পরিচ্ছেদঃ ৩৫. শাসক কর্তৃক মুশরিকদের উপঢৌকন গ্রহণ

৩০৫৫। ’আব্দুল্লাহ আল-হাওযানী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হালব শহরে আমার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুয়াযযিন বিলাল (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ হলো। আমি বললাম, হে বিলাল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারে ভরণ-পোষণের খরব কিভাবে ব্যবস্থা হতো তা আমাকে বলুন। তিনি বললেন, মহান আল্লাহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (রাসূল করে) পাঠানোর পর থেকে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত আমি তাঁর পরিবারের যাবতীয় বিষয়ের দায়িত্বে ছিলাম।

তাঁর কাছে কোনো বস্ত্রহীন মুসলিম এলে তিনি আমাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহণের নির্দেশ দিতেন এবং আমি ধার করতে বের হতাম। আমি তার জন্য কাপড় কিনে এনে তাকে পরিয়ে দিতাম এবং আহার করাতাম। এমতাবস্থায় মুশরিক সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি এসে আমাকে বললো, হে বিলাল! আমার অনেক সম্পদ রয়েছে। তুমি অন্য কারো কাছ থেকে ধার না করে আমার কাছ থেকে ধার নাও। সুতরাং আমি তাই করলাম।

এ অবস্থায় আমি একদিন উযূ করে সালাতের আযান দিতে উঠি। এ সময় মুশরিক লোকটি একদল ব্যবসায়ীর সাথে এসে উপস্থিত হলো। সে আমাকে দেখামাত্র বললো, হে হাবশী! আমি বললাম, উপস্থিত আছি। সে আমাকে কটূক্তি করাতে আমার মনে খুব বাঁধলো। সে আমাকে আরো বললো, তুমি কি জানো, মাসের কতদিন বাকী আছে? আমি বললাম, প্রায় শেষ। সে বললো, তোমার ও তার (ঋন পরিশোধের সময়ের) মধ্যে চার দিন ব্যবধান। কাজেই আমি তোমাকে ঋণের পরিবর্তে ধরে নিয়ে যাবো এবং মেষপালের রাখাল বানিয়ে তোমাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিবো। তার এরূপ কথা শুনে আমি মর্মাহত হলাম যেমন অন্যান্য লোকদের হয়ে থাকে। আমি যখন ইশার সালাত আদায় করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিজনের কাছে ফিরে আসলেন। আমি তাঁর সাথে দেখা করার অনুমতি চাইলে তিনি তা অনুমতি দিলেন।

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আমি যে মুশরিক ব্যক্তির কাছ থেকে ধার নিয়েছিলাম, সে আমাকে এ কথা বলেছে। আমার এ ঋণ পরিশোধের সামর্থ আপনারও নেই, আমারও নেই। সে আমাকে অপদস্থ করবে। কাজেই ইতোপূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছে এরূপ কোনো মুসলিম জনপদে পলায়ণ করার অনুমতি আমাকে দিন। আমি ততদিন আত্মগোপন থাকার অনুমতি চাই যতদিন না মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ সম্পদের ব্যবস্থা করে দেন যা দিয়ে আমার ঋণ পরিশোধ হবে। এ কথা বলে আমি আমার ঘরে চলে এসে আমার তরবারি, মোজা, জুতা ও ঢাল গুছিয়ে আমার মাথার কাছে রাখি। ইচ্ছা ছিলো, ভোরের আভা ফোঁটা মাত্রই বেরিয়ে পড়বো।

হঠাৎ এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে আমাকে বললো, হে বিলাল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে স্মরণ করেছেন। আমি রওয়ানা হয়ে তাঁর কাছে এসে উপস্থিত হয়ে দেখি, চারটি উট পিঠে বোঝাই সম্পদ নিয়ে বসে আছে। আমি অনুমতি চাইলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ সুসংবাদ গ্রহণ করো! মহান আল্লাহ তোমার ঋণ পরিশোধের জন্য এগুলো পাঠিয়েছেন। পুনরায় তিনি বললেন, তুমি কি দেখছো না চারটি মাল বোঝাই উট বসে আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এই উট এবং এদের পিঠে বোঝাই সম্পদ তোমার জন্য। এগুলো পিঠ বোঝাই বস্ত্র ও খাদ্য দ্রব্য ফাদাকের শাসক আমার জন্য পাঠিয়েছে। এগুলো নিয়ে তোমার ঋণ পরিশোধ করো। আমি তাই করলাম।

অতঃপর বিলাল বললেন, আমি মসজিদে গিয়ে দেখি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে আছেন। আমি তাঁকে সালাম দিলে তিনি বললেনঃ তুমি যে সম্পদ পেয়েছো তা কি করেছো, ঋণ পরিশোধ হয়েছে কি? আমি বললাম, মহান আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সমস্ত ঋণ পরিশোধের তাওফিক দিয়েছেন। এখন আর অবশিষ্ট নেই। তিনি বললেনঃ কিছু সম্পদ অবশিষ্ট আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ অবশিষ্ট সম্পদ তাড়াতাড়ি খরচ করো। তুমি আমাকে এ অবশিষ্ট সম্পদ থেকে রেহাই না দেয়া পর্যন্ত আমি আমার পরিবারের কারো নিকট যাবো না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’ইশার সালাত আদায়ের পর আমাকে ডেকে বললেনঃ তোমাকে দেয়া মালের অবস্থা কি? আমি বললাম, সেগুলো আমার কাছেই আছে। আমার কাছে কেউ আসেনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে রাত কাটালেন। বর্ণনাকারী হাদীসের বাকী অংশ বর্ণনা করলেন। এমন কি পরবর্তী দিনের ইশার সালাত আদায় করে তিনি আমাকে ডাকলেন। তিনি বললেনঃ তোমার কাছে অবশিষ্ট মালের অবস্থা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ আপনাকে তা থেকে চিন্তামুক্ত করেছেন।

তিনি তাকবীর দিলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করলেন। তিনি আশঙ্কা করছিলেন, ঐ সম্পদ তার কাছ থেকে যাওয়া অবস্থায় হয়তো তাঁর মৃত্যু হবে। অতঃপর আমি তাঁকে অনুসরণ করি, তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে এসে এক এক করে তাদের প্রত্যেককে সালাম দিলেন, এভাবে তিনি তাঁর শয়ন কক্ষে ঢুকলেন। এ সেই ঘটনা যা তুমি (’আব্দুল্লাহ আল-হাওযানী) আমাকে জিজ্ঞেস করেছো।[1]

بَابٌ فِي الْإِمَامِ يَقْبَلُ هَدَايَا الْمُشْرِكِينَ

حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ يَعْنِي ابْنَ سَلَّامٍ، عَنْ زَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلَّامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ الْهَوْزَنِيُّ، قَالَ: لَقِيتُ بِلَالًا مُؤَذِّنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَلَبَ، فَقُلْتُ: يَا بِلَالُ حَدِّثْنِي كَيْفَ كَانَتْ نَفَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: مَا كَانَ لَهُ شَيْءٌ، كُنْتُ أَنَا الَّذِي أَلِي ذَلِكَ مِنْهُ مُنْذُ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ، وَكَانَ إِذَا أَتَاهُ الْإِنْسَانُ مُسْلِمًا، فَرَآهُ عَارِيًا، يَأْمُرُنِي فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَقْرِضُ فَأَشْتَرِي لَهُ الْبُرْدَةَ فَأَكْسُوهُ، وَأُطْعِمُهُ، حَتَّى اعْتَرَضَنِي رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ: يَا بِلَالُ، إِنَّ عِنْدِي سَعَةً، فَلَا تَسْتَقْرِضْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا مِنِّي، فَفَعَلْتُ فَلَمَّا أَنْ كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ تَوَضَّأْتُ، ثُمَّ قُمْتُ لِأُؤَذِّنَ بِالصَّلَاةِ، فَإِذَا الْمُشْرِكُ قَدْ أَقْبَلَ فِي عِصَابَةٍ مِنَ التُّجَّارِ، فَلَمَّا أَنْ رَآنِي، قَالَ: يَا حَبَشِيُّ، قُلْتُ: يَا لَبَّاهُ فَتَجَهَّمَنِي، وَقَالَ لِي قَوْلًا غَلِيظًا، وَقَالَ لِي: أَتَدْرِي كَمْ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الشَّهْرِ؟ قَالَ: قُلْتُ قَرِيبٌ، قَالَ: إِنَّمَا بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ أَرْبَعٌ، فَآخُذُكَ بِالَّذِي عَلَيْكَ، فَأَرُدُّكَ تَرْعَى الْغَنَمَ، كَمَا كُنْتَ قَبْلَ ذَلِكَ فَأَخَذَ فِي نَفْسِي مَا يَأْخُذُ فِي أَنْفُسِ النَّاسِ، حَتَّى إِذَا صَلَّيْتُ الْعَتَمَةَ، رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلّى الله عليه وسلم إِلَى أَهْلِهِ، فَاسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَأَذِنَ لِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، إِنَّ الْمُشْرِكَ الَّذِي كُنْتُ أَتَدَيَّنُ مِنْهُ، قَالَ لِي كَذَا وَكَذَا، وَلَيْسَ عِنْدَكَ مَا تَقْضِي عَنِّي، وَلَا عِنْدِي، وَهُوَ فَاضِحِي، فَأْذَنْ لِي أَنْ آبَقَ إِلَى بَعْضِ هَؤُلَاءِ الْأَحْيَاءِ الَّذِينَ قَدْ أَسْلَمُوا، حَتَّى يَرْزُقَ اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَقْضِي عَنِّي، فَخَرَجْتُ حَتَّى إِذَا أَتَيْتُ مَنْزِلِي، فَجَعَلْتُ سَيْفِي وَجِرَابِي وَنَعْلِي وَمِجَنِّي عِنْدَ رَأْسِي، حَتَّى إِذَا انْشَقَّ عَمُودُ الصُّبْحِ الْأَوَّلِ أَرَدْتُ أَنْ أَنْطَلِقَ، فَإِذَا إِنْسَانٌ يَسْعَى يَدْعُو: يَا بِلَالُ أَجِبْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَتَيْتُهُ، فَإِذَا أَرْبَعُ رَكَائِبَ مُنَاخَاتٌ عَلَيْهِنَّ أَحْمَالُهُنَّ، فَاسْتَأْذَنْتُ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَبْشِرْ فَقَدْ جَاءَكَ اللَّهُ بِقَضَائِكَ ثُمَّ قَالَ: أَلَمْ تَرَ الرَّكَائِبَ الْمُنَاخَاتِ الْأَرْبَعَ فَقُلْتُ: بَلَى، فَقَالَ: إِنَّ لَكَ رِقَابَهُنَّ وَمَا عَلَيْهِنَّ، فَإِنَّ عَلَيْهِنَّ كِسْوَةً وَطَعَامًا أَهْدَاهُنَّ إِلَيَّ عَظِيمُ فَدَكَ فَاقْبِضْهُنَّ، وَاقْضِ دَيْنَكَ فَفَعَلْتُ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ، ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ فِي الْمَسْجِدِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَا فَعَلَ مَا قِبَلَكَ؟ قُلْتُ: قَدْ قَضَى اللَّهُ كُلَّ شَيْءٍ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَبْقَ شَيْءٌ، قَالَ: أَفَضَلَ شَيْءٍ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: انْظُرْ أَنْ تُرِيحَنِي مِنْهُ، فَإِنِّي لَسْتُ بِدَاخِلٍ عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَهْلِي حَتَّى تُرِيحَنِي مِنْهُ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَتَمَةَ دَعَانِي، فَقَالَ: مَا فَعَلَ الَّذِي قِبَلَكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: هُوَ مَعِي لَمْ يَأْتِنَا أَحَدٌ، فَبَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الْمَسْجِدِ، وَقَصَّ الْحَدِيثَ حَتَّى إِذَا صَلَّى الْعَتَمَةَ - يَعْنِي - مِنَ الْغَدِ دَعَانِي، قَالَ: مَا فَعَلَ الَّذِي قِبَلَكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: قَدْ أَرَاحَكَ اللَّهُ مِنْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَكَبَّرَ وَحَمِدَ اللَّهَ شَفَقًا مِنْ أَنْ يُدْرِكَهُ الْمَوْتُ، وَعِنْدَهُ ذَلِكَ، ثُمَّ اتَّبَعْتُهُ، حَتَّى إِذَا جَاءَ أَزْوَاجَهُ فَسَلَّمَ عَلَى امْرَأَةٍ، امْرَأَةٍ حَتَّى أَتَى مَبِيتَهُ فَهَذَا الَّذِي سَأَلْتَنِي عَنْهُ

صحيح الإسناد

حدثنا ابو توبة الربيع بن نافع، حدثنا معاوية يعني ابن سلام، عن زيد، انه سمع ابا سلام، قال: حدثني عبد الله الهوزني، قال: لقيت بلالا موذن رسول الله صلى الله عليه وسلم بحلب، فقلت: يا بلال حدثني كيف كانت نفقة رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ قال: ما كان له شيء، كنت انا الذي الي ذلك منه منذ بعثه الله الى ان توفي، وكان اذا اتاه الانسان مسلما، فراه عاريا، يامرني فانطلق فاستقرض فاشتري له البردة فاكسوه، واطعمه، حتى اعترضني رجل من المشركين، فقال: يا بلال، ان عندي سعة، فلا تستقرض من احد الا مني، ففعلت فلما ان كان ذات يوم توضات، ثم قمت لاوذن بالصلاة، فاذا المشرك قد اقبل في عصابة من التجار، فلما ان راني، قال: يا حبشي، قلت: يا لباه فتجهمني، وقال لي قولا غليظا، وقال لي: اتدري كم بينك وبين الشهر؟ قال: قلت قريب، قال: انما بينك وبينه اربع، فاخذك بالذي عليك، فاردك ترعى الغنم، كما كنت قبل ذلك فاخذ في نفسي ما ياخذ في انفس الناس، حتى اذا صليت العتمة، رجع رسول الله صلى الله عليه وسلم الى اهله، فاستاذنت عليه فاذن لي، فقلت: يا رسول الله، بابي انت وامي، ان المشرك الذي كنت اتدين منه، قال لي كذا وكذا، وليس عندك ما تقضي عني، ولا عندي، وهو فاضحي، فاذن لي ان ابق الى بعض هولاء الاحياء الذين قد اسلموا، حتى يرزق الله رسوله صلى الله عليه وسلم ما يقضي عني، فخرجت حتى اذا اتيت منزلي، فجعلت سيفي وجرابي ونعلي ومجني عند راسي، حتى اذا انشق عمود الصبح الاول اردت ان انطلق، فاذا انسان يسعى يدعو: يا بلال اجب رسول الله صلى الله عليه وسلم، فانطلقت حتى اتيته، فاذا اربع ركاىب مناخات عليهن احمالهن، فاستاذنت، فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: ابشر فقد جاءك الله بقضاىك ثم قال: الم تر الركاىب المناخات الاربع فقلت: بلى، فقال: ان لك رقابهن وما عليهن، فان عليهن كسوة وطعاما اهداهن الي عظيم فدك فاقبضهن، واقض دينك ففعلت، فذكر الحديث، ثم انطلقت الى المسجد، فاذا رسول الله صلى الله عليه وسلم قاعد في المسجد فسلمت عليه، فقال: ما فعل ما قبلك؟ قلت: قد قضى الله كل شيء كان على رسول الله صلى الله عليه وسلم، فلم يبق شيء، قال: افضل شيء؟ قلت: نعم، قال: انظر ان تريحني منه، فاني لست بداخل على احد من اهلي حتى تريحني منه فلما صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم العتمة دعاني، فقال: ما فعل الذي قبلك؟ قال: قلت: هو معي لم ياتنا احد، فبات رسول الله صلى الله عليه وسلم، في المسجد، وقص الحديث حتى اذا صلى العتمة - يعني - من الغد دعاني، قال: ما فعل الذي قبلك؟ قال: قلت: قد اراحك الله منه يا رسول الله، فكبر وحمد الله شفقا من ان يدركه الموت، وعنده ذلك، ثم اتبعته، حتى اذا جاء ازواجه فسلم على امراة، امراة حتى اتى مبيته فهذا الذي سالتني عنه صحيح الاسناد


Narrated Abdullah al-Hawzani:

I met Bilal, the Mu'adhdhin of the Messenger of Allah (ﷺ) at Aleppo, and said: Bilal, tell me, what was the financial position of the Messenger of Allah (ﷺ)?

He said: He had nothing. It was I who managed it on his behalf since the day Allah made him Prophet of Allah (ﷺ) until he died. When a Muslim man came to him and he found him naked, he ordered me (to clothe him). I would go, borrow (some money), and purchase a cloak for him. I would then clothe him and feed him.

A man from the polytheists met me and said: I am well off, Bilal. Do not borrow money from anyone except me. So I did accordingly. One day when I performed ablution and stood up to make call to prayer, the same polytheist came along with a body of merchants.

When he saw me, he said: O Abyssinian. I said: I am at your service. He met me with unpleasant looks and said harsh words to me. He asked me: Do you know how many days remain in the completion of this month? I replied: The time is near. He said: Only four days remain in the completion of this month. I shall then take that which is due from you (i.e. loan), and then shall return you to tend the sheep as you did before. I began to think in my mind what people think in their minds (on such occasions). When I offered the night prayer, the Messenger of Allah (ﷺ) returned to his family. I sought permission from him and he gave me permission.

I said: Messenger of Allah, may my parents be sacrificed for you, the polytheist from whom I used to borrow money said to me such-and-such. Neither you nor I have anything to pay him for me, and he will disgrace me. So give me permission to run away to some of those tribes who have recently embraced Islam until Allah gives His Apostle (ﷺ) something with which he can pay (the debt) for me. So I came out and reached my house. I placed my sword, waterskin (or sheath), shoes and shield near my head. When dawn broke, I intended to be on my way.

All of a sudden I saw a man running towards me and calling: Bilal, return to the Messenger of Allah (ﷺ). So I went till I reached him. I found four mounts kneeling on the ground with loads on them. I sought permission.

The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: Be glad, Allah has made arrangements for the payment (of your debt). He then asked: Have you not seen the four mounts kneeling on the ground?

I replied: Yes. He said: You may have these mounts and what they have on them. There are clothes and food on them, presented to me by the ruler of Fadak. Take them away and pay off your debt. I did so.

He then mentioned the rest of the tradition. I then went to the mosque and found that the Messenger of Allah (ﷺ) was sitting there. I greeted him.

He asked: What benefit did you have from your property? I replied: Allah Most High paid everything which was due from the Messenger of Allah (ﷺ). Nothing remains now.

He asked: Did anything remain (from that property)? I said: Yes. He said: Look, if you can give me some comfort from it, for I shall not visit any member of my family until you give me some comfort from it. When the Messenger of Allah (ﷺ) offered the night prayer, he called me and said: What is the position of that which you had with you (i.e. property)?

I said: I still have it, no one came to me. The Messenger of Allah (ﷺ) passed the night in the mosque.

He then narrated the rest of the tradition. Next day when he offered the night prayer, he called me and asked: What is the position of that which you had (i.e. the rest of the property)?

I replied: Allah has given you comfort from it, Messenger of Allah. He said: Allah is Most Great, and praised Allah, fearing lest he should die while it was with him. I then followed him until he came to his wives and greeted each one of them and finally he came to his place where he had to pass the night. This is all for which you asked me.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. শাসক কর্তৃক মুশরিকদের উপঢৌকন গ্রহণ

৩০৫৬। মু’আবিয়া (রাঃ) থেকে আবূ তওবার সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। এতে রয়েছেঃ বিলাল বললেন, ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য আপনারও নেই আমারও নেই। আমার এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব রইলেন। এ অবস্থাটা আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে।[1]

بَابٌ فِي الْإِمَامِ يَقْبَلُ هَدَايَا الْمُشْرِكِينَ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، بِمَعْنَى إِسْنَادِ أَبِي تَوْبَةَ وَحَدِيثِهِ، قَالَ: عِنْدَ قَوْلِهِ مَا يَقْضِي عَنِّي، فَسَكَتَ عَنِّي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاغْتَمَزْتُهَا

صحيح الإسناد

حدثنا محمود بن خالد، حدثنا مروان بن محمد، حدثنا معاوية، بمعنى اسناد ابي توبة وحديثه، قال: عند قوله ما يقضي عني، فسكت عني رسول الله صلى الله عليه وسلم فاغتمزتها صحيح الاسناد


The tradition mentioned above has also been transmitted by Mu’awiyah through a different chain of narrators to the same effect as narrated by Abu Taubah. This version has “I have nothing to pay from me. The Apostle of Allaah(ﷺ) thereupon kept silence and this displeased me.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. শাসক কর্তৃক মুশরিকদের উপঢৌকন গ্রহণ

৩০৫৭। ইয়াদ ইবনু হিমার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি উষ্ট্রী উপঢৌকন দিলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি ইসলাম গ্রহণ করেছো কি? আমি বললাম, না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমাকে মুশরিকদের উপঢৌকন গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।[1]

بَابٌ فِي الْإِمَامِ يَقْبَلُ هَدَايَا الْمُشْرِكِينَ

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ، قَالَ: أَهْدَيْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاقَةً، فَقَالَ: أَسْلَمْتَ؟، فَقُلْتُ: لَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي نُهِيتُ عَنْ زَبْدِ الْمُشْرِكِينَ

حسن صحيح

حدثنا هارون بن عبد الله، حدثنا ابو داود، حدثنا عمران، عن قتادة، عن يزيد بن عبد الله بن الشخير، عن عياض بن حمار، قال: اهديت للنبي صلى الله عليه وسلم ناقة، فقال: اسلمت؟، فقلت: لا، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: اني نهيت عن زبد المشركين حسن صحيح


Narrated Iyad ibn Himar:

I presented a she-camel to the Prophet (ﷺ). He asked: Have you embraced Islam? I replied: No. The Prophet (ﷺ) said: I have been prohibited to accept the present of polytheists.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে