পরিচ্ছেদঃ ২৪৪৬. আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেন, তোমাদের জন্য দুধমাতাকে হারাম করা হয়েছে। রক্তের সম্পর্কের কারণে যাদের সাথে শাদী হারাম, দুধের সম্পর্কের কারণেও তাদের সাথে শাদী হারাম
৪৭৩৪। হাকাম ইবনু নাফি ... উম্মে হাবীবা বিনতে আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার বোন আবূ সুফিয়ানের কন্যাকে শাদী করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি এটা পছন্দ কর? তিনি উত্তর করলেন হাঁ। এখন তো আমি আপনার একা স্ত্রী নই এবং আমি চাই যে, আমার বোনও আমার সাথে উত্তম কাজে অংশীদার হোক। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন, এটা আমার জন্য হালাল নয়। আমি বললাম, আমরা শুনতে পেলাম, আপনি নাকি আবূ সালমার মেয়েকে শাদী করতে চান। তিনি বললেন, তুমি বলতে চাচ্ছ যে, আমি উম্মে সালমার মেয়েকে শাদী করতে চাই। আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, যদি সে আমার প্রতিপালিতা কন্যা না হত, তাহলেও তাকে শাদী করা হলাল হত না। কেননা, সে দুধ সম্পর্কের দিক দিয়ে আমার ভাতিজী। কেননা, আমাকে এবং আবূ সালমাকে সুওয়াইবা দুধ পান করিয়েছেন। সুতরাং, তোমরা তোমাদের কন্যা ও ভগিনীদেরকে শাদীর জন্য পেশ করো না।
উরওয়া (রাঃ) বর্ণনা করেন, সুওয়াইবা ছিল আবূ লাহাবের দাসী এবং সে তাকে আযাদ করে দিয়েছিল। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দুধ পান করায়। আবূ লাহাব যখন মারা গেল, তার একজন আত্মীয় তাকে স্বপ্নে দেখল যে, সে ভীষণ কষ্টের মধ্যে নিপতিত আছে। তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করা হয়েছে। আবূ লাহাব বলল, যখন তোমাদের থেকে দূরে রয়েছি, তখন থেকেই ভীষণ কষ্টে আছি। কিন্তু সুওয়াইবাকে আযাদ করার কারণে কিছু পানি পান করতে পারছি।
بَابُ: {وَأُمَّهَاتُكُمُ اللاَّتِي أَرْضَعْنَكُمْ} وَيَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعَةِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ زَيْنَبَ ابْنَةَ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ أَخْبَرَتْهَا أَنَّهَا، قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ انْكِحْ أُخْتِي بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ فَقَالَ " أَوَتُحِبِّينَ ذَلِكَ ". فَقُلْتُ نَعَمْ، لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ، وَأَحَبُّ مَنْ شَارَكَنِي فِي خَيْرٍ أُخْتِي. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ ذَلِكَ لاَ يَحِلُّ لِي ". قُلْتُ فَإِنَّا نُحَدَّثُ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَنْكِحَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ. قَالَ " بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ ". قُلْتُ نَعَمْ. فَقَالَ " لَوْ أَنَّهَا لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي فِي حَجْرِي مَا حَلَّتْ لِي إِنَّهَا لاَبْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ، أَرْضَعَتْنِي وَأَبَا سَلَمَةَ ثُوَيْبَةُ فَلاَ تَعْرِضْنَ عَلَىَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ ". قَالَ عُرْوَةُ وَثُوَيْبَةُ مَوْلاَةٌ لأَبِي لَهَبٍ كَانَ أَبُو لَهَبٍ أَعْتَقَهَا فَأَرْضَعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا مَاتَ أَبُو لَهَبٍ أُرِيَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ بِشَرِّ حِيبَةٍ قَالَ لَهُ مَاذَا لَقِيتَ قَالَ أَبُو لَهَبٍ لَمْ أَلْقَ بَعْدَكُمْ غَيْرَ أَنِّي سُقِيتُ فِي هَذِهِ بِعَتَاقَتِي ثُوَيْبَةَ.
Narrated Um Habiba:
(daughter of Abu Sufyan) I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Marry my sister. the daughter of Abu Sufyan." The Prophet (ﷺ) said, "Do you like that?" I replied, "Yes, for even now I am not your only wife and I like that my sister should share the good with me." The Prophet (ﷺ) said, "But that is not lawful for me." I said, We have heard that you want to marry the daughter of Abu Salama." He said, "(You mean) the daughter of Um Salama?" I said, "Yes." He said, "Even if she were not my step-daughter, she would be unlawful for me to marry as she is my foster niece. I and Abu Salama were suckled by Thuwaiba. So you should not present to me your daughters or your sisters (in marriage)." Narrated 'Urwa: Thuwaiba was the freed slave girl of Abu Lahb whom he had manumitted, and then she suckled the Prophet. When Abu Lahb died, one of his relatives saw him in a dream in a very bad state and asked him, "What have you encountered?" Abu Lahb said, "I have not found any rest since I left you, except that I have been given water to drink in this (the space between his thumb and other fingers) and that is because of my manumitting Thuwaiba."
