পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৩৭-[১] ক্ববীসাহ্ ইবনু মুখারিক্ব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ঋণগ্রস্ত হয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলাম। তার কাছে ঋণ আদায়ের জন্য কিছু চাইলাম। তিনি বললেন, অপেক্ষা করো। আমার কাছে যাকাতের মাল আসা পর্যন্ত আসলে তোমাকে কিছু দেবার জন্য বলে দেব। তারপর তিনি বললেন, ক্ববীসাহ্! শুধু তিন ধরনের ব্যক্তির জন্য কিছু চাওয়া জায়িয। প্রথমতঃ যে ব্যক্তি অপরের ঋণের যামিনদার। তবে বেশী চাইতে পারবে না। বরং যতটুকু ঋণ শোধের জন্য প্রয়োজন শুধু ততটুকু চাইবে। এরপর আর চাইবে না। দ্বিতীয়তঃ ওই ব্যক্তি যে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে (দুর্ভিক্ষ প্লাবন ইত্যাদিতে)। তার সব ধন-সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। তারও (শুধু খাবার ও পোশাকের জন্য) ততটুকু যাতে প্রয়োজন মিটে যায়। তার জীবনের জন্য অবলম্বন হয়ে যায়। তৃতীয়তঃ ওই ব্যক্তি (যে ধনী, কিন্তু তার এমন কোন কঠিন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে যা মহল্লাবাসী জানে। যেমন ঘরের সব মালপত্র চুরি হয়ে গেছে অথবা অন্য কোন দুর্ঘটনার কারণে মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েছে)। (মহল্লার) তিনজন বুদ্ধিমান সচেতন লোক এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবে যে, সত্যিই এ ব্যক্তি মুখাপেক্ষী। তার জন্যও সেই পরিমাণ (সাহায্য) চাওয়া জায়িয, যাতে তার প্রয়োজন মিটে। অথবা তিনি বলেছেন এর দ্বারা তার মুখাপেক্ষিতা ও প্রয়োজন দূর হয়, তার জীবনে একটি অবলম্বন আসে। হে ক্ববীসাহ্! এ তিন প্রকারের ’চাওয়া’ ছাড়া হালাল নয়। আর হারাম পন্থায় প্রাপ্ত মাল খাওয়া তার জন্য হারাম। (মুসলিম)[1]

بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه

عَن قبيصَة بن مُخَارق الْهِلَالِي قَالَ: تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ فِيهَا. فَقَالَ: «أَقِمْ حَتَّى تَأْتِينَا الصَّدَقَة فنأمر لَك بهَا» . قَالَ ثُمَّ قَالَ: «يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يقوم ثَلَاثَة من ذَوي الحجى مِنْ قَوْمِهِ. لَقَدْ أَصَابَتْ فُلَانًا فَاقَةٌ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ فَمَا سِوَاهُنَّ من الْمَسْأَلَة يَا قبيصَة سحتا يأكلها صَاحبهَا سحتا» . رَوَاهُ مُسلم

عن قبيصة بن مخارق الهلالي قال: تحملت حمالة فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم اساله فيها. فقال: «اقم حتى تاتينا الصدقة فنامر لك بها» . قال ثم قال: «يا قبيصة ان المسالة لا تحل الا لاحد ثلاثة رجل تحمل حمالة فحلت له المسالة حتى يصيبها ثم يمسك ورجل اصابته جاىحة اجتاحت ماله فحلت له المسالة حتى يصيب قواما من عيش او قال سدادا من عيش ورجل اصابته فاقة حتى يقوم ثلاثة من ذوي الحجى من قومه. لقد اصابت فلانا فاقة فحلت له المسالة حتى يصيب قواما من عيش او قال سدادا من عيش فما سواهن من المسالة يا قبيصة سحتا ياكلها صاحبها سحتا» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: মানুষের নিকট ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া হারাম হওয়ার ব্যাপারে এ হাদীসটি একটি বিশেষ দলীল। আর যে তিন প্রকার ব্যক্তির জন্য চাওয়া বৈধ বলে হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলোঃ

১। যে ব্যক্তি কোন দেনার যামিন হয়েছে, যতক্ষণ না সে তা পরিশোধ করবে ততক্ষণ তার জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া বৈধ।

২। যে ব্যক্তির ওপর কোন বিপদ এসে তার সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে, যতক্ষণ না তার প্রয়োজন মিটাবার ব্যবস্থা হবে ততক্ষণ সে ভিক্ষাবৃত্তি করতে বা চাইতে পারবে।

