পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪০-[৪] মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিছু চাইতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। আল্লাহর কসম! তোমাদের যে ব্যক্তিই আমার কাছে (অতিরঞ্জিত করে) কিছু চায় (তখন) আমি তাকে কিছু দিয়ে দেই। (তবে) আমি তা দেয়া খারাপ মনে করি। ফলে এটা কি করে সম্ভব যে, আমি তাকে যা কিছুই দিই তাতে বারাকাত হবে? (মুসলিম)[1]
بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه
وَعَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُلْحِفُوا فِي الْمَسْأَلَةِ فوَاللَّه لَا يسألني أحدق مِنْكُمِ شَيْئًا فَتُخْرِجَ لَهُ مَسْأَلَتُهُ مِنِّي شَيْئًا وَأَنَا لَهُ كَارِهٌ فَيُبَارَكَ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتُهُ» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমি সম্পদের দায়িত্বশীল, আমি আমার মনের সন্তুষ্টিচিত্তে যাকে দান করি তার সেই সম্পদে বারাকাত দেয়া হয়। আর যদি ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়ার কারণে এবং আমার মনের না রাযী অবস্থায় প্রদান করি, তা হচ্ছে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে খাবার খেল অথচ পরিতৃপ্ত হলো না। আল্লামা নাবাবী বলেছেন, ‘উলামায়ে কিরাম সকলেই একমত যে, বিনা প্রয়োজনে ভিক্ষাবৃত্তি করা বা চাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ।