পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَسُول وَأُولِي الأَمْرِ مِنْكُمْ
অর্থাৎ, হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত হও, রসূলের অনুগত হও ও তোমাদের নেতৃবর্গের। (সূরা নিসা ৫৯)
(১৮২২) ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিমের জন্য (তার শাসকদের) কথা শোনা ও মানা ফরয, তাকে সে কথা পছন্দ লাগুক অথবা অপছন্দ লাগুক; যতক্ষণ না তাকে পাপকাজের নির্দেশ দেওয়া হয়। অতঃপর যখন তাকে পাপকাজের আদেশ দেওয়া হবে তখন তার কথা শোনা ও মানা ফরয নয়।
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَعَلَى المَرْءِ الْمُسْلِمِ السَّمْعُ والطَّاعَةُ فِيمَا أحَبَّ وكَرِهَ إِلاَّ أنْ يُؤْمَرَ بِمَعْصِيةٍ فَإِذَا أُمِرَ بِمَعْصِيةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮২৩) ইমরান বিন হুস্বাইন (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, স্রষ্টার অবাধ্যতা করে কোন সৃষ্টির আনুগত্য নেই।
عَنْ عِمْرَانَ بن حُصَيْنٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮২৪) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তাঁর কথা শোনার ও আনুগত্য করার উপর বায়আত করছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন, ’’যাতে তোমাদের সাধ্য রয়েছে।
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ : كُنَّا إِذَا بَايَعْنَا رَسُولَ اللهِ ﷺ عَلَى السَّمعِ والطَّاعَةِ يَقُولُ لَنَافِيمَا اسْتَطَعْتُمْ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮২৫) উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রস্লুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ’’যে ব্যক্তি (বৈধ কাজে শাসকের) আনুগত্য করা থেকে হাত গুটিয়ে নিল, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে এ অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, তার জন্য কোন প্রমাণ থাকবে না। আর যে ব্যক্তি (রাষ্ট্রনেতার হাতে) বায়আত না করে মৃত্যুবরণ করল, সে জাহেলিয়াতের মরা মরল। (মুসলিম ৪৮৯৯)
এর অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে, যে (রাষ্ট্রীয়) জামাআত ত্যাগ ক’রে মারা গেল, সে জাহেলিয়াতের মৃত্যু বরণ করল। (আহমাদ ৫৫৫১, ৬৪২৩)
وَعَنهُ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُمَنْ خَلَعَ يَداً مِنْ طَاعَةٍ لَقِيَ اللهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ حُجَّةَ لَهُ وَمَنْ مَاتَ وَلَيْسَ في عُنُقِهِ بَيْعَةٌ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً رواه مسلم
وَفِيْ رِوَايَةٍ لَهُوَمَنْ مَاتَ وَهُوَ مُفَارِقٌ لِلجَمَاعَةِ فَإنَّهُ يَمُوتُ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮২৬) আবূ যার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি জামাআত থেকে আধ হাত পরিমাণ বিচ্ছিন্ন হয়ে (সরে) গেল, সে আসলে তার ঘাড় থেকে ইসলামের গলরশিকে খুলে ফেলল।’’ (অর্থাৎ, ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেল।) (আস্-সুন্নাহ, ইবনে আবী আসেম ৮৯২, ১০৫৩ , আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন)
عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ قَيْدَ شِبْرٍ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الإِسْلامِ مِنْ عُنُقِهِ
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮২৭) মুআবিয়া (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মারা গেল, অথচ তার কোন ইমাম (রাষ্ট্রীয়-নেতার বায়াত) নেই, সে আসলে জাহেলিয়াতের মরণ মারা গেল।
عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ مَاتَ وَلَيْسَ عَلَيْهِ إِمَامٌ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮২৮) আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (শাসকদের) কথা শোনো এবং (তাদের) আনুগত্য কর; যদিও তোমাদের উপর কোন নিগ্রো ক্রীতদাসকে (নেতা) নিযুক্ত করা হয়; যেন তার মাথাটা কিশমিশ। (অর্থাৎ, কিশমিশের ন্যায় ক্ষুদ্র ও বিশ্রী তবুও)!
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ اِسْمَعُوا وأطِيعُوا وَإنِ استُعْمِلَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشيٌّ كَأَنَّ رأْسَهُ زَبيبةٌ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮২৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমার প্রতি দুঃখে-সুখে, হর্ষে-বিষাদে এবং তোমার উপর অন্যদেরকে প্রাধান্য দেওয়ার সময়ে (শাসকের) কথা শোনা ও (তার) আনুগত্য করা ফরয।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ عَلَيْكَ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ في عُسْرِكَ وَيُسْرِكَ وَمَنْشَطِكَ وَمَكْرَهِكَ وَأثَرَةٍ عَلَيْكَ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩০) উবাদাহ বিন সামেত (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট থেকে আমাদের খুশী ও কষ্টের বিষয়ে, স্বস্তি ও অস্বস্তির বিষয়ে এবং আমাদের অগ্রাধিকার নষ্ট হলেও আনুগত্য ও আদেশ পালনের উপর এবং ক্ষমতাসীন শাসকের বিদ্রোহ না করার উপর বায়আত (প্রতিশ্রুতি) গ্রহণ করেছেন। বলেছেন, তবে হ্যাঁ, যদি তোমরা প্রকাশ্য কুফরী হতে দেখ, যাতে তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন দলীল বর্তমান থাকে (তাহলে বিদ্রোহ করতে পার)।
عن عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ دَعَانَا رَسُولُ اللهِ ﷺ فَبَايَعْنَاهُ فَكَانَ فِيمَا أَخَذَ عَلَيْنَا أَنْ بَايَعَنَا عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِى مَنْشَطِنَا وَمَكْرَهِنَا وَعُسْرِنَا وَيُسْرِنَا وَأَثَرَةٍ عَلَيْنَا وَأَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ قَالَ إِلاَّ أَنْ تَرَوْا كُفْرًا بَوَاحًا عِنْدَكُمْ مِنَ اللهِ فِيهِ بُرْهَانٌ
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩১) আওফ ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ’’তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ভালবাস এবং তারাও তোমাদেরকে ভালবাসে, তোমরা তাদের জন্য দু’আ কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দু’আ করে। আর তোমাদের নিকৃষ্টতম শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর এবং তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তোমরা তাদেরকে অভিশাপ কর এবং তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ করে।’’ (হাদীসের বর্ণনাকারী) বলেন, আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব না?’ তিনি বললেন, না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায প্রতিষ্ঠা করবে।
وَعَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُخِيَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُحِبُّونَهُمْ وَيُحِبُّونَكُمْ وَتُصَلُّونَ عَلَيْهِمْ وَيُصَلُّونَ عَلَيْكُمْ وشِرَارُ أئِمَّتِكُم الَّذِينَ تُبْغِضُونَهُمْ وَيُبْغِضُونَكُمْ وَتَلعَنُونَهُمْ وَيَلْعَنُونَكُمْ قَالَ : قُلْنَا : يَا رَسُولَ اللهِ أفَلاَ نُنَابِذُهُم ؟ قَالَ لاَ، مَا أقَامُوا فِيْكُمُ الصَّلاَةَ لاَ مَا أقَامُوا فِيكُمُ الصَّلاَةَ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩২) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এমন এক শ্রেণীর আমীর হবে; যাদের জন্য দেহের চামড়া নরম হবে এবং তাদের প্রতি হৃদয়-মন সন্তুষ্ট হতে পারবে না। অতঃপর এক শ্রেণীর আমীর হবে যাদের প্রতি হৃদয়-মন বিতৃষ্ণায় সংকুচিত হবে এবং দেহের লোম খাড়া হয়ে যাবে। এক ব্যক্তি বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না?’ তিনি বললেন, ’না। তাদের নামায কায়েম করা পর্যন্ত নয়।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِي قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُونُ أُمَرَاءٌ تَلِينُ لَهُمُ الْجُلُودُ وَلا تَطْمَئِنُّ إِلَيْهِمِ الْقُلُوبُ ثُمَّ يَكُونُ أُمَرَاءٌ تَشْمَئِزُّ مِنْهُمُ الْقُلُوبُ وَتَقْشَعِرُّ مِنْهُمُ الْجُلُودُ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ أَفَلا نُقَاتِلُهُمْ قَالَ لا مَا أَقَامُوا الصَّلاةَ
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩৩) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন আমরা আল্লাহর রসূলের সাথে এক সফরে ছিলাম। অতঃপর (বিশ্রামের জন্য) এক স্থানে অবতরণ করলাম। তারপর আমাদের কিছু লোক তাঁবু ঠিক করছিল এবং কতক লোক তীরন্দাজিতে প্রতিযোগিতা করছিল ও কতক লোক জন্তুদের ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘোষণাকারী ঘোষণা করল যে, ’’নামাযের জন্য জমায়েত হও।’’ সুতরাং আমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একত্রিত হলাম। তারপর তিনি বললেন, ’’আমার পূর্বে প্রত্যেক নবীর জন্য জরুরী ছিল, তাঁর উম্মতকে এমন কর্মসমূহের নির্দেশ দেওয়া, যা তিনি তাদের জন্য ভালো মনে করেন এবং এমন কর্মসমূহ থেকে ভীতি-প্রদর্শন করা, যা তিনি তাদের জন্য মন্দ মনে করেন। আর তোমাদের এই উম্মত এমন, যাদের প্রথমাংশে নিরাপত্তা রাখা হয়েছে এবং তাদের শেষাংশে রয়েছে পরীক্ষা (ফিতনা-ফাসাদ) এবং এমন ব্যাপার সকল, যা তোমরা পছন্দ করবে না।
এমন ফিতনা প্রকাশ পাবে যে, একটি অন্যটিকে হালকা ক’রে দেবে (অর্থাৎ পরের ফিতনাটি আগের ফিতনা অপেক্ষা গুরুত্বর হবে)। ফিতনা এসে গেলে মু’মিন ব্যক্তি বলবে, এটাই আমার ধ্বংসের কারণ হবে। অতঃপর তা দূরীভূত হবে। পুনরায় অন্য ফিতনা প্রকাশ পাবে, তখন মু’মিন বলবে, ’এটাই এটাই (আমার সবচেয়ে বড় ফিতনা)।’ অতএব যে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে দূরে থাকতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে ভালবাসে, তার নিকট যেন এই অবস্থায় মৃত্যু আসুক যে, সে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং লোকদের সাথে সেই ব্যবহার প্রদর্শন করে, যা সে নিজের সাথে প্রদর্শন পছন্দ করে। আর যে ব্যক্তি রাষ্ট্রনেতার সাথে বায়আত করে, সে নিজের হাত এবং নিজ অন্তরের ফল (নিষ্ঠা) তাকে দিয়ে দেয়, সে সাধ্যমত তার আনুগত্য করুক। অতঃপর অন্য কেউ যদি তার (প্রথম ইমামের) সাথে (ক্ষমতা কাড়ার) ঝগড়া করে, তাহলে দ্বিতীয়জনের গর্দান উড়িয়ে দাও।’’
وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فِي سَفَرٍ فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَمِنَّا مَنْ يُصْلِحُ خِبَاءَهُ وَمِنّا مَنْ يَنْتَضِلُ وَمِنَّا مَنْ هُوَ في جَشَرِهِ إذْ نَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللهِ ﷺ الصَّلاةَ جَامِعَةً فَاجْتَمَعْنَا إِلَى رَسُول الله ﷺ فَقَالَ إنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبيٌّ قَبْلِي إِلاَّ كَانَ حَقّاً عَلَيْهِ أنْ يَدُلَّ أُمَّتَهُ عَلَى خَيْرِ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ وَيُنْذِرَهُم شَرَّ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ وَإنَّ أُمَّتَكُمْ هذِهِ جُعِلَ عَافِيَتُهَا في أوَّلِهَا وَسَيُصيبُ آخِرَهَا بَلاَءٌ وَأمُورٌ تُنْكِرُونَهَا وَتَجِيءُ فِتنَةٌ يُرَقِّقُ بَعْضُهَا بَعْضاً وَتَجِيءُ الفتنَةُ فَيقُولُ المُؤْمِنُ : هذه مُهلكتي ثُمَّ تنكشفُ وتجيء الفتنةُ فيقولُ المؤمنُ : هذِهِ هذِهِ فَمَنْ أحَبَّ أنْ يُزَحْزَحَ عَنِ النَّارِ، ويُدْخَلَ الجَنَّةَ، فَلْتَأتِهِ منيَّتُهُ وَهُوَ يُؤْمِنَ باللهِ واليَوْمِ الآخِرِ وَلْيَأتِ إِلَى النَّاسِ الَّذِي يُحِبُّ أنْ يُؤتَى إِلَيْهِ وَمَنْ بَايَعَ إمَاماً فَأعْطَاهُ صَفْقَةَ يَدِهِ وَثَمَرَةَ قَلْبِهِ فَلْيُطِعْهُ إن استَطَاعَ فإنْ جَاءَ آخَرُ يُنَازِعُهُ فَاضْرِبُوا عُنْقَ الآخَرِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন শ্রেণীর মানুষের সাথে কিয়ামতের দিনে আল্লাহ কথা বলবেন না, তাদের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (১) যে মরু প্রান্তরে অতিরিক্ত পানির মালিক, কিন্তু সে মুসাফিরকে তা থেকে পান করতে দেয় না। (২) যে আসরের পর অন্য লোকের নিকট সামগ্রী বিক্রয় করতে গিয়ে কসম খেয়ে এই বলে যে, আল্লাহর কসম! এটা আমি এত দিয়ে নিয়েছি। ফলে ক্রেতা তাকে বিশ্বাস করে অথচ সে তার বিপরীত (অর্থাৎ, মিথ্যাবাদী)। আর (৩) যে কেবলমাত্র পার্থিব স্বার্থে রাষ্ট্রনেতার হাতে বায়আত করে। সুতরাং সে যদি তাকে পার্থিব সম্পদ প্রদান করে, তাহলে সে (তার বায়আত) পূর্ণ করে। আর যদি প্রদান না করে, তাহলে বায়আত পূর্ণ করে না।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَومَ القِيَامَةِ، وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ : رَجُلٌ عَلَى فَضْلِ مَاءٍ بِالفَلاَةِ يَمْنَعُهُ مِنِ ابْنِ السَّبِيلِ وَرَجُلٌ بَايَعَ رَجُلاً سِلْعَةً بَعْدَ العَصْرِ فَحَلَفَ بِاللهِ لأَخَذَهَا بِكَذَا وَكَذَا فَصَدَّقَهُ وَهُوَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ وَرَجُلٌ بَايَعَ إِمَاماً لاَ يُبَايِعُهُ إِلاَّ لِدُنْيَا فَإِنْ أَعْطَاهُ مِنْهَا وَفَى وَإِنْ لَمْ يُعْطِهِ مِنْهَا لَمْ يَفِ متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩৫) আবূ হুনাইদা ওয়াইল ইবনে হুজর (রাঃ) বলেন, সালামাহ ইবনে য়্যাযীদ জু’ফী আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেন, ’হে আল্লাহর নবী! আপনি বলুন, যদি আমাদের উপর (অসৎ) শাসক নিযুক্ত হয় এবং আমাদের কাছে তাদের অধিকার চায় ও আমাদেরকে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখে। অতএব এ ব্যাপারে আপনি কী নির্দেশ দেন?’ তিনি তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পুনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা (তাদের) কথা শুনো এবং (তাদের) আনুগত্য করো। কারণ তাদের দায়িত্বে তা রয়েছে, যা তাদের উপর চাপানো হয়েছে (অর্থাৎ সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতা) এবং তোমাদের দায়িত্বে তা রয়েছে, যা তোমাদের উপর অর্পণ করা হয়েছে (অর্থাৎ নেতা ও শাসকের আনুগত্য)।
وَعَن أَبي هُنَيْدَةَ وَائِلِ بنِ حُجْرٍ قَالَ : سَألَ سَلَمَةُ بن يَزيدَ الجُعفِيُّ رَسُولَ اللهِ ﷺ فَقَالَ : يَا نَبِيَّ الله أَرَأَيتَ إنْ قامَت عَلَيْنَا أُمَرَاءُ يَسألُونَا حَقَّهُم وَيمْنَعُونَا حَقَّنَا فَمَا تَأْمُرُنَا ؟ فَأعْرَضَ عَنهُ، ثُمَّ سَألَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ اسْمَعْوا وَأَطِيعُوا فإنَّمَا عَلَيْهِمْ مَا حُمِّلُوا وَعَلَيْكُمْ مَا حُمِّلْتُمْ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩৬) আবূ নাজীহ ইরবায ইবনে সারিয়াহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমন মর্মস্পর্শী বক্তৃতা শুনালেন যে, তাতে অন্তর ভীত হল এবং চোখ দিয়ে অশ্রু বয়ে গেল। সুতরাং আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! এ যেন বিদায়ী ভাষণ মনে হচ্ছে। তাই আপনি আমাদেরকে অন্তিম উপদেশ দিন।’ তিনি বললেন, ’’আমি তোমাদেরকে আল্লাহভীতি এবং (রাষ্ট্রনেতার) কথা শোনার ও তার আনুগত্য করার উপদেশ দিচ্ছি; যদিও তোমাদের উপর কোন নিগ্রো (আফ্রিকার কৃষ্ণকায় অধিবাসী) রাষ্ট্রনেতা হয়। (স্মরণ রাখ) তোমাদের মধ্যে যে আমার পর জীবিত থাকবে, সে অনেক মতভেদ বা অনৈক্য দেখবে। সুতরাং তোমরা আমার সুন্নাত ও সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের রীতিকে আঁকড়ে ধরবে এবং তা দাঁত দিয়ে মজবূত ক’রে ধরে থাকবে। আর তোমরা দ্বীনে নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।
عَنْ أَبِي نَجيحٍ العِرباضِ بنِ سَارِيَةَ قَالَ : وَعَظَنَا رسولُ اللهِ ﷺ مَوعظةً بَليغَةً وَجِلَتْ مِنْهَا القُلُوبُ، وَذَرَفَتْ مِنْهَا العُيُونُ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ، كَأَنَّهَا مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأوْصِنَا، قَالَ أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإنْ تَأمَّر عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ وَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرَى اختِلافاً كَثيراً فَعَليْكُمْ بسُنَّتِي وسُنَّةِ الخُلَفاءِ الرَّاشِدِينَ المَهْدِيِيِّنَ عَضُّوا عَلَيْهَا بالنَّواجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ ؛ فإنَّ كلَّ بدعة ضلالةرواه أَبُو داود والترمذي وَقالَ حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩৭) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার পর স্খেচ্ছাচারী শাসন হবে এবং অন্যান্য (আপত্তিকর) ব্যাপার সকল প্রকাশ পাবে, যা তোমরা অপছন্দ করবে।’’ সাহাবীরা বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে যে এ যুগ পাবে, তাকে আপনি কী আদেশ দিচ্ছেন?’ তিনি বললেন, ’’তোমাদের প্রতি যে হক রয়েছে, তা তোমরা আদায় করবে এবং তোমাদের যে হক (শাসকের উপর রয়েছে), তা আল্লাহর কাছে চেয়ে নেবে।
وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ مَسعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إنَّهَا سَتَكُونُ بَعْدِي أثَرَةٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ تَأمُرُ مَنْ أدْرَكَ مِنَّا ذَلِكَ ؟ قَالَ تُؤَدُّونَ الحَقَّ الَّذِي عَلَيْكُمْ وَتَسْأَلُونَ اللهَ الَّذِي لَكُمْ متفقٌ عليه
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে (প্রকৃতপক্ষে) আল্লাহর আনুগত্য করল এবং যে আমার অবাধ্যতা করল, সে (আসলে) আল্লাহর অবাধ্যতা করল। আর যে ব্যক্তি নেতার আনুগত্য করল, সে (আসলে) আমার আনুগত্য করল এবং যে নেতার অবাধ্যতা করল, সে (আসলে) আমার অবাধ্যতা করল।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ أطَاعَنِي فَقَدْ أطَاعَ اللهَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللهَ وَمَنْ يُطِعِ الأَمِيرَ فَقَدْ أطَاعَنِي وَمَنْ يَعصِ الأميرَ فَقَدْ عَصَانِي متفقٌ عليه
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৩৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, ইমাম (রাষ্টনায়ক) তো ঢাল স্বরূপ; যার আড়ালে থেকে যুদ্ধ করা হয় এবং যার সাহায্যে নিজেকে বাঁচানো যায়। সুতরাং সে যদি আল্লাহ-ভীরুতার আদেশ দেয় এবং ন্যায়পরায়ণ হয়, তাহলে এর বিনিময়ে সে সওয়াবের অধিকারী হবে। নচেৎ সে যদি এর বিপরীত কর্ম করে তবে তার পাপ তার ঘাড়ে।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ إِنَّمَا الإِمَامُ جُنَّةٌ يُقَاتَلُ مِنْ وَرَائِهِ وَيُتَّقَى بِهِ فَإِنْ أَمَرَ بِتَقْوَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَعَدَلَ كَانَ لَهُ بِذَلِكَ أَجْرٌ وَإِنْ يَأْمُرْ بِغَيْرِهِ كَانَ عَلَيْهِ مِنْهُ
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৪০) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি তার নেতার কোন কাজ অপছন্দ করবে, তার উচিত হবে (তার উপর) ধৈর্য ধারণ করা। কারণ যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণও শাসকের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাবে, তার মৃত্যু জাহেলিয়াতের মৃত্যু হবে।’’ (বুখারী ৭০৫৪, মুসলিম ৪৮৯৬)
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ كَرِهَ مِنْ أمِيرِهِ شَيْئاً فَلْيَصْبِرْ، فَإنَّهُ مَنْ خَرَجَ مِنَ السُّلطَانِ شِبْراً مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً متفقٌ عليه
পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম
(১৮৪১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি শাসকের আনুগত্য থেকে বের হয়ে এবং জামাআত থেকে পৃথক হয়ে মারা যাবে সে ব্যক্তি জাহেলিয়াতের মরণ মরবে।
যে ব্যক্তি অন্ধ ফিতনার পতাকাতলে (হক-নাহক না জেনেই) যুদ্ধ করবে, অন্ধ পক্ষপাতিত্ব বা গোঁড়ামির ফলে ক্রুদ্ধ হবে অথবা অন্ধ পক্ষপাতিত্বের প্রতি আহবান করবে অথবা অন্ধ পক্ষপাতিত্বকে সাহায্য করবে, অতঃপর সে খুন হলে তার খুন জাহেলিয়াতের খুন।
আর যে ব্যক্তি আমার উম্মতের বিরুদ্ধে তরবারি বের করে ভালো-মন্দ সকল মানুষকে হত্যা করবে এবং তার মুমিনকেও হত্যা করতে ছাড়বে না, চুক্তিবদ্ধ মানুষের চুক্তিও পূরণ করবে না, সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয় এবং আমিও তার দলভুক্ত নই।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ أَنَّهُ قَالَ مَنْ خَرَجَ مِنَ الطَّاعَةِ وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ فَمَاتَ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً وَمَنْ قَاتَلَ تَحْتَ رَايَةٍ عُمِّيَّةٍ يَغْضَبُ لِعَصَبَةٍ أَوْ يَدْعُو إِلَى عَصَبَةٍ أَوْ يَنْصُرُ عَصَبَةً فَقُتِلَ فَقِتْلَةٌ جَاهِلِيَّةٌ وَمَنْ خَرَجَ عَلَى أُمَّتِى يَضْرِبُ بَرَّهَا وَفَاجِرَهَا وَلاَ يَتَحَاشَ مِنْ مُؤْمِنِهَا وَلاَ يَفِى لِذِى عَهْدٍ عَهْدَهُ فَلَيْسَ مِنِّى وَلَسْتُ مِنْهُ