পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১২৮-[২১] কায়স ইবনু আবূ হাযিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ’আরবদের মাঝে আমিই সর্বপ্রথম লোক, যে আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করেছে। আর আমরা নিজেদেরকে এ অবস্থায় দেখেছি যে, আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে জিহাদে বের হয়েছি এবং আমাদের কাছে কোন খাদ্যদ্রব্য ছিল না, শুধু গাছের গোটা এবং বাবলার পাতা ছাড়া। যার ফলে আমাদের প্রতিটি লোক বকরির মলের মতো বড়ি বড়ি আকারে মল ত্যাগ করত। অতঃপর (পরবর্তীকালে) বানী আসাদ গোত্র আমাকে ইসলাম (সালাত) সম্পর্কে তিরস্কার করছে, এমতাবস্থায় তো আমি খুবই হতভাগা হব এবং আমার সকল ’আমল অহেতুক সাব্যস্ত হবে। আর (সা’দ এজন্য এ কথা বললেন যে,) বানূ আসাদ ’উমার (রাঃ)-এর কাছে তাঁর সম্পর্কে কটাক্ষ করেছিল এবং তারা অভিযোগে করেছিল যে, তিনি সঠিকভাবে সালাত আদায় করতে জানেন না। (বুখারী ও মুসলিম)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)

عَن قيس بن حَازِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ يَقُولُ: إِنِّي لَأَوَّلُ رَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَرَأَيْتُنَا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا لَنَا طَعَامٌ إِلَّا الْحُبْلَةَ وَوَرَقَ السَّمُرِ وَإِنْ كَانَ أَحَدنَا ليضع كَمَا تضع الشَّاة مَاله خِلْطٌ ثُمَّ أَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ تُعَزِّرُنِي عَلَى الْإِسْلَامِ لَقَدْ خِبْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي وَكَانُوا وَشَوْا بِهِ إِلَى عُمَرَ وَقَالُوا: لَا يُحْسِنُ يُصَلِّي. مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3728) و مسلم (12 / 2966)، (7433) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)

عن قيس بن حازم قال: سمعت سعد بن ابي وقاص يقول: اني لاول رجل من العرب رمى بسهم في سبيل الله ورايتنا نغزو مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وما لنا طعام الا الحبلة وورق السمر وان كان احدنا ليضع كما تضع الشاة ماله خلط ثم اصبحت بنو اسد تعزرني على الاسلام لقد خبت اذا وضل عملي وكانوا وشوا به الى عمر وقالوا: لا يحسن يصلي. متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (3728) و مسلم (12 / 2966)، (7433) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: (إِنِّي لَأَوَّلُ رَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ رَمَى بِسَهْمٍ) হাফিয ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, উক্ত ঘটনাটি ঘটেছিল ‘উবায়দাহ্ ইবনু হারিস ইবনু মুত্ত্বালিব-এর ‘সারিয়া’য় (বা ছোট যুদ্ধ যার লোক সংখ্যা থাকে ৩-৬ জন) এটি প্রথম যুদ্ধ ছিল যা মুসলিম ও মুশরিকদের মাঝে সংঘটিত হয়েছিল। এটি প্রথম হিজরীতে সংঘটিত হয়। তিনি মুসলিমদের একটি দল “রাবেগ’ নামক অঞ্চলে পাঠান এবং সেখানে কুরায়শদের কাফিলার সাথে সাক্ষাৎ হয় ও পরস্পরের মাঝে তীর নিক্ষেপ হয়। আর সা'দ (রাঃ) সেখানে সর্বপ্রথম তীর নিক্ষেপ করেন। (ফাতহুল বারী হা, ৩৭২৮)
ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, উক্ত হাদীসে সা'দ (রাঃ)-এর স্পষ্ট মর্যাদা প্রকাশ করা হয়েছে। এবং মানুষ প্রয়োজনে নিজের প্রশংসা করতে পারে ইসলামে তার বৈধতা রয়েছে। (শারহুন নাবাবী হা, ২৯৬৬)।
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, উক্ত হাদীসে সালাতকে ইসলাম দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে যেমন কুরআনে সালাতকে ঈমান দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, (وَ مَا کَانَ اللّٰهُ لِیُضِیۡعَ اِیۡمَانَکُمۡ)...আল্লাহ তোমাদের ঈমান নষ্ট করবেন না...।” (সূরা আল বাক্বারাহ্ ২: ১৪৩) এখানে ঈমান দ্বারা সালাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।

প্রেক্ষিত ঘটনা: সা'দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর নেতত্বে খলীফাহ্ ‘উমার (রাঃ)-এর খিলাফতকালে ‘ইরাক বিজয় হয়। খলীফাহ্ সা'দ-কে কুফার গভর্নর নিযুক্ত করলে কতিপয় লোক খলীফার নিকট সা'দ-এর বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা অভিযোগ করে; তন্মধ্যে একটি অভিযোগ এই যে, তিনি সঠিক সালাত আদায় করতে জানে না। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর শিখানো সময় ও পদ্ধতিতেই সালাত আদায় করতেন। তার ওপর এই মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন: (لَقَدْ خِبْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي) “তাহলে আমি তো হব হতভাগা, আমার সব ‘আমল হবে ব্যর্থ।” এ বাক্যটি সেদিকে ইশারা করেছে। (আসহাবে রসূলের জীবন কথা ১ম খণ্ড)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১২৯-[২২] সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমাকে এ অবস্থায় দেখতে পেয়েছি যে, আমি ছিলাম ইসলামের তৃতীয় লোক। তিনি আরো বলেন, আমি যে সময় ইসলাম গ্রহণ করেছি, তখন আর কেউই ইসলাম গ্রহণ করেনি এবং [পর] সাত দিন অবধি আমি ইসলামের এক-ততীয়াংশ হিসেবে ছিলাম। (বুখারী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)

وَعَنْ سَعْدٍ قَالَ: رَأَيْتُنِي وَأَنَا ثَالِثُ الْإِسْلَامِ وَمَا أَسْلَمَ أَحَدٌ إِلَّا فِي الْيَوْمِ الَّذِي أَسْلَمْتُ فِيهِ وَلَقَدْ مَكَثْتُ سَبْعَةَ أَيَّامٍ وَإِنِّي لثالث الْإِسْلَام. رَوَاهُ البُخَارِيّ

رواہ البخاری (3727) ۔
(صَحِيح)

وعن سعد قال: رايتني وانا ثالث الاسلام وما اسلم احد الا في اليوم الذي اسلمت فيه ولقد مكثت سبعة ايام واني لثالث الاسلام. رواه البخاري رواہ البخاری (3727) ۔ (صحيح)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৩০-[২৩] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর স্ত্রীগণকে বলতেন, আমার পর তোমাদের অবস্থা কি হবে, তা আমাকে চিন্তিত রাখে। আর একমাত্র সাবির ও সিদ্দীকগণই তোমাদের ব্যাপারে সবরের পরিচয় দেবে। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, যারা দান-সদাক্বাহ করেন। অতঃপর ’আয়িশাহ্ (রাঃ) আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রহমান (রাঃ)-কে বললেন, আল্লাহ তা’আলা তোমার আব্বাকে জান্নাতের ’সালসাবীল’ নহর হতে তুষ্ট করুন। এই ’আবদুর রহমান ইবনু আওফ উম্মহাতুল মু’মিনীনের জন্য একটি বাগান দিয়েছিলেন, যা চল্লিশ হাজারে (দীনারে) বিক্রয় হয়েছে। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)

وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ لِنِسَائِهِ: «إِنَّ أَمْرَكُنَّ مِمَّا يَهُمُّنِي مِنْ بَعْدِي وَلَنْ يَصْبِرَ عَلَيْكُنَّ إِلَّا الصَّابِرُونَ الصِّدِّيقُونَ» قَالَتْ عَائِشَةُ: يَعْنِي الْمُتَصَدِّقِينَ ثُمَّ قَالَتْ عَائِشَةُ لِأَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ سَقَى اللَّهُ أَبَاكَ مِنْ سَلْسَبِيلِ الْجَنَّةِ وَكَانَ ابنُ عوفٍ قَدْ تَصَدَّقَ عَلَى أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ بِحَدِيقَةٍ بِيعَتْ بِأَرْبَعِينَ ألفا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3749 وقال : حسن صحیح غریب) ۔
(حسن)

وعن عاىشة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقول لنساىه: «ان امركن مما يهمني من بعدي ولن يصبر عليكن الا الصابرون الصديقون» قالت عاىشة: يعني المتصدقين ثم قالت عاىشة لابي سلمة بن عبد الرحمن سقى الله اباك من سلسبيل الجنة وكان ابن عوف قد تصدق على امهات المومنين بحديقة بيعت باربعين الفا. رواه الترمذي اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3749 وقال : حسن صحیح غریب) ۔ (حسن)

ব্যাখ্যা: (إِنَّ أَمْرَكُنَّ مِمَّا يَهُمُّنِي مِنْ بَعْدِي) তুহফা প্রণেতা বলেন, নবী (সা.) উক্ত কথা তার স্ত্রীদের সম্বোধন করে বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমার মৃত্যুর পর তোমাদের কি অবস্থা হবে তা আমাকে চিন্তিত করে রাখে। কেননা তাদের জন্য কোন ‘মীরাস' বা উত্তরাধিকার সম্পদ রেখে জাননি। কারণ তাঁর স্ত্রীদের যখন দুনিয়া ও আখিরাতের জীবন হতে কোন একটিকে চয়ন করতে বলা হয় তখন তারা পরকালের জীবনকে পছন্দ করে নেয় বা প্রধান্য দেয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৭৫৮)
ইমাম তাঈ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, 'আবদুর রহমান ইবনু 'আওফ (রাঃ)-এর ‘মীরাস' ষোল ভাগে ভাগ করা হয় এবং প্রত্যেক মহিলা দুই লক্ষ দিরহাম করে ভাগে পান। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৩১-[২৪] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে তাঁর বিবিদের লক্ষ্য করে বলতে শুনেছি, আমার (ওফাতের) পর যে লোক তোমাদেরকে অঞ্জলি ভরে দান করবে, সে সাচ্চা (ঈমানদার) এবং সৎ। হে আল্লাহ! তুমি আবদুর রহমান ইবনু আওফ-কে জান্নাতের সালসাবীল হতে পান করাও। (আহমাদ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِأَزْوَاجِهِ: «إِنَّ الَّذِي يَحْثُو عَلَيْكُنَّ بَعْدِي هُوَ الصَّادِقُ الْبَارُّ اللَّهُمَّ اسْقِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ مِنْ سلسبيلِ الجنةِ» . رَوَاهُ أَحْمد

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (6 / 299 ح 27094) [و الحاکم (3 / 311)] * محمد بن اسحاق مدلس و عنعن و محمد بن عبد الرحمن بن عبداللہ بن الحصین و ثقہ ابن حبان وحدہ ۔
(ضَعِيف)

وعن ام سلمة قالت: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لازواجه: «ان الذي يحثو عليكن بعدي هو الصادق البار اللهم اسق عبد الرحمن بن عوف من سلسبيل الجنة» . رواه احمد اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (6 / 299 ح 27094) [و الحاکم (3 / 311)] * محمد بن اسحاق مدلس و عنعن و محمد بن عبد الرحمن بن عبداللہ بن الحصین و ثقہ ابن حبان وحدہ ۔ (ضعيف)

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৩২-[২৫] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নাজরানবাসীগণ রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য একজন আমানতদার (বিশ্বস্ত) শাসক পাঠান। তখন তিনি বললেন, আমি তোমাদের জন্য একজন অতি বিশ্বস্ত আমানতদার ব্যক্তিকে পাঠাব। অতঃপর সাহাবীগণ এই মর্যাদা লাভের প্রতীক্ষা করতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ-কে পাঠালেন। (বুখারী ও মুসলিম)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)

وَعَن حُذَيْفَة قَالَ: جَاءَ أَهْلُ نَجْرَانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْعَثْ إِلَيْنَا رَجُلًا أَمِينًا. فَقَالَ: «لَأَبْعَثَنَّ إِلَيْكُمْ رَجُلًا أَمِينًا حَقَّ أَمِينٍ» فَاسْتَشْرَفَ لَهَا الناسُ قَالَ: فَبعث أَبَا عبيدةَ بن الْجراح. مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3745) و مسلم (55 / 2420)، (6254) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)

وعن حذيفة قال: جاء اهل نجران الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا: يا رسول الله ابعث الينا رجلا امينا. فقال: «لابعثن اليكم رجلا امينا حق امين» فاستشرف لها الناس قال: فبعث ابا عبيدة بن الجراح. متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (3745) و مسلم (55 / 2420)، (6254) ۔ (متفق عليه)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৩৩-[২৬] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার পর কাকে আমাদের আমির নিযুক্ত করব? উত্তরে তিনি (সা.) বলেন, যদি তোমরা আবূ বকর-কে নিজেদের আমীর নিযুক্ত কর, তখন তাকে পাবে অতি বিশ্বস্ত, আমানতদার, দুনিয়াত্যাগী, পরকালমুখী। আর তোমরা যদি ’উমারকে নিজেদের আমীর নিযুক্ত কর, তখন তাকে পাবে শক্তিশালী, আমানতদার, আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে সে কারো তিরস্কারের প্রতি গুরুত্ব দিবে না। আর তোমরা যদি ’আলীকে নিজেদের আমির নিযুক্ত কর, তবে আমার ধারণা তোমরা এরূপ করবে না, তখন তোমরা তাকে সরল পথপ্রদর্শক এবং সঠিক পথের অনুসারী পাবে, আর তোমাদেরকেও সে সঠিক পথে পরিচালিত করবে। (আহমাদ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)

وَعَن عَليّ قَالَ: قيل لرَسُول اللَّهِ: مَنْ نُؤَمِّرُ بَعْدَكَ؟ قَالَ: «إِنْ تُؤَمِّرُوا أَبَا بَكْرٍ تَجِدُوهُ أَمِينًا زَاهِدًا فِي الدُّنْيَا رَاغِبًا فِي الْآخِرَةِ وَإِنْ تُؤَمِّرُوا عُمَرَ تَجِدُوهُ قَوِيًّا أَمِينًا لَا يَخَافُ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ وَإِنْ تُؤَمِّرُوا عَلِيًّا - وَلَا أَرَاكُمْ فَاعِلِينَ - تَجِدُوهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا يَأْخُذُ بِكُمُ الطَّرِيقَ الْمُسْتَقِيمَ» . رَوَاهُ أَحْمد

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (1 / 109 ح 859) * فیہ ابو اسحاق السبیعی مدلس و عنعن ۔
(ضَعِيف)

وعن علي قال: قيل لرسول الله: من نومر بعدك؟ قال: «ان تومروا ابا بكر تجدوه امينا زاهدا في الدنيا راغبا في الاخرة وان تومروا عمر تجدوه قويا امينا لا يخاف في الله لومة لاىم وان تومروا عليا - ولا اراكم فاعلين - تجدوه هاديا مهديا ياخذ بكم الطريق المستقيم» . رواه احمد اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (1 / 109 ح 859) * فیہ ابو اسحاق السبیعی مدلس و عنعن ۔ (ضعيف)

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশারাহ্ মুবাশশারা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৩৪-[২৭] উক্ত রাবী [’আলী (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা আবূ বকর-এর প্রতি অনুগ্রহ করুন। তিনি স্বীয় কন্যাকে আমার কাছে বিবাহ দিয়েছেন, নিজের উটে আমাকে সওয়ার করিয়ে ’দারুল হিজরতে’ নিয়ে এসেছেন, সাওর গুহায় আমার সাথে ছিলেন এবং নিজের সম্পদ দ্বারা বিলাল-কে ক্রয় করে মুক্ত করেছেন। আল্লাহ তা’আলা ’উমার-এর প্রতি অনুগ্রহ করুন। তিনি সত্যবাদী ছিলেন, যদিও তা (কারো কাছে) তিক্ত হত। সত্যবাদিতা তাঁকে এমন পর্যায়ে পৌছিয়েছেন যে, তাঁর কোন বন্ধু নেই। আল্লাহ তা’আলা ’উসমান-এর প্রতি অনুগ্রহ করুন, ফেরেশতাও তাঁকে দেখে লজ্জা পায়। আল্লাহ তা’আলা ’আলী-এর প্রতি অনুগ্রহ করুন। হে আল্লাহ! হককে ’আলী-এর সাথে করে দাও, যেদিকে ’আলী থাকেন। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব]

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ الْعَشَرَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ)

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَحِمَ اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ زَوَّجَنِي ابْنَتَهُ وَحَمَلَنِي إِلَى دَارِ الْهِجْرَةِ وَصَحِبَنِي فِي الْغَارِ وَأَعْتَقَ بِلَالًا مِنْ مَالِهِ. رَحِمَ اللَّهُ عُمَرَ يَقُولُ الْحَقَّ وَإِنْ كَانَ مُرًّا تَرَكَهُ الْحَقُّ وَمَا لَهُ مِنْ صَدِيقٍ. رَحِمَ اللَّهُ عُثْمَانَ تَسْتَحْيِيهِ الْمَلَائِكَةُ رَحِمَ اللَّهُ عَلِيًّا اللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3714) * فیہ مختار بن نافع : ضعیف ۔
(ضَعِيفٌ)

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «رحم الله ابا بكر زوجني ابنته وحملني الى دار الهجرة وصحبني في الغار واعتق بلالا من ماله. رحم الله عمر يقول الحق وان كان مرا تركه الحق وما له من صديق. رحم الله عثمان تستحييه الملاىكة رحم الله عليا اللهم ادر الحق معه حيث دار» رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3714) * فیہ مختار بن نافع : ضعیف ۔ (ضعيف)

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে