লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪৩-[৭] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) এবং (মানুষের কাছে) হাত পাতা হতে বিরত থাকার বিষয় উল্লেখ করে। তিনি বলেন, উপরের হাত নীচের হাত অপেক্ষা উত্তম। উপরের হাত দাতা আর নীচের হাত গ্রহীতা (ভিক্ষুক)। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَذْكُرُ الصَّدَقَةَ وَالتَّعَفُّفَ عَنِ الْمَسْأَلَةِ: «الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى وَالْيَد الْعليا هِيَ المنفقة وَالْيَد السُّفْلى هِيَ السائلة»
ব্যাখ্যা: হাদীসটিতে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া থেকে বেঁচে থাকবে আল্লাহ তাকে তার সে উপায় করে দেন এবং যে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে চায় না আল্লাহ তারও ব্যবস্থা করে দেন। আর যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করতে চায় আল্লাহ তার তাওফীক দেন এবং ধৈর্য অপেক্ষা উত্তম ও প্রশস্ততার দান কাউকে দেয়া হয়নি।
আল্লামা রাজী বলেন, ধৈর্য মানুষের জন্য এমন একটি বিষয় যে, কাউকে কোন জিনিস দেয়া হলে তা যদি কমও হয় ধৈর্যের কারণে তা স্থায়িত্ব হয়। আর যদি ধৈর্য না থাকে তাহলে প্রাপ্ত জিনিস অনেক হলেও তা টিকে থাকে না। মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেন, ধৈর্যের স্থান অনেক ঊর্ধ্বে আর তা এজন্য যে, ধৈর্যই মানুষের চারিত্রিক উন্নত গুণাবলীর ও অবস্থার একমাত্র সোপান। এজন্যই সবর বা ধৈর্যকে আল্লাহ তা‘আলা সালাতের উপরে প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ বলেছেন, ‘‘তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর সবর এবং সালাতের দ্বারা’’- (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ৪৫)।