পরিচ্ছেদঃ ২৪৫১. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ ‘‘এবং (তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে) তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সংগত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত কন্যা, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে।’’ এ প্রসঙ্গে হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন যে, ‘দুখুল’ ‘মাসীস’ ও ‘লিমাস’ শব্দত্রয়ের অর্থ হচ্ছে, যৌন মিলন। যে ব্যক্তি বলে যে, স্ত্রীর কন্যা কিংবা তার সমত্মানের কন্যা হারামের ব্যাপারে নিজ কন্যার সমান, সে দলীল হিসাবে নবী (সা)-এর হাদীসখানা পেশ করে। আর তা হচ্ছেঃ নবী (সা) উম্মে হাবীবা (রা)-কে বলেন, তোমরা তোমাদের কন্যাদের ও বোনদের আমার সঙ্গে শাদীর প্রস্তাব করো না। একইভাবে নাতবৌ এবং পুত্রবধু শাদী করা হারাম। যদি কোন সৎ-কন্যা কারো অভিভাবকের আওতাধীন না থাকে তবে তাকে কি সৎ-কন্যা বলা যাবে? নবী (সা) তার একটি সৎ কন্যাকে কারো অভিভাবকত্বে দিয়ে দিলেন। নবী (সা) স্বীয় দৌহিত্রকে পুত্র সম্বোধন করেছেন।
بَاب مَا يَحِلُّ مِنْ النِّسَاءِ وَمَا يَحْرُمُ وَقَوْلِهِ تَعَالَى حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ إِلَى آخِرِ الْآيَتَيْنِ إِلَى قَوْلِهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
وَقَالَ أَنَسٌ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنْ النِّسَاءِ ذَوَاتُ الْأَزْوَاجِ الْحَرَائِرُ حَرَامٌ إِلَّا مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ لَا يَرَى بَأْسًا أَنْ يَنْزِعَ الرَّجُلُ جَارِيَتَهُ مِنْ عَبْدِهِ وَقَالَ وَلَا تَنْكِحُوا الْمُشْرِكَاتِ حَتَّى يُؤْمِنَّ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَا زَادَ عَلَى أَرْبَعٍ فَهُوَ حَرَامٌ كَأُمِّهِ وَابْنَتِهِ وَأُخْتِهِ وَقَالَ لَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنِي حَبِيبٌ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ حَرُمَ مِنْ النَّسَبِ سَبْعٌ وَمِنْ الصِّهْرِ سَبْعٌ ثُمَّ قَرَأَ حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ الْآيَةَ وَجَمَعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ بَيْنَ ابْنَةِ عَلِيٍّ وَامْرَأَةِ عَلِيٍّ وَقَالَ ابْنُ سِيرِينَ لَا بَأْسَ بِهِ وَكَرِهَهُ الْحَسَنُ مَرَّةً ثُمَّ قَالَ لَا بَأْسَ بِهِ وَجَمَعَ الْحَسَنُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ بَيْنَ ابْنَتَيْ عَمٍّ فِي لَيْلَةٍ وَكَرِهَهُ جَابِرُ بْنُ زَيْدٍ لِلْقَطِيعَةِ وَلَيْسَ فِيهِ تَحْرِيمٌ لِقَوْلِهِ تَعَالَى وَأُحِلَّ لَكُمْ مَا وَرَاءَ ذَلِكُمْ وَقَالَ عِكْرِمَةُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ إِذَا زَنَى بِأُخْتِ امْرَأَتِهِ لَمْ تَحْرُمْ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ وَيُرْوَى عَنْ يَحْيَى الْكِنْدِيِّ عَنْ الشَّعْبِيِّ وأَبِي جَعْفَرٍ فِيمَنْ يَلْعَبُ بِالصَّبِيِّ إِنْ أَدْخَلَهُ فِيهِ فَلَا يَتَزَوَّجَنَّ أُمَّهُ وَيَحْيَى هَذَا غَيْرُ مَعْرُوفٍ وَلَمْ يُتَابَعْ عَلَيْهِ وَقَالَ عِكْرِمَةُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ إِذَا زَنَى بِهَا لَمْ تَحْرُمْ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ وَيُذْكَرُ عَنْ أَبِي نَصْرٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ حَرَّمَهُ وَأَبُو نَصْرٍ هَذَا لَمْ يُعْرَفْ بِسَمَاعِهِ مِنْ ابْنِ عَبَّاسٍ وَيُرْوَى عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَجَابِرِ بْنِ زَيْدٍ وَالْحَسَنِ وَبَعْضِ أَهْلِ الْعِرَاقِ تَحْرُمُ عَلَيْهِ وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ لَا تَحْرُمُ حَتَّى يُلْزِقَ بِالْأَرْضِ يَعْنِي يُجَامِعَ وَجَوَّزَهُ ابْنُ الْمُسَيَّبِ وَعُرْوَةُ وَالزُّهْرِيُّ وَقَالَ الزُّهْرِيُّ قَالَ عَلِيٌّ لَا تَحْرُمُ وَهَذَا مُرْسَلٌ
২৪৫০. অনুচ্ছেদঃ কোন্ কোন্ মহিলাকে শাদী করা হালাল এবং কোন্ কোন্ মহিলাকে শাদী করা হারাম। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, ’’তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, কন্যা, বোন, ফুফু, খালা-ভাতিজী-ভাগ্নি এবং ঐ সমস্ত মা, যারা তোমাদের দুধ পান করিয়েছেন এবং তোমাদের দুধবোন, তোমাদের শাশুড়ি এবং তোমাদের স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের ঘরে লালিত-পালিত হয়েছেন, আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’’
আনাস (রাঃ) বলেছেন, وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ এই কথা দ্বারা সধবা স্বাধীনা মহিলাদেরকে শাদী করা হারাম বোঝানো হয়েছে; কিন্তু ক্রীতদাসীকে ব্যবহার করা করা হারাম নয়। যদি কোন ব্যক্তি বাঁদীকে তার স্বামী থেকে তালাক নিয়ে পরে ব্যবহার করে, তাহলে দোষ নেই। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণীঃ ’’কোন মুশরিক মহিলাকে শাদী বন্ধনে আবদ্ধ করো না, যতক্ষণ না তারা পূর্ণ ঈমান আনে।’’ ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন, চারজনের বেশি শাদী করা ঐরূপ হারাম বা অবৈধ যেরূপ তার গর্ভধারিণী মা, কন্যা, এবং ভগিনীকে শাদী করা হারাম।
রাবী বলেন, আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রক্তের সম্পর্কের সাতজন ও বৈবাহিক সম্পর্কের সাতজন নারীকে শাদী করা হারাম। এরপর তিনি এই আয়াতন পাঠ করলেন, ’’তোমাদের জন্যে তোমাদের মায়েদের শাদী করা হারাম করা হয়েছে।’’ আবদুল্লাহ্ ইব্ন জা’ফর (রহঃ) একসাথে হযরত আলী (রাঃ)-এর স্ত্রী ও কন্যাকে শাদী বন্ধনে আবদ্ধ করেন (তারা উভয়েই সৎ-মা ও সৎ-কন্যা ছিল) ইবন সিরীন বলেন, এতে দোষের কিছুই নেই। কিন্তু হাসান বসরী (রহঃ) প্রথমত এই মত পছন্দ করেননি; কিন্তু পরে বলেন, এতে দোষের কিছুই নেই। কিন্তু হাসান ইবন হাসান ইবন আলী একই রাতে দুই চাচাত বোনকে একই সাথে শাদী করেন। জাবির ইবন যায়দ সম্পর্কছেদের আশংকায় এটা মাকরূহ মনে করেছেন; কিন্তু এটা হারাম নয়। যেমন আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, এসব ছাড়া আর যত মেয়ে লোক রয়েছে তা তোমাদের জন্য হালাল করে দেয়া হয়েছে। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যদি কেউ তার শালীর সাথে অবৈধ যৌন মিলন করে তবে তার স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে যায় না। শা’বী (রহঃ) এবং আবু জা’ফর (রহঃ) বলেন, যদি কেউ কোন বালকের সঙ্গে সমকামে লিপ্ত হয়, তবে তার মা তার জন্য শাদী করা হারাম হয়ে যাবে।
ইকরামা ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কেউ যদি শাশুড়ির সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়, তবে তার স্ত্রী হারাম হয় না। আবু নসর ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, হারাম হয়ে যাবে। ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) হাবির ইবন যায়দ (রাঃ) আল হাসান (রহঃ) এবং কতিপয় ইরাকবাসী থেকে বর্ণনা করেন যে, তার স্ত্রীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম হয়ে যাবে। উপরোক্ত ব্যাপারে আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, স্ত্রীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ততক্ষণ হারাম হয় না, যতক্ষণ না কেউ তার শাশুড়ির সাথে অবৈধ যৌন মিলনে লিপ্ত হয়। ইবন মুসাইয়িব, উরওয়া (রহঃ) এবং যুহরী এমতাবস্থায় স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখা বৈধ বলেছেন। যুহরী বলেন, আলী (রাঃ) বলেছেন, হারাম হয় না। ঐখানে যুহরীর কথা মুরসাল অর্থাৎ এই কথা যুহরী আলী (রাঃ) থেকে শোনেননি।
৪৭৩৮ হুমায়দী (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি আবূ সুফিয়ানের কন্যার ব্যাপারে আগ্রহী? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন, তাকে দিয়ে আমার কি হবে? আমি বললাম, তাকে আপনি শাদী করবেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কি তা পছন্দ করবে? আমি বললাম, হাঁ। এখন তো আমি একাই আপনার স্ত্রী নই। সুতরাং আমি চাই, আমার বোনও আমার সাথে কল্যাণে অংশীদার হোক। তিনি বললেন, তাকে শাদী করা আমার জন্য হালাল নয়। আমি বললাম, আমরা শুনেছি যে, আপনি আবূ সালামার কন্যা-দুররাকে শাদী করার জন্য পয়গাম পাঠিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, উম্মে সালামার কন্যা? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, সে যদি আমার প্রতিপালিতা সৎ কন্যা যদি নাও হতো তবুও তাকে শাদী করা আমার জন্য হালাল হতো না। কেননা সুয়াইবিয়া আমাকে ও তার পিতাকে দুধ পান করিয়েছিল। সুতরাং শাদীর জন্য তোমাদের কন্যা বা বোন কাউকে পেশ করো না। লাইছ বলেন, হিশাম দুররা বিনত আবী সালামার নাম বলেছেন।
بَابُ: {وَرَبَائِبُكُمُ اللاَّتِي فِي حُجُورِكُمْ مِنْ نِسَائِكُمُ اللاَّتِي دَخَلْتُمْ بِهِنَّ} وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الدُّخُولُ وَالْمَسِيسُ وَاللِّمَاسُ هُوَ الْجِمَاعُ. وَمَنْ قَالَ بَنَاتُ وَلَدِهَا مِنْ بَنَاتِهِ فِي التَّحْرِيمِ، لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لأُمِّ حَبِيبَةَ: «لاَ تَعْرِضْنَ عَلَيَّ بَنَاتِكُنَّ». وَكَذَلِكَ حَلاَئِلُ وَلَدِ الأَبْنَاءِ هُنَّ حَلاَئِلُ الأَبْنَاءِ، وَهَلْ تُسَمَّى الرَّبِيبَةَ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ فِي حَجْرِهِ، وَدَفَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبِيبَةً لَهُ إِلَى مَنْ يَكْفُلُهَا، وَسَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَ ابْنَتِهِ ابْنًا
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ لَكَ فِي بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ " فَأَفْعَلُ مَاذَا ". قُلْتُ تَنْكِحُ. قَالَ " أَتُحِبِّينَ ". قُلْتُ لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ، وَأَحَبُّ مَنْ شَرِكَنِي فِيكَ أُخْتِي. قَالَ " إِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِي ". قُلْتُ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَخْطُبُ. قَالَ " ابْنَةَ أُمِّ سَلَمَةَ ". قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " لَوْ لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي مَا حَلَّتْ لِي، أَرْضَعَتْنِي وَأَبَاهَا ثُوَيْبَةُ، فَلاَ تَعْرِضْنَ عَلَىَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ ". وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنَا هِشَامٌ دُرَّةُ بِنْتُ أَبِي سَلَمَةَ.
Narrated Um Habiba:
I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Do you like to have (my sister) the daughter of Abu Sufyan?" The Prophet (ﷺ) said, "What shall I do (with her)?" I said, "Marry her." He said, "Do you like that?" I said, "(Yes), for even now I am not your only wife, so I like that my sister should share you with me." He said, "She is not lawful for me (to marry)." I said, "We have heard that you want to marry." He said, "The daughter of Um Salama?" I said, "Yes." He said, "Even if she were not my stepdaughter, she should be unlawful for me to marry, for Thuwaiba suckled me and her father (Abu Salama). So you should neither present your daughters, nor your sisters, to me."
পরিচ্ছেদঃ ২৪৫২. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ দুই বোনকে একত্রে শাদী করা (হালাল নয়) তবে অতীতে যা হয়ে গেছে
৪৭৩৯। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার বোন আবূ সুফিয়ানের কন্যাকে শাদী করুন। তিনি বলেন, তুমি কি তা পছন্দ কর? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি তো আপনার একমাত্র স্ত্রী নই এবং আমি যাকে সবচেয়ে ভালবাসি, তার সাথে আমার বোনকেও অংশীদার বানাতে চাই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটা আমার জন্য হালাল নয়। আমি বললাম, আল্লাহ্র কসম! আমরা শুনেছি যে আপনি আবু সালামার কন্যা দুররাকে শাদী করতে চান। তিনি বললেন, তুমি কি উম্মে সালামার কন্যার কথা বলেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, যদি সে আমার সৎ কন্যা নাও হতো তবুও তাকে শাদী করা আমার জন্য হালাল হতো না। কারণ সে হচ্ছে আমার দুধ সম্পর্কীয় ভাইয়ের কন্যা। সুওয়াইবা আমাকে এবং তার পিতা আবূ সালমাকে দুধ পান করিয়েছিলেন। সুতরাং তোমাদের কন্যা বা বোনদের শাদীর পয়গাম আমার কাছে পেশ করো না।
بَابُ: {وَأَنْ تَجْمَعُوا بَيْنَ الأُخْتَيْنِ إِلاَّ مَا قَدْ سَلَفَ}
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ زَيْنَبَ ابْنَةَ أَبِي سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ انْكِحْ أُخْتِي بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ. قَالَ " وَتُحِبِّينَ ". قُلْتُ نَعَمْ، لَسْتُ بِمُخْلِيَةٍ، وَأَحَبُّ مَنْ شَارَكَنِي فِي خَيْرٍ أُخْتِي. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ ذَلِكَ لاَ يَحِلُّ لِي ". قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَوَاللَّهِ إِنَّا لَنَتَحَدَّثُ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَنْكِحَ دُرَّةَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ. قَالَ " بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ ". فَقُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " فَوَاللَّهِ لَوْ لَمْ تَكُنْ فِي حَجْرِي مَا حَلَّتْ لِي إِنَّهَا لاَبْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ، أَرْضَعَتْنِي وَأَبَا سَلَمَةَ ثُوَيْبَةُ فَلاَ تَعْرِضْنَ عَلَىَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ ".
Narrated Um Habiba:
I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Marry my sister, the daughter of Abu Sufyan." He said, "Do you like that?" I said, "Yes, for even now I am not your only wife; and the most beloved person to share the good with me is my sister." The Prophet (ﷺ) said, "But that is not lawful for me (i.e., to be married to two sisters at a time.)" I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! By Allah, we have heard that you want to marry Durra, the daughter of Abu Salama." He said, "You mean the daughter of Um Salama?" I said, "Yes." He said, "By Allah ! Even if she were not my stepdaughter, she would not be lawful for me to marry, for she is my foster niece, for Thuwaiba has suckled me and Abu Salama; so you should neither present your daughters, nor your sisters to me."
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৯. (মহান আল্লাহর বাণী) তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নাই। তোমরা যা কর সে সমবন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত।
৪৯৫৪। মুহাম্মদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা বিনত আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। যখন তার কাছে পিতার মৃত্যু সংবাদ পৌছালো, তখন তিনি সুগন্ধি আনিয়ে তার উভয় হাতে লাগালেন এবং বললেনঃ সুগন্ধি লাগানোর কোন প্রয়োজন আমার নেই। কিন্তু সেহেতু আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মহিলার জন্য কারো মৃত্যুতে তিন দিনের অধিক শোক পালন করা বৈধ হবে না। তবে স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করতে হবে।
بَابُ: {وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا} إِلَى قَوْلِهِ: {بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ}
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ ابْنَةِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ ابْنَةِ أَبِي سُفْيَانَ، لَمَّا جَاءَهَا نَعِيُّ أَبِيهَا دَعَتْ بِطِيبٍ، فَمَسَحَتْ ذِرَاعَيْهَا وَقَالَتْ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ. لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ تُحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ، إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ".
Narrated Zainab bint Um Salama:
When Um Habiba bint Abi Sufyan was informed of her father's death, she asked for perfume and rubbed it over her arms and said, "I am not in need of perfume, but I have heard the Prophet (ﷺ) saying, "It is not lawful for a lady who believes in Allah and the Last Day to mourn for more than three days except for her husband for whom the (mourning) period is four months and ten days."
পরিচ্ছেদঃ ২১০৬. দাসী ও অন্যান্য মহিলা কর্তৃক দুধ পান করানো
৪৯৮১। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার বোন আবূ সুফইয়ানের মেয়েকে আপনি বিবাহ করুন। তিনি বললেনঃ তুমি কি তা পছন্দ কর? আমি বললাম, হ্যাঁ। আমি তো আর আপনার সংসারে একা নই। আমার সঙ্গে এই সৌভাগ্যের অংশীদার, আমার বোনও তাদের অভভুক্ত হোক তাই আমি বেশী পছন্দ করি। তিনি বললেনঃ কিন্তু সে যে আমার জন্য হালাল হবে না, আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ আল্লাহর কসম! আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে আপনি নাকি উম্মে সালামার মেয়ে দুররাকে বিয়ে করার ইচ্ছা করেছেন? তিনি বললেনঃ উম্মে সালামার মেয়েকে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! সে যদি আমার কোলে পালিত, পূর্ব স্বামীর ঔরসে উম্মে সালামার গর্ভজাত সন্তান নাও-হতো, তবু সে আমার জন্য হালাল ছিল না। সে তো আমার দুধ-ভাইয়ের কন্যা। সুওয়াহাবা আমাকে ও আবূ সালামাকে দুধ পান করিয়েছেন। সুতরাং তোমাদের কন্যা ও বোনদের আমার সামণে পেশ করো না। শুয়াইব যুহরী থেকে বর্ননা করেছেন যে, উরওয়া বলেছেনঃ সুওয়ায়বাকে আবূ লাহাব মুক্ত করে দিয়েছিল।
باب الْمَرَاضِعِ مِنَ الْمَوَالِيَاتِ وَغَيْرِهِنَّ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ زَيْنَبَ ابْنَةَ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ انْكِحْ أُخْتِي ابْنَةَ أَبِي سُفْيَانَ. قَالَ " وَتُحِبِّينَ ذَلِكَ ". قُلْتُ نَعَمْ لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ، وَأَحَبُّ مَنْ شَارَكَنِي فِي الْخَيْرِ أُخْتِي. فَقَالَ " إِنَّ ذَلِكَ لاَ يَحِلُّ لِي ". فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَوَاللَّهِ إِنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَنْكِحَ دُرَّةَ ابْنَةَ أَبِي سَلَمَةَ. فَقَالَ " ابْنَةَ أُمِّ سَلَمَةَ ". فَقُلْتُ نَعَمْ. قَالَ "فَوَاللَّهِ لَوْ لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي فِي حَجْرِي مَا حَلَّتْ لِي، إِنَّهَا ابْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ، أَرْضَعَتْنِي وَأَبَا سَلَمَةَ ثُوَيْبَةُ، فَلاَ تَعْرِضْنَ عَلَىَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ ". وَقَالَ شُعَيْبٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ عُرْوَةُ ثُوَيْبَةُ أَعْتَقَهَا أَبُو لَهَبٍ.
Narrated Um Habiba:
(the wife of the Prophet) I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Will you marry my sister, the daughter of Abu Sufyan." The Prophet (ﷺ) said, "Do you like that?" I said, "Yes, for I am not your only wife, and the person I like most to share the good with me, is my sister." He said, "That is not lawful for me." I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We have heard that you want to marry Durra, the daughter of Abu Salama." He said, "You mean the daughter of Um Salama?" I said, "Yes." He said, "Even if she were not my stepdaughter, she is unlawful for me, for she is my foster niece. Thuwaiba suckled me and Abu Salama. So you should not present to me your daughters and sisters." Narrated 'Urwa: Thuwaiba had been a slave girl whom Abu Lahab had emancipated.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. ফরযের আগে ও পরে নিয়মিত সুন্নাতের ফযীলত এবং তার সংখ্যার বিবরণ
১৫৬৯। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনা উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে কোন মুসলিম বান্দা দৈনিক ফরয ব্যতীত বার রাক’আত সালাত আল্লাহর উদ্দেশ্যে আদায় করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করবেন অথবা বলেছেন, জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর তৈরী করা হবে। উম্মে হাবীবা (রাঃ) বলেন, এরপর থেকে আমি এই সালাত নিয়মিত আদায় করে আসছি। বর্ণনাকারী আমর (রহঃ) বলেন, এরপর থেকে আমিও এ সালাত নিয়মিত আদায় করে আসছি। নুমান (রহঃ)ও অনুরূপ বলেছেন।
باب فَضْلِ السُّنَنِ الرَّاتِبَةِ قَبْلَ الْفَرَائِضِ وَبَعْدَهُنَّ وَبَيَانِ عَدَدِهِنَّ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يُصَلِّي لِلَّهِ كُلَّ يَوْمٍ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعًا غَيْرَ فَرِيضَةٍ إِلاَّ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ أَوْ إِلاَّ بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ " . قَالَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ فَمَا بَرِحْتُ أُصَلِّيهِنَّ بَعْدُ . وَقَالَ عَمْرٌو مَا بَرِحْتُ أُصَلِّيهِنَّ بَعْدُ . وَقَالَ النُّعْمَانُ مِثْلَ ذَلِكَ .
Umm Habiba, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ), reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
If any Muslim servant (of Allah) prays for the sake of Allah twelve rak'ahs (of Sunan) every day, over and above the obligatory ones, Allah will build for him a house in Paradise, or a house will be built for him in Paradise; and I have not abandoned observing them after (hearing it from the Messenger of Allah). (So said also 'Amr and Nu'man.)
পরিচ্ছেদঃ ১৫. ফরযের আগে ও পরে নিয়মিত সুন্নাতের ফযীলত এবং তার সংখ্যার বিবরণ
১৫৭০। আবদুর রহমান ইবনু বিশর ও আবদুল্লাহ ইবনু হাশিম আল আবদী (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মুসলিম বান্দা উত্তমরূপে ওযু করে দৈনিক আল্লাহর উদ্দেশ্যে আদায় করে.... অতঃপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب فَضْلِ السُّنَنِ الرَّاتِبَةِ قَبْلَ الْفَرَائِضِ وَبَعْدَهُنَّ وَبَيَانِ عَدَدِهِنَّ
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ الْعَبْدِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ النُّعْمَانُ بْنُ سَالِمٍ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَنْبَسَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ تَوَضَّأَ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ صَلَّى لِلَّهِ كُلَّ يَوْمٍ " . فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ .
Umm Habiba reported the Messenger of Allah (ﷺ) having said:
If any Muslim servant (of Allah) performed ablution, and performed it well, and then observed every day, the rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৫৫। আবূ কুরায়ব মুহাম্মদ ইবনুল আলা (রহঃ) ... উম্মু হাবীবা বিনত আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে আসলেন। আমি তাকে বললাম, আপনার কি আমার বোন বিনত আবূ সুফিয়ানের প্রতি আপনার আগ্রহ আছে? তিনি বললেন, আমি কি করব? আমি বললাম, আপনি তাকে বিবাহ করবেন। তিনি বললেন, তুমি কি তা পছন্দ কর? আমি বললাম, আমি তো আপনার একক স্ত্রী নই। (আপনার সান্নিধ্য) কল্যাণ লাভে আমার সঙ্গে কেউ শরীক থাকলে তা আমার বোন থাকুক, সেটাই আমি বেশী পছন্দ করি। তিনি বললেন, সে আমার জন্য হালাল নয়।
আমি বললাম, আমি এ মর্মে অবহিত হয়েছি যে, আপনি আবূ সালামার কন্যা দুরাহকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বললেন, উম্মু সালামার কন্যা? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন যদি সে আমার কোলে রাবীবা তথা প্রতিপালিত নাও হতো তাহলেও সে আমার জন্য হালাল তে না। সে হল আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা। আমাকে এবং তার পিতা আবূ সালামাকে সুওয়ায়বা দুধপান করিয়েছেন। অতএব তোমরা আমার সাথে তোমাদের কন্যা ও ভগ্নিদের বিবাহের প্রস্তাব পেশ করবে না।
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا أَبِي، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ هَلْ لَكَ فِي أُخْتِي بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ فَقَالَ " أَفْعَلُ مَاذَا " . قُلْتُ تَنْكِحُهَا . قَالَ " أَوَتُحِبِّينَ ذَلِكَ " . قُلْتُ لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ وَأَحَبُّ مَنْ شَرِكَنِي فِي الْخَيْرِ أُخْتِي . قَالَ " فَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِي " . قُلْتُ فَإِنِّي أُخْبِرْتُ أَنَّكَ تَخْطُبُ دُرَّةَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ . قَالَ " بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ " . قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " لَوْ أَنَّهَا لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي فِي حَجْرِي مَا حَلَّتْ لِي إِنَّهَا ابْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ أَرْضَعَتْنِي وَأَبَاهَا ثُوَيْبَةُ فَلاَ تَعْرِضْنَ عَلَىَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ " .
Umm Habiba, the daughter of AbuSufyan, reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) came to me and I said to him: Have you any inclination towards my the daughter of Abu Sufyan? He (the Holy Prophet) said: Then what should I do? I said: Marry her. He said: Do you like that? I said: I am not the exclusive (wife) of yours; I, therefore, wish to join my sister in good. He, said: She is not lawful for me. I said: I have been informed that you have given the proposal of marriage to Durrah daughter of Abu Salama He raid: You mean the daughter of Umm Salama? I said: Yes. He said: Even if she had not been my step-daughter brought up under my guardianship, she would not have been lawful for me, for she is the daughter of my foster-brother (Hamza), for Thuwaiba had suckled me and her father. So do not give me the proposal of the marriage of your daughters and sisters.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৪৫৭। মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ ইবনু মুহাজির (রহঃ) ... রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী উম্মু হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার বোন আযযাহকে বিবাহ করুন। তিনি বললেন, তুমি কি তা পছন্দ কর? তিনি বললেন, হাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি তো আপনার একক স্ত্রী নই। আর কল্যাণে কেউ আমার শরীক হলে, তা সে আমার বোন হোক এটাই আমি বেশী পছন্দ করি। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে তো বিবাহ করা আমার জন্য হালাল নয়।
তিনি বলেন, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে যে, আপনি আবূ সালামার কন্যা দুররাহকে বিবাহ করার ইচ্ছা রাখেন। তিনি বললেন,আবূ সালামার কন্যাকে? উম্মু হাবিবা বললেন, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি সে আমার অভিভাবকত্বে প্রতিপালিত নাও হতো তবু সে একারণে আমার জন্য হানাল হতো না যে, সে আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা। আমাকে ও তার পিতা আবূ সালামাকে সুওয়ায়বা দুধপান করিয়েছেন। তাই তোমরা আমার কাছে তোমাদের কন্যা ও ভগ্নিদের বিবাহের প্রস্তাব পেশ করো না।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، أَنَّحَدَّثَهُ أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَتْهَا أَنَّهَا قَالَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ انْكِحْ أُخْتِي عَزَّةَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَتُحِبِّينَ ذَلِكِ " . فَقَالَتْ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ وَأَحَبُّ مَنْ شَرِكَنِي فِي خَيْرٍ أُخْتِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَإِنَّ ذَلِكِ لاَ يَحِلُّ لِي " . قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَنْكِحَ دُرَّةَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ . قَالَ " بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ " . قَالَتْ نَعَمْ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ أَنَّهَا لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي فِي حَجْرِي مَا حَلَّتْ لِي إِنَّهَا ابْنَةُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ أَرْضَعَتْنِي وَأَبَا سَلَمَةَ ثُوَيْبَةُ فَلاَ تَعْرِضْنَ عَلَىَّ بَنَاتِكُنَّ وَلاَ أَخَوَاتِكُنَّ " .
Umm Habiba, the wife of Allah's Apostle (ﷺ), reported that she said to Allah's Messenger (ﷺ):
Messenger of Allah, marry my sister 'Azza, whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: Do you like it? She said: Yes, Messenger of Allah, I am not the exclusive wife of yours, and I wish that the person who joins me in good should be my sister. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: That is not lawful for me. I said: Messenger of Allah, we discussed that You intend to marry Durrah bint Abu Salama. He (the Holy Prophet) said: You mean the daughter of Abu Salama? She said: Yes, whereupon Allah's Messenger (may. peace be upon him) said: Even if she were not the step-daughter of mine, brought up under my guardianship, she would not have been lawful for me, for she is the daughter of my foster-brother. Thuwaiba gave me suck and to Abu Salama (also), so do not offer to me your daughters and sisters.
পরিচ্ছেদঃ ১. ফিতনা ও দুর্যোগসমূহ সন্নিকট হওয়া এবং ইয়াজুজ মাজুজের প্রাচীর খুলে দেয়া প্রসঙ্গে
৬৯৭৩। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... উম্মু হাবীবা বিনত আবু সুফইয়ান (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী যায়নাব বিনত জাহশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় বের হলেন। তখন তাঁর চেহারা মুবারক লাল বর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলছিলেনঃ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ নিকট ভবিষ্যতে সংঘটিত দুর্যোগে আরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আজ ইয়াযুয মাজুজের প্রাচীর এতটুকু পরিমাণ খুলে গেছে। এ সময় তিনি তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি ও শাহাদাত আঙ্গুলির দ্বারা চক্র বানালেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে নেক লোক থাকা অবস্থায়ও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন পাপাচার বেশী হবে।
باب اقْتِرَابِ الْفِتَنِ وَفَتْحِ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ أَخْبَرَتْهَا أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَزِعًا مُحْمَرًّا وَجْهُهُ يَقُولُ " لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قَدِ اقْتَرَبَ فُتِحَ الْيَوْمَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هَذِهِ " . وَحَلَّقَ بِإِصْبَعِهِ الإِبْهَامِ وَالَّتِي تَلِيهَا . قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَهْلِكُ وَفِينَا الصَّالِحُونَ قَالَ " نَعَمْ إِذَا كَثُرَ الْخَبَثُ " .
Zainab bint Jahsh, the wife of Allah's Apostle (ﷺ), reported that one day Allah's Messenger (ﷺ) came out in a state of excitement with his face quite red. And he was saying:
There is no god but Allah; there is a destruction in store for Arabia because of the turmoil which is near at hand as the barrier of Gog and Magog has been opened like it, and he (in order to explain it) made a ring with the help of his thumb and forefinger. I said: Allah's Messenger, would we be destroyed despite the fact that there would be pious people amongst us? He said: Yes, when evil would be predominant.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫: ফরয নামাযের সাথে সুন্নাতে ‘মুআক্কাদাহ’ পড়ার ফযীলত। আর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ও তার মাঝামাঝি রাকআত-সংখ্যার বিবরণ
১/১১০৪। মুমিন জননী উম্মে হাবীবাহ রামলা বিনতে আবূ সুফিয়ান (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “যে কোনো মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য প্রত্যহ ফরয নামায ছাড়া বারো রাক’আত সুন্নত নামায পড়ে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি গৃহ নির্মাণ করেন অথবা তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করা হয়।” (মুসলিম) [1]
(195) بابُ فَضْلِ السُّنَنِ الرَّاتِبَةِ مَعَ الفَرَائِضِوَبَيَانِ أَقَلِّهَا وَأَكْمَلِهَا وَمَا بَيْنَهُمَا
وَعَنْ أُمِّ المُؤْمِنِينَ أُمِّ حَبِيبَةَ رَمْلَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَتْ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُوْلُ: «مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يُصَلِّي لِلهِ تَعَالىَ كُلَّ يَوْمٍ ثِنْتَيْ عَشرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعاً غَيرَ الفَرِيضَةِ، إِلاَّ بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتاً فِي الجَنَّةِ، أَوْ إِلاَّ بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الجَنَّةِ». رواه مُسلِمٌ
(195) Chapter: The Excellence of Optional Prayers (Sunnah Mu'akkadah) along with the Obligatory Prayers
Umm Habibah (May Allah be pleased with her) the Mother of the Believers reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "A house will be built in Jannah for every Muslim who offers twelve Rak'ah of optional Salat other than the obligatory Salat in a day and a night (to seek the Pleasure of Allah)."
[Muslim].
Commentary: Tatawwu` means to offer more Nawafil (optional prayers) on one's own after performing the Faraid (obligatory prayers). Thus, this Hadith tells us the merits of optional prayers and holds promise of (Jannah) for those who make it a practice.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯: যোহরের সুন্নত
৪/১১২৩। উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি যোহরের ফরয নামাযের পূর্বে চার রাকআত ও পরে চার রাকআত সুন্নত পড়তে যত্নবান হবে, আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন।” (আবূ দাউদ, তিরিমিযী হাসান সহীহ)[1]
(199) بَابُ سُنَّةِ الظُّهْرِ
وَعَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ حَافَظَ عَلَى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ، وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا، حَرَّمَهُ اللهُ عَلَى النَّارِ». رواه أبُو دَاوُدَ وَالتِّرمِذِيُّ، وَقَالَ: حَدِيثٌ حَسَنٌ صحيح
(199) Chapter: Sunnah of Zuhr Prayer
Umm Habibah (May Allah be pleased with her) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whoever observes the practice of performing four Rak'ah before Zuhr prayer and four after the Zuhr prayer, Allah will shield him against the Fire (of Hell).
[Abu Dawud and At-Tirmidhi].
Commentary: This Ahadith mean that a person who follows this course of practice, will die as a Muslim and will not remain in Hell for ever like the Kuffar (infidels) unless Allah has forgiven all his sins for him and would, as a result, save him from Fire altogether. That is, Almighty Allah will not let him live in Hell for ever. According to some Ahadith, the fire of Hell will not touch him, which also amounts to saying that he will not be kept in Hell for all eternity. If a Muslim is liable to punishment, his stay in Hell - for a few days or weeks or months depending on the nature of his sins - is not a contravention of such Ahadith because he will ultimately be released from Hell and brought to Jannah. "Allah will shield him against the Fire'' should not be taken to mean that a Muslim will not be sent to Hell no matter what he does. If Almighty Allah does not forgive him in the very first instance, he will have to suffer the torment of Hell as long as He would like and then he will be sent to Jannah.
পরিচ্ছেদঃ ১১০. ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলাদের প্রত্যেক নামাযের সময় গোসল করা সম্পর্কে বর্ণিত হাদিসসমূহ।
২৮৯. আহমাদ ইবনু সালেহ্ .... উম্মে হাবীবা (রাঃ) হতে এই হাদীছটি বর্ণিত। আয়িশা (রাঃ) বলেন, উম্মে হাবীবা (রাঃ) প্রত্যেক নামাযের জন্য গোসল করতেন।
باب مَنْ رَوَى أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَتْنِي عَمْرَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا . فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلاَةٍ .
حكم : صحيح (الألباني
This tradition has been transmitted through a different chain of narrators. According to this version. 'Aishah said:
She would wash herself for every prayer.
Grade : Sahih (Al-Albani)
পরিচ্ছেদঃ ২৯৫. নফল ও সুন্নাত নামাযের বিভিন্ন দিক ও রাকাআত সম্পর্কে।
১২৫০. মুহাম্মাদ ইবন ঈসা (রহঃ) .... উম্মে হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি দৈনিক বার রাকাত নফল নামায আদায় করবে, এর বিনিময়ে আল্লাহ্ তাআলা তাঁর জন্য বেহেশতের মধ্যে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। (মুসলিম, তিরমিযি, নাসাঈ, ইবন মাজা)।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، حَدَّثَنِي النُّعْمَانُ بْنُ سَالِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى فِي يَوْمٍ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعًا بُنِيَ لَهُ بِهِنَّ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ " .
Narrated Umm Habibah:
The Prophet (ﷺ) as saying: If anyone prays in a day and a night twelve rak'ahs voluntarily (supererogatory prayer), a house will be built from him in Paradise on account of these (rak'ahs).
পরিচ্ছেদঃ ৩০১. যুহরের আগে ও পরে চার রাকআত নামায।
১২৬৯. মুয়াম্মাল ইবনুল ফাদল (রহঃ) ..... রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি যুহরের ফরয নামাযের পূর্বে এবং পরে চার রাকাত করে নামায পড়বে তাঁর জন্য দোযখের আগুন হারাম হবে। (তিরমিযি, নাসাই, ইবন মাজা)।
باب الأَرْبَعُ قَبْلَ الظُّهْرِ وَبَعْدَهَا
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنِ النُّعْمَانِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ عَنْبَسَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَ قَالَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَافَظَ عَلَى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا حَرُمَ عَلَى النَّارِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ الْعَلاَءُ بْنُ الْحَارِثِ وَسُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى عَنْ مَكْحُولٍ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ .
Narrated Umm Habibah:
The Prophet (ﷺ) said: If anyone keeps on praying regularly four rak'ahs before and four after the noon prayer, he will not enter the Hell-fire.
Abu Dawud said: Al-'Ala' bin Al-Harith and Sulaiman bin Musa reported it from Makhul with his chain, similarly.
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. ওলী বা অভিভাবক।
২০৮২. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ..... উম্মে হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ইবন জাহশের (উবায়দুল্লাহর) স্ত্রী ছিলেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং এই সময় হা্বশাতে যাঁরা হিজরত করেন, তিনি তাঁদের সাথে ছিলেন। তখন হা্বশার বাদশাহ্ নাজ্জাশী তাঁকে তাঁদের নিকট থাকাবস্থায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বিবাহ দেন।
باب فِي الْوَلِيِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ عِنْدَ ابْنِ جَحْشٍ فَهَلَكَ عَنْهَا - وَكَانَ فِيمَنْ هَاجَرَ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ - فَزَوَّجَهَا النَّجَاشِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ عِنْدَهُمْ .
Ibn Az-Zubayr reported on the authority of Umm Habibah that she was the wife of Ibn Jahsh, but he died, He was among those who migrated to Abyssinia. Negus then married her to the Messenger of Allah (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. মাহর নির্ধারণ।
২১০৩. হাজ্জাজ ইবন আবূ ইয়া’কুব সাকাফী ..... উম্মে হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ্ ইবন জাহাশের স্ত্রী। তিনি হাবশাতে ইন্তিকাল করেন। এরপর (হাবশার বাদশাহ) নাজ্জাশী তাঁকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বিবাহ দেন এবং তাঁর (নাজ্জাশী) নিজের পক্ষ হতে মাহর স্বরূপ চার হাজার দিরহাম আদায় করেন এবং তা সহ তাঁকে (উম্মে হাবীবাকে) শুরাহবীল ইবন হাসানার সাথে তা প্রেরণ করেন।
ইমাম দাঊদ (রহঃ) বলেন, হাসানাহ হলেন শুরাহবীলের মাতা।
باب الصَّدَاقِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ فَمَاتَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ فَزَوَّجَهَا النَّجَاشِيُّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَمْهَرَهَا عنه أَرْبَعَةَ آلاَفٍ وَبَعَثَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ شُرَحْبِيلَ ابْنِ حَسَنَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَسَنَةُ هِيَ أُمُّهُ .
Urwah reported on the authority of Umm Habibah that she was married to Abdullah ibn Jahsh who died in Abyssinia, so the Negus married her to the Prophet (ﷺ) giving her on his behalf a dower of four thousand (dirhams). He sent her to the Messenger of Allah (ﷺ) with Shurahbil ibn Hasanah. AbuDawud said:
Hasanah is his mother.
পরিচ্ছেদঃ ৩২১. পশুদের গলায় ঘন্টা ঝুলানো।
২৫৪৬. মুসাদ্দাদ .... উম্মুল মু’মিনীন উম্মে হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (রহমতের) ফিরিশতাগণ ঐ সকল পথিক দলের সঙ্গে থাকেন না, যাদের পশুর গলায় ঘন্টা রয়েছে।
باب فِي تَعْلِيقِ الأَجْرَاسِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي الْجَرَّاحِ، مَوْلَى أُمِّ حَبِيبَةَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَصْحَبُ الْمَلاَئِكَةُ رُفْقَةً فِيهَا جَرَسٌ " .
Narrated Umm Habibah:
The Prophet (ﷺ) said: The angels do not go with a travelling company in which there is a bell.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬/ দিবা রাত্রে ফরয সালাত ব্যতীত বার রাকআত সালাত আদায় করার সাওয়াব
১৭৯৯। মুহাম্মাদ ইবনু মা’দান (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা বিনত আবূ সূফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি দিবা রাত্রি ফরয সালাত ব্যতীত বার রাকআত (সুন্নাতে মুওয়াক্কাকাদার) সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
باب ثَوَابِ مَنْ صَلَّى فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً سِوَى الْمَكْتُوبَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْدَانَ بْنِ عِيسَى، قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا مَعْقِلٌ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ أُخْبِرْتُ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَكَعَ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي يَوْمِهِ وَلَيْلَتِهِ سِوَى الْمَكْتُوبَةِ بَنَى اللَّهُ لَهُ بِهَا بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ " .
It was narrated that 'Ata said:
"I was told that Umm Habibah bin Abi Sufyan said: "I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Whoever prays twelve rak'ahs during the day and night, apart from the prescribed prayers, Allah (SWT) will build for him a house in Paradise.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬৬/ দিবা রাত্রে ফরয সালাত ব্যতীত বার রাকআত সালাত আদায় করার সাওয়াব
১৮০০। ইবরাহীম ইবনু হাসান (রহঃ) ... উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আম্বাসা ইবনু আবূ সুফয়ান (রাঃ) এর কাছে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা রাত্রি ফরয সালাত ব্যতীত বারো রাকআত (সুন্নাতে মুওয়াক্কাদার) সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।
باب ثَوَابِ مَنْ صَلَّى فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً سِوَى الْمَكْتُوبَةِ
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَرْكَعُ قَبْلَ الْجُمُعَةِ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً مَا بَلَغَكَ فِي ذَلِكَ قَالَ أَخْبَرَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ عَنْبَسَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ رَكَعَ اثْنَتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ سِوَى الْمَكْتُوبَةِ بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ " .
Ibn Juraij said:
"I said to Ata: 'I heard that you pray twelve rak'ahs before Jumu'ah. What did you hear concerning that?' He said: 'I was told that Umm Habibah bin Abi Sufyan said: "I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Whoever prays twelve rak'ahs during the day and night, apart from the prescribed prayers, Allah (SWT), the Mighty and Sublime, will build for him a house in Paradise.'"