পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَإِيَّايَ فَارْهَبُونِ
অর্থাৎ, তোমরা শুধু আমাকেই ভয় কর। (সূরা বাক্বারাহ ৪০ আয়াত)। তিনি আরো বলেন,
إِنَّ بَطْشَ رَبِّكَ لَشَدِيدٌ
অর্থাৎ, নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও বড়ই কঠিন। (সূরা বুরুজ ১২ আয়াত)। তিনি আরো বলেন,
وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لِمَنْ خَافَ عَذَابَ الآخِرَةِ ذَلِكَ يَوْمٌ مَجْمُوعٌ لَهُ النَّاسُ وَذَلِكَ يَوْمٌ مَشْهُودٌ وَمَا نُؤَخِّرُهُ إِلاَّ لأَجَلٍ مَعْدُودٍ يَوْمَ يَأْتِ لاَ تَكَلَّمُ نَفْسٌ إِلاَّ بِإِذْنِهِ فَمِنْهُمْ شَقِيٌّ وَسَعِيدٌ فَأَمَّا الَّذِينَ شَقُوا فَفِي النَّارِ لَهُمْ فِيهَا زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ
অর্থাৎ, আর এরূপই তাঁর পাকড়াও; যখন তিনি কোন অত্যাচারী জনপদের অধিবাসীদেরকে পাকড়াও করেন। নিঃসন্দেহে তাঁর পাকড়াও অত্যন্ত যাতনাদায়ক কঠিন। নিশ্চয় এ সব ঘটনায় সে ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে যে ব্যক্তি পরকালের শাস্তিকে ভয় করে। ওটা এমন একটা দিন হবে যেদিন সমস্ত মানুষকে সমবেত করা হবে এবং ওটা হবে সকলের উপস্থিতির দিন। আর আমি ওটা নির্দিষ্ট একটি কালের জন্যই বিলম্বিত করছি। যখন সেদিন আসবে তখন কোন ব্যক্তি আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কথাও বলতে পারবে না। সুতরাং তাদের মধ্যে কেউ হবে দুর্ভাগ্যবান এবং কেউ হবে সৌভাগ্যবান। অতএব যারা দুর্ভাগ্যবান তারা তো হবে দোযখে; তাতে তাদের চীৎকার ও আর্তনাদ হতে থাকবে। (সূরা হূদ ১০২-১০৬ আয়াত) আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেন,
وَيُحَذِّرُكُمُ اللهُ نَفْسَهُ
অর্থাৎ, আল্লাহ তাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করছেন। (আলে ইমরান ২৮ আয়াত)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيهِ لِكُلِّ امْرِئٍ مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُغْنِيهِ
অর্থাৎ, সেদিন মানুষ পলায়ন করবে আপন ভ্রাতা হতে এবং তার মাতা ও তার পিতা হতে, তার পত্নী ও তার সন্তান হতে। সেদিন তাদের প্রত্যেকের এমন গুরুতর অবস্থা হবে, যা নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে। (সূরা আবাসা ৩৪-৩৭ আয়াত) তিনি আরো বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللهِ شَدِيدٌ
অর্থাৎ, হে মানবমণ্ডলী! তোমরা ভয় কর তোমাদের প্রতিপালককে; (আর জেনে রেখো যে,) নিঃসন্দেহে কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ানক ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী নিজ দুগ্ধপোষ্য শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করে ফেলবে। আর মানুষকে দেখবে মাতাল সদৃশ অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়; বস্তুতঃ আল্লাহর শাস্তি বড় কঠিন। (সূরা হজ্জ্ব ১-২ আয়াত) তিনি অন্যত্র বলেন,
وَلِمَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ جَنَّتَانِ
অর্থাৎ, আর যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্য রয়েছে দু’টি (জান্নাতের) বাগান। (সূরা রাহমান ৪৬ আয়াত) তিনি আরো বলেন,
وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ قَالُوْا إِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِي أَهْلِنَا مُشْفِقِينَ فَمَنَّ اللهُ عَلَيْنَا وَوَقَانَا عَذَابَ السَّمُومِ إِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلُ نَدْعُوهُ إِنَّهُ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِيمُ
অর্থাৎ, তারা একে অপরের দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করবে এবং বলবে, নিশ্চয় আমরা পূর্বে পরিবার-পরিজনের মধ্যে শংকিত অবস্থায় ছিলাম। অতঃপর আমাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে উত্তপ্ত ঝড়ো হাওয়ার শাস্তি হতে রক্ষা করেছেন। নিশ্চয় আমরা পূর্বেও আল্লাহকে আহবান করতাম। নিশ্চয় তিনি কৃপাময়, পরম দয়ালু। (সূরা ত্বূর ২৫-২৮ আয়াত) এ বিষয়ে বহু আয়াত রয়েছে। যেমন হাদীসও রয়েছে অনেক। নিম্নে কতিপয় হাদীস উল্লিখিত হলঃ
(২১২) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যিনি সত্যবাদী ও যাঁর কথা সত্য বলে মানা হয় সেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, তোমাদের এক জনের সৃষ্টির উপাদান মায়ের গর্ভে চল্লিশ দিন যাবৎ বীর্যের আকারে থাকে। অতঃপর তা অনুরূপভাবে চল্লিশ দিনে জমাটবদ্ধ রক্তপিন্ডর রূপ নেয়। পুনরায় তদ্রূপ চল্লিশ দিনে মাংসের টুকরায় রূপান্তরিত হয়। অতঃপর তার নিকট ফিরিশতা পাঠানো হয়। সুতরাং তার মাঝে ’রূহ’ স্থাপন করা হয় এবং চারটি কথা লিখার আদেশ দেওয়া হয়; তার রুযী, মৃত্যু, আমল এবং পাপিষ্ঠ না পুণ্যবান হবে, তা লিখা হয়। সেই সত্তার শপথ, যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই! (জন্মের পর) তোমাদের এক ব্যক্তি জান্নাতবাসীদের মত কাজ-কর্ম করতে থাকে এবং তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত তফাৎ থেকে যায়। এমতাবস্থায় তার (ভাগ্যের) লিখন এগিয়ে আসে এবং সে জাহান্নামীদের মত আমল করতে লাগে; ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। আর তোমাদের অন্য এক ব্যক্তি প্রথমে জাহান্নামীদের মত আমল করে এবং তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত তফাৎ থাকে। এমতাবস্থায় তার (ভাগ্যের) লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জান্নাতীদের মত ক্রিয়াকর্ম আরম্ভ করে; পরিণতিতে সে জান্নাতে প্রবেশ করে।
عَن ابنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ : حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ وَهُوَ الصَّادِقُ المَصدُوقُ إنَّ أحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ في بَطْنِ أُمِّهِ أربَعِينَ يَوماً نُطْفَةً ثُمَّ يَكُوْنُ عَلَقَةً مِثْلَ ذلِكَ ثُمَّ يَكُوْنُ مُضْغَةً مِثْلَ ذلِكَ ثُمَّ يُرْسَلُ المَلَكُ فَيَنْفُخُ فِيهِ الرُّوحَ وَيُؤْمَرُ بِأرْبَعِ كَلِمَاتٍ : بِكَتْبِ رِزْقِهِ وَأجَلِهِ وَعَمَلِهِ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ فَوَالَّذِي لاَ إلهَ غَيْرُهُ إنَّ أحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أهْلِ الجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وبيْنَهَا إلاَّ ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيهِ الكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أهْلِ النَّارِ فَيدْخُلُهَا وَإنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إلاَّ ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيهِ الكِتَابُ فَيعْمَلُ بِعَمَلِ أهْلِ الجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২১৩) ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন লোকেরা বিশ্বজাহানের প্রতিপালকের সামনে দণ্ডায়মান হবে (এবং তাদের এত বেশি ঘাম হবে যে,) তাদের মধ্যে কেউ তার ঘামে তার অর্ধেক কান পর্যন্ত ডুবে যাবে।
وَ عَنْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ العَالَمِينَ حَتَّى يَغِيبَ أحَدُهُمْ في رَشْحِهِ إِلَى أنْصَافِ أُذُنَيهِ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২১৪) মিক্বদাদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সূর্যকে সৃষ্টজীবের এত কাছে করে দেওয়া হবে যে, তার মধ্যে এবং সৃষ্টজীবের মধ্যে মাত্র এক মাইলের ব্যবধান থাকবে। মিক্বদাদ থেকে বর্ণনাকারী সুলাইম বিন আমের বলেন, আল্লাহর কসম! আমি জানিনা যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’মীল’ শব্দের কী অর্থ নিয়েছেন, যমীনের দূরত্ব (মাইল), নাকি (সুরমাদানীর) শলাকা যার দ্বারা চোখে সুরমা লাগানো হয়? সুতরাং মানুষ নিজ নিজ আমল অনুযায়ী ঘামে ডুবতে থাকবে। তাদের মধ্যে কারো তার পায়ের গাঁট পর্যন্ত, কারো হাঁটু পর্যন্ত (ঘাম হবে) এবং তাদের মধ্যে কিছু এমন লোকও হবে যাদেরকে ঘাম লাগাম লাগিয়ে দেবে। (অর্থাৎ, নাক পর্যন্ত ঘামে ডুববে।) এ কথা বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মুখের দিকে ইশারা করলেন।
وَعَن المِقدَادِ قَالَ : سمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ تُدْنَى الشَّمْسُ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنَ الخَلْقِ حَتَّى تَكُونَ مِنْهُمْ كَمِقْدَارِ مِيلٍ قَالَ سُلَيْم بنُ عَامِرٍ الرَّاوِي عَن المِقدَادِ : فَوَاللهِ مَا أدْرِي مَا يَعَني بِالمِيلِ أَمَسَافَةَ الأرضِ أَمِ المِيلَ الَّذِي تُكْتَحَلُ بِهِ العَيْنُ ؟ قَالَ فَيكُونُ النَّاسُ عَلَى قَدْرِ أعْمَالِهِمْ في العَرَقِ فَمِنْهُمْ مَنْ يَكُوْنُ إِلَى كَعْبَيْهِ وَمِنهُم مَن يَكُوْنُ إِلَى رُكبَتَيهِ وَمِنهُم مَنْ يَكُوْنُ إِلَى حِقْوَيْهِ وَمِنْهُمْ مَنْ يُلْجِمُهُ العَرَقُ إلْجَاماً قَالَ: وَأَشَارَ رَسُولُ اللهِ ﷺ بيدهِ إِلَى فِيهِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২১৫) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন মানুষের প্রচণ্ড ঘাম হবে। এমনকি তাদের ঘাম যমীনে সত্তর হাত পর্যন্ত নিচে যাবে। আর তাদের মুখ পর্যন্ত ঘামে নিমজ্জিত থাকবে। এমন কি কান পর্যন্তও।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ يَعْرَقُ النَّاسُ يَومَ القِيَامَةِ حَتَّى يَذْهَبَ عَرَقُهُمْ في الأَرضِ سَبْعِينَ ذِراعاً وَيُلْجِمُهُمْ حَتَّى يَبْلُغَ آذَانَهُمْ متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২১৬) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন জাহান্নামকে এ অবস্থায় নিয়ে আসা হবে যে, তার সত্তর হাজার লাগাম থাকবে। প্রত্যেক লাগামের সাথে সত্তর হাজার ফিরিশতা থাকবেন। তাঁরা তা টানতে থাকবেন।
وَعَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يُؤتَى بِجَهَنَّمَ يَومَئذٍ لَهَا سَبْعُونَ ألفَ زِمَامٍ مَعَ كُلِّ زِمَامٍ سَبعُونَ ألْفَ مَلَكٍ يَجُرُّونَهَا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২১৭) নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিবসে ঐ ব্যক্তির সর্বাপেক্ষা হাল্কা আযাব হবে, যার দু’ পায়ের তেলোয় জ্বলন্ত দু’টি অঙ্গার রাখা হবে। যার ফলে তার মাথার মগজ ফুটতে থাকবে। সে মনে করবে না যে, তার চেয়ে কঠিন আযাব অন্য কেউ ভোগ করছে। অথচ তারই আযাব সবার চেয়ে হাল্কা!
وَعَن النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ الله ﷺ يَقُولُ إنَّ أهْوَنَ أهْلِ النَّارِ عَذَاباً يَوْمَ القِيَامَةِ لَرَجُلٌ يُوضَعُ في أخْمَصِ قَدَمَيْهِ جَمْرَتَانِ يَغْلِي مِنْهُمَا دِمَاغُهُ مَا يَرَى أنَّ أَحَداً أشَدُّ مِنْهُ عَذَاباً وَأنَّهُ لأَهْوَنُهُمْ عَذَاباً مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২১৮) সামুরাহ ইবনে জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামীদের মধ্যে কিছু লোকের পায়ের গাঁট পর্যন্ত আগুন হবে, কারো হাঁটু পর্যন্ত, কারো কোমর পর্যন্ত এবং কারো কারো কণ্ঠাস্থি (গলার নিচের হাড়) পর্যন্ত হবে।
وَعَن سَمُرَةَ بنِ جُندُبٍ أنَّ نَبيَّ الله ﷺ قَالَ مِنْهُمْ مَنْ تَأخُذُهُ النَّارُ إِلَى كَعْبَيهِ وَمنْهُمْ مَنْ تَأخُذُهُ إِلَى رُكْبَتَيهِ وَمنْهُمْ مَنْ تَأخُذُهُ إِلَى حُجزَتِهِ وَمِنْهُمْ مَنْ تَأخُذُهُ إِلَى تَرْقُوَتِهِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২১৯) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা আমাদেরকে এমন ভাষণ শুনালেন যে, ওর মত (ভাষণ) কখনোও শুনিনি। তিনি বললেন, যা আমি জানি, তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে তোমরা কম হাসতে এবং বেশি কাঁদতে। (এ কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ তাঁদের চেহারা ঢেকে নিলেন এবং তাদের বিলাপের রোল আসতে লাগল।
অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সাহাবীদের কোন কথা পৌঁছল। অতঃপর তিনি ভাষণ দিয়ে বললেন, আমার নিকট জান্নাত ও জাহান্নাম পেশ করা হল। ফলে আমি আজকের মত ভাল ও মন্দ (একত্রে) কোন দিনই দেখিনি। যদি তোমরা তা জানতে, যা আমি জানি, তাহলে কম হাসতে আর বেশি কাঁদতে। সুতরাং সাহাবীদের জন্য সেদিনকার মত কঠিনতম দিন আর ছিল না। তাঁরা তাঁদের মাথা আবৃত ক’রে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।
وَعَن أَنَسٍ قَالَ : خَطَبَنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ خُطبَةً مَا سَمِعْتُ مِثلَهَا قَطُّ فَقَالَ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أعْلَمُ لَضحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيتُمْ كَثِيراً فَغَطَّى أصْحَابُ رَسُولِ اللهِ ﷺ وَجُوهَهُمْ وَلَهُمْ خَنِينٌ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وفي رواية : بَلَغَ رَسُولَ اللهِ ﷺ عَن أَصْحَابِهِ شَيْءٌ فَخَطَبَ فَقَالَ عُرِضَتْ عَلَيَّ الجَنَّةُ وَالنَّارُ فَلَمْ أرَ كَاليَومِ في الخَيرِ وَالشَّرِّ وَلَوْ تَعْلَمونَ مَا أعلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيراً فَمَا أتَى عَلَى أصْحَابِ رَسُولِ اللهِ ﷺ يَوْمٌ أَشَدُّ مِنْهُ غَطَّوْا رُؤُسَهُمْ وَلَهُمْ خَنِينٌ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২০) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি হলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। অকস্মাৎ তিনি কোন জিনিস পড়ার আওয়াজ শুনলেন। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা জান এটা কি? আমরা বললাম, ’আল্লাহ ও তাঁর রসূল বেশী জানেন।’ তিনি বললেন, এটা ঐ পাথর, যেটিকে সত্তর বছর পূর্বে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, এখনই তা জাহান্নামের গভীরতায় (তলায়) পৌঁছল। ফলে তারই পড়ার আওয়াজ তোমরা শুনতে পেলে।
وَعَنْهُ قَالَ : كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ إذْ سَمِعَ وَجْبَةً فَقَالَ هَلْ تَدْرُونَ مَا هَذَا ؟ قُلْنَا : اللهُ وَرَسُولُهُ أعْلَمُ قَالَ هذَا حَجَرٌ رُمِيَ بِهِ في النَّارِ مُنْذُ سَبْعينَ خَريفاً فَهُوَ يَهْوِي في النَّارِ الآنَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى قَعْرِها فَسَمِعْتُمْ وَجْبَتَهَا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২১) আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তার প্রতিপালক কথা বলবেন; তার ও তাঁর মাঝে কোন আনুবাদক থাকবে না। (সেখানে) সে তার ডানদিকে তাকাবে, সুতরাং সেদিকে তা-ই দেখতে পাবে যা সে অগ্রিম পাঠিয়েছিল এবং বামদিকে তাকাবে, সুতরাং সেদিকেও নিজের কৃতকর্ম দেখতে পাবে। আর সামনে তাকাবে, সুতরাং তার চেহারার সামনে জাহান্নাম দেখতে পাবে। অতএব তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়।
عَن عَدِي بنِ حَاتمٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إلاَّ سَيُكَلِّمُهُ رَبُّهُ لَيْسَ بَينَهُ وَبَيْنَهُ تَرْجُمَانٌ فَيَنْظُرُ أَيْمَنَ مِنْهُ فَلاَ يَرَى إلاَّ مَا قَدَّمَ وَيَنْظُرُ أَشْأَمَ مِنْهُ فَلاَ يَرى إلاَّ مَا قَدَّمَ وَيَنظُرُ بَيْنَ يَدَيهِ فَلاَ يَرَى إلاَّ النَّار تِلقَاءَ وَجْهِهِ فَاتَّقُوا النَّارَ وَلَو بِشِقِّ تَمْرَةٍ متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২২) আবূ যার্র (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, অবশ্যই আমি দেখি, যা তোমরা দেখতে পাও না। আকাশ কট্কট্ করে শব্দ করছে। আর এ শব্দ তার করা সাজে। এতে চার আঙ্গুল পরিমাণ এমন জায়গা নেই, যেখানে কোন ফিরিশতা আল্লাহর জন্য সিজদায় নিজ কপাল অবনত রাখেননি। আল্লাহর কসম! তোমরা যদি জানতে যা আমি জানি, তবে তোমরা কম হাসতে এবং বেশী কাঁদতে এবং বিছানায় তোমরা স্ত্রীদের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে না। (বরং) তোমরা আল্লাহর আশ্রয় নেওয়ার জন্য পথে পথে বের হয়ে যেতে।
وَعَنْ أَبيْ ذَرٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إنِّي أَرَى مَا لاَ تَرَوْنَ أطَّتِ السَّمَاءُ وَحُقَّ لَهَا أنْ تَئِطَّ مَا فِيهَا مَوضِعُ أرْبَعِ أصَابعَ إلاَّ وَمَلَكٌ وَاضِعٌ جَبْهَتَهُ سَاجِداً للهِ تَعَالَى وَاللهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيراً وَمَا تَلَذَّذْتُمْ بالنِّسَاءِ عَلَى الفُرُشِ وَلَخَرَجْتُمْ إِلَى الصُّعُدَاتِ تَجْأرُونَ إِلَى اللهِ تَعَالَى رواه الترمذي وَ قَالَ حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২৩) আবূ বারযাহ নাযলাহ ইবনে উবাইদ আসলামী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন বান্দার পা দু’খানি সরবে না। (অর্থাৎ আল্লাহর দরবার থেকে যাওয়ার তাকে অনুমতি দেওয়া হবে না।) যতক্ষণ না তাকে প্রশ্ন করা হবে; তার আয়ু সম্পর্কে, সে তা কিসে ক্ষয় করেছে? তার ইলম (বিদ্যা) সম্পর্কে, সে তাতে কী আমল করেছে? তার মাল সম্পর্কে, কী উপায়ে তা উপার্জন করেছে এবং তা কোন্ পথে ব্যয় করেছে? আর তার দেহ সম্পর্কে, কোন কাজে সে তা ক্ষয় করেছে?
وَعَنْ أَبيْ بَرزَةَ نَضْلَةَ بنِ عُبَيدٍ الأسلَمِي قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ تَزُولُ قَدَمَا عَبْدٍ يَومَ القِيَامَةِ حَتَّى يُسْأَلَ عَن عُمُرِهِ فِيمَ أفنَاهُ ؟ وَعَن عِلمِهِ فِيمَ فَعَلَ فِيهِ ؟ وَعَن مَالِهِ مِنْ أيْنَ اكْتَسَبَهُ ؟ وَفيمَ أنْفَقَهُ ؟ وَعَن جِسمِهِ فِيمَ أبلاهُ ؟ رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২৪) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কেমন করে হাসিখুশি করব, অথচ শিঙ্গা ওয়ালা (ইস্রাফীল তো ফুঁৎকার দেওয়ার জন্য) শিঙ্গা মুখে ধরে আছেন। আর তিনি কান লাগিয়ে আছেন যে, তাঁকে কখন ফুঁৎকার দেওয়ার আদেশ দেওয়া হবে এবং তিনি ফুঁৎকার দেবেন। অতঃপর এ কথা যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের জন্য ভারী বোধ হল। সুতরাং তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরা বল, ’হাসবুনাল্লাহু অনি’মাল অকীল।’ অর্থাৎ, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং উত্তম সাহায্যকারী।
وَعَنْ أَبيْ سَعِيدٍ الخُدرِي قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ كَيْفَ أنْعَمُ وَصَاحِبُ القَرْنِ قَدِ التَقَمَ القَرْنَ وَاسْتَمَعَ الإذْنَ مَتَى يُؤمَرُ بالنَّفْخِ فَيَنْفُخُ فَكَأنَّ ذلِكَ ثَقُلَ عَلَى أصْحَابِ رسولِ الله ﷺ فَقَالَ لَهُمْ قُولُوا : حَسْبُنَا الله وَنِعْمَ الوَكِيلُ رواه الترمذي وَ قَالَ: حديث حسنٌ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি গভীর রাত্রিকে ভয় করে সে যেন সন্ধ্যা রাত্রেই সফর শুরু করে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যারাত্রে চলতে লাগে সে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায়। সাবধান! আল্লাহর পণ্য বড় আক্রা। শোনো! আল্লাহর পণ্য হল জান্নাত।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ خَافَ أدْلَجَ وَمَنْ أدْلَجَ بَلَغَ المَنْزِلَ أَلاَ إنَّ سِلْعَةَ اللهِ غَالِيَةٌ ألاَ إنَّ سِلْعَةَ الله الجَنَّةُ رواه الترمذي
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২৬) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষকে হাশরের ময়দানে উঠানো হবে খালি পা, উলঙ্গ ও খাত্নাবিহীন অবস্থায়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! পুরুষ ও মহিলারা একে অপরের প্রতি দৃষ্টিপাত করবে?’ তিনি বললেন, হে আয়েশা! তাদের এরূপ ইচ্ছা করার চাইতেও কঠিন হবে তখনকার অবস্থা।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, তাদের একে অন্যের দিকে তাকাতাকি করা অপেক্ষা ব্যাপার আরো গুরুত্বর হবে।
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ القِيَامَةِ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلاً قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ جَمِيعاً يَنْظُرُ بَعضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ؟ قَالَ يَا عائِشَةُ الأمرُ أشَدُّ مِنْ أنْ يُهِمَّهُمْ ذلِكَ- وفي رواية الأَمْرُ أهمُّ مِنْ أنْ يَنْظُرَ بَعضُهُمْ إِلَى بَعضٍ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২৭) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক ব্যক্তি ছিল, যে নিজের প্রতি বড় অন্যায় (পাপ) করত। অতঃপর যখন তার মৃত্যুকাল উপস্থিত হল, তখন সে তার ছেলেদেরকে বলল, ’আমি মারা গেলে আমাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলো। তারপর আমার বাকি দেহাংশ পিষে বাতাসে ছড়িয়ে দিও। কেননা, আল্লাহর কসম! যদি তিনি আমাকে উপস্থিত করতে সমর্থ হন, তাহলে আমাকে এমন আযাব দেবেন যেমন আযাব তিনি আর কাউকেই দেবেন না!’ সুতরাং সে মারা গেলে তাই করা হল। আল্লাহ পৃথিবীকে আদেশ করে বললেন, ’তোমার মাঝে (ওর যে দেহাণু আছে) তা জমা কর।’ পৃথিবী তাই করল। ফলে লোকটি (আল্লাহর সামনে) খাড়া হয়ে গেল। আল্লাহ বললেন, ’তুমি যা করেছ তা করতে তোমাকে কে উদ্বুদ্ধ করল?’ লোকটি বলল, ’তোমার ভয়, হে আমার প্রতিপালক!’ ফলে তাকে মাফ করে দেওয়া হল।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَن النَّبِىِّ ﷺ قَالَ أَسْرَفَ رَجُلٌ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ أَوْصَى بَنِيهِ فَقَالَ إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِى ثُمَّ اسْحَقُونِى ثُمَّ اذْرُونِى فِى الرِّيحِ فِى الْبَحْرِ فَوَاللهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَىَّ رَبِّى لَيُعَذِّبُنِى عَذَابًا مَا عَذَّبَهُ بِهِ أَحَدًا قَالَ فَفَعَلُوا ذَلِكَ بِهِ فَقَالَ لِلأَرْضِ أَدِّى مَا أَخَذْتِ فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ فَقَالَ لَهُ مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ فَقَالَ خَشْيَتُكَ يَا رَبِّ أَوْ قَالَ - مَخَافَتُكَ فَغَفَرَ لَهُ بِذَلِكَ
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর আযাবকে ভয় করার গুরুত্ব
(২২৮) আল্লাহ বলেন, যারা তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে, এই বিশ্বাসে তাদের যা দান করবার তা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে। (মু’মিনূনঃ ৬০) আয়েশা (রাঃ) আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেন, ’এ (ভীত-কম্পিত) কি সেই ব্যক্তি, যে ব্যভিচার করে, চুরি করে ও মদ পান করে?’ উত্তরে তিনি বললেন, না, হে সিদ্দীকের বেটি! সে হল সেই ব্যক্তি, যে রোযা রাখে, দান করে ও নামায পড়ে, কিন্তু ভয় করে যে, তা হয়তো কবুল হবে না।
عَن عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ فِي هَذِهِ الْآيَةِ الَّذِينَ يُؤْتُونَ مَا آتَوْا وَقُلُوبُهُمْ وَجِلَةٌ أَنَّهُمْ إِلَى رَبِّهِمْ رَاجِعُونَ يَا رَسُولَ اللهِ هُوَ الَّذِي يَسْرِقُ وَيَزْنِي وَيَشْرَبُ الْخَمْرَ وَهُوَ يَخَافُ اللهَ قَالَ لَا يَا بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ يَا بِنْتَ الصِّدِّيقِ وَلَكِنَّهُ الَّذِي يُصَلِّي وَيَصُومُ وَيَتَصَدَّقُ وَهُوَ يُخَافُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