পরিচ্ছেদঃ ২০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার

৫১১১-[৮] সালামাহ্ ইবনু আকওয়া’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন এক ব্যক্তি আছে, যে সর্বদা নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে, মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে থাকে, এমনকি তার নাম উদ্ধত-অহংকারীদের মধ্যে লিখে দেয়া হয়। আর উদ্ধত-অহংকারীদের ওপর যে বিপদ অবতীর্ণ হয়, তার ওপরও সে বিপদই অবতীর্ণ হয়। (তিরমিযী)[1]

عَن سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَذْهَبُ بِنَفْسِهِ حَتَّى يُكْتَبَ فِي الْجَبَّارِينَ فَيُصِيبَهُ مَا أَصَابَهُمْ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

عن سلمة بن الاكوع قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا يزال الرجل يذهب بنفسه حتى يكتب في الجبارين فيصيبه ما اصابهم» رواه الترمذي

ব্যাখ্যাঃ (لَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَذْهَبُ بِنَفْسِه) অর্থাৎ- যে ব্যক্তি সদা সর্বদা নিজেকে অন্যদের চাইতে উঁচু পর্যায়ের মনে করবে এবং মানুষের সাথে স্বাভাবিক জীবনে উঠাবসা বা লেনদেন না করে নিজেকে দূরে সরিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের দাবী করবে, আত্মঅহংকারে আর দাম্ভিকতার জোরে নিজেকে অনেক সম্মানী ভাবতে থাকবে এমন ব্যক্তিকে এক পর্যায়ে আল্লাহর দরবারে অত্যাচারী অহংকারী এবং স্বৈরশাসকদের কাতারে গণ্য করা হবে। যেমন- ফির্‘আওন, হামান, কারূন- তাদেরকে যে বিপদাপদ গ্রাস করেছিল এক সময় তাকেও এগুলো আক্রমণ করবে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০০০; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ২০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার

৫১১২-[৯] ’আমর ইবনু শু’আয়ব (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। তাঁর দাদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন অহংকারীদেরকে ছোট পিপীলিকার মতো একত্রিত করা হবে; কিন্তু আকৃতি-অবয়ব হবে মানুষের। চতুর্দিক থেকে অপমান তাদেরকে ঘিরে থাকবে। তাদেরকে ’’বূলাস’’ নামক জাহান্নামের এক কারাগারের দিকে হাঁকিয়ে নেয়া হবে। তাদের ওপর আগুনের কুণ্ডলী হবে এবং তাদেরকে জাহান্নামীদের নিংড়ানো পঁচা রক্ত ও পুঁজ পান করানো হবে, যার নাম ’’ত্বীনাতুল খবাল’’। (তিরমিযী)[1]

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يُحْشُرُ الْمُتَكَبِّرُونَ أَمْثَالَ الذَّرِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي صُوَرِ الرِّجَالِ يَغْشَاهُمُ الذُّلُّ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ يُسَاقُونَ إِلَى سِجْنٍ فِي جَهَنَّمَ يُسَمَّى: بُولَسُ تَعْلُوهُمْ نَارُ الْأَنْيَارِ يُسْقَوْنَ مِنْ عُصَارَةِ أَهْلِ النَّارِ طِينَةَ الْخَبَالِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: يحشر المتكبرون امثال الذر يوم القيامة في صور الرجال يغشاهم الذل من كل مكان يساقون الى سجن في جهنم يسمى: بولس تعلوهم نار الانيار يسقون من عصارة اهل النار طينة الخبال . رواه الترمذي

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ২০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার

৫১১৩-[১০] ’আতিয়্যাহ্ ইবনু ’উরওয়াহ্ আস্ সা’দী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে এবং শয়তানকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আগুন পানি দ্বারা নেভানো যায়। যখন তোমাদের মধ্যে কারো রাগ আসে, তবে সে যেন উযূ করে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن
عَطِيَّة بن عُرْوَة السعديّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ وَإِنَّمَا يُطْفَأُ النَّارُ بِالْمَاءِ فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

وعن عطية بن عروة السعدي قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان الغضب من الشيطان وان الشيطان خلق من النار وانما يطفا النار بالماء فاذا غضب احدكم فليتوضا» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যাঃ (إِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ) অর্থাৎ- রাগ হলো শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং কুপ্রভাব। তাই শয়তানের কুপ্রভাবেই মানুষ রাগান্বিত হয়। সুতরাং রাগের অবস্থায় উযূ করলে রাগ দূর হয়ে যায়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৭৬)

(وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ) উক্ত হাদীসাংশ থেকে প্রমাণিত হয় যে, শয়তান মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাদের) অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কারণ মালায়িকাহ্ হলো নূরের বা আলো থেকে তৈরি আর শয়তান হলো আগুন থেকে তৈরি।

(فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ) এখানে রাগের সময় উযূ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কারণ রাগ আসে শয়তান থেকে আর শয়তানকে তৈরি করা হয়েছে আগুন থেকে। যেহেতু পানি আগুনকে নিভিয়ে দিতে পারে, তাই উযূর মাধ্যমে রাগকেও দমন করা যেতে পারে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ২০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার

৫১১৪-[১১] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো রাগ বা ক্রোধ হয়, সে যেন বসে পড়ে, তাও রাগ না কমলে সে যেন চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে। (আহমাদ ও তিরমিযী)[1]

وَعَنْ
أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: «إِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ وَهُوَ قَائِمٌ فَلْيَجْلِسْ فَإِنْ ذَهَبَ عَنْهُ الْغَضَبُ وَإِلَّا فَلْيَضْطَجِعْ» رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيّ

وعن ابي ذر رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «اذا غضب احدكم وهو قاىم فليجلس فان ذهب عنه الغضب والا فليضطجع» رواه احمد والترمذي

ব্যাখ্যাঃ (وَهُوَ قَائِمٌ فَلْيَجْلِسْ) হাদীসের এ অংশে বিপরীত অবস্থার দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। কারণ রাগ হলো শয়তানের কুমন্ত্রণা দ্বারা সৃষ্ট ক্রমান্বয়ে বর্ধনশীল এক প্রকার শক্তি যা আগুনের মতো বৃদ্ধি পেতে থাকে। আগুন যে রকম উপরের দিকে বাড়তে থাকে রাগের মাত্রাও অনুরূপ বাড়তে থাকে। অনুরূপভাবে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য মানুষ বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে, প্রচণ্ড রেগে গেলে বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। মানুষ যেহেতু আগুনকে উপরে বাড়তে দেয় না তাকে ধরাশায়ী করতে চায় অনুরূপ কোন রাগান্বিত ব্যক্তিকে দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসিয়ে দিলেও তারও রাগ কমে যায়। এতেও না কমলে তাকে শুইয়ে দিতে হয়, অবশেষে তার রাগ দূর হয়।

শারহুস্ সুন্নাহতে বলা হয়েছে, রাগের অবস্থা বসে যেতে এবং শুয়ে যেতে আদেশের কারণ হলো রাগের অবস্থায় কোন গর্হিত কাজ যেন সংগঠিত না হয়। কেননা শুয়ে থাকা ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তির চাইতে নড়াচড়া এবং শক্তি প্রয়োগের দিক থেকে দুর্বল হয়।

ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ সম্ভবত আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিনয় এবং নম্রতাকে ইচ্ছা করেছেন। কেননা রাগ অহংকার ও দম্ভ তৈরি করে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৭৪)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ২০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার

৫১১৫-[১২] আসমা বিনতু ’উমায়স (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ঐ বান্দা মন্দ, যে নিজেকে অপরের চেয়ে ভালো মনে করে, অহংকার করে এবং আল্লাহ তা’আলাকে ভুলে যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যে মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচার করে, সীমালঙ্ঘন করে এবং সর্বশ্রেষ্ঠ পরাক্রমশালী আল্লাহকে ভুলে যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যে দীনের কাজ ভুলে যায়, দুনিয়ার কাজে মত্ত হয়ে থাকে এবং কবরস্থানের কথা ও শরীর পঁচে যাওয়ার কথা ভুলে যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যে ঝগড়া-বিবাদ বাধিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, অবাধ্য হয় এবং নিজের প্রথম ও শেষ ভুলে যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যে দুনিয়াবাসীকে ’’দীন’’ দ্বারা ধোঁকা দেয়। ঐ বান্দা মন্দ, যে সন্দেহ করে ধর্মকে খারাপ করে দেয়। ঐ বান্দা মন্দ, যাকে দুনিয়ার লোভ-লালসার দিকে এবং দুনিয়ার পূজারীদের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যাকে দুনিয়ার লোভ-লালসা ও দুনিয়ার প্রতি আসক্তি, অসম্মানিত ও হেয় করে।[তিরমিযী ও বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ঈমানে’’ বর্ণনা করেছেন; আর ইমাম বায়হাক্বী ও তিরমিযী (রহিমাহুমাল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসের বর্ণনাসূত্র সবল নয় এবং ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) আরো বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব।][1]

وَعَنْ أَسْمَاءَ
بِنْتِ عُمَيْسٍ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَخَيَّلَ وَاخْتَالَ وَنَسِيَ الْكَبِيرَ الْمُتَعَالِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَجَبَّرَ وَاعْتَدَى وَنَسِيَ الْجَبَّارَ الْأَعْلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ سَهَى وَلَهَى وَنَسِيَ الْمَقَابِرَ وَالْبِلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ عَتَى وَطَغَى وَنَسِيَ الْمُبْتَدَأَ وَالْمُنْتَهَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدُّنْيَا بِالدِّينِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدِّينَ بِالشُّبَهَاتِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ طَمَعٌ يَقُودُهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ هَوًى يُضِلُّهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ رَغَبٌ يُذِلُّهُ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ» . وَقَالَا: لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ أَيْضًا: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

وعن اسماء بنت عميس قالت: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «بىس العبد عبد تخيل واختال ونسي الكبير المتعال بىس العبد عبد تجبر واعتدى ونسي الجبار الاعلى بىس العبد عبد سهى ولهى ونسي المقابر والبلى بىس العبد عبد عتى وطغى ونسي المبتدا والمنتهى بىس العبد عبد يختل الدنيا بالدين بىس العبد عبد يختل الدين بالشبهات بىس العبد عبد طمع يقوده بىس العبد عبد هوى يضله بىس العبد عبد رغب يذله» رواه الترمذي والبيهقي في «شعب الايمان» . وقالا: ليس اسناده بالقوي وقال الترمذي ايضا: هذا حديث غريب

ব্যাখ্যাঃ بِئْسَ الْعَبْدُ এখানে الرجل লোক অথবা المرأ (ব্যক্তি) শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। বরং الْعَبْدُ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু হাদীসে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যসমূহ কোন عَبْدٌ তথা আল্লাহর ‘ইবাদাতকারী বান্দার জন্য শোভনীয় নয়, তাই الْعَبْدُ শব্দ ব্যবহার করে তাকে তিরস্কার জানানো হয়েছে।

(عَبْدٌ تَخَيَّلَ وَاخْتَالَ) মুনবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এখানে ঐ বান্দার কথা বলা হয়েছে, যে মনে মনে নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠভাবে এবং অহংকার করে চলে।

(بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَخَيَّلَ) মুনবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ঐ বান্দার কথা বলা হয়েছে, যে মানুষকে নিজের ইচ্ছানুযায়ী চলতে বাধ্য করে। এখানেও ক্ষমতার অপব্যবহারে অহংকার প্রকাশ পায়।

(عَبْدٌ سَهٰى) ঐ ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যে দুনিয়াবী লোভ লালসায় মত্ত থাকে কিন্তু সঠিক বিষয় তার সামনে আসলে সেটা গ্রহণও করে না আবার ‘ইবাদাত-বন্দেগীর তোয়াক্কাও করে না।

(وَلَهٰى) খেল-তামাশায় মত্ত থাকে।

(وَنَسِيَ الْمَقَابِرَ) এখানে উদ্দেশ্য হলো মৃত্যুকে ভুলে থাকে। উদাসীন জীবন যাপন করে মৃত্যু, কবর, পরকাল ইত্যাদি সবকিছু থেকে নিজেকে উদাসীন করে রাখে।

(وَنَسِيَ الْمُبْتَدَأَ وَالْمُنْتَهٰى) এখানেالْمُبْتَدَأَ শব্দ দ্বারা তার সৃষ্টির সূচনা তথা মাতা-পিতার দেহে তাদের বীর্যে তার অবস্থানকে সে ভুলে যায় এবং পুনরায় আল্লাহর কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথাও সে ভুলে যায়।

(তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৪৪৮; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে