পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০২-[২৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু মুত্বী (রহ.) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মক্কাহ্ বিজয়ের দিন আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, আজকের পর হতে কিয়ামত অবধি কোন কুরায়শী বন্দি অবস্থায় হত্যা করা যাবে না। (মুসলিম)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ: «لَا يُقْتَلُ قُرَشِيٌّ صَبْرًا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَة» . رَوَاهُ مُسلم
رواہ مسلم (88 / 1782)، (4627) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ عَنْ أَبِيهِ) মুল্লা আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আবদুল্লাহ হলেন কুরায়শী, তিনি মদীনায় বসবাস করতেন। তিনি নবী (সা.) -এর যুগে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা তাকে নবী (সা.) -এর নিকট নিয়ে গেলেন। তার পিতার নাম ছিল ‘আস, তাই নবী (সা.) তার নাম পরিবর্তন করে মুত্বী রাখেন। আবদুল্লাহ ছিলেন কুরায়শদের সর্দার। মদীনাবাসী তাকে আমীর বানান যখন তারা ইয়াযীদ ইবনু মু'আবিয়ার নেতৃত্ব অস্বীকার করে।
‘আবদুল্লাহ-কে ৭৩ হিজরীতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র-এর সাথে হত্যা করা হয়। আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র তাকে কুফার গভর্নর বানিয়ে ছিলেন কিন্তু মুখতার ইবনু আবূ ‘উবায়দ সেখান থেকে তাকে বের করে দেয়।
(لَا يُقْتَلُ قُرَشِيٌّ صَبْرًا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ) মক্কা বিজয়ের পরে কোন কুরায়শকে যুদ্ধের ময়দানে কুফরী অবস্থায় হত্যা করা হবে না।
হুমায়দী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীসে অর্থ হলো আজকের দিনের পর হতে এমন কোন কুরায়শীকে হত্যা করা হবে না, যে ইসলাম থেকে মুরতাদ হয়ে গেছে এবং কুফরীর উপর অটল রয়েছে।
অতএব নবী (সা.) -এর যুগ হতে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে কিন্তু এমন কোন কুরায়শীকে পাওয়া যায়নি যে মুরতাদ হয়েছে ও কুফরীর উপর অটল রয়েছে যার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কেউ কেউ বলেন, এমন কোন কুরায়শীকে পাওয়া যাবে না যাকে মুরতাদ হওয়ার কারণে হত্যা করা হবে। এ কথাকে আরো শক্তিশালী করে একটি হাদীস যেমন নবী (সা.) বলেছেন, শয়তান ‘আরব উপদ্বীপ হতে নিরাশ হয়ে গেছে। তাই কোন কুরায়শী মুরতাদ হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০৩-[২৫] আবূ নাওফাল মু’আবিয়াহ্ ইবনু মুসলিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনামুখী মক্কার গিরিপথে আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-কে (অর্থাৎ তাঁর মৃত লাশ) দেখতে পাই। তিনি বলেন, তাঁর কাছ দিয়ে কুরায়শ ও অন্যান্য বহু লোকই অতিক্রম করে যাচ্ছিল, অবশেষে ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) তার পার্শ্ব দিয়ে যাওয়ার বেলায় দাঁড়িয়ে বললেন, ’আস্সালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবায়ব, আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবায়ব, আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবায়ব। অতঃপর বললেন, জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি তোমাকে এমন কাজ হতে নিষেধ করেছিলাম যার ফলে এটা হয়েছে, জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি তোমাকে এমন কাজ হতে নিষেধ করেছিলাম যার ফলে এটা ঘটেছে। জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি তোমাকে এমন কাজ হতে নিষেধ করেছিলাম যার ফলে এটা ঘটেছে। জেনে রাখ! আল্লাহর কসম! আমার জানা মতে তুমি ছিলে অধিক সিয়ামদার, খুব বেশি “ইবাদত ও তাহাজ্জুদগুযার এবং আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি সদ্ব্যবহারকারী। জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ! যে দলের ’আক্বীদাহ্ ও ধারণা মন্দ তাদের নিকট প্রকৃতপক্ষে তুমি মন্দ নও। তিনি এটা বলেছিলেন উপহাসস্বরূপ।
অপর এক বর্ণনাতে আছে, হ্যা, তারা খুব চমৎকার একটি গোষ্ঠী। (বর্ণনাকারী বলেন,) এরপর ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তথা হতে চলে গেলেন। অতঃপর ’আবদুল্লাহ-এর উক্ত স্থানে দাঁড়ানো এবং উল্লিখিত কথাগুলো বলার সংবাদটি হাজ্জাজ-এর কাছে পৌছল। অতঃপর সে ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর লাশের কাছে লোক পাঠালেন এবং শূলির কাষ্ঠ হতে লাশটি নামিয়ে ইয়াহুদীদের কবরস্থানে ফেলে দিলো। এরপর হাজ্জাজ তাঁর মাতা আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) -কে তার কাছে ডেকে পাঠাল; কিন্তু আসমা’ (রাঃ) তার কাছে আসতে অস্বীকার করলেন। অতঃপর হাজ্জাজ এ কথা বলে আবার লোক পাঠাল যে, তাকে গিয়ে বল! হয়তো তুমি স্বেচ্ছায় আমার কাছে আসবে অথবা আমি তোমার কাছে এমন লোককে পাঠাব, যে তোমার চুলের বেণি চেপে ধরে তোমাকে হেঁচড়িয়ে টেনে নিয়ে আসবে। বর্ণনাকারী বলেন, আসমা (রাঃ) এবারও আসতে অস্বীকার জানিয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি তোমার কাছে ততক্ষণ অবধি আসব না, যে পর্যন্ত তুমি এমন লোককে আমার কাছে পাঠাবে, যে আমার চুলের বেণি ধরে আমাকে হেঁচড়িয়ে নিয়ে আসবে। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে হাজ্জাজ বলল, তোমরা আমার জুতা দাও। অতঃপর সে তার জুতা পরিধান করল এবং দ্রুত রওয়ানা হলো এবং আসমা’ (রাঃ)-এর কাছে এসে বলল, আল্লাহর দুশমন আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র -এর সাথে আমি যে আচরণ করেছি। এ ব্যাপারে তুমি আমাকে কেমন পেলে? উত্তরে তিনি বললেন, “আমি দেখেছি, তুমি তার দুনিয়াকে ধ্বংস করেছ, আর সে তোমার আখিরাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার কাছে এ খবরও পৌছেছে, তুমি নাকি তাকে (উপহাসস্বরূপ) বলেছ, হে দুই ফিতাওয়ালী সন্তান! আল্লাহর শপথ! আমিই সেই দুই ফিতাওয়ালী মহিলা। জেনে রাখ, তার (আমার কোমরে বাঁধবার দো-পাট্টার) একখণ্ড দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবূ বকর (রাঃ) -এর সফরের খাদ্য বেঁধে উপরে ঝুলিয়ে রাখতাম এ আশঙ্কায় যাতে ইঁদুর বা অন্য কোন জীবজন্তু কোন ক্ষতি করতে না পারে এবং অপর খণ্ড ঐ কাজে ব্যবহার করতাম যা হতে কোন নারী অমুখাপেক্ষী থাকতে পারে না। জেনে রাখ, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন, সাকীফ গোত্রে এক চরম মিথ্যাবাদী ও এক মহা অত্যাচারী জন্মগ্রহণ করবে। অতএব সে চরম মিথ্যুক (মুখতার)-কে আমরা এর আগে দেখেছি। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস তুমিই সেই মহা অত্যাচারী যালিম। বর্ণনাকারী বলেন, আসমা’(রাঃ) -এর মুখে উপরিউক্ত কথাগুলো শুনে হাজ্জাজ কোন প্রত্যুত্তর না করে চলে গেল। (মুসলিম)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)
وَعَنْ أَبِي نَوْفَلٍ مُعَاوِيَةَ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ عَلَى عَقَبَةِ الْمَدِينَةِ قَالَ فَجَعَلَتْ قُرَيْشٌ تَمُرُّ عَلَيْهِ وَالنَّاسُ حَتَّى مَرَّ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَوقف عَلَيْهِ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا أَمَا وَاللَّهِ إِنْ كُنْتَ مَا عَلِمْتُ صَوَّامًا قَوَّامًا وَصُولًا لِلرَّحِمِ أَمَا وَاللَّهِ لَأُمَّةٌ أَنْتَ شَرُّهَا لَأُمَّةُ سَوْءٍ - وَفِي رِوَايَةٍ لَأُمَّةُ خَيْرٍ - ثُمَّ نَفَذَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَبَلَغَ الْحَجَّاجَ مَوْقِفُ عَبْدِ اللَّهِ وَقَوْلُهُ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَأُنْزِلَ عَنْ جِذْعِهِ فَأُلْقِيَ فِي قُبُورِ الْيَهُودِ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُمِّهِ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ فَأَبَتْ أَنْ تَأْتِيَهُ فَأَعَادَ عَلَيْهَا الرَّسُولَ لَتَأْتِيَنِّي أَوْ لَأَبْعَثَنَّ إِلَيْكِ مَنْ يَسْحَبُكِ بِقُرُونِكِ. قَالَ: فَأَبَتْ وَقَالَتْ: وَاللَّهِ لَا آتِيكَ حَتَّى تَبْعَثَ إِلَيَّ من يسحبُني بقروني. قَالَ: فَقَالَ: أَرُونِي سِبْتِيَّ فَأَخَذَ نَعْلَيْهِ ثُمَّ انْطَلَقَ يَتَوَذَّفُ حَتَّى دَخَلَ عَلَيْهَا فَقَالَ: كَيْفَ رَأَيْتِنِي صَنَعْتُ بِعَدُوِّ اللَّهِ؟ قَالَتْ: رَأَيْتُكَ أَفْسَدْتَ عَلَيْهِ دُنْيَاهُ وَأَفْسَدَ عَلَيْكَ آخِرَتَكَ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَقُولُ لَهُ: يَا ابْنَ ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ أَنَا وَاللَّهِ ذَاتُ النِّطَاقَيْنِ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكُنْتُ أَرْفَعُ بِهِ طَعَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَعَامَ أَبِي بَكْرٍ مِنَ الدَّوَابِّ وَأَمَّا الْآخَرُ فنطاق المرأةِ الَّتِي لَا تَسْتَغْنِي عَنهُ أما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدثنَا: «أَن فِي ثَقِيف كذابا ومبيرا» . فَأَما الْكَذَّابُ فَرَأَيْنَاهُ وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَلَا إِخَالُكَ إِلَّا إِيَّاه. قَالَ فَقَامَ عَنْهَا وَلم يُرَاجِعهَا. رَوَاهُ مُسلم
رواہ مسلم (229 / 2545)، (6496) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (عَقَبَةِ الْمَدِينَةِ) (মদীনার ‘আকাবাহ্) এটি মূলত মক্কায় অবস্থিত। মদীনাবাসী যে পথ দিয়ে মক্কায় আগমন করে সেই পথে এই ‘আকাবাহ্ অবস্থিত। তাই তাদের সাথে সম্পৃক্ত করে “আকাবাতুল মদীনাহ্” বলা হয়েছে। আকাবার পাশেই “হাজুন” নামক স্থানে ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর সমাধি ছিল যা বর্তমানে সেখানে নেই।
বলা হয়েছে, এই ‘আকাবাতেই ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র-কে শূলে চড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি ছাড়া আরো অসংখ্য সাহাবীদের কবর মক্কায় ছিল। রসূলের স্ত্রী খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর কবরও ছিল কিন্তু এ সকল কবরের কোন নির্দিষ্ট চিহ্নিত স্থান নেই। বলা হয়ে থাকে যে, মক্কায় যে সকল কবরস্থ স্থাপনা রয়েছে তা কতিপয় পরহেযগার লোকের স্বপ্নের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হয়েছিল।
(أَبَا خُبَيْبٍ) “আবূ খুবায়ব” ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর উপনাম ছিল। তাঁর তিনজন ছেলে ছিল। তাদের তিনজনের বড়জনের নাম ছিল খুবায়ব।
ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) বাকিদের নাম তারীখে উল্লেখ করেছেন। তাদের নাম হলো বাকর এবং বুকায়র।
(السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ) উক্ত হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, মৃত ব্যক্তিকে কবরে দাফনের আগে এবং পরে উভয় জায়গায় তিনবার সালাম দেয়া ‘মুস্তাহাব।
উক্ত হাদীসে আরো একটি বিষয় সাব্যস্ত হয়েছে তা হলো, মৃত ব্যক্তির ওপরে তার পরিচিত কোন গুণের মাধ্যমে তার প্রশংসা করা যায়।
এ হাদীসে ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর জনসম্মুখে সত্য বলার সাহসিকতা ফুটে উঠেছে। তিনি হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ-এর ক্ষমতার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেননি। তিনি জানতেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র সম্পর্কে তার মন্তব্য হাজ্জাজ-এর কাছে পৌছে যাবে তবুও তিনি সত্য বলতে দ্বিধাবোধ করেননি। তিনি ইচ্ছা করেই এসব কথা বলেছিলেন যাতে করে হাজ্জাজ ইবনুয যুবায়র-কে মুক্তি দেয়।
আহনুল হকের মতে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) মাযলুম ছিলেন আর হাজ্জাজ ও তার সহচররা অত্যাচারী ছিল।
(لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا) আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রাঃ)-কে দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান সংঘাত থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
(هَذَ) এর (الْمُشَارُإِلَيْهِ) তথা উদ্দেশ্য হলো (الصلب) বা শূল।
এখানে নিষেধাজ্ঞার অর্থ হল, “আমি তোমাকে যে অবস্থায় দেখেছি সে অবস্থায় পতিত হওয়া থেকে তোমাকে নিষেধ করেছিলাম। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।
(صَوَّامًا) অর্থাৎ দিনের বেলায় অধিক সিয়াম পালনকারী।
(قَوَّامًا) অর্থাৎ রাতের বেলায় অধিক সালাত আদায়কারী।
(وَصُولًا لِلرَّحِمِ) অর্থাৎ আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী। সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, কাযী ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) সম্পর্কে কতিপয় তথ্য প্রদানকারীর (মনগড়া) কথার চাইতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার-এর এ কথাটিই অধিক সঠিক। তিনি ইবনু যুবায়র-কে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী গুণে গুণান্বিত করেছেন।
‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) (صَوَّامًا قَوَّامًا وَصُولًا لِلرَّحِمِ) এ কথাটি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র-কে হাজ্জাজ-এর অত্যাচার ও অপবাদ থেকে মুক্ত করার উদ্দেশে বলেছিলেন।
হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি আল্লাহর শত্রু এবং যালিম ইত্যাদি। ইবনু উমার (রাঃ) চেয়েছিলেন যেন লোকেরা জানতে পারে যে, ইবনুয যুবায়র সঠিক পথে ছিলেন আর তাঁকে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছিল।
(لَأُمَّةٌ أَنْتَ شَرُّهَا لَأُمَّةُ سَوْءٍ) ব্যাখ্যাও মূলত এ রকম ছিল।
(لَأُمَّةٌأَنْتَ أكْثَرُمِنْ وَصَلَ إِلَيْهِ شَرُّالنَّاسِ لَأُمَّةُ سَوْء) অর্থাৎ, উম্মতের মাঝে যে ব্যক্তির নিকট নিকৃষ্ট জাতির মানুষের অনিষ্ট সবচেয়ে বেশি পৌছবে সে ব্যক্তিটি হলো তুমি। এটা হাসি-ঠাট্টার স্বরে বলা হয়েছে। কতিপয় লোক এর সুন্দর একটি উপমা এভাবে দিয়ে থাকেন যে, আবূ ইয়াযীদ আল বুসতামী-কে যখন তার দেশ হতে বের করে দেয়া হয় তখন তিনি বলেন, আবূ ইয়াযীদ-এর দেশের লোকেরা খুব নিকৃষ্ট কিন্তু দেশটি কতই না উত্তম হাসি-ঠাট্টা স্বরূপ।
(قُبُورِ الْيَهُودِ) এখানে ইয়াহুদীদের কবরস্থান দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, সেই জায়গা যেখানে মক্কাবাসী অথবা মক্কার বহিরাগত ইয়াহুদীদের কবর ছিল।
(أَرُونِي سِبْتِيَّ) ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, (سبت) শব্দের অর্থ হলো, (نعل) তথা জুতা (سبت) এমন জুতাকে বলা হয় যার উপর কোন পশম নেই।
অন্য এক সহীহ নুসখাতে শব্দটি এভাবে বর্ণিত হয়েছে, (سِبْتِيَّتَيَّ) তথা “সিবতিয়্যাতাইয়্যা”।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, (السِّبْتُ) হলো দাবাগত বা ঘসামাজার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন পশমহীন চামড়া দ্বারা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে জুতা তৈরি করা হয়।
(السِّبْتُ) তথা সিবত্ব-এর শাব্দিক ক্রিয়াগত অর্থ হলো ন্যাড়া করা বা দূর করা। যেহেতু চামড়া থেকে পশম দূর করে জুতা তৈরি করা হয় সেহেতু এর নাম দেয়া হয়েছে সিবত্ব।
ইমাম আবূ দাউদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, (السِّبْتُ) দ্বারা ঐ স্থানের দিকে সম্বোধন করা হয়েছে যেই স্থানকে (سُوقُ السِّبْتُ) বা “সিবত্বের বাজার” বলা হয়।
অতএব ইমাম আবূ দাউদ (রহিমাহুল্লাহ)-এর মতে, সিবত্ব একটি জায়গার নাম যার নামানুসারে জুতার নামকরণ করা হয়েছে।
(ثُمَّ انْطَلَقَ يَتَوَذَّفُ) يَتَوَذَّفُ শব্দের ব্যাখ্যা আবূ ‘উবায়দ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর অর্থ হলো (يُسْرِعُ) - অর্থাৎ সে দ্রুত বেগে চলতে লাগল। আর আবূ উমার (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর অর্থ হলো, (يَتَبَخْتَرُ) অর্থাৎ, সে অহংকার আর গর্বভরে চলতে লাগল।
(ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ) শব্দের পরিচয় (نطاق) শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো ফিতা, বেল্ট বা কোমর বন্ধনী।
পরিভাষায় (نطاق) বলা হয় সেই (কাপড়ের তৈরি) ফিতাকে যা দ্বারা একজন মহিলা কর্মব্যস্ততার সময় কাপড় উপরে না উঠার জন্য কোমরে বেঁধে রাখে। (মিরকাতুল মাফাতীহ, শারহুন নাবাবী ১৬ খণ্ড, হা. ২৫৪৪/২২৯)
(ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ) একটি উপাধি। এটি রাসূলুল্লাহ (সা.) আবূ বাকর (রাঃ) -এর কন্যা আসমা (রাঃ)' -কে সম্বোধন করে বলেছিলেন। রাসূল (সা.) যখন আবূ বাকর (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে হিজরতের সময় পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তখন আসমা' (রাঃ) তাদের জন্য সেখানে খাবার নিয়ে যেতেন। রাস্তা খানিকটা দূর হবার কারণে এবং খাদ্য নিয়ে পাহাড়ে উঠার সহজের জন্য নিজের কোমরের ফিতা দুই ভাগ করে একভাগ কোমরে বাঁধতেন আর অপরটা দিয়ে খাদ্য বাঁধতেন। এজন্য রাসূল (সা.) ও হাসির ছলে তাঁকে (ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ) বলেছিলেন, অত্র হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ আসমা’ (রাঃ)-কে কটুক্তি করে নিন্দার জন্য এ কথা বলেছিল। (সম্পাদকীয়)
(فَأَما الْكَذَّابُ فَرَأَيْنَاهُ) এখানে (كذاب) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মুখতার ইবনু ‘আদী। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০৪-[২৬] নাফি (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। ’আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রাঃ)-এর যুগে সৃষ্ট ফিতনার সময় দুই লোক ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর কাছে এসে বলল, লোকজন যা কিছু করছে তা তো আপনি দেখেছেন। অথচ আপনি একদিকে ’উমার (রাঃ)-এর পুত্র এবং অপর দিকে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর একজন সাহাবী। এতদসত্ত্বেও আপনাকে বের হতে কিসে বাধা দিচ্ছে? তিনি উত্তর দিলেন, এটা আমাকে বাধা দিচ্ছে যে, আল্লাহ তা’আলা আমার ওপর মুসলিম ভাইয়ের রক্ত অবৈধ করে দিয়েছেন। তারা বলল, আল্লাহ তা’আলা কি বলেননি যে, ফিতনাহ্ নির্মূল না হওয়া অবধি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর? ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, আমরা যুদ্ধ করেছি, যাতে ফিতনাহ্ মিটে যায় এবং আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত হয়। আর আজ তোমরা যুদ্ধ করতে চাও, যাতে ফিতনাহ সৃষ্টি হয় এবং আল্লাহ তা’আলা ছাড়া অন্যের দীন প্রতিষ্ঠিত হয়। (বুখারী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)
وَعَن نَافِع عَن ابْنَ عُمَرَ أَتَاهُ رَجُلَانِ فِي فِتْنَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَقَالَا: إِنَّ النَّاسَ صَنَعُوا مَا تَرَى وَأَنْتَ ابْنُ عُمَرَ وَصَاحِبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَخْرُجَ؟ فَقَالَ: يَمْنعنِي أنَّ اللَّهَ حرم دَمَ أَخِي الْمُسْلِمِ. قَالَا: أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ: [وقاتلوهم حَتَّى لَا تكونَ فتْنَة] فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: قَدْ قَاتَلْنَا حَتَّى لَمْ تَكُنْ فِتْنَةٌ وَكَانَ الدِّينُ لِلَّهِ وَأَنْتُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تُقَاتِلُوا حَتَّى تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لغيرِ اللَّهِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
رواہ البخاری (4513) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (أَتَاهُ رَجُلَانِ) আগন্তক লোকের একজন হলেন ‘আলা ইবনু আরার, আর অপরজন হলেন হিব্বান আস সুলামী। (ফাতহুল বারী ৮ম খণ্ড)।
(وقاتلوهم حَتَّى لَا تكونَ فتْنَة) এখানে (فِتْنَةٌ) দ্বারা মুরাদ হলো শিরক।
(وَأَنْتُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تُقَاتِلُوا حَتَّى تَكُونَ فِتْنَةٌ) এখানে (فِتْنَةٌ) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মুসলিমদের সাথে দাঙ্গা হাঙ্গামা। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০৫-[২৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন তুফায়ল ইবনু ’আমর আদ দাওসী রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে এসে বললেন, দাওস গোত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা আল্লাহর অবাধ্য হয়েছে এবং ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। অতএব আপনি তাদের ওপর আল্লাহর কাছে বদদু’আ করুন। তখন লোকেরা ধারণা করল, রাসূল (সা.) তাদের ওপর বদদু’আ করবেন, কিন্তু তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তুমি দাওস গোত্রকে হিদায়াত দান কর এবং তাদেরকে নিয়ে আসো। (বুখারী ও মুসলিম)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)
وَعَن أبي هريرةَ قَالَ: جَاءَ الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو الدَّوْسِيُّ إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وسل فَقَالَ: إِنَّ دَوْسًا قَدْ هَلَكَتْ عَصَتْ وَأَبَتْ فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهِمْ فَظَنَّ النَّاسُ أَنَّهُ يَدْعُو عَلَيْهِمْ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَأْتِ بِهِمْ» . مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (6397) و مسلم (197 / 2524)، (6450) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: (الطُّفَيْلُ بْنُ عَمْرٍو الدَّوْسِيُّ) তুফায়ল ইবনু ‘আমর (রাঃ)-কে যুননুর বলা হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, একবার তুফায়ল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে আসলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে দীন প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে পাঠানোর সময় তাকে বললেন, তুমি তোমার সম্প্রদায়ের কাছে ইসলামের বাণী পৌছে দাও। তখন তুফায়ল (রাঃ) বললেন, আমি যে আপনার কাছ থেকে দা'ওয়াত নিয়ে যাচ্ছি এর জন্য একটা আলামত বা প্রমাণ দিয়ে দেন। তখন রাসূল (সা.) তার জন্য দু'আ করলেন। তিনি (সা.) বললেন, “হে আল্লাহ! তুমি তাকে আলোকিত কর।” ফলে তার দু' চোখের মাঝখানে আলো চমকাতে লাগল। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ওরা তো আমাকে অঙ্গ বিকৃতির অপবাদ দেবে। কাজেই আমার ভয় হচ্ছে। অতঃপর সেই আলো তার চাবুকের একপার্শে স্থানান্তরিত করে দেয়া হলো যা অন্ধকার রাতে আলো ছড়াত। তিনি সম্প্রদায়কে দাওয়াত দিলেন। তার দা'ওয়াতে তার বাবা ইসলাম কবুল করলেন কিন্তু মা করলেন না। অন্যদের মধ্যে শুধুমাত্র আবূ হুরায়রা (রাঃ) তার দাওয়াতে ইসলাম কবুল করলেন। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে, তিনি অনেক পূর্বে ইসলাম কবুল করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
(اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَأْتِ بِهِمْ) অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি দাওস গোত্রকে ইসলামের পথ দেখাও এবং মদীনায় মুহাজির বানিয়ে নিয়ে আসো। অথবা ইসলাম কবুলের জন্য তাদের অন্তরসমূহকে অগ্রগামী করে দাও। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
ফাতহুল বারীতে বলা হয়েছে, ইবনুল কালবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, হুবায়ব ইবনু আমর ইবনু হাসমা আদ্ দাওসী দাস গোত্রের শাসনকর্তা ছিলেন। তার পূর্বে তার বাবাও ছিলেন। তাদের শাসনকার্য ছিল ৩০০ বছর হুবায়ব ইবনু ‘আমর একদিন বললেন, আমি জানি এই সৃষ্টিজগতের একজন স্রষ্টা আছেন কিন্তু তিনি কে তা আমি জানি না। অতঃপর তিনি তখন রাসূল (সা.) -এর কথা শুনলেন তখন তাঁর নিকট নিজ গোত্রের পঁচাত্তর জন লোকসহ আসলেন এবং সকলে মিলে ইসলাম কবুল করলেন।
ইবনু ইসহক উল্লেখ করেছেন, নবী (সা.) ‘আমর ইবনু হাসমা-এর প্রতিমা পুড়িয়ে দেয়ার জন্য তুফায়ল ইবনু ‘আমর-কে পাঠালেন এবং তিনি তা পুড়িয়ে দিলেন।
ইবনু শিহাব-এর সূত্রে মুফা ইবনু ‘উকবাহ্ উল্লেখ করেছেন। তুফায়ল ইবনু ‘আমর (রাঃ) আবূ বাকর (রাঃ)-এর খিলাফতকালে অজ্ঞাতের হাতে শহীদ হয়েছেন। ইবনু সা'দ বলেছেন, ইয়ামামার যুদ্ধে শহীদ হন। আবার কেউ বলেছেন, ইয়ারমূকের যুদ্ধে শহীদ হন। (ফাতহুল বারী হা. ৮)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০৬-[২৮] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা তিন কারণে ’আরবকে ভালোবাসবে। প্রথমত আমি হলাম ’আরবী, দ্বিতীয়ত কুরআন মাজীদের ভাষা হলো ’আরবী এবং তৃতীয়ত জান্নাতবাসীদের কথাবর্তার মধ্যস্থতা হবে ’আরবী। (বায়হাক্বী তাঁর শুআবূল ঈমান গ্রন্থে)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَحِبُّوا الْعَرَبَ لِثَلَاثٍ: لِأَنِّي عَرَبِيٌّ وَالْقُرْآنُ عَرَبِيٌّ وَكَلَامُ أَهْلِ الْجَنَّةِ عربيٌّ «. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي» شعب الْإِيمَان
اسنادہ موضوع ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (1610 ، 1433 ، نسخۃ محققۃ : 1364 ، 1496) [و الحاکم (4 / 87) و العقیلی فی الضعفاء الکبیر (3 / 348)] * فیہ العلاء بن عمرو الحنفی : کذاب ، و علل أخری ۔
(مَوْضُوع)