পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০২-[২৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু মুত্বী (রহ.) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মক্কাহ্ বিজয়ের দিন আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, আজকের পর হতে কিয়ামত অবধি কোন কুরায়শী বন্দি অবস্থায় হত্যা করা যাবে না। (মুসলিম)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ: «لَا يُقْتَلُ قُرَشِيٌّ صَبْرًا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَة» . رَوَاهُ مُسلم
رواہ مسلم (88 / 1782)، (4627) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ عَنْ أَبِيهِ) মুল্লা আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আবদুল্লাহ হলেন কুরায়শী, তিনি মদীনায় বসবাস করতেন। তিনি নবী (সা.) -এর যুগে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা তাকে নবী (সা.) -এর নিকট নিয়ে গেলেন। তার পিতার নাম ছিল ‘আস, তাই নবী (সা.) তার নাম পরিবর্তন করে মুত্বী রাখেন। আবদুল্লাহ ছিলেন কুরায়শদের সর্দার। মদীনাবাসী তাকে আমীর বানান যখন তারা ইয়াযীদ ইবনু মু'আবিয়ার নেতৃত্ব অস্বীকার করে।
‘আবদুল্লাহ-কে ৭৩ হিজরীতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র-এর সাথে হত্যা করা হয়। আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র তাকে কুফার গভর্নর বানিয়ে ছিলেন কিন্তু মুখতার ইবনু আবূ ‘উবায়দ সেখান থেকে তাকে বের করে দেয়।
(لَا يُقْتَلُ قُرَشِيٌّ صَبْرًا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ) মক্কা বিজয়ের পরে কোন কুরায়শকে যুদ্ধের ময়দানে কুফরী অবস্থায় হত্যা করা হবে না।
হুমায়দী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীসে অর্থ হলো আজকের দিনের পর হতে এমন কোন কুরায়শীকে হত্যা করা হবে না, যে ইসলাম থেকে মুরতাদ হয়ে গেছে এবং কুফরীর উপর অটল রয়েছে।
অতএব নবী (সা.) -এর যুগ হতে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে কিন্তু এমন কোন কুরায়শীকে পাওয়া যায়নি যে মুরতাদ হয়েছে ও কুফরীর উপর অটল রয়েছে যার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কেউ কেউ বলেন, এমন কোন কুরায়শীকে পাওয়া যাবে না যাকে মুরতাদ হওয়ার কারণে হত্যা করা হবে। এ কথাকে আরো শক্তিশালী করে একটি হাদীস যেমন নবী (সা.) বলেছেন, শয়তান ‘আরব উপদ্বীপ হতে নিরাশ হয়ে গেছে। তাই কোন কুরায়শী মুরতাদ হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)