৩। যে ব্যক্তি অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এবং তার প্রতিবেশীদের থেকে তিনজন ব্যক্তি (সৎ ও বিবেক সম্পন্ন) ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবে, তার জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া বৈধ যতক্ষণ না সে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে পারবে।

আল্লামা খাত্ত্বাবী বলেন, অত্র হাদীসের মধ্যে অনেক জানার বিষয় এবং উপকারিতা রয়েছে। আর তা হলো যাদের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া জায়িয তাদেরকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এক প্রকার হলো ধনী ব্যক্তি আর দু’প্রকারের দরিদ্র ব্যক্তি। অতঃপর দরিদ্র ব্যক্তিদেরকে আবার দু’ ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ

১। মূলত দরিদ্র, কিন্তু গোপন রাখে।

২। প্রকাশ্যে তা বুঝা যায়।

হাদীসটির মাঝে আরো একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, প্রত্যেকেই তার প্রয়োজন মিটানো পর্যন্ত ভিক্ষাবৃত্তি করতে বা চাইতে পারবে তার অতিরিক্ত নয়। হাদীসের বাহ্যিক বিধান হলো যে, উপরে উল্লেখিত তিন প্রকারের ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া হারাম।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৩৮-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করার উদ্দেশে মানুষের কাছে চেয়ে বেড়ায়, সে নিশ্চয় (জাহান্নামের) আগুন কামনা করে। (এটা জানার পর) সে কম বা অধিক চাইতে থাকুক। (মুসলিম)[1]

بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَأَلَ النَّاسَ أَمْوَالَهُمْ تَكَثُّرًا فَإِنَّمَا يَسْأَلُ جمرا. فليستقل أَو ليستكثر» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من سال الناس اموالهم تكثرا فانما يسال جمرا. فليستقل او ليستكثر» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি নিজের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য মানুষের নিকট ভিক্ষাবৃত্তি করে বা চায়, সে যেন জাহান্নামের অঙ্গার কামনা করে। অর্থাৎ তার এই ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়াটা জাহান্নামের আগুন দ্বারা শাস্তির কারণ হবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘‘যারা ইয়াতীমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে, নিশ্চয়ই তারা নিজের উদরে অগ্নি ব্যতীত কিছুই ভক্ষণ করে না।’’ (সূরাহ্ আন্ নিসা ৪ : ১৩)

এরপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়ার পরিণাম জানার পর চাই সে বেশি করুক অথবা কম করুক। এ কথাটি তিনি ভীতি প্রদর্শনমূলক, অর্থাৎ ‘‘আযাব গযবের কথা শোনার পর চাই সে ঈমান আনুক অথবা কুফরী করুক।’’ (সূরাহ্ আল কাহফ ১৮ : ২৯)

‘সুবুলুস সালাম’ গ্রন্থে বলা হয়েছে, এটা হচ্ছেঃ (اعملوا ما شئتم) এর মত, অর্থাৎ যা ইচ্ছে তাই কর। যা প্রমাণ করে সম্পদের বৃদ্ধির জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া পরিষ্কার হারাম।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৩৯-[৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সর্বদা মানুষের কাছে হাত পাততে থাকে কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন সে এমনভাবে উঠবে যে, তখন তার মুখমণ্ডল ে মাংস (মাংস/মাংস/গোসত) থাকবে না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَسْأَلُ النَّاسَ حَتَّى يَأْتِيَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَيْسَ فِي وَجْهِهِ مُزْعَةُ لحم»

وعن عبد الله بن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ما يزال الرجل يسال الناس حتى ياتي يوم القيامة ليس في وجهه مزعة لحم»

ব্যাখ্যা: খাত্ত্বাবী বলেন, হাদীসটির ব্যাখ্যায় কয়েকটি দিক রয়েছে-

১। ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে মান-সম্মানহীন এবং অপমানিত অবস্থায় উঠবে।

২। তার চেহারায় এমন শাস্তি দেয়া হবে যে, শাস্তির কারণে চেহারার গোশ্‌ত খসে পড়ে যাবে।

৩। ঐ ব্যক্তিকে গোশ্‌তবিহীন অবস্থায় ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) দিবসে উঠানো হবে। যাতে তাকে উক্ত কাজের অপরাধী বলে বুঝা যাবে।

উল্লেখিত তিনটি উক্তির মধ্যে প্রথমটির সমর্থন করে হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, এই মর্মে ত্ববারানী এবং বাযযারে বর্ণিত হয়েছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন ধনী ব্যক্তি তার নিকট সম্পদ থাকা অবস্থাতেও মানুষের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি করবে বা চাইবে, তাকে সম্মানিত করে সৃষ্টি করার পরেও আল্লাহর নিকটে তার কোন মর্যাদা থাকবে না। ইমাম বুখারী বলেন, এ হাদীসটি ঐ ব্যক্তির জন্য ভীতি প্রদর্শনমূলক যে সম্পদকে বৃদ্ধি করার জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করে বা মানুষের নিকট চেয়ে বেড়ায়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৪০-[৪] মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিছু চাইতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। আল্লাহর কসম! তোমাদের যে ব্যক্তিই আমার কাছে (অতিরঞ্জিত করে) কিছু চায় (তখন) আমি তাকে কিছু দিয়ে দেই। (তবে) আমি তা দেয়া খারাপ মনে করি। ফলে এটা কি করে সম্ভব যে, আমি তাকে যা কিছুই দিই তাতে বারাকাত হবে? (মুসলিম)[1]

بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه

وَعَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُلْحِفُوا فِي الْمَسْأَلَةِ فوَاللَّه لَا يسألني أحدق مِنْكُمِ شَيْئًا فَتُخْرِجَ لَهُ مَسْأَلَتُهُ مِنِّي شَيْئًا وَأَنَا لَهُ كَارِهٌ فَيُبَارَكَ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتُهُ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن معاوية قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا تلحفوا في المسالة فوالله لا يسالني احدق منكم شيىا فتخرج له مسالته مني شيىا وانا له كاره فيبارك له فيما اعطيته» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমি সম্পদের দায়িত্বশীল, আমি আমার মনের সন্তুষ্টিচিত্তে যাকে দান করি তার সেই সম্পদে বারাকাত দেয়া হয়। আর যদি ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়ার কারণে এবং আমার মনের না রাযী অবস্থায় প্রদান করি, তা হচ্ছে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে খাবার খেল অথচ পরিতৃপ্ত হলো না। আল্লামা নাবাবী বলেছেন, ‘উলামায়ে কিরাম সকলেই একমত যে, বিনা প্রয়োজনে ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৪১-[৫] যুবায়র ইবনুল ’আও্ওয়াম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ এক আঁটি লাকড়ি রশি দিয়ে বেঁধে পিঠে বহন করে এবং তা বিক্রি করে। আল্লাহ তা’আলা এ কাজের দ্বারা তার ইযযত সম্মান বহাল রাখেন (যা ভিক্ষা করার মাধ্যমে চলে যায়)। এ কাজ মানুষের কাছে হাত পাতা অপেক্ষা তার জন্য অনেক উত্তম। মানুষ তাকে কিছু দিতে পারে আবার নাও দিতে পারে। (বুখারী)[1]

بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه

وَعَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَأَنْ يَأْخُذَ أَحَدُكُمْ حَبْلَهُ فَيَأْتِيَ بِحُزْمَةِ حَطَبٍ عَلَى ظَهْرِهِ فَيَبِيعَهَا فَيَكُفَّ اللَّهُ بِهَا وَجْهَهُ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ النَّاسَ أَعْطَوْهُ أَوْ مَنَعُوهُ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن الزبير بن العوام قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لان ياخذ احدكم حبله فياتي بحزمة حطب على ظهره فيبيعها فيكف الله بها وجهه خير له من ان يسال الناس اعطوه او منعوه» . رواه البخاري

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে মানবমন্ডলীকে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে অন্যের নিকট ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া থেকে বিরত এবং পবিত্র থাকার ব্যাপারে যদিও সে জীবিকা নির্বাহের জন্য পরীক্ষায় পড়ে যায় এবং তাতে তার কষ্টও হয়। কারণ হলো, ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া এবং ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়ার পর না পাওয়া উভয়টিই অত্যন্ত লজ্জার কাজ। এ হাদীসে নিজের হাতে উপার্জন করার ফাযীলাতের প্রতিও ইঙ্গিত করা হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৪২-[৬] হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে চাইলাম। তিনি আমাকে কিছু দিলেন। আমি পুনরায় চাইলে তিনি আবার দিলেন। তারপর তিনি আমাকে বললেন, হে হাকীম! এ মাল সবুজ সতেজ ও মিষ্ট (অর্থাৎ দেখতে সুন্দর, হৃদয়কে তৃপ্তি দেয়)। তাই যে ব্যক্তি এ মাল হাত না পেতে ও লোভ-লালসা ছাড়া পায় তাতে বারাকাত দান করা হয়। আর যে ব্যক্তি তা হাত পেতে লোভ লালসা দিয়ে অর্জন করে তাতে বারাকাত দেয়া হয় না। তার অবস্থা ওই ব্যক্তির মতো, যে খাবার খায় কিন্তু পেট ভরে না। (মনে রাখবে) উপরের হাত অর্থাৎ দানকারীর হাত নীচের হাত (দান গ্রহণকারীর হাত) হতে অনেক উত্তম। হাকীম (রাঃ)বলেন, আমি (তখন) বললাম, হে আল্লাহর রসূল! ওই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যের বাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন। আজ থেকে আমি মৃত্যু পর্যন্ত কারো মাল থেকে কিছু কামনা করব না। মৃত্যু পর্যন্ত কখনো কারো কাছে কিছু চাইব না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه

وَعَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ: سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ قَالَ لِي: «يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ. وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى» . قَالَ حَكِيمٌ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا

وعن حكيم بن حزام قال: سالت رسول الله صلى الله عليه وسلم فاعطاني ثم سالته فاعطاني ثم قال لي: «يا حكيم ان هذا المال خضر حلو فمن اخذه بسخاوة نفس بورك له فيه ومن اخذه باشراف نفس لم يبارك له فيه. وكان كالذي ياكل ولا يشبع واليد العليا خير من اليد السفلى» . قال حكيم: فقلت: يا رسول الله والذي بعثك بالحق لا ارزا احدا بعدك شيىا حتى افارق الدنيا

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে মাল-সম্পদকে অথবা দুনিয়াকে সবুজ এবং মিষ্টি কোন জিনিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সবুজ জিনিস মানুষের দৃষ্টি কুড়ায় অন্যদিকে মিষ্টিদ্রব্য মানুষের মন জুড়ায়। তাই মানুষ মাত্রই দুনিয়া এবং সম্পদের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই আকৃষ্ট হয়ে থাকে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন, অর্থাৎ ‘‘মাল-সম্পদ এবং সন্তান-সন্ততি মানুষের জন্য পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যতা স্বরূপ’’- (সূরাহ্ আল কাহফ ১৮ : ৪৬)।

হাদীসে মাল-সম্পদকে সবুজ এবং মিষ্টি দ্রব্যের সঙ্গে তুলনা করার কারণ হলো, কোন জিনিসের উল্লেখিত দু’টো বৈশিষ্ট্য অস্থায়ী যা দীর্ঘদিন টিকে থাকে না। অনুরূপ মানুষের মাল, যদি শারী‘আতে বর্ণিত পন্থা মোতাবেক অর্জিত না হয় তা টিকে থাকে না। অতঃপর বলা হয়েছে, উপরের হাত নীচের হাত অপেক্ষা উত্তম। অর্থাৎ দানকারীর হাত দান গ্রহণকারী তথা সাওয়ালকারীর (যিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে বা চায়) হাত অপেক্ষা উত্তম। যা এই হাদীসের পরের (১৮৪৩-[৭]) নং হাদীসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৪৩-[৭] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) এবং (মানুষের কাছে) হাত পাতা হতে বিরত থাকার বিষয় উল্লেখ করে। তিনি বলেন, উপরের হাত নীচের হাত অপেক্ষা উত্তম। উপরের হাত দাতা আর নীচের হাত গ্রহীতা (ভিক্ষুক)। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَذْكُرُ الصَّدَقَةَ وَالتَّعَفُّفَ عَنِ الْمَسْأَلَةِ: «الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى وَالْيَد الْعليا هِيَ المنفقة وَالْيَد السُّفْلى هِيَ السائلة»

وعن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال وهو على المنبر وهو يذكر الصدقة والتعفف عن المسالة: «اليد العليا خير من اليد السفلى واليد العليا هي المنفقة واليد السفلى هي الساىلة»

ব্যাখ্যা: হাদীসটিতে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া থেকে বেঁচে থাকবে আল্লাহ তাকে তার সে উপায় করে দেন এবং যে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে চায় না আল্লাহ তারও ব্যবস্থা করে দেন। আর যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করতে চায় আল্লাহ তার তাওফীক দেন এবং ধৈর্য অপেক্ষা উত্তম ও প্রশস্ততার দান কাউকে দেয়া হয়নি।

আল্লামা রাজী বলেন, ধৈর্য মানুষের জন্য এমন একটি বিষয় যে, কাউকে কোন জিনিস দেয়া হলে তা যদি কমও হয় ধৈর্যের কারণে তা স্থায়িত্ব হয়। আর যদি ধৈর্য না থাকে তাহলে প্রাপ্ত জিনিস অনেক হলেও তা টিকে থাকে না। মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেন, ধৈর্যের স্থান অনেক ঊর্ধ্বে আর তা এজন্য যে, ধৈর্যই মানুষের চারিত্রিক উন্নত গুণাবলীর ও অবস্থার একমাত্র সোপান। এজন্যই সবর বা ধৈর্যকে আল্লাহ তা‘আলা সালাতের উপরে প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ বলেছেন, ‘‘তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর সবর এবং সালাতের দ্বারা’’- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ৪৫)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৪৪-[৮] আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) কিছু আনসার ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু চাইলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে কিছু দিলেন তারা আবার চাইলে তিনি আবারো দিলেন। এমনকি তাঁর কাছে যা ছিল তা শেষ হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, আমার কাছে যে সম্পদ আসবে তা আমি তোমাদেরকে না দিয়ে বাঁচিয়ে রেখে ধনের স্তুপ বানিয়ে রাখব না। মনে রাখবে, যে ব্যক্তি মানুষের কাছে চাওয়া হতে বিরত থাকে, আল্লাহ তা’আলা তাঁকে মানুষের মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখেন, তাকে মানুষের মুখাপেক্ষী করেন না। আর যে ব্যক্তি অপরের সম্পদের অমুখাপেক্ষী হয়, আল্লাহ তাকে অমুখাপেক্ষী করেন। যে ব্যক্তি সবরের প্রত্যাশী হয়; আল্লাহ তাকে ধৈর্যধারণের শক্তি দান করেন। মনে রাখবে, সবরের চেয়ে বেশী উত্তম ও প্রশস্ত আর কোন কিছু দান করা হয়নি। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: إِنَّ أُنَاسًا مِنَ الْأَنْصَارِ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَاهُمْ ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ حَتَّى نَفِدَ مَا عِنْدَهُ. فَقَالَ: «مَا يَكُونُ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ وَمَنْ يَسْتَعِفَّ يُعِفَّهُ اللَّهُ وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ وَمَا أُعْطِيَ أَحَدٌ عَطَاءً هُوَ خَيْرٌ وَأَوْسَعُ مِنَ الصَّبْرِ»

وعن ابي سعيد الخدري قال: ان اناسا من الانصار سالوا رسول الله صلى الله عليه وسلم فاعطاهم ثم سالوه فاعطاهم حتى نفد ما عنده. فقال: «ما يكون عندي من خير فلن ادخره عنكم ومن يستعف يعفه الله ومن يستغن يغنه الله ومن يتصبر يصبره الله وما اعطي احد عطاء هو خير واوسع من الصبر»

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল

১৮৪৫-[৯] ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে (যাকাত উসূল করার বিনিময়ে) কিছু দিতে চাইলে আমি নিবেদন করতাম, এটা যে আমার চেয়ে বেশী অভাবী তাকে দিন। (এ কথার জবাবে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন, (প্রয়োজন থাকলে) এটাকে তোমার মালের সাথে শামিল করে নাও। (আর যদি প্রয়োজনের বেশী হয়) তাহলে তুমি নিজে তা আল্লাহর পথে দান করে দাও। তিনি (আরো বলেন, লোভ লালসা ও হাত না পেতে) যে জিনিস তুমি লাভ করবে, তা গ্রহণ করবে। আর যা এভাবে আসবে না তার পিছে লেগে থেক না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِينِي الْعَطَاءَ فَأَقُولُ: أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي. فَقَالَ: «خُذْهُ فَتَمَوَّلْهُ وَتَصَدَّقْ بِهِ فَمَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ وَلَا سَائِلٍ فَخذه. ومالا فَلَا تتبعه نَفسك»

وعن عمر بن الخطاب قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم يعطيني العطاء فاقول: اعطه افقر اليه مني. فقال: «خذه فتموله وتصدق به فما جاءك من هذا المال وانت غير مشرف ولا ساىل فخذه. ومالا فلا تتبعه نفسك»

ব্যাখ্যা: কোন ব্যক্তিকে কেউ যদি কোন কিছু দান করে তা গ্রহণ করা আবশ্যক কি-না, এই ব্যাপারে ‘উলামায়ে কিরাম মতবিরোধ করেছেন। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, ঐ দান যদি রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষ থেকে না হয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে হয় তা গ্রহণ করা মুস্তাহাব। আর যদি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিশেষ করে যালিম সরকার কর্তৃক হয় তাহলে একদল এটাকে হারাম বলেছেন। আরেকটি দল (‘আলিমদের) বৈধ বলেছেন, আবার কেউ মাকরূহ বলেছেন। ভিন্ন আরেকটি দল বলেছেন, যে কোন ব্যক্তির দানকে গ্রহণ করা ওয়াজিব।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة) 6. Zakat
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে