পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৫৮। ওয়াইল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হাদরামাওত এলাকায় এখ খন্ড জমি জায়গীর হিসাবে দিয়েছেন।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَهُ أَرْضًا بِحَضْرَمُوتَ
صحيح، الترمذي (١٤١٢)
Narrated Alqamah ibn Wa'il:
The Prophet (ﷺ) bestowed land in Hadramawt as fief.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৫৯। ’আলকামাহ ইবনু ওয়াইল (রাঃ) নিজ সনদে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا جَامِعُ بْنُ مَطَرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
The tradition mentioned above has also been transmitted by ‘Alqamah bin Wa’il through a different chain of narrators.”
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬০। ’আমর ইবনু হুরাইস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আমাকে ঘর বানানোর জন্য এক খন্ড জমি দান করেন এবং তীরের ফলা দিয়ে এর সীমা নির্ধারণ করেন। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে আরো দিবো, আরো দিবো।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ فِطْرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، قَالَ: خَطَّ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَارًا بِالْمَدِينَةِ بِقَوْسٍ، وَقَالَ: أَزِيدُكَ أَزِيدُكَ
ضعيف الإسناد
Narrated Amr ibn Hurayth:
The Messenger of Allah (ﷺ) demarcated a house with a bow at Medina for me. He said: I shall give you more. I shall give you more.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬১। রবী’আহ ইবনু আবূ ’আব্দুর রাহমান (রহঃ) একাধিক সাহাবী সূত্রে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল ইবনুল হারিস আল-মুযনীকে আল-ফুর’ এর পাশ্ববর্তী জায়গায় অবস্থিত কাবালিয়া খনিটি বন্দোবস্ত করে দেন। ঐ খনি থেকে যাকাত ব্যতীত অন্য কিছু ধার্য হয়নি।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ، وَهِيَ مِنْ نَاحِيَةِ الْفُرْعِ، فَتِلْكَ الْمَعَادِنُ لَا يُؤْخَذُ مِنْهَا إِلَّا الزَّكَاةُ إِلَى الْيَوْمِ
ضعيف
Narrated Rabi'ah ibn AbuAbdurRahman:
Rabi'ah reported on the authority of more than one person saying: The Messenger of Allah (ﷺ) assigned as a fief to Bilal ibn al-Harith al-Muzani the mines of al-Qabaliyyah which is in the neighbourhood of al-Fur', and only zakat is levied on those mines up to the present day.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬২। কাসীর ইবনু ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী (রাঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযাইনাহ গোত্রের বিলাল ইবনুল হারিসকে কাবালিয়ার উচ্চ ও নিম্ন ভূমির খনিসমূহ দান করেন। তিনি তাকে কুদস পাহাড়ের কৃষিভূমিও জায়গীর হিসেবে দান করেন। আব্বাস ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারী ’জালসিয়া’ ও ’গাওরিয়া’ শব্দের স্থলে পর্যায়ক্রমে ’জালসা’ ও ’গাওরা’ শব্দের উল্লেখ করেছেন। তিনি কোনো মুসলিমের মালিকানাধীন জমি তাকে দান করেননি অথবা এ জমির উপর কোনো মুসলিমের মালিকানা ছিলো না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে একটি ফরমানও লিখে দিয়েছিলেনঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম, আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ মুযাইনা গোত্রের বিলাল ইবনুল হারিসকে কাবালিয়ার উচ্চ ও নিম্নভূমির খনিসমূহ এবং কুদস পাহাড় সংলগ্ন কৃষিভূমি দান করেছেন। তিনি কোনো মুসলিমের হক তাকে দান করেননি। অন্যান্য বর্ণনাকারী জালসিয়া ও গাওরিয়ার পরিবর্তে জালসা ও গাওরা শব্দ বর্ণনা করেছেন।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ، وَغَيْرُهُ، قَالَ الْعَبَّاسُ: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُوَيْسٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ جَلْسِيَّهَا وَغَوْرِيَّهَا - وَقَالَ غَيْرُهُ: جَلْسَهَا وَغَوْرَهَا - وَحَيْثُ يَصْلُحُ الزَّرْعُ مِنْ قُدْسٍ، وَلَمْ يُعْطِهِ حَقَّ مُسْلِمٍ، وَكَتَبَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا أَعْطَى مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ، أَعْطَاهُ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ جَلْسِيَّهَا وَغَوْرِيَّهَا وَقَالَ غَيْرُهُ: جَلْسَهَا وَغَوْرَهَا، وَحَيْثُ يَصْلُحُ الزَّرْعُ مِنْ قُدْسٍ وَلَمْ يُعْطِهِ حَقَّ مُسْلِمٍ قَالَ أَبُو أُوَيْسٍ: وَحَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ، مَوْلَى بَنِي الدِّيْلِ بْنِ بَكْرِ بْنِ كِنَانَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَهُ
حسن
Narrated Amr ibn Awf al-Muzani:
The Prophet (ﷺ) assigned as a fief to Bilal ibn al-Muzani the mines of al-Qabaliyyah both which lay on the upper side and which lay on the lower side, and (the land) which was suitable for cultivation at Quds. He did not give him (the land which involved) the right of a Muslim. The Prophet (ﷺ) wrote a document for him. It goes: "In the name of Allah, the Compassionate, the Merciful. This is what the Messenger of Allah (ﷺ) assigned to Bilal ibn Harith al-Muzani. He gave him the mines of al-Qabaliyyah, both which lay on the upper side and which lay on the lower side, and (the land) which is suitable for cultivation at Quds. He did not give him the right of any Muslim."
Abu Uwais said: A similar tradition has been narrated to me by Thawr b. Zaid, client of Banu al-Dail b. Bakr b. Kinahah from 'Ikrimah on the authority of Ibn 'Abbas.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬৩। কাসীর ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযাইনাহ গোত্রের বিলাল ইবনুল হারিসকে কাবালিয়ার উচ্চ ও নিম্ন ভূমির খনিসমূহ দান করেছিলেন। ইবনুন নাদর (রহঃ) বলেন, কাবালিয়ার পাশ্ববর্তী ভূমি এবং যাতুন-নুসুর এলাকাও দান করেন। অতঃপর উভয় বর্ণনাকারী বর্ণনা করেন যে, এবং কুদস পাহাড়ের কৃষিভূমিও। তিনি বিলাল ইবনুল হারিসকে কোনো মুসলিমের হক দান করেননি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ফরমান লিখে দেনঃ বিলাল ইবনুল হারিস আল-মুযানীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবালিয়ার উচ্চ ও নিম্ন ভূমির খনিসমূহ এবং এর সংলগ্ন কুদস পাহাড়ের কৃষিভূমি দান করেছেন। এতে কোনো মুসলিমের হক থাকলো না। তবে ইবনুন নাদরের বর্ণনায় রয়েছেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দানের ফরমানটি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) লিখেছিলেন।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النَّضْرِ، قَالَ: سَمِعْتُ الْحُنَيْنِيَّ، قَالَ: قَرَأْتُهُ غَيْرَ مَرَّةٍ - يَعْنِي كِتَابَ قَطِيعَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وحَدَّثَنَا غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا أَبُو أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ، جَلْسِيَّهَا وَغَوْرِيَّهَا، قَالَ ابْنُ النَّضْرِ: وَجَرْسَهَا، وَذَاتَ النُّصُبِ، ثُمَّ اتَّفَقَا، وَحَيْثُ يَصْلُحُ الزَّرْعُ مِنْ قُدْسٍ، وَلَمْ يُعْطِ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ حَقَّ مُسْلِمٍ، وَكَتَبَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذَا مَا أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ، أَعْطَاهُ مَعَادِنَ الْقَبَلِيَّةِ، جَلْسَهَا وَغَوْرَهَا، وَحَيْثُ يَصْلُحُ الزَّرْعُ مِنْ قُدْسٍ وَلَمْ يُعْطِهِ حَقَّ مُسْلِمٍ، قَالَ أَبُو أُوَيْسٍ: وَحَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ، زَادَ ابْنُ النَّضْرِ: وَكَتَبَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ
حسن
Narrated Amr ibn Awf al-Muzani:
The Prophet (ﷺ) assigned as a fief to Bilal ibn Harith al-Muzani the mines of al-Qabaliyyah, both those which lay on the upper side those and which lay on the lower side. The narrator, Ibn an-Nadr, added: "also Jars and Dhat an-Nusub." The agreed version reads: "and (the land) which is suitable for cultivation at Quds". He did not assign to Bilal ibn al-Harith the right of any Muslim. The Prophet (ﷺ) wrote a document to him:
"This is what the Messenger of Allah (ﷺ) assigned to Bilal ibn al-Harith al-Muzani. He gave him the mines of al-Qabaliyyah both those which lay on the upper and lower side, and that which is fit for cultivation at Quds. He did not give him the right of any Muslim."
The narrator AbuUways said: A similar tradition has been transmitted to me by Thawr ibn Zayd from Ikrimah on the authority of Ibn Abbas from the Prophet (ﷺ). Ibn an-Nadr added: Ubayy ibn Ka'b wrote it.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬৪। আব্ইয়াদ ইবনু হাম্মাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি একটি প্রতিনিধি নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন এবং তাঁর কাছে ’লবন কূপটি’ দান হিসেবে চাইলেন। ইবনুল মুতাওয়াক্কিল বলেন, এটা মা’রিব নামক স্থানে অবস্থিত ছিলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে তা দিলেন। আব্ইয়াদ ফিরে যাওয়ার সময় বৈঠকে উপস্থিত এক ব্যক্তি বললো, আপনি কি জানেন তাকে কোন জমি দান করেছেন? আপনি তাকে ঝরণার অফুরন্ত পানি দিয়েছেন। লোকটি বললো, অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার কাছ থেকে ঐ জমি ফিরিয়ে নেন। তিনি বলেন, আবইয়াদ তাঁকে এ জিজ্ঞেস করেন, আরাক গাছে বেড়া দিবে কি না। তিনি বললেনঃ যাতে সেখানে ক্ষুরের পদচারণা না হয়। ইবনুল মুতাওয়াক্কিল বলেন, ক্ষুর বলতে বুঝানো হয়েছে উটের পায়ের ক্ষুর।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلَانِيُّ الْمَعْنَى وَاحِدٌ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ قَيْسٍ الْمَأْرِبِيَّ، حَدَّثَهُمْ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ شَرَاحِيلَ، عَنْ سُمَيِّ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ شُمَيْرٍ قَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ: ابْنِ عَبْدِ الْمَدَانِ، عَنْ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، أَنَّهُ وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَقْطَعَهُ الْمِلْحَ - قَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ: الَّذِي بِمَأْرِبَ فَقَطَعَهُ لَهُ - فَلَمَّا أَنْ وَلَّى قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمَجْلِسِ: أَتَدْرِي مَا قَطَعْتَ لَهُ؟ إِنَّمَا قَطَعْتَ لَهُ الْمَاءَ الْعِدَّ، قَالَ: فَانْتَزَعَ مِنْهُ، قَالَ: وَسَأَلَهُ عَمَّا يُحْمَى مِنَ الأَرَاكِ، قَالَ: مَا لَمْ تَنَلْهُ خِفَافٌ وَقَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ: أَخْفَافُ الْإِبِل
حسن لغيره
Narrated Abyad ibn Hammal:
Abyad went to the Messenger of Allah (ﷺ) and asked him for assigning him (the mines of) salt as fief. (The narrator Ibn al-Mutawakkil said: which was in Ma'arib.)
So he assigned it to him as a fief. When he returned, a man in the meeting asked: Do you know what you have assigned him as a fief? You have assigned him the perennial spring water. So he took it back from him. He asked him about protecting land which had arak trees growing in it. He replied: He could have such as was beyond the region where the hoofs (of camels) went.
The narrator Ibn al-Mutwakkil said: "that is the camel hoofs."
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬৫। মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আল-মাখযুমী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, উটের পদচারণা হবে না’ অর্থাৎ উট গাছের উপরিভাগ খেয়ে থাকে। সুতরাং তা রক্ষার জন্য উপরেই বেড়া দিতে হবে।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَخْزُومِيُّ: مَا لَمْ تَنَلْهُ أَخْفَافُ الْإِبِلِ يَعْنِي أَنَّ الْإِبِلَ تَأْكُلُ مُنْتَهَى رُءُوسِهَا، وَيُحْمَى مَا فَوْقَهُ
ضعيف جدا مقطوع
Muhammad bin Al hasan Al Mukhzumi said “The sentence “that which is not reached by the Camel hoofs” means that the Camels eat (the arak trees) within the reach of their heads. So the land (where the arak trees are growing) may be protected beyond such a region.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬৬। আবইয়াদ ইবনু হাম্মাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তিনি আরাক গাছ সমৃদ্ধ জমি সংরক্ষনার্থে তাকে তা দেয়ার জন্য আবেদন করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আরাক গাছে বেড়া দেয়া যায় না। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তা যদি আমার জমির প্রাচীরের মধ্যে থাকে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আরাক গাছ সমৃদ্ধ ভূমি বেড়া দিয়ে করা যায় না। বর্ণনাকারী ফারাজ বলেন, ’হিদার’ হলো চারদিকে ঘেরা কৃষি জমি।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حِمَى الْأَرَاكِ؟، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا حِمَى فِي الْأَرَاكِ فَقَالَ: أَرَاكَةٌ فِي حِظَارِي، فَقَالَ: النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا حِمَى فِي الْأَرَاكِ قَالَ فَرَجٌ: يَعْنِي بِحِظَارِي الْأَرْضَ الَّتِي فِيهَا الزَّرْعُ الْمُحَاطُ عَلَيْهَا
حسن لغيره
Narrated Abyad ibn Hammal:
He asked the Messenger of Allah (ﷺ) for giving him some land which had arak trees growing in it. The Messenger of Allah (ﷺ) said: There is no (permission for) protecting a land which has arak trees growing in it. He said: These arak trees are within the boundaries of my field. The Prophet (ﷺ) said: There is no (permission for) protecting a land which has arak trees growing in it.
The narrator Faraj said: By the phrase 'within the boundaries of my field' he meant the land which had crop growing in it and was surrounded on four sides.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬৭। উসমান ইবনু আবূ হাযিম (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা সাখর (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ সাক্বীফের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলেন। সাখর (রাঃ) এটা জানতে পেরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহায্যের জন্য কয়েকজন ঘোড় সওয়ার নিয়ে রওয়ানা হলেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিনা বিজয়ে ফিরে আসতে দেখলেন। তখন সাখর (রাঃ) আল্লাহর নামে শপথ করে নিজ দায়িত্ব নিলেন যে, তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশের সামনে মাথা নত করে দূর্গ থেকে বের না হওয়ার পর্যন্ত তিনি তা অবরোধ করে রাখবেন। ব্যাপার তাই হলো।
অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ মেনে দূর্গ থেকে বেরিয়ে এলো। তখন সাখর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ মর্মে চিঠি লিখলেনঃ আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর, হে আল্লাহর রাসূল! বনূ সাক্বীফ আপনার নির্দেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পন করেছে। আমি তাদের কাছে যাচ্ছি। তারা ঘোড় সওয়ার অবস্থায় বের হচ্ছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সংবাদ জানতে পেরে জামা’আতের সালাত আদায়ের জন্য তৈরী হতে নির্দেশ দিলেন। তিনি আহমাস গোত্রের জন্য দশবার দু’আ করলেন। তিনি বললেন, ’হে আল্লাহ! আপনি আহমাস গোত্রের ঘোড়া ও জনশক্তিতে বরকত দান করুন।’ অতঃপর লোকেরা তার কাছে আসলো। তাদের পক্ষ থেকে মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) তাঁর সাথে কথা বললেন।
তিনি বললেন, হে আল্লাহর নবী! সাখর (রাঃ) আমার ফুফুকে ধরে এনেছে। অথচ তিনি ইসলাম কবূল করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে এনে বললেনঃ হে সাখর! কোনো গোত্রের লোক ইসলাম কবূল করলে তারা তাদের জীবনে ও সম্পদের নিরাপত্তা লাভ করে। মুগীরাহর ফুফুকে তার নিকট ফিরিয়ে দাও। তিনি (সাখর) তাকে মুগীরাহর নিকট ফিরিয়ে দিলেন।
সাখর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বনূ সুলাইমের পানির কূপটি চাইলেন। তারা ইসলাম গ্রহণ করার ভয়ে এই কূপ ছেড়ে পালিয়েছিল। সাখর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর নবী! আমাকে ও আমার গোত্রকে এ কূপের নিকটে বসবাসের অনুমতি দিন। তিনি বললেনঃ ঠিক আছে, তিনি তাদেরকে সেখানে বসবাসের অনুমতি দিলেন।
ইতিমধ্যে বনূ সুলাইমের লোকেরা ইসলাম কবূল করলো। তারা সাখরের নিকট এসে তাদের কূপ ফেরত চাইলে তিনি তা ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করলেন। অবশেষে তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললো, হে আল্লাহর নবী! ’আমরা ইসলাম কবূলের পর শাখরের কাছে এসে আমাদের কূপটি ফেরত চাইলে তিনি তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে এনে বললেনঃ হে সাখর! কোনো সম্প্রদায় ইসলাম গ্রহণ করলে তারা নিজেদের জান-মালের নিরাপত্তা পায়। সুতরাং তাদের পানির কূপটি তাদেরকে ফিরিয়ে দাও। তিনি বললেন, হে আল্লাহর নবী! ঠিক আছে। এ সময় আমি লক্ষ্য করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা মুবারাক লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। কেননা সাখরের কাছ থেকে বাদী ও কূপ ফেরত নেয়া হয়েছিল।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَبُو حَفْصٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، قَالَ عُمَرُ: وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ صَخْرٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا ثَقِيفًا، فَلَمَّا أَنْ سَمِعَ ذَلِكَ صَخْرٌ رَكِبَ فِي خَيْلٍ يُمِدُّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَجَدَ نَبِيَّ اللَّهِ صلّى الله عليه وسلم قَدِ انْصَرَفَ، وَلَمْ يَفْتَحْ فَجَعَلَ صَخْرٌ يَوْمَئِذٍ عَهْدَ اللَّهِ وَذِمَّتَهُ: أَنْ لَا يُفَارِقَ هَذَا الْقَصْرَ حَتَّى يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يُفَارِقْهُمْ حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ صَخْرٌ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ ثَقِيفًا قَدْ نَزَلَتْ عَلَى حُكْمِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَنَا مُقْبِلٌ إِلَيْهِمْ وَهُمْ فِي خَيْلٍ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّلَاةِ جَامِعَةً، فَدَعَا لِأَحْمَسَ عَشْرَ دَعَوَاتٍ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأَحْمَسَ، فِي خَيْلِهَا وَرِجَالِهَا وَأَتَاهُ الْقَوْمُ فَتَكَلَّمَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، إِنَّ صَخْرًا أَخَذَ عَمَّتِي، وَدَخَلَتْ فِيمَا دَخَلَ فِيهِ الْمُسْلِمُونَ، فَدَعَاهُ، فَقَالَ: يَا صَخْرُ، إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا، أَحْرَزُوا دِمَاءَهُمْ، وَأَمْوَالَهُمْ، فَادْفَعْ إِلَى الْمُغِيرَةِ عَمَّتَهُ فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ، وَسَأَلَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا لِبَنِي سُلَيْمٍ قَدْ هَرَبُوا عَنِ الْإِسْلَامِ، وَتَرَكُوا ذَلِكَ الْمَاءَ؟ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَنْزِلْنِيهِ أَنَا وَقَوْمِي، قَالَ: نَعَمْ فَأَنْزَلَهُ وَأَسْلَمَ - يَعْنِي السُّلَمِيِّينَ - فَأَتَوْا صَخْرًا فَسَأَلُوهُ أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِمُ الْمَاءَ، فَأَبَى، فَأَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ؟ أَسْلَمْنَا وَأَتَيْنَا صَخْرًا لِيَدْفَعَ إِلَيْنَا مَاءَنَا فَأَبَى عَلَيْنَا، فَأَتَاهُ، فَقَالَ: يَا صَخْرُ، إِنَّ الْقَوْمَ إِذَا أَسْلَمُوا أَحْرَزُوا أَمْوَالَهُمْ وَدِمَاءَهُمْ، فَادْفَعْ إِلَى الْقَوْمِ مَاءَهُمْ، قَالَ: نَعَمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، فَرَأَيْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَغَيَّرُ عِنْدَ ذَلِكَ حُمْرَةً حَيَاءً مِنْ أَخْذِهِ الْجَارِيَةَ، وَأَخْذِهِ الْمَاء
ضعيف الإسناد
Narrated Sakhr ibn al-Ayla al-Ahmasi:
The Messenger of Allah (ﷺ) raided Thaqif. When Sakhr heard this, he proceeded on his horse along with some horsemen to support the Prophet (ﷺ). He found the Prophet of Allah (ﷺ) had returned and he did not conquer (Ta'if).
On that day Sakhr made a covenant with Allah and had His protection that he would not depart from that fortress until they (the inhabitants) surrendered to the command of the Messenger of Allah (ﷺ). He did not leave them until they had surrendered to the command of the Messenger of Allah (ﷺ).
Sakhr then wrote to him: To proceed: Thaqif have surrendered to your command, Messenger of Allah, and I am on my way to them. They have horses with them.
The Messenger of Allah (ﷺ) then ordered prayers to be offered in congregation. He then prayed for Ahmas ten times: O Allah, send blessings the horses and the men of Ahmas.
The people came and Mughirah ibn Shu'bah said to him: Prophet of Allah, Sakhr took my paternal aunt while she embraced Islam like other Muslims.
He called him and said: Sakhr, when people embrace Islam, they have security of their blood and property. Give back to Mughirah his paternal aunt.
So he returned his aunt to him and asked the Prophet of Allah (ﷺ): What about Banu Sulaym who have run away for (fear of) Islam and left that water? He said: Prophet of Allah, allow me and my people to settle there.
He said: Yes. So he allowed him to settle there. Banu Sulaym then embraced Islam, and they came to Sakhr. They asked him to return their water to them. But he refused.
So they came to the Prophet (ﷺ) and said: Prophet of Allah, we embraced Islam and came to Sakhr so that he might return our water to us. But he has refused.
He (the Prophet) then came to him and said: When people embrace Islam, they secure their properties and blood. Return to the people their water.
He said: Yes, Prophet of Allah. I saw that the face of the Messenger of Allah (ﷺ) was reddening at that moment, being ashamed of taking back from him the slave-girl and the water.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬৮। সাবুরাহ ইবনু আব্দুল আযীয ইবনুল রবী আল-যুহানী (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি প্রকান্ড গাছের নীচে মসজিদের স্থানে নামলেন। তিনি সেখানে তিনদিন অবস্থান করলেন। অতঃপর তিনি তাবূকের দিকে রওয়ানা হলেন। যুহাইনা গোত্রের লোকেরা এক প্রশস্ত ভূমিতে এসে তাঁর সাথে মিলিত হলে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেনঃ এখানে কারা বসবাস করে? তারা বললো, যুহাইনা গোত্রের উপগোত্র বনূ রিফা’আহ। তিনি বললেনঃ আমি এ জমি বনূ রিফা’আহকে প্রদান করলাম। তারা এ জমি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিলো। তাদের মধ্যে কেউ নিজ অংশ বিক্রি করে দিলো এবং কেউ বিক্রি করলো না। তারা জমিতে কৃষি কাজ করলো। ইবনু ওয়াহব (রহঃ) বলেন, আমি সাবুরাহর পিতা আব্দুল আযীযকে এ হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমার নিকট এর কিছু অংশ বর্ণনা করেন, কিন্তু সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেননি।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي سَبْرَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الرَّبِيعِ الْجُهَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ فِي مَوْضِعِ الْمَسْجِدِ تَحْتَ دَوْمَةٍ، فَأَقَامَ ثَلَاثًا، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى تَبُوكَ، وَإِنَّ جُهَيْنَةَ لَحِقُوهُ بِالرَّحْبَةِ، فَقَالَ لَهُمْ: مَنْ أَهْلُ ذِي الْمَرْوَةِ؟ فَقَالُوا: بَنُو رِفَاعَةَ مِنْ جُهَيْنَةَ، فَقَالَ: قَدْ أَقْطَعْتُهَا لِبَنِي رِفَاعَةَ فَاقْتَسَمُوهَا فَمِنْهُمْ مَنْ بَاعَ، وَمِنْهُمْ مَنْ أَمْسَكَ فَعَمِلَ، ثُمَّ سَأَلْتُ أَبَاهُ عَبْدَ الْعَزِيزِ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ، فَحَدَّثَنِي بِبَعْضِهِ، وَلَمْ يُحَدِّثْنِي بِهِ كُلِّهِ
حسن الإسناد
Narrated Saburah ibn Ma'bad al-Juhani:
The Prophet (ﷺ) alighted at a place where a mosque has been built under a large tree. He tarried there for three days, and then proceeded to Tabuk. Juhaynah met him on a wide plain. He asked them: who are the people of Dhul-Marwah? They replied: Banu Rifa'ah of Juhaynah. He said: I have given this (land) to Banu Rifa'ah as a fief. Therefore, they divided it. Some of them sold (their share) and others retained and worked on it.
(Sub-narrator Ibn Wahab said: I then asked AbdulAziz about this tradition. He narrated a part of it to me and did not narrate it in full.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৬৯। আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়রকে এক খন্ড খেজুর বাগান জায়গীর হিসেবে দান করেছিলেন।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى يَعْنِي ابْنَ آدَمَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَ الزُّبَيْرَ نَخْلًا
حسن صحيح
Narrated Asma' daughter of AbuBakr:
The Messenger of Allah (ﷺ) assigned to az-Zubayr palm-trees as a fief.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৭০। উলাইবার দু’ কন্যা সফিয়্যাহ ও দুহাইবাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তারা উভয়ে মাখরামাহর কন্যা কাইলাহ (রাঃ)-এর তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হন। তিনি তাদের পিতার দাদী ছিলেন। তিনি তাদের উভয়কে এ হাদীস সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ’আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গেলাম। আমার সঙ্গী বাকর ইবনু ওয়াইল গোত্রের প্রতিনিধি হুরাইস ইবনু হাসসান অগ্রসর হয়ে নিজের ও তাদের গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তাঁর নিকট ইসলাম কবূলের বাই’আত গ্রহণ করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ও বনূ তামীম গোত্রের মধ্যে আদ-দাহনাকে সীমান্ত হিসেবে চিহ্নিত করে দিন। তাদের কেউ এ স্থানটি অতিক্রম করে আমাদের এদিকে আসবে, তবে মুসাফিরের কথা ভিন্ন।
তিনি বললেনঃ হে যুবক! তাকে আদ-দাহনাহ সম্পর্কে লিখে দাও। কাইলাহ (রাঃ) বলেন, আমি যখন দেখলাম যে, তিনি তাকে ঐ স্থানটি লিখে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তখন আমার চিন্তা হলো। কেননা আদ-দাহনাহ আমার জন্মভূমি। এখানেই আমার ঘর-বাড়ি। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে আপনার কাছে সঠিক সীমানা ইনসাফ সহকারে বলেনি। এই আদ-দাহনাহ হচ্ছে উট বাঁধার ও বকরী চড়াবার চরম ভূমি। বনূ তামীম গোত্রের নারী ও শিশুরা এর পিছনেই বসবাস করে। এ কথা শুনে তিনি বললেনঃ হে যুবক! (লিখা) থামাও। এ মহিলা সত্যিই বলেছে। মুসলিম পরস্পর ভাই ভাই। একজনের পানি এবং গাছের দ্বারা অন্যজন উপকৃত হবে এবং বিপদে পরস্পরের সাহায্য করবে।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَعْنَى وَاحِدٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَّانَ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَتْنِي جَدَّتَايَ صَفِيَّةُ، وَدُحَيْبَةُ، ابْنَتَا عُلَيْبَةَ، وَكَانَتَا رَبِيبَتَيْ قَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ، وَكَانَتْ جَدَّةَ أَبِيهِمَا أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُمَا، قَالَتْ قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: تَقَدَّمَ صَاحِبِي - تَعْنِي حُرَيْثَ بْنَ حَسَّانَ - وَافِدَ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، فَبَايَعَهُ عَلَى الْإِسْلَامِ عَلَيْهِ وَعَلَى قَوْمِهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اكْتُبْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ بَنِي تَمِيمٍ بِالدَّهْنَاءِ، أَنْ لَا يُجَاوِزَهَا إِلَيْنَا مِنْهُمْ أَحَدٌ، إِلَّا مُسَافِرٌ أَوْ مُجَاوِرٌ، فَقَالَ: اكْتُبْ لَهُ يَا غُلَامُ بِالدَّهْنَاءِ فَلَمَّا رَأَيْتُهُ قَدْ أَمَرَ لَهُ بِهَا، شُخِصَ بِي وَهِيَ وَطَنِي وَدَارِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ لَمْ يَسْأَلْكَ السَّوِيَّةَ مِنَ الْأَرْضِ إِذْ سَأَلَكَ، إِنَّمَا هِيَ هَذِهِ الدَّهْنَاءُ عِنْدَكَ مُقَيَّدُ الْجَمَلِ، وَمَرْعَى الْغَنَمِ، وَنِسَاءُ بَنِي تَمِيمٍ وَأَبْنَاؤُهَا وَرَاءَ ذَلِكَ، فَقَالَ: أَمْسِكْ يَا غُلَامُ، صَدَقَتِ الْمِسْكِينَةُ، الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ يَسَعُهُمَا الْمَاءُ، وَالشَّجَرُ، وَيَتَعَاوَنَانِ عَلَى الْفَتَّانِ
ضعيف الإسناد
Narrated Qaylah bint Makhramah:
Abdullah ibn Hasan al-Anbari said: My grandmothers, Safiyyah and Duhaybah, narrated to me, that hey were the daughters of Ulaybah and were nourished by Qaylah, daughter of Makhramah. She was the grandmother of their father.
She reported to them, saying: We came upon the Messenger of Allah (ﷺ). My companion, Hurayth ibn Hassan, came to him as a delegate from Bakr ibn Wa'il. He took the oath of allegiance of Islam for himself and for his people.
He then said: Messenger of Allah (ﷺ), write a document for us, giving us the land lying between us and Banu Tamim at ad-Dahna' to the effect that not one of them will cross it in our direction except a traveller or a passer-by.
He said: Write down ad-Dahna' for them, boy. When I saw that he passed orders to give it to him, I became anxious, for it was my native land and my home.
I said: Messenger of Allah, he did not ask you for a true border when he asked you. This land of Dahna' is a place where the camels have their home, and it is a pasture for the sheep. The women of Banu Tamim and their children are beyond it.
He said: Stop, boy! A poor woman spoke the truth: a Muslim is a brother of a Muslim. Each one of them may benefit from water and trees, and they should cooperate with each other against Satan.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৭১। আসমার ইবনু মুদাররিস (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বাই’আত নিলাম। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি কোনো পানির উৎসের নিকট সর্বপ্রথম পৌঁছবে যার নিকট তার পূর্বে কোনো মুসলিম পৌঁছেনি, তা তার জন্য। বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা বের হলো এবং নিশানা লাগাতে থাকলো।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ جَنُوبٍ بِنْتُ نُمَيْلَةَ، عَنْ أُمِّهَا سُوَيْدَةَ بِنْتِ جَابِرٍ، عَنْ أُمِّهَا عَقِيلَةَ بِنْتِ أَسْمَرَ بْنِ مُضَرِّسٍ، عَنْ أَبِيهَا أَسْمَرَ بْنِ مُضَرِّسٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَايَعْتُهُ، فَقَالَ: مَنْ سَبَقَ إِلَى مَاءٍ لَمْ يَسْبِقْهُ إِلَيْهِ مُسْلِمٌ فَهُوَ لَهُ قَالَ: فَخَرَجَ النَّاسُ يَتَعَادَوْنَ يَتَخَاطُّونَ
ضعيف
Narrated Asmar ibn Mudarris:
I came to the Prophet (ﷺ), and took the oath of allegiance to him. He said: If anyone reaches a water which has not been approached before by any Muslim, it belongs to him. The people, therefore, went out running and marking (on the land).
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া
৩০৭২। ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়র (রাঃ)-কে তার ঘোড়ার এক দৌড় পরিমাণ যমীন জায়গীর হিসেবে দিলেন। তিনি তার ঘোড়া ছুটালেন। অতঃপর তা থেমে গেলে সেখানে তার চাবুক নিক্ষেপ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে তার চাবুক পৌঁছার স্থান পর্যন্ত প্রদান করো।[1]
بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْطَعَ الزُّبَيْرَ حُضْرَ فَرَسِهِ، فَأَجْرَى فَرَسَهُ حَتَّى قَامَ، ثُمَّ رَمَى بِسَوْطِهِ، فَقَالَ: أَعْطُوهُ مِنْ حَيْثُ بَلَغَ السَّوْطُ
ضعيف الإسناد
Narrated Abdullah ibn Umar:
The Prophet (ﷺ) gave az-Zubayr the land as a fief up to the reach of his horse when he runs. He, therefore, made his horse run until it stopped. He then threw his flog. Thereupon he said: Give him (the land) up to the point where his flog has reached.