পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
আল্লাহ তাআলা বলেন,
اَلرِّجَالُ قَوَّامُوْنَ عَلَـى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللهُ بَعْضَهُمْ عَلٰى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِـحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللهُ
অর্থাৎ, পুরুষ নারীর কর্তা। কারণ, আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যময়ী নারীরা অনুগতা এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে লোক-চক্ষুর অন্তরালে (স্বামীর ধন ও নিজেদের ইজ্জত) রক্ষাকারিণী; আল্লার হিফাযতে (আদেশ ও তওফীকে) তারা তা হিফাযত করে। (সূরা নিসা ৩৪)
(২৬০১) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিজ বিছানায় ডাকে এবং সে না আসে, অতঃপর সে (স্বামী) তার প্রতি রাগান্বিত অবস্থায় রাত কাটায়, তাহলে ফিরিশতাগণ তাকে সকাল অবধি অভিসম্পাত করতে থাকেন।
অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, যখন স্ত্রী নিজ স্বামীর বিছানা ত্যাগ করে (অন্যত্র) রাত্রিযাপন করে, তখন ফিরিশতাবর্গ সকাল পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকেন।
আর এক বর্ণনায় আছে যে, ’’সেই আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! কোন স্বামী তার স্ত্রীকে নিজ বিছানার দিকে আহবান করার পর সে আসতে অস্বীকার করলে যিনি আকাশে আছেন তিনি (আল্লাহ) তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন, যে পর্যন্ত না স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যায়। (বুখারী ৫১৯৩, মুসলিম ১৪৩৬, আবূ দাউদ ২১৪১, নাসাঈ)
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امرَأتَهُ إِلٰـى فرَاشِهِ فَلَمْ تَأتِهِ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا، لَعَنَتْهَا المَلَائِكَةُ حَتّٰـى تُصْبحَ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وَفي رِوَايَةٍ لَهُمَا إِذَا بَاتَتِ المَرأةُ هَاجِرَةً فِرَاشَ زَوْجِهَا لَعَنَتْهَا المَلَائِكَةُ حَتّٰـى تُصْبحَ
وَفي رِوَايَةٍ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ والَّذِي نَفْسِي بيَدِهِ مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو امْرَأتَهُ إِلٰـى فِرَاشهِ فَتَأبَى عَلَيهِ إلاَّ كَانَ الَّذِي في السَّمَاء سَاخطاً عَلَيْهَا حَتّٰـى يَرْضَى عَنها
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬০২) আবূ উমামা কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন ব্যক্তির নামায তাদের মাথা অতিক্রম করে না; পলাতক ক্রীতদাস, যতক্ষণ না সে ফিরে এসেছে, এমন স্ত্রী যার স্বামী তার উপর রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রিযাপন করেছে, (যতক্ষণ না সে রাজী হয়েছে), (অথবা যে স্ত্রী তার স্বামীর অবাধ্যাচরণ করেছে, সে তার বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত) এবং সেই সম্প্রদায়ের ইমাম, যাকে লোকে অপছন্দ করে।
عَنْ أَبِـيْ أُمَامَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ثَلَاثَةٌ لَا تُجَاوِزُ صَلَاتُهُمْ رُؤوسَهُمِ: الْعَبْدُ الآبِقُ، وَالْمَرْأَةُ تَبِيتُ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ، وَإِمَامٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬০৩) আবূ আলী ত্বালক ইবনে আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার প্রয়োজনে আহবান করবে, তখন সে যেন (তৎক্ষণাৎ) তার নিকট যায়। যদিও সে উনানের কাছে (রুটি ইত্যাদি পাকানোর কাজে ব্যস্ত) থাকে।
وَعَنْ أَبِـيْ عَلِيِّ طَلْقِ بنِ عَلِيِّ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا دَعَا الرَّجُلُ زَوْجَتهُ لِـحَاجَتِهِ فَلْتَأتِهِ وَإنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُوْرِ رواه الترمذي والنسائي وَقالَ الترمذي حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬০৪) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া কোন নারীর জন্য (নফল) রোযা রাখা বৈধ নয় এবং স্বামীর সম্মতি ব্যতিরেকে তার ঘরে কাউকে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়াও তার জন্য বৈধ নয়। (বুখারী ৫১৯৫, মুসলিম ২৪১৭, শব্দগুলি বুখারীর)
অন্য এক বর্ণনায় আছে
لَا تَصُوْمُ الْمَرْأَةُ يَوْمًا تَطَوُّعًا فِـيْ غَيْرِ رَمَضَانَ وَزَوْجُهَا شَاهِدٌ إِلاَّ بِإِذْنِهِ
মহিলা যেন স্বামীর বর্তমানে তার বিনা অনুমতিতে রমযানের রোযা ছাড়া একটি দিনও রোযা না রাখে। (দারেমী ১৭২০, সিলসিলা আহাদীসুস সহীহা ৩৯৫)
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لَا يَحِلُّ لِاِمْرَأةٍ أنْ تَصُوْمَ وزَوْجُهَا شَاهدٌ إلاَّ بإذْنِهِ وَلَا تَأذَنَ في بَيْتِهِ إلاَّ بِإذنِهِ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وهذا لفظ البخاري
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬০৫) আমর বিন আহওয়াস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বিদায়ী হজ্জের ভাষণে) বলেছেন, তোমাদের স্ত্রীর উপর তোমাদের অধিকার এই যে, (তোমাদের অবর্তমানে) তোমরা যাকে অপছন্দ ও ঘৃণা কর, তাকে তোমাদের শয্যা দলন করতে যেন সুযোগ না দেয় এবং যাকে অপছন্দ কর তাকে তোমাদের গৃহে (প্রবেশের জন্য) যেন অনুমতি না দেয়।
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْأَحْوَصِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَأَمَّا حَقُّكُمْ عَلٰـى نِسَائِكُمْ فَلَا يَطَئَنَّ فِرَاشَكُمْ مَنْ تُكْرَهُوْنَ وَلَا يَأْذَنْ فِيْ بُيُوْتِكُمْ لِـمَنْ تُكْرَهُوْنَ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬০৬) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাবারাকা অতাআলা সেই মহিলার প্রতি চেয়েও দেখবেন না, যে তার স্বামীর কৃতজ্ঞতা আদায় করে না; অথচ সে তার মুখাপেক্ষিণী। (নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫, ত্বাবারানী, বাযযার ২৩৪৯, হাকেম ২৭৭১, বাইহাকী ১৪৪৯৭, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৮৯)
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ نَبِىَّ اللهِ ﷺ قَالَ لَا يَنْظُرُ اللهُ إِلٰـى امْرَأَةٍ لَا تَشْكُرُ لِزَوْجِهَا وَهِىَ لَا تَسْتَغْنِى عَنْهُ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬০৭) আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মহিলাদেরকে সম্বোধন করে) বললেন, হে মহিলা সকল! তোমরা সাদকাহ-খয়রাত করতে থাক ও অধিকমাত্রায় ইস্তিগফার কর। কারণ আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীরূপে দেখলাম। একজন জ্ঞানী মহিলা নিবেদন করল, ’আমাদের অধিকাংশ জাহান্নামী হওয়ার কারণ কী? হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, তোমরা অভিশাপ বেশি কর এবং নিজ স্বামীর অকৃতজ্ঞতা কর। বুদ্ধি ও ধর্মে অপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বিচক্ষণ ব্যক্তির উপর তোমাদের চাইতে আর কাউকে বেশি প্রভাব খাটাতে দেখিনি। মহিলাটি আবার নিবেদন করল, ’বুদ্ধি ও ধর্মের ক্ষেত্রে অপূর্ণতা কী?’ তিনি বললেন, ’’দু’জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্য সমতুল্য। আর (প্রসবোত্তর খুন ও মাসিক আসার) দিনগুলিতে মহিলা নামায পড়া বন্ধ রাখে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ أَنَّهُ قَالَ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ وَأَكْثِرْنَ الاِسْتِغْفَارَ فَإِنِّى رَأَيْتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ جَزْلَةٌ وَمَا لَنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ قَالَ تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ وَمَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَغْلَبَ لِذِى لُبٍّ مِنْكُنَّ قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَمَا نُقْصَانُ الْعَقْلِ وَالدِّينِ قَالَ أَمَّا نُقْصَانُ الْعَقْلِ فَشَهَادَةُ امْرَأَتَيْنِ تَعْدِلُ شَهَادَةَ رَجُلٍ فَهٰذَا نُقْصَانُ الْعَقْلِ وَتَمْكُثُ اللَّيَالِىَ مَا تُصَلِّى وَتُفْطِرُ فِى رَمَضَانَ فَهٰذَا نُقْصَانُ الدِّينِ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬০৮) ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমাকে জাহান্নাম দেখানো হল। আমি দেখলাম, জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসিনী হল মহিলা। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, তা কী জন্য হে আল্লাহর রসূল? বললেন, তাদের কুফরীর জন্য। তাঁরা বললেন, আল্লাহর সাথে কুফরী? তিনি বললেন, (না, তারা স্বামীর কুফরী (অকৃতজ্ঞতা) ও নিমকহারামি করে। তাদের কারো প্রতি যদি সারা জীবন এহসানী কর, অতঃপর সে যদি তোমার নিকট সামান্য ত্রুটি লক্ষ্য করে, তাহলে ব’লে বসে, তোমার নিকট কোন মঙ্গল দেখলাম না আমি!
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ النَّبِـيُّ ﷺ أُرِيتُ النَّارَ فَإِذَا أَكْثَرُ أَهْلِهَا النِّسَاءُ يَكْفُرْنَ قِيلَ أَيَكْفُرْنَ بِاللهِ قَالَ يَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ وَيَكْفُرْنَ الْإِحْسَانَ لَوْ أَحْسَنْتَ إِلٰـى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬০৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদাহ করে।
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبيِّ ﷺ قَالَ لَوْ كُنْتُ آمِراً أحَداً أنْ يَسْجُدَ لأحَدٍ لَامَرْتُ المَرأةَ أنْ تَسْجُدَ لزَوجِهَا رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১০) আব্দুল্লাহ বিন আবী আউফা (রাঃ) বলেন, মুআয যখন শাম (দেশ) থেকে ফিরে এলেন তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সিজদা করলেন। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’একি মুআয?’’ মুআয বললেন, ’আমি শাম গিয়ে দেখলাম, সে দেশের লোকেরা তাদের যাজক ও পাদ্রীগণকে সিজদা করছে। তাই আমি মনে মনে চাইলাম যে, আমরাও আপনার জন্য সিজদা করব।’ তা শুনে তিনি বললেন ’’খবরদার! তা করো না। কারণ, আমি যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য সিজদা করতে কাউকে আদেশ করতাম, তাহলে মহিলাকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে। সেই সত্তার শপথ; যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে! মহিলা তার প্রতিপালক (আল্লাহর) হক ততক্ষণ আদায় করতে পারে না; যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার স্বামীর হক (অধিকার) আদায় করেছে। (স্বামীর অধিকার আদায় করলে তবেই আল্লাহর অধিকার আদায় হবে, নচেৎ না।) এমন কি সে যদি (প্রসবের জন্য বা সফরের জন্য) কোন বাহনের জিনের উপর থাকে, আর সেই অবস্থায় স্বামী তার দেহ-মিলন চায় তাহলে স্ত্রীর, ’না’ বলার অধিকার নেই।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِـيْ أَوْفَى قَالَ قَدِمَ مُعَاذٌ الْيَمَنَ أَوْ قَالَ الشَّامَ فَرَأَى النَّصَارَى تَسْجُدُ لِبَطَارِقَتِهَا وَأَسَاقِفَتِهَا فَرَوَّأَ فِي نَفْسِهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ أَحَقُّ أَنْ يُعَظَّمَ فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ رَأَيْتُ النَّصَارَى تَسْجُدُ لِبَطَارِقَتِهَا وَأَسَاقِفَتِهَا فَرَوَّأْتُ فِي نَفْسِي أَنَّكَ أَحَقُّ أَنْ تُعَظَّمَ فَقَالَ لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَلَا تُؤَدِّي الْمَرْأَةُ حَقَّ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهَا كُلَّهُ حَتّٰـى تُؤَدِّيَ حَقَّ زَوْجِهَا عَلَيْهَا كُلَّهُ حَتّٰـى لَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِيَ عَلٰى ظَهْرِ قَتَبٍ لَأَعْطَتْهُ إِيَّاهُ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১১) ক্বাইস বিন সা’দ বলেন, আমি হীরাহ গেলাম। সেখানকার লোকেদেরকে দেখলাম, তারা তাদের সর্দারকে সিজদা করছে। তাই আমি (মনে মনে) বললাম, ’রাসূলুল্লাহ সিজদার বেশি হকদার।’ অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললাম, ’আমি হীরাহ গেলাম। দেখলাম, সেখানকার লোকেরা তাদের সর্দারকে সিজদা করছে। সুতরাং আপনি হে আল্লাহর রসূল! আমাদের সিজদার বেশি হকদার।’ তিনি বললেন, কী রায় তোমার, আমার কবরের পাশ দিয়ে গেলে তুমি কি তা সিজদা করবে? আমি বললাম, ’না।’ তিনি বললেন, ’’তোমরা তা করো না। যদি আমি কাউকে অপরজনকে সিজদা করার আদেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম, তারা যেন তাদের স্বামীকে সিজদা করে। যেহেতু আল্লাহ তাদের উপর (তাদের স্বামীদের বহু) অধিকার রেখেছেন।
عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَقُلْتُ رَسُوْلُ اللهِ أَحَقُّ أَنْ يُسْجَدَ لَهُ قَالَ فَأَتَيْتُ النَّبِىَّ ﷺ فَقُلْتُ إِنِّى أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَأَنْتَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ مَرَرْتَ بِقَبْرِى أَكُنْتَ تَسْجُدُ لَهُ قَالَ قُلْتُ لَا قَالَ فَلَا تَفْعَلُوا لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لأَحَدٍ لأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللهُ لَهُمْ عَلَيْهِنَّ مِنَ الْحَقِّ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১২) আনাস বিন মালিক (রাঃ) বলেন, মদীনার আনসারদের এক লোকের বাড়িতে একটি সেচক উট ছিল। হঠাৎ করে সে তার পিঠে কাউকে চড়তে দিচ্ছিল না। সে বাড়ির লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ’আমাদের একটি উট আছে, তার দ্বারা আমরা পানি তুলে জমি সেচ করি। এখন তাকে ব্যবহার করা কঠিন হয়ে গেছে। সে আমাদেরকে তার পিঠেও চড়তে দেয় না। ক্ষেতের ফসল ও খেজুর গাছে সেচ দেওয়ার সময় হয়েছে। (কী করা যায়?)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগণকে বললেন, ’’চলো দেখে আসি।’’ সুতরাং তাঁরা গিয়ে বাগানে প্রবেশ করলেন। উটটি তার এক প্রান্তে ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে অগ্রসর হলেন। লোকেরা বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! ও এখন কুকুরের মতো হয়ে আছে। আমাদের ভয় হচ্ছে, ও আপনাকে আক্রমণ করবে।’ তিনি বললেন, ’’ও আমার কোন ক্ষতি করবে না।’’
সুতরাং উটটি যখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে তাকিয়ে দেখল, তখন তাঁর দিকে অগ্রসর হয়ে তাঁর সামনে সিজদায় পতিত হল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কপালে ধরলে সে সবচেয়ে শান্ত হয়ে গেল। অতঃপর তিনি তাকে কাজে প্রবেশ করালেন।
এ ঘটনা দর্শন করে সাহাবাগণ তাঁকে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! এ একটি পশু, যার জ্ঞান-বুদ্ধি নেই, সে আপনাকে সিজদা করছে! আর আমরা তো জ্ঞান-বুদ্ধি রাখি। সুতরাং আমরা আপনাকে সিজদা করার বেশি হকদার।’
তিনি বললেন, ’’কোন মানুষের জন্য কোন মানুষকে সিজদা করা সঙ্গত নয়। কোন মানুষের জন্য কোন মানুষকে সিজদা করা সঙ্গত হলে আমি মহিলাকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে। যেহেতু তার উপর স্বামীর বিশাল অধিকার রয়েছে। সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে, স্বামীর পা থেকে মাথার সিঁথি পর্যন্ত যদি এমন ঘা থাকে, যাতে রক্ত-পুঁজ ঝরে পড়ছে, অতঃপর তা যদি স্ত্রী চাঁটে, তবুও তার অধিকার আদায় করতে সক্ষম হবে না।
عَنْ أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ أَهْلُ بَيْتٍ مِنْ الْأَنْصَارِ لَهُمْ جَمَلٌ يَسْنُونَ عَلَيْهِ وَإِنَّ الْجَمَلَ اسْتُصْعِبَ عَلَيْهِمْ فَمَنَعَهُمْ ظَهْرَهُ وَإِنَّ الْأَنْصَارَ جَاءُوا إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقَالُوا إِنَّهُ كَانَ لَنَا جَمَلٌ نُسْنِي عَلَيْهِ وَإِنَّهُ اسْتُصْعِبَ عَلَيْنَا وَمَنَعَنَا ظَهْرَهُ وَقَدْ عَطِشَ الزَّرْعُ وَالنَّخْلُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لِأَصْحَابِهِ قُومُوا فَقَامُوا فَدَخَلَ الْحَائِطَ وَالْجَمَلُ فِي نَاحِيَةٍ فَمَشَى النَّبِيُّ ﷺ نَحْوَهُ فَقَالَتْ الْأَنْصَارُ يَا نَبِيَّ اللهِ إِنَّهُ قَدْ صَارَ مِثْلَ الْكَلْبِ الْكَلِبِ وَإِنَّا نَخَافُ عَلَيْكَ صَوْلَتَهُ فَقَالَ لَيْسَ عَلَيَّ مِنْهُ بَأْسٌ فَلَمَّا نَظَرَ الْجَمَلُ إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ أَقْبَلَ نَحْوَهُ حَتّٰـى خَرَّ سَاجِدًا بَيْنَ يَدَيْهِ فَأَخَذَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِنَاصِيَتِهِ أَذَلَّ مَا كَانَتْ قَطُّ حَتّٰـى أَدْخَلَهُ فِي الْعَمَلِ فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَذِهِ بَهِيمَةٌ لَا تَعْقِلُ تَسْجُدُ لَكَ وَنَحْنُ نَعْقِلُ فَنَحْنُ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ فَقَالَ لَا يَصْلُحُ لِبَشَرٍ أَنْ يَسْجُدَ لِبَشَرٍ وَلَوْ صَلَحَ لِبَشَرٍ أَنْ يَسْجُدَ لِبَشَرٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا مِنْ عِظَمِ حَقِّهِ عَلَيْهَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ كَانَ مِنْ قَدَمِهِ إِلٰـى مَفْرِقِ رَأْسِهِ قُرْحَةً تَنْبَجِسُ بِالْقَيْحِ وَالصَّدِيدِ ثُمَّ اسْتَقْبَلَتْهُ فَلَحَسَتْهُ مَا أَدَّتْ حَقَّهُ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১৩) আবূ সাঈদ (রাঃ) ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার এই মেয়েটি বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। (কী করা যায়।) আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ’’তুমি তোমার আববার কথা মেনে নাও। মেয়েটি বলল, আপনি বলুন, স্ত্রীর উপর তার স্বামীর হক কী? তিনি বললেন, স্বামীর এত বড় হক আছে যে, যদি তার নাকের দুই ছিদ্র থেকে রক্ত-পুঁজ বের হয় এবং স্ত্রী তা নিজের জিভ দ্বারা চেঁটে (পরিষ্কার করে), তবুও সে তার যথার্থ হক আদায় করতে পারবে না! যদি মানুষের জন্য মানুষকে সিজদা করা সঙ্গত হত, তাহলে আমি স্ত্রীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামী কাছে এলে তাকে সিজদা করে। যেহেতু আল্লাহ স্বামীকে স্ত্রীর উপর এত বড় মর্যাদা দান করেছেন। মেয়েটি বলল, সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করেছেন! দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে আমি বিয়েই করব না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা ওদের অনুমতি ছাড়া ওদের বিবাহ দিয়ো না।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ بِابْنَةٍ لَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: هَذِهِ ابْنَتِي أَبَتْ أَنْ تَزَوَّجَ، فَقَالَ: أَطِيعِي أَبَاكِ كُلُّ ذٰلِكَ تُرَدِّدُ عَلَيْهِ مَقَالَتَهَا، فَقَالَتْ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَتَزَوَّجُ حَتَّى تُخْبِرَنِي مَا حَقُّ الزَّوْجِ عَلَى زَوْجَتِهِ، فَقَالَ: حَقُّ الزَّوْجِ عَلَى زَوْجَتِهِ لَوْ كَانَتْ بِهِ قُرْحَةٌ، فَلَحَسَتْهَا مَا أَدَّتْ حَقَّهُ، فَقَالَتْ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَتَزَوَّجُ أَبَدًا، فَقَالَ: لَا تُنْكِحُوهُنَّ إِلَّا بِإِذْنِهِنَّ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১৪) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মহিলা যদি স্বামীর হক (যথার্থরূপে) জানতো, তাহলে তার দুপুর অথবা রাতের খাবার খেয়ে শেষ না করা পর্যন্ত সে (তার পাশে) দাঁড়িয়ে থাকতো।
عَنْ مُعَاذِ بن جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَوْ تَعْلَمُ الْمَرْأَةُ حَقَّ الزَّوْجِ مَا قَعَدَتْ مَا حَضَرَ غَدَاؤُهُ وَعَشَاؤُهُ حَتّٰـى يَفْرُغَ مِنْهُ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১৫) মুআয বিন জাবাল কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখনই কোন মহিলা দুনিয়াতে নিজ স্বামীকে কষ্ট দেয়, তখনই তার সুনয়না হূর (জান্নাতী) স্ত্রী (অদৃশ্যভাবে) ঐ মহিলার উদ্দেশ্যে বলে, ’আল্লাহ তোকে ধ্বংস করুন। ওকে কষ্ট দিস্ না। ও তো তোর নিকট সাময়িক মেহমান মাত্র। অচিরেই সে তোকে ছেড়ে আমাদের কাছে এসে যাবে।
وَعَن مُعَاذِ بنِ جَبَلٍ عن النَّبيّ ﷺ قَالَ لَا تُؤْذِي امْرَأةٌ زَوْجَهَا في الدُّنْيَا إلاَّ قَالَتْ زَوْجَتُهُ مِنَ الحُورِ العِينِ لَا تُؤذِيهِ قَاتَلكِ اللهُ فَإِنَّمَا هُوَ عِنْدَكِ دَخِيلٌ يُوشِكُ أنْ يُفَارِقَكِ إِلَيْنَا رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১৬) হুস্বাইন বিন মিহস্বানের এক ফুফু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোন প্রয়োজনে এলে এবং তা পূরণ হয়ে গেলে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি স্বামী আছে? সে বলল, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তার কাছে তোমার অবস্থান কী? সে বলল, ’যথাসাধ্য আমি তার সেবা করি।’ তিনি বললেন, ’’খেয়াল করো, তার কাছে তোমার অবস্থান কোথায়। যেহেতু সে তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।
عَنِ الْحُصَيْنِ بْنِ مِحْصَنٍ أَنَّ عَمَّةً لَهُ أَتَتْ النَّبِيَّ ﷺ فِي حَاجَةٍ فَفَرَغَتْ مِنْ حَاجَتِهَا فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ ﷺ أَذَاتُ زَوْجٍ أَنْتِ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ كَيْفَ أَنْتِ لَهُ قَالَتْ مَا آلُوهُ إِلَّا مَا عَجَزْتُ عَنْهُ قَالَ فَانْظُرِي أَيْنَ أَنْتِ مِنْهُ فَإِنَّمَا هُوَ جَنَّتُكِ وَنَارُكِ
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১৭) উম্মে হাবীবাহ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, তার জন্য তিনদিনের বেশী কোন মৃতের উপর শোকপালন করা বৈধ নয়, কেবল স্বামী ছাড়া। সে ক্ষেত্রে সে ৪ মাস ১০ দিন শোকপালন করবে।
عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ قالت قال النَّبِىَّ ﷺ لَا يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ فَوْقَ ثَلَاثٍ إِلاَّ عَلٰى زَوْجٍ فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১৮) ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতিটি মানুষই দায়িত্বশীল। সুতরাং প্রত্যেকেই অবশ্যই তার অধীনস্থদের দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। দেশের শাসক জনগণের দায়িত্বশীল। সে তার দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে জবাবদিহী করবে। একজন পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল। অতএব সে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামী ও সন্তানের দায়িত্বশীল। কাজেই সে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিতা হবে। তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। অতএব প্রত্যেকেই নিজ নিজ অধীনস্থের দায়িত্বশীলতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عنهما، عَن النَّبيّ ﷺ قَالَ كُلُّكُم رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ: وَالأمِيرُ رَاعٍ والرَّجُلُ رَاعٍ عَلٰى أهْلِ بَيتِهِ وَالمَرْأةُ رَاعِيةٌ عَلٰى بَيْتِ زَوْجها وَوَلَدهِ فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