পরিচ্ছেদঃ খাওয়ারিজ সম্পর্কিত হাদীস
(১৮৬৬) হুযাইফা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আমি যে সকল বিষয় তোমাদের জন্য আশঙ্কা করি, তার মধ্যে এমন এক ব্যক্তি, যে কুরআন পড়েছে। পরিশেষে যখন তার মধ্যে কুরআনের মনোহারিত্ব দেখা গেল এবং সে ইসলামের একজন সহায়ক হয়ে গড়ে উঠল, তখন সে তা হতে অপসৃত হল তা নিজ পশ্চাতে নিক্ষেপ করল, নিজ প্রতিবেশীর উপর তরবারি তুলে ধরতে উদ্যত হল এবং তাকে ’মুশরিক’ বলে অপবাদ দিল।’’ সাহাবী হুযাইফা ইবনুল য়্যামান বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! ওদের উভয়ের মধ্যে তরবারির যোগ্য কে? অপবাদদাতা, নাকি যাকে অপবাদ দেওয়া হয়েছে সে?’ উত্তরে তিনি বললেন, বরং অপবাদদাতা।
عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ قَالَ رسول الله ﷺ (إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ رَجُلٌ قَرَأَ الْقُرْآنَ حَتَّى إِذَا رُئِيَتْ بَهْجَتُهُ عَلَيْهِ وَكَانَ رِدْءاً لِلإِسْلاَمِ انْسَلَخَ مِنْهُ وَنَبَذَهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ وَسَعَى عَلَى جَارِهِ بِالسَّيْفِ وَرَمَاهُ بِالشِّرْكِ) قال : قلت : يا نبي الله أيهما أولى بالشرك المرمي أم الرامي ؟ قال : (بل الرامي)
পরিচ্ছেদঃ খাওয়ারিজ সম্পর্কিত হাদীস
(১৮৬৭) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনাইন থেকে ফেরার পথে জিইর্রানাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালের কাপড় থেকে নিয়ে চাঁদি বিতরণ করছিলেন। এক ব্যক্তি বলে উঠল, ’হে মুহাম্মাদ! আপনি ন্যায়ভাবে বন্টন করুন। ঐ বন্টন ন্যায্য হচ্ছে না!’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এ কথা শুনে বললেন, ’’দূর হতভাগা! আমি ন্যায্য বন্টন না করলে আর কে করবে? ইনসাফ না করলে আমি ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হব।’’ উমার (রাঃ) বললেন, ’আমাকে অনুমতি দিন। আমি ঐ মুনাফিকের গর্দানটি উড়িয়ে দিই।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’ওর কিছু সহচর আছে, যারা কুরআন পড়ে। কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালী পার হয় না। তারা ইসলাম থেকে ঐভাবে বের হয়ে যাবে, যেভাবে তীর শিকার ভেদ ক’রে বের হয়ে যায়।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ أَتَى رَجُلٌ رَسُولَ اللهِ ﷺ بِالْجِعْرَانَةِ مُنْصَرَفَهُ مِنْ حُنَيْنٍ وَفِى ثَوْبِ بِلاَلٍ فِضَّةٌ وَرَسُولُ اللهِ ﷺ يَقْبِضُ مِنْهَا يُعْطِى النَّاسَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ اعْدِلْ قَالَ وَيْلَكَ وَمَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ أَكُنْ أَعْدِلُ لَقَدْ خِبْتَ وَخَسِرْتَ إِنْ لَمْ أَكُنْ أَعْدِلُ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِىَ اللهُ عَنْه دَعْنِى يَا رَسُولَ اللهِ فَأَقْتُلَ هَذَا الْمُنَافِقَ فَقَالَ مَعَاذَ اللهِ أَنْ يَتَحَدَّثَ النَّاسُ أَنِّى أَقْتُلُ أَصْحَابِى إِنَّ هَذَا وَأَصْحَابَهُ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْهُ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ
পরিচ্ছেদঃ খাওয়ারিজ সম্পর্কিত হাদীস
(১৮৬৮) আবূ সাঈদ (রাঃ) ও আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, ’’আমার উম্মতের মাঝে মতবিরোধ ও বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হবে। একদল হবে যাদের কথাবার্তা সুন্দর হবে এবং কর্ম হবে অসুন্দর। তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের গলদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়। তারা (সেইরূপ দ্বীনে) ফিরে আসবে না, যেরূপ তীর ধনুকে ফিরে আসে না। তারা সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি। শুভ পরিণাম তার জন্য, যে তাদেরকে হত্যা করবে এবং যাকে তারা হত্যা করবে। তারা আল্লাহর কিতাবের দিকে মানুষকে আহবান করবে, অথচ তারা (সঠিকভাবে) তার উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকবে না। যে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, সে হবে বাকী উম্মত অপেক্ষা আল্লাহর নিকটবর্তী। তাদের চিহ্ন হবে মাথা নেড়া।
عَنْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ سَيَكُونُ فِى أُمَّتِى اخْتِلاَفٌ وَفُرْقَةٌ قَوْمٌ يُحْسِنُونَ الْقِيلَ وَيُسِيئُونَ الْفِعْلَ وَيَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ لاَ يَرْجِعُونَ حَتَّى يَرْتَدَّ عَلَى فُوقِهِ هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ وَالْخَلِيقَةِ طُوبَى لِمَنْ قَتَلَهُمْ وَقَتَلُوهُ يَدْعُونَ إِلَى كِتَابِ اللهِ وَلَيْسُوا مِنْهُ فِى شَىْءٍ مَنْ قَاتَلَهُمْ كَانَ أَوْلَى بِاللهِ مِنْهُمْ قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ مَا سِيمَاهُمْ قَالَ التَّحْلِيقُ