পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৬-[২২] ’আবদুল মুত্তালিব ইবনু রবীআহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন আব্বাস (রাঃ) ভীষণ ক্ষুব্ধ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে আসলেন। আমি তখন তাঁর কাছে বসা ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রশ্ন করলেন, কিসে আপনাকে এমনভাবে ক্ষুব্ধ করেছে? তখন তিনি [আব্বাস (রাঃ)] বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের (অর্থাৎ বানূ হাশিম) এবং কুরায়শের মধ্যে কি (ব্যবধান) রয়েছে? তারা যখন একে অপরের দেখা সাক্ষাৎ করে, তখন তারা হাশিখুশি অবস্থায় মেলামেশা করে। অপরদিকে আমাদের সাথে যখন দেখা-সাক্ষাৎ করে, তখন তারা সেভাবে মিলে না। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) এমনভাবে রাগান্বিত হলেন যে, তাঁর চেহারা লাল হয়ে গেল। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! কোন লোকের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির উদ্দেশে তোমাদেরকে (অর্থাৎ আহলে বায়তকে) ভালোবাসবে। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, হে লোকসকল! যে লোক আমার চাচাকে কষ্ট দেয়, সে যেন আমাকে কষ্ট দিল। কেননা কোন লোকের চাচা হলো তার পিতার সমতুল্য। (তিরমিযী, মাসাবীহ গ্রন্থে হাদীসটির বর্ণনাকারীর নাম ’মুত্তালিব’ উল্লেখ রয়েছে)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
إِلَّا الْجُمْلَة الْأَخِيرَة فصحيحة) وَعَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّ الْعَبَّاسَ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُغْضَبًا وَأَنَا عِنْدَهُ فَقَالَ: «مَا أَغْضَبَكَ؟» قَالَ: يَا رَسُول الله مَا لَنَا وَلِقُرَيْشٍ إِذَا تَلَاقَوْا بَيْنَهُمْ تَلَاقَوْا بِوُجُوهٍ مُبْشَرَةٍ وَإِذَا لَقُونَا لَقُونَا بِغَيْرِ ذَلِكَ؟ فَغَضِبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ ثُمَّ قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَدْخُلُ قَلْبَ رَجُلٍ الْإِيمَانُ حَتَّى يحبكم لله وَلِرَسُولِهِ» ثمَّ قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ آذَى عَمِّي فَقَدْ آذَانِي فَإِنَّمَا عَمُّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ. وَفِي «المصابيح» عَن الْمطلب اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3758 وقال : حسن صحیح) * فیہ یزید بن ابی زیاد : ضعیف مشھور ۔ (ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে ‘আব্বাস (রাঃ)-এর রাগান্বিত হওয়ার কারণ হলো আবূ জাহল তাঁকে বলেছিল, বানূ হাশিম গোত্র যুদ্ধের পতাকা গ্রহণ করে, হাজীদের পানি পান করায়, নুবুওয়্যাত ও রিসালাত তাদের মাঝে তাহলে অন্যান্য কুরায়শদের মাঝে কি অবশিষ্ট থাকল? (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী হা. ৩৭৭০)
হাদীসে ‘আব্বাস (রাঃ)-এর মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। এটাই প্রকৃত উদ্দেশ্য। তাছাড়া হাদীস হতে বুঝা যায়, কোন ব্যক্তির চাচার মর্যাদা কতটুকু। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)