পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮০-[২৬] নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সফিয়্যাহ্ বিনতু আবূ ’উবায়দ (রহঃ) তার নিকট বর্ণনা করেন। একদিন সরকারী এক গোলাম সরকারী কোষাগারের (গনীমাতের) এক বাঁদীর সাথে জোরপূর্বক যিনা করে, এমনকি তার সতীত্বও হরণ করে নেয়। এমতাবস্থায় ’উমার গোলামটিকে (পঞ্চাশটি) চাবুক মারলেন এবং বাঁদীকে শাস্তি দিলেন না। কেননা তার সাথে জোরপূর্রক যিনা করা হয়েছে। (বুখারী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

عَنْ نَافِعٍ: أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ عَبْدًا مِنْ رَقِيقِ الْإِمَارَةِ وَقَعَ على وليدةٍ من الخُمسِ فاستَكرهَها حَتَّى افتضَّها فَجَلَدَهُ عُمَرُ وَلَمْ يَجْلِدْهَا مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ استكرهها. رَوَاهُ البُخَارِيّ

عن نافع: ان صفية بنت ابي عبيد اخبرته ان عبدا من رقيق الامارة وقع على وليدة من الخمس فاستكرهها حتى افتضها فجلده عمر ولم يجلدها من اجل انه استكرهها. رواه البخاري

ব্যাখ্যা : ‘উমার তাকে পঞ্চাশ বেত্রাঘাত মেরেছেন এবং ছয় মাসের জন্য নির্বাসন দিয়েছেন। কেননা তাদের হাদ্দ হলো স্বাধীন লোকের অর্ধেক। আর দাসীকে শাস্তি দেয়া হয়নি, যেহেতু তাকে জোরপূর্বক করা হয়েছে। (ফাতহুল বারী ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৯৪৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮১-[২৭] ইয়াযীদ ইবনু নু’আয়ম ইবনু হাযযাল (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মা’ইয ইবনু মালিক ইয়াতীম ছিলেন এবং সে আমার পিতার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত। অতঃপর তিনি এলাকার এক বাঁদীর সাথে যিনা করেন। তখন আমার পিতা তাকে বলেন, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাও এবং তুমি যা কিছু করেছ তা তাঁকে এতদসম্পর্কে জানাও। সম্ভবত তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমার মাগফিরাতের জন্য দু’আ করবেন এবং এ কথা বলার উদ্দেশ্য তার জন্য গুনাহ মাফের একটি উপায়ন্তর বেরা করা, তাছাড়া আর কিছু ছিল না। অতঃপর মা’ইয এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি যিনা করেছি। আমার ওপর আল্লাহ কিতাবের বিধান কার্যকর করুন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। মা’ইয পুনরায় বললেন, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি যিনা করেছি। আমার ওপর আল্লাহর কিতাবের ফায়সালা কার্যকর করুন। এমনকি তিনি চারবার স্বীকারোক্তি দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি চারবার স্বীকারোক্তি দিয়েছ। এখন বল, তুমি কার সাথে যিনা করেছ? মা’ইয বললেন, অমুক নারীর সাথে।

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি কি তাকে জড়িয়ে ধরেছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি কি তার সাথে যৌনাচার করেছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি তার সাথে সঙ্গম করেছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রতি ’রজমের’ আদেশ দিলে তাকে হাররাহ্ নামক অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়। অতঃপর যখন তাকে পাথর নিক্ষেপ করা শুরু হলো তখন পাথরের অসহ্য আঘাতের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে তিনি অধৈর্য হয়ে পড়লেন এবং দৌড়ে পালিয়ে গেলেন। তারপর ’আব্দুল্লাহ ইবনু উনায়স তাকে এরূপ অবস্থায় পেলেন যে, তার সঙ্গীরা পাথর মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তখন ’আব্দুল্লাহ উটের একটি পায়ের হাড্ডির আঘাতে তাকে মেরে ফেললেন। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে পুরো বিষয় বর্ণনা করলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তাকে কেন ছেড়ে দিলে না। সম্ভবত সে তওবা্ করত এবং আল্লাহ তা’আলাও তার তওবা্ কবুল করে নিতেন। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ يَزِيدَ بْنِ نُعَيْمِ بْنِ هَزَّالٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي فَأَصَابَ جَارِيَةً مِنَ الْحَيِّ فَقَالَ لَهُ أَبِي: ائْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ بِمَا صَنَعْتَ لَعَلَّهُ يَسْتَغْفِرُ لَكَ وَإِنَّمَا يُرِيدُ بِذَلِكَ رَجَاءَ أَنْ يَكُونَ لَهُ مَخْرَجًا فَآتَاهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِني زنيتُ فأقِمْ عليَّ كتابَ اللَّهِ حَتَّى قَالَهَا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّكَ قَدْ قُلْتَهَا أَرْبَعَ مَرَّاتٍ فَبِمَنْ؟ قَالَ: بِفُلَانَةَ. قَالَ: «هَلْ ضَاجَعْتَهَا؟» قَالَ: نَعَمْ قَالَ: «هَلْ بَاشَرْتَهَا؟» قَالَ: نَعَمْ قَالَ: «هَلْ جَامَعْتَهَا؟» قَالَ: نَعَمْ قَالَ: فَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُرْجَمَ فَأُخْرِجُ بِهِ إِلَى الْحَرَّةِ فَلَمَّا رُجِمَ فَوَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ فَجَزِعَ فَخَرَجَ يَشْتَدُّ فَلَقِيَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ وَقَدْ عَجَزَ أَصْحَابُهُ فَنَزَعَ لَهُ بِوَظِيفِ بَعِيرٍ فَرَمَاهُ بِهِ فَقَتَلَهُ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: «هَلَّا تَرَكْتُمُوهُ لَعَلَّهُ أَنْ يَتُوبَ. فَيَتُوبَ اللَّهُ عَلَيْهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن يزيد بن نعيم بن هزال عن ابيه قال: كان ماعز بن مالك يتيما في حجر ابي فاصاب جارية من الحي فقال له ابي: اىت رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبره بما صنعت لعله يستغفر لك وانما يريد بذلك رجاء ان يكون له مخرجا فاتاه فقال: يا رسول الله اني زنيت فاقم علي كتاب الله حتى قالها اربع مرات قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: انك قد قلتها اربع مرات فبمن؟ قال: بفلانة. قال: «هل ضاجعتها؟» قال: نعم قال: «هل باشرتها؟» قال: نعم قال: «هل جامعتها؟» قال: نعم قال: فامر به ان يرجم فاخرج به الى الحرة فلما رجم فوجد مس الحجارة فجزع فخرج يشتد فلقيه عبد الله بن انيس وقد عجز اصحابه فنزع له بوظيف بعير فرماه به فقتله ثم اتى النبي صلى الله عليه وسلم فذكر ذلك له فقال: «هلا تركتموه لعله ان يتوب. فيتوب الله عليه» . رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: হাদীসে দলীল হিসেবে সাব্যস্ত হয় যে, যিনার স্বীকারকারী ব্যক্তি যদি পলায়ন করে তাহলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে আর সুস্পষ্টভাবে যদি তার স্বীকারোক্তিকে অস্বীকার করে তাহলে তার হাদ্দ আর প্রয়োগ করা হবে না। আর তা না হলে হাদ্দ প্রয়োগ করা হবে তথা রজম করা হবে। এটা শাফি‘ঈ ও আহমাদ-এর মত। আর মালিফীর প্রসিদ্ধ মত হলো পলায়ন করলেও হাদ্দ প্রয়োগ করা হবে।

কারো মতে তাৎক্ষণিক ধরতে পারলে শাস্তি প্রয়োগ করা হবে আর তাৎক্ষণিক ধরতে না পারলে অব্যাহতি দেয়া হবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪৪১০)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮২-[২৮] ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে জাতির মাঝে যিনা-ব্যভিচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে তারা দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটনে পতিত হবে। আর যে জাতির মাঝে ঘুষের ব্যাপক প্রচলন শুরু হবে তারা ভীরুতা ও কাপুরুষতায় পতিত হবে। (আহমাদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الزِّنَا إِلَّا أُخِذُوا بِالسَّنَةِ وَمَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الرِّشَا إِلَّا أخذُوا بِالرُّعْبِ» . رَوَاهُ أَحْمد

وعن عمرو بن العاص قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «ما من قوم يظهر فيهم الزنا الا اخذوا بالسنة وما من قوم يظهر فيهم الرشا الا اخذوا بالرعب» . رواه احمد

ব্যাখ্যা: ‘‘যিনার মাধ্যমে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষ পরিবেশ টেনে আনে’’ এর হিকমাহ্ হলো যিনার মাধ্যমে বংশের পরক্রমাকে ধূলিস্যাৎ করা হয় ফলে অভাব-অনটন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে ফসলাদি ধ্বংসের মাধ্যমে।

«الرِّشْوَةُ» নিহায়াহ্ গ্রন্থে বলা হয়েছে, ঘুষ হলো অন্যায়ভাবে প্রয়োজন হাসিল করা। ঘুষদাতা ঘুষগ্রহণকারী থেকে অন্যায়ভাবে সাহায্য আদায় করে থাকে আর ঘুষ দু’জনের মাঝে তথা ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতার মধ্যে কম বেশি করতে প্রচেষ্টা চালায়। আর ঘুষ হলো বালতির রশির ন্যায় যার মাধ্যমে দুরাচারে পৌঁছে যেমন রশির মাধ্যমে পানির নিকট পৌঁছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনুল আস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮৩-[২৯] ইবনু ’আব্বাস ও আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের ন্যায় অপকর্মে লিপ্ত হয়, তার ওপর আল্লাহর লা’নাত (অভিশাপ)। (রযীন)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَلْعُونٌ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ» . رَوَاهُ رَزِينٌ

وعن ابن عباس وابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «ملعون من عمل عمل قوم لوط» . رواه رزين

ব্যাখ্যা: জামি‘ আস্ সগীরে এসেছে : ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,

مَلْعُونٌ مَنْ سَبَّ أَبَاهُ مَلْعُونٌ مَنْ سَبَّ أُمَّه، مَلْعُونٌ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللّٰهِ، مَلْعُونٌ مَنْ غَيَّرَ تُخُومَ الْأَرْضِ، مَلْعُونٌ مَنْ كَمَهَ أَعْمٰى عَنْ طَرِيقٍ، مَلْعُونٌ مَنْ وَقَعَ عَلٰى بَهِيمَةٍ، مَلْعُونٌ مَنْ عَمِلَ بِعَمَلِ قَوْمِ لُوطٍ

অভিসম্পাত বা লা‘নাত ঐ ব্যক্তির ওপর যে তার পিতাকে গালি দেয়, লা‘নাত এ ব্যক্তির ওপর যে তার মাতাকে গালি দেয়, লা‘নাত ঐ ব্যক্তির ওপর যে তার আল্লাহ ব্যতিরেকে অন্যের নামে যাবাহ করে, লা‘নাত ঐ ব্যক্তির ওপর যে জমির সীমানাকে পরিবর্তন করে, লা‘নাত ঐ ব্যক্তির ওপর যে ব্যক্তি জানোয়ারের সাথে কুকর্ম (সঙ্গম) করে, লা‘নাত ঐ ব্যক্তির ওপর যে লূত (আঃ)-এর কওমের ন্যায় কুকর্ম করে, লা‘নাত ঐ ব্যক্তির ওপর যে দিশেহারা ব্যক্তিকে আরো দিশেহারা করে তোলে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮৪-[৩০] রযীন-এর অপর বর্ণনায় রয়েছে, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, ’আলী (রাঃ) এরূপ অপকর্মে (সমকামিতায়) লিপ্ত উভয়কে (যে করে এবং যাকে করে) জ্বালিয়ে দিয়েছেন এবং আবূ বকর উভয়ের উপর দেয়াল চাপা দিয়েছেন।

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ عليَّاً رَضِي الله عَنهُ أحرَقَهما وَأَبا بكرٍ هدم عَلَيْهِمَا حَائِطا

وفي رواية له عن ابن عباس: ان عليا رضي الله عنه احرقهما وابا بكر هدم عليهما حاىطا

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮৫-[৩১] উক্ত রাবী [ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ঐ ব্যক্তির প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না, যে কোনো পুরুষ বা নারীর গুহ্যদারে সঙ্গম করে। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান গরীর)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَنْظُرُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى رَجُلٍ أَتَى رَجُلًا أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ

وعنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «لا ينظر الله عز وجل الى رجل اتى رجلا او امراة في دبرها» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث حسن غريب

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮৬-[৩২] উক্ত রাবী [ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোনো জন্তু-জানোয়ারের সাথে যিনা করে, তার ওপর (শার’ঈ) কোনো দণ্ড নেই। (তিরমিয়ী ও আবূ দাঊদ)[1]

ইমাম তিরমিযী (রহঃ) সুফ্ইয়ান সাওরী (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এ হাদীসটি পূর্বে বর্ণিত (যে জানোয়ারের সঙ্গে সঙ্গম করে তাকে তোমরা হত্যা কর) হাদীস হতে অধিক সহীহ। এ হাদীসের উপর ’উলামায়ে কিরামের ’আমল রয়েছে।

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: «مَنْ أَتَى بَهِيمَةً فَلَا حَدَّ عَلَيْهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: وَهَذَا أَصَحُّ مِنَ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ وَهُوَ: «مَنْ أَتَى بَهِيمَةً فَاقْتُلُوهُ» وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعلم

وعنه انه قال: «من اتى بهيمة فلا حد عليه» . رواه الترمذي وابو داود وقال الترمذي: عن سفيان الثوري انه قال: وهذا اصح من الحديث الاول وهو: «من اتى بهيمة فاقتلوه» والعمل على هذا عند اهل العلم

ব্যাখ্যা: মালিক এবং শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর দু’মত এবং আবূ হানীফাহ্ ও আহমাদ (রহঃ)-এর মতে তাকে তিরস্কার করা হবে হত্যা করা হবে না।

আর ইসহক বলেনঃ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এমনটি করে তাহলে হত্যা করা হবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৫৫)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮৭-[৩৩] ’উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিকটবর্তী এবং দূরবর্তী আত্মীয়-স্বজন সকলের ওপর আল্লাহর দণ্ডবিধি কার্যকর কর। আর আল্লাহর এ বিধান প্রয়োগে কোনো তিরস্কারকারীর তিরস্কার যেন তোমাদের জন্য বাধা না হয়। (ইবনু মাজাহ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَقِيمُوا حُدُودَ اللَّهِ فِي الْقَرِيبِ وَالْبَعِيدِ وَلَا تَأْخُذْكُمْ فِي اللَّهِ لوْمةُ لائمٍ» . رَوَاهُ ابنُ مَاجَه

وعن عبادة بن الصامت قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اقيموا حدود الله في القريب والبعيد ولا تاخذكم في الله لومة لاىم» . رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: নিকটাত্মীয় ও আত্মীয়- এ কথার ভাবার্থ হলো স্বগোত্রীয় ও ভিন্ন গোত্রীয় কিংবা শক্তিধর বা দুর্বল প্রত্যেকের ওপর কার্যকরী হবে।

(لَوْمَةُ لَائِمٍ) চাই তিরস্কারী মতের স্বপক্ষে হোক বা বিরোধী হোক বা মুনাফিক হোক। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮৮-[৩৪] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার দণ্ডবিধিসমূহের কোনো একটি দণ্ড কার্যকর করা, আল্লাহ তা’আলার নগরসমূহে চল্লিশ দিন (অবিরত) বৃষ্টি বর্ষণের চেয়েও উত্তম। (ইবনু মাজাহ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِقَامَةُ حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنْ مَطَرِ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً فِي بلادِ الله» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «اقامة حد من حدود الله خير من مطر اربعين ليلة في بلاد الله» . رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ হাদ্দ সমাজে বাস্তবায়ন করা পাপাচার থেকে বিরত থাকার ধমকি স্বরূপ আর আকাশমন্ডলীর রহমাতের দরজার খোলার বরকত স্বরূপ। আর হাদ্দ সমাজে বাস্তবায়ন না থাকলে পাপাচারের দরজাকে উন্মুক্ত করার অন্যতম কারণ হয়ে থাকে। আর দুর্ভিক্ষ ও অনাবৃষ্টিরও কারণ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৫৮৯-[৩৫] আর ইমাম নাসায়ী হাদীসটি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন।[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ

ورواه النساىي عن ابي هريرة

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود) 17. Prescribed Punishments
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে