পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৮৮-[১০] সা’দ (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: যে লোক কুরায়শকে অপমানিত করার ইচ্ছা পোষণ করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে অপমানিত করবেন। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

عَنْ سَعْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ يُرِدْ هَوَانَ قُرَيْشٍ أَهَانَهُ الله» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

حسن ، رواہ الترمذی (3905 وقال : غریب) ۔
(صَحِيح)

عن سعد عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من يرد هوان قريش اهانه الله» رواه الترمذي حسن ، رواہ الترمذی (3905 وقال : غریب) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: সর্বক্ষেত্রে কুরায়শদেরকে সম্মান-মর্যাদা দেয়া আবশ্যক। কুরায়শদেরকে অসম্মান করা ও তাদের অপমানের ইচ্ছা পোষণ করা প্রকারান্তরে আল্লাহর অসন্তুষ্টি ক্রয় করা। এমতাবস্থায় তারা ইমামতে কুবরা তথা খিলাফাত অধিষ্ঠিত থাকুক বা না থাকুক। তারা খলীফাহ্ ও আমীর পদে অধিষ্ঠিত থাকা অবস্থায় তাদের অসম্মান ও অপমানের নিষেধাজ্ঞা ও ভৎসনার কারণ তো সুস্পষ্ট। তবে যে অবস্থায় তারা খিলাফাত ও ইমামতের পদে অধিষ্ঠিত থাকবে না সেক্ষেত্রেও তাদের অসম্মান ও অপমানের নিষেধাজ্ঞা এ হিসেবে মনে করা হবে যে, রাসূল (সা.) -এর সাথে বংশীয় দিক দিয়ে তাঁদের সম্পৃক্ততার সৌভাগ্য রয়েছে, আর তাদের এ বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা এ কথারই দাবি করে যে, তাদেরকে অসম্মান ও অপমান করা যাবে না।)।  (মাযাহিরে হাক শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ২৩৩ পৃষ্ঠা)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সা'দ ইবন উবাদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৮৯-[১১] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: হে আল্লাহ! তুমি কুরায়শদের প্রথম শ্রেণিকে প্রথমে দুঃখের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছ, এখন তাদের পরবর্তী শ্রেণিকে সুখ ভোগের সুযোগ দান কর। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ أَذَقْتَ أَوَّلَ قُرَيْشٍ نَكَالًا فَأَذِقْ آخِرَهُمْ نَوَالًا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

حسن ، رواہ الترمذی (3908 وقال : حسن صحیح غریب) ۔
(حسن صَحِيحٌ)

عن ابن عباس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اللهم اذقت اول قريش نكالا فاذق اخرهم نوالا» . رواه الترمذي حسن ، رواہ الترمذی (3908 وقال : حسن صحیح غریب) ۔ (حسن صحيح)

ব্যাখ্যা: কুরায়শদের প্রথম শ্রেণির লোকেরা নবী (সা.) -এর সাথে বিরোধিতার কারণে তার সাথে লড়াই করে বদর, উহুদ ও খন্দক যুদ্ধে নিহত হয়ে দুনিয়াতে ও আখিরাতে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়। আর তাদের পরবর্তীগণকে তোমার সম্মান ও মর্যাদা হতে দান কর। কারণ মক্কা বিজয়ের পর তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল। ফলে নবী (সা.) তাদের সুখ আনন্দের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯০-[১২] আবূ ’আমির আল আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আসদ ও আশ’আর গোত্রদ্বয় খুবই ভালো। তারা লড়াইয়ের ময়দান হতে পলায়ন করে না এবং আমানত বা গনীমতের সম্পদের খিয়ানত করে না। অতএব তারা আমার দলের অন্তর্ভুক্ত আর আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন এবং তিনি বলেছেন হাদীসটি গরীব]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَن أبي عَامر الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نَعْمَ الْحَيُّ الْأَسْدُ وَالْأَشْعَرُونَ لَا يَفِرُّونَ فِي الْقِتَالِ وَلَا يَغُلُّونَ هُمْ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3947) و اخطا من ضعفہ ۔
(ضَعِيف)

وعن ابي عامر الاشعري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «نعم الحي الاسد والاشعرون لا يفرون في القتال ولا يغلون هم مني وانا منهم» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3947) و اخطا من ضعفہ ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আসদ হলো ইয়ামানের এক গোত্রের প্রধান পুরুষের নাম। আর গোত্রটি এ নামের সাথেই বেশি পরিচিত ও সুপ্রসিদ্ধ ছিল। এ গোত্রকে আযদ ও আযদ শানূআহ্-ও বলা হত। মদীনার সকল আনসার এ গোত্রের সাথে বংশীয় দিক দিয়ে সম্পৃক্ত ছিল।
আশ'আর মূলত ‘আমর ইবনু হারিসাহ আল আসাদী-এর উপাধি ছিল। যিনি স্বীয় যুগে ইয়ামানের বিশেষ সম্মানী ব্যক্তি ছিলেন। তিনিও তাঁর গোত্রের প্রধান পুরুষ ছিলেন। তার উপাধির সাথে সম্পৃক্ত করে তার গোত্রকে আশআরী নামকরণ করা হয়েছিল। এ গোত্রের লোকেদেরকে আশ'আরীয়ুন ও আশ’আরূনও বলা হত। প্রখ্যাত সাহাবী আবূ মূসা আশ'আরী (রাঃ) এবং তার বংশের লোক এ গোত্রের সাথে সম্পৃক্ত ছিল।
‘তারা আমার দলের অন্তর্ভুক্ত’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, তারা আমার অনুসারী এবং আমার সুন্নাত ও তরীকার অনুসারী। অথবা এ গোত্রের লোক আমার বন্ধু ও সাহায্য সহযোগিতাকারী। এমনিভাবে ‘আমি তাদের বন্ধু দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আমিও তাদের বন্ধু ও সাহায্য-সহযোগিতাকারী- এ কথা দ্বারা যেন এদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, এ গোত্রের মুমিন ও মুসলিমরা তাকওয়া ও পরহেযগারী অবলম্বনকারী। আর এ কথা কুরআনের ভাষ্য দ্বারাও প্রমাণিত হয়। অর্থাৎ তার সকল বন্ধু মুত্তাক্বী ও পরহেযগার। (মাযাহিরে হাক শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ২৩৪ পৃষ্ঠা)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯১-[১৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আদ গোত্র জমিনের উপর আল্লাহর (দীনের সাহায্যকারী) আযদ। লোকেরা তাদেরকে খাটো করে রাখতে চায়, অথচ আল্লাহ’ তা’আলা তার বিপরীত তাদেরকে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করতে চান। মানুষের ওপর এমন এক সময় আসবে, কোন লোক আক্ষেপের সাথে বলবে, হায়! আমার পিতা কিংবা বলবে, আমার মতো যদি আযদ বংশীয় হতেন। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْأَزْدُ أَزْدُ اللَّهِ فِي الْأَرْضِ يُرِيدُ النَّاسُ أَنْ يَضَعُوهُمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا أَنْ يَرْفَعَهُمْ وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَقُولُ الرَّجُلُ: يَا لَيْتَ أَبِي كَانَ أَزْدِيًا وَيَا لَيْتَ أُمِّي كَانَتْ أَزْدِيَّةً رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3937) ۔
(ضَعِيفٌ)

وعن انس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: الازد ازد الله في الارض يريد الناس ان يضعوهم ويابى الله الا ان يرفعهم ولياتين على الناس زمان يقول الرجل: يا ليت ابي كان ازديا ويا ليت امي كانت ازدية رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3937) ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: কাযী ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আযদ বলতে আযদে শানূয়াহ্ উদ্দেশ্য। আর এটা হলো ইয়ামানের একটি গোত্র। তারা আযদ ইবনুল গাওস ইবনি লায়স ইবনু মালিক ইবনু কাহলান ইবনু সাবা-এর সন্তানাদি। আর আল্লাহ তাদেরকে নিজের সাথে সম্পর্কিত করার কারণ হলো তারা হলো আল্লাহর দল। আর তারা রসূলের সাহায্যকারী। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আবদুল্লাহ বলার কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে প্রথমত- তাদের এ নামে প্রসিদ্ধতার কারণে, তারা যুদ্ধের ময়দানে প্রতিষ্ঠিত থাকত তারা পলায়ন করত না। যা ইতোপূর্বে হাদীসে গত হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই কাযী (রহিমাহুল্লাহ)ও অনুরূপ মন্তব্য করেছিলেন। দ্বিতীয়ত- এই সম্পর্কিত বিষয়টি হলো নির্দিষ্ট ও সম্মানের জন্য। যেমন বায়তুল্লাহ ও নাকাতুল্লাহ, যা তার কথার দ্বারা বুঝা যায়। মানুষ তাদেরকে হেয় করতে চায়..”। তৃতীয়ত- এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য হলো বীর পুরুষ। আর কথাটি তাসবীহ বা সাদৃশ্যের মতো। যেমন- আসাদ বা সিংহ, আসাদুল্লাহ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯২-[১৪] “ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) (’আরবের) তিনটি গোত্রের ওপর অসন্তুষ্ট থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। গোত্রত্রয় হলো সাকীফ, বানূ হানীফাহ্ ও বানূ উমাইয়্যাহ্। ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব।

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَن عمرَان بن حُصَيْن قَالَ: مَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَكْرَهُ ثَلَاثَةَ أَحْيَاءٍ: ثَقِيفٌ وَبَنِي حَنِيفَةَ وَبَنِي أُمَيَّةَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3943) * فیہ ھشام بن حسان و الحسن البصری مدلسان و عنعنا ۔
(ضَعِيف)

وعن عمران بن حصين قال: مات النبي صلى الله عليه وسلم وهو يكره ثلاثة احياء: ثقيف وبني حنيفة وبني امية. رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3943) * فیہ ھشام بن حسان و الحسن البصری مدلسان و عنعنا ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: সাকীফ হলো হাওয়াযিন গোত্রের গোত্র প্রধান। তাঁর নাম কুসায় ইবনু মুনাব্বিহ ইবনু বাকর ইবনু হাওয়াযিন যেমনটি কামূসে আছে। আর বানূ হানীফাহ্ হলো আসাল ইবনু লুজায়ম-এর উপাধি। তাদের গোত্র প্রধান হলো খাওলাহ্ ইবনু জা'ফার আল হানাফিয়াহ্। তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আলী ইবনু আবূ ত্বালিব এর মা। আর বানূ উমাইয়্যাহ্ হলো কুরায়শদের একটি গোত্র। “উলামাগণ বলেছেন, নবী (সা.) এক সাকীফ সম্প্রদায়কে অপছন্দ করতেন হাজ্জাজের কারণে, আর বানী হানীফাকে অপছন্দ করতেন মুসায়লামাহ্ এর কারণে, আর বানূ উমায়্যাহ্ কে অপছন্দ করতেন ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ-এর কারণে।
ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইবনু সীরীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ যখন হুসায়ন (রাঃ)-এর মাথা নিয়ে আসলো, আর একটি গামলায় রেখে সেটিকে ডাণ্ডা দিয়ে গুতা দিচ্ছিল।
তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) জামি আত্ তিরমিযীতে বলেন, “উমারাহ্ ইবনু উমায়র বলেন, যখন ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ ও তার সাথিদের কর্তিত মাথা নিয়ে এসে মসজিদের খোলা জায়গায় রাখা হয়েছিল, তখন আমি সে অবস্থা দেখছিলাম। তারপর তারা বলল, তার কর্তিত মাথাটা রাখা হলে একটা সাপ এসে ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ-এর নাকে ঢুকে যায়, তারপর কিছু সময় থেকে আবার বের হয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়। এভাবে দু’বার বা তিনবার করেছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯৩-[১৫] ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সাকীফ গোত্রে এক চরম মিথ্যাবাদী এবং আর এক ধ্বংসকারীর জন্ম হবে। অধঃস্তন রাবী ’আবদুল্লাহ ইবনু ইসমাহ্ বলেন, মানুষের কাছে স্পষ্ট - সেই মিথ্যাবাদী হলো, মুখতার ইবনু আবূ উবায়দ। আর ধ্বংসকারী হলো হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ। হিশাম ইবনু হাসসান বলেছেন, লোকেরা গণনা করে দেখেছে, হাজ্জাজ যে সমস্ত লোকদেরকে (যুদ্ধের ময়দান ব্যতীত) শুধু বন্দি করে হত্যা করেছে, তার সংখ্যা এক লক্ষ বিশ হাজার। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي ثَقِيفٍ كَذَّابٌ وَمُبِيرٌ» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِصْمَةَ يُقَالُ: الْكَذَّابُ هُوَ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ وَالْمُبِيرُ هُوَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ وَقَالَ هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ: أَحْصَوْا مَا قَتَلَ الْحَجَّاجُ صَبْرًا فَبَلَغَ مِائَةَ ألفٍ وَعشْرين ألفا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

صحیح ، رواہ الترمذی (2220) ۔
(صَحِيح)

وعن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «في ثقيف كذاب ومبير» قال عبد الله بن عصمة يقال: الكذاب هو المختار بن ابي عبيد والمبير هو الحجاج بن يوسف وقال هشام بن حسان: احصوا ما قتل الحجاج صبرا فبلغ ماىة الف وعشرين الفا. رواه الترمذي صحیح ، رواہ الترمذی (2220) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: মুখতার ইবনু আবূ উবায়দ আস্ সাকাফী। তিনি মুখতার ইবনু আবূ ‘উবায়দ ইবনু মাসউদ আস সাকাফী। হুসায়ন (রাঃ)-এর শাহাদাত বরণের পর তাঁর অভ্যুত্থান হয়। সে মানুষকে তার প্রভাবপ্রতিপত্তির প্রতি আহ্বান জানায়। আর এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য ছিল সে তার দিকে মানুষের মনোযোগ স্থাপন করবে। আর তার রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করবে জনগণের ওপর। সে তা দ্বারা দুনিয়া অর্জন করতে চেয়েছিল। কাযী (রহিমাহুল্লাহ) এমনটাই জানিয়েছেন। কথিত আছে যে, সে ‘আলী (রাঃ) -কে ঘৃণা করত, এও কথিত আছে যে, সে কূফাতে নুবুওয়্যাতের দাবী করেছিল। অতএব তাকে কায্যাব বা অধিক মিথ্যুক নামকরণ করা হয়। তাঁর মিথ্যার সর্বশেষ নমুনা হলো সে বলেছিল জিবরীল আলায়হিস সালাম তাঁর কাছে ওয়াহী নিয়ে আসে। ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) তা উল্লেখ করেছেন।
ইবনু আবদুল বার (রহিমাহুল্লাহ) উল্লেখ করেছেন, তাঁর পিতা ছিলেন একজন সাহাবী। মুখতার হিজরতের বছরে জন্মগ্রহণ করে। তবে সে কোন সাহাবী না। সে নবী (সা.) -কে দেখেনি, বা তার থেকে কোন হাদীসও বর্ণনা করেনি। তার সংবাদ সন্তোষজনক নয়। হিজরী ৭২ সনে মুসআব ইবনু উমায়র-এর নিহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সে সামনে আসে। এর আগে সে সাহাবী ও তাবিঈদেরকে শত্রু মনে করত। আর তার এ সকল গুমরাহী প্রকাশ পায় ইবনুয যুবায়র-এর মৃত্যুর পরে। তখন তাঁর একমাত্র চাওয়া-পাওয়া হয়ে যায় শাসন ক্ষমতায় যাওয়া। তখন এ উদ্দেশ্য নিয়ে মুখতার হুসায়ন (রাঃ)-কে যারা শহীদ করেছিল তাদের অনেককে হত্যা করে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। তবে এর পিছনে তার উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র দুনিয়া অর্জন। দুনিয়ার ক্ষমতা লাভ করা। তারপর তার থেকে মিথ্যা ও পাগলামী সব কার্যকলাপ প্রকাশ পায়। তাঁর রাজত্ব ছিল মাত্র ১৭ মাস। কথিত আছে যে, সে প্রথমে খারিজী ছিল। এরপরে সে যুবায়রী হয়ে যায়। তারপর সে রাফিযী হয়ে যায়। সে ভিতরে ভিতরে ‘আলী (রাঃ)-কে শত্রু মনে করত। তাঁর নির্বুদ্ধিতার কারণে এটা মাঝে মাঝে প্রকাশ পেত। মীরাক সহীহ সূত্রে এমনটাই বর্ণনা করেছেন।

হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ: হাজ্জাজ অর্থ অধিক দলীল পেশকারী। ইরাক ও খুরাসানে সে বাদশা আবদুল মালিক ইবনু মারওয়ান-এর গভর্নর ছিল। তারপর তার ছেলে ওয়ালীদেরও গভর্নর ছিল। সে হিজরী ৭৫ সনে শাওয়াল মাসে ওয়াসিতে মারা যায়। তখন তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯৪-[১৬] আর সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে, হাজ্জাজ যখন ’আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-কে শহীদ করল, তখন তার মাতা আসমা (রাঃ) বললেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন, সাকীফ গোত্র হতে এক চরম মিথ্যাবাদী এবং এক রক্তপিপাসুর আবির্ভাব ঘটবে। অতএব সে জঘন্য মিথ্যাবাদী-কে আমরা দেখেছি। আর (হে হাজ্জাজ!) আমার দৃঢ় বিশ্বাস তুমিই সেই রক্তপিপাসু লোকে। পূর্ণ হাদীস তৃতীয় অনুচ্ছেদে বর্ণিত হবে।

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَرَوَى مُسْلِمٌ فِي «الصَّحِيحِ» حِينَ قَتَلَ الْحَجَّاجُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ قَالَتْ أَسْمَاءَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَنَا «أَن فِي ثَقِيف كذابا ومبيرا» فَأَما الْكذَّاب فَرَأَيْنَاهُ وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَلَا إِخَالُكَ إِلَّا إِيَّاهُ. وَسَيَجِيءُ تَمام الحَدِيث فِي الْفَصْل الثَّالِث

رواہ مسلم (229 / 2545 و سیاتی : 6003) ۔
(صَحِيح)

وروى مسلم في «الصحيح» حين قتل الحجاج عبد الله بن الزبير قالت اسماء: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم حدثنا «ان في ثقيف كذابا ومبيرا» فاما الكذاب فرايناه واما المبير فلا اخالك الا اياه. وسيجيء تمام الحديث في الفصل الثالث رواہ مسلم (229 / 2545 و سیاتی : 6003) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: কাযযাব তথা মিথ্যুক ব্যক্তি হলো মুখতার ইবনু আবূ ‘উবায়দ। আর মুবীর বা রক্তপিপাসু হলো হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ। যেমনটি পূর্বের হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। (সম্পাদকীয়)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯৫-[১৭] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সাকীফ গোত্রের তীর আমাদেরকে জ্বালাতন করে রেখেছে। অতএব তাদের জন্য আল্লাহর কাছে বদদু’আ করুন। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ! সাকীফ গোত্রকে হিদায়াত দান কর। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَن جَابر قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحْرَقَتْنَا نِبَالُ ثَقِيفٍ فَادْعُ اللَّهَ عَلَيْهِمْ. قَالَ: «اللَّهُمَّ اهْدِ ثقيفا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3942 وقال : صحیح غریب) ابو زبیر عنعن و رواہ عبد الرحمن بن سابط عن جابر بہ مختصرًا (مسند احمد : 3 / 343) و عبد الرحمن لم یسمع من جابر رضی اللہ عنہ ۔
(ضَعِيف)

وعن جابر قال: قالوا: يا رسول الله احرقتنا نبال ثقيف فادع الله عليهم. قال: «اللهم اهد ثقيفا» . رواه الترمذي سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3942 وقال : صحیح غریب) ابو زبیر عنعن و رواہ عبد الرحمن بن سابط عن جابر بہ مختصرا (مسند احمد : 3 / 343) و عبد الرحمن لم یسمع من جابر رضی اللہ عنہ ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: সম্ভবত এটা ছিল ত্বায়িফ যুদ্ধের পরের ঘটনা। ত্বায়িফের যুদ্ধে সাকীফ গোত্রের তীর নিক্ষেপ সহ্য না করতে পেরে কতিপয় সাহাবী পিছনে সরে গিয়েছিল। তাই তারা রাসূল (সা.) -এর কাছে পরবর্তীতে এ আবেদন জানায়। ফলে রাসূল (সা.) তাদের ধ্বংসের পরিবর্তে তাদের হিদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করেন। যাতে তারা ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯৬-[১৮] ’আবদুর রযযাক (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতার মাধ্যমে মীনা’ হতে, আর তিনি আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমরা নবী (সা.) -এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় এক লোক আসলো। আমার ধারণা লোকটি কায়স গোত্রীয়। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ’হিমইয়ার’ গোত্রের ওপর অভিসম্পাত করুন। এ কথা শুনে নবী (সা.) মুখখানি অন্যদিকে ফিরিয়ে নিলেন। সে আবার সেদিকে হয়ে তার সম্মুখে দাঁড়াল। তিনি (সা.) আবার মুখখানি ঘুরিয়ে নিলেন। এবারও সেদিকে হতে সামনে এসে দাঁড়াল। সেবারও তিনি (সা.) মুখখানি ফিরিয়ে নিলেন। অতঃপর নবী (সা.) বললেন, আল্লাহ তা’আলা হিমইয়ার গোত্রের প্রতি রহমত নাযিল করুন। তাদের মুখে রয়েছে সালাম এবং হাতে আছে খাদ্য। আর তারা শান্তি ও ঈমানের অধিকারী। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন হাদীসটি গরীব। আমরা ’আবদুর রযযাক ছাড়া আর কারো কাছ হতে এ হাদীস শুনতে পাইনি এবং এই মীনা’ হতে বহু মুনকার হাদীস বর্ণিত রয়েছে]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَن عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مِينَاءَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فجَاء رَجُلٌ أَحْسَبُهُ مِنْ قَيْسٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ الْعَنْ حِمْيَرًا فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ جَاءَهُ من الشقّ الآخر فَأَعْرض عَنهُ ثمَّ جَاءَهُ مِنَ الشِّقِّ الْآخَرِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَحِمَ اللَّهُ حِمْيَرًا أَفْوَاهُهُمْ سَلَامٌ وَأَيْدِيهِمْ طَعَامٌ وَهُمْ أَهْلُ أَمْنٍ وَإِيمَانٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ ويُروى عَن ميناءَ هَذَا أَحَادِيث مَنَاكِير

اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ الترمذی (3939) * میناء : متروک و رمی بالرفض و کذبہ ابو حاتم ۔
(ضَعِيف)

وعن عبد الرزاق عن ابيه عن ميناء عن ابي هريرة قال: كنا عند النبي صلى الله عليه وسلم فجاء رجل احسبه من قيس فقال: يا رسول الله العن حميرا فاعرض عنه ثم جاءه من الشق الاخر فاعرض عنه ثم جاءه من الشق الاخر فاعرض عنه فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «رحم الله حميرا افواههم سلام وايديهم طعام وهم اهل امن وايمان» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث عبد الرزاق ويروى عن ميناء هذا احاديث مناكير اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ الترمذی (3939) * میناء : متروک و رمی بالرفض و کذبہ ابو حاتم ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসটিতে হিম্‌ইয়ার গোত্রের লোকেদের চারটি গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তা হলো- মানুষকে বেশি বেশি করে সালাম করা, অভুক্ত মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে খবর দান করা, অন্যকে ক্ষতি হতে নিরাপদে রাখ এবং ঈমানের দৃঢ়তা। (সম্পাদকীয়)


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯৭-[১৯] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী (সা.) আমাকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কোন বংশের লোক? বললাম, আমি দাওস গোত্রের। তখন নবী (সা.) বললেন, দাওসের কোন লোকের মাঝেও কল্যাণ আছে বলে ইতোপূর্বে আমি ধারণা করতাম না। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِمَّنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: مِنْ دَوْسٍ. قَالَ: «مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ فِي دَوْسٍ أحدا فِيهِ خير» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3838 وقال : غریب صحیح) ۔
(صَحِيح)

وعنه قال: قال لي النبي صلى الله عليه وسلم: ممن انت؟ قلت: من دوس. قال: «ما كنت ارى ان في دوس احدا فيه خير» . رواه الترمذي اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3838 وقال : غریب صحیح) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসটিতে আবূ হুরায়াহ্ (রাঃ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। তার কারণে দাস বংশের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আর হাদীসটিতে দাওস সম্প্রদায়কে নিন্দা করা হয়েছে। তবে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) তাঁর সম্প্রদায়ের মান-মর্যাদার কারণ হয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯৮-[২০] সালমান (ফারসী) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, তুমি আমার সাথে বিদ্বেষ রেখ না, তাহলে দীন ইসলাম হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। উত্তরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কিরূপে আপনার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করতে পারি? অথচ আপনার মাধ্যমেই আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ’আরবদের প্রতি হিংসা পোষণ করাই আমার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করার নামান্তর। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَن سلمَان قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُبْغِضُنِي فَتُفَارِقَ دِينَكَ» قَلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أُبْغِضُكَ وَبِكَ هَدَانَا اللَّهُ؟ قَالَ: «تُبْغِضُ الْعَرَبَ فَتُبْغِضُنِي» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3927) * قابوس : فیہ لین ۔
(ضَعِيف)

وعن سلمان قال: قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا تبغضني فتفارق دينك» قلت: يا رسول الله كيف ابغضك وبك هدانا الله؟ قال: «تبغض العرب فتبغضني» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث حسن غريب اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3927) * قابوس : فیہ لین ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: “যদি তুমি আরবদের সাথে শত্রুতা কর তবে আমার সাথে শত্রুতা করা হবে।” অর্থাৎ যখন তুমি আমভাবে 'আরবদের সাথে শত্রুতা রাখবে তখন তাদের সাথে আমাকেও শামিল করে ফেলবে। আর যদি নির্দিষ্টভাবে তুমি আরব জাতিকে ঘৃণা কর তবে আমাকেও তো তুমি ঘৃণা করলে। নাঊযুবিল্লাহ। মোটকথা হলো ‘আরবদের ঘৃণা করা মানে সৃষ্টির সেরা মানুষকে ঘৃণা করা। অতএব খুবই সাবধানতা অবলম্বন কর যাতে তুমি ক্ষতির সম্মুখীন না হয়ে পড়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সালমান ফারসী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৯৯-[২১] ’উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে লোক ’আরবদের সাথে ছলনা করবে, সে আমার শাফা’আতের অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং আমার ভালোবাসাও লাভ করতে পারবে না। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব, হুসায়ন ইবনু উমার ছাড়া আর কেউ তা বর্ণনা করেননি, অথচ মুহাদ্দিসীনদের কাছে তিনি নির্ভরযোগ্য নন]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَن عُثْمَان بن عَفَّان قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّ الْعَرَبَ لَمْ يَدْخُلْ فِي شَفَاعَتِي وَلَمْ تَنَلْهُ مَوَدَّتِي» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ حُصَيْنِ بْنِ عُمَرَ وَلَيْسَ هُوَ عِنْدَ أهل الحَدِيث بِذَاكَ الْقوي

اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ الترمذی (3928) * حصین بن عمر : متروک ۔
(مَوْضُوع)

وعن عثمان بن عفان قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من غش العرب لم يدخل في شفاعتي ولم تنله مودتي» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث حصين بن عمر وليس هو عند اهل الحديث بذاك القوي اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ الترمذی (3928) * حصین بن عمر : متروک ۔ (موضوع)

ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি আরবদের সাথে প্রতারণা করবে অর্থাৎ ঘৃণা করবে সে নবী (সা.) -এর শাফা'আতে সুগরা পাবে না। তবে শাফা'আতে কুবরার বিষয়টি আম। এর সাথে সাথে সে আমার ভালোবাসা লাভ করতে পারবে না। এখানে নাহী কামাল বা পূর্ণ নিষেধকে বুঝানো হয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৬০০০-[২২] ত্বলহাহ্ ইবনু মালিক-এর মুক্ত দাসী উম্মু হারীর বলেন, আমি আমার মালিক (ত্বলহাহ্) কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কিয়ামত কাছাকাছি হওয়ার আলামতসমূহের মাঝে একটি হলো ’আরবদের পতন হওয়া। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَن أم حَرِير مولاة طَلْحَة بن مَالك قَالَتْ: سَمِعْتُ مَوْلَايَ يَقُولَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «مِنِ اقْتِرَابِ السَّاعَةِ هَلَاكُ الْعَرَبِ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3929) * فیہ ام محمد بن ابی رزین : لم اجد من وثقھا ۔
(ضَعِيف)

وعن ام حرير مولاة طلحة بن مالك قالت: سمعت مولاي يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «من اقتراب الساعة هلاك العرب» رواه الترمذي اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3929) * فیہ ام محمد بن ابی رزین : لم اجد من وثقھا ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার ‘আলামতসমূহের মধ্যে একটি হলো- ‘আরবদের ধ্বংস অর্থাৎ তাদের মুসলিমদের ধ্বংস অথবা এখানে ‘আরব জাতিকে বোঝানো হয়েছে। আর এখানে ইঙ্গিত আছে যে, পৃথিবীর অন্যান্যরা তাদের অনুসারী। আর যেহেতু খারাপ মানুষ ছাড়া কিয়ামত কায়িম হবে না। বরং অবস্থা এমন হবে যে, পৃথিবীতে আল্লাহ তথা লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ' বলার মতো কোন লোককে পাওয়া যাবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৬০০১-[২৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: শাসন-কর্তৃত্ব কুরায়শদের মাঝে, বিচার আনসারদের মধ্যে, আযান হাবশীদের মাঝে এবং আমানতকারী আযদ তথা ইয়ামানীদের মাঝে। (ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, এ হাদীসটি মাওকূফ হিসেবে বর্ণিত হওয়াই অধিক সহীহ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُلْكُ فِي قُرَيْشٍ وَالْقَضَاءُ فِي الْأَنْصَارِ وَالْأَذَانُ فِي الْحَبَشَةِ وَالْأَمَانَةُ فِي الْأَزْدِ» يَعْنِي الْيَمَنَ. وَفِي رِوَايَةٍ مَوْقُوفًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ: هَذَا أصح

اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3936) ۔
(مَوْقُوف)

وعن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «الملك في قريش والقضاء في الانصار والاذان في الحبشة والامانة في الازد» يعني اليمن. وفي رواية موقوفا. رواه الترمذي وقال: هذا اصح اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3936) ۔ (موقوف)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে