৫১১৪

পরিচ্ছেদঃ ২০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার

৫১১৪-[১১] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো রাগ বা ক্রোধ হয়, সে যেন বসে পড়ে, তাও রাগ না কমলে সে যেন চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে। (আহমাদ ও তিরমিযী)[1]

وَعَنْ
أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: «إِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ وَهُوَ قَائِمٌ فَلْيَجْلِسْ فَإِنْ ذَهَبَ عَنْهُ الْغَضَبُ وَإِلَّا فَلْيَضْطَجِعْ» رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيّ

وعن ابي ذر رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «اذا غضب احدكم وهو قاىم فليجلس فان ذهب عنه الغضب والا فليضطجع» رواه احمد والترمذي

ব্যাখ্যাঃ (وَهُوَ قَائِمٌ فَلْيَجْلِسْ) হাদীসের এ অংশে বিপরীত অবস্থার দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। কারণ রাগ হলো শয়তানের কুমন্ত্রণা দ্বারা সৃষ্ট ক্রমান্বয়ে বর্ধনশীল এক প্রকার শক্তি যা আগুনের মতো বৃদ্ধি পেতে থাকে। আগুন যে রকম উপরের দিকে বাড়তে থাকে রাগের মাত্রাও অনুরূপ বাড়তে থাকে। অনুরূপভাবে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য মানুষ বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে, প্রচণ্ড রেগে গেলে বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। মানুষ যেহেতু আগুনকে উপরে বাড়তে দেয় না তাকে ধরাশায়ী করতে চায় অনুরূপ কোন রাগান্বিত ব্যক্তিকে দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসিয়ে দিলেও তারও রাগ কমে যায়। এতেও না কমলে তাকে শুইয়ে দিতে হয়, অবশেষে তার রাগ দূর হয়।

শারহুস্ সুন্নাহতে বলা হয়েছে, রাগের অবস্থা বসে যেতে এবং শুয়ে যেতে আদেশের কারণ হলো রাগের অবস্থায় কোন গর্হিত কাজ যেন সংগঠিত না হয়। কেননা শুয়ে থাকা ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তির চাইতে নড়াচড়া এবং শক্তি প্রয়োগের দিক থেকে দুর্বল হয়।

ইমাম ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ সম্ভবত আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিনয় এবং নম্রতাকে ইচ্ছা করেছেন। কেননা রাগ অহংকার ও দম্ভ তৈরি করে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৭৪)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)