পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দানশীলতা
(২৭৫৯) আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ইসলামের উপর কিছু চাওয়া হলে তিনি না দিয়ে পারতেন না। একদা এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এলে তাকে দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী (উপত্যকা) পরিমাণ ছাগলভেড়া দান করলেন। অতঃপর সে নিজ সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গিয়ে বলল, ’হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা মুসলিম হয়ে যাও। যেহেতু মুহাম্মাদ এমন দান করেন যে, অভাবকে ভয় করেন না।’
عَنْ أَنَسٍ قَالَ مَا سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَلَى الإِسْلاَمِ شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ قَالَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَأَعْطَاهُ غَنَمًا بَيْنَ جَبَلَيْنِ فَرَجَعَ إِلٰـى قَوْمِهِ فَقَالَ يَا قَوْمِ أَسْلِمُوا فَإِنَّ مُحَمَّدًا يُعْطِى عَطَاءً لاَ يَخْشَى الْفَاقَةَ
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দানশীলতা
(২৭৬০) হুনাইন যুদ্ধে জয়লাভ হলে সাফওয়ান বিন উমাইয়াকে তিনি প্রথমতঃ ১০০টি উট দান করলেন। তারপর আরো ১০০টি, তারপর আরো ১০০টি। সাফওয়ান বলেন, ’আল্লাহর কসম! আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাকে যা দান করার দান করলেন, তখন তিনি আমার নিকট সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তুযখন আমাকে দিতে থাকলেন, তখন তিনি আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি হয়ে গেলেন।
عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ غَزَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ غَزْوَةَ الْفَتْحِ فَتْحِ مَكَّةَ ثُمَّ خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَاقْتَتَلُوا بِحُنَيْنٍ فَنَصَرَ اللهُ دِينَهُ وَالْمُسْلِمِينَ وَأَعْطَى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَوْمَئِذٍ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ مِائَةً مِنَ النَّعَمِ ثُمَّ مِائَةً ثُمَّ مِائَةً قَالَ ابْنُ شِهَابٍ حَدَّثَنِى سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ صَفْوَانَ قَالَ وَاللهِ لَقَدْ أَعْطَانِى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا أَعْطَانِى وَإِنَّهُ لأَبْغَضُ النَّاسِ إِلٰـى فَمَا بَرِحَ يُعْطِينِى حَتّٰـى إِنَّهُ لأَحَبُّ النَّاسِ إِلٰـى
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দানশীলতা
(২৭৬১) উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু মাল বন্টন করলেন। অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! অন্য লোকেরা এদের চেয়ে এ মালের বেশি হকদার ছিল।’ তিনি বললেন, এরা আমাকে দু’টি কথার মধ্যে একটা না একটা গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। হয় তারা আমার নিকট অভদ্রতার সাথে চাইবে (আর আমাকে তা সহ্য ক’রে তাদেরকে দিতে হবে) অথবা তারা আমাকে কৃপণ আখ্যায়িত করবে। অথচ, আমি কৃপণ নই।
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْـخَطَّابِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَسَمَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ قَسْمًا فَقُلْتُ وَاللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ لَغَيْرُ هَؤُلاَءِ كَانَ أَحَقَّ بِهِ مِنْهُمْ قَالَ إِنَّهُمْ خَيَّرُونِى أَنْ يَسْأَلُونِى بِالْفُحْشِ أَوْ يُبَخِّلُونِى فَلَسْتُ بِبَاخِلٍ
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দানশীলতা
(২৭৬২) জুবাইর ইবনে মুত্বইম (রাঃ) বলেন, তিনি হুনাইনের যুদ্ধ থেকে ফিরার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আসছিলেন। (পথিমধ্যে) কতিপয় বেদুঈন তাঁর নিকট অনুনয়-বিনয় ক’রে চাইতে আরম্ভ করল, এমন কি শেষ পর্যন্ত তারা তাঁকে বাধ্য ক’রে একটি বাবলা গাছের কাছে নিয়ে গেল। যার ফলে তাঁর চাদর (গাছের কাঁটায়) আটকে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেমে গেলেন এবং বললেন, তোমরা আমাকে আমার চাদরখানি দাও। যদি আমার নিকট এসব (অসংখ্য) কাঁটা গাছের সমান উঁট থাকত, তাহলে আমি তা তোমাদের মধ্যে বন্টন ক’রে দিতাম। অতঃপর তোমরা আমাকে কৃপণ, মিথ্যুক বা কাপুরুষ পেতে না।
عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ أَنَّهُ بَيْنَا هُوَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ وَمَعَهُ النَّاسُ مُقْبِلًا مِنْ حُنَيْنٍ عَلِقَتْ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ الْأَعْرَابُ يَسْأَلُونَهُ حَتّٰـى اضْطَرُّوهُ إِلٰـى سَمُرَةٍ فَخَطِفَتْ رِدَاءَهُ فَوَقَفَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَقَالَ أَعْطُونِي رِدَائِي فَلَوْ كَانَ عَدَدُ هَذِهِ الْعِضَاهِ نَعَمًا لَقَسَمْتُهُ بَيْنَكُمْ ثُمَّ لَا تَجِدُونِي بَخِيلًا وَلَا كَذُوبًا وَلَا جَبَانًا
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দানশীলতা
(২৭৬৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আমার নিকট উহুদ পাহাড় সমান সোনা থাকত, তাহলে আমি এতে আনন্দিত হতাম যে, ঋণ পরিশোধের জন্য পরিমাণ মত বাকী রেখে অবশিষ্ট সবটাই তিন দিন অতিবাহিত না হতেই আল্লাহর পথে খরচ করে ফেলি।
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ مَا يَسُرُّنِى أَنَّ لِـىْ أُحُدًا ذَهَبًا تَأْتِى عَلَىَّ ثَالِثَةٌ وَعِنْدِى مِنْهُ دِينَارٌ إِلاَّ دِينَارٌ أُرْصِدُهُ لِدَيْنٍ عَلَىَّ
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর দানশীলতা
(২৭৬৪) উক্ববাহ ইবনে হারেস (রাঃ) বলেন যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে মদীনায় আসরের নামায পড়লাম। অতঃপর সালাম ফিরে তিনি অতি শীঘ্র দাঁড়িয়ে পড়লেন। তারপর লোকদের গর্দান টপকে তাঁর কোন এক স্ত্রীর কামরায় চলে গেলেন। লোকেরা তাঁর শীঘ্রতা দেখে ঘাবড়ে গেল। অতঃপর তিনি বের হয়ে এলেন; দেখলেন লোকেরা তাঁর শীঘ্রতার কারণে আশ্চর্যান্বিত হয়েছে। তিনি বললেন, ’’(নামাযে) আমার মনে পড়ল যে, (বাড়ীতে সোনা অথবা চাঁদির) একটি টুকরা রয়ে গেছে। আমি চাইলাম না যে, তা আমাকে আল্লাহর স্মরণে বাধা দেবে। যার জন্য আমি (দ্রুত বাড়ীতে গিয়ে) তা বন্টন করার আদেশ দিলাম।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আমি বাড়ীতে সাদকার একটি স্বর্ণখণ্ড ছেড়ে এসেছিলাম। অতঃপর আমি তা রাতে নিজ গৃহে রাখা পছন্দ করলাম না। সুতরাং তা বিতরণ করে দিলাম।
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ ﷺ الْعَصْرَ فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ سَرِيعًا دَخَلَ عَلَى بَعْضِ نِسَائِهِ ثُمَّ خَرَجَ وَرَأَى مَا فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ مِنْ تَعَجُّبِهِمْ لِسُرْعَتِهِ فَقَالَ ذَكَرْتُ وَأَنَا فِي الصَّلَاةِ تِبْرًا عِنْدَنَا فَكَرِهْتُ أَنْ يُمْسِيَ أَوْ يَبِيتَ عِنْدَنَا فَأَمَرْتُ بِقِسْمَتِهِ
وفي رواية كُنْتُ خَلَّفْتُ فِي الْبَيْتِ تِبْرًا مِنْ الصَّدَقَةِ فَكَرِهْتُ أَنْ أُبَيِّتَهُ فَقَسَمْتُهُ