পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৩৫৮২-[২৮] ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে জাতির মাঝে যিনা-ব্যভিচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে তারা দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটনে পতিত হবে। আর যে জাতির মাঝে ঘুষের ব্যাপক প্রচলন শুরু হবে তারা ভীরুতা ও কাপুরুষতায় পতিত হবে। (আহমাদ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الزِّنَا إِلَّا أُخِذُوا بِالسَّنَةِ وَمَا مِنْ قَوْمٍ يَظْهَرُ فِيهِمُ الرِّشَا إِلَّا أخذُوا بِالرُّعْبِ» . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: ‘‘যিনার মাধ্যমে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষ পরিবেশ টেনে আনে’’ এর হিকমাহ্ হলো যিনার মাধ্যমে বংশের পরক্রমাকে ধূলিস্যাৎ করা হয় ফলে অভাব-অনটন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে ফসলাদি ধ্বংসের মাধ্যমে।
«الرِّشْوَةُ» নিহায়াহ্ গ্রন্থে বলা হয়েছে, ঘুষ হলো অন্যায়ভাবে প্রয়োজন হাসিল করা। ঘুষদাতা ঘুষগ্রহণকারী থেকে অন্যায়ভাবে সাহায্য আদায় করে থাকে আর ঘুষ দু’জনের মাঝে তথা ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতার মধ্যে কম বেশি করতে প্রচেষ্টা চালায়। আর ঘুষ হলো বালতির রশির ন্যায় যার মাধ্যমে দুরাচারে পৌঁছে যেমন রশির মাধ্যমে পানির নিকট পৌঁছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)