পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪২৩৬-[৭৮] মুগীরাহ্ ইবনু শু’বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে) মেহমান হলাম। তিনি লোকটিকে বকরীর পাঁজরের মাংস তৈরি করতে বললেন, তা ভুনা করা হলো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছুরি নিয়ে ঐ স্থান হতে মাংস কেটে আমাদের দিতে লাগলেন। এমন সময় বিলাল (রাঃ) এসে তাঁকে সালাতের সংবাদ দিলেন। তিনি (বিরক্তির সাথে) ছুরিখানা ফেলে দিলেন এবং বললেনঃ তার কি হলো? তার দু’হাতে মাটি লাগুক। মুগীরাহ্ বলেনঃ তার গোঁফ বেশ লম্বা হয়ে গিয়েছিল, তখন তিনি আমাকে বললেনঃ আমি তোমার গোঁফ মিসওয়াকে রেখে কেটে দেব। অথবা বললেনঃ তা মিসওয়াকে রেখে কেটে নাও। (তিরমিযী)[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

عَن المغيرةِ بن شعبةَ قَالَ: ضِفْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَأَمَرَ بِجَنْبٍ فَشُوِيَ ثُمَّ أَخَذَ الشَّفْرَةَ فَجَعَلَ يَحُزُّ لِي بِهَا مِنْهُ فَجَاءَ بِلَالٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلَاةِ فَأَلْقَى الشَّفْرَةَ فَقَالَ: «مَا لَهُ تَرِبَتْ يَدَاهُ؟» قَالَ: وَكَانَ شارِبُه وَفَاء فَقَالَ لي: «أُقْصُّه عَلَى سِوَاكٍ؟ أَوْ قُصَّهُ عَلَى سِوَاكٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

عن المغيرة بن شعبة قال: ضفت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات ليلة فامر بجنب فشوي ثم اخذ الشفرة فجعل يحز لي بها منه فجاء بلال يوذنه بالصلاة فالقى الشفرة فقال: «ما له تربت يداه؟» قال: وكان شاربه وفاء فقال لي: «اقصه على سواك؟ او قصه على سواك» . رواه الترمذي

ব্যাখ্যাঃ (تَرِبَتْ يَدَاهُ) এ বাক্যটি ‘আরবীগণ ভৎর্সনা বা ভয়ের ক্ষেত্রে বলে থাকেন। এর অর্থ হলো, দারিদ্র্যতার দু‘আ করা। এটা তারা বাস্তবায়িত হওয়ার ইচ্ছা ছাড়া সচরাচর বলে থাকে। যেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বাক্য দ্বারা খাদ্যের প্রতি ব্যস্ত থাকায় সালাতের আযান হওয়াটা অপছন্দ করছিলেন। প্রকৃত অবস্থা হলো, সালাতের সময়টা প্রশস্ত ছিল। বিশেষ করে ‘ইশার সালাতের সময়, নিশ্চয় তা বিলম্ব করে আদায় করা উত্তম।

শারহুস্ সুন্নাহয় রয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যক্তির গোফ খুব লম্বা দেখতে পেলেন এবং তাকে মিসওয়াক ও ছুরি নিয়ে আসতে বললেন। অতঃপর মিসওয়াকটা গোঁফের নিচে রেখে ছুড়ি দিয়ে গোঁফের বর্ধিতাংশ কেটে দিলেন। ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) এক্ষেত্রে দলীল গ্রহণ করেছেন যে, গোঁফ সেভ না করে তা ছেটে ফেলা উত্তম। যাতে গোঁফের চিহ্ন প্রকাশিত থেকে যায়। কারো কারো মতে তা সেভ করাই উত্তম। তবে অধিকাংশ ‘উলামার মতে গোঁফ সেভ না করে ছেটে ফেলাই উত্তম। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة) 21. Foods

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪২৩৭-[৭৯] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কোন খাবার মাজলিসে উপস্থিত হতাম, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শুরু করে তাতে হাত না রাখা পর্যন্ত আমরা আমাদের হাত রাখতাম না। একবার আমরা তাঁর সঙ্গে এক দা’ওয়াতে উপস্থিত ছিলাম। সে সময় একটি মেয়ে এমনভাবে এলো যেন তাকে তাড়িয়ে আনা হয়েছে এবং সে খাদ্যের মধ্যে হাত রাখতে উদ্যত হলো। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে ফেললেন। অতঃপর এক বেদুঈন এলো। তাকেও যেন কেউ তাড়িয়ে এনেছে। তিনি তার হাতও ধরে ফেললেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ নিশ্চয় শয়তান তখনই খাবারকে হালাল মনে করে, যখন তাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয় না। তাই সে (প্রথমে) ঐ মেয়েটিকে নিয়ে এসেছিল, যেন তার দ্বারা (খাবারটি নিজের জন্য) হালাল করতে পারে। তাই আমি তার হাত ধরে ফেললাম। পরে সে ঐ বেদুঈনকে নিয়ে এলো (খাদ্যটি নিজের জন্য) হালাল করে নিতে। তাই আমি তার হাতও ধরে ফেললাম। সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, ঐ মেয়েটির হাতের সাথে শয়তানের হাতটিও আমার মুঠোতে রয়েছে। অন্য আরেক রিওয়ায়াতে অতিরিক্ত আছে, অতঃপর তিনি ’’বিসমিল্লা-হ’’ পড়ে খাবার খেলেন। (মুসলিম)[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَن حُذيفةَ قَالَ: كُنَّا إِذَا حَضَرْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم لَمْ نَضَعْ أَيْدِيَنَا حَتَّى يَبْدَأُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَضَعُ يَدَهُ وَإِنَّا حَضَرْنَا مَعَهُ مَرَّةً طَعَامًا فَجَاءَتْ جَارِيَةٌ كَأَنَّهَا تُدْفَعُ فَذَهَبَتْ لِتَضَعَ يَدَهَا فِي الطَّعَامِ فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهَا ثُمَّ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ كَأَنَّمَا يُدْفَعُ فَأَخَذَهُ بِيَدِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الشَّيْطَانَ يَسْتَحِلُّ الطَّعَامَ أَنْ لَا يُذْكَرَ اسمُ اللَّهِ عليهِ وإِنَّه جَاءَ بِهَذِهِ الْجَارِيَةِ لِيَسْتَحِلَّ بِهَا فَأَخَذْتُ بِيَدِهَا فَجَاءَ بِهَذَا الْأَعْرَابِيِّ لِيَسْتَحِلَّ بِهِ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّ يَدَهُ فِي يَدِي مَعَ يَدِهَا» . زَادَ فِي رِوَايَةٍ: ثُمَّ ذَكَرَ اسمَ اللَّهِ وأكَلَ. رَوَاهُ مُسلم

وعن حذيفة قال: كنا اذا حضرنا مع النبي صلى الله عليه وسلم لم نضع ايدينا حتى يبدا رسول الله صلى الله عليه وسلم فيضع يده وانا حضرنا معه مرة طعاما فجاءت جارية كانها تدفع فذهبت لتضع يدها في الطعام فاخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم بيدها ثم جاء اعرابي كانما يدفع فاخذه بيده فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان الشيطان يستحل الطعام ان لا يذكر اسم الله عليه وانه جاء بهذه الجارية ليستحل بها فاخذت بيدها فجاء بهذا الاعرابي ليستحل به فاخذت بيده والذي نفسي بيده ان يده في يدي مع يدها» . زاد في رواية: ثم ذكر اسم الله واكل. رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ ‘আলিমগণ বলেছেন যে, খাওয়ার সময় বিসমিল্লা-হ আওয়াজ করে বলা মুস্তাহাব যাতে অন্যরা শুনতে পারে ও জানতে পারে। যদি কেউ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লা-হ স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়, অজ্ঞতাবশতঃ কিংবা অক্ষমতার কারণে পরিত্যাগ করে এবং খাওয়ার মাঝখানে যদি বিসমিল্লা-হ বলা সম্ভব হয় তাহলে ‘‘বিসমিল্লা-হি আও্ওয়ালাহু ওয়া আ-খিরাহু’’ বলা মুস্তাহাব। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কেউ খাওয়া শুরু করবে সে যেন বিসমিল্লা-হ বলে। যদি শুরুতে বিসমিল্লা-হ বলতে ভুলে যায় তবে সে যেন ‘‘বিসমিল্লা-হি আও্ওয়ালাহু ওয়া আ-খিরাহু’’ বলে। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।)

এমনিভাবে খাওয়ার মতো পানি, দুধ, মধু, ঔষধ সেবন ও যাবতীয় পানীয় পান করার সময়ও বিসমিল্লা-হ বলতে হবে। (শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ ২০১৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة) 21. Foods

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪২৩৮-[৮০] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গোলাম ক্রয় করতে ইচ্ছা করলেন, তখন তিনি তার সম্মুখে কিছু খেজুর ঢেলে দিলেন। সে অধিক পরিমাণে খেয়ে ফেলল। (এটা দেখে) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বেশি খাওয়া অশুভ (অকল্যাণকর)। অতএব গোলামকে ফেরত দিতে নির্দেশ দিলেন। (বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ঈমান’’)[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ أَنْ يَشْتَرِيَ غُلَامًا فَأَلْقَى بَيْنَ يَدَيْهِ تَمْرًا فَأَكَلَ الْغُلَامُ فَأَكْثَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ كَثْرَةَ الْأَكْلِ شُؤْمٌ» . وَأَمَرَ بِرَدِّهِ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان

عن عاىشة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اراد ان يشتري غلاما فالقى بين يديه تمرا فاكل الغلام فاكثر فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان كثرة الاكل شوم» . وامر برده. رواه البيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যাঃ অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণকারী ব্যক্তি অকল্যাণজনক। এখানে شُؤْمٌ ‘‘শু’ম’’ হলো- কল্যাণের বিপরীত, অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানদার ব্যক্তি খাদ্য গ্রহণ করে, এক পাকস্থলীতে এবং কাফির ব্যক্তি খাদ্য গ্রহণ করে সাত পাকস্থলীতে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة) 21. Foods

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪২৩৯-[৮১] আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রধান তরকারী হলো লবণ। (ইবনু মাজাহ)[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَيِّدُ إِدَامِكُمُ الْمِلْحُ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ

وعن انس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «سيد ادامكم الملح» . رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যাঃ লবণ তরকারীর মূল, এটা এ কারণে যে, রুটি কিংবা পাকানো খাদ্য লবণ ছাড়া স্বাদ হয় না। আর লবণ ছাড়া তরকারী প্রস্তুত করাটা অনর্থক ও নিস্প্রয়োজন। অতএব এ মহান নি‘আমাতের উপরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সতর্কবাণী রয়েছে যে, অধিকাংশ মানুষ বড় নি‘আমাতের বিষয়ে পূর্ণ অবগত হয়েও আল্লাহ তা‘আলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা থেকে উদাসীন রয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة) 21. Foods

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪২৪০-[৮২] উক্ত রাবী [আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন খাবার উপস্থিত করা হয়, তখন তোমরা জুতা খুলে নাও। কেননা তাতে প্রশান্তি রয়েছে।[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْهُ قَالَ
: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا وُضِعَ الطَّعَامُ فَاخْلَعُوا نِعَالَكُمْ فإِنَّه أرْوَحُ لأقدامكم»

وعنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا وضع الطعام فاخلعوا نعالكم فانه اروح لاقدامكم»

ব্যাখ্যাঃ যখন তোমরা খাদ্য খাবে তখন জুতাদ্বয় খুলে রেখে খাদ্য খাবে, যা অধিক প্রশান্তিদায়ক। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة) 21. Foods

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪২৪১-[৮৩] আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। যখনই তাঁর নিকট সারীদ আনা হত, তখন তার ধোঁয়ার গরম বাষ্প নিঃশেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি তা ঢেকে রাখতে আদেশ করতেন এবং তিনি বলতেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি- এতে বিরাট বারাকাত রয়েছে। (দারিমী হাদীস দু’টি বর্ণনা করেছেন)[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَن أسماءَ بنتِ أبي بكرٍ: أَنَّهَا كَانَتْ إِذَا أَتَيْتُ بِثَرِيدٍ أَمَرَتْ بِهِ فَغُطِّيَ حَتَّى تَذْهَبَ فَوْرَةُ دُخَانِهِ وَتَقُولُ: أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «هُوَ أعظم للبركة» . رَوَاهُمَا الدَّارمِيّ

وعن اسماء بنت ابي بكر: انها كانت اذا اتيت بثريد امرت به فغطي حتى تذهب فورة دخانه وتقول: اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «هو اعظم للبركة» . رواهما الدارمي

ব্যাখ্যাঃ জামি‘উস্ সগীরে সমার্থপূর্ণ বর্ণনা রয়েছে, ‘‘তোমরা (পাতিলের মুখ ঢেকে দেয়ার মাধ্যমে) খাদ্য ঠাণ্ডা করো, কেননা গরম খাদ্যে কোন বারাকাত নেই।’’ (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة) 21. Foods

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪২৪২-[৮৪] নুবায়শাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন পাত্রে খায় এবং পরে তা চেটে নেয়, তখন পাত্রটি তাকে (লক্ষ্য করে) বলে, আল্লাহ তোমাকে জাহান্নামের আগুন হতে মুক্ত রাখুন, যেমন তুমি আমাকে শয়তান হতে মুক্ত রেখেছ। (রযীন)[1]

الْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَن نُبَيْشَة قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَكَلَ فِي قَصْعَةٍ ثُمَّ لَحِسَهَا تَقُولُ لَهُ الْقَصْعَةُ: أَعْتَقَكَ اللَّهُ مِنَ النَّارِ كَمَا أعتقتَني منَ الشيطانِ . رَوَاهُ رزين

وعن نبيشة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من اكل في قصعة ثم لحسها تقول له القصعة: اعتقك الله من النار كما اعتقتني من الشيطان . رواه رزين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নুবায়শাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة) 21. Foods
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে