পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বীরত্ব

(২৭৬৫) আলী (রাঃ) বলেন, বদরের দিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলাম। শত্রুর দিকে তিনিই ছিলেন আমাদের চাইতে বেশি নিকটবর্তী। সেদিন তিনিই ছিলেন বীর-বিক্রমশালীদের অন্যতম।

عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنَا يَوْمَ بَدْرٍ وَنَحْنُ نَلُوذُ بِرَسُوْلِ اللهِ ﷺ وَهُوَ أَقْرَبُنَا إِلٰـى الْعَدُوِّ وَكَانَ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ يَوْمَئِذٍ بَأْسًا

عن علي رضي الله عنه قال لقد رايتنا يوم بدر ونحن نلوذ برسول الله ﷺ وهو اقربنا الـى العدو وكان من اشد الناس يومىذ باسا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বীরত্ব

(২৭৬৬) আলী (রাঃ) আরো বলেছেন, ’যুদ্ধ যখন তীব্র হয়ে উঠত এবং উভয় পক্ষ লড়াইয়ে লিপ্ত হত, আমরা তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আড়ালে নিজেদেরকে বাঁচাবার চেষ্টা করতাম। ফলে তিনি ছাড়া আমাদের মধ্যে কেউ শত্রুর অধিক নিকটবর্তী থাকত না।

عَنْ عَلِيًّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : كُنَّا إِذَا حَمِيَ الْبَأْسُ وَ لَقِيَ الْقَومُ الْقَوْمَ اِتَّقَيْنَا بِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ فَلَا يَكُوْنُ أَحَدٌ مِّنَّا أَدْنَى إِلَى الْقَوْمِ مِنْهُ

عن علي رضي الله عنه قال : كنا اذا حمي الباس و لقي القوم القوم اتقينا برسول الله صلى الله عليه و سلم فلا يكون احد منا ادنى الى القوم منه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বীরত্ব

(২৭৬৭) আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে হুনাইন যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম। আমি ও আবূ সুফ্য়ান বিন হারেস বিন আব্দুল মুত্তালিব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাথে থাকতে লাগলাম। আমরা তাঁর নিকট থেকে পৃথক হলাম না। (সে সময়) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি সাদা খচ্চরের উপর সওয়ার ছিলেন। তারপর যখন মুসলিম ও মুশরিকদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হল এবং (প্রথমতঃ) মুসলিমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন ক’রে (রণভূমি ছেড়ে) চলে গেল, তখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় খচ্চরকে কাফেরদের দিকে নিয়ে যাবার জন্য পায়ের আঘাত হানলেন। আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খচ্চরের লাগাম ধরে ছিলাম। তাকে ধরে থামাচ্ছিলাম যাতে দ্রুত বেগে না চলে। অন্য দিকে আবূ সুফ্য়ান আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (সওয়ারীর) পা-দান ধরে ছিল। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হে আব্বাস! বাবলা গাছ তলে ’রিযওয়ান’ বায়আতকারীদেরকে ডাক দাও।’’ আব্বাস (রাঃ) উচ্চকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। তিনি বলেন, সুতরাং আমি উচ্চ স্বরে হেঁকে বললাম, ’বাবলা গাছ তলে বায়আতকারীরা কোথায়?’ আল্লাহর কসম!

যখন তারা আমার কণ্ঠধ্বনি শুনতে পেল, তখন গাভী যেমন তার বাচ্চার শব্দ শুনে তার দিকে দ্রুত গতিতে ফিরে যায়, ঠিক তেমনি তারা দ্রুত গতিতে ফিরে এল। তারা বলে উঠল, ’আমরা হাজির আছি, আমরা হাজির আছি।’ তারপর আবার তাদের ও কাফেরদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলতে থাকল। সে সময় আনসারদেরকে সাধারণভাবে ডাক দেওয়া হল, ’হে আনসারগণ! হে আনসারগণ!’ তারপর আহবান কেবল হারেস ইবনে খাযরাজ গোত্রের লোকেদের মাঝে সীমিত হল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খচ্চরের উপর থেকেই রণক্ষেত্রের দিকে তাকালেন। তিনি যেন সামরিক সংঘর্ষের কলাকৌশল ও বীরত্বের দৃশ্য গর্দান বাড়িয়ে অবলোকন করছিলেন। তিনি বললেন, ’’যুদ্ধ তুঙ্গে উঠার ও সাংঘাতিক রূপ ধারণ করার এটাই সময়।’’ অতঃপর তিনি কিছু কাঁকর হাতে নিয়ে কাফেরদের মুখের দিকে নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, ’’মুহাম্মাদের রবের শপথ! ওরা (কাফেররা) পরাজিত হয়ে গেছে।’’ আমিও দেখলাম যে, যুদ্ধ পূর্ণতা ও উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আল্লাহর কসম! যখনি তিনি ঐ কাঁকরগুলি কাফেরদের দিকে নিক্ষেপ করলেন, তখনি আমি নিষ্পলক নেত্রে দেখতে থাকলাম যে, তাদের শক্তি ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে এবং তাদের ব্যাপারটা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

عَنْ عَبَّاسً بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ يَوْمَ حُنَيْنٍ فَلَزِمْتُ أَنَا وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَلَمْ نُفَارِقْهُ وَرَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَلٰى بَغْلَةٍ لَهُ بَيْضَاءَ أَهْدَاهَا لَهُ فَرْوَةُ بْنُ نُفَاثَةَ الْجُذَامِىُّ فَلَمَّا الْتَقَى الْمُسْلِمُونَ وَالْكُفَّارُ وَلَّى الْمُسْلِمُونَ مُدْبِرِينَ فَطَفِقَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَرْكُضُ بَغْلَتَهُ قِبَلَ الْكُفَّارِ قَالَ عَبَّاسٌ وَ أَنَا آخِذٌ بِلِجَامِ بَغْلَةِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ أَكُفُّهَا إِرَادَةَ أَنْ لاَ تُسْرِعَ وَأَبُو سُفْيَانَ آخِذٌ بِرِكَابِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَىْ عَبَّاسُ نَادِ أَصْحَابَ السَّمُرَةِ فَقَالَ عَبَّاسٌ وَكَانَ رَجُلاً صَيِّتًا فَقُلْتُ بِأَعْلَى صَوْتِى أَيْنَ أَصْحَابُ السَّمُرَةِ قَالَ فَوَاللهِ لَكَأَنَّ عَطْفَتَهُمْ حِينَ سَمِعُوا صَوْتِى عَطْفَةُ الْبَقَرِ عَلٰى أَوْلاَدِهَا فَقَالُوا يَا لَبَّيْكَ يَا لَبَّيْكَ - قَالَ - فَاقْتَتَلُوا وَالْكُفَّارَ وَالدَّعْوَةُ فِى الأَنْصَارِ يَقُوْلُونَ يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ قَالَ ثُمَّ قُصِرَتِ الدَّعْوَةُ عَلَى بَنِى الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَقَالُوا يَا بَنِى الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ يَا بَنِى الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ فَنَظَرَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَهُوَ عَلَى بَغْلَتِهِ كَالْمُتَطَاوِلِ عَلَيْهَا إِلٰـى قِتَالِهِمْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ هٰذَا حِينَ حَمِىَ الْوَطِيسُ قَالَ ثُمَّ أَخَذَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ حَصَيَاتٍ فَرَمَى بِهِنَّ وُجُوهَ الْكُفَّارِ ثُمَّ قَالَ انْهَزَمُوا وَرَبِّ مُحَمَّدٍ قَالَ فَذَهَبْتُ أَنْظُرُ فَإِذَا الْقِتَالُ عَلٰى هَيْئَتِهِ فِيمَا أَرَى - قَالَ - فَوَاللهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ رَمَاهُمْ بِحَصَيَاتِهِ فَمَا زِلْتُ أَرَى حَدَّهُمْ كَلِيلاً وَأَمْرَهُمْ مُدْبِرًا

عن عباس بن عبد المطلب قال: شهدت مع رسول الله ﷺ يوم حنين فلزمت انا وابو سفيان بن الحارث بن عبد المطلب رسول الله ﷺ فلم نفارقه ورسول الله ﷺ على بغلة له بيضاء اهداها له فروة بن نفاثة الجذامى فلما التقى المسلمون والكفار ولى المسلمون مدبرين فطفق رسول الله ﷺ يركض بغلته قبل الكفار قال عباس و انا اخذ بلجام بغلة رسول الله ﷺ اكفها ارادة ان لا تسرع وابو سفيان اخذ بركاب رسول الله ﷺ فقال رسول الله ﷺ اى عباس ناد اصحاب السمرة فقال عباس وكان رجلا صيتا فقلت باعلى صوتى اين اصحاب السمرة قال فوالله لكان عطفتهم حين سمعوا صوتى عطفة البقر على اولادها فقالوا يا لبيك يا لبيك - قال - فاقتتلوا والكفار والدعوة فى الانصار يقولون يا معشر الانصار يا معشر الانصار قال ثم قصرت الدعوة على بنى الحارث بن الخزرج فقالوا يا بنى الحارث بن الخزرج يا بنى الحارث بن الخزرج فنظر رسول الله ﷺ وهو على بغلته كالمتطاول عليها الـى قتالهم فقال رسول الله ﷺ هذا حين حمى الوطيس قال ثم اخذ رسول الله ﷺ حصيات فرمى بهن وجوه الكفار ثم قال انهزموا ورب محمد قال فذهبت انظر فاذا القتال على هيىته فيما ارى - قال - فوالله ما هو الا ان رماهم بحصياته فما زلت ارى حدهم كليلا وامرهم مدبرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে