পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫২-[১৮] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে দেখেছি, তিনি (বিদায়) হজে ’আরাফাতের দিন তাঁর ’কসওয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহণ করা অবস্থায় ভাষণ দান করেছেন। আমি শুনেছি, ভাষণে তিনি (সা.) বলেছেন, হে লোকসকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তাকে শক্তভাবে ধরে রাখ, তবে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো আল্লাহর কিতাব ও আমার ইতরত অর্থাৎ আমার আহলে বায়ত। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حِجَّتِهِ يَوْمَ عَرَفَةَ وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ يَخْطُبُ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنْ أَخَذْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا: كِتَابَ اللَّهِ وعترتي أهل بيتِي . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3786 وقال : غریب حسن) * زید بن الحسن ضعیف و حدیث مسلم (2408) و ابن ماجہ (1558) یغنی عنہ
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৩-[১৯] যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তাকে শক্ত করে ধরে রাখ, তবে আমার পরে তোমরা আর কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তার মধ্যে একটি আরেকটির তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো আল্লাহর কিতাব, তা একটি লম্বা রশিস্বরূপ। যা আকাশ হতে জমিন অবধি বিস্তীর্ণ। আর দ্বিতীয়টি হলো আমার আপন আহলে বায়ত। এ বস্তু দুটি কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না। তারা হাওযে কাওসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করছ তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখবে। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ مَا إِنْ تَمَسَّكْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي أَحَدُهُمَا أَعْظَمُ مِنَ الْآخَرِ: كِتَابُ اللَّهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي وَلَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوْضَ فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
ضعیف ، رواہ الترمذی (3788 وقال : حسن غریب) ۔ عطیۃ العوفی ضعیف و الاعمش مدلس و عنعن و حدیث مسلم : (2408) و الطحاوی (مشکل الآثار : 5 / 13 ، ح : 1760) یغنی عنہ
ব্যাখ্যা: (كِتَابُ اللَّهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي) ইমাম তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, কোন ব্যক্তির “ইতরাত” বলতে বুঝায় তার পরিবারবর্গের লোক ও তার নিকটস্থ লোকবৃন্দ। ‘ইতরত’ বিভিন্ন দিক থেকে হতে পারে। নবী (সা.) সেটা “আহলে বায়ত” শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করেছেন। এর দ্বারা তিনি উদ্দেশ্য নিয়েছেন (১) তাঁর বংশধর (২) নিকটস্থ সকল লোক, (৩) তাঁর স্ত্রীবর্গ।
মুল্লা আলী ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তাদের (আহলে বায়তদের) আঁকড়ে ধরা দ্বারা উদ্দেশ্য (১) তাদের ভালোবাসা, (২) তাদের সম্মান রক্ষা করা, (৩) তাদের মতাদর্শে ‘আমল করা, (৪) তাদের কথাগুলোর উপর নির্ভর করা।
ইমাম ইবন মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আল্লাহর কিতাব আঁকড়ে ধরা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- (১) এতে যা রয়েছে তার উপর আমল করা, (২) আল্লাহর নির্দেশগুলো পালন করা, (৩) নিষিদ্ধ বিষয়গুলো হতে বিরত থাকা। আর ‘ইতরত’ আঁকড়ে ধরা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, (১) তাদের ভালোবাসা (২) তাদের দেখানো পথে চলা, (৩) তাদের চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া।
সাইয়িদ জামালুদ্দীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, যতক্ষণ দীনের বিপরীত কাজ সংঘটিত না হয়। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৭৯৮)
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: উক্ত হাদীসে ইঙ্গিত রয়েছে যে, নবী (সা.) -এর মৃত্যুর পর কিতাবুল্লাহ ও আহলে বায়ত- এ দুটি জিনিসের সাথে সদাচরণ করতে ও নিজেদের ওপর এ দুটিকে প্রধান্য দিতে উপদেশ দিয়েছেন। যেমন পিতা তার সন্তানদের অধিকারের প্রতি উপদেশ দিয়ে থাকেন। কিতাবুল্লাহ হলো আকাশ হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত একটি রশি। যে ব্যক্তি উক্ত রশি আঁকড়ে ধরল সে মুক্তি পেল আর যে ব্যক্তি পৃথিবীতে পড়ে থাকল উক্ত রশি আঁকড়ে ধরল না সে ধ্বংস হলো।
যে ব্যক্তি নবী (সা.) -এর উপদেশ পালন করল, আর ঐ দু'টি বিষয়ের সাথে সদাচরণ করল তারা হাওযে কাওসারে নবী (সা.) -এর সাথে থাকবে। যারা বিপরীত কাজ করবে তাদের জন্য রয়েছে বিপরীত প্রতিদান। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৪-[২০] উক্ত রাবী [যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আলী, ফাতিমাহ্, হাসান এবং হুসায়ন (রাঃ) সম্পর্কে বলেছেন, যে কেউ তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, আমি তাদের দুশমন। অন্যদিকে যে তাঁদের সাথে (আপনজনের মতো) সদ্ব্যবহার করবে, আমি তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করব। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ وَالْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ: «أَنَا حَرْبٌ لِمَنْ حَارَبَهُمْ وَسِلْمٌ لِمَنْ سَالَمَهُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3870 وقال : غریب) [و ابن ماجہ (145)] * صبیح مولی ام سلمۃ : لم یوثقہ غیر ابن حبان ۔
(ضَعِيف)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৫-[২১] জুমাই ইবনু উমায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি আমার ফুফুর সাথে ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। আমি প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে কোন মানুষটি সর্বাপেক্ষা প্রিয় ছিলেন? তিনি উত্তরে বললেন, ফাতিমাহ্। এবার প্রশ্ন করা হলো, পুরুষদের মধ্যে কে? তিনি বললেন, তার স্বামী। আর তিনি ছিলেন অধিক পরিমাণে সিয়াম পালনকারী ও রাতের সালাত আদায়কারী। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ عَمَّتِي عَلَى عَائِشَةَ فَسَأَلْتُ: أَيُّ النَّاسِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: فَاطِمَةُ. فَقِيلَ: مِنَ الرِّجَالِ؟ قَالَتْ: زَوْجُهَا إِنْ كَانَ مَا عَلِمْتُ صَوَّامًا قَوَّامًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3874 وقال : حسن غریب) * جمیع بن عمیر ضعیف ضعفہ الجمھور و لحدیثہ شواھد ضعیفۃ عند الترمذی (2868) وغیرہ ۔
(ضَعِيفٌ)
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে ফাতিমাহ্ ও ‘আলী (রাঃ)-এর মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। হাদীসে আরো স্পষ্ট হয় যে, মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিল ফাতিমা (রাঃ) এবং পুরুষদের মধ্যে ‘আলী (রাঃ)। হাদীসে আহলে বায়তের মর্যাদাকেও স্পষ্ট করা হয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী হা, ৩৮৮৬)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৬-[২২] ’আবদুল মুত্তালিব ইবনু রবীআহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন আব্বাস (রাঃ) ভীষণ ক্ষুব্ধ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে আসলেন। আমি তখন তাঁর কাছে বসা ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রশ্ন করলেন, কিসে আপনাকে এমনভাবে ক্ষুব্ধ করেছে? তখন তিনি [আব্বাস (রাঃ)] বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের (অর্থাৎ বানূ হাশিম) এবং কুরায়শের মধ্যে কি (ব্যবধান) রয়েছে? তারা যখন একে অপরের দেখা সাক্ষাৎ করে, তখন তারা হাশিখুশি অবস্থায় মেলামেশা করে। অপরদিকে আমাদের সাথে যখন দেখা-সাক্ষাৎ করে, তখন তারা সেভাবে মিলে না। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) এমনভাবে রাগান্বিত হলেন যে, তাঁর চেহারা লাল হয়ে গেল। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! কোন লোকের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির উদ্দেশে তোমাদেরকে (অর্থাৎ আহলে বায়তকে) ভালোবাসবে। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, হে লোকসকল! যে লোক আমার চাচাকে কষ্ট দেয়, সে যেন আমাকে কষ্ট দিল। কেননা কোন লোকের চাচা হলো তার পিতার সমতুল্য। (তিরমিযী, মাসাবীহ গ্রন্থে হাদীসটির বর্ণনাকারীর নাম ’মুত্তালিব’ উল্লেখ রয়েছে)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
إِلَّا الْجُمْلَة الْأَخِيرَة فصحيحة) وَعَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّ الْعَبَّاسَ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُغْضَبًا وَأَنَا عِنْدَهُ فَقَالَ: «مَا أَغْضَبَكَ؟» قَالَ: يَا رَسُول الله مَا لَنَا وَلِقُرَيْشٍ إِذَا تَلَاقَوْا بَيْنَهُمْ تَلَاقَوْا بِوُجُوهٍ مُبْشَرَةٍ وَإِذَا لَقُونَا لَقُونَا بِغَيْرِ ذَلِكَ؟ فَغَضِبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ ثُمَّ قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَدْخُلُ قَلْبَ رَجُلٍ الْإِيمَانُ حَتَّى يحبكم لله وَلِرَسُولِهِ» ثمَّ قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ آذَى عَمِّي فَقَدْ آذَانِي فَإِنَّمَا عَمُّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ. وَفِي «المصابيح» عَن الْمطلب
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3758 وقال : حسن صحیح) * فیہ یزید بن ابی زیاد : ضعیف مشھور ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে ‘আব্বাস (রাঃ)-এর রাগান্বিত হওয়ার কারণ হলো আবূ জাহল তাঁকে বলেছিল, বানূ হাশিম গোত্র যুদ্ধের পতাকা গ্রহণ করে, হাজীদের পানি পান করায়, নুবুওয়্যাত ও রিসালাত তাদের মাঝে তাহলে অন্যান্য কুরায়শদের মাঝে কি অবশিষ্ট থাকল? (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী হা. ৩৭৭০)
হাদীসে ‘আব্বাস (রাঃ)-এর মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। এটাই প্রকৃত উদ্দেশ্য। তাছাড়া হাদীস হতে বুঝা যায়, কোন ব্যক্তির চাচার মর্যাদা কতটুকু। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৭-[২৩] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আব্বাস আমার সাথে জড়িত আর আমি তাঁর সাথে জড়িত। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعَبَّاسُ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3759 وقال : حسن صحیح غریب) * فیہ عبد الاعلی الثعلبی : ضعیف ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (الْعَبَّاسُ مِنِّي) এর তিনটি অর্থ হতে পারে- (১) আমার নিকটস্থ ব্যক্তি, (২) আহলে বায়তের অন্তর্ভুক্ত, (৩) আমার সাথে সম্পৃক্ত। 'আব্বাস (রাঃ) নবী (সা.) -এর দুই বছরের বড় ছিলেন। তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করা হত আপনি বড় নাকি রাসূল! উত্তরে তিনি বিনয়-নম্রতা, শিষ্টাচার প্রকাশার্থে বলতেন, নবী (সা.) বড় আর আমি অনেক ছোট। মুল্লা আলী ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, 'আব্বাস (রাঃ)-এর মা নামির ইবনু কাসিত-এর মেয়ে ছিলেন। নামির ইবনু কাসিত হলেন ‘আরবের প্রথম ব্যক্তি, যে কা'বা ঘরে রেশমী কাপড় পরান। এর কারণ হলো ‘আব্বাস (রাঃ) ছোট থাকতে হারিয়ে যান। তাই তিনি মানৎ করেন যদি তাকে খুঁজে পান তাহলে কা'বাহ্ ঘরে কাপড় পরাবেন। 'আব্বাস (রাঃ) জাহিলী যুগে নেতা ছিলেন। তাঁর দায়িত্বে ছিল হাজীদের পানি পান করানো ও মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ।
মুজাহিদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, 'আব্বাস (রাঃ) মৃত্যুর সময় ৭০টি দাস মুক্ত করেন। তিনি আসহাবে ফিলের বা “হস্তিবাহিনী” ঘটনার ১ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৩২ হিজরীতে ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বাকী' নামক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি অনেক পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন কিন্তু গোপন রাখেন। বদর যুদ্ধে তিনি মুশরিকদের সাথে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বের হন। তাই নবী (সা.) বলেছেন, যার সাথে ‘আব্বাস -এর সাক্ষাৎ হবে সে যেন তাঁকে হত্যা না করে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৮-[২৪] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আব্বাস (রাঃ) কে বললেন, সোমবার সকালে আপনি আপনার সন্তানসহ আমার কাছে আসবেন। তখন আমি আপনাদের জন্য এমন কিছু বিশেষ দু’আ করব, যাতে আল্লাহ তাআলা আপনাকে ও আপনার সন্তানকে উপকৃত করেন। অতএব তিনি ও তাঁর সাথে আমরাও সকালে উপস্থিত হলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর চাদর আমাদের দেহে জড়িয়ে দিলেন, অতঃপর এভাবে দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! তুমি ’আব্বাস ও তার সন্তানদের ক্ষমা করে দাও, তাদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিক হতে পবিত্র রাখ। তাদের কোন প্রকারের গুনাহই অবশিষ্ট রেখো না। হে আল্লাহ! আব্বাস-কে তাঁর সন্তানদের মাঝে নিরাপদে রাখ।’ (তিরমিযী)
আর রযীন এ বাক্যটি বাড়িয়ে বলেছেন, [রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’আর মধ্যে বলেছেন,] খিলাফত ও রাজত্ব তাঁর সন্তানদের মাঝে বহাল রাখ। ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, হাদীসটি গরীব।
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَزِيَادَة رزين مُنكرَة) وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْعَبَّاسِ: «إِذَا كَانَ غَدَاةَ الِاثْنَيْنِ فَأْتِنِي أَنْتَ وَوَلَدُكَ حَتَّى أَدْعُوَ لَهُمْ بِدَعْوَةٍ يَنْفَعُكَ اللَّهُ بِهَا وَوَلَدَكَ» فَغَدَا وَغَدَوْنَا مَعَهُ وَأَلْبَسَنَا كِسَاءَهُ ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلْعَبَّاسِ وَوَلَدِهِ مَغْفِرَةً ظَاهِرَةً وَبَاطِنَةً لَا تُغَادِرُ ذَنْبًا اللَّهُمَّ احْفَظْهُ فِي وَلَدِهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَزَادَ رَزِينٌ: «وَاجْعَلِ الْخِلَافَةَ بَاقِيَةً فِي عَقِبِهِ» وَقَالَ التِّرْمِذِيّ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3762) و رزین (لم اجدہ) * فیہ عبدالوھاب بن عطاء مدلس و عنعن و روی عن ابن معین بانہ قال :’’ ھذا موضوع و عبد الوھاب : لم یقل فیہ حدثنا ثور و لعلہ دلّس فیہ وھو ثقۃ ‘‘ و فیہ علۃ أخری
ব্যাখ্যা: ইমাম তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: এ হাদীসে নবী (সা.) ইঙ্গিত করেছেন যে, ‘আব্বাস (রাঃ) ও তার পরিবারবর্গ তাঁর নিকট খুব কাছের লোক ও বিশেষ ব্যক্তি যেন তারা একটি ব্যক্তি যা ঢেকে রেখেছে একটি কাপড়। তিনি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দু'আ করছেন যেন তাদের ওপর অনুগ্রহ প্রসারিত করা হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৭৭৪)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৯-[২৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি জিবরীল (আঃ)-কে দু’বার দেখেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর জন্য দু’বার দু’আ করেছেন। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعنهُ أَنه رأى جِبْرِيل مَرَّتَيْنِ وَدَعَا لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مرَّتَيْنِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3822) * فیہ لیث بن ابی سلیم : ضعیف و الثوری مدلس و عنعن و السند منقطع ۔
(ضَعِيف)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬০-[২৬] উক্ত রাবী [’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা যেন আমাকে জ্ঞান দান করেন, এ উদ্দেশে রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার জন্য দু’বার দু’আ করেছেন। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: دَعَا لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُؤْتِيَنِي اللَّهُ الْحِكْمَة مرَّتَيْنِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3823 وقال : حسن غریب) ۔
(حسن)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬১-[২৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জা’ফার (ইবনু আবূ ত্বালিব) (রাঃ) মিসকীনদেরকে খুব বেশি ভালোবাসতেন, তাদের সাথে বসতেন এবং আলাপ করতেন তারাও জা’ফার-এর সাথে দ্বিধাহীনচিত্তে আলাপ-আলোচনা করত। এজন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ’আবূল মাসাকিন’ উপনামে আহ্বান করতেন। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ جَعْفَرٌ يُحِبُّ الْمَسَاكِينَ وَيَجْلِسُ إِلَيْهِمْ وَيُحَدِّثُهُمْ وَيُحَدِّثُونَهُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَنِّيهِ بِأَبِي الْمَسَاكِين. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3766) [و ابن ماجہ (4125 مختصرًا)] * فیہ ابراھیم المخزومی : متروک ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: হাদীসে যে বিষয়গুলো প্রতীয়মান হয়, তা নিম্নরূপ: (১) এ হাদীস প্রমাণ করে বড়দের ভালোবাসা, (২) সম্মান ও মর্যাদা লাভের মাধ্যম হলো দরিদ্র ব্যক্তিবর্গ। তারা আছে বলে ধনীদের এত সম্মান। (৩) তাদের সাথে বিনয় আচরণ ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি হয়। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী হা. ৩৭৭৮)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬২-[২৮] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমি জান্নাতে জা’ফার-কে মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাদের) সাথে উড়তে দেখেছি। ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব]
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ جَعْفَرًا يَطِيرُ فِي الْجَنَّةِ مَعَ الْمَلَائِكَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
حسن ، رواہ الترمذی (3763) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: ইমাম তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, সিরিয়ায় মুতার যুদ্ধের সময় যায়দ ইবনু হারিসাহ- এর শাহাদাতের পর তার হাতে ইসলামের ঝাণ্ডা ছিল। তিনি আল্লাহর পথে শহীদ হন। এমনকি তার দুই হাত ও দুই পা কেটে ফেলা হয়। নবী (সা.) স্বপ্নে দেখেন যে, জাফার এই রক্তমিশ্রিত দুটি ডানা নিয়ে জান্নাতে মালায়িকার (ফেরেশতাদের) সাথে উড়ছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬৩-[২৯] আবূ সাঈদ (আল খুদরী) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: হাসান ও হুসায়ন দু’জনই যুবক জান্নাতীদের নেতা। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شباب أهل الْجنَّة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
صحیح ، رواہ الترمذی (3768 وقال : صحیح حسن) ۔
(حسن صَحِيحٌ)
ব্যাখ্যা: ইমাম মুজাহিদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:
(১) আল্লাহর পথে যে সমস্ত যুবক মৃত্যুবরণ করেছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করেছে, তাদের সকলের চেয়ে উত্তম হলো, হাসান ও হুসায়ন (রাঃ)। এখানে যুবকদের বয়স বর্ণনা করা হয়নি।
(২) অথবা নবীগণ ও খুলাফায়ে রাশিদীন ব্যতীত সকল জান্নাতীদের সরদার হলেন, হাসান ও হুসায়ন (রাঃ)। কেননা সকল জান্নাতী ব্যক্তি যুবকও একই বয়সের হবে। তাদের মধ্যে কোন বৃদ্ধ ও শিশু থাকবে না।
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ উদ্দেশ্য হওয়াও সম্ভব যে, বর্তমান যুগে যে সমস্ত যুবক মৃত্যুবরণ করে জান্নাতে যাচ্ছে, তাদের নেতা হলেন হাসান ও হুসায়ন (রাঃ)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৭৮০)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬৪-[৩০] ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: হাসান এবং হুসায়ন তাঁরা দুজন দুনিয়াতে আমার দু’টি সুগন্ধময় ফুলস্বরূপ। [তিরমিযী, এ হাদীসটি (শাব্দিক সামান্য পরিবর্তনসহ) প্রথম অনুচ্ছেদেও বর্ণিত হয়েছে]
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ هُمَا رَيْحَانَيَّ مِنَ الدُّنْيَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَدْ سبَق فِي الْفَصْل الأول
صحیح ، رواہ الترمذی (3770 وقال : صحیح) [وھو فی صحیح البخاری (3753)] * و انظر الحدیث السابق (6136) ۔
(صَحِيح)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬৫-[৬১] উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন কোন এক প্রয়োজনে রাতের বেলায় আমি নবী (সা.) -এর কাছে গেলাম। তখন নবী (সা.) এমন অবস্থায় গৃহ হতে বের হলেন যে, (মনে হলো) তিনি চাদর দ্বারা দেহের সাথে কি একটি জিনিস জড়িয়ে রেখেছেন, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি সে জিনিসটি কি? অতঃপর যখন আমি প্রয়োজন সেরে তাঁর কাছ হতে অবসর হলাম, তখন প্রশ্ন করলাম, (হে আল্লাহর রাসূল!) আপনি চাদরের ভিতরে কি জিনিস জড়িয়ে রেখেছেন? তখন তিনি চাদরখানা সরিয়ে ফেললে দেখলাম, হাসান ও হুসায়ন দু’জন তাঁর দুই উরুতে বসে রয়েছেন। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, এরা দু’জন আমার পুত্র এবং তনয়ার পুত্র। হে আল্লাহ! আমি এদের দুজনকেই ভালোবাসি। অতএব আপনিও তাদের দু’জনকে ভালোবাসুন। আর যারা এ দু’জনকে ভালোবাসবে, আপনি তাদেরকেও ভালোবাসুন। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَن أسامةَ بنِ زيدٍ قَالَ: طَرَقْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي بَعْضِ الْحَاجَةِ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُشْتَمِلٌ عَلَى شَيْء وَلَا أَدْرِي مَا هُوَ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْ حَاجَتِي قُلْتُ: مَا هَذَا الَّذِي أَنْتَ مُشْتَمِلٌ عَلَيْهِ؟ فَكَشَفَهُ فَإِذَا الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ عَلَى وَرِكَيْهِ. فَقَالَ: «هَذَانِ ابْنَايَ وَابْنَا ابْنَتِي اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فأحبهما وَأحب من يحبهما» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
صحیح ، رواہ الترمذی (3769 وقال : حسن غریب) و سندہ حسن و للحدیث شواھد
ব্যাখ্যা: (فَكَشَفَهُ) নবী (সা.) -এর কাপড় সরিয়ে নেয়ার কারণে যার দরুন হাসান ও হুসায়ন (রাঃ)-কে, দেখা গেল। তিনি উভয়ের জন্য এই দু'আ প্রকাশ করলেন। এটা তখন ঘটল যখন উসামাহ্ (রাঃ) নবী (সা.) - কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কাপড়ে কি পেচিয়ে রেখেছেন। হাদীসে হাসান ও হুসায়ন (রাঃ)-এর মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হাদীসের উদ্দেশ্য হলো উক্ত দু'আ প্রকাশ করা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৭৮১)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬৬-[৩২] সালমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) -এর কাছে গিয়ে দেখলাম, তিনি কাঁদছেন। প্রশ্ন করলাম, আপনি কেন কাঁদছেন? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে এমন অবস্থায় দেখেছি, অর্থাৎ স্বপ্নে তাঁর মাথা ও দাড়ি ধুলাবালিতে মিশ্রিত। অতঃপর আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ অবস্থা কেন, কি হয়েছে আপনার? তিনি (সা.) বললেন, এইমাত্র হুসায়ন-এর শাহাদাতের স্থানে উপস্থিত হয়েছিলাম।
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْ سَلْمَى قَالَتْ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ وَهِي تبْكي فَقلت: مَا بيكيك؟ قَالَتْ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - تَعْنِي فِي الْمَنَامِ - وَعَلَى رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ التُّرَابُ فَقُلْتُ: مَا لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «شَهِدْتُ قَتْلَ الْحُسَيْنِ آنِفًا» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3771) * سلمی : لاتعرف و حدیث احمد (1 / 283) عن ابن عباس قال :’’ رایت رسول اللہ صلی اللہ علیہ و آلہ وسلم فی النوم نصف النھار اشعث اغبر و بیدہ قارورۃ فیھا دم ، قلت : یا رسول اللہ ما ھذا ؟ قال : ھذا دم الحسین و اصحابہ ، لم ازل الیوم التقطہ ‘‘ سندہ حسن ، وھو یغنی عن ھذا الحدیث الضعیف ، و فی صحیح الحدیث شغل عن سقیمہ ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (عَلَى رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ التُّرَابُ) অর্থাৎ- নবী (সা.) -এর মাথা ও দাড়ি ধূলিময় দেখলেন।
(آنِفًا) নিকটবর্তী সময়, কাছাকাছি সময় বা কিছুক্ষণ পূর্বে যা ঘটেছে তা বুঝানোর জন্য আনা হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহ্ওয়াযী হা, ৩৭৮৩)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬৭-[৩৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে প্রশ্ন করা হলো, আপনি আপনার আহলে বায়তের মাঝে কাকে সর্বাধিক ভালোবাসেন? তিনি বললেন, হাসান ও হুসায়নকে। আর তিনি (সা.) ফাতিমাহ্ -এর উদ্দেশে বলতেন, আমার পুত্রদ্বয়কে আহ্বান করো। তারা আসলে তিনি তাদেরকে শুঁকতেন (চুমা দিতেন) এবং উভয়কে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরতেন। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব]
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَي بَيْتِكَ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: «الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ» وَكَانَ يَقُولُ لِفَاطِمَةَ: «ادْعِي لِي ابْنَيَّ» فَيَشُمُّهُمَا وَيَضُمُّهُمَا إِلَيْهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3772) * فیہ یوسف بن ابراھیم : ضعیف ۔
(ضَعِيف)
وعن أنس قال: سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم: أي بيتك أحب إليك؟ قال: «الحسن والحسين» وكان يقول لفاطمة: «ادعي لي ابني» فيشمهما ويضمهما إليه. رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬৮-[৩৪] বুরয়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের সামনে সেখানে এসে উপস্থিত হলেন। হাসান ও হুসাইন (রাযিঃ) এলেন আর তাদের উভয়ের দেহে ছিল লাল বর্ণের দু’টি জামা। তাঁরা এমনভাবে চলছিলেন যেন পড়ে যাচ্ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) মিম্বার হতে অবতরণ করলেন এবং তাঁদেরকে উঠিয়ে এনে নিজের সম্মুখে বসিয়ে রাখলেন। অতঃপর বললেন, আল্লাহ সত্যই বলেছেন, “তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিগণ ফিতনাহ্।’ আমি এ বাচ্চা দু’টির দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, এরা হাঁটছে এবং পড়ে যাচ্ছে, অতএব আমি আর স্থির থাকতে পারলাম না। সবশেষে আমি আলোচনা বন্ধ করে দিলাম এবং তাদেরকে উঠিয়ে আনলাম। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও নাসায়ী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُنَا إِذْ جَاءَ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ عَلَيْهِمَا قَمِيصَانِ أَحْمَرَانِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ الْمِنْبَرِ فَحَمَلَهُمَا وَوَضَعَهُمَا بَيْنَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «صَدَقَ اللَّهُ [إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ] نَظَرْتُ إِلَى هَذَيْنِ الصَّبِيَّيْنِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ فَلَمْ أَصْبِرْ حَتَّى قَطَعْتُ حَدِيثِي وَرَفَعْتُهُمَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3774 وقال : حسن غریب) و ابوداؤد (1109) و النسائی (3 / 108 ح 1414) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (وَيَعْثُرَانِ) তাঁরা (হাসান ও হুসায়ন রাঃ) উভয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছিল হাঁটার সময় ছোট ও কম বয়স হওয়ার দরুন।
(فِتْنَةٌ) এটা মানবকুলের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত পরীক্ষা। যাতে তিনি জানতে পারেন কে তাঁর অনুসরণ করে ও কে অবাধ্য হয়।
হাদীস হতে যে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয় তা নিম্নরূপ- (১) নবী (সা.) -এর অন্তর খুব নরম ছিল। তাই তিনি বক্তব্য ছেড়ে তাদের কাছে আসলেন। (২) সন্তান ও সম্পদ পরীক্ষাস্বরূপ। (মিরকাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৭৮৬)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬৯-[৩৫] ইয়া’লা ইবনু মুররাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: হুসায়ন আমার হতে আর আমি হুসায়ন হতে। যে হুসায়নকে ভালোবাসবে আল্লাহ তা’আলা তাকে ভালোবাসবেন। হুসায়ন বংশসমূহের মাঝে একটি বংশ। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَن يعلى بن مرَّة قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حُسَيْنٌ مِنِّي وَأَنَا مِنْ حُسَيْنٍ أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا حُسَيْنٌ سِبَطٌ مِنَ الأسباط» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3775 وقال : حسن)
ব্যাখ্যা: (أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا) ভালোবাসা ও সম্মান অবশ্যক হওয়ার ক্ষেত্রে যেন মানুষ [নবী (সা.) ও হুসায়ন (রাঃ)]-কে একই হুকুমে রাখে।
উক্ত বিষয়টাকে পরবর্তী বাক্য গুরুত্বারোপ করে তুলে (أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا) “যে ব্যক্তি হুসায়ন-কে ভালোবাসে আল্লাহ তাকে ভালোবাসবেন”। কেননা হুসায়ন (রাঃ)-কে ভালোবাসা রাসূল (সা.) -কে ভালোবাসার নামান্তর, আর নবী (সা.)-কে ভালোবাসা আল্লাহকে ভালোবাসার নামান্তর।
(سِبَطٌ مِنَ الأسباط) অর্থাৎ- এমন গাছ যার মূল কাণ্ড একটি ও শাখা-প্রশাখা অনেক। অনুরূপভাবে পিতা হলো গাছের কাণ্ডের ন্যায় ও সন্তানেরা হলো গাছের শাখা-প্রশাখার ন্যায়। কেউ কেউ বলেন, হুসায়ন (রাঃ) উম্মতসমূহের মধ্য হতে একটি উম্মত। যারা সকলে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। আল কামূস অভিধান প্রণেতা বলেন, (سِبَطٌ) “সিবাতুন বলতে মেয়ের ছেলেকে বুঝায়।
কেউ কেউ বলেন, (سِبَطٌ) এর অর্থ হলো গোত্র। গোত্র অর্থটি কয়েকভাবে সম্ভব হতে পারে। (১) অনেক শাখা-প্রশাখা হয়ে একটি গোত্র তৈরি হয়ে গেছে। (২) হতে পারে তার বংশে অনেক লোক বৃদ্ধি পাবে। হাদীসে এই দ্বিতীয় বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা লোক বৃদ্ধির কারণে বংশ স্থায়ী হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তিরমিযী হা. ৩৭৭৫)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৭০-[৩৬] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। হাসান হলেন (চেহারা-আকৃতি-অবয়বে) মাথা হতে বক্ষ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সদৃশ। আর হুসায়ন হলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর বুকের নিচের অংশের সদৃশ। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: الْحَسَنُ أَشْبَهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَيْنَ الصَّدْرِ إِلَى الرَّأْسِ وَالْحُسَيْنُ أَشْبَهَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا كَانَ أَسْفَل من ذَلِك. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3779 وقال : حسن غریب) * فیہ ابو اسحاق السبیعی : مدلس و عنعن ۔
(ضَعِيفٌ)
ব্যাখ্যা: মিরক্বাত ভাষ্যকার বলেন, হাদীসের বাচনভঙ্গি থেকে মনে হচ্ছে যে, বড়জন অঙ্গের সাদৃশ্য পেয়েছে পৃথিবীতে আগে আসার দরুন। আর অবশিষ্টাংশ ছোটজনের জন্য পরে আসার দরুন। হাদীসে আরো স্পষ্ট হয় যে, হাসান ও হুসায়ন (রাঃ) তারা কেউই তাদের পিতা-মাতার সাদৃশ্য পাননি। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৭১-[৩৭] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি আমার আম্মাকে বললাম, আমাকে সম্মতি দিন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে গিয়ে তাঁর সাথে মাগরিবের সালাত আদায় করি এবং নিজের ও আপনার ক্ষমার জন্য তার কাছে দু’আর আবেদন করি। (অনুমতিক্রমে) অতঃপর আমি নবী (সা.) - এর কাছে এসে তার সাথে মাগরিবের সালাত আদায় করলাম। এরপর তিনি (সা.) (নফল) সালাত আদায় করতে থাকেন। অবশেষে ইশার সালাত আদায় করে যখন গৃহাভিমুখে রওয়ানা হলেন, তখন আমিও তার পিছনে পিছনে যাত্রা করলাম। তিনি (সা.) আমার (পায়ের) আওয়াজ শুনতে পেয়ে বললেন, কে, হুযায়ফাহ্? বললাম, হ্যাঁ। তিনি (সা.) বললেন, কি প্রয়োজনে এসেছ? আল্লাহ তা’আলা তোমাকে এবং তোমার মাতাকে ক্ষমা করুন। (হে হুযায়ফাহ!) ইনি মালাক (ফেরেশতা), যিনি এ রাত্রির পূর্বে আর কখনো ভূপৃষ্ঠে অবতরণ করেননি। তিনি তার প্রভুর কাছে অনুমতি চান যে, আমাকে সালাম করবেন এবং আমাকে এ সুসংবাদটি জানিয়ে দেবেন যে, ফাতিমাহ্ জান্নাতী মহিলাদের সরদার আর হাসান এবং হুসায়ন দু’জনই জান্নাতী যুবকদের সরদার।
[ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব]
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَن حُذَيْفَة قَالَ: قُلْتُ لِأُمِّي: دَعِينِي آتِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُصَلِّي مَعَهُ الْمَغْرِبَ وَأَسْأَلُهُ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لِي وَلَكِ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ الْمَغْرِبَ فَصَلَّى حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ ثُمَّ انْفَتَلَ فَتَبِعْتُهُ فَسَمِعَ صَوْتِي فَقَالَ: «مَنْ هَذَا؟ حُذَيْفَةُ؟» قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: «مَا حَاجَتُكَ؟ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ وَلِأُمِّكِ إِنَّ هَذَا مَلَكٌ لَمْ يَنْزِلِ الْأَرْضَ قَطُّ قَبْلَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ أَنْ يُسَلِّمَ عَلَيَّ وَيُبَشِّرَنِي بِأَنَّ فَاطِمَةَ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3781) ۔
(إِسْنَاده جيد)