পরিচ্ছেদঃ ৫১৭. পরিচ্ছেদ নাই
৭৬৩। আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... রিফা’আ ইবনু রাফি’ যুরাকী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম। তিনি যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বললেন, তখন পিছন থেকে এক সাহাবী رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ বললেন। সালাত শেষ করে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কে এরূপ বলেছিল? সে সাহাবী বললেন, আমি। তখন তিনি বললেনঃ আমি দেখলাম ত্রিশ জনের বেশী ফিরিশতা এর সাওয়াব কে আগে লিখবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন।
باب
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ". قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ ". قَالَ أَنَا. قَالَ " رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلاَثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا، أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلُ "
Narrated Rifa`a bin Rafi` Az-Zuraqi:
One day we were praying behind the Prophet. When he raised his head from bowing, he said, "Sami`a l-lahu liman hamidah." A man behind him said, "Rabbana wa laka l-hamdu, hamdan kathiran taiyiban mubarakan fihi" (O our Lord! All the praises are for You, many good and blessed praises). When the Prophet completed the prayer, he asked, "Who has said these words?" The man replied, "I." The Prophet said, "I saw over thirty angels competing to write it first." Prophet rose (from bowing) and stood straight till all the vertebrae of his spinal column came to a natural position.
পরিচ্ছেদঃ ৯. ইমামের খুতবাকালে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা
১৮৯৮। শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) ... আবূ রিফা’আ (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌছিলাম, তখন তিনি খুতবা দিচ্ছিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! একজন মুসাফির এসেছে সে দ্বীন সম্পর্কে জানতে চায়। রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন খুতবা বন্ধ করে আমার দিকে অগ্রসর হলেন এবং আমার নিকট এসে পৌছলেন। অতঃপর একটি কুরসী আনা হল, আমার ধারণা এর পায়াগুলো ছিল লোহার। রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর বসলেন, এবং আল্লাহ তাঁকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে তিনি আমাকেও শিখালেন। এরপর তিনি পুনরায় খুতবা দিতে লাগলেন এবং খুতবা শেষ করলেন।
باب التَّحِيَّةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، قَالَ قَالَ أَبُو رِفَاعَةَ انْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَخْطُبُ قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَجُلٌ غَرِيبٌ جَاءَ يَسْأَلُ عَنْ دِينِهِ لاَ يَدْرِي مَا دِينُهُ - قَالَ - فَأَقْبَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَرَكَ خُطْبَتَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَىَّ فَأُتِيَ بِكُرْسِيٍّ حَسِبْتُ قَوَائِمَهُ حَدِيدًا - قَالَ - فَقَعَدَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَعَلَ يُعَلِّمُنِي مِمَّا عَلَّمَهُ اللَّهُ ثُمَّ أَتَى خُطْبَتَهُ فَأَتَمَّ آخِرَهَا .
Abu Rifa'a reported:
I came to the Prophet (ﷺ) when he was delivering the sermon, and I said: Messenger of Allah, here is a stranger and he wants to learn about this religion and he does not know what this religion is. The Messenger of Allah (ﷺ) looked at me and left his sermon till he came to me, and he was given a chair and I thought that Its legs were made of iron. The Messenger of Allah (ﷺ) sat In it and he began to teach me what Allah had taught him. He then came (to the pulpit) for his sermon and completed it to the end.
পরিচ্ছেদঃ ১০. জুমু'আর সালাতে যা পড়া হবে
১৮৯৯। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা ইবনু কা’নাব (রহঃ) ... ইবনু আবূ রাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মারওয়ান আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে মদিনায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত করে মক্কায় চলে গেলেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) আমাদের নিয়ে জুমুআর দিন সালাত আদায় করলেন। তিনি সূরা জুমু’আর পর দ্বিতীয় রাক’আত সূরা মুনাফিকুন পড়লেন। রাবী বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) যখন চলে যাচ্ছিলেন তখন আমি তাকে ধরলাম। তারপর তাকে বললাম, আপনি এমন দুটি সূরা পাঠ করলেন যে দুটি সূরা আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) কুফায় পাঠ করতেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ সূরা দু’টি জুমু’আর দিন পাঠ করতে শুনেছি।
باب مَا يُقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - وَهُوَ ابْنُ بِلاَلٍ - عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي رَافِعٍ، قَالَ اسْتَخْلَفَ مَرْوَانُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَلَى الْمَدِينَةِ وَخَرَجَ إِلَى مَكَّةَ فَصَلَّى لَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْجُمُعَةَ فَقَرَأَ بَعْدَ سُورَةِ الْجُمُعَةِ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ ( إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ) - قَالَ - فَأَدْرَكْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ حِينَ انْصَرَفَ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّكَ قَرَأْتَ بِسُورَتَيْنِ كَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَقْرَأُ بِهِمَا بِالْكُوفَةِ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهِمَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ .
Ibn Abu Rafi' said:
Marwan appointed Abu Huraira as his deputy in Medina and he himself left for Mecca. Abu Huraira led us in the Jumu'a prayer and recited after Surah Jumu'a in the second rak'ah:" When the hypocrites came to thee" (Surah 63). I then met Abu Huraira as he came back and said to him: You have recited two surahs which 'Ali b. Abu Talib used to recite in Kufah. Upon this Abu Huraira said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) reciting these two in the Friday (prayer).
পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
২২/১৮৩৮। রিফাআহ ইবনে রাফে’ যুরাক্বী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিবরীল এসে বললেন, ’বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদেরকে আপনাদের মাঝে কিরূপ গণ্য করেন?’ তিনি বললেন, ’’সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিমদের শ্রেণীভুক্ত গণ্য করি।’’ অথবা অনুরূপ কোন বাক্যই তিনি বললেন। [জিবরীল] বললেন, ’বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ফিরিশতাগণও অনুরূপ [সর্বশ্রেষ্ঠ ফিরিশতাগণের শ্রেণীভুক্ত]।’ (বুখারী) [1]
(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا
وَعَنْ رِفَاعَةَ بنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: جَاءَ جِبرِيلُ إلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: مَا تَعُدُّوْنَ أَهْلَ بَدْرٍ فِيكُمْ؟ قَالَ: «مِنْ أَفْضَلِ المُسْلِمِينَ» أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا . قاَلَ : وَكَذلِكَ مَنْ شَهِدَ بَدْراً مِنَ المَلائِكَةِ . رواه البخاري
(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour
Rifa'ah bin Rafi' Az-Zuraqi (May Allah be pleased with him) said:
Jibril (Gabriel) came to the Prophet (ﷺ) and asked him: "How do you estimate among you those who participated in the battle of Badr?" He replied, "They were the best of Muslims" (or he may have said something similar to that). Jibril said: "The same is the case with the angels who were at Badr."
[Al- Bukhari].
Commentary: The Hadith highlights the superiority of those Companions, as well those angels, who participated in the battle of Badr against the forces of Kufr. The Qur'an confirms the fact that the angels fought along with Muslims in this historic battle.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৭০. আল-কানবী ..... রিফাআ ইবনু রাফে আয-যুরাকী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে নামায আদায় করি তিনি যখন রুকূ হতে মাথা উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলেন, তখন এক ব্যক্তি বলে উঠেন-“আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাছীরান তাইয়েবান মুবারাকান ফীহ”। নামাযান্তে রাসূলুল্লহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ এই দু’আ পাঠকারী কে? ঐ ব্যক্তি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি তিরিশেরও অধিক ফেরেশতাকে তা সবাগ্রে লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রতিযোগিতা করতে দেখেছি। (বুখারী, নাসাঈ)।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ بِهَا آنِفًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلاَثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلَ " .
Rifa’ah b. Rafi’ said:
One day we were praying behind the Messenger of Allah (ﷺ). When the Messenger of Allah (ﷺ) raised his head after bowing, he said: Allah listened to him who praised Him. A man behind the Messenger of Allah(ﷺ) said: O Allah, Our Lord, and to Thee be praise, much praise, good and blessed. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he asked: Which of you if the one who spoke (the words) just now. The man said: I (uttered) these words, Prophet of Allah. The Messenger of Allah(ﷺ) said: I saw more than thirty angels racing against one another to be the one to write them first.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৪. যে ব্যাক্তি রুকু ও সিজদা হতে উঠে পিঠ সোজা করে না।
৮৫৮. আল-হাসান ইবনু আলী ..... রিফাআ ইবনু রাফে হতে পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ অর্থে বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেনঃ অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরাশাদ করেনঃ আল্লাহর নির্দেশমত পরিপূর্ণভাবে উযূ (ওজু/অজু/অযু) না করলে কারও নামায শুদ্ধ হবে না। সে তার মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং মাথা মাসেহ্ করবে এবং উভয় পা গোছাসহ ধৌত করবে। অতঃপর “তাকবীরে তাহরীমা” বলে হামদ পাঠ করতঃ কুরআনের সেই অংশ পাঠ করবে, যা তার জন্য সহজ। অতঃপর রাবী হাম্মাদের হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেন এবং তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ “আল্লাহু আকবার” বলে সিজদা করবে এবং কপাল এমনভাবে মাটিতে স্থাপন করবে যে, শরীরের জোড়াসমূহ স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি অবস্থান করে এবং শরীর নরমভাব ধারণ করে। অতঃপর তাকবীর বলে সোজাভাবে পায়ের উপর ভর করে পাছার উপর বসবে এবং পৃষ্ঠদেশ সোজা রাখবে। অতঃপর তিনি এইভাবে চার রাকাত নামায আদায়ের পদ্ধতি শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন। উপরোক্ত নিয়মে নামায আদায় না করলে তোমাদের কারো নামায সঠিক হবে না। (নাসাঈ, তিরমিযী)।
باب صَلاَةِ مَنْ لاَ يُقِيمُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَالْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ، رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ بِمَعْنَاهُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهَا لاَ تَتِمُّ صَلاَةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَيَغْسِلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَيَمْسَحَ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُكَبِّرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَحْمَدُهُ ثُمَّ يَقْرَأُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا أُذِنَ لَهُ فِيهِ وَتَيَسَّرَ " . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ حَمَّادٍ قَالَ " ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَسْجُدُ فَيُمَكِّنُ وَجْهَهُ " . قَالَ هَمَّامٌ وَرُبَّمَا قَالَ " جَبْهَتَهُ مِنَ الأَرْضِ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ثُمَّ يُكَبِّرُ فَيَسْتَوِي قَاعِدًا عَلَى مَقْعَدِهِ وَيُقِيمُ صُلْبَهُ " . فَوَصَفَ الصَّلاَةَ هَكَذَا أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ حَتَّى فَرَغَ " لاَ تَتِمُّ صَلاَةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يَفْعَلَ ذَلِكَ " .
Narrated Rifa'ah ibn Rafi':
This version (of Hadith No 856) adds: The Messenger of Allah (ﷺ) said: The prayer of any of you is not complete until he performs ablution perfectly, as Allah, the Exalted, has ordered you. He should wash his face and hands up to the elbows, and wipe his head and (wash) his feet up to the ankles. Then he should exalt Allah and praise Him. Then he should recite the Qur'an as much as it is convenient for him.
(Narrator then narrated the tradition like Hammad's, No. 856). He said: He then utter the takbir and prostration himself so that his face is at rest.
Hammam (sub-narrator) said: Sometimes he reported: So that his forehead is at rest on the ground, and his joints return to their places and are loosened. Then he should say the takbir and then sit right on his hips and erect his back. He described the nature of prayer in this way by offering four rak'ahs until he finished it. The prayer of any of you is not complete unless he does so.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৪. যে ব্যাক্তি রুকু ও সিজদা হতে উঠে পিঠ সোজা করে না।
৮৫৯. ওয়াহব ইবনু বাকিয়্যা .... রিফাআ ইবনু রাফে হতে উপরোক্ত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ তুমি যখন নামায আদায়ের ইরাদা করে কিব্লামুখী হয়ে দাঁড়াবে, তখন “তাকবীরে তাহরীমা” বলার পর সূরা ফাতিহা পাঠ করতঃ কুরআনের কিছু অংশ পাঠ করবে। অতঃপর যখন তুমি রুকূ করবে, তখন তোমার উভয় হাত উভয় হাটুর উপর রাখবে এবং পৃষ্ঠদেশ লম্বা করে দিবে। তিনি আরো বলেনঃ অতঃপর যখন তুমি সিজদা করবে, তা শান্তভাবে করবে এবং সিজদা হতে মাথা উঠাবার পর তুমি তোমার বাম উরুর উপর বসবে।
باب صَلاَةِ مَنْ لاَ يُقِيمُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، - يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو - عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ " إِذَا قُمْتَ فَتَوَجَّهْتَ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَبِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ تَقْرَأَ وَإِذَا رَكَعْتَ فَضَعْ رَاحَتَيْكَ عَلَى رُكْبَتَيْكَ وَامْدُدْ ظَهْرَكَ " . وَقَالَ " إِذَا سَجَدْتَ فَمَكِّنْ لِسُجُودِكَ فَإِذَا رَفَعْتَ فَاقْعُدْ عَلَى فَخِذِكَ الْيُسْرَى " .
This tradition has also been transmitted through a different chain of narrators by Rifa’ah b. Rafi. This version goes:
When you get up and face the qiblah, what Allah wishes you to recite. And when you bow, put your palms on your knees and stretch out your back. When you prostrate yourself, do it completely( so that you are at the rest). When you raise yourself then sit on your left thigh.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৪. যে ব্যাক্তি রুকু ও সিজদা হতে উঠে পিঠ সোজা করে না।
৮৬০. মুআাম্মাল ইবনু হিশাম .... রিফাআ ইবনু রাফে (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরোক্ত ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ “তাকবীর তাহরীমা” বলার পর তুমি কুরআনের সহজতম অংশ পাঠ করবে। তিনি বলেনঃ তুমি যখন নামাযের মধ্যে প্রথম বৈঠকে উপবেশন কর, তখন শান্তির সাথে বসবে এবং এ সময় তোমার বাম পা বিছিয়ে দিয়ে অতঃপর তাশাহ্হুদ পাঠ করবে। পরে যখন তুমি দাঁড়াবে, তখন উপরোক্ত নিয়মে নামায শেষ করবে।
باب صَلاَةِ مَنْ لاَ يُقِيمُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ، رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ " إِذَا أَنْتَ قُمْتَ فِي صَلاَتِكَ فَكَبِّرِ اللَّهَ تَعَالَى ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ عَلَيْكَ مِنَ الْقُرْآنِ " . وَقَالَ فِيهِ " فَإِذَا جَلَسْتَ فِي وَسَطِ الصَّلاَةِ فَاطْمَئِنَّ وَافْتَرِشْ فَخِذَكَ الْيُسْرَى ثُمَّ تَشَهَّدْ ثُمَّ إِذَا قُمْتَ فَمِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى تَفْرُغَ مِنْ صَلاَتِكَ " .
This tradition has also been transmitted by Rifa’ah b Rafi through a different chain of narrators. This version has :
When you get up to pray, say the takbir, exalting Allah; then recite the Qur’an as much as it is convenient for you. The version adds: When you sit in the middle of the prayer, do it completely(so that you are at rest) and spread your left thigh; then recite the tashahhud. Then if you get up (again), do in a similar way until you finish your prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৪. যে ব্যাক্তি রুকু ও সিজদা হতে উঠে পিঠ সোজা করে না।
৮৬১. আব্বাদ ইবনু মূসা ..... রিফাআ ইবনু রাফে (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে উপরোক্ত হাদীছ বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী উযূ (ওজু/অজু/অযু) কর, অতঃপর কলেমায়ে শাহাদাত পাঠ কর। স্থিরভাবে দন্ডায়মান হয়ে “তাকবীরে তাহরীমা” বলার পর কুরআনের জানা অংশ পাঠ করবে, অন্যথায় আলহামদু লিল্লাহ আল্লাহু আকবার ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু পাঠ করবে। উক্ত বর্ণনায় আরো আছে, তিনি বলেনঃ যদি এ থেকে তুমি কিছু বাদ দাও, তবে তোমার নামায ক্রটিপূর্ণ করলে।
باب صَلاَةِ مَنْ لاَ يُقِيمُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى الْخُتَّلِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدِ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَصَّ هَذَا الْحَدِيثَ قَالَ فِيهِ " فَتَوَضَّأْ كَمَا أَمَرَكَ اللَّهُ جَلَّ وَعَزَّ ثُمَّ تَشَهَّدْ فَأَقِمْ ثُمَّ كَبِّرْ فَإِنْ كَانَ مَعَكَ قُرْآنٌ فَاقْرَأْ بِهِ وَإِلاَّ فَاحْمَدِ اللَّهَ وَكَبِّرْهُ وَهَلِّلْهُ " . وَقَالَ فِيهِ " وَإِنِ انْتَقَصْتَ مِنْهُ شَيْئًا انْتَقَصْتَ مِنْ صَلاَتِكَ " .
Rifa’ah b. Rafi has also narrated this tradition through a different chain from the Messenger of Allah(ﷺ). This version goes:
Then perform ablution in a way Allah, the exalted, has command you, then say the shahadah and get up and say the takbir. Then if you know any of the Qur’an, recite it; otherwise say: “Praise be to Allah”; “Allah is most great”; “ There is no god but Allah” He ( the narrator) also said in this version: If some defect remains in this, that detect will remain in your prayer.
পরিচ্ছেদঃ ২৭/ একা নামায আদায়কারীর ইকামত দেয়া।
৬৬৮। আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... রিফা’আ ইবনু রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের কাতারে বসা ছিলেন এমন সময় ... আল হাদীস।
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزَّرْقِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَا هُوَ جَالِسٌ فِي صَفِّ الصَّلاَةِ الْحَدِيثَ .
It was narrated from Rifa'ah bin Rafi' that while the Messenger of Allah (ﷺ) was sitting in the row for prayer....The Hadith.
পরিচ্ছেদঃ ৩৬/ মুকতাদির ইমামের পেছনে হাঁচি দিয়ে 'আলহামদু লিল্লাহ' বলা।
৯৩৪। কুতায়বা (রহঃ) ... রিফা’আ ইবনু রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পেছনে সালাত অদায় করেছি। তখন আমি হাঁচি দিলাম এবং বললাম- الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত সমাপ্ত করে ফিরে বললেন কে সালাতে কথা বলেছে? তখনি কেউ উত্তর দিল না। তিনি দ্বিতীয়বার বললেন, কে সালাতে কথা বলেছ? তখন রিফাআ ইবনু রাফি ইবনু আফরা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি বলেছি। তিনি বললেন, তুমি কি বলেছ? তিনি বললেন, আমি বলেছি-
الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! ত্রিশ জনের বেশী ফেরেশতা তা নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে, কে তা নিয়ে উপরে উঠবে।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَمِّ، أَبِيهِ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَطَسْتُ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى . فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَقَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ " . فَلَمْ يُكَلِّمْهُ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّانِيَةَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ " . فَقَالَ رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعِ بْنِ عَفْرَاءَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " كَيْفَ قُلْتَ " . قَالَ قُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدِ ابْتَدَرَهَا بِضْعَةٌ وَثَلاَثُونَ مَلَكًا أَيُّهُمْ يَصْعَدُ بِهَا " .
It was narrated from Mu'adh bin Rifa'ah bin Rafi' that :
His father said: "I prayed behind the Prophet (ﷺ) and I sneezed and said: 'Al-hamdu lillahi, hamdan kathiran tayiban mubarakan fih, mubarakan'alaihi, kama yuhibbu rabbuna wa yarda (Praise be to Allah, much good and blessed praise as our Lord loves and is pleased with.)' When he finished praying, the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Who is the one who spoke during the prayer?' But no one said anything. Then he said it a second time: 'Who is the one who spoke during the prayer?' So Rifa'ah bin Rafi bin Afrah said: 'It was me, O Messenger of Allah.' He said: 'I said: "Praise be to Allah, much good and blessed praise as our Lord loves and is pleased with.'" The Prophet (ﷺ) said: 'By the One in Whose hand is my soul, thirty-odd angels hastened to see which of them would take it up.'"
পরিচ্ছেদঃ ১৫/ রুকুতে কিছু না পড়ার অনুমতি।
১০৫৬। কুতায়বা (রহঃ) ... রিফাআ ইবনু রাফি বদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল এবং সালাত আদায় করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখছিলেন। কিন্তু সে তা টের পায়নি। সে সালাত শেষ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তাঁকে সালাম করলে তিনি তার সালামের জওয়াব দিয়ে বললেন, যাও পুনরায় সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। তিনি (রাবী) বলেন, আমার স্মরণ নেই, দ্বিতীয়বার কিংবা তৃতীয়বারে সে ব্যক্তি বলল, ঐ সত্তার শপথ! যিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। আমি তো খুব চেষ্টা করলাম। অতএব, আমাকে শিখিয়ে দিন এবং দেখিয়ে দিন।
তিনি বললেন, যখন তুমি সালাত আদায় করতে ইচ্ছা করবে তখন উত্তমরূপে শুরু করবে। তারপর তুমি কিবলার দিকে মুখ করবে। তারপর তাকবীর বলবে, এরপর কুরআন পড়বে, তারপর রুকু করবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর মাথা তুলে সোজা দাঁড়িয়ে যাবে। এরপর সিজদা করবে স্থিরভাবে, তারপর মাথা তুলে স্থিরভাবে বসে পড়বে। আবার সিজদা করবে স্থিরভাবে। যখন তুমি এরূপ করলে তখন তুমি তোমার সালাত পুর্ণ করলে। তা থেকে যতটুকু কম করলে, ততটূকু তোমার সালাত থেকে কম করলে।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ، رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ وَكَانَ بَدْرِيًّا قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْمُقُهُ وَلاَ يَشْعُرُ ثُمَّ انْصَرَفَ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ قَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . قَالَ لاَ أَدْرِي فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الثَّالِثَةِ قَالَ وَالَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ لَقَدْ جَهِدْتُ فَعَلِّمْنِي وَأَرِنِي . قَالَ " إِذَا أَرَدْتَ الصَّلاَةَ فَتَوَضَّأْ فَأَحْسِنِ الْوُضُوءَ ثُمَّ قُمْ فَاسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ ثُمَّ كَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ رَأْسَكَ حَتَّى تَطْمَئِنَّ قَاعِدًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا فَإِذَا صَنَعْتَ ذَلِكَ فَقَدْ قَضَيْتَ صَلاَتَكَ وَمَا انْتَقَصْتَ مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّمَا تَنْقُصُهُ مِنْ صَلاَتِكَ " .
It was narrated that Rifa'ah bin Rafi'- who had been present at Badr- said:
"We were with the Messenger of Allah (ﷺ) when a man entered the Masjid and prayed. The Messenger of Allah (ﷺ) watched him without him realizing, then he finished, came to the Messenger of Allah (ﷺ) and greeted him with salam. He returned the salam and said: "Go back and pray, for you have not prayed.'" He (the narrator) said: "I do not know if it was the second or third time,- "(the man) said: 'By the One Who revealed the Book to you, I have tried my best. Teach me and show me.' He said: 'When you want to pray, perform wudu' and do it well, then stand up and face the qiblah. Then say the takbir, then recite, then bow until you are at ease in bowing. Then stand up until you are standing up straight. Then prostrate until you are at ease in prostration, then raise your head until you are at ease in sitting, then prostrate until you are at ease in prostration. If you do that then you will have done your prayer properly, and whatever you failed to do properly is going to detract from your prayer."
পরিচ্ছেদঃ ২২/ মুকতাদী যা বলবে।
১০৬৫। মুহাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) ... রিফাআ ইবনু রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পেছনে সালাত আদায় করছিলাম। তিনি যখন রুকু থেকে মাথা উঠালেন, তখন বললেন, ’সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’। তাঁর পেছনে একব্যক্তি বলে উঠল رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করে বললেন, এখন কে কথা বলল? সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি ত্রিশের বেশি ফেরেশতাকে দেখেছি তা নিয়ে তাড়াহুড়া করছে, কে তা সর্বাগ্রে লিখবে।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ حَدَّثَنِي نُعَيْمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، قَالَ كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ . فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ آنِفًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلاَثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلاً " .
It was narrated that Rifa'ah bin Rafi said:
"We were praying behind the Messenger of Allah (ﷺ) one day and when he raised his head from bowing he said: 'Sami Allahu liman hamidah (Allah hears the one who praises Him).' A man behind him said: 'Rabbana wa lakal-hamd, hamdan kathiran tayyiban mubarakan fih. (O our Lord, and to You be praise, much blessed and pure praise.)' When the Messenger of Allah (ﷺ) had finished, he said: "Who is the one who spoke just now?" The man said: 'I did, O Messenger of Allah.' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'I saw thirty-some angels rushing to see which of them would write it down first.'"
পরিচ্ছেদঃ ৭৭/ সাজদায় তাসবীহ পরিত্য্যাগ করার অনুমতি।
১১৩৯। মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ মুকরী (রহঃ) ... রিফাআ ইবনু রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপবিষ্ট ছিলেন আর আমরা তাঁর আশেপাশে বসা ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি প্রবেশ করে কিবলার দিকে এসে সালাত আদায় করল। সে সালাত শেষ করে এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করল এবং দলের অন্যদেরকেও। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন, যাও, সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ব্যক্তি গিয়ে আবার সালাত আদায় করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সালাতের প্রতি লক্ষ্য রাখছিলেন।
সে ব্যক্তি বুঝতে পারল না, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতে কী ভুল ধরেছেন। সে এবারও সালাত শেষ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তাঁকে এবং দলের অন্যদেরকে সালাম করল। এবারও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, যাও, সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ব্যক্তি এভাবে দু’বার কি তিনবার সালাত পুনঃ আদায় করলেন। তারপর সে ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার সালাতে কী ভুল পেলেন?
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কারও সালাত হবে না যতক্ষন না সে আল্লাহ তা’আলা যেরূপ ওযু করতে আদেশ করেছেন সেরূপ ওযু না করে। অর্থাৎ সে তার চেহারা এবং উভয় হাত কনূই পর্যন্ত ধৌত না করে এবং তার মাথা মসেহ না করে এবং তার উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত না করে। তারপর আল্লাহর তাকবীর না বলে (তাকবীর তাহরীমা না বলে) এবং তার তাহমীদ ও তামজীদ না করে (ছানা না পড়ে)। তারপর কুরআনের যতটুকু সম্ভব পড়বে, আল্লাহ তাকে যতটুকু শিক্ষাদান করেছেন এবং যার অনুমতি দান করেছেন। তারপর তাকবীর বলে রুকু করবে যেন তার সকল অঙ্গ স্থির হয়ে যায়।
তারপর বলবে سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ তারপর সোজা হয়ে দাড়াবে যেন তার পিঠ সোজা হয়ে যায়। পরে তাকবীর বলে সিজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয়। আর তার সকল অঙ্গ সোজা হয়ে হয়ে যায়। এরপর তাকবীর বলবে এবং মাথা তুলে সোজা হয়ে বসবে বসার অঙ্গের উপর। আর পিঠ সোজা রাখবে। তারপর তাকবীর বলে সিজদা করবে যেন তার চেহারা ঠিকভাবে স্থাপিত হয় এবং স্থির হয়ে যায়। যখন এরূপ না করবে তার সালাত পুর্ণ হবে না।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ أَبُو يَحْيَى، بِمَكَّةَ - وَهُوَ بَصْرِيٌّ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدِ بْنِ مَالِكِ بْنِ رَافِعِ بْنِ مَالِكٍ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ، رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَنَحْنُ حَوْلَهُ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَأَتَى الْقِبْلَةَ فَصَلَّى فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ اذْهَبْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَذَهَبَ فَصَلَّى فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْمُقُ صَلاَتَهُ وَلاَ يَدْرِي مَا يَعِيبُ مِنْهَا فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ اذْهَبْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَأَعَادَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا عِبْتَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّهَا لَمْ تَتِمَّ صَلاَةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَيَغْسِلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَيَمْسَحَ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُكَبِّرَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَحْمَدَهُ وَيُمَجِّدَهُ " . قَالَ هَمَّامٌ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ " وَيَحْمَدَ اللَّهَ وَيُمَجِّدَهُ وَيُكَبِّرَهُ " . قَالَ فَكِلاَهُمَا قَدْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ قَالَ " وَيَقْرَأَ مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ مِمَّا عَلَّمَهُ اللَّهُ وَأَذِنَ لَهُ فِيهِ ثُمَّ يُكَبِّرَ وَيَرْكَعَ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ثُمَّ يَقُولَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ يَسْتَوِيَ قَائِمًا حَتَّى يُقِيمَ صُلْبَهُ ثُمَّ يُكَبِّرَ وَيَسْجُدَ حَتَّى يُمَكِّنَ وَجْهَهُ " . وَقَدْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ " جَبْهَتَهُ حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ وَيُكَبِّرَ فَيَرْفَعَ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا عَلَى مَقْعَدَتِهِ وَيُقِيمَ صُلْبَهُ ثُمَّ يُكَبِّرَ فَيَسْجُدَ حَتَّى يُمَكِّنَ وَجْهَهُ وَيَسْتَرْخِيَ فَإِذَا لَمْ يَفْعَلْ هَكَذَا لَمْ تَتِمَّ صَلاَتُهُ " .
It was narrated that Rifa'ah bin Rafi' said:
"While the Messenger of Allah (ﷺ) was sitting with us around him, a man came in, turned towards the Qiblah and prayed. When he had finished his prayer, he came and greeted the Messenger of Allah (ﷺ) and the people with Salam. The Messenger of Allah (ﷺ) said to him: 'And also to you. Go and pray, for you have not prayed.' So he went and prayed, and the Messenger of Allah (ﷺ) started watching him, and he (the man) did not know what was wrong with it. When he had finished the prayer, he came and greeted the Messenger of Allah (ﷺ) and the people with salam. The Messenger of Allah (ﷺ) said to him: 'And also to you. Go and pray, for you have not prayed.' He repeated it two or three times, then the man said: 'O Messenger of Allah, what is wrong with my prayer?' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The prayer of any of you is not complete unless he performs wudu properly as enjoined by Allah, the Mighty and Sublime. So he should wash his face, his arms up to the elbows, and wipe his head, and (wash) his feet up to the ankles. Then he should magnify Allah (SWT) and praise Him and glorify Him.'" - (One of the narrators) Hammam said: "I heard him say: 'He should praise Allah and glorify Him and magnify Him." He said: "I heard both of them." -"He (the Prophet (ﷺ)) said: 'He should recite whatever is easy for him of the Quran that Allah has taught him and permitted him in it (the prayer). Then he should say the Takbir and bow until his joints settle and he is relaxed. Then he should say: 'Sami Allahu liman hamidah (Allah hears the one who praises Him)' and stand up straight until his backbone is straight (and at ease). Then he should say Takbir and prostrate until he has placed his face firmly on the ground." "I heard him say: his forehead, until his joints settle and he is relaxed. Then he should say the Takbir and sit up until his backbone is straight (and at ease). Then he should prostrate until he has placed his face firmly on the ground and he is relaxed. If he does not do that then he has not completed his prayer."
পরিচ্ছেদঃ ৬৭ / সর্বনিম্ন পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত করণ যাদ্বারা নামায শুদ্ধ হয়ে যায়।
১৩১৬। কুতায়বা (রহঃ) ... ইয়াহয়ার চাচা (রিফা’আ ইবনু রাফি (রাঃ) তিনি বদরী সাহাবী ছিলেন) থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি একদা মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করতে লাগল আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রতি লক্ষ্য রাখছিলেন অথচ আমরা তা জানতামও না। সে ব্যক্তি সালাত শেষ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলে তিনি বললেন, ফিরে পুনরায় সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ব্যক্তি গিয়ে পুনরায় সালাত আদায় করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলে তিনি বললেন, তুমি গিয়ে পুনরায় সালাত আদায় কর। কেননা তুমি সালাত আদায় করনি।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ তিনবার কি চার বার করলে ঐ ব্যক্তি তাকে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সেই আল্লাহর শপথ, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন, আমি তো খুব চেষ্টা করে দেখলাম, আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তখন তিনি বললেন, যখন সালাত আদায়ের ইচ্ছা কর, তখন উত্তমরূপে ওযু করবে। তারপর কিবলামুখী হয়ে তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন পাঠ করে তাকবীর বলে রুকুতে যাবে এবং খুব স্থিরতার সাথে রুকু করবে। তারপর মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তারপর সিজদা করবে এবং স্থিরতার সাথে সিজদা করে মাথা উঠাবে। পরে মাথা উঠিয়ে স্থিরতার সাথে বসবে। পুনরায় সিজদা করবে এবং স্থিরতার সাথে সিজদা করে মাথা উঠাবে। তারপর তুমি এরূপ করে স্বীয় সালাত সমাপ্ত করবে।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَلِيٍّ، - وَهُوَ ابْنُ يَحْيَى - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمٍّ، لَهُ بَدْرِيٍّ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَرْمُقُهُ وَنَحْنُ لاَ نَشْعُرُ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَرَجَعَ فَصَلَّى ثُمَّ أَقْبَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا . فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ جَهِدْتُ فَعَلِّمْنِي فَقَالَ " إِذَا قُمْتَ تُرِيدُ الصَّلاَةَ فَتَوَضَّأْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ ثُمَّ ارْكَعْ فَاطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ قَاعِدًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ ثُمَّ افْعَلْ كَذَلِكَ حَتَّى تَفْرُغَ مِنْ صَلاَتِكَ " .
It was narrated from 'Ali- who is bin Yahya- from his father that:
A paternal uncle of his who was present at Badr told him, that a man entered the masjid and prayed, and the Messenger of Allah (ﷺ) was watching, but we did not realize. When he had finished, he came and greeted the Messenger of Allah (ﷺ) with salam. He said: "Go back and pray, for you have not prayed." So he went back and prayed, then he came to the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: "Go back and pray, for you have not prayed." (This happened) two or three times. Then the man said to him: "By the One who has honored you , O Messenger of Allah (ﷺ), I have tried my best; teach me." He said: "When you get up to pray, perform wudu and do it well, then turn to face the Qiblah and say the takbir. Then recite the Quran, then bow until you are at ease in bowing. Then stand up until you are standing straight, then prostrate until you are at ease prostrating, then sit up until you are at ease sitting, then prostrate until you are at ease prostrating, then get up, and continue doing that until you have finished your prayer."
পরিচ্ছেদঃ ৬৭ / সর্বনিম্ন পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত করণ যাদ্বারা নামায শুদ্ধ হয়ে যায়।
১৩১৭। সুওয়ায়দ ইবনু নাসর (রহঃ) ... ইয়াহয়া ইবনু খাল্লাদ এর চাচা (রিফাআ ইবনু রাফি) (যিনি বদরী সাহাবী ছিলেন) (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে দু’রাকআত সালাত আদায় করল। তারপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাম করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সালাতের প্রতি লক্ষ্য রাখছিলেন। তিনি তাঁর সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, তুমি ফিরে গিয়ে পুনরায় সালাত আদায় কর, যেহেতু তুমি সালাত আদায় করনি। তারপর সে ফিরে গিয়ে সালাত আদায় করলো।
পরে এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলো। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, তুমি ফিরে গিয়ে সালাত আদায় কর। কারণ তুমি সালাত আদায় করনি। এমনিভাবে তৃতীয় অথবা চতুর্থ বারে সে বলল, সেই আল্লাহর শপথ, যিনি আপনার উপর কিতাব (কুরআন) অবর্তীর্ণ করেছেন, আমি তো খুব চেষ্টা করে দেখলাম এবং আমি সালাত আদায় করতে চাইও, আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন।
তখন তিনি বললেন, তুমি যখন সালাত আদায় করতে ইচ্ছা কর তখন উত্তম রূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে, তারপর কিবলার দিকে মুখ করে তাকবীর বলবে, তারপর কুরআন পড়ে (তাকবীর বলে) রুকুতে যাবে। রুকুতে স্থির হবে। তারপর মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তারপর সিজদায় গিয়ে স্থিরভাবে সিজদা করবে তারপর সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে স্থিরভাবে বসবে। আবার সিজদায় গিয়ে স্থিরভাবে সিজদা করবে। তারপর মাথা উঠাবে। যদি তুমি এই নিয়মে তোমার সালাত শেষ কর, তবে তোমার সালাতপূর্ণ হবে। আর যদি এই নিয়মে কোন ক্রটি হয় তবে তোমার সালাতও ততটূকু ক্রটি যুক্ত হবে।
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدِ بْنِ رَافِعِ بْنِ مَالِكٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَمٍّ، لَهُ بَدْرِيٍّ قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَرْمُقُهُ فِي صَلاَتِهِ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ قَالَ لَهُ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَرَجَعَ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ ثُمَّ قَالَ " ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . حَتَّى كَانَ عِنْدَ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ فَقَالَ وَالَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ لَقَدْ جَهِدْتُ وَحَرَصْتُ فَأَرِنِي وَعَلِّمْنِي . قَالَ " إِذَا أَرَدْتَ أَنْ تُصَلِّيَ فَتَوَضَّأْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ قَاعِدًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ فَإِذَا أَتْمَمْتَ صَلاَتَكَ عَلَى هَذَا فَقَدْ تَمَّتْ وَمَا انْتَقَصْتَ مِنْ هَذَا فَإِنَّمَا تَنْتَقِصُهُ مِنْ صَلاَتِكَ " .
Ali bin Yahya bin Khallad bin Raf' bin Malik Al-Ansari said:
"My father narrated to me that a paternal uncle of his, who had been at Badr, said: 'I was sitting with the Messenger of Allah (ﷺ) in the masjid when a man came in and prayed two rak'ahs, then he came and greeted the Prophet (ﷺ) with salam. The Prophet (ﷺ) had been watching him as he prayed, so he returned his salam, then he said: "Go back and pray, for you have not prayed." So he went back and prayed, then he came back and greeted the Prophet (ﷺ) with salam. He returned the salam, then he said: "Go back and pray, for you have not prayed." The third or fourth time this happened, then the man said: "By the One Who revealed the Book to you, I have done my best and have tried hard; show me and teach me." He said: 'When you want to pray, perform wudu and do it well, then turn to face the Qiblah and say the takbir. Then recite the Quran, then bow until you are at ease in bowing. Then stand up until you are standing straight, then prostrate until you are at ease prostrating, then sit up until you are at ease sitting, then prostrate until you are at ease prostrating, then get up. If you complete the prayer in this manner you wil hve done it properly, and whatever you do less than this is lacking from you prayer.'"
পরিচ্ছেদঃ ১/৫৭. আল্লাহ্র নির্দেশিত পন্থায় উযূ করা।
২/৪৬০। রিফাআহ ইবনু রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বসা ছিলেন। তখন তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র নির্দেশ মত পূর্ণাঙ্গরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) না করলে কারো সালাত পরিপূর্ণ হবে না। সে তার মুখমণ্ডল ও দু হাত কনুইসহ ধৌত করবে, তার মাথা মাসহ(মাসেহ) করবে এবং দুপা গোছা পর্যন্ত ধৌত করবে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ তারগীব ৯৩, সহীহ আবূ দাউদ, ৮০৪।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْوُضُوءِ عَلَى مَا أَمَرَ اللهُ تَعَالَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمِّهِ، رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ " إِنَّهَا لاَ تَتِمُّ صَلاَةٌ لأَحَدٍ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى يَغْسِلُ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَيَمْسَحُ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ " .
'Ali bin Yahya bin Khallad narrated, from his father, from his paternal uncle Rifa'ah bin Rafi' that:
He was sitting with the Prophet who said: 'No person's prayer is complete until he performs ablution properly as Allah has commanded him, washing his face, his arms up to the elbows, wiping his head and his feet up to the ankles.'"
পরিচ্ছেদঃ ১২/৩. ব্যবসা-বাণিজ্যে সতর্কতা অবলম্বন।
২/২১৪৬। রিফা’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রওয়ানা হলাম। লোকেরা উট ক্রয়-বিক্রয় করছিল। তিনি তাদের ডেকে বলেনঃ হে তাজের (ব্যবসায়ী) সম্প্রদায়! তারা চোখ তুলে ও ঘাড় উঁচিয়ে তাকালে তিনি বললেনঃ কিয়ামতের দিন ব্যবসায়ীদের পাপিষ্ঠ দুরাচাররূপে উঠানো হবে, তবে যারা আল্লাহকে ভয় করে, সৎভাবে কাজ (ব্যবসা) করে ও সত্য কথা বলে তারা ব্যতীত।
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা) ২. ইয়াহইয়া বিন সুলায়ম আত-তায়ফী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বিশর আদ-দাওলানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৮৪১, ৩১/৩৬৫ নং পৃষ্ঠা)
بَاب التَّوَقِّي فِي التِّجَارَةِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ الطَّائِفِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ رِفَاعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، رِفَاعَةَ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَإِذَا النَّاسُ يَتَبَايَعُونَ بُكْرَةً فَنَادَاهُمْ " يَا مَعْشَرَ التُّجَّارِ " . فَلَمَّا رَفَعُوا أَبْصَارَهُمْ وَمَدُّوا أَعْنَاقَهُمْ قَالَ " إِنَّ التُّجَّارَ يُبْعَثُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فُجَّارًا إِلاَّ مَنِ اتَّقَى اللَّهَ وَبَرَّ وَصَدَقَ " .
It was narrated from Isma'il bin 'Ubaid bin Rifa'ah, from his father, that his grandfather Rifa'ah said:
"We went out with the Messenger of Allah (ﷺ) and the people were trading early in the morning. He called them: 'O merchants!' and when they looked up and craned their necks, he said : 'The merchants will be raised on the Day of Resurrection as immoral people, apart from those who fear Allah and act righteously and speak the truth (i.e. those who are honest)."'
পরিচ্ছেদঃ সালাতের বিবরণ।
৩০২ আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ..... রিফাআ ইবনু রাফি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা যে, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বসা ছিলেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে বসা ছিলাম। এমন সময় বেদুঈনের মত দেখতে এক ব্যক্তি আসল। সে হালকাভাবে সালাত আদায় করল এবং তা শেষ করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এসে সালাম জানাল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ওয়া আলাইকা জানিয়ে বললেনঃ ফিরে যাও, আবার সালাত আদায় কর। কারণ, তুমি তো সালাত আদায় করনি। লোকটি ফিরে গেল। সালাত আদায় করে আবার এসে সালাম জানাল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ওয়া আলাইকা জানালেন এবং বললেনঃ ফিরে যাও, আবার সালাত আদায় কর। তুমি তো সালাত আদায় করনি। এইরূপ দুই বা তিনবার ঘটল। প্রত্যেকবারই লোকটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে সালাম জানাচ্ছিল আর তিনি তাকে ওয়া আলাইকা জানিয়ে বলেছিলেনঃ ফিরে যাও, আবার সালাত আদায় কর। কারণ, তুমি তো সালাত আদায় করনি।
উপস্থিত লোকেরা বিষয়টিকে খুবই ভীষণ মনে করল। কেউ হালকা সালাত পড়লে তার সালাতই হবে না- এই বিষয়টি তাদের জন্য খুবই মারাত্মক লাগল। যা হোক, শেষে ঐ লোকটি বললঃ আমাকে শিখিয়ে দিন, আমাকে দেখিয়ে দিন। আমি তো একজন মানুষ। অনেক সময় ঠিকও করি, ভুলও করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, শোন,
সালাতের জন্য যখন দাঁড়াবে এর আগে আল্লাহর নির্দেশমত উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নিবে। এরপর আযান দিবে, ইকামতও দিবে। পরে কুরআনের কিছু যদি মুখস্থ থাকে তবে তা পড়বে। তা না থাকলে আলহামদু লিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করবে। অতঃপর রুকূ করবে এবং খুব ধীর স্থিরভাবে রুকূ করবে, পরে সোজা হয়ে দাঁড়াবে, পরে সিজদা করবে এবং তাতে ই’তিদাল বা মধ্যপন্থা অবলম্বন করবে। পরে ধীর স্থিরভাবে উঠে বসবে। পরে উঠে দাঁড়াবে। এইরূপ করতে পারলে তবে তোমার সালাত পূর্ণ হবে। এতে যদি কিছু ক্রটি হয় তবে তোমার সালাতও ততটুকু ক্রটিপূর্ণ হবে।
রিফাআ বলেনঃ ’’এতে যতটুকু ক্রটি হবে সালাতও ততটুকু ক্রটিপূর্ন হবে’’-এই কথা উপস্থিত লোকদের নিকট প্রথম কথার তুলনায় অনেকটা সহজ মনে হল। কারণ, এই ক্ষেত্রে তো আগের মত পুরো সালাত বাতিল বলে গণ্য হবে না। - মিশকাত ৮০৪, সিফাতুস সালাত (মূল), সহিহ আবু দাউদ ৮০৩-৮০৭, ইরওয়া ১/৩২১,৩২২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা এবং আম্মার ইবনু ইয়াসর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ রিফআ ইবনে রাফি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হদীসটি হাসান। রিফাআ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একাধিক সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي وَصْفِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَلاَّدِ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ يَوْمًا قَالَ رِفَاعَةُ وَنَحْنُ مَعَهُ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ كَالْبَدَوِيِّ فَصَلَّى فَأَخَفَّ صَلاَتَهُ ثُمَّ انْصَرَفَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ فَارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَرَجَعَ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ " وَعَلَيْكَ فَارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَفَعَلَ ذَلِكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا كُلُّ ذَلِكَ يَأْتِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَيُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ فَارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ " . فَخَافَ النَّاسُ وَكَبُرَ عَلَيْهِمْ أَنْ يَكُونَ مَنْ أَخَفَّ صَلاَتَهُ لَمْ يُصَلِّ فَقَالَ الرَّجُلُ فِي آخِرِ ذَلِكَ فَأَرِنِي وَعَلِّمْنِي فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ أُصِيبُ وَأُخْطِئُ . فَقَالَ " أَجَلْ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَتَوَضَّأْ كَمَا أَمَرَكَ اللَّهُ ثُمَّ تَشَهَّدْ وَأَقِمْ فَإِنْ كَانَ مَعَكَ قُرْآنٌ فَاقْرَأْ وَإِلاَّ فَاحْمَدِ اللَّهَ وَكَبِّرْهُ وَهَلِّلْهُ ثُمَّ ارْكَعْ فَاطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ اعْتَدِلْ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ فَاعْتَدِلْ سَاجِدًا ثُمَّ اجْلِسْ فَاطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ قُمْ فَإِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُكَ وَإِنِ انْتَقَصْتَ مِنْهُ شَيْئًا انْتَقَصْتَ مِنْ صَلاَتِكَ " . قَالَ وَكَانَ هَذَا أَهْوَنَ عَلَيْهِمْ مِنَ الأَوَّلِ أَنَّهُ مَنِ انْتَقَصَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا انْتَقَصَ مِنْ صَلاَتِهِ وَلَمْ تَذْهَبْ كُلُّهَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رِفَاعَةَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ .
Rifa`ah bin Rafi` narrated:
"One day Allah's Messenger was sitting in the Masjid" Rifa'ah said: "And we were with him. Then what appeared to be a Bedouin man entered to pray, but he performed his Salat in a very brief manner. He then got up and greeted the prophet with Salam. The Prophet said (returning the greeting): 'And upon you. Go back and perform Salat, for indeed you have no prayed.' So he returned to perform Salat then came and greeted the Prophet with Salam. So he (the Prophet) said (returning the greeting): 'And upon you. Go back and perform Salat, for indeed you have not prayed.' [He did that] two or three times, each time coming to the Prophet, greeted the Prophet with Salam and the Prophet saying: 'And upon you. Go back and perform Salat, for indeed you have not prayed.' - until the people got scared and became very worried that one whose prayer was so brief had not actually prayed. Then in the end the man said: 'Then show me, and teach me, for I am a human who has suffered and is mistaken.' So he said: 'Alright. When you stand for Salat then perform Wudu as Allah ordered you. Then say the Tashahhud, and the Iqamah as well. If you know any Quran then recite it, if not then praise Allah, mention His greatness, and the Tahlil. Then bow such that you are at rest in your bowing, then stand completely, then prostrate completely, then sit such that you are at rest while sitting them stand. When you have done that, then you have completed your Salat, and if you leave out something, then you have made your Salat deficient.' And this was easier on them than the first matter, because if some of this was deficient, It would only reduce the reward of his Salat, it would not have gone entirely. "
পরিচ্ছেদঃ সালাতে হাঁচি আসলে।
৪০৪. কুতায়বা (রহঃ) .... রিফাআ ইবনু রাফি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলাম। তখন আমার হাঁচি এল। আমি বললামঃ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى ’’সকল তারীফ আল্লাহর। তাঁরই জন্য অগণিত প্রশংসা। পবিত্রতা তাঁরই। পরম বরকতময় তিনি। আমার রব যতটুকু হামদ পছন্দ করেন, যতটুকুতে তিনি সন্তুষ্ট, তত হামদ তাঁরই।’’
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসালাত (নামায/নামাজ) শেষে ফিরে বললেনঃ সালাতে কে কথা বলছিল? কিন্তু কেউ উত্তর দিলেন না। দ্বিতীয়বার তিনি বললেনঃ সালাতে কে কথা বলছিল? কিন্তু কেউ উত্তর দিলেন না। পরে তৃতীয়বার তিনি বললেনঃ সালাতে কে কথা বলছিল? তখন রিফাআ ইবনু রাফি ইবনু আফরা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি কথা বলছিলাম। তিনি বললেনঃ কি বলছিলে? তিনি বললেন, আমি বলছিলামঃ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, ত্রিশেরও অধিক ফেরেশতা দৌড়ে এসেছেন কে আগে এর সওয়াব উঠিয়ে নিতে পারন। - সহিহ আবু দাউদ ৭৪৭, মিশকাত ৯৯২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪০৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আনাস, ওয়াইল ইবনু হুজর ও আমির ইবনু রাবীআ রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি নফল সালাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। একাধিক তাবিঈ বলেনঃ ফরয সালাতে যদি কারো হাঁচি আসে তবে সে মনে মনে হামদ করবে। তারা এর অধিক কিছু করার অবকাশ রাখেন না।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَعْطُسُ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيُّ، عَنْ عَمِّ، أَبِيهِ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَطَسْتُ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى . فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَقَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ " . فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّانِيَةَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ " . فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّالِثَةَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ " . فَقَالَ رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعِ ابْنِ عَفْرَاءَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " كَيْفَ قُلْتَ " . قَالَ قُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدِ ابْتَدَرَهَا بِضْعَةٌ وَثَلاَثُونَ مَلَكًا أَيُّهُمْ يَصْعَدُ بِهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَوَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَعَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ رِفَاعَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَكَأَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ فِي التَّطَوُّعِ لأَنَّ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ قَالُوا إِذَا عَطَسَ الرَّجُلُ فِي الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ إِنَّمَا يَحْمَدُ اللَّهَ فِي نَفْسِهِ وَلَمْ يُوَسِّعُوا فِي أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ .
Muadh bin Rifa'ah narrated that his father said:
"I prayed behind Allah's Messenger (S). I sneezed and said: Al-Hamdulillah, hamdan kathiran tayyiban mubarakan fih, mubarakan alaihi kama yuhibbu Rabbana Wa Yarda (All praise is due to Alah, many good blessed praises, blessings for Him as our Lord loves and is pleased with.) When Allah's Messenger (S) prayed and turned (after finishing) he said: 'Who was the speaker during the Salat?' No one spoke. Then he said it a second time: 'Who was the speaker during the Salat?' But no one spoke. Then he said it a third time: 'Who was the speaker during the Salat?'" So Rifa'ah bin Rafi bin Afra said: "It was I, O Messenger of Allah (S)." He said: "What did you say?" He said: "I said: 'Al-Hamdulillah, hamdan kathiran tayyiban mubarakan fih, mubarakan alaihi kama yuhibbu Rabbana Wa Yarda. The Prophet (S) said: "By the One in Whose Hand is my soul! I saw thirty-some angels competing over which of then would ascend with it."