةٌ إِلاَّ خَوْخَةَ أَبِى بَكْرٍ

عن ابـى سعيد ان رسول الله ﷺ قال ان امن الناس على فى ماله وصحبته ابو بكر ولو كنت متخذا خليلا لاتخذت ابا بكر خليلا ولكن اخوة الاسلام لا تبقين فى المسجد خوخة الا خوخة ابى بكر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮৩২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, একদা আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবু বাকরের ধন-সম্পদ যেভাবে আমাকে উপকৃত করেছে, অন্য কোন ধন-সম্পদ তা করেনি। এ কথা শুনে আবূ বকর (রাঃ) কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, ’আমি ও আমার ধন-সম্পদ তো আপনার জন্যই হে আল্লাহর রসূল!’

عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا نَفَعَنِي مَالٌ قَطُّ مَا نَفَعَنِي مَالُ أَبِـيْ بَكْرٍ فَبَكَى أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ هَلْ أَنَا وَمَالِي إِلَّا لَكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ

عن ابـي هريرة قال قال رسول الله ﷺ ما نفعني مال قط ما نفعني مال ابـي بكر فبكى ابو بكر وقال هل انا ومالي الا لك يا رسول الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮৩৩) উমার বিন খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দান করতে আদেশ দিলেন। সে সময় আমার কাছে বেশ কিছু মাল ছিল। আমি মনে মনে বললাম, যদি কোনদিন আবূ বকরকে হারাতে পারি, তাহলে আজ আমি প্রতিযোগিতায় তাঁকে হারিয়ে ফেলব। সুতরাং আমি আমার অর্ধেক মাল নিয়ে এসে রাসূলুল্লাহর দরবারে হাযির হলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ’’(এত মাল!) তুমি তোমার ঘরে পরিজনের জন্য কী রেখে এলে?’’ উত্তরে আমি বললাম, ’অনুরূপ অর্ধেক রেখে এসেছি।’ আর এদিকে আবূ বকর তাঁর বাড়ির সমস্ত মাল নিয়ে হাযির হলেন। তাঁকে আল্লাহর নবী জিজ্ঞাসা করলেন, ’’তুমি তোমার পরিজনের জন্য ঘরে কী রেখে এলে?’’ উত্তরে তিনি বললেন, ’আমি ঘরে তাদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে রেখে এসেছি!’ তখনই মনে মনে বললাম যে, ’আবূ বকরের কাছে কোন প্রতিযোগিতাতেই আমি জিততে পারব না।’

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْـخَطَّابِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ يَقُوْلُ أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَوْمًا أَنْ نَتَصَدَّقَ فَوَافَقَ ذٰلِكَ مَالاً عِنْدِى فَقُلْتُ الْيَوْمَ أَسْبِقُ أَبَا بَكْرٍ إِنْ سَبَقْتُهُ يَوْمًا فَجِئْتُ بِنِصْفِ مَالِـىْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا أَبْقَيْتَ لأَهْلِكَ قُلْتُ مِثْلَهُ
قَالَ وَأَتٰـى أَبُوْ بَكْرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ بِكُلِّ مَا عِنْدَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا أَبْقَيْتَ لأَهْلِكَ قَالَ أَبْقَيْتُ لَهُمُ اللهَ وَرَسُوْلَهُ قُلْتُ لاَ أُسَابِقُكَ إِلٰـى شَىْءٍ أَبَدًا

عن عمر بن الـخطاب رضى الله عنه يقول امرنا رسول الله ﷺ يوما ان نتصدق فوافق ذلك مالا عندى فقلت اليوم اسبق ابا بكر ان سبقته يوما فجىت بنصف مالـى فقال رسول الله ﷺ ما ابقيت لاهلك قلت مثله قال واتـى ابو بكر رضى الله عنه بكل ما عنده فقال له رسول الله ﷺ ما ابقيت لاهلك قال ابقيت لهم الله ورسوله قلت لا اسابقك الـى شىء ابدا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮৩৪) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি পৃথিবীর কাউকে ’খালীল’রূপে গ্রহণ করলে ইবনে আবী ক্বুহাফাহ (আবূ বকর) কে ’খালীল’রূপে গ্রহণ করতাম। কিন্তু তোমাদের সাথী ’খালীলুল্লাহ’।

عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُ ابْنَ أَبِى قُحَافَةَ خَلِيلاً وَلَكِنْ صَاحِبُكُمْ خَلِيلُ اللهِ

عن عبد الله عن النبى ﷺ قال لو كنت متخذا من اهل الارض خليلا لاتخذت ابن ابى قحافة خليلا ولكن صاحبكم خليل الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর মাহাত্ম্য

(২৮৩৫) আয়েশা [ও আবূ মূসা (রাঃ)] বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁর অসুস্থতা খুব বেড়ে গেল। নামাযের আযান হলে তিনি বললেন, ’’তোমরা আবূ বকরকে আদেশ কর, যেন লোকেদের ইমামতি করে।’’

লোকেরা কোন অশুভ ধারণা করবে এই আশঙ্কায় আয়েশা বললেন, ’উনি তো নরম মানুষ। আপনার জায়গায় দাঁড়ালে উনি লোকেদের ইমামতি করতে পারবেন না। কুরআন পড়ার সময় কান্নায় লোকেদেরকে আওয়াজ শোনাতে পারবেন না।’

তিনি আবারও বললেন, ’’তোমরা আবূ বকরকে আদেশ কর, যেন লোকেদের ইমামতি করে।’’

আয়েশাও একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন।

তিনি আয়েশাকে সম্বোধন ক’রে বললেন, ’’তুমি আবূ বকরকে আদেশ কর, যেন লোকেদের ইমামতি করে।’’

তবুও আয়েশা মানলেন না। তিনি হাফসাকে ঐ একই কথা বলতে বললেন। হাফসা তাঁকে বললেন, ’আবূ বকর নরম মানুষ। আপনার জায়গায় দাঁড়ালে উনি লোকেদের ইমামতি করতে পারবেন না। আপনি বরং উমারকে আদেশ করুন, লোকেদের ইমামতি করুক।’

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’থামো! তোমরা হলে ইউসুফ-কাহিনীর মহিলাদল। (যারা মুখে বলেছিল এক, মনে রেখেছিল অন্য কিছু।) তোমরা আবূ বকরকে আদেশ কর, যেন লোকেদের ইমামতি করে।’’

সুতরাং আবূ বকর সিদ্দীককে বলা হলে তিনি লোকেদের ইমামতি করলেন। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর আদেশেই তিনি হলেন ইমাম।

عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ فِي مَرَضِهِ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ قَالَتْ عَائِشَةَ قُلْتُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعْ النَّاسَ مِنْ الْبُكَاءِ فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ فَقَالَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ قَالَتْ عَائِشَةَ لِحَفْصَةَ قُولِي لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعْ النَّاسَ مِنْ الْبُكَاءِ فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَهْ إِنَّكُنَّ لَأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ

عن عاىشة ام المومنين ان رسول الله ﷺ قال في مرضه مروا ابا بكر يصلي بالناس قالت عاىشة قلت ان ابا بكر اذا قام في مقامك لم يسمع الناس من البكاء فمر عمر فليصل فقال مروا ابا بكر فليصل للناس قالت عاىشة لحفصة قولي له ان ابا بكر اذا قام في مقامك لم يسمع الناس من البكاء فمر عمر فليصل للناس ففعلت حفصة فقال رسول الله ﷺ مه انكن لانتن صواحب يوسف مروا ابا بكر فليصل للناس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে