আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১০ টি

পরিচ্ছেদঃ ১৬৫. ইয়ামানের যমীনের হুকুম সম্পর্কে।

৩০১৮. মুহাম্মদ ইবন আহমদ কুরাশী ও হারুন ইবন আবদিল্লাহ (রহঃ) ...... আবইয়ায ইবন হাম্মাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি প্রতিনিধি দলের সাথে উপস্থিত থাকার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাদাকার ব্যাপারে কথাবার্তা বলেন। তখন তিনি বলেনঃ হে সাবার ভ্রাতৃবৃন্দ! সাদাকা দেওয়া তো একটা জরুরী ব্যাপার। তখন সে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের উৎপাদিত শস্য তো কেবল তূলা। আর সাবা শহর তো এখন উজাড় হয়ে গেছে এবং তাদের মাত্র কয়েক ব্যক্তি সাবা শহরে মারিব নামক স্থানে বসবাস করেছে। অবশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে প্রতি বছর মুআফির নামক স্থানের তাঁতীদের তৈরী কাপড়ের সমদামের সত্তর জোড়া দামী কাপড় রাজস্ব খাতে আদায় করার চুক্তিতে আবদ্ধ হন, যারা ’সাবা’-ওয়ালাদের থেকে ’মারিব’ নামক স্থানে অবশিষ্ট ছিল। যা তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইনতিকালের সময় পর্যন্ত সব সময় আদায় করতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর সাদাকা আদায়কারী প্রতিনিধিগণ ঐ চুক্তি লংঘন করেন, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবয়ায ইবন হাম্মালের সাথে সত্তর জোড়া কাপড় গ্রহণের ব্যাপারে করেছিলেন। পরে আবূ বকর (রাঃ) ঐ নির্দেশ ঐরূপে রাখার হুকুম দেন, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুকুম করেছিলেন। অবশেষে আবূ বকর (রাঃ) ইনতিকাল করার পর ঐ চুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং নিয়মিত সাদাকা আদায় প্রথা চালু হয়।

باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ الْيَمَنِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْقُرَشِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي، ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ، سَعِيدٍ - يَعْنِي ابْنَ أَبْيَضَ - عَنْ جَدِّهِ، أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ أَنَّهُ كَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّدَقَةِ حِينَ وَفَدَ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏ "‏ يَا أَخَا سَبَإٍ لاَ بُدَّ مِنْ صَدَقَةٍ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّمَا زَرْعُنَا الْقُطْنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَدْ تَبَدَّدَتْ سَبَأٌ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلاَّ قَلِيلٌ بِمَأْرِبٍ ‏.‏ فَصَالَحَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى سَبْعِينَ حُلَّةِ بَزٍّ مِنْ قِيمَةِ وَفَاءِ بَزِّ الْمَعَافِرِ كُلَّ سَنَةٍ عَمَّنْ بَقِيَ مِنْ سَبَإٍ بِمَأْرِبَ فَلَمْ يَزَالُوا يُؤَدُّونَهَا حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّ الْعُمَّالَ انْتَقَضُوا عَلَيْهِمْ بَعْدَ قَبْضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا صَالَحَ أَبْيَضُ بْنُ حَمَّالٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْحُلَلِ السَّبْعِينَ فَرَدَّ ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى مَا وَضَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى مَاتَ أَبُو بَكْرٍ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه انْتَقَضَ ذَلِكَ وَصَارَتْ عَلَى الصَّدَقَةِ ‏.‏


Narrated Abyad ibn Hammal: Abyad spoke to the Messenger of Allah (ﷺ) about sadaqah when he came along with a deputation to him. He replied: O brother of Saba', sadaqah is unavoidable. He said: We cultivated cotton, Messenger of Allah. The people of Saba' scattered, and there remained only a few at Ma'arib. He therefore concluded a treaty of peace with the Messenger of Allah (ﷺ) to give seventy suits of cloth, equivalent to the price of the Yemeni garments known as al-mu'afir, to be paid every year on behalf of those people of Saba' who remained at Ma'arib. They continued to pay them till the Messenger of Allah (ﷺ) died. The governors after the death of the Messenger of Allah (ﷺ) broke the treaty concluded by Abyad by Hammal with the Messenger of Allah (ﷺ) to give seventy suits of garments. AbuBakr then revived it as the Messenger of Allah (ﷺ) had done till AbuBakr died. When AbuBakr died, it was discontinued and the sadaqah was levied.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭৪. যমীন খন্ড করে বন্দোবস্ত দেওয়া।

৩০৫৩. কুতায়বা ইবন সা’ঈদ সাকাফী এবং মুহাম্মদ ইবন মুতাওয়াককিল আসকালানী (রহঃ) ..... আবইয়ায ইবন হাম্মাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হন এবং লবণ খনির কিছু জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য দরখাস্ত করেন।

ইবন মুতাওয়াককিল বলেনঃ সেটি মা’আরিব নামক স্থানে অবস্থিত ছিল। তখন তিনি তা তাঁকে প্রদান করেন। যখন তিনি (ইবন হাম্মাল) ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন মজলিসের জনৈক ব্যক্তি বলেনঃ আপনি কি অবগত আছেন, কোন যমীন তাকে বন্দোবস্ত দিলেন? আপনি তো তাঁকে এমন যমীন দিলেন, যাতে সব সময় পানি থাকে। রাবী বলেনঃ তখন তিনি তাঁর নিকট হতে সে যমীন ফিরিয়ে নেন।

রাবী বলেনঃ আর তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, পীলু ক্ষেতে বেড়া দিতে হবে কি না? তিনি বলেনঃ বেড়া দিতে হবে, যাতে সেখানে পদচারণা না হতে পারে।

ইবন মুতাওয়াককিল বলেনঃ উটের পদচারণা (না হয়)।

باب فِي إِقْطَاعِ الأَرَضِينَ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلاَنِيُّ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ - أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ قَيْسٍ الْمَأْرِبِيَّ، حَدَّثَهُمْ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ شُرَاحِيلَ، عَنْ سُمَىِّ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ شُمَيْرٍ، - قَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ ابْنِ عَبْدِ الْمَدَانِ - عَنْ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، أَنَّهُ وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْطَعَهُ الْمِلْحَ - قَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ الَّذِي بِمَأْرِبَ - فَقَطَعَهُ لَهُ فَلَمَّا أَنْ وَلَّى قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمَجْلِسِ أَتَدْرِي مَا قَطَعْتَ لَهُ إِنَّمَا قَطَعْتَ لَهُ الْمَاءَ الْعِدَّ ‏.‏ قَالَ فَانْتَزَعَ مِنْهُ قَالَ وَسَأَلَهُ عَمَّا يُحْمَى مِنَ الأَرَاكِ قَالَ ‏"‏ مَا لَمْ تَنَلْهُ خِفَافٌ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ ‏"‏ أَخْفَافُ الإِبِلِ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Abyad ibn Hammal: Abyad went to the Messenger of Allah (ﷺ) and asked him for assigning him (the mines of) salt as fief. (The narrator Ibn al-Mutawakkil said: which was in Ma'arib.) So he assigned it to him as a fief. When he returned, a man in the meeting asked: Do you know what you have assigned him as a fief? You have assigned him the perennial spring water. So he took it back from him. He asked him about protecting land which had arak trees growing in it. He replied: He could have such as was beyond the region where the hoofs (of camels) went. The narrator Ibn al-Mutwakkil said: "that is the camel hoofs."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭৪. যমীন খন্ড করে বন্দোবস্ত দেওয়া।

৩০৫৫. মুহাম্মদ ইবন আহমদ কুরাশী (রহঃ) .... আবয়ায ইবন হাম্মাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট চারণ ভূমির জন্য পীলু বৃক্ষ সংরক্ষণের আবেদন জানান। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পীলু বৃক্ষে বেড়া দেওয়া সম্ভব নয়। তখন তিনি (ইবন হাম্মাল) বলেনঃ আমার ক্ষেতের পীলু গাছ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পীলু বৃক্ষ বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা যায় না। রাবী ফারাজ বলেনঃ এ পীলু বৃক্ষ দ্বারা ঐ যমীনের গাছের কথা বলা হয়েছে, যা তার ফসলের ক্ষেত্রের চারদিকের সীমানায় লাগান ছিল।

باب فِي إِقْطَاعِ الأَرَضِينَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي، ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ حِمَى الأَرَاكِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ حِمَى فِي الأَرَاكِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَرَاكَةً فِي حِظَارِي ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏"‏ لاَ حِمَى فِي الأَرَاكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجٌ يَعْنِي بِحِظَارِي الأَرْضَ الَّتِي فِيهَا الزَّرْعُ الْمُحَاطُ عَلَيْهَا ‏.‏


Narrated Abyad ibn Hammal: He asked the Messenger of Allah (ﷺ) for giving him some land which had arak trees growing in it. The Messenger of Allah (ﷺ) said: There is no (permission for) protecting a land which has arak trees growing in it. He said: These arak trees are within the boundaries of my field. The Prophet (ﷺ) said: There is no (permission for) protecting a land which has arak trees growing in it. The narrator Faraj said: By the phrase 'within the boundaries of my field' he meant the land which had crop growing in it and was surrounded on four sides.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩/৭৮. সরকারীভাবে নদী-নালা ও পানির প্রস্রবণ জায়গিররূপে দান করা

১/২৪৭৫। আবয়াদ ইবনে হাম্মাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সাদ্দ মা’রিব নামক লবণ খনিটি জায়গিররূপে প্রার্থনা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটি জায়গিররূপে দান করলেন। অতঃপর আকরা ইবনে হাবিস আত-তামীমী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! জাহিলী যুগে আমি লবণের খনিটিতে গিয়েছিলাম। ঐ এলাকায় কোন পানি নাই। যে ব্যক্তিই সেখানে যায় সে-ই কিছু লবণ সংগ্রহ করে নেয়। তা প্রবাহিত পানির মতই পর্যাপ্ত। (এ কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবয়াদ বিন হাম্মালের নিকট লবনের চুক্তির প্রত্যাহার চাইলেন।আব্য়াদ ইবনে হাম্মাল বলেন, আমি আপনার সাথে চুক্তি রদ করতে প্রস্তুত এই শর্তে যে, সেটিকে আপনি আমার পক্ষ থেকে দানরূপে গণ্য করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তা তোমার পক্ষ থেকে দান হিসাবেই গণ্য হবে। আর তা প্রবহমান পানির ন্যায়, যে-ই সেখানে যাবে তা নিতে পারবে।

অধস্তন রাবী ফারাজ ইবনে সাঈদ (রাঃ) বলেন, সেটা বর্তমানেও সেভাবেই আছে। যে-ই সেখানে যায়, সে তা থেকে সংগ্রহ করে। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে সেটি ফেরত নেয়ার বিনিময়ে তাকে জুরুফ মুরাদ নামক স্থানের এক খন্ড কৃষিভূমি ও একটি খেজুর বাগান জায়িগিররূপে দান করেন।

بَاب إِقْطَاعِ الْأَنْهَارِ وَالْعُيُونِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي، ثَابِتُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ عَنْ أَبِيهِ، سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ، أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ ‏.‏ أَنَّهُ اسْتَقْطَعَ الْمِلْحَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ مِلْحُ سَدِّ مَأْرِبٍ ‏.‏ فَأَقْطَعَهُ لَهُ ثُمَّ إِنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ التَّمِيمِيَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ وَرَدْتُ الْمِلْحَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَهُوَ بِأَرْضٍ لَيْسَ بِهَا مَاءٌ وَمَنْ وَرَدَهُ أَخَذَهُ وَهُوَ مِثْلُ الْمَاءِ الْعِدِّ ‏.‏ فَاسْتَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبْيَضَ بْنَ حَمَّالٍ فِي قَطِيعَتِهِ فِي الْمِلْحِ ‏.‏ فَقَالَ قَدْ أَقَلْتُكَ مِنْهُ عَلَى أَنْ تَجْعَلَهُ مِنِّي صَدَقَةً ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هُوَ مِنْكَ صَدَقَةٌ وَهُوَ مِثْلُ الْمَاءِ الْعِدِّ مَنْ وَرَدَهُ أَخَذَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجٌ وَهُوَ الْيَوْمَ عَلَى ذَلِكَ مَنْ وَرَدَهُ أَخَذَهُ ‏.‏ قَالَ فَقَطَعَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَرْضًا وَنَخْلاً بِالْجُرْفِ جُرْفِ مُرَادٍ مَكَانَهُ حِينَ أَقَالَهُ مِنْهُ ‏.‏


It was narrated from Abyad bin Hammal: That he asked for a salt flat called the Ma'rib Dam to be given to him, and it was given to him. Then Aqra bin Habis At-Tamimi came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: “O Messenger of Allah (ﷺ), I used to come to the salt flat during the Ignorance period and it was in a land in which there was no water, and whoever came to it took from it. It was (plentiful) like flowing water.” So the Messenger of Allah (ﷺ) asked Abyad bin Hammal to give back his share of the salt flat. He said: “I give it to you on the basis that you make it charity given by me.” The Messenger of Allah said: “It is a charity from you, and it is like flowing water, whoever comes to it may take from it.”(One of the narrators) Faraj said: “That is how it is today, whoever comes to it takes from it.” He said: “The Prophet (ﷺ) gave him land and palm trees in Jurf Murad instead, when he took back the salt flat from him.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. জায়গীর (দান বা পুরষ্কার স্বরূপ) মজুরী প্রসঙ্গে

১৩৮০। আবইয়ায ইবনু হাম্মাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি নিজ অংশের প্রতিনিধি হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে তাদেরকে লবণ খনি প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করেন। তিনি তাকে সেটা দান করেন। তিনি চলে যাওয়ার সময় মজলিসের এক লোক বলেন, আপনি লক্ষ্য করেছেন কি, তাকে কি জায়গীর দিয়েছেন? আপনি প্রস্রবণের অফুরন্ত পানি (প্রচুর লবণ) তাকে প্রদান করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এটাকে তার নিকট হতে ফিরিয়ে নিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (আবইয়াদ) আরাক’ গাছের কোন জমি রক্ষিত করা যায় কি, এবিষয়েও তার নিকট জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেনঃ উটের ক্ষুর যার নাগাল পায় না (অর্থাৎ পশু চারণভূমি ও বসতি এলাকা হতে দূরের জায়গা)।

হাসান, ইবনু মা-জাহ (২৪৭৫)

আবূ ঈসা বলেন, কুতাইবাকে এই হাদীসটি পড়ে শুনালে তিনি তা সমর্থন করেন এবং বলেন, আমার নিকট মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু কাইস আল-মারিবী এরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। মারিব ইয়ামান ইলাকার কোন জায়গার নাম। ওয়াইল ও আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবইয়ায (রহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা গরীব বলেছেন। এ হাদীস মোতাবিক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ আমল করেছেন। তারা মনে করেন সরকার যে কোন লোককে জায়গীর দেওয়ার ক্ষেত্রে অধিকার রাখে।

باب مَا جَاءَ فِي الْقَطَائِعِ

قَالَ قُلْتُ لِقُتَيْبَةَ بْنِ سَعِيدٍ حَدَّثَكُمْ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ قَيْسٍ الْمَأْرِبِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ شُرَاحِيلَ، عَنْ سُمَىِّ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ شُمَيْرٍ، عَنْ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، أَنَّهُ وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْطَعَهُ الْمِلْحَ فَقَطَعَ لَهُ فَلَمَّا أَنْ وَلَّى قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمَجْلِسِ أَتَدْرِي مَا قَطَعْتَ لَهُ إِنَّمَا قَطَعْتَ لَهُ الْمَاءَ الْعِدَّ ‏.‏ قَالَ فَانْتَزَعَهُ مِنْهُ ‏.‏ قَالَ وَسَأَلَهُ عَمَّا يُحْمَى مِنَ الأَرَاكِ قَالَ ‏ "‏ مَا لَمْ تَنَلْهُ خِفَافُ الإِبِلِ ‏"‏ ‏.‏ فَأَقَرَّ بِهِ قُتَيْبَةُ وَقَالَ نَعَمْ ‏.‏
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ قَيْسٍ الْمَأْرِبِيُّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ الْمَأْرِبُ نَاحِيَةٌ مِنَ الْيَمَنِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ وَائِلٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ فِي الْقَطَائِعِ يَرَوْنَ جَائِزًا أَنْ يُقْطِعَ الإِمَامُ لِمَنْ رَأَى ذَلِكَ ‏.‏


Narrated Shumair: that Abyad bin Hammal visited the Messenger of Allah (ﷺ) who asked him to set aside a reserve of salt(a mine). So he reserved it for him. As he was turning away, a man in the gathering said: "Do you know what you reserved for him ? You merely reserved stagnant water for him." He (Shumair) said: "So he left him." He (Shumair) said: "So he asked him (the Prophet (ﷺ)) about making a private pasture of Arak (a type of tree)." He said: "As long as it is not harmed by the hooves of the camels." So I (At-Tirmidhi) recited that before Qutaibah and he said: "Yes". (Another chain) with similar meaning.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৮. (পিলু গাছের ডাল ও পাতা লোকদের থেকে) সংরক্ষণ করা সম্পর্কে

২৬৪৯. আবয়ায ইবনু হাম্মাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পিলু বৃক্ষ সংরক্ষণ করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেনঃ “পিলু বৃক্ষ সংরক্ষণ করা যাবে না।” তখন তিনি (ইবন হাম্মাল) বলেনঃ আমার বেড়ার মধ্যকার পীলু গাছ? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পিলু বৃক্ষ সংরক্ষণ করা যাবে না।”[1] রাবী ফারাজ বলেনঃ ইবনু আবইয়াদ ’আমার বেড়ার মধ্যকার’ দ্বারা বুঝিয়েছেন: ঐ শস্য ক্ষেতকে, যার চারদিক থেকে ঘেরা ছিল।

باب فِي الْحِمَى

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ حَدَّثَنَا الْفَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمِّي ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ سَعِيدٍ عَنْ جَدِّهِ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حِمَى الْأَرَاكِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا حِمَى فِي الْأَرَاكِ فَقَالَ أَرَاكَةٌ فِي حِظَارِي فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا حِمَى فِي الْأَرَاكِ قَالَ فَرَجٌ يَعْنِي أَبْيَضُ بِحِظَارِي الْأَرْضَ الَّتِي فِيهَا الزَّرْعُ الْمُحَاطُ عَلَيْهَا


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা

৩০০০-[১০] আব্ইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট স্বীয় গোত্রের প্রতিনিধিরূপে আসলেন। তখন তিনি মা’রিব-এ অবস্থিত লবণের কূপটি তাঁর নিকট (দান হিসেবে) চাইলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে তা দান করলেন। যখন তিনি রওয়ানা হলেন, তখন এক ব্যক্তি (আক্রা ইবনু হাবিস) বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তাঁকে প্রস্রবণের অফুরন্ত পানি দিয়ে দিলেন। (আক্রা বলেন) অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর নিকট হতে তা ফেরত নিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আব্ইয়ায এটাও জানতে চাইলেন যে, আরাক গাছের কোন্টি রক্ষা করা যায়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যা উটের ক্ষুর নাগাল পায় না। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]

وَعَن أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالِ الْمَأْرِبِيِّ: أَنَّهُ وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْتَقْطَعَهُ الْمِلْحَ الَّذِي بِمَأْرِبَ فَأَقْطَعُهُ إِيَّاهُ فَلَمَّا وَلَّى قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا أَقْطَعْتَ لَهُ الْمَاءَ الْعِدَّ قَالَ: فَرَجَّعَهُ مِنْهُ قَالَ: وَسَأَلَهُ مَاذَا يحمى من الْأَرَاك؟ قَالَ: «مَا لَمْ تَنَلْهُ أَخْفَافُ الْإِبِلِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَه والدارمي

ব্যাখ্যা: (قَالَ رَجُلٌ) ত্বীবীর বর্ণনানুযায়ী লোকটি আকরা বিন হাবিস। একমতে বলা হয়েছে, নিশ্চয় লোকটি ‘আব্বাস বিন মিরদাস (الْمَاءَ الْعِدَّ) অর্থাৎ- এমন অবিরাম পানি যা প্রবাহিত হওয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না।

(فَرَجَّعَه مِنْهُ) ‘‘তিনি তার নিকট থেকে তা ফেরত নিলেন’’। কারী বলেন, এ থেকে বুঝা গেল খনিজ সম্পদ দান করা, ঐ সময় বৈধ হবে যখন তা লুকায়িত থাকবে কষ্ট এবং যোগান ছাড়া যার সামান্য অংশ অর্জন হয় না; যেমন- লবণ, পেট্রোল, মূল্যবান পাথর, লাল সোনা ইত্যাদি। আর যা বাহ্যিক শ্রম এবং কর্ম ছাড়াই যা হতে উদ্দেশ্য অর্জন হয় তা কাউকে নির্দিষ্ট করে দেয়া বৈধ না। বরং তাতে সকল মানুষ অংশীদার; যেমন- ঘাস, উপত্যকার পানি ইত্যাদি। আর বিচারক যখন ফায়সালা দিবে, অতঃপর সে ফায়সালার বিপরীতে হক প্রকাশ পাবে, এমতাবস্থায় বিচারক তার ফায়সালাকে ভেঙ্গে দিবে এবং ঐ ফায়সালা হতে ফিরে আসবে।
 

(عما يحمى مِنْ الْأَرَاك) ফাতহুল ওয়াদূদ গ্রন্থকার বলেন, এটা হতে উদ্দেশ্য হলো- লোকটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ঐ আরাক সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন, যা সংরক্ষণ করা যাবে, যেন লোকটি বলেছে, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কোন্ আরাক সংরক্ষণ করা যাবে?

অধ্যায়ের হাদীসগুলো ঐ কথার উপর প্রমাণ বহন করছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার পরবর্তী ইমামদের জন্য বৈধ হবে কাউকে কোনো খনি নির্দিষ্ট করে দেয়া। আর ‘নির্দিষ্ট করে দেয়া’ উদ্দেশ্য হলো- কোনো মৃত ভূখণ্ড কতক ব্যক্তির সাথে নির্দিষ্ট। চাই তা কোনো খনি হোক অথবা কোনো জমি হোক। তবে তা এ শর্তে যে, ঐ মৃত ভূখণ্ডের সাথে কেউ সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। ইবনুত্ তীন বলেন, কাউকে কোনো কিছু নির্দিষ্ট করে দেয়াকে ঐ সময়ই কেবল إقطاع বলা যাবে, যখন তা ভূসম্পত্তি অথবা স্থাবর সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত হবে। আর কেবল মালে ফাই থেকেই কাউকে কোনো কিছু নির্দিষ্ট করে দেয়া বৈধ। মুসলিম ব্যক্তির অথবা চুক্তিতে আবদ্ধ কোনো অমুসলিম ব্যক্তির অধিকার হতে কাউকে কোনো কিছু নির্দিষ্ট করে দেয়া যাবে না।


أَخْفَافُ الْإِبِلِ অর্থাৎ- চারণভূমি এবং বসতি হতে বিচ্ছিন্ন। এতে ঐ ব্যাপারে দলীল রয়েছে যে, বসতির নিকটবর্তী মৃত ভূখণ্ড নির্দিষ্ট কাউকে আবাদ করতে দেয়া বৈধ না। এটা মূলত শহরবাসীরা তাদের প্রাণীসমূহের চারণভূমি হিসেবে ব্যবহার করবে তার প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়ার কারণে। আর তিনি তাঁর (مَا لَمْ تَنَلْهُ أَخْفَافُ الْإِبِلِ) ‘‘উটের পদচারণা যেখানে পৌঁছেনি’’ এ উক্তি দ্বারা ঐদিকে ইঙ্গিত করেছেন। অর্থাৎ জমি আবাদ করা যেন দূরবর্তী স্থানে হয় যেখানে বিচরণকারী উট না পৌঁছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ দ্রষ্টব্য; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ৩০৬২)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইয়ামেনের ভূমি সম্পর্কিত হুকুম

৩০২৮। আবইয়াদ ইবনু হাম্মাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁর সঙ্গে যাকাত সম্পর্কে আলাপ করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে সাবার অধিবাসীগণ! যাকাত অবশ্যই দিতে হবে। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তুলা আমাদের কৃষি উৎপাদন। আর ’সাবার’ অধিবাসীরা তো উজাড় হয়ে গেছে। তাদের কেউ অবশিষ্ট নেই, শুধু মা’রিব শহরে মুষ্টিমেয় লোক রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্তর জোড়া মু’আফিরী কাপড়ের মূল্যের বিনিময়ে তাদের সাথে সন্ধি করলেন। যা বাজ্জিল মা’আফিরের লোকেরা প্রতি বছর নিয়মিত আদায় করবে।

সাবায় অবশিষ্ট এ লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যু পর্যন্ত এ কর প্রদান করে আসছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তেকালের পর কর্মচারীরা তাঁর সাথে আবইয়াদ ইবনু হাম্মালের জোড়া কাপড় প্রদানের চুক্তি ভঙ্গ করে। আবূ বকর (রাঃ) এটা জানতে পেরে পূর্বের চুক্তিই পুনর্বহাল রাখার হুকুম দেন। বাকর (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর শেষ পর্যন্ত সন্ধিচুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং তারা অপরাপর মুসলিমদের মতো সাদাকাহ আদায় চালু রাখে।[1]

بَابُ مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ الْيَمَنِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْقُرَشِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُمْ قَالَ: حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ سَعِيدٍ يَعْنِي ابْنَ أَبْيَضَ، عَنْ جَدِّهِ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، أَنَّهُ كَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّدَقَةِ حِينَ وَفَدَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: يَا أَخَا سَبَأٍ لَا بُدَّ مِنْ صَدَقَةٍ، فَقَالَ: إِنَّمَا زَرَعْنَا الْقُطْنَ، يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَقَدْ تَبَدَّدَتْ سَبَأٌ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلَّا قَلِيلٌ بِمَأْرِبَ، فَصَالَحَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى سَبْعِينَ حُلَّةً بَزٍّ مِنْ قِيمَةِ وَفَاءِ بَزِّ الْمَعَافِرِ كُلَّ سَنَةٍ عَمَّنْ بَقِيَ مِنْ سَبَأٍ بِمَأْرِبَ فَلَمْ يَزَالُوا يَؤُدُّونَهَا، حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ الْعُمَّالَ انْتَقَضُوا عَلَيْهِمْ بَعْدَ قَبْضِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيمَا صَالَحَ أَبْيَضُ بْنُ حَمَّالٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحُلَلِ السَّبْعِينَ، فَرَدَّ ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى مَا وَضَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى مَاتَ أَبُو بَكْرٍ، فَلَمَّا مَاتَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ انْتَقَضَ ذَلِكَ، وَصَارَتْ عَلَى الصَّدَقَةِ

ضعيف الإسناد


Narrated Abyad ibn Hammal: Abyad spoke to the Messenger of Allah (ﷺ) about sadaqah when he came along with a deputation to him. He replied: O brother of Saba', sadaqah is unavoidable. He said: We cultivated cotton, Messenger of Allah. The people of Saba' scattered, and there remained only a few at Ma'arib. He therefore concluded a treaty of peace with the Messenger of Allah (ﷺ) to give seventy suits of cloth, equivalent to the price of the Yemeni garments known as al-mu'afir, to be paid every year on behalf of those people of Saba' who remained at Ma'arib. They continued to pay them till the Messenger of Allah (ﷺ) died. The governors after the death of the Messenger of Allah (ﷺ) broke the treaty concluded by Abyad by Hammal with the Messenger of Allah (ﷺ) to give seventy suits of garments. AbuBakr then revived it as the Messenger of Allah (ﷺ) had done till AbuBakr died. When AbuBakr died, it was discontinued and the sadaqah was levied.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া

৩০৬৪। আব্ইয়াদ ইবনু হাম্মাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি একটি প্রতিনিধি নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন এবং তাঁর কাছে ’লবন কূপটি’ দান হিসেবে চাইলেন। ইবনুল মুতাওয়াক্কিল বলেন, এটা মা’রিব নামক স্থানে অবস্থিত ছিলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে তা দিলেন। আব্ইয়াদ ফিরে যাওয়ার সময় বৈঠকে উপস্থিত এক ব্যক্তি বললো, আপনি কি জানেন তাকে কোন জমি দান করেছেন? আপনি তাকে ঝরণার অফুরন্ত পানি দিয়েছেন। লোকটি বললো, অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার কাছ থেকে ঐ জমি ফিরিয়ে নেন। তিনি বলেন, আবইয়াদ তাঁকে এ জিজ্ঞেস করেন, আরাক গাছে বেড়া দিবে কি না। তিনি বললেনঃ যাতে সেখানে ক্ষুরের পদচারণা না হয়। ইবনুল মুতাওয়াক্কিল বলেন, ক্ষুর বলতে বুঝানো হয়েছে উটের পায়ের ক্ষুর।[1]

بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَوَكِّلِ الْعَسْقَلَانِيُّ الْمَعْنَى وَاحِدٌ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ قَيْسٍ الْمَأْرِبِيَّ، حَدَّثَهُمْ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ شَرَاحِيلَ، عَنْ سُمَيِّ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ شُمَيْرٍ قَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ: ابْنِ عَبْدِ الْمَدَانِ، عَنْ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، أَنَّهُ وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَقْطَعَهُ الْمِلْحَ - قَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ: الَّذِي بِمَأْرِبَ فَقَطَعَهُ لَهُ - فَلَمَّا أَنْ وَلَّى قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمَجْلِسِ: أَتَدْرِي مَا قَطَعْتَ لَهُ؟ إِنَّمَا قَطَعْتَ لَهُ الْمَاءَ الْعِدَّ، قَالَ: فَانْتَزَعَ مِنْهُ، قَالَ: وَسَأَلَهُ عَمَّا يُحْمَى مِنَ الأَرَاكِ، قَالَ: مَا لَمْ تَنَلْهُ خِفَافٌ وَقَالَ ابْنُ الْمُتَوَكِّلِ: أَخْفَافُ الْإِبِل

حسن لغيره


Narrated Abyad ibn Hammal: Abyad went to the Messenger of Allah (ﷺ) and asked him for assigning him (the mines of) salt as fief. (The narrator Ibn al-Mutawakkil said: which was in Ma'arib.) So he assigned it to him as a fief. When he returned, a man in the meeting asked: Do you know what you have assigned him as a fief? You have assigned him the perennial spring water. So he took it back from him. He asked him about protecting land which had arak trees growing in it. He replied: He could have such as was beyond the region where the hoofs (of camels) went. The narrator Ibn al-Mutwakkil said: "that is the camel hoofs."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কাউকে জায়গীর হিসাবে জমি দেয়া

৩০৬৬। আবইয়াদ ইবনু হাম্মাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তিনি আরাক গাছ সমৃদ্ধ জমি সংরক্ষনার্থে তাকে তা দেয়ার জন্য আবেদন করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আরাক গাছে বেড়া দেয়া যায় না। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তা যদি আমার জমির প্রাচীরের মধ্যে থাকে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আরাক গাছ সমৃদ্ধ ভূমি বেড়া দিয়ে করা যায় না। বর্ণনাকারী ফারাজ বলেন, ’হিদার’ হলো চারদিকে ঘেরা কৃষি জমি।[1]

بَابٌ فِي إِقْطَاعِ الْأَرَضِينَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حِمَى الْأَرَاكِ؟، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا حِمَى فِي الْأَرَاكِ فَقَالَ: أَرَاكَةٌ فِي حِظَارِي، فَقَالَ: النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا حِمَى فِي الْأَرَاكِ قَالَ فَرَجٌ: يَعْنِي بِحِظَارِي الْأَرْضَ الَّتِي فِيهَا الزَّرْعُ الْمُحَاطُ عَلَيْهَا

حسن لغيره


Narrated Abyad ibn Hammal: He asked the Messenger of Allah (ﷺ) for giving him some land which had arak trees growing in it. The Messenger of Allah (ﷺ) said: There is no (permission for) protecting a land which has arak trees growing in it. He said: These arak trees are within the boundaries of my field. The Prophet (ﷺ) said: There is no (permission for) protecting a land which has arak trees growing in it. The narrator Faraj said: By the phrase 'within the boundaries of my field' he meant the land which had crop growing in it and was surrounded on four sides.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবইয়ায ইবনু হাম্মাল মা’রিবী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে