পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬০। ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়িয়ে তাকবীর বলার পর নিম্নোক্ত দু’আ পাঠ করতেনঃ
’’ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহয়ায়া ওয়া মামাতী লিল্লাাহী রব্বিল ’আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লহুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলাহা লী ইল্লা আনতা, আনতা রব্বি ওয়া আনা ’আবদুকা। যালামতু নাফসী ওয়া’তারাফতু বিযামবী ফাগফিরলী যুনূবী জামীআন। লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা ওয়াহদিনী লি-আহসানিল আখলাক্ব। লা ইয়াহদিনী লি-আহসানিহা ইল্লা আনতা ওয়াসরিফ ’আন্নী সাইয়্যিআহা, লা ইয়াসরিফু সাইয়্যিআহা ইল্লা আনতা। লাব্বাইকা ওয়া সা’দাইকা ওয়াল- খায়রু কুল্লুহূ ফী ইয়াদাইকা, ওয়াশ শাররু লাইসা ইলাইকা আনাবিকা ওয়া ইলাইকা তাবারাকতা ওয়া তা’আলাইতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা।’’
অতঃপর রুকু’কালে তিনি এই দু’আ পাঠ করতেনঃ ’’আল্লাহুম্মা লাকা রাকা’তু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু, খাসাআ লাকা সামঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখয়ী ওয়া ’ইযামী ওয়া ’আসাবী।’’
তারপর রুকু’ হতে মাথা উঠিয়ে তিনি এই দু’আ পাঠ করতেনঃ ’’সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্, রব্বানা লাকাল হামদ মিলউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মিলউ মা বায়নাহুমা ওয়া মিলউ মাশি’তা মিন শায়ইন বা’দু।’’
তারপর সিজদার্ সময় এই দু’আ পাঠ করতেনঃ ’’আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাকাহু ওয়া সাওয়ারাহু ফাআহসানা সূরাতাহু ওয়া শাক্কা সাম’আহু ওয়া বাসারাহু ওয়া তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বীন।’’
তারপর সালাত শেষে সালাম ফিরিয়ে তিনি এই দু’আ পাঠ করতেনঃ ’’আল্লাহুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু ওয়ামা আখখারতু, ওয়ামা আসরারতু ওয়ামা আলানতু ওয়ামা আসরাফতু ওয়ামা আনতা আ’লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়াল মুআখখিরু লা-ইলাহা ইল্লা আনতা। [1]
সহীহ : মুসলিম।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَمِّهِ الْمَاجِشُونِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ كَبَّرَ ثُمَّ قَالَ " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ اللهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ لِي إِلَّا أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلَاقِ لَا يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لَا يَصْرِفُ سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . وَإِذَا رَكَعَ قَالَ " اللهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي " . وَإِذَا رَفَعَ قَالَ " سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ " . وَإِذَا سَجَدَ قَالَ " اللهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ فَأَحْسَنَ صُورَتَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ وَتَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . وَإِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ قَالَ " اللهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَالْمُؤَخِّرُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ " .
- صحيح : م
‘Ali b. Ali Talib said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up for prayer, he uttered the takbir (Allah is most great), then said: I have turned my face, breaking with all others, towards Him Who created the heavens and the earth, and I am not a polytheist. My prayer and my devotion, my life and my death belong to Allah, the Lord of the Universe, Who has no partner. That is what I have been commanded, and I am first of Muslims (those who surrender themselves). O Allah, Thou art the King. There is no God but Thee. Thou art my Lord and I am Thy servant. I have wronged myself, but I acknowledge my sin, so forgive me all my sins; Thou Who alone canst forgive sins; and guide me to the best qualities. Thou Who alone canst guide to the best of them; and turn me from evil ones. Thou who alone canst turn from evil qualities. I come to serve and please Thee. All good is in Thy Hands, and evil does not pertain to Thee. I seek refuge in Thee and turn to Thee, Who art blessed and exalted. I ask Thy forgiveness and turn to thee in repentance. When he bowed, he said: O Allah, to Thee I bow, in Thee I trust, and to Thee I submit myself. My hearing, my sight, my brain, my bone and my sinews humble themselves before Thee. When he raised his head, he said: Allah listens to him who praises Him. O our lord, and all praises be to Thee in the whole of the heavens and the earth, and what is between them, and in whatever Thou creates afterwards. When he prostrated himself, he said: O Allah, to Thee I prostrate myself, to Thee I trust, and to Thee I submit myself. My face prostrated itself before Him Who created it, fashioned it, and fashioned it in the best shape, and brought forth its hearing and seeing. Blessed is Allah, the best of creators. When he saluted at the end of the prayer, he said: O Allah, forgive me my former and my latter sins, my open and secret sins, my sins in exceeding the limits, and what Thou knowest better than I. Thou art He Who puts forward and puts back. There is deity but Thee.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬১। ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয সালাতে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলে দু’ হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। তিনি কিরাত পাঠ শেষে রুকু’তে গমনকালে এবং রুকু’ হতে উঠার সময়ও অনুরূপ করতেন। তবে তিনি বসা অবস্থায় হাত উত্তোলন করতেন না। তিনি দু’ সিজদা্ শেষে (অর্থাৎ দুই রাক’আত আদায় শেষে) উঠার সময়ও অনুরূপভাবে হাত উঠাতেন এবং তাকবীর বলে ’আবদুল ’আযীয বর্ণিত পূর্বোক্ত হাদীসে উল্লিখিত দু’আ পাঠ করতেন। তবে এ বর্ণনায় দু’আ কিছুটা কম-বেশি রয়েছে এবং ’’ওয়াল খায়রু কুল্লুহূ ফী ইয়াদাইকা ওয়াশ-শাররু লাইসা ইলাইকা’’- বাক্যটির উল্লেখ নেই। বর্ণনাকারী এতে আরো উল্লেখ করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষে বললেনঃ ’’আল্লাহুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু ওয়া আখখারতু ওয়া আসরারতু ওয়া’আলানতু আনতা ইলাহী লা ইলাহা ইল্লা আনতা।’’[1]
হাসান সহীহ।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْفَضْلِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَيَصْنَعُ مِثْلَ ذَلِكَ إِذَا قَضَى قِرَاءَتَهُ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَيَصْنَعُهُ إِذَا رَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ وَلَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَىْءٍ مِنْ صَلَاتِهِ وَهُوَ قَاعِدٌ وَإِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ كَذَلِكَ وَكَبَّرَ وَدَعَا نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي الدُّعَاءِ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ الشَّىْءَ وَلَمْ يَذْكُرْ " وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ " . وَزَادَ فِيهِ وَيَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلَاةِ " اللهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَأَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ " .
- حسن صحيح
‘Ali b. Ali Talib said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up for (offering) obligatory prayer, he uttered the takbir (Allah is most great) and raised his hands opposite to his shoulders, and he did so when he finished the recitation (of the Qur’an) and when he was about to bow; and he did like that when he raised (his head) after bowing. He did not raise his hands in prayer when he was sitting. When he stood at the end of two rak’ahs, he raised his hands in a similar way and uttered the takbir and supplicated in a more or less the same manner as narrated by ‘Abd al-‘Aziz in his version. This version does not mention the words “All good is in Thy Hands and evil does not pertain to Thee.” And this adds: He said when he finished the prayer: “O Allah, forgive me my former and latter sins, my open and secret sins; Thou art my deity; there is no God but Thee.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬২। শু’আইব ইবনু আবূ হামযাহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির, ইবনু আবূ ফারওয়াহ এবং মদীনার অন্যান্য ফাক্বীহগণ আমাকে বলেছেন, উপরোক্ত দু’আ পাঠকালে তুমি ’’ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন’’ এর স্থলে ’’ওয়া আনা মিনাল-মুসলিমীন’’ বাক্যটি বলবে।[1]
সহীহ মাক্বতূ।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، قَالَ قَالَ لِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ وَابْنُ أَبِي فَرْوَةَ وَغَيْرُهُمَا مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَإِذَا قُلْتَ أَنْتَ ذَاكَ فَقُلْ " وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ " . يَعْنِي قَوْلَهُ " وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ " .
- صحيح مقطوع
Shu’aib b. Abi Hamzah said:
Ibn al-Munkadir, Ibn Abi Farwah and a number of jurists of Madina said to me: When you recite the supplication “I am first of the Muslims,” say instead; “I am one of the Muslims”.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬৩। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দ্রুত গতিতে ক্লান্ত অবস্থায় মসজিদে (সালাতে) উপস্থিত হয়ে বলল, ’’আল্লাহু আকবার আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহ।’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের মধ্যকার কে এই দু’আটি পড়েছে? সে তো মন্দ কিছু বলেনি। তখন লোকটি বলল, আমি হে আল্লাহর রসূল! আমি ক্লান্ত অবস্থায় মসজিদে এসে এই দু’আটি পড়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি দেখতে পেলাম, বারজন মালায়িকাহ্ (ফিরিশতা) এজন্য প্রতিযোগিতায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, কে সর্বাগ্রে দু’আটি আল্লাহর দরবারে নিয়ে যাবেন। বর্ণনাকারী হুমায়িদের বর্ণনায় আরো রয়েছে, তোমাদের কেউ (মসজিদে) এলে যেন স্বাভাবিক গতিতে আসে। অতঃপর ইমামের সাথে যেটুকু সালাত পাবে আদায় করবে এবং সালাতের ছুটে যাওয়া অংশ (ইমামের সালাম ফিরানোর পর) একাকী আদায় করে নিবে।[1]
সহীহ : মুসলিমে অতিরিক্ত অংশ বাদে।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، وَثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى الصَّلَاةِ وَقَدْ حَفَزَهُ النَّفَسُ فَقَالَ اللهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَاتَهُ قَالَ " أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ جِئْتُ وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفَسُ فَقُلْتُهَا . فَقَالَ " لَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَىْ عَشَرَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَرْفَعُهَا " . وَزَادَ حُمَيْدٌ فِيهِ " وَإِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ فَلْيَمْشِ نَحْوَ مَا كَانَ يَمْشِي فَلْيُصَلِّ مَا أَدْرَكَهُ وَلْيَقْضِ مَا سَبَقَهُ " .
- صحيح : م دون الزيادة
Anas b. Malik said:
A man came panting to join the row of worshippers, and said: Allah is most great; praise be to Allah, much praise, good and blessed. When the Messenger of Allah(ﷺ) finished his prayer, he asked: Which of you is the one who spoke the words? He said nothing wrong. Then the man said: I (said), Messenger of Allah (ﷺ); I came and had difficulty in breathing, so I said them. He said: I saw twelve angels racing against one another to be the one to take them to Allah.
The narrator Humaid added: When any of you comes for praying, he should walk as usual (i.e. he should not hasten and run quickly); then he should pray as much as he finds it (along with the imam), and should offer the part of the prayer himself (when the prayer is finished) which the Imam had offered before him.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬৪। ইবনু জুবায়ির ইবনু মুত্বঈম হতে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কোন এক সালাত আদায় করতে দেখেছেন। বর্ণনাকারী ’আমর বলেন, সেটা কোন সালাত ছিল (ফরয না নফল) তা আমার জানা নেই। তিনি (সালাত আদায়কালে) বলেছেন, ’’আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আলহামদু লিল্লাহি কাসীরান, আলহামদু লিল্লাহি কাসীরান, আলহামদু লিল্লাহি কাসীরান, ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও ওয়া আসীলা’’, (তিনবার) ’’আ’উযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রাজীমি মিন নাফখিহি ওয়া নাফসিহি ওয়া হামযিহি।’’ বর্ণনাকারী (’আমর ইবনু মুররাহ) বলেন, নাফখিহি হচ্ছে শয়তানের কবিতা, নাফসিহি হচ্ছে শয়তানের অহঙ্কার এবং হামযিহি হচ্ছে শয়তানের কুমন্ত্রণা।[1]
দুর্বল : মিশকাত ৮১৭, ইরওয়া ৩৪২।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْعَنَزِيِّ، عَنِ ابْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلَاةً قَالَ عَمْرٌو لَا أَدْرِي أَىَّ صَلَاةٍ هِيَ فَقَالَ " اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً " . ثَلَاثًا " أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ نَفْخِهِ وَنَفْثِهِ وَهَمْزِهِ " . قَالَ نَفْثُهُ الشِّعْرُ وَنَفْخُهُ الْكِبْرُ وَهَمْزُهُ الْمُوتَةُ .
- ضعيف : المشكاة ٨١٧ ، الإرواء ٣٤٢
Narrated Jubayr ibn Mut'im:
Jabir saw the Messenger of Allah (ﷺ) observing prayer. (The narrator Amr said: I do not know which prayer he was offering.)
He (the Prophet) said: Allah is altogether great; Allah is altogether great; Allah is altogether great; and praise be to Allah in abundance; and praise be to Allah is abundance; and praise be to Allah in abundance. Glory be to Allah in the morning and after (saying it three times). I seek refuge in Allah from the accursed devil, from his puffing up (nafkh), his spitting (nafth) and his evil suggestion (hamz).
He (Amr) said: His nafth it poetry, his nafkh is pride, and his hamz is madness.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬৫। নাফি’ ইবনু জুবায়ির (রহঃ) হতে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নফল সালাত আদায়কালে বলতে শুনেছি ..... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। [1]
দুর্বল।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم يَقُولُ فِي التَّطَوُّعِ ذَكَرَ نَحْوَهُ .
- ضعيف
The above mentioned tradition has also been reported by Jubair b. Mut’im through a different chain of narrators. This version adds:
I head the Prophet(ﷺ) uttering (all these supplications) in a supererogatory prayer; he narrated the tradition in a similar manner.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬৬। ’আসিম ইবনু হুমায়িদ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত কিসের দ্বারা আরম্ভ করতেন সে সম্পর্কে আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তুমি আমাকে এমন একটি প্রশ্ন করেছ যা ইতিপূর্বে কেউ করেনি। অতঃপর তিনি বলেন, তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে প্রথমে দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদুলিল্লাহ, দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং দশবার আস্তাগফিরুল্লাহ বলতেন। তারপর এই দু’আ পড়তেনঃ ’’আল্লাহুম্মাগফির লী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী, ওয়া ’আফিনী।’’এছাড়া তিনি কিয়ামতের দিনের সংকীর্ণ স্থান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। [1]
হাসান সহীহ।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, বর্ণনাকারী খালিদ ইবনু মা’দান, রবী’আহ হতে ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، أَخْبَرَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ الْحَرَازِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ يَفْتَتِحُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قِيَامَ اللَّيْلِ فَقَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ إِذَا قَامَ كَبَّرَ عَشْرًا وَحَمِدَ اللهَ عَشْرًا وَسَبَّحَ عَشْرًا وَهَلَّلَ عَشْرًا وَاسْتَغْفَرَ عَشْرًا وَقَالَ " اللهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي " . وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ .
- حسن صحيح
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
Asim ibn Humayd said: I asked Aisha: By what words the Messenger of Allah (ﷺ) would begin his supererogatory prayer at night?
She replied: You ask me about a thing of which no one asked me before you. When he stood up, be uttered the takbir (Allah is most great) ten times, and uttered "Praise be to Allah" ten times, and uttered "Glory be to Allah " ten times, and uttered "There is no god but Allah" ten times, and sought forgiveness ten times, and said: O Allah, forgive me, and guide me, and give me sustenance, and keep me well, and he sought refuge in Allah from the hardship of standing before Allah on the Day of Judgment.
Abu Dawud said: This tradition has also been narrated by Khalid b. Ma'dan from Rab'iah al-Jarashi on the authority of 'Aishah.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬৭। আবূ সালামা ইবনু ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত কিসের দ্বারা আরম্ভ করতেন? তিনি বললেন, তিনি রাতে দন্ডায়মান হয়ে এই দু’আ দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেনঃ ’’আল্লাহুম্মা রব্বা জিবরীলা ওয়া মীকাঈলা ওয়া ইসরাফিলা ফাত্বিরাস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা, ’আলিমুল গায়বি ওয়াশ শাহাদাতি, আনতা তাহকুমু বাইনা ’ইবাদিকা ফীমা কানূ ফীহি ইয়াখতালিফূন। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাক্বক্বি বি-ইযনিকা, ইন্নাকা আনতা তাহদী মান তাশাউ ইলা সিরাত্বিম মুসতাক্বীম।’’ [1]
হাসান : মুসলিম।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ نَبِيُّ اللهِ صلي الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ صَلَاتَهُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَفْتَتِحُ صَلَاتَهُ " اللهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ أَنْتَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ " .
- حسن : م
Abu Salamah b. ‘Abd al-Rahman b. ‘Awf said:
I asked ‘A’ishah: By what words the Prophet(ﷺ) used to begin his prayer when he stood up at night (to offer tahajjud prayer). She said: When he stood up at night, he began his prayer by saying: O Allah, Lord of Jibra’il, Lord of Mik’ail, and Lord of Israfil, Creator of the Heavens and the Earth, the Knower of what is seen and of what is unseen; Thou decides between Thy servants in which they used to differ. Guide me to the truth where there is a difference of opinion by Thy permission. Thou guidest anyone Thou wishes to the right path.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬৮। ’ইকরামাহ একই সানাদে ভিন্ন শব্দে ও অর্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে (তাহাজ্জুদ) সালাতে দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার উচ্চারণ করে বলতেন ... (হাদীস)।[1]
হাসান।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُوحٍ، قُرَادٌ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، بِإِسْنَادِهِ بِلَا إِخْبَارٍ وَمَعْنَاهُ قَالَ كَانَ إِذَا قَامَ بِاللَّيْلِ كَبَّرَ وَيَقُولُ .
- حسن
The above mentioned tradition has been reported by ‘Ikramah with a different chain of narrators. This version adds:
When he stood up, he said the takbir (Allah is most great) and said. . . .
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৬৯। মালিক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফরয ও নফল যে কোন সালাতেই সালাতের প্রথমে, মাঝে বা শেষ দিকের যে কোন সময়ে দু’আ পড়া যায়।[1]
সহীহ মাক্বতূ।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ لَا بَأْسَ بِالدُّعَاءِ فِي الصَّلَاةِ فِي أَوَّلِهِ وَأَوْسَطِهِ وَفِي آخِرِهِ فِي الْفَرِيضَةِ وَغَيْرِهَا .
- صحيح مقطوع
Malik said:
There is no harm in uttering supplication in prayer, in its beginning, in its middle, and in the end, in obligatory prayer or other.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৭০। রিফা’আহ ইবনু রাফি’ আয-যুরাকী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সালাত আদায় করছিলাম। সে সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু’ হতে মাথা উঠিয়ে সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ বললে এক ব্যক্তি বলে উঠেন- ’’আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহ’’। সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই দু’আ পাঠকারী কে? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি দেখলাম, তিরিশেরও অধিক মালায়িকাহ্ (ফিরিশতা) তা সর্বাগ্রে লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রতিযোগিতা করছে। [1]
সহীহ : বুখারী।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْمُجْمِرِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ " سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم اللهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ بِهَا آنِفًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلَاثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلَ " .
- صحيح : خ
Rifa’ah b. Rafi’ said:
One day we were praying behind the Messenger of Allah (ﷺ). When the Messenger of Allah (ﷺ) raised his head after bowing, he said: Allah listened to him who praised Him. A man behind the Messenger of Allah(ﷺ) said: O Allah, Our Lord, and to Thee be praise, much praise, good and blessed. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he asked: Which of you if the one who spoke (the words) just now. The man said: I (uttered) these words, Prophet of Allah. The Messenger of Allah(ﷺ) said: I saw more than thirty angels racing against one another to be the one to write them first.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৭১। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলূলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্য রাতে (তাহাজ্জুদ) সালাতে দন্ডায়মান হয়ে বলতেনঃ ’’আলাহুম্মা লাকাল হামদু আনতা নূরুস-সামাওয়াতি ওয়াল-আরদি, ওয়া লাকাল-হামদু আনতা রব্বুস-সামাওয়াতি ওয়াল-আরদি, ওয়া মান ফীহিন্না, আনতাল হাক্কু, ওয়া ক্বাওলুকাল-হাক্কু, ওয়া ওয়া’দুকাল-হাক্কু, ওয়া লিক্বাউকা হাক্কুন, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান-নারু হাক্কুন, ওয়াস্-সা’আতু হাক্কুন। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া ’আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইকা আনাবতু ওয়া বিকা খাসামতু, ওয়া ইলাইকা হাকামতু ফাগফির লী মা ক্বাদ্দামতু ওয়া আখখারতু ওয়া আসরারতু ওয়া আ’লানতু, আনতা ইলাহী, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।’’ [1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ يَقُولُ " اللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيَّامُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ أَنْتَ الْحَقُّ وَقَوْلُكَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَأَخَّرْتُ وَأَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ " .
- صحيح : ق
Ibn ‘Abbas said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up for praying at midnight, he said: o Allah, be praise to Thee, Thou art the light of the heavens and the earth; and to Thee be praise; Thou are the maintainer of the heavens and the earth; and to Thee be praise, Thou art the heavens and the earth and what is between them; Thou art the truth, and Thy statement is truth; and Thy promise is the truth; and the visitation with Thee is true; and the Paradise is true and the Hell-fire is true and the Hour is true; O Allah, to Thee I turned my attention, and by Thee I disputed, and to Thee I brought forth my case, so forgive me my former and latter sins, and my secret and open sins, Thou art my deity, there is no deity but Thou.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৭২। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদ সালাতে আল্লাহু আকবার বলার পর বলতেন ..... পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ، حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَنَا طَاوُسٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي التَّهَجُّدِ يَقُولُ بَعْدَ مَا يَقُولُ " اللهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ ذَكَرَ مَعْنَاهُ .
- صحيح : م
Ibn ‘Abbas said:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to say in his tahajjud prayer(i.e. supererogatory prayer offered in or after the midnight) after he said the takbir; he then narrated the tradition to the same effect.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৭৩। মু’আয ইবনু রিফা’আহ ইবনু রাফি’ হতে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে সালাত আদায় করি। এমন সময় রিফা’আহ হাঁচি দিয়ে বলেন, ’আলহামুদিল্লাহি হামদান কাসীরান তাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহি মুবারাকান ’আলাইহি কামা ইউহিব্বু রব্বুনা ওয়া ইরায়দা।’’ সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সালাতের মধ্যে এই দু’আটি কে পাঠ করেছে? অতঃপর অবশিষ্ট হাদীস মালিক বর্ণিত পূর্ববতী হাদীসের অনুরূপ।[1]
হাসান।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، نَحْوَهُ قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَمِّ، أَبِيهِ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَعَطَسَ رِفَاعَةُ لَمْ يَقُلْ قُتَيْبَةُ رِفَاعَةُ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَقَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلَاةِ " . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ وَأَتَمَّ مِنْهُ .
- حسن
Narrated Rifa'ah ibn Rafi':
I offered prayer behind the Messenger of Allah (ﷺ). Rifa'ah sneezed. The narrator Qutaybah did not mention the name Rifa'ah (but he said: I sneezed). So I said: Praise be to Allah, praise much, good and blessed therein, blessed thereupon, as our Lord likes and is pleased. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he turned and said: Who was the speaker in prayer? He then narrated the rest of the tradition like that of Malik and completed it.
পরিচ্ছেদঃ ১২১. যে দু‘আ পড়ে সালাত আরম্ভ করতে হয়
৭৭৪। ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমির হতে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে সালাত আদায়কালে আনসার গোত্রের জনৈক যুবক হাঁচি দিয়ে বলল,
’’আলহামদু লিল্লাহে হামদান কাসীরান তাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহি হাত্তা ইয়ারদা রব্বুনা ওয়া বা’দু মা ইয়ারদা মিন আমরিদ্-দুনয়া ওয়াল-আখিরাহ।’’
সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই কথাগুলো কে বলেছে? যুবকটি এ সময় নীরব থাকল। তিনি পুনরায় বললেন, এই কথাগুলো কে বলেছে? সে তো মন্দ কিছু বলেনি। তখন যুবকটি বলল, হে আল্লাহর রসূল! এগুলো আমিই বলেছি এবং আমি ভাল উদ্দেশেই বলেছি। তিনি বললেনঃ এ উক্তিগুলো কোথাও অপেক্ষা করেনি, বরং মহিয়ান রহমানের আরশে পৌঁছে গেছে।[1]
দুর্বল।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ عَطَسَ شَابٌّ مِنَ الأَنْصَارِ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ حَتَّى يَرْضَى رَبُّنَا وَبَعْدَ مَا يَرْضَى مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ الْقَائِلُ الْكَلِمَةَ " . قَالَ فَسَكَتَ الشَّابُّ ثُمَّ قَالَ " مَنِ الْقَائِلُ الْكَلِمَةَ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَنَا قُلْتُهَا لَمْ أُرِدْ بِهَا إِلَّا خَيْرًا . قَالَ " مَا تَنَاهَتْ دُونَ عَرْشِ الرَّحْمَنِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى " .
- ضعيف
Rabi’ah said:
A young man from the Ansar sneezed behind the Messenger of Allah (ﷺ) while he was praying. He then said: Praise be to Allah, much, good, blessed, till our Lord is pleased (with us) in the affairs relating to this world and to the other world. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he said: Who was the speaker of these words (in prayer)? The young man kept silence. He again asked: Who was the speaker of these words? He did not say wrong. He said: Messenger of Allah, I said these (words). I did not intend by them but good. He said: These words did not stay below the Throne of the Compassionate (Allah).